Ajker Patrika

এশিয়ায় ছড়াতে শুরু করা করোনার জেএন-১ ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে যা জানা গেল

অনলাইন ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

কোভিড-১৯ আবারও এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে মাথাচাড়া দিচ্ছে। আর এর পেছনে মূল চালিকা শক্তি হয়ে উঠেছে জেএন-১ নামে একটি সাবভ্যারিয়েন্ট। এটি মূলত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতার জন্য পরিচিত ওমিক্রনের একটি শাখা।

এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ভারতের পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে, তবে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। ১৯ মে পর্যন্ত দেশটিতে ২৫৭টি সক্রিয় সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এগুলোর বেশির ভাগই কেরালা, মহারাষ্ট্র এবং তামিলনাড়ু রাজ্যে। এর আগে গত জানুয়ারি মাসে দেশটির ১৭টি রাজ্যে ১ হাজারের বেশি সংক্রমণ রেকর্ড হয়েছিল।

ভারতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে—অধিকাংশ রোগীই মৃদু উপসর্গে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হয়নি।

এদিকে এশিয়ার অন্য দেশগুলোতে পরিস্থিতি কিছুটা গুরুতর। সিঙ্গাপুরে গত ৩ মে শেষ হওয়া সপ্তাহে সংক্রমণ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১৪ হাজার ২০০ জনে। আগের সপ্তাহটিতে সেখানে সংক্রমিত ছিলেন ১১ হাজার ১০০ জন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া গড় রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। হংকংয়ে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক, সেখানে ৮১টি গুরুতর সংক্রমণ এবং ৩০টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেখানে বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিরাই সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন।

জেএন-১ প্রথম ধরা পড়েছিল ২০২৩ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে। একই বছরের ডিসেম্বরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল। বর্তমানে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ছড়ানো কোভিড স্ট্রেইন, যা ১২০ টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে এবং গত বছরের এপ্রিলে পাওয়া নমুনার ৯৪ শতাংশ ক্ষেত্রেই এই ভ্যারিয়েন্ট মিলেছে।

প্রায় ৩০টি জিনগত রূপান্তরের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে জেএন-১ ভাইরাসটি। এই রূপান্তর এটিকে মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে ভেঙে ফেলার সক্ষমতা দিয়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, এই ভ্যারিয়েন্ট অতিরিক্ত কোনো জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করছে না। বিশেষ করে, ভ্যাকসিন গ্রহণ করা ব্যক্তিদের মধ্যে এটি গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টি করছে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

জেএন-১ ভাইরাসের উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে—শুকনো কাশি, জ্বর, গলা ব্যথা, ক্লান্তি, স্বাদ বা গন্ধ হারানো এবং অনেক ক্ষেত্রেই ডায়রিয়ার মতো গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারতে নতুন করে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি, তবে নাগরিকদের মাস্ক পরা, হাত ধোয়া এবং সময়মতো ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে তিন ধরনের ভ্যাকসিন এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করতে সক্ষম। এগুলো হলো—এমআরএনএ ভ্যাকসিন, ভাইরাল ভেক্টর ভ্যাকসিন এবং প্রোটিন সাবইউনিট ভ্যাকসিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিন বাহিনীর প্রধান

১৭ বছর খাইনি, এবার খাব—টেন্ডার জমা দেওয়া ঠিকাদারকে বললেন বিএনপি নেতা

দেশে এল স্টারলিংক: কতগুলো ডিভাইস যুক্ত করা যাবে, কীভাবে করবেন

যৌথ পরিবারে কোরবানি কার ওপর ওয়াজিব

মধ্যরাতে হাক্কানীর মালিকের বাসায় মবের হানা, আটক তিন সমন্বয়ককে ছাড়িয়ে নিলেন হান্নান মাসউদ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত