পেরুর প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলোকে অভিশংসনের মাধ্যমে অপসারণের পরে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন দিনা বোলুয়ার্তে। এর মাধ্যমে পেরু প্রথমবারের মতো একজন নারী প্রেসিডেন্ট পেল। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
দিনা বোলুয়ার্তে পেরুর ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। গতকাল বুধবার নাটকীয়ভাবে পার্লামেন্টে অভিশংসনের পর তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন। এর আগের দিন সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট কাস্তিলো বলেছিলেন, তিনি কংগ্রেসের পরিবর্তে একটি ‘ব্যতিক্রমী জরুরি সরকারের মাধ্যমে’ দেশ পরিচালনা করবেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন ভাইস প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তেসহ অন্যান্য সংসদ সদস্য। তাঁরা জরুরি বৈঠক করে প্রেসিডেন্ট কাস্তিলোকে অপসারণ করেন। এরপর তাঁকে আটক করা হয় এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
৬০ বছর বয়সী আইনজীবী দিনা বোলুয়ার্তে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এক বক্তৃতায় বলেছেন, আঁকড়ে ধরে থাকা রাজনৈতিক সংকট থেকে দেশকে বের করে আনতে তিনি চেষ্টা করবেন। এ জন্য তিনি রাজনৈতিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
বোলুয়ার্তে বলেছেন, ‘সংকট থেকে দেশকে উদ্ধার করার জন্য আমি একটু জায়গা আর একটু সময় চাই।’
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাস্তিলোকে অপসারণের ঘটনার সূত্রপাত গতকাল বুধবার। তিনি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ভাষণ দেওয়ার সময় বলেছিলেন, তিনি কংগ্রেস ভেঙে দেবেন এবং জরুরি সরকারের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করবেন। তাঁর এমন ঘোষণায় অনেকেই হতবাক হয়েছেন। বেশ কয়েকজন মন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে পদত্যাগও করেন। পেরুর সাংবিধানিক আদালতের প্রধান কাস্তিলোর বিরুদ্ধে ‘অভ্যুত্থানচেষ্টার’ অভিযোগ করেন। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানায়।
এদিকে পেরুর পুলিশ এবং সশস্ত্র বাহিনী এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, তারা সাংবিধানিক আদেশকে সম্মান করে এবং সে অনুযায়ীই কাজ করবে।
পেদ্রো কাস্তিলো গত বছরের জুনে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন। তারপর থেকে তিনি অন্তত তিনবার কংগ্রেস ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। গতকাল টেলিভিশন বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন, ‘দেশজুড়ে নাগরিকদের দাবির মুখে আমরা আইনের শাসন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি ব্যতিক্রমী সরকার প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নতুন সংবিধান প্রণয়ন ও নতুন কংগ্রেস গঠন করা হবে। আশা করি ৯ মাসের মধ্যেই তা করা সম্ভব হবে।’
কংগ্রেস কাস্তিলোর বিরোধী দল নিয়ন্ত্রিত। তাঁরা জরুরি অধিবেশন ডাকে এবং অভিশংসন ভোটের মাধ্যমে কাস্তিলোকে প্রতিরোধ করে। কাস্তিলোকে অপসারণের পক্ষে ১০১টি ভোট পড়ে। মাত্র ছয়টি ভোট বিপক্ষে পড়ে এবং ১০ জন কংগ্রেস সদস্য ভোটদানে বিরত ছিলেন।
পেরু একটি কঠিন রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক প্রেসিডেন্টকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালে মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে পাঁচজন প্রেসিডেন্ট পেয়েছিল পেরু।
পেরুর প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলোকে অভিশংসনের মাধ্যমে অপসারণের পরে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন দিনা বোলুয়ার্তে। এর মাধ্যমে পেরু প্রথমবারের মতো একজন নারী প্রেসিডেন্ট পেল। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
দিনা বোলুয়ার্তে পেরুর ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। গতকাল বুধবার নাটকীয়ভাবে পার্লামেন্টে অভিশংসনের পর তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন। এর আগের দিন সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট কাস্তিলো বলেছিলেন, তিনি কংগ্রেসের পরিবর্তে একটি ‘ব্যতিক্রমী জরুরি সরকারের মাধ্যমে’ দেশ পরিচালনা করবেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন ভাইস প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তেসহ অন্যান্য সংসদ সদস্য। তাঁরা জরুরি বৈঠক করে প্রেসিডেন্ট কাস্তিলোকে অপসারণ করেন। এরপর তাঁকে আটক করা হয় এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
৬০ বছর বয়সী আইনজীবী দিনা বোলুয়ার্তে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এক বক্তৃতায় বলেছেন, আঁকড়ে ধরে থাকা রাজনৈতিক সংকট থেকে দেশকে বের করে আনতে তিনি চেষ্টা করবেন। এ জন্য তিনি রাজনৈতিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
বোলুয়ার্তে বলেছেন, ‘সংকট থেকে দেশকে উদ্ধার করার জন্য আমি একটু জায়গা আর একটু সময় চাই।’
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাস্তিলোকে অপসারণের ঘটনার সূত্রপাত গতকাল বুধবার। তিনি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ভাষণ দেওয়ার সময় বলেছিলেন, তিনি কংগ্রেস ভেঙে দেবেন এবং জরুরি সরকারের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করবেন। তাঁর এমন ঘোষণায় অনেকেই হতবাক হয়েছেন। বেশ কয়েকজন মন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে পদত্যাগও করেন। পেরুর সাংবিধানিক আদালতের প্রধান কাস্তিলোর বিরুদ্ধে ‘অভ্যুত্থানচেষ্টার’ অভিযোগ করেন। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানায়।
এদিকে পেরুর পুলিশ এবং সশস্ত্র বাহিনী এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, তারা সাংবিধানিক আদেশকে সম্মান করে এবং সে অনুযায়ীই কাজ করবে।
পেদ্রো কাস্তিলো গত বছরের জুনে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন। তারপর থেকে তিনি অন্তত তিনবার কংগ্রেস ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। গতকাল টেলিভিশন বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন, ‘দেশজুড়ে নাগরিকদের দাবির মুখে আমরা আইনের শাসন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি ব্যতিক্রমী সরকার প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নতুন সংবিধান প্রণয়ন ও নতুন কংগ্রেস গঠন করা হবে। আশা করি ৯ মাসের মধ্যেই তা করা সম্ভব হবে।’
কংগ্রেস কাস্তিলোর বিরোধী দল নিয়ন্ত্রিত। তাঁরা জরুরি অধিবেশন ডাকে এবং অভিশংসন ভোটের মাধ্যমে কাস্তিলোকে প্রতিরোধ করে। কাস্তিলোকে অপসারণের পক্ষে ১০১টি ভোট পড়ে। মাত্র ছয়টি ভোট বিপক্ষে পড়ে এবং ১০ জন কংগ্রেস সদস্য ভোটদানে বিরত ছিলেন।
পেরু একটি কঠিন রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক প্রেসিডেন্টকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালে মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে পাঁচজন প্রেসিডেন্ট পেয়েছিল পেরু।
অভিবাসীবিরোধী অভিযানের প্রতিবাদে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ চলছে ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে। ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বিক্ষোভ সমাবেশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিক্ষোভকারীরা মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। অগ্নিগর্ভে পরিণত হওয়া লস অ্যাঞ্জেলেসে প্রতিবাদকারীদের পিছু হটাতে কাঁদানে গ্যাস, ফ্ল্যাশ
১১ মিনিট আগেম্যাডলিনে থাকা মানবাধিকার কর্মীরা বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আগে জানান, স্থানীয় সময় রোববার রাত ১টার কিছু পর তাদের জাহাজের দিকে চারটি স্পিডবোট এগিয়ে আসে। এরপর দুটো ড্রোন উড়ে এসে জাহাজের ওপর একটি সাদা রাসায়নিক স্প্রে করে, সেটি ঠিক কী তা তারা বুঝতে পারেন নি। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত
২ ঘণ্টা আগেতৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র জীবনে নতুন অধ্যায় শুরু করলেন প্রাক্তন বিজেডি নেতা পিনাকী মিশ্রকে বিয়ে করে। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আত্মীয়দের উপস্থিতিতে জার্মানির বার্লিনে এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। অনেকেই জানতে চাইছেন—কে এই পিনাকী মিশ্র, যিনি মহুয়ার সঙ্গী হলেন জীবনের পথে?
১৫ ঘণ্টা আগেশনিবার সান বার্নার্ডিনো কাউন্টি থেকে ন্যাশনাল গার্ডের প্রথম দলটি ক্যালিফোর্নিয়ায় পৌঁছায়। বর্তমানে তারা শহরের সবচেয়ে বড় আটক কেন্দ্রের (মেট্রোপলিটন ডিটেনশন ক্যাম্প এলএ) বাইরে জড়ো হচ্ছে। অবৈধ অভিবাসীদের আটকের পর এখানেই রাখা হয় বলে জানা গেছে।
১৬ ঘণ্টা আগে