Ajker Patrika

প্রথমবারের মতো অস্থায়ী বাসিন্দা কমানোর পথে কানাডা

আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৪, ১১: ৩৮
প্রথমবারের মতো অস্থায়ী বাসিন্দা কমানোর পথে কানাডা

পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন দেশই অভিবাসী কমানোর পথে এগিয়ে গেছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো কানাডার নামও। দেশটি ঘোষণা দিয়েছে, শিগগির দেশটিতে থাকা অস্থায়ী বাসিন্দাদের সংখ্যা কমানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। কানাডার অভিবাসনমন্ত্রী মার্ক মিলার গতকাল বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানিয়েছেন। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত আবাসনসংকট দূর করা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নাগরিক সেবা বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি আবাসন সংকটের কারণে দেশটি বিদেশি শিক্ষার্থী কমানোর কথা ভাবছে বলে জানিয়েছিলেন মার্ক মিলার। 

সম্প্রতি কানাডায় বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। একই সঙ্গে বেড়েছে বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যাও, যার ফলে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দেশটির অস্থায়ী বাসিন্দার সংখ্যাও। মূলত এই অস্থায়ী বাসিন্দাদের বড় একটি অংশই এককালীন ভিসায় দেশটিতে গিয়েছে। বিগত কয়েক বছরে এমনটা হওয়ার কারণ ছিল, শ্রমিক ঘাটতি পুষিয়ে অর্থনীতিতে গতি আনতে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকার বিদেশিদের ওপর নির্ভর করেছিল। 

তবে সম্প্রতি কানাডা সরকার দেশটির অভিবাসননীতি নিয়ে বিরোধীদের রাজনৈতিক চাপের মুখে পড়েছে। সরকারবিরোধী অনেকের অভিযোগ, বিদেশিদের কারণে আবাসনসংকট দেখা দিয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন জরুরি সেবার ব্যাঘাত ঘটছে বিদেশিদের কারণে। 

আর তাই কানাডা সরকার আগামী তিন বছরের মধ্যে বর্তমানে যে পরিমাণ বিদেশি অস্থায়ী ভিত্তিতে কানাডায় বসবাস করছেন তাঁদের সংখ্যা প্রতি বছর সাড়ে ৬ শতাংশ হারে কমানো হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী মার্ক মিলার। তিনি জানিয়েছেন, কানাডায় বর্তমানে ২৫ লাখ অস্থায়ী বাসিন্দা আছে। 

আগামী মে মাসে বিষয়টি চূড়ান্ত করতে কানাডার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মিলার। তিনি বলেন, ‘আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, কানাডায় যে পরিমাণ অস্থায়ী বাসিন্দা প্রবেশ করছেন তা একটি গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে আছে।’ 

কানাডার কেন্দ্রীয় সরকারে অভিবাসনবিষয়ক পরবর্তী পরিকল্পনার বিষয়টি উল্লেখ করে মিলার বলেন, ‘প্রথমবারের মতো আমরা এই (অস্থায়ী বাসিন্দা) কমানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এমনকি যারা কানাডায় স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে আসতে চান, সেই পর্যায়েই আমরা বিষয়টিকে কমিয়ে আনার চেষ্টা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত