অনলাইন ডেস্ক
জনসংখ্যা হ্রাস নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছে চীন, জাপান ও রাশিয়ার মতো দেশগুলো। বিয়ে ও বেশি সন্তান নেওয়া উৎসাহিত করতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশগুলো। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনও গত রোববার এক অনুষ্ঠানে বেশি সন্তান নিতে নারীদের আহ্বান জানাতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। সেখানে কথা বলার সময় তিনি বার বার চোখ মুছছিলেন- এমন এক ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
গত রোববার পিয়ংইয়ংয়ে মায়েদের উদ্দেশ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উত্তর কোরিয়ার জন্মহার কমে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কিম জং উন। ভিডিও তুলে ধরে যুক্তরাজ্যের দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট এক প্রতিবেদনে বলেছে, কিম জং উন মুখ নিচু করে বারবার চোখ মুছেন। তখন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যদেরও অশ্রুসিক্ত অবস্থায় দেখা যায়।
কিম জং উনকে উদ্ধৃত করে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘জন্মহার কমে যাওয়া ঠেকানো এবং যত্নের সঙ্গে সন্তান লালন-পালন— সবই আমাদের পারিবারিক দায়িত্বের অংশ। মায়েদের নিয়ে কাজ করার সময় এ বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের সতর্কতার সঙ্গে ভাবতে হবে।’
জাতীয় শক্তিকে সংহত করার ক্ষেত্রে মায়েদের ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানিয় কিম বলেন, ‘যখন দল ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব সামলাতে আমার খুব কষ্ট হয়, তখন আমি মায়েদের কথা ভাবি।’
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল বলছে, উত্তর কোরিয়ায় ২০২৩ সালে সন্তান জন্মদানের হার বা একজন নারীর কাছে জন্ম নেওয়া সন্তানের গড় সংখ্যা ১ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি কয়েক দশক ধরেই দেশটিতে জন্মহারে হ্রাস দেখা দিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ায় পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশের তুলনায় জন্ম হার এখনো বেশি রয়েছে। গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ায় জন্মহার কমে শূন্য দশমিক ৭৮-এর রেকর্ড গড়ে। জাপানেও জন্মহার কমে হয়েছে ১ দশমিক ২৬।
বর্তমানে উত্তর কোরিয়ার জনসংখ্যা ২ কোটি ৫০ লাখ। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গত কয়েক দশকে দেশটিতে গুরুতর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। এমনকি ১৯৯০ এর দশকে উত্তর কোরিয়ায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষও দেখা দিয়েছিল।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯০ সালের পর থেকেই রাশিয়ায় জন্মের হার হ্রাস পাচ্ছে। সে সঙ্গে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটির তিন লাখের বেশি মানুষ হতাহত হয়েছে। এমন অবস্থায় জনসংখ্যা বাড়ানোকে আসছে দশকে রাশিয়ার অন্যতম লক্ষ্য বলে অভিহিত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
গত ২৮ নভেম্বর রাজধানী মস্কোয় ওয়ার্ল্ড রাশিয়ান পিপলস কাউন্সিলে দেওয়া ভাষণে ‘বড় পরিবার গঠনকে আদর্শ রীতি’ হিসেবে গ্রহণের জন্য পুতিন রুশ নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান। জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য তিনি রুশ মায়েদের আটটি বা তার চেয়ে বেশি সন্তান জন্ম দিতে আহ্বান জানান।
এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীনও জনসংখ্যাগত সংকটের মুখোমুখি। গত জানুয়ারিতে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটিতে জন্মহার কমার সঙ্গে সঙ্গে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যাও কমেছে রেকর্ড পরিমাণে। দেশটির স্থানীয় প্রশাসন দম্পতিদের সন্তান জন্ম দিতে নানা রকমের উদ্দীপনামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। যেমন চীনের শেংঝেন প্রদেশ শিশু জন্মের ওপর প্রণোদনার ব্যবস্থা চালু করেছে। এ ছাড়া তারা শিশুর তিন বছর বয়স পর্যন্ত ভাতা প্রদানের ব্যবস্থাও করেছে।
এ ছাড়া যথাসময়ে বিয়ে এবং দ্রুত সন্তান গ্রহণ করাকে উৎসাহিত করতে বয়স ২৫ হওয়ার আগেই বিয়ে করলে চীনা তরুণীদের নগদ অর্থ পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেয় চীনের পূর্বাঞ্চলের একটি কাউন্টি।
জনসংখ্যা বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নিয়েও ব্যর্থ জাপান। ২০২২ সালে জাপানে জন্মের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ মানুষ মারা গেছে। যেখানে শিশুর জন্ম হয়েছে ৮ লাখের কম, আর মারা গেছেন প্রায় ১৫ লাখ ৮০ হাজার। প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার একজন উপদেষ্টা বলেন, এভাবে চলতে থাকলে জাপান দ্রুতই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে!
জনসংখ্যা হ্রাস নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছে চীন, জাপান ও রাশিয়ার মতো দেশগুলো। বিয়ে ও বেশি সন্তান নেওয়া উৎসাহিত করতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশগুলো। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনও গত রোববার এক অনুষ্ঠানে বেশি সন্তান নিতে নারীদের আহ্বান জানাতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। সেখানে কথা বলার সময় তিনি বার বার চোখ মুছছিলেন- এমন এক ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
গত রোববার পিয়ংইয়ংয়ে মায়েদের উদ্দেশ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উত্তর কোরিয়ার জন্মহার কমে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কিম জং উন। ভিডিও তুলে ধরে যুক্তরাজ্যের দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট এক প্রতিবেদনে বলেছে, কিম জং উন মুখ নিচু করে বারবার চোখ মুছেন। তখন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যদেরও অশ্রুসিক্ত অবস্থায় দেখা যায়।
কিম জং উনকে উদ্ধৃত করে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘জন্মহার কমে যাওয়া ঠেকানো এবং যত্নের সঙ্গে সন্তান লালন-পালন— সবই আমাদের পারিবারিক দায়িত্বের অংশ। মায়েদের নিয়ে কাজ করার সময় এ বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের সতর্কতার সঙ্গে ভাবতে হবে।’
জাতীয় শক্তিকে সংহত করার ক্ষেত্রে মায়েদের ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানিয় কিম বলেন, ‘যখন দল ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব সামলাতে আমার খুব কষ্ট হয়, তখন আমি মায়েদের কথা ভাবি।’
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল বলছে, উত্তর কোরিয়ায় ২০২৩ সালে সন্তান জন্মদানের হার বা একজন নারীর কাছে জন্ম নেওয়া সন্তানের গড় সংখ্যা ১ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি কয়েক দশক ধরেই দেশটিতে জন্মহারে হ্রাস দেখা দিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ায় পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশের তুলনায় জন্ম হার এখনো বেশি রয়েছে। গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ায় জন্মহার কমে শূন্য দশমিক ৭৮-এর রেকর্ড গড়ে। জাপানেও জন্মহার কমে হয়েছে ১ দশমিক ২৬।
বর্তমানে উত্তর কোরিয়ার জনসংখ্যা ২ কোটি ৫০ লাখ। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গত কয়েক দশকে দেশটিতে গুরুতর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। এমনকি ১৯৯০ এর দশকে উত্তর কোরিয়ায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষও দেখা দিয়েছিল।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯০ সালের পর থেকেই রাশিয়ায় জন্মের হার হ্রাস পাচ্ছে। সে সঙ্গে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটির তিন লাখের বেশি মানুষ হতাহত হয়েছে। এমন অবস্থায় জনসংখ্যা বাড়ানোকে আসছে দশকে রাশিয়ার অন্যতম লক্ষ্য বলে অভিহিত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
গত ২৮ নভেম্বর রাজধানী মস্কোয় ওয়ার্ল্ড রাশিয়ান পিপলস কাউন্সিলে দেওয়া ভাষণে ‘বড় পরিবার গঠনকে আদর্শ রীতি’ হিসেবে গ্রহণের জন্য পুতিন রুশ নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান। জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য তিনি রুশ মায়েদের আটটি বা তার চেয়ে বেশি সন্তান জন্ম দিতে আহ্বান জানান।
এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীনও জনসংখ্যাগত সংকটের মুখোমুখি। গত জানুয়ারিতে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটিতে জন্মহার কমার সঙ্গে সঙ্গে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যাও কমেছে রেকর্ড পরিমাণে। দেশটির স্থানীয় প্রশাসন দম্পতিদের সন্তান জন্ম দিতে নানা রকমের উদ্দীপনামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। যেমন চীনের শেংঝেন প্রদেশ শিশু জন্মের ওপর প্রণোদনার ব্যবস্থা চালু করেছে। এ ছাড়া তারা শিশুর তিন বছর বয়স পর্যন্ত ভাতা প্রদানের ব্যবস্থাও করেছে।
এ ছাড়া যথাসময়ে বিয়ে এবং দ্রুত সন্তান গ্রহণ করাকে উৎসাহিত করতে বয়স ২৫ হওয়ার আগেই বিয়ে করলে চীনা তরুণীদের নগদ অর্থ পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেয় চীনের পূর্বাঞ্চলের একটি কাউন্টি।
জনসংখ্যা বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নিয়েও ব্যর্থ জাপান। ২০২২ সালে জাপানে জন্মের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ মানুষ মারা গেছে। যেখানে শিশুর জন্ম হয়েছে ৮ লাখের কম, আর মারা গেছেন প্রায় ১৫ লাখ ৮০ হাজার। প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার একজন উপদেষ্টা বলেন, এভাবে চলতে থাকলে জাপান দ্রুতই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে!
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে গ্লোবাল ভারতের ২০২৫ সালের ফেডারেল বাজেট এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর এর প্রভাব নিয়ে কনস্টান্টিনো জেভিয়ারের সঙ্গে কথা বলেছে। সাক্ষাৎকারে ভারতের কূটনৈতিক সক্ষমতা এবং এর ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য উল্লেখযোগ্য সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে...
২১ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়ায় এবার একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বিধ্বস্ত হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার রাতে উত্তর-পূর্ব ফিলাডেলফিয়ার এক আবাসিক এলাকায় টুইন-ইঞ্জিন মেডেভাক বা রোগী বহনকারী বিমান বিধ্বস্ত...
১ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষদ গতকাল শুক্রবার রাজধানী নেপিডোতে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়। পরে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়
১ ঘণ্টা আগেসীমান্তবর্তী এলাকার কৃষকদের পাট বা ভুট্টা জাতীয় উঁচু ফসল চাষ না করার অনুরোধ জানিয়েছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ)। বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড সীমান্তবর্তী জেলার জেলা প্রশাসকদের এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে। বিএসএফের
৯ ঘণ্টা আগে