দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে ইমপিচ বা অভিশংসনের লক্ষ্যে দেশটির পার্লামেন্টে ভোট শুরু হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এদিকে, পার্লামেন্টের বাইরে ভোট চলাকালে লাখো মানুষের বিক্ষোভ দেখা গেছে।
সিউলে দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল পার্লামেন্টের বাইরে লাখো মানুষ সমবেত হয়েছেন। বিবিসি জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা ‘ইউন সুক ইওলকে গ্রেপ্তার কর, ইউন সুক ইওলকে অভিশংসন কর!’ —বলে চিৎকার করছে বিক্ষোভকারীরা।
এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম ইয়োনহাপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে প্রায় দেড় লাখ সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। পুলিশের হিসাব অনুযায়ী, স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৪৯ হাজার মানুষ সমাবেশে অংশ নেন। তবে আয়োজকদের দাবি—অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ১০ লাখ।
এর আগে, প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল সামরিক আইন জারির জন্য ক্ষমা চান। তবে পদত্যাগ করেননি। ক্ষমতাসীন দলের কিছু সদস্যের পক্ষ থেকে পদত্যাগের তীব্র চাপ এবং আসন্ন অভিশংসন ভোটের কয়েক ঘণ্টা আগে আজ শনিবার প্রেসিডেন্ট এ ঘোষণা দিলেন। ইউন বলেন, সামরিক আইন জারি করার জন্য আইনগত এবং রাজনৈতিক দায়িত্ব এড়ানোর কোনো চেষ্টা তিনি করবেন না। তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত ছিল একান্তই হতাশা থেকে নেওয়া।’
গত বুধবার ভোরে সামরিক আইন জারির কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে প্রত্যাহারের পর এটিই ছিল ইউনের প্রথম প্রকাশ্য বক্তব্য। আদেশ জারি করার মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যেই তা প্রত্যাহার করেন প্রেসিডেন্ট। পার্লামেন্ট সামরিক ও পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে এই আদেশের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার পর আদেশ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন তিনি।
আজ জাতির উদ্দেশে এক টেলিভিশন বক্তৃতায় ইউন বলেন, ‘আমি খুবই দুঃখিত এবং যেসব মানুষ এতে বড় ধাক্কা খেয়েছেন, তাঁদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি।’ এ সময় তিনি নত হয়ে জাতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি আমার দলের ওপর দায়িত্ব অর্পণ করছি, যাতে তারা ভবিষ্যতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার পদক্ষেপ নেয়। এর মধ্যে আমার মেয়াদ সম্পর্কিত বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
প্রেসিডেন্ট ইউনের পিপলস পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) নেতা হান ডং-হুন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট এখন আর জনগণের দায়িত্ব পালন করার অবস্থায় নেই এবং তাঁর পদত্যাগ এখন অনিবার্য।’ গতকাল শুক্রবার হান বলেছিলেন, ইউন দেশের জন্য হুমকি এবং তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। তবে পিপিপি সদস্যরা পরবর্তীতে তাঁর অভিশংসনের আনুষ্ঠানিক বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করেন।
স্থানীয় ইয়োনহাপ নিউজ জানিয়েছে, আজ হান প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সুর সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী, যদি ইউন পদত্যাগ করেন বা অভিশংসিত হন, তবে প্রধানমন্ত্রী, যিনি প্রেসিডেন্ট ইউন কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত, তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হবেন।
প্রেসিডেন্ট ইউন গত মঙ্গলবার রাতে সারা বিশ্বকে চমকে দিয়ে সামরিক বাহিনীকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি’ উৎখাত এবং বিরোধী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বাধা দূর করার জন্য জরুরি ক্ষমতা দিয়ে অধ্যাদেশ জারি করেন।
কিছু পিপিপি সদস্য ভোটের আগে ইউনকে পদত্যাগ করতে বলেছেন, কারণ তাঁরা ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন-হাইয়ের অভিশংসনের পুনরাবৃত্তি চান না। সেই সময়, ক্ষমতার অপব্যবহারের কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে মোমবাতি জ্বালিয়ে বিক্ষোভের ফলে পার্ক পদত্যাগ করেন। তাঁর পতনের ফলে দলটি ভেঙে পড়ে এবং পরবর্তী প্রেসিডেন্ট এবং সাধারণ নির্বাচনে উদারপন্থীদের বিজয় ঘটে।
সেই বিক্ষোভের স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী মোমবাতি হাতে পার্লামেন্টের বাইরে জড়ো হয়ে ইউনের অভিশংসনের দাবি জানায়। ভোটের আগে আজ আরও বড় বিক্ষোভ হতে পারে।
এদিকে পুলিশ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্ত দপ্তর ইউন এবং সামরিক আইন আদেশে জড়িত শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে।
কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অন্যদের অধিকার আদায়ে বাধা দেওয়ার সম্ভাব্য অভিযোগ আনা হতে পারে। সংশ্লিষ্টরা দোষী সাব্যস্ত হলে বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেওয়ার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে ইমপিচ বা অভিশংসনের লক্ষ্যে দেশটির পার্লামেন্টে ভোট শুরু হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এদিকে, পার্লামেন্টের বাইরে ভোট চলাকালে লাখো মানুষের বিক্ষোভ দেখা গেছে।
সিউলে দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল পার্লামেন্টের বাইরে লাখো মানুষ সমবেত হয়েছেন। বিবিসি জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা ‘ইউন সুক ইওলকে গ্রেপ্তার কর, ইউন সুক ইওলকে অভিশংসন কর!’ —বলে চিৎকার করছে বিক্ষোভকারীরা।
এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম ইয়োনহাপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে প্রায় দেড় লাখ সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। পুলিশের হিসাব অনুযায়ী, স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৪৯ হাজার মানুষ সমাবেশে অংশ নেন। তবে আয়োজকদের দাবি—অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ১০ লাখ।
এর আগে, প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল সামরিক আইন জারির জন্য ক্ষমা চান। তবে পদত্যাগ করেননি। ক্ষমতাসীন দলের কিছু সদস্যের পক্ষ থেকে পদত্যাগের তীব্র চাপ এবং আসন্ন অভিশংসন ভোটের কয়েক ঘণ্টা আগে আজ শনিবার প্রেসিডেন্ট এ ঘোষণা দিলেন। ইউন বলেন, সামরিক আইন জারি করার জন্য আইনগত এবং রাজনৈতিক দায়িত্ব এড়ানোর কোনো চেষ্টা তিনি করবেন না। তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত ছিল একান্তই হতাশা থেকে নেওয়া।’
গত বুধবার ভোরে সামরিক আইন জারির কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে প্রত্যাহারের পর এটিই ছিল ইউনের প্রথম প্রকাশ্য বক্তব্য। আদেশ জারি করার মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যেই তা প্রত্যাহার করেন প্রেসিডেন্ট। পার্লামেন্ট সামরিক ও পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে এই আদেশের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার পর আদেশ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন তিনি।
আজ জাতির উদ্দেশে এক টেলিভিশন বক্তৃতায় ইউন বলেন, ‘আমি খুবই দুঃখিত এবং যেসব মানুষ এতে বড় ধাক্কা খেয়েছেন, তাঁদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি।’ এ সময় তিনি নত হয়ে জাতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি আমার দলের ওপর দায়িত্ব অর্পণ করছি, যাতে তারা ভবিষ্যতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার পদক্ষেপ নেয়। এর মধ্যে আমার মেয়াদ সম্পর্কিত বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
প্রেসিডেন্ট ইউনের পিপলস পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) নেতা হান ডং-হুন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট এখন আর জনগণের দায়িত্ব পালন করার অবস্থায় নেই এবং তাঁর পদত্যাগ এখন অনিবার্য।’ গতকাল শুক্রবার হান বলেছিলেন, ইউন দেশের জন্য হুমকি এবং তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। তবে পিপিপি সদস্যরা পরবর্তীতে তাঁর অভিশংসনের আনুষ্ঠানিক বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করেন।
স্থানীয় ইয়োনহাপ নিউজ জানিয়েছে, আজ হান প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সুর সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী, যদি ইউন পদত্যাগ করেন বা অভিশংসিত হন, তবে প্রধানমন্ত্রী, যিনি প্রেসিডেন্ট ইউন কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত, তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হবেন।
প্রেসিডেন্ট ইউন গত মঙ্গলবার রাতে সারা বিশ্বকে চমকে দিয়ে সামরিক বাহিনীকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি’ উৎখাত এবং বিরোধী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বাধা দূর করার জন্য জরুরি ক্ষমতা দিয়ে অধ্যাদেশ জারি করেন।
কিছু পিপিপি সদস্য ভোটের আগে ইউনকে পদত্যাগ করতে বলেছেন, কারণ তাঁরা ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন-হাইয়ের অভিশংসনের পুনরাবৃত্তি চান না। সেই সময়, ক্ষমতার অপব্যবহারের কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে মোমবাতি জ্বালিয়ে বিক্ষোভের ফলে পার্ক পদত্যাগ করেন। তাঁর পতনের ফলে দলটি ভেঙে পড়ে এবং পরবর্তী প্রেসিডেন্ট এবং সাধারণ নির্বাচনে উদারপন্থীদের বিজয় ঘটে।
সেই বিক্ষোভের স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী মোমবাতি হাতে পার্লামেন্টের বাইরে জড়ো হয়ে ইউনের অভিশংসনের দাবি জানায়। ভোটের আগে আজ আরও বড় বিক্ষোভ হতে পারে।
এদিকে পুলিশ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্ত দপ্তর ইউন এবং সামরিক আইন আদেশে জড়িত শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে।
কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অন্যদের অধিকার আদায়ে বাধা দেওয়ার সম্ভাব্য অভিযোগ আনা হতে পারে। সংশ্লিষ্টরা দোষী সাব্যস্ত হলে বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেওয়ার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিলের হামলায় ২৬ জন বেসামরিক লোক নিহত হওয়ার পর থেকে, ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, কূটনীতি এবং তথ্য ব্যবহার করে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারা দ্রুত একটি পূর্ণাঙ্গ সামরিক সংঘাতের দিকে ধাবিত হওয়ায়...
২ ঘণ্টা আগেকোরআনের প্রেক্ষাপটে, এই শব্দটি ইসলামের অনুসারীদের ঐক্য ও শক্তি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যারা আল্লাহর পথে লড়াই করছে।
২ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের সামরিক গণমাধ্যম শাখা জানিয়েছে, ভারতীয় যুদ্ধবিমান তাদের তিনটি বিমান ঘাঁটিতে আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। তবে সব কিছু নিরাপদে রয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
৩ ঘণ্টা আগেভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাত বেড়েই চলেছে। আক্রান্ত হচ্ছে বেসামরিক মানুষ। বিশেষ করে রাত গভীর হলেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত বেড়ে যাচ্ছে। আর দিনে চলে উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি দোষারোপ। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতেও ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মু ও পাঞ্জাবের পাঠানকোটে হামলা হয়েছে। জম্মু ও পাঠানকোট
৯ ঘণ্টা আগে