অনলাইন ডেস্ক
মিয়ানমার ছাড়ছে নরওয়ের টেলিকম অপারেটর প্রতিষ্ঠান টেলিনর। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার টেলিনর জানিয়েছে, তারা লেবাননের বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এম১ গ্রুপের কাছে মিয়ানমারের ব্যবসা বিক্রি করে দিয়েছে। ১০ কোটি ৫০ লাখ ডলারে অধিগ্রহণের বিষয়টি রফা হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর রক্তাক্ত সংঘাতে অস্থির সময় পার করছে মিয়ানমার। এর মধ্যে সে দেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিল বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ টেলিকম অপারেটর কোম্পানি টেলিনর।
এক বিবৃতিতে টেলিনরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মিয়ানমার পরিস্থিতির ক্রমাবনতি এবং বিদ্যমান অবস্থার কারণে কোম্পানি ব্যবসা সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।
মিয়ানমারে বিদেশি বিনিয়োগের মধ্যে টেলিনর অন্যতম বৃহৎ। এক দশক আগে সামরিক শাসন থেকে গণতন্ত্রের পথে উত্তরণ শুরুর পর পশ্চিমা যে কটি কোম্পানি দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে বিনিয়োগ করেছে, সেগুলোর মধ্যে টেলিনরের বিনিয়োগ ছিল সর্বোচ্চ।
গত মে মাসে টেলিনর মিয়ানমারে ব্যবসার বাজারমূল্য কমিয়ে প্রকাশ করেছিল। ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর মোবাইল ব্যবসায় কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের পর মিয়ানমারে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে টেলিনর। ওই সময় ৭৫ কোটি ২০ লাখ ডলার লোকসান দেখায় কোম্পানিটি। গত ১৫ মার্চ মিয়ানমারের সামরিক সরকার দেশব্যাপী মোবাইল ডেটা বন্ধ করে দেয়। এতে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীরা বিপাকে পড়েন। দেশব্যাপী বিক্ষোভ দমনে মোবাইল ডেটা নিয়ন্ত্রণে জোর দেয় জান্তা সরকার। এতে ক্ষতির মুখে পড়ে অপারেটর কোম্পানিগুলো।
জাতিসংঘের হিসাবে, ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর শুরু হওয়া বিক্ষোভ সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রাণ দিয়েছেন প্রায় ৯০০ নাগরিক। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫ হাজার ২০০ জনকে।
গত সপ্তাহে একটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, মিয়ানমার জান্তা বিদেশি টেলিকম নির্বাহীদের বিনা অনুমতিতে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। সর্বস্তরের নাগরিকদের ফোনে আড়িপাতার ব্যবস্থা করছে তারা।
ব্যবসা বিক্রির বিষয়ে টেলিনরের প্রধান নির্বাহী সিগভে ব্রেকে বলেছেন, হস্তান্তরটি প্রায় ৬০ কোটি ডলারের উদ্যোগের অংশ। এম১ গ্রুপের কাছে ব্যবসা বিক্রি করে দেওয়ায় সেখানে অপারেটরের কার্যক্রম চালু থাকার নিশ্চয়তা থাকল। গত কয়েক মাসে মিয়ানমারের পরিস্থিতি ক্রমেই টেলিনরের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছিল; বিশেষ করে কর্মীদের নিরাপত্তা, সরকারের বিধিনিষেধ ও নিয়মনীতি মেনে চলা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
নরওয়ের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত টেলিকম অপারেটর প্রতিষ্ঠান টেলিনর। নর্ডিক দেশগুলোর পাশাপাশি এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে তাদের কার্যক্রম রয়েছে। তাদের ১৮ কোটি ৭০ লাখ গ্রাহকের ৯৫ শতাংশই বাংলাদেশ, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং মিয়ানমারে। এর মধ্যে মিয়ানমারে রয়েছে ১ কোটি ৮০ লাখ গ্রাহক। এ সংখ্যাটি ৫ কোটি ৪০ লাখ জনসংখ্যার দেশটির এক-তৃতীয়াংশ মানুষ।
মিয়ানমার ছাড়ছে নরওয়ের টেলিকম অপারেটর প্রতিষ্ঠান টেলিনর। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার টেলিনর জানিয়েছে, তারা লেবাননের বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এম১ গ্রুপের কাছে মিয়ানমারের ব্যবসা বিক্রি করে দিয়েছে। ১০ কোটি ৫০ লাখ ডলারে অধিগ্রহণের বিষয়টি রফা হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর রক্তাক্ত সংঘাতে অস্থির সময় পার করছে মিয়ানমার। এর মধ্যে সে দেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিল বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ টেলিকম অপারেটর কোম্পানি টেলিনর।
এক বিবৃতিতে টেলিনরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মিয়ানমার পরিস্থিতির ক্রমাবনতি এবং বিদ্যমান অবস্থার কারণে কোম্পানি ব্যবসা সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।
মিয়ানমারে বিদেশি বিনিয়োগের মধ্যে টেলিনর অন্যতম বৃহৎ। এক দশক আগে সামরিক শাসন থেকে গণতন্ত্রের পথে উত্তরণ শুরুর পর পশ্চিমা যে কটি কোম্পানি দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে বিনিয়োগ করেছে, সেগুলোর মধ্যে টেলিনরের বিনিয়োগ ছিল সর্বোচ্চ।
গত মে মাসে টেলিনর মিয়ানমারে ব্যবসার বাজারমূল্য কমিয়ে প্রকাশ করেছিল। ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর মোবাইল ব্যবসায় কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের পর মিয়ানমারে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে টেলিনর। ওই সময় ৭৫ কোটি ২০ লাখ ডলার লোকসান দেখায় কোম্পানিটি। গত ১৫ মার্চ মিয়ানমারের সামরিক সরকার দেশব্যাপী মোবাইল ডেটা বন্ধ করে দেয়। এতে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীরা বিপাকে পড়েন। দেশব্যাপী বিক্ষোভ দমনে মোবাইল ডেটা নিয়ন্ত্রণে জোর দেয় জান্তা সরকার। এতে ক্ষতির মুখে পড়ে অপারেটর কোম্পানিগুলো।
জাতিসংঘের হিসাবে, ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর শুরু হওয়া বিক্ষোভ সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রাণ দিয়েছেন প্রায় ৯০০ নাগরিক। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫ হাজার ২০০ জনকে।
গত সপ্তাহে একটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, মিয়ানমার জান্তা বিদেশি টেলিকম নির্বাহীদের বিনা অনুমতিতে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। সর্বস্তরের নাগরিকদের ফোনে আড়িপাতার ব্যবস্থা করছে তারা।
ব্যবসা বিক্রির বিষয়ে টেলিনরের প্রধান নির্বাহী সিগভে ব্রেকে বলেছেন, হস্তান্তরটি প্রায় ৬০ কোটি ডলারের উদ্যোগের অংশ। এম১ গ্রুপের কাছে ব্যবসা বিক্রি করে দেওয়ায় সেখানে অপারেটরের কার্যক্রম চালু থাকার নিশ্চয়তা থাকল। গত কয়েক মাসে মিয়ানমারের পরিস্থিতি ক্রমেই টেলিনরের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছিল; বিশেষ করে কর্মীদের নিরাপত্তা, সরকারের বিধিনিষেধ ও নিয়মনীতি মেনে চলা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
নরওয়ের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত টেলিকম অপারেটর প্রতিষ্ঠান টেলিনর। নর্ডিক দেশগুলোর পাশাপাশি এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে তাদের কার্যক্রম রয়েছে। তাদের ১৮ কোটি ৭০ লাখ গ্রাহকের ৯৫ শতাংশই বাংলাদেশ, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং মিয়ানমারে। এর মধ্যে মিয়ানমারে রয়েছে ১ কোটি ৮০ লাখ গ্রাহক। এ সংখ্যাটি ৫ কোটি ৪০ লাখ জনসংখ্যার দেশটির এক-তৃতীয়াংশ মানুষ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে গ্লোবাল ভারতের ২০২৫ সালের ফেডারেল বাজেট এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর এর প্রভাব নিয়ে কনস্টান্টিনো জেভিয়ারের সঙ্গে কথা বলেছে। সাক্ষাৎকারে ভারতের কূটনৈতিক সক্ষমতা এবং এর ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য উল্লেখযোগ্য সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে...
২২ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়ায় এবার একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বিধ্বস্ত হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার রাতে উত্তর-পূর্ব ফিলাডেলফিয়ার এক আবাসিক এলাকায় টুইন-ইঞ্জিন মেডেভাক বা রোগী বহনকারী বিমান বিধ্বস্ত...
১ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষদ গতকাল শুক্রবার রাজধানী নেপিডোতে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়। পরে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়
১ ঘণ্টা আগেসীমান্তবর্তী এলাকার কৃষকদের পাট বা ভুট্টা জাতীয় উঁচু ফসল চাষ না করার অনুরোধ জানিয়েছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ)। বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড সীমান্তবর্তী জেলার জেলা প্রশাসকদের এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে। বিএসএফের
৯ ঘণ্টা আগে