আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারের পশ্চিম সীমান্তে রাখাইন রাজ্য এখন এক নাটকীয় মোড়ের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আরাকান আর্মি (এএ) বর্তমানে এ রাজ্যের ১৭টি টাউনশিপের মধ্যে ১৪টির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং পুরো রাজ্য মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে।
আজ রোববার (২৪ আগস্ট) আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ পরিস্থিতি শুধু মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ নয়, বরং আঞ্চলিক ভূরাজনীতিতেও বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
রাখাইন রাজ্যটি বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অবস্থিত এবং বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী। এখানে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ও জ্বালানি প্রকল্প, যা চীন ও ভারতের জন্য কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রাখাইনের রাজধানী সিত্তে শহরসহ রাজ্যটির অবশিষ্ট অঞ্চলও দখলের ঘোষণা দিয়েছে আরাকান আর্মি। সিত্তে বর্তমানে অবরুদ্ধ। স্থলপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শহরটিতে এখন শুধু সমুদ্র ও আকাশপথে যাতায়াত সম্ভব। এই অবস্থায় রাজ্যজুড়ে খাদ্যাভাব ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, রাখাইনের ২০ লাখের বেশি মানুষ অনাহারের ঝুঁকিতে রয়েছে। খাবারের দাম কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। বাঁচার জন্য অনেক পরিবার ভিক্ষাবৃত্তি বা অন্য কোনো চরম উপায় গ্রহণ করছে।
আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনী তথা জান্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও বাড়ছে। আরাকান আর্মির রাজনৈতিক শাখা ‘ইউনাইটেড লিগ অব আরাকান’ (ইউএলএ) দাবি করেছে, ২০২৩ সালের শেষদিক থেকে ২০২৫ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত অন্তত ৪০২ জন বেসামরিক নাগরিক জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৯৬টি শিশুও রয়েছে।
একদিকে জান্তা বাহিনী নিয়মিত বিমান হামলা চালাচ্ছে, অন্যদিকে আরাকান আর্মি রাজ্যের পুরুষ ও নারী উভয়কেই যুদ্ধে যোগ দিতে বাধ্য করছে।
রাখাইন রাজ্য বহুদিন ধরে রোহিঙ্গা সংকটে আলোচিত। ২০১৭ সালের সেনা অভিযানে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল। বর্তমানে বাংলাদেশের শরণার্থীশিবিরে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আবারও রোহিঙ্গা নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এবারের অভিযোগ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে। সংগঠনটি অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। অন্যদিকে সেনাবাহিনী এখন অস্ত্র দিয়ে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের অংশ হিসেবে রাখাইনের কিয়াউকফিউ বন্দর ও পাইপলাইন প্রকল্প সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। এখানে সেনাবাহিনীর প্রায় তিন হাজার সদস্য অবস্থান করছেন। তবে ধারণা করা হচ্ছে, আরাকান আর্মি ১০ হাজার যোদ্ধা নিয়ে এ বন্দর দখলে বড় ধরনের অভিযান চালাতে পারে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এটি মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ও কৌশলগত লড়াই হয়ে উঠতে পারে। চীন আপাতত নিরপেক্ষ থাকলেও তাদের বিনিয়োগ রক্ষা করাই প্রধান অগ্রাধিকার।
ভারতও এ সংঘাতের দিকে গভীর নজর রাখছে। ভারতের ‘কালাদান’ পরিবহন প্রকল্পের জন্য সিত্তে বন্দর ও নদীপথ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্পটি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে যুক্ত করবে। আরাকান আর্মি যদি এসব পথে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে, তবে তারা ভারতীয় বাণিজ্য থেকে মাশুল আদায় করতে পারে।

আঞ্চলিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রাখাইনে আরাকান আর্মি যদি পুরোপুরি প্রভাব বিস্তার করতে পারে, তবে তারা শুধু মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ শক্তি নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও বড় প্রভাবক হয়ে উঠবে। তবে মিয়ানমারের সেনাশাসকেরা আবারও শক্তি সঞ্চয় করছে এবং নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। যদিও এ নির্বাচনকে ভুয়া হিসেবে আখ্যায়িত করছে বিভিন্ন মহল।
আরাকান আর্মি ও তাদের রাজনৈতিক শাখা বলছে—এ লড়াই শুধু টিকে থাকার নয়, বরং জাতীয় মুক্তির যুদ্ধ। তবে স্থানীয় মানুষদের জন্য এ যুদ্ধ এখন দুর্ভিক্ষ, ভয় ও অনিশ্চয়তার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

মিয়ানমারের পশ্চিম সীমান্তে রাখাইন রাজ্য এখন এক নাটকীয় মোড়ের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আরাকান আর্মি (এএ) বর্তমানে এ রাজ্যের ১৭টি টাউনশিপের মধ্যে ১৪টির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং পুরো রাজ্য মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে।
আজ রোববার (২৪ আগস্ট) আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ পরিস্থিতি শুধু মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ নয়, বরং আঞ্চলিক ভূরাজনীতিতেও বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
রাখাইন রাজ্যটি বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অবস্থিত এবং বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী। এখানে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ও জ্বালানি প্রকল্প, যা চীন ও ভারতের জন্য কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রাখাইনের রাজধানী সিত্তে শহরসহ রাজ্যটির অবশিষ্ট অঞ্চলও দখলের ঘোষণা দিয়েছে আরাকান আর্মি। সিত্তে বর্তমানে অবরুদ্ধ। স্থলপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শহরটিতে এখন শুধু সমুদ্র ও আকাশপথে যাতায়াত সম্ভব। এই অবস্থায় রাজ্যজুড়ে খাদ্যাভাব ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, রাখাইনের ২০ লাখের বেশি মানুষ অনাহারের ঝুঁকিতে রয়েছে। খাবারের দাম কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। বাঁচার জন্য অনেক পরিবার ভিক্ষাবৃত্তি বা অন্য কোনো চরম উপায় গ্রহণ করছে।
আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনী তথা জান্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও বাড়ছে। আরাকান আর্মির রাজনৈতিক শাখা ‘ইউনাইটেড লিগ অব আরাকান’ (ইউএলএ) দাবি করেছে, ২০২৩ সালের শেষদিক থেকে ২০২৫ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত অন্তত ৪০২ জন বেসামরিক নাগরিক জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৯৬টি শিশুও রয়েছে।
একদিকে জান্তা বাহিনী নিয়মিত বিমান হামলা চালাচ্ছে, অন্যদিকে আরাকান আর্মি রাজ্যের পুরুষ ও নারী উভয়কেই যুদ্ধে যোগ দিতে বাধ্য করছে।
রাখাইন রাজ্য বহুদিন ধরে রোহিঙ্গা সংকটে আলোচিত। ২০১৭ সালের সেনা অভিযানে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল। বর্তমানে বাংলাদেশের শরণার্থীশিবিরে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আবারও রোহিঙ্গা নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এবারের অভিযোগ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে। সংগঠনটি অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। অন্যদিকে সেনাবাহিনী এখন অস্ত্র দিয়ে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের অংশ হিসেবে রাখাইনের কিয়াউকফিউ বন্দর ও পাইপলাইন প্রকল্প সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। এখানে সেনাবাহিনীর প্রায় তিন হাজার সদস্য অবস্থান করছেন। তবে ধারণা করা হচ্ছে, আরাকান আর্মি ১০ হাজার যোদ্ধা নিয়ে এ বন্দর দখলে বড় ধরনের অভিযান চালাতে পারে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এটি মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ও কৌশলগত লড়াই হয়ে উঠতে পারে। চীন আপাতত নিরপেক্ষ থাকলেও তাদের বিনিয়োগ রক্ষা করাই প্রধান অগ্রাধিকার।
ভারতও এ সংঘাতের দিকে গভীর নজর রাখছে। ভারতের ‘কালাদান’ পরিবহন প্রকল্পের জন্য সিত্তে বন্দর ও নদীপথ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্পটি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে যুক্ত করবে। আরাকান আর্মি যদি এসব পথে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে, তবে তারা ভারতীয় বাণিজ্য থেকে মাশুল আদায় করতে পারে।

আঞ্চলিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রাখাইনে আরাকান আর্মি যদি পুরোপুরি প্রভাব বিস্তার করতে পারে, তবে তারা শুধু মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ শক্তি নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও বড় প্রভাবক হয়ে উঠবে। তবে মিয়ানমারের সেনাশাসকেরা আবারও শক্তি সঞ্চয় করছে এবং নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। যদিও এ নির্বাচনকে ভুয়া হিসেবে আখ্যায়িত করছে বিভিন্ন মহল।
আরাকান আর্মি ও তাদের রাজনৈতিক শাখা বলছে—এ লড়াই শুধু টিকে থাকার নয়, বরং জাতীয় মুক্তির যুদ্ধ। তবে স্থানীয় মানুষদের জন্য এ যুদ্ধ এখন দুর্ভিক্ষ, ভয় ও অনিশ্চয়তার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন গতকাল বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিদেশি দক্ষ কর্মীদের জন্য এইচ–১বি ভিসা আবেদনকারীদের যাচাই-বাছাইয়ের মাত্রা আরও বাড়াল। একইসঙ্গে স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক অভ্যন্তরীণ স্মারকে বলা হয়েছে, যারা স্বাধীন মতপ্রকাশে ‘সেন্সরশিপ’-এর সঙ্গে জড়িয়ে আছেন, তাঁদের
১ ঘণ্টা আগে
লেবানন ও ইসরায়েলের বেসামরিক প্রতিনিধিরা যুক্তরাষ্ট্রের সভাপতিত্বে নাকোউরায় যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ কমিটির একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। এটি চার দশকের বেশি সময়ের মধ্যে দুই দেশের মধ্যকার প্রথম সরাসরি আলোচনার সূচনা। খবর আল জাজিরার
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের সফরে আজ বৃহস্পতিবার ভারতে আসবেন। সময়সূচী অনুসারে, আজ স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ভারতে পৌঁছানোর কথা তাঁর। এই সফরে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আয়োজিত এক ব্যক্তিগত নৈশভোজ এবং ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। খবর এনডিটিভির।
২ ঘণ্টা আগে
হরিয়ানার পানিপথের একটি গ্রামে বিয়ের সানাই বাজছিল। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সবে শেষ হতে শুরু করেছে, তখনই বাড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল। বিয়েবাড়িতে শোরগোল পড়ে গেল, ছয় বছর বয়সী এক শিশু নিখোঁজ। মুহূর্তেই উৎসবের পরিবেশ বদলে যায় বিষাদে।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন গতকাল বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিদেশি দক্ষ কর্মীদের জন্য এইচ–১বি ভিসা আবেদনকারীদের যাচাই-বাছাইয়ের মাত্রা আরও বাড়াল। একইসঙ্গে স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক অভ্যন্তরীণ স্মারকে বলা হয়েছে, যারা স্বাধীন মতপ্রকাশে ‘সেন্সরশিপ’-এর সঙ্গে জড়িয়ে আছেন, তাঁদের আবেদন বাতিল করা যেতে পারে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এইচ–১বি ভিসা হলো সেই পথ—যার মাধ্যমে মার্কিন নিয়োগকর্তারা বিশেষায়িত ক্ষেত্রে বিদেশি কর্মী নিয়োগ করেন। ভারত এবং চীনসহ বহু দেশ থেকে কর্মী টানার ক্ষেত্রে এই ভিসা মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশ্চর্য বিষয় হলো—গতবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সেই সংস্থাগুলোর অনেক কর্ণধারই ট্রাম্পের প্রতি তাঁদের সমর্থন জানিয়েছিলেন।
২ ডিসেম্বরের বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সব মিশনে পাঠানো ওই গোপন তারবার্তায় (cable) বলা হয়েছে, মার্কিন কনস্যুলার অফিসারদের এইচ–১বি আবেদনকারী এবং তাঁদের সঙ্গে ভ্রমণকারী পরিবারের সদস্যদের বায়োডাটা বা লিংকডইন প্রোফাইল খতিয়ে দেখতে হবে। দেখতে হবে, তাঁরা ভুয়া তথ্য, ভুল তথ্য, কনটেন্ট মডারেশন, ফ্যাক্ট-চেকিং, কমপ্লায়েন্স এবং অনলাইন নিরাপত্তার মতো কাজে যুক্ত ছিলেন কি না।
তারবার্তায় আরও বলা হয়েছে, ‘যদি আপনি এমন প্রমাণ পান যে, কোনো আবেদনকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুরক্ষিত মতপ্রকাশের সেন্সরশিপ বা সেন্সরশিপের চেষ্টায় দায়ী বা জড়িত ছিলেন, তবে ইমিগ্রেশন ও ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের একটি নির্দিষ্ট ধারা অনুযায়ী ওই আবেদনকারীকে অযোগ্য বলে গণ্য করার প্রক্রিয়া শুরু করবেন।’
এইচ–১বি ভিসার এই বর্ধিত যাচাই-বাছাইয়ের—বিশেষত সেন্সরশিপ এবং স্বাধীন মতপ্রকাশের ওপর জোর দেওয়ার বিষয়টি—বিস্তারিত খবর আগে প্রকাশিত হয়নি। স্টেট ডিপার্টমেন্ট তারবার্তার বিষয়বস্তু নিয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
তারবার্তায় বলা হয়েছে, সব ধরনের ভিসার আবেদনকারীর ক্ষেত্রেই এই নীতি প্রযোজ্য, তবে এইচ–১বি আবেদনকারীদের জন্য কঠোর পর্যালোচনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ তাঁরা প্রায়শই প্রযুক্তি খাতে কাজ করেন, ‘যার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা আর্থিক পরিষেবা সংস্থাগুলিও আছে যারা সুরক্ষিত মতপ্রকাশকে দমন করার কাজে লিপ্ত।’ এতে আরও বলা হয়, ‘আপনাকে তাঁদের কর্মজীবনের ইতিহাস গভীরভাবে অনুসন্ধান করতে হবে, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে তাঁরা এমন কোনো কার্যকলাপে অংশ নেননি।’ নতুন এই যাচাইয়ের শর্তাবলী নতুন এবং পুরোনো—উভয় ধরনের আবেদনকারীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
ট্রাম্প প্রশাসন স্বাধীন মতপ্রকাশকে, বিশেষত অনলাইনে রক্ষণশীল কণ্ঠস্বরকে রুদ্ধ করার প্রচেষ্টাকে, তাদের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রে এনেছে। কর্মকর্তারা বারবার ইউরোপের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে যাচ্ছিলেন এবং সেখানে ডানপন্থী রাজনীতিবিদদের দমন করার নিন্দা করে গেছেন। এঁদের মধ্যে রোমানিয়া, জার্মানি এবং ফ্রান্সের রাজনীতিবিদরাও আছেন। তাঁরা ইউরোপীয় কর্তৃপক্ষকে ভুল তথ্য মোকাবিলার নামে অভিবাসন-বিরোধী সমালোচনার মতো মতবাদকে সেন্সর করার অভিযোগ আনেন।
মে মাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও হুমকি দিয়েছিলেন যে, যেসব লোক আমেরিকানদের মতপ্রকাশে বাধা দেবে, এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায়ও, তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। তিনি আরও ইঙ্গিত দেন যে এই নীতি মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণকারী বিদেশি কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যেই শিক্ষার্থী ভিসার আবেদনকারীদের যাচাই-বাছাই যথেষ্ট কড়া করেছে। মার্কিন কনস্যুলার অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন এমন কোনো সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট খুঁজে বের করেন যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি প্রতিকূল হতে পারে।
ব্যাপক অভিবাসন-বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ট্রাম্প গত সেপ্টেম্বরে এইচ–১বি ভিসার ওপর নতুন করে ফি আরোপ করেন। ট্রাম্প এবং তাঁর রিপাবলিকান মিত্ররা বারবার সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে অনলাইনে স্বাধীন মতপ্রকাশ দমনে উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। এই অভিযোগগুলির কেন্দ্রে ছিল ভ্যাকসিন এবং নির্বাচন সংক্রান্ত মিথ্যা দাবি দমন করার চেষ্টা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন গতকাল বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিদেশি দক্ষ কর্মীদের জন্য এইচ–১বি ভিসা আবেদনকারীদের যাচাই-বাছাইয়ের মাত্রা আরও বাড়াল। একইসঙ্গে স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক অভ্যন্তরীণ স্মারকে বলা হয়েছে, যারা স্বাধীন মতপ্রকাশে ‘সেন্সরশিপ’-এর সঙ্গে জড়িয়ে আছেন, তাঁদের আবেদন বাতিল করা যেতে পারে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এইচ–১বি ভিসা হলো সেই পথ—যার মাধ্যমে মার্কিন নিয়োগকর্তারা বিশেষায়িত ক্ষেত্রে বিদেশি কর্মী নিয়োগ করেন। ভারত এবং চীনসহ বহু দেশ থেকে কর্মী টানার ক্ষেত্রে এই ভিসা মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশ্চর্য বিষয় হলো—গতবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সেই সংস্থাগুলোর অনেক কর্ণধারই ট্রাম্পের প্রতি তাঁদের সমর্থন জানিয়েছিলেন।
২ ডিসেম্বরের বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সব মিশনে পাঠানো ওই গোপন তারবার্তায় (cable) বলা হয়েছে, মার্কিন কনস্যুলার অফিসারদের এইচ–১বি আবেদনকারী এবং তাঁদের সঙ্গে ভ্রমণকারী পরিবারের সদস্যদের বায়োডাটা বা লিংকডইন প্রোফাইল খতিয়ে দেখতে হবে। দেখতে হবে, তাঁরা ভুয়া তথ্য, ভুল তথ্য, কনটেন্ট মডারেশন, ফ্যাক্ট-চেকিং, কমপ্লায়েন্স এবং অনলাইন নিরাপত্তার মতো কাজে যুক্ত ছিলেন কি না।
তারবার্তায় আরও বলা হয়েছে, ‘যদি আপনি এমন প্রমাণ পান যে, কোনো আবেদনকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুরক্ষিত মতপ্রকাশের সেন্সরশিপ বা সেন্সরশিপের চেষ্টায় দায়ী বা জড়িত ছিলেন, তবে ইমিগ্রেশন ও ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের একটি নির্দিষ্ট ধারা অনুযায়ী ওই আবেদনকারীকে অযোগ্য বলে গণ্য করার প্রক্রিয়া শুরু করবেন।’
এইচ–১বি ভিসার এই বর্ধিত যাচাই-বাছাইয়ের—বিশেষত সেন্সরশিপ এবং স্বাধীন মতপ্রকাশের ওপর জোর দেওয়ার বিষয়টি—বিস্তারিত খবর আগে প্রকাশিত হয়নি। স্টেট ডিপার্টমেন্ট তারবার্তার বিষয়বস্তু নিয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
তারবার্তায় বলা হয়েছে, সব ধরনের ভিসার আবেদনকারীর ক্ষেত্রেই এই নীতি প্রযোজ্য, তবে এইচ–১বি আবেদনকারীদের জন্য কঠোর পর্যালোচনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ তাঁরা প্রায়শই প্রযুক্তি খাতে কাজ করেন, ‘যার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা আর্থিক পরিষেবা সংস্থাগুলিও আছে যারা সুরক্ষিত মতপ্রকাশকে দমন করার কাজে লিপ্ত।’ এতে আরও বলা হয়, ‘আপনাকে তাঁদের কর্মজীবনের ইতিহাস গভীরভাবে অনুসন্ধান করতে হবে, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে তাঁরা এমন কোনো কার্যকলাপে অংশ নেননি।’ নতুন এই যাচাইয়ের শর্তাবলী নতুন এবং পুরোনো—উভয় ধরনের আবেদনকারীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
ট্রাম্প প্রশাসন স্বাধীন মতপ্রকাশকে, বিশেষত অনলাইনে রক্ষণশীল কণ্ঠস্বরকে রুদ্ধ করার প্রচেষ্টাকে, তাদের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রে এনেছে। কর্মকর্তারা বারবার ইউরোপের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে যাচ্ছিলেন এবং সেখানে ডানপন্থী রাজনীতিবিদদের দমন করার নিন্দা করে গেছেন। এঁদের মধ্যে রোমানিয়া, জার্মানি এবং ফ্রান্সের রাজনীতিবিদরাও আছেন। তাঁরা ইউরোপীয় কর্তৃপক্ষকে ভুল তথ্য মোকাবিলার নামে অভিবাসন-বিরোধী সমালোচনার মতো মতবাদকে সেন্সর করার অভিযোগ আনেন।
মে মাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও হুমকি দিয়েছিলেন যে, যেসব লোক আমেরিকানদের মতপ্রকাশে বাধা দেবে, এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায়ও, তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। তিনি আরও ইঙ্গিত দেন যে এই নীতি মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণকারী বিদেশি কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যেই শিক্ষার্থী ভিসার আবেদনকারীদের যাচাই-বাছাই যথেষ্ট কড়া করেছে। মার্কিন কনস্যুলার অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন এমন কোনো সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট খুঁজে বের করেন যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি প্রতিকূল হতে পারে।
ব্যাপক অভিবাসন-বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ট্রাম্প গত সেপ্টেম্বরে এইচ–১বি ভিসার ওপর নতুন করে ফি আরোপ করেন। ট্রাম্প এবং তাঁর রিপাবলিকান মিত্ররা বারবার সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে অনলাইনে স্বাধীন মতপ্রকাশ দমনে উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। এই অভিযোগগুলির কেন্দ্রে ছিল ভ্যাকসিন এবং নির্বাচন সংক্রান্ত মিথ্যা দাবি দমন করার চেষ্টা।

মিয়ানমারের পশ্চিম সীমান্তে রাখাইন রাজ্য এখন এক নাটকীয় মোড়ের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আরাকান আর্মি (এএ) বর্তমানে এ রাজ্যের ১৭টি টাউনশিপের মধ্যে ১৪টির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং পুরো রাজ্য মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে।
২৪ আগস্ট ২০২৫
লেবানন ও ইসরায়েলের বেসামরিক প্রতিনিধিরা যুক্তরাষ্ট্রের সভাপতিত্বে নাকোউরায় যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ কমিটির একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। এটি চার দশকের বেশি সময়ের মধ্যে দুই দেশের মধ্যকার প্রথম সরাসরি আলোচনার সূচনা। খবর আল জাজিরার
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের সফরে আজ বৃহস্পতিবার ভারতে আসবেন। সময়সূচী অনুসারে, আজ স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ভারতে পৌঁছানোর কথা তাঁর। এই সফরে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আয়োজিত এক ব্যক্তিগত নৈশভোজ এবং ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। খবর এনডিটিভির।
২ ঘণ্টা আগে
হরিয়ানার পানিপথের একটি গ্রামে বিয়ের সানাই বাজছিল। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সবে শেষ হতে শুরু করেছে, তখনই বাড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল। বিয়েবাড়িতে শোরগোল পড়ে গেল, ছয় বছর বয়সী এক শিশু নিখোঁজ। মুহূর্তেই উৎসবের পরিবেশ বদলে যায় বিষাদে।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

লেবানন ও ইসরায়েলের বেসামরিক প্রতিনিধিরা যুক্তরাষ্ট্রের সভাপতিত্বে নাকোউরায় যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ কমিটির একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। এটি চার দশকের বেশি সময়ের মধ্যে দুই দেশের মধ্যকার প্রথম সরাসরি আলোচনার সূচনা। খবর আল জাজিরার
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালাম গতকাল বুধবার বলেছেন, বৈরুত নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বিষয়ের বাইরে আলোচনা করতে প্রস্তুত, তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে এটি কোনো শান্তি আলোচনা নয় এবং সম্পর্ক ‘স্বাভাবিকীকরণ শান্তির প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত।’ তিনি বলেন, এই আলোচনা শুধু ‘শত্রুতা বন্ধ করা’, ‘লেবাননের জিম্মিদের মুক্তি’ এবং লেবাননের ভূখণ্ড থেকে ‘ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার’-এর লক্ষ্যে করা হয়েছে।
সালাম জানান, লেবানন ২০০২ সালের আরব শান্তি উদ্যোগের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা ইসরায়েলের ১৯৬৭ সালে দখল করা অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের বিনিময়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কের পূর্ণ স্বাভাবিকীকরণের প্রস্তাব দেয় এবং ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো পৃথক শান্তিচুক্তি করার ইচ্ছা লেবাননের নেই।
তিনি বলেন, বেসামরিক দূতদের অংশগ্রহণ ‘উত্তেজনা কমাতে’ সাহায্য করতে পারে। এ সময় তিনি সম্প্রতি ইসরায়েলের মারাত্মক বিমান হামলা ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার স্পষ্ট লক্ষণ বলেও উল্লেখ করেন।
কমিটি ব্লু লাইন (Blue Line) বরাবর (লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যবর্তী সীমান্ত) প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেছে। পরে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বেসামরিক দূতদের সংযোজনকে ‘স্থায়ী বেসামরিক ও সামরিক সংলাপের’ মাধ্যমে প্রক্রিয়াটিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার দিকে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ হিসেবে স্বাগত জানানো হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে কমিটি দীর্ঘদিন ধরে অস্থির এই সীমান্ত বরাবর "শান্তি বজায় রাখতে" আশা করছে।
যুক্তরাষ্ট্র এক মাস ধরে উভয় পক্ষকে শুধু ২০০৪ সালের ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি তদারকি করার বাইরে কমিটির পরিধি প্রসারিত করার জন্য অনুরোধ করে আসছে। গত মাসে ইসরায়েলি বিমান হামলায় লেবাননের রাজধানী আক্রান্ত হওয়ার পর নতুন করে উত্তেজনা বৃদ্ধির ক্রমবর্ধমান আশঙ্কার মধ্যে এই সর্বশেষ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হলো।
ইসরায়েল লেবাননে নিয়মিত বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব হামলার বৈধতা দেওয়ার জন্য সাধারণত তারা বলে যে তারা হিজবুল্লাহর সদস্য ও স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে এবং যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী সম্পূর্ণভাবে সরে আসার কথা থাকলেও তারা দক্ষিণের পাঁচটি এলাকায় সেনা মোতায়েন রেখেছে।
ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র শোশ বেড্রোসিয়ান সাংবাদিকদের একটি অনলাইন ব্রিফিংয়ে বুধবারের বৈঠকটিকে ‘একটি ঐতিহাসিক অগ্রগতি’ বলে অভিহিত করেছেন।
বেড্রোসিয়ান বলেন, ‘ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে এই সরাসরি বৈঠকটি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা বদলে দেওয়ার প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যেমন বলেছেন, আমাদের প্রতিবেশীদের সাথে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অনন্য সুযোগ রয়েছে।’

লেবানন ও ইসরায়েলের বেসামরিক প্রতিনিধিরা যুক্তরাষ্ট্রের সভাপতিত্বে নাকোউরায় যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ কমিটির একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। এটি চার দশকের বেশি সময়ের মধ্যে দুই দেশের মধ্যকার প্রথম সরাসরি আলোচনার সূচনা। খবর আল জাজিরার
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালাম গতকাল বুধবার বলেছেন, বৈরুত নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বিষয়ের বাইরে আলোচনা করতে প্রস্তুত, তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে এটি কোনো শান্তি আলোচনা নয় এবং সম্পর্ক ‘স্বাভাবিকীকরণ শান্তির প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত।’ তিনি বলেন, এই আলোচনা শুধু ‘শত্রুতা বন্ধ করা’, ‘লেবাননের জিম্মিদের মুক্তি’ এবং লেবাননের ভূখণ্ড থেকে ‘ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার’-এর লক্ষ্যে করা হয়েছে।
সালাম জানান, লেবানন ২০০২ সালের আরব শান্তি উদ্যোগের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা ইসরায়েলের ১৯৬৭ সালে দখল করা অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের বিনিময়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কের পূর্ণ স্বাভাবিকীকরণের প্রস্তাব দেয় এবং ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো পৃথক শান্তিচুক্তি করার ইচ্ছা লেবাননের নেই।
তিনি বলেন, বেসামরিক দূতদের অংশগ্রহণ ‘উত্তেজনা কমাতে’ সাহায্য করতে পারে। এ সময় তিনি সম্প্রতি ইসরায়েলের মারাত্মক বিমান হামলা ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার স্পষ্ট লক্ষণ বলেও উল্লেখ করেন।
কমিটি ব্লু লাইন (Blue Line) বরাবর (লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যবর্তী সীমান্ত) প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেছে। পরে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বেসামরিক দূতদের সংযোজনকে ‘স্থায়ী বেসামরিক ও সামরিক সংলাপের’ মাধ্যমে প্রক্রিয়াটিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার দিকে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ হিসেবে স্বাগত জানানো হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে কমিটি দীর্ঘদিন ধরে অস্থির এই সীমান্ত বরাবর "শান্তি বজায় রাখতে" আশা করছে।
যুক্তরাষ্ট্র এক মাস ধরে উভয় পক্ষকে শুধু ২০০৪ সালের ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি তদারকি করার বাইরে কমিটির পরিধি প্রসারিত করার জন্য অনুরোধ করে আসছে। গত মাসে ইসরায়েলি বিমান হামলায় লেবাননের রাজধানী আক্রান্ত হওয়ার পর নতুন করে উত্তেজনা বৃদ্ধির ক্রমবর্ধমান আশঙ্কার মধ্যে এই সর্বশেষ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হলো।
ইসরায়েল লেবাননে নিয়মিত বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব হামলার বৈধতা দেওয়ার জন্য সাধারণত তারা বলে যে তারা হিজবুল্লাহর সদস্য ও স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে এবং যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী সম্পূর্ণভাবে সরে আসার কথা থাকলেও তারা দক্ষিণের পাঁচটি এলাকায় সেনা মোতায়েন রেখেছে।
ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র শোশ বেড্রোসিয়ান সাংবাদিকদের একটি অনলাইন ব্রিফিংয়ে বুধবারের বৈঠকটিকে ‘একটি ঐতিহাসিক অগ্রগতি’ বলে অভিহিত করেছেন।
বেড্রোসিয়ান বলেন, ‘ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে এই সরাসরি বৈঠকটি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা বদলে দেওয়ার প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যেমন বলেছেন, আমাদের প্রতিবেশীদের সাথে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অনন্য সুযোগ রয়েছে।’

মিয়ানমারের পশ্চিম সীমান্তে রাখাইন রাজ্য এখন এক নাটকীয় মোড়ের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আরাকান আর্মি (এএ) বর্তমানে এ রাজ্যের ১৭টি টাউনশিপের মধ্যে ১৪টির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং পুরো রাজ্য মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে।
২৪ আগস্ট ২০২৫
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন গতকাল বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিদেশি দক্ষ কর্মীদের জন্য এইচ–১বি ভিসা আবেদনকারীদের যাচাই-বাছাইয়ের মাত্রা আরও বাড়াল। একইসঙ্গে স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক অভ্যন্তরীণ স্মারকে বলা হয়েছে, যারা স্বাধীন মতপ্রকাশে ‘সেন্সরশিপ’-এর সঙ্গে জড়িয়ে আছেন, তাঁদের
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের সফরে আজ বৃহস্পতিবার ভারতে আসবেন। সময়সূচী অনুসারে, আজ স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ভারতে পৌঁছানোর কথা তাঁর। এই সফরে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আয়োজিত এক ব্যক্তিগত নৈশভোজ এবং ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। খবর এনডিটিভির।
২ ঘণ্টা আগে
হরিয়ানার পানিপথের একটি গ্রামে বিয়ের সানাই বাজছিল। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সবে শেষ হতে শুরু করেছে, তখনই বাড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল। বিয়েবাড়িতে শোরগোল পড়ে গেল, ছয় বছর বয়সী এক শিশু নিখোঁজ। মুহূর্তেই উৎসবের পরিবেশ বদলে যায় বিষাদে।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের সফরে আজ বৃহস্পতিবার ভারতে আসবেন। সময়সূচী অনুসারে, আজ স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ভারতে পৌঁছানোর কথা তাঁর। এই সফরে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আয়োজিত এক ব্যক্তিগত নৈশভোজ এবং ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। খবর এনডিটিভির।
খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট পুতিনের আজ সন্ধ্যায় নয়াদিল্লি পৌঁছানোর কথা রয়েছে। তিনি পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভর্তির প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর সম্মানে ব্যক্তিগত নৈশভোজের আয়োজন করবেন। এর মাধ্যমে তিনি ২০২৪ এর জুলাইয়ে মোদির মস্কো সফরের সময় রুশ নেতার আয়োজিত অনুরূপ আতিথেয়তার প্রত্যুত্তর জানাবেন। নৈশভোজটি অনানুষ্ঠানিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা আনুষ্ঠানিক শীর্ষ সম্মেলনের আগে দুই নেতাকে একান্তে আলোচনা শুরু করার সুযোগ দেবে।
আগামীকাল শুক্রবার সকালে প্রেসিডেন্ট পুতিন একটি আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনার মাধ্যমে তাঁর সরকারি সফরের কর্মসূচী শুরু করবেন। এরপর তিনি রাজঘাটে গিয়ে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন, যা বিদেশী সফরকারী রাষ্ট্রপ্রধানদের জন্য একটি প্রথাগত কর্মসূচি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এরপর নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি শীর্ষ সম্মেলনের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে রুশ প্রেসিডেন্ট এবং তাঁর প্রতিনিধিদলের জন্য একটি কার্যনির্বাহী মধ্যাহ্নভোজেরও আয়োজন করবেন।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কিছু সামরিক সরঞ্জামের সরবরাহে বিলম্ব হওয়ায় ভারত মুলতুবি থাকা সামরিক হার্ডওয়্যারগুলির দ্রুত ডেলিভারির জন্য চাপ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে অতিরিক্ত এস–৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারত ২০১৮ সালে পাঁচটি এস–৪০০ ইউনিটের জন্য ৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। তিন স্কোয়াড্রন এরই মধ্যে সরবরাহ করা হয়েছে এবং আরও দুটি আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে পাওয়ার কথা রয়েছে। অপারেশন সিন্দুরের সময় এই সিস্টেমগুলি ব্যবহৃত হয়েছিল।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, আলোচনায় সুখোই–৫৭ পঞ্চম-প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের প্রতি ভারতের আগ্রহ অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। ভারত বর্তমানে রাফালে, এফ–২১, এফ/এ–১৮ এবং ইউরোফাইটার টাইফুনের মতো যুদ্ধবিমান দিয়ে সাথে পরবর্তী প্রজন্মের যুদ্ধবিমান প্রতিস্থাপনের বিষয়টি মূল্যায়ন করছে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারতীয় রুশ অপরিশোধিত তেল আমদানির ওপর কী প্রভাব পড়েছে, তা নিয়ে আলোচনা কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় জ্বালানি সুরক্ষা গুরুত্বপূর্ণ স্থান পাবে। পেসকভ বলেছেন যে ভারতের ক্রয় ‘সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য’ কমতে পারে, যদিও রাশিয়া সরবরাহ বজায় রাখার জন্য চেষ্টা করছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং প্রেসিডেন্ট পুতিনের বৈঠক ছাড়াও, উভয় দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী—রাজনাথ সিং এবং আন্দ্রে বেলোসভ—গুরুত্বপূর্ণ সামরিক হার্ডওয়্যার নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট পুতিনের এই সফর এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন ভারত-মার্কিন সম্পর্ক কয়েকটি ধাক্কার সম্মুখীন। ওয়াশিংটন সম্প্রতি বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক এবং বিশেষ করে ভারতের রুশ অপরিশোধিত তেল সংগ্রহের সঙ্গে যুক্ত ২৫ শতাংশ লেভি আরোপ করেছে।
প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনের সংঘাত সংক্রান্ত সর্বশেষ মার্কিন কূটনৈতিক উদ্যোগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অবহিত করবেন বলেও আশা করা হচ্ছে। ভারত এই অবস্থান বজায় রেখেছে যে সংলাপ এবং কূটনীতিই এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ, এবং মস্কোর সমালোচনা এড়িয়ে নিজেকে সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুলে ধরছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের সফরে আজ বৃহস্পতিবার ভারতে আসবেন। সময়সূচী অনুসারে, আজ স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ভারতে পৌঁছানোর কথা তাঁর। এই সফরে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আয়োজিত এক ব্যক্তিগত নৈশভোজ এবং ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। খবর এনডিটিভির।
খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট পুতিনের আজ সন্ধ্যায় নয়াদিল্লি পৌঁছানোর কথা রয়েছে। তিনি পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভর্তির প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর সম্মানে ব্যক্তিগত নৈশভোজের আয়োজন করবেন। এর মাধ্যমে তিনি ২০২৪ এর জুলাইয়ে মোদির মস্কো সফরের সময় রুশ নেতার আয়োজিত অনুরূপ আতিথেয়তার প্রত্যুত্তর জানাবেন। নৈশভোজটি অনানুষ্ঠানিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা আনুষ্ঠানিক শীর্ষ সম্মেলনের আগে দুই নেতাকে একান্তে আলোচনা শুরু করার সুযোগ দেবে।
আগামীকাল শুক্রবার সকালে প্রেসিডেন্ট পুতিন একটি আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনার মাধ্যমে তাঁর সরকারি সফরের কর্মসূচী শুরু করবেন। এরপর তিনি রাজঘাটে গিয়ে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন, যা বিদেশী সফরকারী রাষ্ট্রপ্রধানদের জন্য একটি প্রথাগত কর্মসূচি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এরপর নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি শীর্ষ সম্মেলনের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে রুশ প্রেসিডেন্ট এবং তাঁর প্রতিনিধিদলের জন্য একটি কার্যনির্বাহী মধ্যাহ্নভোজেরও আয়োজন করবেন।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কিছু সামরিক সরঞ্জামের সরবরাহে বিলম্ব হওয়ায় ভারত মুলতুবি থাকা সামরিক হার্ডওয়্যারগুলির দ্রুত ডেলিভারির জন্য চাপ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে অতিরিক্ত এস–৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারত ২০১৮ সালে পাঁচটি এস–৪০০ ইউনিটের জন্য ৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। তিন স্কোয়াড্রন এরই মধ্যে সরবরাহ করা হয়েছে এবং আরও দুটি আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে পাওয়ার কথা রয়েছে। অপারেশন সিন্দুরের সময় এই সিস্টেমগুলি ব্যবহৃত হয়েছিল।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, আলোচনায় সুখোই–৫৭ পঞ্চম-প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের প্রতি ভারতের আগ্রহ অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। ভারত বর্তমানে রাফালে, এফ–২১, এফ/এ–১৮ এবং ইউরোফাইটার টাইফুনের মতো যুদ্ধবিমান দিয়ে সাথে পরবর্তী প্রজন্মের যুদ্ধবিমান প্রতিস্থাপনের বিষয়টি মূল্যায়ন করছে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারতীয় রুশ অপরিশোধিত তেল আমদানির ওপর কী প্রভাব পড়েছে, তা নিয়ে আলোচনা কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় জ্বালানি সুরক্ষা গুরুত্বপূর্ণ স্থান পাবে। পেসকভ বলেছেন যে ভারতের ক্রয় ‘সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য’ কমতে পারে, যদিও রাশিয়া সরবরাহ বজায় রাখার জন্য চেষ্টা করছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং প্রেসিডেন্ট পুতিনের বৈঠক ছাড়াও, উভয় দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী—রাজনাথ সিং এবং আন্দ্রে বেলোসভ—গুরুত্বপূর্ণ সামরিক হার্ডওয়্যার নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট পুতিনের এই সফর এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন ভারত-মার্কিন সম্পর্ক কয়েকটি ধাক্কার সম্মুখীন। ওয়াশিংটন সম্প্রতি বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক এবং বিশেষ করে ভারতের রুশ অপরিশোধিত তেল সংগ্রহের সঙ্গে যুক্ত ২৫ শতাংশ লেভি আরোপ করেছে।
প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনের সংঘাত সংক্রান্ত সর্বশেষ মার্কিন কূটনৈতিক উদ্যোগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অবহিত করবেন বলেও আশা করা হচ্ছে। ভারত এই অবস্থান বজায় রেখেছে যে সংলাপ এবং কূটনীতিই এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ, এবং মস্কোর সমালোচনা এড়িয়ে নিজেকে সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুলে ধরছে।

মিয়ানমারের পশ্চিম সীমান্তে রাখাইন রাজ্য এখন এক নাটকীয় মোড়ের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আরাকান আর্মি (এএ) বর্তমানে এ রাজ্যের ১৭টি টাউনশিপের মধ্যে ১৪টির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং পুরো রাজ্য মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে।
২৪ আগস্ট ২০২৫
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন গতকাল বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিদেশি দক্ষ কর্মীদের জন্য এইচ–১বি ভিসা আবেদনকারীদের যাচাই-বাছাইয়ের মাত্রা আরও বাড়াল। একইসঙ্গে স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক অভ্যন্তরীণ স্মারকে বলা হয়েছে, যারা স্বাধীন মতপ্রকাশে ‘সেন্সরশিপ’-এর সঙ্গে জড়িয়ে আছেন, তাঁদের
১ ঘণ্টা আগে
লেবানন ও ইসরায়েলের বেসামরিক প্রতিনিধিরা যুক্তরাষ্ট্রের সভাপতিত্বে নাকোউরায় যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ কমিটির একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। এটি চার দশকের বেশি সময়ের মধ্যে দুই দেশের মধ্যকার প্রথম সরাসরি আলোচনার সূচনা। খবর আল জাজিরার
১ ঘণ্টা আগে
হরিয়ানার পানিপথের একটি গ্রামে বিয়ের সানাই বাজছিল। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সবে শেষ হতে শুরু করেছে, তখনই বাড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল। বিয়েবাড়িতে শোরগোল পড়ে গেল, ছয় বছর বয়সী এক শিশু নিখোঁজ। মুহূর্তেই উৎসবের পরিবেশ বদলে যায় বিষাদে।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

হরিয়ানার পানিপথের একটি গ্রামে বিয়ের সানাই বাজছিল। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সবে শেষ হতে শুরু করেছে, তখনই বাড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল। বিয়েবাড়িতে শোরগোল পড়ে গেল, ছয় বছর বয়সী এক শিশু নিখোঁজ। মুহূর্তেই উৎসবের পরিবেশ বদলে যায় বিষাদে। দিন শেষে পুলিশ এক নৃশংস হত্যারহস্য উন্মোচন করে, যেখানে মূল অভিযুক্ত ব্যক্তির কার্যকলাপ জার্মান রূপকথা স্নো হোয়াইটের সেই দুষ্ট রানির কথা মনে করিয়ে দেয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি স্থানীয় পুলিশের বরাতে জানিয়েছে, চার শিশুকে হত্যার দায়ে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যার পেছনের কারণটি ভয়ংকর। অভিযুক্ত নারী চাননি কেউ তাঁর চেয়ে ‘বেশি সুন্দর’ হোক।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই নারী পুনম তাঁর ভাতিজি বিধিসহ (৬) পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে আসেন। সেখানে ভাতিজিকে দেখে পুনমের মনে হয়, সে তাঁর চেয়েও বেশি সুন্দরী। এরপর পুনম তাঁকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেন।
বিধি তার দাদু পাল সিং, দাদি ওমবতী, বাবা সন্দীপ, মা ও ১০ মাসের ছোট ভাইকে নিয়ে পানিপথের ইজরানা এলাকার নৌলথা গ্রামে এক আত্মীয়ের বিয়েতে এসেছিল। গত সোমবার বেলা ১টা ৩০ মিনিটের দিকে বরযাত্রী নৌলথায় পৌঁছালে তার পরিবারও সেখানে যায়। কিছুক্ষণ পরে সন্দীপের ফোনে খবর আসে, বিধি হারিয়ে গেছে। পরিবার তখনই খোঁজাখুঁজি শুরু করে।
প্রায় এক ঘণ্টা পর দাদি ওমবতী বাড়ির প্রথম তলার একটি স্টোররুমে যান। দরজাটি বাইরে থেকে আটকানো ছিল। দরজা খুলে তিনি দেখেন, পানিভর্তি একটি চৌবাচ্চায় শিশুটির মাথা ডুবানো। বিধিকে দ্রুত স্থানীয় এনসি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সন্দীপ থানায় গিয়ে হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, শিশু বিধির খুনের পেছনে ছিলেন তার ফুফু পুনম। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর উঠে আসে ভয়ংকর তথ্য। তিনি আগে আরও তিনটি শিশুকে একইভাবে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেছেন।
পুলিশ বলছে, পুনমের হত্যার ধরন একই—প্রতিবার পানিভর্তি চৌবাচ্চায় শিশুকে ডুবিয়ে মারা। কারণ, সুন্দর শিশুদের প্রতি তাঁর তীব্র ঈর্ষা, বিশেষ করে, ছোট ও সাজগোজ করা মেয়েদের প্রতি।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, পুনম ২০২৩ সালে প্রথম তাঁর ননদের মেয়েকে হত্যা করেন। ওই ঘটনা দেখে ফেলায় একই বছর তিনি নিজের ছেলেকেও হত্যা করেন। চলতি বছরের আগস্টে তিনি সিওয়া গ্রামে আরও একটি মেয়েকে ‘নিজের চেয়ে সুন্দর’ মনে হওয়ায় হত্যা করেন।
বিধির হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুনম সত্য স্বীকার করার আগপর্যন্ত এই শিশুদের মৃত্যুগুলো দুর্ঘটনাজনিত বলেই ধরে নেওয়া হয়েছিল।

হরিয়ানার পানিপথের একটি গ্রামে বিয়ের সানাই বাজছিল। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সবে শেষ হতে শুরু করেছে, তখনই বাড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল। বিয়েবাড়িতে শোরগোল পড়ে গেল, ছয় বছর বয়সী এক শিশু নিখোঁজ। মুহূর্তেই উৎসবের পরিবেশ বদলে যায় বিষাদে। দিন শেষে পুলিশ এক নৃশংস হত্যারহস্য উন্মোচন করে, যেখানে মূল অভিযুক্ত ব্যক্তির কার্যকলাপ জার্মান রূপকথা স্নো হোয়াইটের সেই দুষ্ট রানির কথা মনে করিয়ে দেয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি স্থানীয় পুলিশের বরাতে জানিয়েছে, চার শিশুকে হত্যার দায়ে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যার পেছনের কারণটি ভয়ংকর। অভিযুক্ত নারী চাননি কেউ তাঁর চেয়ে ‘বেশি সুন্দর’ হোক।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই নারী পুনম তাঁর ভাতিজি বিধিসহ (৬) পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে আসেন। সেখানে ভাতিজিকে দেখে পুনমের মনে হয়, সে তাঁর চেয়েও বেশি সুন্দরী। এরপর পুনম তাঁকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেন।
বিধি তার দাদু পাল সিং, দাদি ওমবতী, বাবা সন্দীপ, মা ও ১০ মাসের ছোট ভাইকে নিয়ে পানিপথের ইজরানা এলাকার নৌলথা গ্রামে এক আত্মীয়ের বিয়েতে এসেছিল। গত সোমবার বেলা ১টা ৩০ মিনিটের দিকে বরযাত্রী নৌলথায় পৌঁছালে তার পরিবারও সেখানে যায়। কিছুক্ষণ পরে সন্দীপের ফোনে খবর আসে, বিধি হারিয়ে গেছে। পরিবার তখনই খোঁজাখুঁজি শুরু করে।
প্রায় এক ঘণ্টা পর দাদি ওমবতী বাড়ির প্রথম তলার একটি স্টোররুমে যান। দরজাটি বাইরে থেকে আটকানো ছিল। দরজা খুলে তিনি দেখেন, পানিভর্তি একটি চৌবাচ্চায় শিশুটির মাথা ডুবানো। বিধিকে দ্রুত স্থানীয় এনসি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সন্দীপ থানায় গিয়ে হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, শিশু বিধির খুনের পেছনে ছিলেন তার ফুফু পুনম। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর উঠে আসে ভয়ংকর তথ্য। তিনি আগে আরও তিনটি শিশুকে একইভাবে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেছেন।
পুলিশ বলছে, পুনমের হত্যার ধরন একই—প্রতিবার পানিভর্তি চৌবাচ্চায় শিশুকে ডুবিয়ে মারা। কারণ, সুন্দর শিশুদের প্রতি তাঁর তীব্র ঈর্ষা, বিশেষ করে, ছোট ও সাজগোজ করা মেয়েদের প্রতি।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, পুনম ২০২৩ সালে প্রথম তাঁর ননদের মেয়েকে হত্যা করেন। ওই ঘটনা দেখে ফেলায় একই বছর তিনি নিজের ছেলেকেও হত্যা করেন। চলতি বছরের আগস্টে তিনি সিওয়া গ্রামে আরও একটি মেয়েকে ‘নিজের চেয়ে সুন্দর’ মনে হওয়ায় হত্যা করেন।
বিধির হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুনম সত্য স্বীকার করার আগপর্যন্ত এই শিশুদের মৃত্যুগুলো দুর্ঘটনাজনিত বলেই ধরে নেওয়া হয়েছিল।

মিয়ানমারের পশ্চিম সীমান্তে রাখাইন রাজ্য এখন এক নাটকীয় মোড়ের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আরাকান আর্মি (এএ) বর্তমানে এ রাজ্যের ১৭টি টাউনশিপের মধ্যে ১৪টির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং পুরো রাজ্য মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে।
২৪ আগস্ট ২০২৫
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন গতকাল বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিদেশি দক্ষ কর্মীদের জন্য এইচ–১বি ভিসা আবেদনকারীদের যাচাই-বাছাইয়ের মাত্রা আরও বাড়াল। একইসঙ্গে স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক অভ্যন্তরীণ স্মারকে বলা হয়েছে, যারা স্বাধীন মতপ্রকাশে ‘সেন্সরশিপ’-এর সঙ্গে জড়িয়ে আছেন, তাঁদের
১ ঘণ্টা আগে
লেবানন ও ইসরায়েলের বেসামরিক প্রতিনিধিরা যুক্তরাষ্ট্রের সভাপতিত্বে নাকোউরায় যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ কমিটির একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। এটি চার দশকের বেশি সময়ের মধ্যে দুই দেশের মধ্যকার প্রথম সরাসরি আলোচনার সূচনা। খবর আল জাজিরার
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের সফরে আজ বৃহস্পতিবার ভারতে আসবেন। সময়সূচী অনুসারে, আজ স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ভারতে পৌঁছানোর কথা তাঁর। এই সফরে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আয়োজিত এক ব্যক্তিগত নৈশভোজ এবং ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। খবর এনডিটিভির।
২ ঘণ্টা আগে