Ajker Patrika

যৌন সহিংসতা মোকাবিলায় ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্টে যুগান্তকারী বিল পাস

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২২, ১৫: ৪৫
যৌন সহিংসতা মোকাবিলায় ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্টে যুগান্তকারী বিল পাস

ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্টে যৌন সহিংসতা মোকাবিলায় একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বিল পাস হয়েছে। দীর্ঘ ছয় বছর ধরে আলোচনার পর বেশির ভাগ আইনপ্রণেতার সমর্থনে সংসদের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে আজ মঙ্গলবার বিলটি পাস হয়। দেশটির কয়েকটি রক্ষণশীল গোষ্ঠীর বিরোধিতার কারণে বিলটি পাস হতে দেরি হচ্ছিল। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। 

পার্লামেন্টের স্পিকার পুয়ান মহারানি বলেন, ‘আমরা আশা করি এই আইনের প্রয়োগ যৌন সহিংসতা বিষয়ক মামলাগুলোর সমাধান করবে।’ 

বিলটি পাস হওয়ার পর কেউ কেউ আপত্তি জানালেও বেশির ভাগ মানুষ স্বাগত জানিয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার সরকার বলেছে, এই বিলে কয়েকটি যৌন অপরাধ সংযুক্ত করা হয়েছে এবং ধর্ষণ সংক্রান্ত একটি নির্দিষ্ট ধারা বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ দেওয়া ধারাটি অন্য আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। 

জেন্তেরা স্কুল অব ল-এর একজন আইন বিশেষজ্ঞ আসফিনাওয়াতি বলেছেন, ‘এটি অবশ্যই এক ধাপ অগ্রগতি। যদিও পাস হওয়া বিলে ধর্ষণের সংজ্ঞাগুলো এখনো স্পষ্ট নয়।’ 

সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ায় যৌন সহিংসতার অভিযোগ বেড়েছে। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে যৌন অপরাধগুলোর বিচার করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। বর্তমান বিল পাসের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া সহজ হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

আইনের চূড়ান্ত খসড়ায় বিয়ে ও বিয়েবহির্ভূত উভয় ক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতনের অপরাধের জন্য ১২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, যৌন নির্যাতনের জন্য ১৫ বছর, জোর পূর্বক বিয়ে ও বাল্যবিবাহের  জন্য ৯ বছর এবং অসম্মতিমূলক যৌন সম্পর্কের জন্য ৪ বছরের কারাদণ্ড অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।   

আইনের খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, আদালত অবশ্যই দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করবেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের কাউন্সেলিং করানোর জন্য কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করবে। 

এর আগের বিলের খসড়ায় বলা হয়েছিল, আইনটি গর্ভপাত বিষয়েও নির্দেশনা দেবে এবং ধর্ষণের সংজ্ঞাকে স্পষ্ট করবে। নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা সংক্রান্ত জাতীয় কমিশন এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা প্রায় এক দশক আগে এই আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করেছিল। এর চার বছর পর বিলটি জমা দেওয়া হয়েছিল। 

গত জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো ইন্দোনেশিয়ার সরকারকে আইনটি দ্রুত পাস করতে বলেছিলেন, যাতে যৌন সহিংসত বিষয়ক মামলা গ্রহণ এবং দোষীদের বিচার করা সহজ হয়। 

ইসলামিস্ট প্রসপারাস জাস্টিস পার্টি (পিকেএস) সংসদে এই বিলের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছিল। এ ছাড়া দলটি বলেছিল, বিবাহবহির্ভূত যৌনতা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত