Ajker Patrika

‘দোলনায় যেভাবে শিশু দোলে, সেভাবে দুলছিলাম’

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪: ২৮
‘দোলনায় যেভাবে শিশু দোলে, সেভাবে দুলছিলাম’

সিরিয়া ও তুরস্কের উত্তর-দক্ষিণ সীমান্তবর্তী এলাকায় গতকাল সোমবার ভোরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত উভয় দেশের ৪ হাজার ৩০০ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। শত শত ভবন ধসে পড়েছে। আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। প্রাণে বেঁচে যাওয়া প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই জানাচ্ছেন তাঁদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। 

তুরস্কের গাজিয়ানটেপ শহরের বাসিন্দা এরডেম ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমার ৪০ বছরের জীবনে এমন ভয়াবহ ভূমিকম্প দেখিনি। অন্তত তিনবার প্রবল ঝাঁকুনি খেয়েছি। দোলনায় যেভাবে শিশুরা দোলে, সেভাবে দুলছিলাম।’ 

উত্তরাঞ্চলীয় শহর কাহরামানমারাসের পাজারসিক জেলায় শত শত ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। এ অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দা ভেসেল শেরভান বলেছেন, ‘আমার অনেক আত্মীয় এখন ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। জানি না, তারা বেঁচে আছে কি না।’ 

গতকালের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘আমি কোনোমতে বিধ্বস্ত ভবন থেকে বের হতে পেরেছি। আমার সঙ্গে পরিবারের কয়েকজন বের হতে পেরেছে। কিন্তু বেশির ভাগ আটকা পড়ে আছে। যখন ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে বের হয়ে আসছিলাম, তখন দেখলাম, এক ব্যক্তি ছোট একটি ফোকর দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করছে। আমার এক বন্ধু ওই ব্যাক্তিকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যায়, আর ঠিক সেই মুহূর্তেই ওপর থেকে ভবনের আরেকটি অংশ তাদের ওপর ধসে পড়ে। তারা আর বের হতে পারেনি। এখন কী অবস্থায় আছে জানি না। আমরা খুব ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।’ 

একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে দাবানলের মতো আগুন জ্বলছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করছে, ভূমিকম্পের কারণে গ্যাসের পাইপলাইন ফেটে গিয়ে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। বিবিসি এ ভিডিও ফুটেজ যাচাই করে জানতে পেরেছে, ঘটনাটি ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরের শহর হাতায় ঘটেছে। ড্রোন থেকে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, হাতায় অসংখ্য ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। 

গাজিয়ানটেপের বাসিন্দা রাসেল পেগ্রাম প্রতিবেশীদের ভবন থেকে বের হতে সাহায্য করেছিলেন। তিনি সেই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘আমরা প্রতিবেশীরা দলবদ্ধ হয়ে কাজ করেছিলাম। যাদের গাড়িতে জায়গা ছিল, তারা আগে বৃদ্ধদের গাড়িতে জায়গা দিয়েছিলাম। কারণ তারা দৌড়াতে পারবে না।’ 

রোমান আমলে গাজিয়ানটেপ ছিল একটি সুরক্ষিত দুর্গ। সেখানকার শিরভান মসজিদ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। 

তুরস্কের একটি টেলিভিশন মালাটিয়া শহরে দ্বিতীয় ভূমিকম্পের মুহূর্তটি ধারণ করতে পেরেছে। অন্যদিকে সানলিউরফাত শহরের একজন প্রত্যক্ষদর্শী একটি ভবন ধ্বংসের মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করেছেন। 

সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আজাজের একজন বাসিন্দা বলেছেন, ‘এখানে অন্তত ১২টি পরিবার ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে। তারা কেউ বের হতে পারেনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বনশ্রীতে স্বর্ণ ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার আমিনুল ছাত্রলীগের, সুমন শ্রমিক দলের নেতা

মুসলিম ছেলে বিয়ে করে পরিবারহারা, স্বামী পরিত্যক্ত হয়ে ঢাকায় এসে ধর্ষণের শিকার

সামরিক বাহিনীর ৮ সংস্থা ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন

মাদারীপুরে ৩ খুন: ঘটনার পেছনে পা ভাঙার প্রতিশোধসহ ৩ কারণ

মসজিদে লুকিয়েও রক্ষা পেলেন না স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও তাঁর ভাই, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিল প্রতিপক্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত