Ajker Patrika

আফগানিস্তান নিয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠক আজ

আফগানিস্তান নিয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠক আজ

আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামীকাল ৩১ আগস্ট। ইতিমধ্যে ন্যাটোর অধিকাংশ সদস্য বেসামরিক ফ্লাইট কার্যক্রম শেষে করেছে। গতকাল রোববার থেকে বেসামরিক ফ্লাইট শেষ করে একটানা সামরিক ফ্লাইট শুরু কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

২০ বছরের সামরিক অভিযান শেষ করার পর বিভিন্ন কারণে আফগানিস্তানে নিজেদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় পশ্চিমা জোট। এ জন্য একটি বিমানবন্দর এবং নিরাপদ অঞ্চলের কোনো বিকল্প নেই। এ উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং তুরস্ককে ইতিমধ্যে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে দেখা গেছে। 

১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আগে সেখানকার হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য তুরস্ককে আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকও করেছেন। কিন্তু দেশটি ন্যাটোর সদস্য হওয়ায় ৩১ আগস্টের পর আফগানিস্তানে কোনো তুর্কি সেনা থাকার পরিণতি খারাপ হতে পারে বলে হুঁশিয়ার করে তালেবান। এ অবস্থায় কিছুদিন চুপ মেরে যায় আঙ্কারা। কিন্তু সম্প্রতি কাবুল বিমানবন্দর পরিচালনার জন্য তুরস্কের কারিগরি সহায়তা চেয়েছে তালেবান। এ উপলক্ষে তাদের মধ্যে আলোচনা হলেও নিরাপত্তার কারণে এখনোও কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি তুরস্ক। 

রয়টার্স ও আল জাজিরার তথ্য, গত শনিবার থেকের কাবুল বিমানবন্দরে বাইরের কিছু ফটকের দায়িত্ব তালেবানের হাতে হস্তান্তর করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তা ছাড়া একই দিন আফগানিস্তান ছেড়ে গেছে তুরস্কের সব সেনা। এ অবস্থায় বিমানবন্দর পরিচালনায় নিজেদের টিম প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন তালেবানের ভারপ্রাপ্ত তথ্যমন্ত্রী জাবিয়ুল্লাহ মুজাহিদ। তবে কারিগরি সহায়তার জন্য তালেবান কাতারেরও সহায়তা চাইতে পারে বলে জানিয়েছে দু-একটি সূত্র। 

এ অবস্থায় আফগানিস্তানের সার্বিক অবস্থা নিয়ে আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতিসংঘের স্থায়ী কমিটির এক জরুরি বৈঠক। এ জন্য স্থায়ী কমিটির পাঁচ সদস্য ব্রিটেন, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং রাশিয়ার জাতিসংঘের দূতদের সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত করেছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। 

বৈঠক কাবুলে একটি নিরাপদ এলাকা প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব পেশ করবে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য। গতকাল রোববার এক ফরাসি পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ বলেন, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে কাবুলে একটি নিরাপদ এলাকা প্রতিষ্ঠাই আমাদের প্রস্তাবের মূল কথা, যার মাধ্যমে সেখানে মানবিক কার্যক্রম চালানো যাবে। তা ছাড়া এটাকে ব্যবহার করে তালেবানের ওপর চাপ তৈরি করা যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত