আজকের পত্রিকা ডেস্ক

লাতিন আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) অতীত বেশ নোংরা। বর্তমানে ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে সংস্থাটির পরিকল্পনা স্পষ্ট নয়। তবে ইতিহাসই ইঙ্গিত দেয়, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে তাদের কার্যক্রম কেমন ছিল।
১৮০০ সালের শেষ দিক থেকে ২০ শতকের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র মধ্য আমেরিকায় একের পর এক সামরিক হস্তক্ষেপ চালায়—যা ‘ব্যানানা যুদ্ধ’ নামে পরিচিত। এই যুদ্ধগুলোর মূল লক্ষ্য ছিল ওই অঞ্চলে ব্যবসা করা মার্কিন করপোরেট কোম্পানিগুলোর স্বার্থ রক্ষা।
১৯৩৪ সালে প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডিলানো রুজভেল্টের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র ‘গুড নেইবার পলিসি বা ভালো প্রতিবেশী নীতি’ গ্রহণ করে। এই নীতির আওতায় দেশটি লাতিন আমেরিকার রাষ্ট্রগুলোতে আর আগ্রাসন চালাবে না বা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না—এমন প্রতিশ্রুতি দেয়।
তবে এই ‘ভালো প্রতিবেশী’ ভাব দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। স্নায়ুযুদ্ধের সময় বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে নির্বাচিত বামপন্থী সরকারগুলোকে উৎখাতের জন্য নানা গোপন তৎপরতায় অর্থ ও সহায়তা দেয়।
১৯৫০-এর দশক: গুয়াতেমালা
১৯৫৪ সালে গুয়াতেমালার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জ্যাকব আরবেনজকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডুইট আইজেনহাওয়ারের আমলে সিআইএর সহযোগিতায় স্থানীয় যোদ্ধারা উৎখাত করে। আরবেনজ মার্কিন মালিকানাধীন এক কোম্পানিকে জাতীয়করণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন, যা যুক্তরাষ্ট্রে সমাজতন্ত্রের আশঙ্কা সৃষ্টি করে।
সিআইএর ‘অপারেশন পিবি সাকসেস’-এর অধীনে সামরিক কর্মকর্তা কার্লোস কাস্তিয়ো আরমাসের নেতৃত্বে প্রশিক্ষিত বাহিনী তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এরপর ১৯৬০ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলে।
১৯৬০-এর দশক: কিউবা
১৯৫৯ সালে ফিদেল কাস্ত্রো বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরশাসক ফুলহেনসিও বাতিস্তাকে উৎখাত করে কিউবায় কমিউনিস্ট সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। আইজেনহাওয়ারের শাসনামলে সিআইএ কিউবান নির্বাসিতদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কাস্ত্রোকে উৎখাতের পরিকল্পনা করে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর জন এফ কেনেডিকে পরিকল্পনাটি জানানো হয়।
কিন্তু কাস্ত্রোর গোয়েন্দারা আগেই পরিকল্পনাটি জেনে যায়। ১৯৬১ সালে কেনেডি ‘বে অব পিগস’ অভিযানে অনুমোদন দেন। তবে কিউবান সেনাবাহিনীর হাতে অভিযানটি ব্যর্থ হয়।
১৯৬০-এর দশক: ব্রাজিল
১৯৬১ সালে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হন জোয়াও গুলার্ত; যিনি সমাজ ও অর্থনৈতিক সংস্কারের নীতি নেন। তিনি কিউবা ও অন্যান্য সমাজতান্ত্রিক দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতেন এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আইটিটি কোম্পানির একটি শাখা জাতীয়করণ করেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় সিআইএ প্রো-আমেরিকান রাজনীতিক ও দলগুলোকে অর্থায়ন করে এবং গুলার্তের নেতৃত্বকে দুর্বল করে। ১৯৬৪ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে গুলার্ত ক্ষমতাচ্যুত হন এবং ব্রাজিলে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত সামরিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৬০-এর দশক: ইকুয়েডর
দীর্ঘ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার পর ১৯৫০-এর দশকে ইকুয়েডরে কিছুটা স্থিতি ফিরলেও ১৯৬০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন হয়। প্রেসিডেন্ট হোসে ভেলাসকো ইবারা ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কার্লোস হুলিও আরোসেমেনা সোভিয়েত ব্লকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক শুরুর উদ্যোগ নেন।
সিআইএ মার্কিন শ্রমিক সংগঠনগুলোর সহায়তা নিয়ে দেশটিতে অ্যান্টি-কমিউনিস্ট প্রচারণা চালায়। এক সিআইএ কর্মকর্তা পরে বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত আমরা ইকুয়েডরের প্রায় সব প্রভাবশালী ব্যক্তিকেই কিনে ফেলেছিলাম।’ ১৯৬৩ সালে সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়ে আরোসেমেনাকে সরিয়ে দেয়, কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ করে এবং কিউবার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে।
১৯৬০ ও ৭০-এর দশক: বলিভিয়া
১৯৬৩-৬৪ সালে সিআইএ গোপনে বলিভিয়ার রাজনীতিতে অর্থ ঢালে এবং যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত নেতাদের পক্ষে কাজ করে।
১৯৬৪ সালে জেনারেল রেনে বারিয়েন্তোস নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ভিক্টর পাজ এস্তেনসোরোকে উৎখাত করেন। পরে ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় হুগো বানজার সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে প্রেসিডেন্ট হন। ওয়াশিংটন তাঁর সরকারকে অর্থ সহায়তা দেয়।
১৯৭০-এর দশক: চিলি
চিলির নির্বাচিত বামপন্থী প্রেসিডেন্ট সালভাদর আলেন্দেকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সিআইএ অর্থায়ন করে। আলেন্দে মার্কিন মালিকানাধীন তামার কোম্পানিগুলো জাতীয়করণের পরিকল্পনা করেছিলেন। ১৯৭৩ সালে জেনারেল অগাস্টো পিনোশে অভ্যুত্থান ঘটান। আলেন্দে বন্দী হওয়ার আগেই আত্মহত্যা করেন। পরবর্তী ১৭ বছর চিলি ছিল পিনোশের নেতৃত্বে এক নির্মম মার্কিন-সমর্থিত একনায়কতন্ত্রের অধীনে।
১৯৭৫: অপারেশন কনডোর
প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের আমলে সিআইএ লাতিন আমেরিকার ছয়টি দেশের সামরিক একনায়কতন্ত্রকে সহায়তা করে ‘অপারেশন কনডোর’ নামে এক আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে। দেশগুলো হলো—আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চিলে, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ে। উদ্দেশ্য ছিল বামপন্থী কর্মী ও ভিন্নমতাবলম্বীদের নির্মূল করা। বন্দী বিনিময়, গোয়েন্দা তথ্য শেয়ার এবং নির্যাতনের কৌশল আদান-প্রদান করা হতো। এতে অন্তত ৯৭ জনকে হত্যা করা হয়।
১৯৮০-এর দশক: এল সালভাদর
১৯৮১ সালে মার্কিন প্রশিক্ষিত এলিট ‘আতলাকাতল ব্যাটালিয়ন’ এল সালভাদরের এল মোজোতে গ্রামে প্রায় এক হাজার সাধারণ মানুষকে হত্যা করে—যার মধ্যে নারী ও শিশুরাও ছিল। যুক্তরাষ্ট্র এল সালভাদরের গৃহযুদ্ধে (১৯৮০— ৯২) সরকারকে বড় আকারে সামরিক সহায়তা দেয়, বামপন্থী বিদ্রোহ দমন করতে।
১৯৮০-এর দশক: গ্রেনাডা
গ্রেনাডায় ১৯৭৯ সালে মউরিস বিশপ মার্ক্সবাদী নীতি গ্রহণ করে ক্ষমতা দখল করেন। ১৯৮৩ সালে তাঁর দলের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করে। কিউবান প্রভাব ঠেকাতে তারা গ্রেনাডায় আক্রমণ চালায়, কিউবানদের আটক করে এবং দেশটির ভবিষ্যৎকে ওয়াশিংটনের পক্ষে নিয়ে যায়।
১৯৮৯: পানামা
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের আমলে যুক্তরাষ্ট্র ‘অপারেশন জাস্ট কজ’ নামে পানামায় হামলা চালায়।
তারা প্রেসিডেন্ট মানুয়েল নোরিয়েগাকে মাদক পাচারের অভিযোগে সরানোর যুক্তি দেয়। তবে এতে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে, যা যুক্তরাষ্ট্র পরে ছোট করে দেখায়।
এই দীর্ঘ ইতিহাস প্রমাণ করে যে লাতিন আমেরিকায় সিআইএর ভূমিকাকে ‘গণতন্ত্র রক্ষার অভিযান’ বলা হলেও বাস্তবে তা ছিল রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষার এক নোংরা অধ্যায়।
সূত্র: আল জাজিরা

লাতিন আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) অতীত বেশ নোংরা। বর্তমানে ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে সংস্থাটির পরিকল্পনা স্পষ্ট নয়। তবে ইতিহাসই ইঙ্গিত দেয়, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে তাদের কার্যক্রম কেমন ছিল।
১৮০০ সালের শেষ দিক থেকে ২০ শতকের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র মধ্য আমেরিকায় একের পর এক সামরিক হস্তক্ষেপ চালায়—যা ‘ব্যানানা যুদ্ধ’ নামে পরিচিত। এই যুদ্ধগুলোর মূল লক্ষ্য ছিল ওই অঞ্চলে ব্যবসা করা মার্কিন করপোরেট কোম্পানিগুলোর স্বার্থ রক্ষা।
১৯৩৪ সালে প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডিলানো রুজভেল্টের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র ‘গুড নেইবার পলিসি বা ভালো প্রতিবেশী নীতি’ গ্রহণ করে। এই নীতির আওতায় দেশটি লাতিন আমেরিকার রাষ্ট্রগুলোতে আর আগ্রাসন চালাবে না বা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না—এমন প্রতিশ্রুতি দেয়।
তবে এই ‘ভালো প্রতিবেশী’ ভাব দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। স্নায়ুযুদ্ধের সময় বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে নির্বাচিত বামপন্থী সরকারগুলোকে উৎখাতের জন্য নানা গোপন তৎপরতায় অর্থ ও সহায়তা দেয়।
১৯৫০-এর দশক: গুয়াতেমালা
১৯৫৪ সালে গুয়াতেমালার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জ্যাকব আরবেনজকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডুইট আইজেনহাওয়ারের আমলে সিআইএর সহযোগিতায় স্থানীয় যোদ্ধারা উৎখাত করে। আরবেনজ মার্কিন মালিকানাধীন এক কোম্পানিকে জাতীয়করণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন, যা যুক্তরাষ্ট্রে সমাজতন্ত্রের আশঙ্কা সৃষ্টি করে।
সিআইএর ‘অপারেশন পিবি সাকসেস’-এর অধীনে সামরিক কর্মকর্তা কার্লোস কাস্তিয়ো আরমাসের নেতৃত্বে প্রশিক্ষিত বাহিনী তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এরপর ১৯৬০ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলে।
১৯৬০-এর দশক: কিউবা
১৯৫৯ সালে ফিদেল কাস্ত্রো বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরশাসক ফুলহেনসিও বাতিস্তাকে উৎখাত করে কিউবায় কমিউনিস্ট সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। আইজেনহাওয়ারের শাসনামলে সিআইএ কিউবান নির্বাসিতদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কাস্ত্রোকে উৎখাতের পরিকল্পনা করে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর জন এফ কেনেডিকে পরিকল্পনাটি জানানো হয়।
কিন্তু কাস্ত্রোর গোয়েন্দারা আগেই পরিকল্পনাটি জেনে যায়। ১৯৬১ সালে কেনেডি ‘বে অব পিগস’ অভিযানে অনুমোদন দেন। তবে কিউবান সেনাবাহিনীর হাতে অভিযানটি ব্যর্থ হয়।
১৯৬০-এর দশক: ব্রাজিল
১৯৬১ সালে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হন জোয়াও গুলার্ত; যিনি সমাজ ও অর্থনৈতিক সংস্কারের নীতি নেন। তিনি কিউবা ও অন্যান্য সমাজতান্ত্রিক দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতেন এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আইটিটি কোম্পানির একটি শাখা জাতীয়করণ করেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় সিআইএ প্রো-আমেরিকান রাজনীতিক ও দলগুলোকে অর্থায়ন করে এবং গুলার্তের নেতৃত্বকে দুর্বল করে। ১৯৬৪ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে গুলার্ত ক্ষমতাচ্যুত হন এবং ব্রাজিলে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত সামরিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৬০-এর দশক: ইকুয়েডর
দীর্ঘ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার পর ১৯৫০-এর দশকে ইকুয়েডরে কিছুটা স্থিতি ফিরলেও ১৯৬০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন হয়। প্রেসিডেন্ট হোসে ভেলাসকো ইবারা ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কার্লোস হুলিও আরোসেমেনা সোভিয়েত ব্লকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক শুরুর উদ্যোগ নেন।
সিআইএ মার্কিন শ্রমিক সংগঠনগুলোর সহায়তা নিয়ে দেশটিতে অ্যান্টি-কমিউনিস্ট প্রচারণা চালায়। এক সিআইএ কর্মকর্তা পরে বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত আমরা ইকুয়েডরের প্রায় সব প্রভাবশালী ব্যক্তিকেই কিনে ফেলেছিলাম।’ ১৯৬৩ সালে সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়ে আরোসেমেনাকে সরিয়ে দেয়, কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ করে এবং কিউবার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে।
১৯৬০ ও ৭০-এর দশক: বলিভিয়া
১৯৬৩-৬৪ সালে সিআইএ গোপনে বলিভিয়ার রাজনীতিতে অর্থ ঢালে এবং যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত নেতাদের পক্ষে কাজ করে।
১৯৬৪ সালে জেনারেল রেনে বারিয়েন্তোস নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ভিক্টর পাজ এস্তেনসোরোকে উৎখাত করেন। পরে ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় হুগো বানজার সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে প্রেসিডেন্ট হন। ওয়াশিংটন তাঁর সরকারকে অর্থ সহায়তা দেয়।
১৯৭০-এর দশক: চিলি
চিলির নির্বাচিত বামপন্থী প্রেসিডেন্ট সালভাদর আলেন্দেকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সিআইএ অর্থায়ন করে। আলেন্দে মার্কিন মালিকানাধীন তামার কোম্পানিগুলো জাতীয়করণের পরিকল্পনা করেছিলেন। ১৯৭৩ সালে জেনারেল অগাস্টো পিনোশে অভ্যুত্থান ঘটান। আলেন্দে বন্দী হওয়ার আগেই আত্মহত্যা করেন। পরবর্তী ১৭ বছর চিলি ছিল পিনোশের নেতৃত্বে এক নির্মম মার্কিন-সমর্থিত একনায়কতন্ত্রের অধীনে।
১৯৭৫: অপারেশন কনডোর
প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের আমলে সিআইএ লাতিন আমেরিকার ছয়টি দেশের সামরিক একনায়কতন্ত্রকে সহায়তা করে ‘অপারেশন কনডোর’ নামে এক আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে। দেশগুলো হলো—আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চিলে, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ে। উদ্দেশ্য ছিল বামপন্থী কর্মী ও ভিন্নমতাবলম্বীদের নির্মূল করা। বন্দী বিনিময়, গোয়েন্দা তথ্য শেয়ার এবং নির্যাতনের কৌশল আদান-প্রদান করা হতো। এতে অন্তত ৯৭ জনকে হত্যা করা হয়।
১৯৮০-এর দশক: এল সালভাদর
১৯৮১ সালে মার্কিন প্রশিক্ষিত এলিট ‘আতলাকাতল ব্যাটালিয়ন’ এল সালভাদরের এল মোজোতে গ্রামে প্রায় এক হাজার সাধারণ মানুষকে হত্যা করে—যার মধ্যে নারী ও শিশুরাও ছিল। যুক্তরাষ্ট্র এল সালভাদরের গৃহযুদ্ধে (১৯৮০— ৯২) সরকারকে বড় আকারে সামরিক সহায়তা দেয়, বামপন্থী বিদ্রোহ দমন করতে।
১৯৮০-এর দশক: গ্রেনাডা
গ্রেনাডায় ১৯৭৯ সালে মউরিস বিশপ মার্ক্সবাদী নীতি গ্রহণ করে ক্ষমতা দখল করেন। ১৯৮৩ সালে তাঁর দলের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করে। কিউবান প্রভাব ঠেকাতে তারা গ্রেনাডায় আক্রমণ চালায়, কিউবানদের আটক করে এবং দেশটির ভবিষ্যৎকে ওয়াশিংটনের পক্ষে নিয়ে যায়।
১৯৮৯: পানামা
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের আমলে যুক্তরাষ্ট্র ‘অপারেশন জাস্ট কজ’ নামে পানামায় হামলা চালায়।
তারা প্রেসিডেন্ট মানুয়েল নোরিয়েগাকে মাদক পাচারের অভিযোগে সরানোর যুক্তি দেয়। তবে এতে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে, যা যুক্তরাষ্ট্র পরে ছোট করে দেখায়।
এই দীর্ঘ ইতিহাস প্রমাণ করে যে লাতিন আমেরিকায় সিআইএর ভূমিকাকে ‘গণতন্ত্র রক্ষার অভিযান’ বলা হলেও বাস্তবে তা ছিল রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষার এক নোংরা অধ্যায়।
সূত্র: আল জাজিরা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২৯ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসছেন। আজ সোমবার ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র বৈঠকের তারিখটি নিশ্চিত করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে আলোচিত একটি হত্যা মামলায় সাবেক পুরুষ নার্স রাজবিন্দর সিংকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ৪১ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ২০১৮ সালে টোইয়া কর্ডিঙ্গলি নামে ২৪ বছর বয়সী এক তরুণীকে নির্মমভাবে হত্যা করেন।
৬ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ সোমবার সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ের সময় বলেন, ‘গণতন্ত্র এবং পাকিস্তান একসঙ্গে যায় না।’ প্রতিবেশী দেশের গণতন্ত্রের অবস্থা, বিশেষ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান...
৬ ঘণ্টা আগে
জাপানের উত্তর উপকূলে আঘাত হেনেছে ৭.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। এরপরই উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সময় সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে হোক্কাইডো অঞ্চলের উপকূল থেকে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২৯ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসছেন। আজ সোমবার ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র বৈঠকের তারিখটি নিশ্চিত করেছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের প্রাথমিক ঘোষণা আসে। তবে আজ ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র শশ বেদ্রোসিয়ান অনলাইন ব্রিফিংয়ে বৈঠকের প্রধান আলোচ্যসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান।
বৈঠকে নেতানিয়াহু ও ট্রাম্প গাজার যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ এবং ভবিষ্যতের পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন। এ ছাড়া যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) মোতায়েনের বিষয়টি নিয়েও কথা হবে।
গতকাল রোববার নেতানিয়াহু বলেছিলেন, বৈঠকের মূল লক্ষ্য হবে গাজায় হামাসের শাসনের অবসান করা এবং হামাস যেন যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় দেওয়া ‘প্রতিশ্রুতি’ (নিরস্ত্রীকরণ) পূরণ করে, তা নিশ্চিত করা। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ ‘আরও কঠিন’ হবে।
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে প্রধানত ইসরায়েলি বন্দী ও ইসরায়েলের হাতে আটক ফিলিস্তিনিদের বিনিময় এবং গাজার কিছু অংশ থেকে ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। দ্বিতীয় ধাপের চুক্তিতে যুদ্ধপরবর্তী গাজা প্রশাসন নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা, যা একটি অত্যন্ত জটিল ও বহুলাংশে অমীমাংসিত বিষয়। এই ধাপে নেতৃত্ব, ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং আইএসএফ বাহিনীর ভূমিকা নির্ধারণ করা বাকি রয়েছে।
গত ১০ অক্টোবর থেকে মার্কিন মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী ৫৯০ বারের বেশি এই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে বলে জানা গেছে। যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় অন্তত ৩৬০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
এদিকে, বৈঠকটি এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়ার নতুন সরকারের সঙ্গে ইসরায়েলকে একটি নতুন নিরাপত্তা চুক্তি করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। গত সপ্তাহে তিনি সামাজিক মাধ্যমে ইসরায়েলকে সিরিয়ার সঙ্গে ‘শক্তিশালী ও ফলপ্রসূ সংলাপের’ আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে সিরিয়ায় ইসরায়েলের বারবার অনুপ্রবেশ এবং বিমান হামলা সেই আলোচনাকে বহুলাংশে ব্যাহত করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২৯ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসছেন। আজ সোমবার ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র বৈঠকের তারিখটি নিশ্চিত করেছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের প্রাথমিক ঘোষণা আসে। তবে আজ ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র শশ বেদ্রোসিয়ান অনলাইন ব্রিফিংয়ে বৈঠকের প্রধান আলোচ্যসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান।
বৈঠকে নেতানিয়াহু ও ট্রাম্প গাজার যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ এবং ভবিষ্যতের পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন। এ ছাড়া যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) মোতায়েনের বিষয়টি নিয়েও কথা হবে।
গতকাল রোববার নেতানিয়াহু বলেছিলেন, বৈঠকের মূল লক্ষ্য হবে গাজায় হামাসের শাসনের অবসান করা এবং হামাস যেন যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় দেওয়া ‘প্রতিশ্রুতি’ (নিরস্ত্রীকরণ) পূরণ করে, তা নিশ্চিত করা। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ ‘আরও কঠিন’ হবে।
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে প্রধানত ইসরায়েলি বন্দী ও ইসরায়েলের হাতে আটক ফিলিস্তিনিদের বিনিময় এবং গাজার কিছু অংশ থেকে ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। দ্বিতীয় ধাপের চুক্তিতে যুদ্ধপরবর্তী গাজা প্রশাসন নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা, যা একটি অত্যন্ত জটিল ও বহুলাংশে অমীমাংসিত বিষয়। এই ধাপে নেতৃত্ব, ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং আইএসএফ বাহিনীর ভূমিকা নির্ধারণ করা বাকি রয়েছে।
গত ১০ অক্টোবর থেকে মার্কিন মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী ৫৯০ বারের বেশি এই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে বলে জানা গেছে। যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় অন্তত ৩৬০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
এদিকে, বৈঠকটি এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়ার নতুন সরকারের সঙ্গে ইসরায়েলকে একটি নতুন নিরাপত্তা চুক্তি করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। গত সপ্তাহে তিনি সামাজিক মাধ্যমে ইসরায়েলকে সিরিয়ার সঙ্গে ‘শক্তিশালী ও ফলপ্রসূ সংলাপের’ আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে সিরিয়ায় ইসরায়েলের বারবার অনুপ্রবেশ এবং বিমান হামলা সেই আলোচনাকে বহুলাংশে ব্যাহত করেছে।

১৯৩৪ সালে প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডিলানো রুজভেল্টের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র ‘গুড নেইবার পলিসি বা ভালো প্রতিবেশী নীতি’ গ্রহণ করে। এই নীতির আওতায় দেশটি লাতিন আমেরিকার রাষ্ট্রগুলোতে আর আগ্রাসন চালাবে না বা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না—এমন প্রতিশ্রুতি দেয়।
১৭ অক্টোবর ২০২৫
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে আলোচিত একটি হত্যা মামলায় সাবেক পুরুষ নার্স রাজবিন্দর সিংকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ৪১ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ২০১৮ সালে টোইয়া কর্ডিঙ্গলি নামে ২৪ বছর বয়সী এক তরুণীকে নির্মমভাবে হত্যা করেন।
৬ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ সোমবার সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ের সময় বলেন, ‘গণতন্ত্র এবং পাকিস্তান একসঙ্গে যায় না।’ প্রতিবেশী দেশের গণতন্ত্রের অবস্থা, বিশেষ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান...
৬ ঘণ্টা আগে
জাপানের উত্তর উপকূলে আঘাত হেনেছে ৭.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। এরপরই উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সময় সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে হোক্কাইডো অঞ্চলের উপকূল থেকে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে আলোচিত একটি হত্যা মামলায় সাবেক পুরুষ নার্স রাজবিন্দর সিংকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ৪১ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ২০১৮ সালে টোইয়া কর্ডিঙ্গলি নামে ২৪ বছর বয়সী এক তরুণীকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। সোমবার জুরি বোর্ডের সদস্যরা তাঁকে দোষী ঘোষণা করলে আদালতে উপস্থিত মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বিবিসি জানিয়েছে, টোইয়া কর্ডিঙ্গলিকে অন্তত ২৬ বার ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছুরিকাঘাত করা হয়। সেদিন বিকেলে তিনি তাঁর কুকুর নিয়ে সমুদ্র সৈকতে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। পরদিন সমুদ্রসৈকতের বালিয়াড়িতে অর্ধেক ঢেকে থাকা অবস্থায় মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেন তাঁর বাবা। কুইন্সল্যান্ডের কেয়ার্নস ও পোর্ট ডগলাস—এই দুই জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রের মাঝখানে অবস্থিত ওই সৈকতটি।
মামলার শুনানিতে আদালত জানান, কর্ডিঙ্গলিকে বারবার ছুরিকাঘাত করা হয় এবং তাঁর দেহ অগভীর বালুকাময় গর্তে ফেলে রাখা হয়—যেখানে তার বেঁচে থাকার কোনো আশাই ছিল না।
অভিযুক্ত রাজবিন্দর সেই সময়টিতে কুইন্সল্যান্ডের ইনিসফেইল এলাকায় বসবাস করতেন, যা হত্যার স্থান থেকে প্রায় দুই ঘণ্টার দূরত্বে। তদন্ত শুরু হওয়ার পরপরই পুলিশের সন্দেহ তাঁর ওপর গিয়ে পড়ে। তবে সেই সময়ই তিনি হঠাৎ অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। ফেলে রেখে যান তাঁর স্ত্রী, তিন সন্তান এবং বাবা-মাকে।
চার বছর ভারতে লুকিয়ে থাকার পর অবশেষে তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় অস্ট্রেলিয়ায়। গত মার্চে এই মামলাটির প্রথম বিচার প্রক্রিয়া জুরি বোর্ডের অমতজনিত কারণে স্থগিত হয়েছিল। দ্বিতীয় দফার বিচার শেষে এবার তাঁকে দোষী ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রসিকিউটররা মত দিয়েছেন, রাজবিন্দরের হঠাৎ দেশত্যাগই তাঁর অপরাধবোধের প্রমাণ। ফরেনসিক প্রমাণও তাঁকেই দোষী সাব্যস্ত করে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা একটি কাঠির ওপর পাওয়া ডিএনএ নমুনা অন্য কারও নয়, বরং রাজবিন্দরের হওয়ার সম্ভাবনা ছিল ৩.৮ বিলিয়ন গুণ বেশি। এ ছাড়া কর্ডিঙ্গলির মোবাইল ফোনের গতিবিধি এবং সিংয়ের গাড়ির অবস্থান হত্যাকাণ্ডের সময়ের সঙ্গে মিলে যায়।
টোইয়া কর্ডিঙ্গলি স্থানীয় স্বাস্থ্য পণ্যের দোকানে কাজ করতেন এবং পশু উদ্ধারকারী সংগঠনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর কুইন্সল্যান্ড জুড়ে ব্যাপক শোক দেখা দেয়।
দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর রাজবিন্দর সিংকে আগামী মঙ্গলবার সাজা ঘোষণার জন্য আবার আদালতে হাজির করা হবে।

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে আলোচিত একটি হত্যা মামলায় সাবেক পুরুষ নার্স রাজবিন্দর সিংকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ৪১ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ২০১৮ সালে টোইয়া কর্ডিঙ্গলি নামে ২৪ বছর বয়সী এক তরুণীকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। সোমবার জুরি বোর্ডের সদস্যরা তাঁকে দোষী ঘোষণা করলে আদালতে উপস্থিত মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বিবিসি জানিয়েছে, টোইয়া কর্ডিঙ্গলিকে অন্তত ২৬ বার ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছুরিকাঘাত করা হয়। সেদিন বিকেলে তিনি তাঁর কুকুর নিয়ে সমুদ্র সৈকতে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। পরদিন সমুদ্রসৈকতের বালিয়াড়িতে অর্ধেক ঢেকে থাকা অবস্থায় মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেন তাঁর বাবা। কুইন্সল্যান্ডের কেয়ার্নস ও পোর্ট ডগলাস—এই দুই জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রের মাঝখানে অবস্থিত ওই সৈকতটি।
মামলার শুনানিতে আদালত জানান, কর্ডিঙ্গলিকে বারবার ছুরিকাঘাত করা হয় এবং তাঁর দেহ অগভীর বালুকাময় গর্তে ফেলে রাখা হয়—যেখানে তার বেঁচে থাকার কোনো আশাই ছিল না।
অভিযুক্ত রাজবিন্দর সেই সময়টিতে কুইন্সল্যান্ডের ইনিসফেইল এলাকায় বসবাস করতেন, যা হত্যার স্থান থেকে প্রায় দুই ঘণ্টার দূরত্বে। তদন্ত শুরু হওয়ার পরপরই পুলিশের সন্দেহ তাঁর ওপর গিয়ে পড়ে। তবে সেই সময়ই তিনি হঠাৎ অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। ফেলে রেখে যান তাঁর স্ত্রী, তিন সন্তান এবং বাবা-মাকে।
চার বছর ভারতে লুকিয়ে থাকার পর অবশেষে তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় অস্ট্রেলিয়ায়। গত মার্চে এই মামলাটির প্রথম বিচার প্রক্রিয়া জুরি বোর্ডের অমতজনিত কারণে স্থগিত হয়েছিল। দ্বিতীয় দফার বিচার শেষে এবার তাঁকে দোষী ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রসিকিউটররা মত দিয়েছেন, রাজবিন্দরের হঠাৎ দেশত্যাগই তাঁর অপরাধবোধের প্রমাণ। ফরেনসিক প্রমাণও তাঁকেই দোষী সাব্যস্ত করে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা একটি কাঠির ওপর পাওয়া ডিএনএ নমুনা অন্য কারও নয়, বরং রাজবিন্দরের হওয়ার সম্ভাবনা ছিল ৩.৮ বিলিয়ন গুণ বেশি। এ ছাড়া কর্ডিঙ্গলির মোবাইল ফোনের গতিবিধি এবং সিংয়ের গাড়ির অবস্থান হত্যাকাণ্ডের সময়ের সঙ্গে মিলে যায়।
টোইয়া কর্ডিঙ্গলি স্থানীয় স্বাস্থ্য পণ্যের দোকানে কাজ করতেন এবং পশু উদ্ধারকারী সংগঠনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর কুইন্সল্যান্ড জুড়ে ব্যাপক শোক দেখা দেয়।
দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর রাজবিন্দর সিংকে আগামী মঙ্গলবার সাজা ঘোষণার জন্য আবার আদালতে হাজির করা হবে।

১৯৩৪ সালে প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডিলানো রুজভেল্টের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র ‘গুড নেইবার পলিসি বা ভালো প্রতিবেশী নীতি’ গ্রহণ করে। এই নীতির আওতায় দেশটি লাতিন আমেরিকার রাষ্ট্রগুলোতে আর আগ্রাসন চালাবে না বা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না—এমন প্রতিশ্রুতি দেয়।
১৭ অক্টোবর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২৯ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসছেন। আজ সোমবার ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র বৈঠকের তারিখটি নিশ্চিত করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ সোমবার সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ের সময় বলেন, ‘গণতন্ত্র এবং পাকিস্তান একসঙ্গে যায় না।’ প্রতিবেশী দেশের গণতন্ত্রের অবস্থা, বিশেষ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান...
৬ ঘণ্টা আগে
জাপানের উত্তর উপকূলে আঘাত হেনেছে ৭.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। এরপরই উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সময় সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে হোক্কাইডো অঞ্চলের উপকূল থেকে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ সোমবার সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘গণতন্ত্র এবং পাকিস্তান একসঙ্গে যায় না।’ প্রতিবেশী দেশের গণতন্ত্রের অবস্থা, বিশেষ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং সেখানে চলমান প্রতিবাদ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে জয়সওয়াল এই মন্তব্য করেন।
ইমরান খানের বর্তমান অবস্থা ও সাম্প্রতিক সময়ে তাঁকে নিয়ে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরীর মন্তব্য, নানান আলোচনার জন্ম দিয়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের গণতান্ত্রিককাঠামো দুর্বল হচ্ছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, ভারত সেখানকার সব ঘটনার ওপর নিবিড়ভাবে নজর রাখছে। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন।
জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানের প্রতিটি ঘটনার ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখি। আপনি জানতে চেয়েছেন, পাকিস্তানের গণতন্ত্র দুর্বল হচ্ছে কি না। আসলে গণতন্ত্র আর পাকিস্তান একসঙ্গে যায় না। এ বিষয়ে আমরা যত কম কথা বলব, ততই ভালো।’
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্ত সংঘর্ষ নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল আফগান বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘সীমান্তে সংঘর্ষের খবর আমরা দেখেছি। এতে বহু আফগান বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আমরা নিরপরাধ আফগান জনগণের ওপর এই ধরনের হামলার নিন্দা জানাই।’ ভারত আফগানিস্তানের আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে তাদের সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। উভয় পক্ষের কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেন, এতে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
গত শুক্রবার কারাবন্দী পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ এবং ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি’ হিসেবে আখ্যা দেন পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী।
জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী দাবি করেন, ‘ইমরান খান সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রচার চালাচ্ছেন, বিদেশি শক্তির সঙ্গে সমন্বয় করছেন এবং নানা ভুল তথ্য ছড়িয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছেন।’ তাঁর ভাষ্য, পাকিস্তানের ‘অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতেই’ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন তিনি। এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘রাষ্ট্রের ওপরে কেউ নয়।’
ইমরান খানের নাম উল্লেখ না করে আইএসপিআর মহাপরিচালক বলেন, একজন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব—যাঁর নাম না নিলেও সবার জানা—নিজের অহংকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছেন যে তিনি মনে করেন, ‘আমিই কিছু।’ এই বিভ্রান্তিকর মানসিকতার কারণেই তাঁর বয়ান ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিতে’ পরিণত হয়েছে।
এর আগে কারাগারে থাকা ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন তাঁর তিন বোন। এরপরই পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কারাগারে মারা গেছেন—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে।

পাকিস্তানের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ সোমবার সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘গণতন্ত্র এবং পাকিস্তান একসঙ্গে যায় না।’ প্রতিবেশী দেশের গণতন্ত্রের অবস্থা, বিশেষ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং সেখানে চলমান প্রতিবাদ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে জয়সওয়াল এই মন্তব্য করেন।
ইমরান খানের বর্তমান অবস্থা ও সাম্প্রতিক সময়ে তাঁকে নিয়ে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরীর মন্তব্য, নানান আলোচনার জন্ম দিয়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের গণতান্ত্রিককাঠামো দুর্বল হচ্ছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, ভারত সেখানকার সব ঘটনার ওপর নিবিড়ভাবে নজর রাখছে। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন।
জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানের প্রতিটি ঘটনার ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখি। আপনি জানতে চেয়েছেন, পাকিস্তানের গণতন্ত্র দুর্বল হচ্ছে কি না। আসলে গণতন্ত্র আর পাকিস্তান একসঙ্গে যায় না। এ বিষয়ে আমরা যত কম কথা বলব, ততই ভালো।’
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্ত সংঘর্ষ নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল আফগান বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘সীমান্তে সংঘর্ষের খবর আমরা দেখেছি। এতে বহু আফগান বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আমরা নিরপরাধ আফগান জনগণের ওপর এই ধরনের হামলার নিন্দা জানাই।’ ভারত আফগানিস্তানের আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে তাদের সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। উভয় পক্ষের কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেন, এতে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
গত শুক্রবার কারাবন্দী পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ এবং ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি’ হিসেবে আখ্যা দেন পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী।
জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী দাবি করেন, ‘ইমরান খান সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রচার চালাচ্ছেন, বিদেশি শক্তির সঙ্গে সমন্বয় করছেন এবং নানা ভুল তথ্য ছড়িয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছেন।’ তাঁর ভাষ্য, পাকিস্তানের ‘অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতেই’ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন তিনি। এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘রাষ্ট্রের ওপরে কেউ নয়।’
ইমরান খানের নাম উল্লেখ না করে আইএসপিআর মহাপরিচালক বলেন, একজন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব—যাঁর নাম না নিলেও সবার জানা—নিজের অহংকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছেন যে তিনি মনে করেন, ‘আমিই কিছু।’ এই বিভ্রান্তিকর মানসিকতার কারণেই তাঁর বয়ান ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিতে’ পরিণত হয়েছে।
এর আগে কারাগারে থাকা ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন তাঁর তিন বোন। এরপরই পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কারাগারে মারা গেছেন—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে।

১৯৩৪ সালে প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডিলানো রুজভেল্টের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র ‘গুড নেইবার পলিসি বা ভালো প্রতিবেশী নীতি’ গ্রহণ করে। এই নীতির আওতায় দেশটি লাতিন আমেরিকার রাষ্ট্রগুলোতে আর আগ্রাসন চালাবে না বা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না—এমন প্রতিশ্রুতি দেয়।
১৭ অক্টোবর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২৯ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসছেন। আজ সোমবার ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র বৈঠকের তারিখটি নিশ্চিত করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে আলোচিত একটি হত্যা মামলায় সাবেক পুরুষ নার্স রাজবিন্দর সিংকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ৪১ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ২০১৮ সালে টোইয়া কর্ডিঙ্গলি নামে ২৪ বছর বয়সী এক তরুণীকে নির্মমভাবে হত্যা করেন।
৬ ঘণ্টা আগে
জাপানের উত্তর উপকূলে আঘাত হেনেছে ৭.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। এরপরই উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সময় সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে হোক্কাইডো অঞ্চলের উপকূল থেকে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাপানের উত্তর উপকূলে আঘাত হেনেছে ৭.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। এরপরই উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সময় সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে হোক্কাইডো অঞ্চলের উপকূল থেকে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) প্রাথমিক তথ্যে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল সমুদ্রের ৩২ মাইল গভীরে, ৪১° উত্তর অক্ষাংশ ও ১৪২.৩° পূর্ব দ্রাঘিমাংশের কাছাকাছি।
‘জাপান টাইমস’ সহ জাপানের অন্যান্য সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পরপরই উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সুনামির কারণে সমুদ্রতটে ঢেউয়ের উচ্চতা সর্বোচ্চ ১ মিটার পর্যন্ত উঠতে পারে। তবে প্রাথমিক পূর্বাভাসে ৩ মিটার উচ্চতার ঢেউয়ের সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছিল।
তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। একইভাবে কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা কাছাকাছি থাকা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ৯ নভেম্বর উত্তর জাপানে আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। সেই সময় উপকূলীয় এলাকায় স্বল্প সময়ের জন্য সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। ৬.৯ মাত্রার সেই ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩ মিনিটে ইওয়াতে উপকূলে আঘাত হানে এবং প্রায় ২০ কিলোমিটার গভীর থেকে এর উৎপত্তি হয়। ওই ঘটনার পর বেশ কয়েকটি পরাঘাতও অনুভূত হয়েছিল।
নভেম্বরের ওই ভূমিকম্পে ওফুনাতো, মিয়াকো, কামাইশি, ওমিনাতো ও কুজিসহ বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় ১০ থেকে ২০ সেন্টিমিটার উচ্চতার ক্ষুদ্র সুনামি ঢেউ রেকর্ড করা হয়েছিল। সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়েছিল প্রায় তিন ঘণ্টা পর। তবে বিশেষজ্ঞরা আগেই জানান, ওই অঞ্চলে পরবর্তী এক সপ্তাহ পর্যন্ত শক্তিশালী পরাঘাত অনুভূত হতে পারে।
জাপান প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থিত হওয়ায় ভূমিকম্প প্রবণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রায়ই দেশটিতে ছোট-বড় ভূমিকম্প অনুভূত হয় এবং বড় ধরনের কম্পনের ক্ষেত্রে সেখানে প্রায় সময়ই সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।
সর্বশেষ ভূমিকম্পের ঘটনায় কর্তৃপক্ষ স্থানীয় জনগণকে সতর্ক থাকতে, প্রয়োজন হলে উঁচু স্থানে সরে যেতে এবং সরকারি ঘোষণার প্রতি নজর রাখার অনুরোধ জানিয়েছে।

জাপানের উত্তর উপকূলে আঘাত হেনেছে ৭.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। এরপরই উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সময় সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে হোক্কাইডো অঞ্চলের উপকূল থেকে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) প্রাথমিক তথ্যে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল সমুদ্রের ৩২ মাইল গভীরে, ৪১° উত্তর অক্ষাংশ ও ১৪২.৩° পূর্ব দ্রাঘিমাংশের কাছাকাছি।
‘জাপান টাইমস’ সহ জাপানের অন্যান্য সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পরপরই উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সুনামির কারণে সমুদ্রতটে ঢেউয়ের উচ্চতা সর্বোচ্চ ১ মিটার পর্যন্ত উঠতে পারে। তবে প্রাথমিক পূর্বাভাসে ৩ মিটার উচ্চতার ঢেউয়ের সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছিল।
তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। একইভাবে কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা কাছাকাছি থাকা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ৯ নভেম্বর উত্তর জাপানে আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। সেই সময় উপকূলীয় এলাকায় স্বল্প সময়ের জন্য সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। ৬.৯ মাত্রার সেই ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩ মিনিটে ইওয়াতে উপকূলে আঘাত হানে এবং প্রায় ২০ কিলোমিটার গভীর থেকে এর উৎপত্তি হয়। ওই ঘটনার পর বেশ কয়েকটি পরাঘাতও অনুভূত হয়েছিল।
নভেম্বরের ওই ভূমিকম্পে ওফুনাতো, মিয়াকো, কামাইশি, ওমিনাতো ও কুজিসহ বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় ১০ থেকে ২০ সেন্টিমিটার উচ্চতার ক্ষুদ্র সুনামি ঢেউ রেকর্ড করা হয়েছিল। সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়েছিল প্রায় তিন ঘণ্টা পর। তবে বিশেষজ্ঞরা আগেই জানান, ওই অঞ্চলে পরবর্তী এক সপ্তাহ পর্যন্ত শক্তিশালী পরাঘাত অনুভূত হতে পারে।
জাপান প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থিত হওয়ায় ভূমিকম্প প্রবণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রায়ই দেশটিতে ছোট-বড় ভূমিকম্প অনুভূত হয় এবং বড় ধরনের কম্পনের ক্ষেত্রে সেখানে প্রায় সময়ই সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।
সর্বশেষ ভূমিকম্পের ঘটনায় কর্তৃপক্ষ স্থানীয় জনগণকে সতর্ক থাকতে, প্রয়োজন হলে উঁচু স্থানে সরে যেতে এবং সরকারি ঘোষণার প্রতি নজর রাখার অনুরোধ জানিয়েছে।

১৯৩৪ সালে প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডিলানো রুজভেল্টের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র ‘গুড নেইবার পলিসি বা ভালো প্রতিবেশী নীতি’ গ্রহণ করে। এই নীতির আওতায় দেশটি লাতিন আমেরিকার রাষ্ট্রগুলোতে আর আগ্রাসন চালাবে না বা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না—এমন প্রতিশ্রুতি দেয়।
১৭ অক্টোবর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২৯ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসছেন। আজ সোমবার ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র বৈঠকের তারিখটি নিশ্চিত করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে আলোচিত একটি হত্যা মামলায় সাবেক পুরুষ নার্স রাজবিন্দর সিংকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ৪১ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ২০১৮ সালে টোইয়া কর্ডিঙ্গলি নামে ২৪ বছর বয়সী এক তরুণীকে নির্মমভাবে হত্যা করেন।
৬ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ সোমবার সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ের সময় বলেন, ‘গণতন্ত্র এবং পাকিস্তান একসঙ্গে যায় না।’ প্রতিবেশী দেশের গণতন্ত্রের অবস্থা, বিশেষ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান...
৬ ঘণ্টা আগে