সামনে কঠিন পথ, ইরানিদের পাশে থাকার আহ্বান নতুন প্রেসিডেন্টের

ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, সামনে কঠিন পথ। ইরানিদের সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও বিশ্বাস ছাড়া এই পাড়ি দেওয়া কঠিন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। আজ শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা এক টুইটে তিনি এই আহ্বান জানান। 

গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফায় কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট নিশ্চিত করতে পারেননি। তাই নিয়ম অনুসারে নির্বাচন গড়ায় দ্বিতীয় দফায় তথা রান-অফে। এই রান-অফে অংশ নেন প্রথম দফার নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুই প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান ও সাঈদ জালিলি। 

প্রথম দফার নির্বাচনেও মাসুদ পেজেশকিয়ান এগিয়ে ছিলেন সাঈদ জালিলির চেয়ে। ইরানের নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্যানুসারে, প্রথম দফার নির্বাচনে সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত মাসুদ পেজেশকিয়ান ১ কোটি ৪ লাখ ১৫ হাজারে বেশি ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিলেন। প্রতিদ্বন্দ্বী খামেনি সমর্থিত কট্টরপন্থী সাঈদ জালিলি পেয়েছিলেন ৯৪ লাখ ৭৩ হাজার ২৯৮ ভোট। 

ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, দ্বিতীয় দফার ভোটে মাসুদ পেজেশকিয়ান পেয়েছেন প্রায় ১ কোটি ৬৩ লাখ ভোট। বিপরীতে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সাঈদ জালিলি পেয়েছেন মাত্র ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি ভোট। অর্থাৎ, মাসুদ পেজেশকিয়ান প্রায় ৩৩ লাখ ভোটের ব্যবধানে খামেনি সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ জালিলিকে হারিয়েছেন। 

• ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান

নিজ এক্স অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা টুইটে মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, ‘ইরানের প্রিয় জনগণ, নির্বাচন শেষ হয়েছে এবং এটি আমাদের সহযোগিতার শুরু মাত্র। আপনাদের সহযোগিতা, সহানুভূতি ও বিশ্বাস ছাড়া সামনের কঠিন পথ মসৃণ হবে না। আমি আপনাদের দিকে আমার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি এবং আমি আমার সম্মানের শপথ করে বলছি, এই পথে আমি আপনাদের একা রেখে যাব না। আপনারাও আমাকে ছেড়ে যাবেন না দয়া করে।’ 

• খামেনির আশীর্বাদপুষ্ট জালিলির চেয়ে এগিয়ে মধ্যপন্থী পেজেশকিয়ান

এর আগে শনিবার করা আরেক টুইটে ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইরানের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘ইরানি জনগণের ব্যাপক প্রচেষ্টার জন্য কৃতজ্ঞ। আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ সেই উদ্যমী ও সক্ষম তরুণদের প্রতি, যাঁরা ভালোবাসা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে এসেছেন এবং জনগণের সঙ্গে একত্রে ভবিষ্যতে আশা ও আত্মবিশ্বাসের আলোকরশ্মি জ্বালিয়েছেন।’