দাদির মৃত্যুর আগে তাঁর ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে মিলিয়ন মিলিয়ন অর্থ আয় করতে চান এক যুবক। এমন একটি কাহিনি নিয়ে গত এপ্রিলেই মুক্তি পেয়েছে থাই সিনেমা ‘হাউ টু মেক মিলিয়ন্স বিফোর গ্র্যান্ডমা ডাইস’। মাত্র তিন মাসের মধ্যে সিনেমাটি এমনই সাড়া ফেলেছে যে শুধু থাইল্যান্ড নয়, পুরো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াজুড়ে এটি এখন বক্স অফিসের শীর্ষে রয়েছে।
সিনেমাটিতে ‘এম’ নামের এক যুবকের জীবন দেখানো হয়েছে। তিনি তাঁর ক্যানসার আক্রান্ত দাদির কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে সম্পদ বাগিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। কিন্তু দাদির কাছাকাছি আসার পর নিজের অসৎ উদ্দেশ্য পোড়াতে শুরু করে তাঁকে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিনেমার নির্মাণ এবং এর গল্পটি দর্শকদের গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অনেকেই সিনেমাটি দেখে নিজেদের আবেগঘন ভিডিও শেয়ার করছেন। সিনেমা দেখে ইয়ানজিভান নামে এক টিকটক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমি আমার দাদিকে আলিঙ্গন করতে এখনই দৌড়াচ্ছি! স্পর্শকাতর ব্যতিক্রমী সিনেমা। মুভিটি আরও বেশি দাগা দিয়েছে, কারণ এটি আমাকে দাদির সঙ্গে আমার নিজের সম্পর্কের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।’
সিনেমাটিতে ব্যথায় কাতর দাদি, বিশেষ করে কাতরাতে কাতরাতে তাঁর প্রয়াত বাবা-মাকে স্মরণ করার দৃশ্যগুলো নিয়ে দর্শকেরা অনলাইন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেগাপ্লুত হয়ে পোস্ট করেছেন। এই দৃশ্যগুলোর কথা উল্লেখ করে একজন টিকটকার লিখেছেন, ‘আমি এত কান্নাকাটি করেছি যে, সিনেমার পর আমার সমস্ত মেক-আপ মুছে গেছে।’
ডায়েরিজ-অব-সোয়ান নামে একটি আইডি থেকে আরেকজন লিখেছেন, ‘সিনেমার পর কাঁদুন। শুধু কাঁদতেই থাকুন, যখন আপনি এমন কাউকে মিস করবেন যাকে আপনি আলিঙ্গন করতে বা তাঁর কণ্ঠস্বর শুনতে চান, কিন্তু পারবেন না।’
জানা গেছে, নিজের দাদির সঙ্গে সম্পর্কের অনুপ্রেরণা থেকেই গল্পটি তৈরি করেছেন চিত্রনাট্যকার থডসাপন থিপটিন্নাকর্ন। আর এই সিনেমাটি নির্মাণের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন প্যাট বুনিটিপাট।
বিবিসিকে প্যাট বুনিটিপাট জানান, দর্শকদের এমন অপ্রতিরোধ্য প্রতিক্রিয়া দেখে তিনি অবাক হয়ে গেছেন। সিনেমাটিতে পারিবারিক সম্পর্কগুলোর দ্বন্দ্বপূর্ণ প্রকৃতিকে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। একটি অথর্ব পরিবারের গল্প উপস্থাপন করা হয়েছে, যারা তাঁদের ভাগ্য বদলের জন্য মাতৃ পতির মৃত্যুর ওপর নির্ভর করছিলেন। ওই পরিবারেরই সদস্য হলেন—এম। সিনেমাটিতে কলেজ ড্রপআউট এই যুবকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ২৪ বছর বয়সী গায়ক ও অভিনেতা পুথিপং আসারাতানাকুল।
সিনেমাটির মোটিভ থেকে বোঝা যায়, পরিবারের সদস্যদের অভিপ্রায়ের বিষয়টি বেশ ভালো করেই বুঝতে পারেন এমের দাদি। তবুও তিনি তাঁর সন্তানদের ভালোবাসতেন। তাঁদের জন্য চিন্তা করতেন।
দাদির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ৭৮ বছর বয়সী অভিনেত্রী উষা সীমখুম। তাঁর অভিনয় দর্শক এবং সমালোচকদের মন কেড়ে নিয়েছে। চলচ্চিত্র সমালোচক জেমস মার্শ মত দিয়েছেন—তাঁকে (দাদি) ব্যতীত অন্য চরিত্রগুলো পছন্দ করার মতো নয়। গল্পটিকে মার্শ ‘ষড়যন্ত্রমূলক পরিবার বনাম প্রেমময় দাদি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
সিনেমাটি যাঁরা দেখেছেন তাঁদের অনেকেই মন্তব্য করেছেন, এটি তাঁদের প্রিয়জনের সঙ্গে কাটানো সময়ের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। অনেকের মনেই সিনেমাটি তাঁদের দাদা-দাদি কিংবা বাবা-মার মৃত্যুর স্মৃতিকে জাগিয়ে দিয়েছে।
একজন টিকটক ব্যবহারকারী দর্শকদের পরামর্শ দিয়েছেন, ‘যদি আপনি এই সিনেমাটি দেখতে চান, তবে অনেকগুলো টিস্যু নিয়ে আসুন।’
কাঁদতে চাইলে সিনেমাটি দেখুন এমন প্রচারণা করে সিনেমাটির প্রদর্শনী চলছে মালয়েশিয়ায়। ফিলিপাইনের যে হলে সিনেমাটি দেখানো হচ্ছে তার বাইরেই দর্শকদের মাঝে টিস্যু বিতরণ করা হচ্ছে।
থাইল্যান্ডে মুক্তি পাওয়ার প্রথম ১৪ দিনে ৬৯ লাখ ডলালের টিকিট বিক্রি হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৮১ কোটি টাকারও বেশি। মাত্র ১৪ দিনের মধ্যেই সিনেমাটি দেশটির ১১তম সর্বোচ্চ আয়কারী থাই চলচ্চিত্রে পরিণত হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ায় স্ক্রিন হিট করার জন্য সিনেমাটিকে সবচেয়ে সফল এশিয়ান মুভি হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়াতে এটি সর্বোচ্চ আয়ের থাই মুভিতে পরিণত হয়েছে।
দাদির মৃত্যুর আগে তাঁর ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে মিলিয়ন মিলিয়ন অর্থ আয় করতে চান এক যুবক। এমন একটি কাহিনি নিয়ে গত এপ্রিলেই মুক্তি পেয়েছে থাই সিনেমা ‘হাউ টু মেক মিলিয়ন্স বিফোর গ্র্যান্ডমা ডাইস’। মাত্র তিন মাসের মধ্যে সিনেমাটি এমনই সাড়া ফেলেছে যে শুধু থাইল্যান্ড নয়, পুরো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াজুড়ে এটি এখন বক্স অফিসের শীর্ষে রয়েছে।
সিনেমাটিতে ‘এম’ নামের এক যুবকের জীবন দেখানো হয়েছে। তিনি তাঁর ক্যানসার আক্রান্ত দাদির কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে সম্পদ বাগিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। কিন্তু দাদির কাছাকাছি আসার পর নিজের অসৎ উদ্দেশ্য পোড়াতে শুরু করে তাঁকে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিনেমার নির্মাণ এবং এর গল্পটি দর্শকদের গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অনেকেই সিনেমাটি দেখে নিজেদের আবেগঘন ভিডিও শেয়ার করছেন। সিনেমা দেখে ইয়ানজিভান নামে এক টিকটক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমি আমার দাদিকে আলিঙ্গন করতে এখনই দৌড়াচ্ছি! স্পর্শকাতর ব্যতিক্রমী সিনেমা। মুভিটি আরও বেশি দাগা দিয়েছে, কারণ এটি আমাকে দাদির সঙ্গে আমার নিজের সম্পর্কের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।’
সিনেমাটিতে ব্যথায় কাতর দাদি, বিশেষ করে কাতরাতে কাতরাতে তাঁর প্রয়াত বাবা-মাকে স্মরণ করার দৃশ্যগুলো নিয়ে দর্শকেরা অনলাইন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেগাপ্লুত হয়ে পোস্ট করেছেন। এই দৃশ্যগুলোর কথা উল্লেখ করে একজন টিকটকার লিখেছেন, ‘আমি এত কান্নাকাটি করেছি যে, সিনেমার পর আমার সমস্ত মেক-আপ মুছে গেছে।’
ডায়েরিজ-অব-সোয়ান নামে একটি আইডি থেকে আরেকজন লিখেছেন, ‘সিনেমার পর কাঁদুন। শুধু কাঁদতেই থাকুন, যখন আপনি এমন কাউকে মিস করবেন যাকে আপনি আলিঙ্গন করতে বা তাঁর কণ্ঠস্বর শুনতে চান, কিন্তু পারবেন না।’
জানা গেছে, নিজের দাদির সঙ্গে সম্পর্কের অনুপ্রেরণা থেকেই গল্পটি তৈরি করেছেন চিত্রনাট্যকার থডসাপন থিপটিন্নাকর্ন। আর এই সিনেমাটি নির্মাণের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন প্যাট বুনিটিপাট।
বিবিসিকে প্যাট বুনিটিপাট জানান, দর্শকদের এমন অপ্রতিরোধ্য প্রতিক্রিয়া দেখে তিনি অবাক হয়ে গেছেন। সিনেমাটিতে পারিবারিক সম্পর্কগুলোর দ্বন্দ্বপূর্ণ প্রকৃতিকে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। একটি অথর্ব পরিবারের গল্প উপস্থাপন করা হয়েছে, যারা তাঁদের ভাগ্য বদলের জন্য মাতৃ পতির মৃত্যুর ওপর নির্ভর করছিলেন। ওই পরিবারেরই সদস্য হলেন—এম। সিনেমাটিতে কলেজ ড্রপআউট এই যুবকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ২৪ বছর বয়সী গায়ক ও অভিনেতা পুথিপং আসারাতানাকুল।
সিনেমাটির মোটিভ থেকে বোঝা যায়, পরিবারের সদস্যদের অভিপ্রায়ের বিষয়টি বেশ ভালো করেই বুঝতে পারেন এমের দাদি। তবুও তিনি তাঁর সন্তানদের ভালোবাসতেন। তাঁদের জন্য চিন্তা করতেন।
দাদির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ৭৮ বছর বয়সী অভিনেত্রী উষা সীমখুম। তাঁর অভিনয় দর্শক এবং সমালোচকদের মন কেড়ে নিয়েছে। চলচ্চিত্র সমালোচক জেমস মার্শ মত দিয়েছেন—তাঁকে (দাদি) ব্যতীত অন্য চরিত্রগুলো পছন্দ করার মতো নয়। গল্পটিকে মার্শ ‘ষড়যন্ত্রমূলক পরিবার বনাম প্রেমময় দাদি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
সিনেমাটি যাঁরা দেখেছেন তাঁদের অনেকেই মন্তব্য করেছেন, এটি তাঁদের প্রিয়জনের সঙ্গে কাটানো সময়ের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। অনেকের মনেই সিনেমাটি তাঁদের দাদা-দাদি কিংবা বাবা-মার মৃত্যুর স্মৃতিকে জাগিয়ে দিয়েছে।
একজন টিকটক ব্যবহারকারী দর্শকদের পরামর্শ দিয়েছেন, ‘যদি আপনি এই সিনেমাটি দেখতে চান, তবে অনেকগুলো টিস্যু নিয়ে আসুন।’
কাঁদতে চাইলে সিনেমাটি দেখুন এমন প্রচারণা করে সিনেমাটির প্রদর্শনী চলছে মালয়েশিয়ায়। ফিলিপাইনের যে হলে সিনেমাটি দেখানো হচ্ছে তার বাইরেই দর্শকদের মাঝে টিস্যু বিতরণ করা হচ্ছে।
থাইল্যান্ডে মুক্তি পাওয়ার প্রথম ১৪ দিনে ৬৯ লাখ ডলালের টিকিট বিক্রি হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৮১ কোটি টাকারও বেশি। মাত্র ১৪ দিনের মধ্যেই সিনেমাটি দেশটির ১১তম সর্বোচ্চ আয়কারী থাই চলচ্চিত্রে পরিণত হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ায় স্ক্রিন হিট করার জন্য সিনেমাটিকে সবচেয়ে সফল এশিয়ান মুভি হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়াতে এটি সর্বোচ্চ আয়ের থাই মুভিতে পরিণত হয়েছে।
রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে বছর খানেক সময় আগে অভিযান শুরু করেছিল ইউক্রেন। অঞ্চলটির কিছু অংশের নিয়ন্ত্রণও নেওয়ার দাবি করেছিল কিয়েভ। দীর্ঘ সময় লড়াইয়ের পর অবশেষে অঞ্চলটি কিয়েভের সেনাদের দখলমুক্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
৪ মিনিট আগেফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী ও গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে পাঁচ বছরের একটি যুদ্ধবিরতিতে যেতে প্রস্তুত। বিনিময়ে তারা তাদের কাছে থাকা সব জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। আজ শনিবার হামাসের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেস্বর্ণ চোরাচালানের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাও। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ১৯৭৪ সালের বিদেশি মুদ্রা সংরক্ষণ ও চোরাচালান প্রতিরোধ আইনে (COFEPOSA) তাঁর নামে একটি মামলা হয়েছে। ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক গোয়েন্দা ব্যুরো (সিইআইবি) এই মামলার তদন্তকারী সংস্থা রাজস্
১ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়েছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর উপপরিচালকের ছেলে! কেমন অবিশ্বাস্য লাগছে না শুনতে? কিন্তু এটা কোনো কল্পকাহিনি নয়, সত্য ঘটনা। ওই তরুণ যুদ্ধক্ষেত্রেই নিহত হয়েছেন। চলতি মাসের শুরুর দিকে মাইকেল গ্লস নামের ওই তরুণের মৃত্যু হয় বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে