Ajker Patrika

মিয়ানমারের ৮০ শহরের ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন 

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৪, ১১: ২০
Thumbnail image

মিয়ানমারের সাগাইন অঞ্চলসহ বিভিন্ন রাজ্য ও অঞ্চলের অন্তত ৮০টি শহরের টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে জান্তাবাহিনী। দেশটির মানবাধিকার সংগঠন আথান মিয়ানমারের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ইরাবতী। 

আথানের বরাত দিয়ে ইরাবতী জানিয়েছে, এই ৮০ শহরের মধ্যে সাগাইন অঞ্চলেই সবচেয়ে বেশি শহর অবস্থিত। অঞ্চলটির ৩৪টি শহরের মধ্যে ২৭টিতেই কোনো ধরনের ইন্টারনেট, মোবাইল ও টেলিফোন সংযোগ একেবারেই নেই। এ ছাড়া, কায়াহ রাজ্যের সাতটি শহরের পাঁচটিতেই কোনো ধরনের টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সংযোগ নেই। 

মানবাধিকার সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ছাড়া, শান, চিন, কাচিন ও মন রাজ্যের বিভিন্ন শহর এবং তানিনথারি, মগওয়ে, বাগো ও আয়েওয়ারওয়াদির মতো শহরগুলোকেও টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।

তবে ৮০টি শহরের সবগুলোতেই ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি। কোনোটিতে দুই সংযোগের একটিও নেই, আবার কোনো কোনোটিতে ইন্টারনেট থাকলেও টেলিফোন সংযোগ নেই। কোনোটিতে আবার টেলিফোন সংযোগ থাকলেও ইন্টারনেট নেই। 

মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে জান্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। গত বছরের নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই লড়াইয়ে এএ এখন পর্যন্ত জান্তাবাহিনীর কাছ থেকে মোট ৯টি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এই সময়ে জান্তাবাহিনীর কাছে থেকে অন্তত ১৮০টি ফাঁড়ি ও ঘাঁটির দখল নিয়েছে তারা। 

আথান জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিতওয়েতে জান্তাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত টেলিযোগাযোগ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান মাইটেল ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেবা দিয়েছে। এর পর থেকে শহরটিতে মোবাইল নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট সংযোগ ও ব্রডব্যান্ড সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। 

মানবাধিকার সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগসেবা বন্ধের কারণে রাখাইন রাজ্যে ব্যাংকিং সেবা ও অনলাইন আর্থিক লেনদেন কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সংস্থাটি এই পরিস্থিতিকে বিদ্রোহীদের দমনে জান্তাবাহিনীর কৌশল হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

আথান এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এটি পরিষ্কার যে, জান্তাবাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে জনগণ ও তাদের মতকে দমন করছে। তারা তথ্যের স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ করে দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিপ্লবী কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখতে চায়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত