
মিয়ানমার জান্তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মাঝে বিদেশি যোদ্ধারাও আছেন। সংখ্যাটি খুব বড় না হলেও তা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এদের মধ্যেই আছেন প্রাক্তন এক ব্রিটিশ সেনা এবং একজন মার্কিন যোদ্ধা। বিদ্রোহীদের সঙ্গে স্বেচ্ছায় যুদ্ধে যোগ দেওয়া এই পশ্চিমা যোদ্ধারা বলেছেন, তিন বছরেরও বেশি আগে মিয়ানমার জেনারেলরা ক্ষমতা দখল করেন। এরপর শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করা মিয়ানমারের প্রতিবাদকারীদেরও হত্যা করা হয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম নির্মম ও আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের প্রতিরোধ সংগ্রাম দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েই তারা জান্তাবিরোধীদের পক্ষে লড়তে এসেছেন।
২০০৯ থেকে চার বছর ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে পদাতিক সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জেসন (ছদ্মনাম)। আফগানিস্তানেও সাত মাস ছিলেন তিনি। জেসন বলেন, মিয়ানমারে জানত বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে আট সপ্তাহ সম্মুখ সারিতে থেকে লড়ার পর গত এপ্রিলের শেষ দিকে পূর্ব মিয়ানমার থেকে দেশে ফেরেন। তিনি বলেন, ‘জান্তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মতাদর্শ অনেকটাই—হয় সব নয়তো কিছুই নয়। জান্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে তারা মরতেও প্রস্তুত ছিল।’
জেসনের মতে, তিনি বেশির ভাগ জায়গায় যেমন মনোভাবের সেনা দেখেছেন মিয়ানমারের প্রতিরোধ যোদ্ধারা তেমন নন। তাদের চোখে ভয় নেই। তারা সাহসী মানুষ।
জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো কয়েক দশক ধরেই সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে। বিদেশি স্বেচ্ছাসেবকরাও কখনো কখনো সাহায্য করেছেন। এসব লড়াই হয়েছে প্রধানত সীমান্ত অঞ্চলে। কিন্তু ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর এ লড়াই সীমান্ত থেকে কেন্দ্রে চলে আসে।
মিয়ানমার জান্তার বিরুদ্ধে রাশিয়া নির্মিত যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে নির্বিচার হামলা চালিয়ে বেসামরিকদের হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো এসব ঘটনাকে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
জেনারেলরা তবুও বিদ্রোহ দমন করতে পারেনি। প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো জান্তার বিপুল ক্ষয় সাধন করেছে এবং নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বড় অংশের। জনসাধারণের দান এবং গত বছর প্রায় হাজারখানেক অপারেশন চালিয়ে বিশাল সংখ্যক অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। বিদেশিদের সহায়তা ছাড়াই জান্তা সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে তারা।
ইউক্রেন কিংবা সিরিয়া যুদ্ধের মতো মিয়ানমারে বিদেশি স্বেচ্ছাসেবীদের ঢল দেখা যায়নি। বিদেশিদের নিয়োগের জন্য নেই কোনো সমন্বিত প্রচেষ্টা। তবে মিয়ানমার জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সশস্ত্র গোষ্ঠীর মোট সংখ্যা এখনো পরিষ্কারভাবে জানা না গেলেও তা অবাক করার মতো হতে পারে বলে অনুমান করছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। পূর্ব মিয়ানমারে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে জেসনের ফুটেজ ও ছবি দেখেছে সংবাদমাধ্যমটি। এ ছাড়া, দুটি সূত্র তাকে যুদ্ধক্ষেত্রেও দেখেছে।
রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হওয়ার পরপরই প্রাক্তন এই ব্রিটিশ সেনা ইউক্রেনের পক্ষে যুদ্ধ করেছিলেন। তারপর প্রায় দেড় বছর দেশে কাটিয়েছেন তিনি। জেসন বলেন, ‘আমি ভাড়াটে যোদ্ধা নই। যে পক্ষকে সঠিক বলে মনে করি তাদের জন্য যুদ্ধ করি। আমার এই উদ্বেগ আছে যে, নির্বোধদের কারণে মিয়ানমার হতে পারে পরবর্তী ইউক্রেন।’
একটি নামহীন প্রতিরোধ বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন জেসন। বিদ্রোহীদের সাহায্য করতে তিনি এখন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে ৬ থেকে ১০ জন প্রাক্তন সেনাদের নিয়ে একটি দল গঠনের পরিকল্পনা করেছেন।
জেসন বলেন, ‘আমাদের কাছে চারটি ভিন্ন সেনাবাহিনীর জ্ঞান রয়েছে যা আমরা তাদের শেখাতে পারি। তারা শুধু তাদের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র চায়। আমরা আমাদের নিজস্ব দল নিয়ে বিদ্রোহীদের শ্বেতাঙ্গ ত্রাণকর্তা সাজতে চাই না। আমরা নিজেরা আলাদা দল গড়ার চেয়ে তাদের অধীনে কাজ করতে চাই।’
মিয়ানমারের অন্য পাশে ভারতের সীমান্তবর্তী চিন রাজ্যে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স জোল্যান্ড (পিডিএফ জোল্যান্ড) নামের প্রতিরোধ গোষ্ঠী গত ১১ মে সামাজিক প্ল্যাটফর্মে একটি ছবি পোস্ট করেছে—যেখানে দুই বিদেশি স্বেচ্ছাসেবককে দেখা গেছে। এর মাঝে একজন মার্কিন স্বেচ্ছাসেবী আজাদ (ছদ্মনাম) এবং তার সঙ্গে আছেন একজন ব্রিটিশ স্বেচ্ছাসেবক।
আজাদ বলেন, তিনি স্নাইপার এবং পদাতিক কোর্স শেখানোর পাশাপাশি অন্যান্য সামরিক দায়িত্ব পালন করছেন। চিন রাজ্য থেকে তিনি বলেন, শহরগুলোতে জান্তা পিছু হটছে। পুরো গ্রামাঞ্চল মুক্ত হয়েছে। শিগগিরই কেন্দ্রের দখলও নিতে শুরু করবে প্রতিরোধ বাহিনী।
কুর্দি, আরব, খ্রিষ্টান এবং উত্তর সিরিয়ার অন্যান্য সংখ্যালঘুদের স্বায়ত্তশাসনের লড়াইকে একটি বৈশ্বিক সংগ্রামের অংশ হিসেবে দেখেন আজাদ। এর মধ্যে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতিরোধ এবং মিয়ানমারের বিপ্লবও রয়েছে।
মিয়ানমার জান্তা এবং রুশ সরকারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং অস্ত্র সরবরাহের দিকে ইঙ্গিত করে আজাদ বলেন, এগুলো সবই অভিন্ন সংগ্রামের অংশ। তার মতে, সব সংগ্রামই পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত বলে মিয়ানমারে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আসার সিদ্ধান্ত ছিল নৈতিকভাবে সম্পূর্ণ বৈধ।
আজাদ বলেন, ‘শূন্য থেকে শুরু করে দল গঠনের কয়েক বছরের ব্যবধানে যারা জান্তাকে পেছনের পায়ে ঠেলে দিতে পারে তাদের সম্পর্কে জানা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। এখানকার মানুষ অবিশ্বাস্য রকমের সাহসী। জান্তার ঘাঁটিগুলো দখলের সময় এরা বিনা দ্বিধায় নিজেদের অদ্ভুত সব প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে।’
বিদেশি স্বেচ্ছাসেবীদের বাইরে মিয়ানমারে খ্রিষ্টান মানবাধিকার গোষ্ঠী ফ্রি বার্মা রেঞ্জারস (এফবিআর) ১৯৯০ সাল থেকে কাজ করছে। আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের তারা পূর্ব মিয়ানমারের জাতিগত রাজ্যগুলোতে নিয়ে যায় যেখানে সংখ্যালঘুরা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। এই স্বেচ্ছাসেবকেরা বাস্তুচ্যুত মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দেন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্যগুলো রেকর্ড করেন। বিপজ্জনক পরিবেশে কাজ করতে হয় বলে তারা সঙ্গে অস্ত্রও রাখেন।

মিয়ানমার জান্তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মাঝে বিদেশি যোদ্ধারাও আছেন। সংখ্যাটি খুব বড় না হলেও তা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এদের মধ্যেই আছেন প্রাক্তন এক ব্রিটিশ সেনা এবং একজন মার্কিন যোদ্ধা। বিদ্রোহীদের সঙ্গে স্বেচ্ছায় যুদ্ধে যোগ দেওয়া এই পশ্চিমা যোদ্ধারা বলেছেন, তিন বছরেরও বেশি আগে মিয়ানমার জেনারেলরা ক্ষমতা দখল করেন। এরপর শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করা মিয়ানমারের প্রতিবাদকারীদেরও হত্যা করা হয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম নির্মম ও আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের প্রতিরোধ সংগ্রাম দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েই তারা জান্তাবিরোধীদের পক্ষে লড়তে এসেছেন।
২০০৯ থেকে চার বছর ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে পদাতিক সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জেসন (ছদ্মনাম)। আফগানিস্তানেও সাত মাস ছিলেন তিনি। জেসন বলেন, মিয়ানমারে জানত বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে আট সপ্তাহ সম্মুখ সারিতে থেকে লড়ার পর গত এপ্রিলের শেষ দিকে পূর্ব মিয়ানমার থেকে দেশে ফেরেন। তিনি বলেন, ‘জান্তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মতাদর্শ অনেকটাই—হয় সব নয়তো কিছুই নয়। জান্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে তারা মরতেও প্রস্তুত ছিল।’
জেসনের মতে, তিনি বেশির ভাগ জায়গায় যেমন মনোভাবের সেনা দেখেছেন মিয়ানমারের প্রতিরোধ যোদ্ধারা তেমন নন। তাদের চোখে ভয় নেই। তারা সাহসী মানুষ।
জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো কয়েক দশক ধরেই সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে। বিদেশি স্বেচ্ছাসেবকরাও কখনো কখনো সাহায্য করেছেন। এসব লড়াই হয়েছে প্রধানত সীমান্ত অঞ্চলে। কিন্তু ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর এ লড়াই সীমান্ত থেকে কেন্দ্রে চলে আসে।
মিয়ানমার জান্তার বিরুদ্ধে রাশিয়া নির্মিত যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে নির্বিচার হামলা চালিয়ে বেসামরিকদের হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো এসব ঘটনাকে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
জেনারেলরা তবুও বিদ্রোহ দমন করতে পারেনি। প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো জান্তার বিপুল ক্ষয় সাধন করেছে এবং নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বড় অংশের। জনসাধারণের দান এবং গত বছর প্রায় হাজারখানেক অপারেশন চালিয়ে বিশাল সংখ্যক অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। বিদেশিদের সহায়তা ছাড়াই জান্তা সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে তারা।
ইউক্রেন কিংবা সিরিয়া যুদ্ধের মতো মিয়ানমারে বিদেশি স্বেচ্ছাসেবীদের ঢল দেখা যায়নি। বিদেশিদের নিয়োগের জন্য নেই কোনো সমন্বিত প্রচেষ্টা। তবে মিয়ানমার জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সশস্ত্র গোষ্ঠীর মোট সংখ্যা এখনো পরিষ্কারভাবে জানা না গেলেও তা অবাক করার মতো হতে পারে বলে অনুমান করছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। পূর্ব মিয়ানমারে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে জেসনের ফুটেজ ও ছবি দেখেছে সংবাদমাধ্যমটি। এ ছাড়া, দুটি সূত্র তাকে যুদ্ধক্ষেত্রেও দেখেছে।
রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হওয়ার পরপরই প্রাক্তন এই ব্রিটিশ সেনা ইউক্রেনের পক্ষে যুদ্ধ করেছিলেন। তারপর প্রায় দেড় বছর দেশে কাটিয়েছেন তিনি। জেসন বলেন, ‘আমি ভাড়াটে যোদ্ধা নই। যে পক্ষকে সঠিক বলে মনে করি তাদের জন্য যুদ্ধ করি। আমার এই উদ্বেগ আছে যে, নির্বোধদের কারণে মিয়ানমার হতে পারে পরবর্তী ইউক্রেন।’
একটি নামহীন প্রতিরোধ বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন জেসন। বিদ্রোহীদের সাহায্য করতে তিনি এখন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে ৬ থেকে ১০ জন প্রাক্তন সেনাদের নিয়ে একটি দল গঠনের পরিকল্পনা করেছেন।
জেসন বলেন, ‘আমাদের কাছে চারটি ভিন্ন সেনাবাহিনীর জ্ঞান রয়েছে যা আমরা তাদের শেখাতে পারি। তারা শুধু তাদের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র চায়। আমরা আমাদের নিজস্ব দল নিয়ে বিদ্রোহীদের শ্বেতাঙ্গ ত্রাণকর্তা সাজতে চাই না। আমরা নিজেরা আলাদা দল গড়ার চেয়ে তাদের অধীনে কাজ করতে চাই।’
মিয়ানমারের অন্য পাশে ভারতের সীমান্তবর্তী চিন রাজ্যে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স জোল্যান্ড (পিডিএফ জোল্যান্ড) নামের প্রতিরোধ গোষ্ঠী গত ১১ মে সামাজিক প্ল্যাটফর্মে একটি ছবি পোস্ট করেছে—যেখানে দুই বিদেশি স্বেচ্ছাসেবককে দেখা গেছে। এর মাঝে একজন মার্কিন স্বেচ্ছাসেবী আজাদ (ছদ্মনাম) এবং তার সঙ্গে আছেন একজন ব্রিটিশ স্বেচ্ছাসেবক।
আজাদ বলেন, তিনি স্নাইপার এবং পদাতিক কোর্স শেখানোর পাশাপাশি অন্যান্য সামরিক দায়িত্ব পালন করছেন। চিন রাজ্য থেকে তিনি বলেন, শহরগুলোতে জান্তা পিছু হটছে। পুরো গ্রামাঞ্চল মুক্ত হয়েছে। শিগগিরই কেন্দ্রের দখলও নিতে শুরু করবে প্রতিরোধ বাহিনী।
কুর্দি, আরব, খ্রিষ্টান এবং উত্তর সিরিয়ার অন্যান্য সংখ্যালঘুদের স্বায়ত্তশাসনের লড়াইকে একটি বৈশ্বিক সংগ্রামের অংশ হিসেবে দেখেন আজাদ। এর মধ্যে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতিরোধ এবং মিয়ানমারের বিপ্লবও রয়েছে।
মিয়ানমার জান্তা এবং রুশ সরকারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং অস্ত্র সরবরাহের দিকে ইঙ্গিত করে আজাদ বলেন, এগুলো সবই অভিন্ন সংগ্রামের অংশ। তার মতে, সব সংগ্রামই পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত বলে মিয়ানমারে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আসার সিদ্ধান্ত ছিল নৈতিকভাবে সম্পূর্ণ বৈধ।
আজাদ বলেন, ‘শূন্য থেকে শুরু করে দল গঠনের কয়েক বছরের ব্যবধানে যারা জান্তাকে পেছনের পায়ে ঠেলে দিতে পারে তাদের সম্পর্কে জানা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। এখানকার মানুষ অবিশ্বাস্য রকমের সাহসী। জান্তার ঘাঁটিগুলো দখলের সময় এরা বিনা দ্বিধায় নিজেদের অদ্ভুত সব প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে।’
বিদেশি স্বেচ্ছাসেবীদের বাইরে মিয়ানমারে খ্রিষ্টান মানবাধিকার গোষ্ঠী ফ্রি বার্মা রেঞ্জারস (এফবিআর) ১৯৯০ সাল থেকে কাজ করছে। আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের তারা পূর্ব মিয়ানমারের জাতিগত রাজ্যগুলোতে নিয়ে যায় যেখানে সংখ্যালঘুরা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। এই স্বেচ্ছাসেবকেরা বাস্তুচ্যুত মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দেন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্যগুলো রেকর্ড করেন। বিপজ্জনক পরিবেশে কাজ করতে হয় বলে তারা সঙ্গে অস্ত্রও রাখেন।

মিয়ানমার জান্তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মাঝে বিদেশি যোদ্ধারাও আছেন। সংখ্যাটি খুব বড় না হলেও তা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এদের মধ্যেই আছেন প্রাক্তন এক ব্রিটিশ সেনা এবং একজন মার্কিন যোদ্ধা। বিদ্রোহীদের সঙ্গে স্বেচ্ছায় যুদ্ধে যোগ দেওয়া এই পশ্চিমা যোদ্ধারা বলেছেন, তিন বছরেরও বেশি আগে মিয়ানমার জেনারেলরা ক্ষমতা দখল করেন। এরপর শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করা মিয়ানমারের প্রতিবাদকারীদেরও হত্যা করা হয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম নির্মম ও আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের প্রতিরোধ সংগ্রাম দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েই তারা জান্তাবিরোধীদের পক্ষে লড়তে এসেছেন।
২০০৯ থেকে চার বছর ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে পদাতিক সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জেসন (ছদ্মনাম)। আফগানিস্তানেও সাত মাস ছিলেন তিনি। জেসন বলেন, মিয়ানমারে জানত বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে আট সপ্তাহ সম্মুখ সারিতে থেকে লড়ার পর গত এপ্রিলের শেষ দিকে পূর্ব মিয়ানমার থেকে দেশে ফেরেন। তিনি বলেন, ‘জান্তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মতাদর্শ অনেকটাই—হয় সব নয়তো কিছুই নয়। জান্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে তারা মরতেও প্রস্তুত ছিল।’
জেসনের মতে, তিনি বেশির ভাগ জায়গায় যেমন মনোভাবের সেনা দেখেছেন মিয়ানমারের প্রতিরোধ যোদ্ধারা তেমন নন। তাদের চোখে ভয় নেই। তারা সাহসী মানুষ।
জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো কয়েক দশক ধরেই সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে। বিদেশি স্বেচ্ছাসেবকরাও কখনো কখনো সাহায্য করেছেন। এসব লড়াই হয়েছে প্রধানত সীমান্ত অঞ্চলে। কিন্তু ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর এ লড়াই সীমান্ত থেকে কেন্দ্রে চলে আসে।
মিয়ানমার জান্তার বিরুদ্ধে রাশিয়া নির্মিত যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে নির্বিচার হামলা চালিয়ে বেসামরিকদের হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো এসব ঘটনাকে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
জেনারেলরা তবুও বিদ্রোহ দমন করতে পারেনি। প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো জান্তার বিপুল ক্ষয় সাধন করেছে এবং নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বড় অংশের। জনসাধারণের দান এবং গত বছর প্রায় হাজারখানেক অপারেশন চালিয়ে বিশাল সংখ্যক অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। বিদেশিদের সহায়তা ছাড়াই জান্তা সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে তারা।
ইউক্রেন কিংবা সিরিয়া যুদ্ধের মতো মিয়ানমারে বিদেশি স্বেচ্ছাসেবীদের ঢল দেখা যায়নি। বিদেশিদের নিয়োগের জন্য নেই কোনো সমন্বিত প্রচেষ্টা। তবে মিয়ানমার জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সশস্ত্র গোষ্ঠীর মোট সংখ্যা এখনো পরিষ্কারভাবে জানা না গেলেও তা অবাক করার মতো হতে পারে বলে অনুমান করছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। পূর্ব মিয়ানমারে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে জেসনের ফুটেজ ও ছবি দেখেছে সংবাদমাধ্যমটি। এ ছাড়া, দুটি সূত্র তাকে যুদ্ধক্ষেত্রেও দেখেছে।
রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হওয়ার পরপরই প্রাক্তন এই ব্রিটিশ সেনা ইউক্রেনের পক্ষে যুদ্ধ করেছিলেন। তারপর প্রায় দেড় বছর দেশে কাটিয়েছেন তিনি। জেসন বলেন, ‘আমি ভাড়াটে যোদ্ধা নই। যে পক্ষকে সঠিক বলে মনে করি তাদের জন্য যুদ্ধ করি। আমার এই উদ্বেগ আছে যে, নির্বোধদের কারণে মিয়ানমার হতে পারে পরবর্তী ইউক্রেন।’
একটি নামহীন প্রতিরোধ বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন জেসন। বিদ্রোহীদের সাহায্য করতে তিনি এখন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে ৬ থেকে ১০ জন প্রাক্তন সেনাদের নিয়ে একটি দল গঠনের পরিকল্পনা করেছেন।
জেসন বলেন, ‘আমাদের কাছে চারটি ভিন্ন সেনাবাহিনীর জ্ঞান রয়েছে যা আমরা তাদের শেখাতে পারি। তারা শুধু তাদের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র চায়। আমরা আমাদের নিজস্ব দল নিয়ে বিদ্রোহীদের শ্বেতাঙ্গ ত্রাণকর্তা সাজতে চাই না। আমরা নিজেরা আলাদা দল গড়ার চেয়ে তাদের অধীনে কাজ করতে চাই।’
মিয়ানমারের অন্য পাশে ভারতের সীমান্তবর্তী চিন রাজ্যে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স জোল্যান্ড (পিডিএফ জোল্যান্ড) নামের প্রতিরোধ গোষ্ঠী গত ১১ মে সামাজিক প্ল্যাটফর্মে একটি ছবি পোস্ট করেছে—যেখানে দুই বিদেশি স্বেচ্ছাসেবককে দেখা গেছে। এর মাঝে একজন মার্কিন স্বেচ্ছাসেবী আজাদ (ছদ্মনাম) এবং তার সঙ্গে আছেন একজন ব্রিটিশ স্বেচ্ছাসেবক।
আজাদ বলেন, তিনি স্নাইপার এবং পদাতিক কোর্স শেখানোর পাশাপাশি অন্যান্য সামরিক দায়িত্ব পালন করছেন। চিন রাজ্য থেকে তিনি বলেন, শহরগুলোতে জান্তা পিছু হটছে। পুরো গ্রামাঞ্চল মুক্ত হয়েছে। শিগগিরই কেন্দ্রের দখলও নিতে শুরু করবে প্রতিরোধ বাহিনী।
কুর্দি, আরব, খ্রিষ্টান এবং উত্তর সিরিয়ার অন্যান্য সংখ্যালঘুদের স্বায়ত্তশাসনের লড়াইকে একটি বৈশ্বিক সংগ্রামের অংশ হিসেবে দেখেন আজাদ। এর মধ্যে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতিরোধ এবং মিয়ানমারের বিপ্লবও রয়েছে।
মিয়ানমার জান্তা এবং রুশ সরকারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং অস্ত্র সরবরাহের দিকে ইঙ্গিত করে আজাদ বলেন, এগুলো সবই অভিন্ন সংগ্রামের অংশ। তার মতে, সব সংগ্রামই পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত বলে মিয়ানমারে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আসার সিদ্ধান্ত ছিল নৈতিকভাবে সম্পূর্ণ বৈধ।
আজাদ বলেন, ‘শূন্য থেকে শুরু করে দল গঠনের কয়েক বছরের ব্যবধানে যারা জান্তাকে পেছনের পায়ে ঠেলে দিতে পারে তাদের সম্পর্কে জানা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। এখানকার মানুষ অবিশ্বাস্য রকমের সাহসী। জান্তার ঘাঁটিগুলো দখলের সময় এরা বিনা দ্বিধায় নিজেদের অদ্ভুত সব প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে।’
বিদেশি স্বেচ্ছাসেবীদের বাইরে মিয়ানমারে খ্রিষ্টান মানবাধিকার গোষ্ঠী ফ্রি বার্মা রেঞ্জারস (এফবিআর) ১৯৯০ সাল থেকে কাজ করছে। আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের তারা পূর্ব মিয়ানমারের জাতিগত রাজ্যগুলোতে নিয়ে যায় যেখানে সংখ্যালঘুরা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। এই স্বেচ্ছাসেবকেরা বাস্তুচ্যুত মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দেন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্যগুলো রেকর্ড করেন। বিপজ্জনক পরিবেশে কাজ করতে হয় বলে তারা সঙ্গে অস্ত্রও রাখেন।

মিয়ানমার জান্তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মাঝে বিদেশি যোদ্ধারাও আছেন। সংখ্যাটি খুব বড় না হলেও তা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এদের মধ্যেই আছেন প্রাক্তন এক ব্রিটিশ সেনা এবং একজন মার্কিন যোদ্ধা। বিদ্রোহীদের সঙ্গে স্বেচ্ছায় যুদ্ধে যোগ দেওয়া এই পশ্চিমা যোদ্ধারা বলেছেন, তিন বছরেরও বেশি আগে মিয়ানমার জেনারেলরা ক্ষমতা দখল করেন। এরপর শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করা মিয়ানমারের প্রতিবাদকারীদেরও হত্যা করা হয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম নির্মম ও আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের প্রতিরোধ সংগ্রাম দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েই তারা জান্তাবিরোধীদের পক্ষে লড়তে এসেছেন।
২০০৯ থেকে চার বছর ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে পদাতিক সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জেসন (ছদ্মনাম)। আফগানিস্তানেও সাত মাস ছিলেন তিনি। জেসন বলেন, মিয়ানমারে জানত বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে আট সপ্তাহ সম্মুখ সারিতে থেকে লড়ার পর গত এপ্রিলের শেষ দিকে পূর্ব মিয়ানমার থেকে দেশে ফেরেন। তিনি বলেন, ‘জান্তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মতাদর্শ অনেকটাই—হয় সব নয়তো কিছুই নয়। জান্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে তারা মরতেও প্রস্তুত ছিল।’
জেসনের মতে, তিনি বেশির ভাগ জায়গায় যেমন মনোভাবের সেনা দেখেছেন মিয়ানমারের প্রতিরোধ যোদ্ধারা তেমন নন। তাদের চোখে ভয় নেই। তারা সাহসী মানুষ।
জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো কয়েক দশক ধরেই সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে। বিদেশি স্বেচ্ছাসেবকরাও কখনো কখনো সাহায্য করেছেন। এসব লড়াই হয়েছে প্রধানত সীমান্ত অঞ্চলে। কিন্তু ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর এ লড়াই সীমান্ত থেকে কেন্দ্রে চলে আসে।
মিয়ানমার জান্তার বিরুদ্ধে রাশিয়া নির্মিত যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে নির্বিচার হামলা চালিয়ে বেসামরিকদের হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো এসব ঘটনাকে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
জেনারেলরা তবুও বিদ্রোহ দমন করতে পারেনি। প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো জান্তার বিপুল ক্ষয় সাধন করেছে এবং নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বড় অংশের। জনসাধারণের দান এবং গত বছর প্রায় হাজারখানেক অপারেশন চালিয়ে বিশাল সংখ্যক অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। বিদেশিদের সহায়তা ছাড়াই জান্তা সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে তারা।
ইউক্রেন কিংবা সিরিয়া যুদ্ধের মতো মিয়ানমারে বিদেশি স্বেচ্ছাসেবীদের ঢল দেখা যায়নি। বিদেশিদের নিয়োগের জন্য নেই কোনো সমন্বিত প্রচেষ্টা। তবে মিয়ানমার জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সশস্ত্র গোষ্ঠীর মোট সংখ্যা এখনো পরিষ্কারভাবে জানা না গেলেও তা অবাক করার মতো হতে পারে বলে অনুমান করছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। পূর্ব মিয়ানমারে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে জেসনের ফুটেজ ও ছবি দেখেছে সংবাদমাধ্যমটি। এ ছাড়া, দুটি সূত্র তাকে যুদ্ধক্ষেত্রেও দেখেছে।
রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হওয়ার পরপরই প্রাক্তন এই ব্রিটিশ সেনা ইউক্রেনের পক্ষে যুদ্ধ করেছিলেন। তারপর প্রায় দেড় বছর দেশে কাটিয়েছেন তিনি। জেসন বলেন, ‘আমি ভাড়াটে যোদ্ধা নই। যে পক্ষকে সঠিক বলে মনে করি তাদের জন্য যুদ্ধ করি। আমার এই উদ্বেগ আছে যে, নির্বোধদের কারণে মিয়ানমার হতে পারে পরবর্তী ইউক্রেন।’
একটি নামহীন প্রতিরোধ বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন জেসন। বিদ্রোহীদের সাহায্য করতে তিনি এখন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে ৬ থেকে ১০ জন প্রাক্তন সেনাদের নিয়ে একটি দল গঠনের পরিকল্পনা করেছেন।
জেসন বলেন, ‘আমাদের কাছে চারটি ভিন্ন সেনাবাহিনীর জ্ঞান রয়েছে যা আমরা তাদের শেখাতে পারি। তারা শুধু তাদের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র চায়। আমরা আমাদের নিজস্ব দল নিয়ে বিদ্রোহীদের শ্বেতাঙ্গ ত্রাণকর্তা সাজতে চাই না। আমরা নিজেরা আলাদা দল গড়ার চেয়ে তাদের অধীনে কাজ করতে চাই।’
মিয়ানমারের অন্য পাশে ভারতের সীমান্তবর্তী চিন রাজ্যে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স জোল্যান্ড (পিডিএফ জোল্যান্ড) নামের প্রতিরোধ গোষ্ঠী গত ১১ মে সামাজিক প্ল্যাটফর্মে একটি ছবি পোস্ট করেছে—যেখানে দুই বিদেশি স্বেচ্ছাসেবককে দেখা গেছে। এর মাঝে একজন মার্কিন স্বেচ্ছাসেবী আজাদ (ছদ্মনাম) এবং তার সঙ্গে আছেন একজন ব্রিটিশ স্বেচ্ছাসেবক।
আজাদ বলেন, তিনি স্নাইপার এবং পদাতিক কোর্স শেখানোর পাশাপাশি অন্যান্য সামরিক দায়িত্ব পালন করছেন। চিন রাজ্য থেকে তিনি বলেন, শহরগুলোতে জান্তা পিছু হটছে। পুরো গ্রামাঞ্চল মুক্ত হয়েছে। শিগগিরই কেন্দ্রের দখলও নিতে শুরু করবে প্রতিরোধ বাহিনী।
কুর্দি, আরব, খ্রিষ্টান এবং উত্তর সিরিয়ার অন্যান্য সংখ্যালঘুদের স্বায়ত্তশাসনের লড়াইকে একটি বৈশ্বিক সংগ্রামের অংশ হিসেবে দেখেন আজাদ। এর মধ্যে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতিরোধ এবং মিয়ানমারের বিপ্লবও রয়েছে।
মিয়ানমার জান্তা এবং রুশ সরকারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং অস্ত্র সরবরাহের দিকে ইঙ্গিত করে আজাদ বলেন, এগুলো সবই অভিন্ন সংগ্রামের অংশ। তার মতে, সব সংগ্রামই পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত বলে মিয়ানমারে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আসার সিদ্ধান্ত ছিল নৈতিকভাবে সম্পূর্ণ বৈধ।
আজাদ বলেন, ‘শূন্য থেকে শুরু করে দল গঠনের কয়েক বছরের ব্যবধানে যারা জান্তাকে পেছনের পায়ে ঠেলে দিতে পারে তাদের সম্পর্কে জানা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। এখানকার মানুষ অবিশ্বাস্য রকমের সাহসী। জান্তার ঘাঁটিগুলো দখলের সময় এরা বিনা দ্বিধায় নিজেদের অদ্ভুত সব প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে।’
বিদেশি স্বেচ্ছাসেবীদের বাইরে মিয়ানমারে খ্রিষ্টান মানবাধিকার গোষ্ঠী ফ্রি বার্মা রেঞ্জারস (এফবিআর) ১৯৯০ সাল থেকে কাজ করছে। আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের তারা পূর্ব মিয়ানমারের জাতিগত রাজ্যগুলোতে নিয়ে যায় যেখানে সংখ্যালঘুরা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। এই স্বেচ্ছাসেবকেরা বাস্তুচ্যুত মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দেন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্যগুলো রেকর্ড করেন। বিপজ্জনক পরিবেশে কাজ করতে হয় বলে তারা সঙ্গে অস্ত্রও রাখেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৫ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৫ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৭ ঘণ্টা আগেএএফপি, কায়রো

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

মিয়ানমার জান্তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মাঝে বিদেশি যোদ্ধারাও আছেন। সংখ্যাটি খুব বড় না হলেও তা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এদের মধ্যেই আছেন প্রাক্তন এক ব্রিটিশ সেনা এবং একজন মার্কিন যোদ্ধা। বিদ্রোহীদের সঙ্গে স্বেচ্ছায় যুদ্ধে যোগ দেওয়া এই পশ্চিমা যোদ্ধারা বলেছেন, তিন বছরেরও বেশি আগে মিয়ানমার জেনা
১৮ মে ২০২৪
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৫ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৫ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’
কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটিরও পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’
কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’
কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি করে সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যাঁরা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছেন। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’
কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটিরও পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’
কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’
কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি করে সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যাঁরা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছেন। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

মিয়ানমার জান্তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মাঝে বিদেশি যোদ্ধারাও আছেন। সংখ্যাটি খুব বড় না হলেও তা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এদের মধ্যেই আছেন প্রাক্তন এক ব্রিটিশ সেনা এবং একজন মার্কিন যোদ্ধা। বিদ্রোহীদের সঙ্গে স্বেচ্ছায় যুদ্ধে যোগ দেওয়া এই পশ্চিমা যোদ্ধারা বলেছেন, তিন বছরেরও বেশি আগে মিয়ানমার জেনা
১৮ মে ২০২৪
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৫ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।
তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।
তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

মিয়ানমার জান্তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মাঝে বিদেশি যোদ্ধারাও আছেন। সংখ্যাটি খুব বড় না হলেও তা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এদের মধ্যেই আছেন প্রাক্তন এক ব্রিটিশ সেনা এবং একজন মার্কিন যোদ্ধা। বিদ্রোহীদের সঙ্গে স্বেচ্ছায় যুদ্ধে যোগ দেওয়া এই পশ্চিমা যোদ্ধারা বলেছেন, তিন বছরেরও বেশি আগে মিয়ানমার জেনা
১৮ মে ২০২৪
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৫ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।
ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।
ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

মিয়ানমার জান্তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মাঝে বিদেশি যোদ্ধারাও আছেন। সংখ্যাটি খুব বড় না হলেও তা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এদের মধ্যেই আছেন প্রাক্তন এক ব্রিটিশ সেনা এবং একজন মার্কিন যোদ্ধা। বিদ্রোহীদের সঙ্গে স্বেচ্ছায় যুদ্ধে যোগ দেওয়া এই পশ্চিমা যোদ্ধারা বলেছেন, তিন বছরেরও বেশি আগে মিয়ানমার জেনা
১৮ মে ২০২৪
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৫ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৫ ঘণ্টা আগে