আজকের পত্রিকা ডেস্ক
লাতিন আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) অতীত বেশ নোংরা। বর্তমানে ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে সংস্থাটির পরিকল্পনা স্পষ্ট নয়। তবে ইতিহাসই ইঙ্গিত দেয়, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে তাদের কার্যক্রম কেমন ছিল।
১৮০০ সালের শেষ দিক থেকে ২০ শতকের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র মধ্য আমেরিকায় একের পর এক সামরিক হস্তক্ষেপ চালায়—যা ‘ব্যানানা যুদ্ধ’ নামে পরিচিত। এই যুদ্ধগুলোর মূল লক্ষ্য ছিল ওই অঞ্চলে ব্যবসা করা মার্কিন করপোরেট কোম্পানিগুলোর স্বার্থ রক্ষা।
১৯৩৪ সালে প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডিলানো রুজভেল্টের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র ‘গুড নেইবার পলিসি বা ভালো প্রতিবেশী নীতি’ গ্রহণ করে। এই নীতির আওতায় দেশটি লাতিন আমেরিকার রাষ্ট্রগুলোতে আর আগ্রাসন চালাবে না বা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না—এমন প্রতিশ্রুতি দেয়।
তবে এই ‘ভালো প্রতিবেশী’ ভাব দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। স্নায়ুযুদ্ধের সময় বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে নির্বাচিত বামপন্থী সরকারগুলোকে উৎখাতের জন্য নানা গোপন তৎপরতায় অর্থ ও সহায়তা দেয়।
১৯৫০-এর দশক: গুয়াতেমালা
১৯৫৪ সালে গুয়াতেমালার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জ্যাকব আরবেনজকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডুইট আইজেনহাওয়ারের আমলে সিআইএর সহযোগিতায় স্থানীয় যোদ্ধারা উৎখাত করে। আরবেনজ মার্কিন মালিকানাধীন এক কোম্পানিকে জাতীয়করণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন, যা যুক্তরাষ্ট্রে সমাজতন্ত্রের আশঙ্কা সৃষ্টি করে।
সিআইএর ‘অপারেশন পিবি সাকসেস’-এর অধীনে সামরিক কর্মকর্তা কার্লোস কাস্তিয়ো আরমাসের নেতৃত্বে প্রশিক্ষিত বাহিনী তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এরপর ১৯৬০ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলে।
১৯৬০-এর দশক: কিউবা
১৯৫৯ সালে ফিদেল কাস্ত্রো বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরশাসক ফুলহেনসিও বাতিস্তাকে উৎখাত করে কিউবায় কমিউনিস্ট সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। আইজেনহাওয়ারের শাসনামলে সিআইএ কিউবান নির্বাসিতদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কাস্ত্রোকে উৎখাতের পরিকল্পনা করে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর জন এফ কেনেডিকে পরিকল্পনাটি জানানো হয়।
কিন্তু কাস্ত্রোর গোয়েন্দারা আগেই পরিকল্পনাটি জেনে যায়। ১৯৬১ সালে কেনেডি ‘বে অব পিগস’ অভিযানে অনুমোদন দেন। তবে কিউবান সেনাবাহিনীর হাতে অভিযানটি ব্যর্থ হয়।
১৯৬০-এর দশক: ব্রাজিল
১৯৬১ সালে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হন জোয়াও গুলার্ত; যিনি সমাজ ও অর্থনৈতিক সংস্কারের নীতি নেন। তিনি কিউবা ও অন্যান্য সমাজতান্ত্রিক দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতেন এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আইটিটি কোম্পানির একটি শাখা জাতীয়করণ করেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় সিআইএ প্রো-আমেরিকান রাজনীতিক ও দলগুলোকে অর্থায়ন করে এবং গুলার্তের নেতৃত্বকে দুর্বল করে। ১৯৬৪ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে গুলার্ত ক্ষমতাচ্যুত হন এবং ব্রাজিলে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত সামরিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৬০-এর দশক: ইকুয়েডর
দীর্ঘ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার পর ১৯৫০-এর দশকে ইকুয়েডরে কিছুটা স্থিতি ফিরলেও ১৯৬০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন হয়। প্রেসিডেন্ট হোসে ভেলাসকো ইবারা ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কার্লোস হুলিও আরোসেমেনা সোভিয়েত ব্লকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক শুরুর উদ্যোগ নেন।
সিআইএ মার্কিন শ্রমিক সংগঠনগুলোর সহায়তা নিয়ে দেশটিতে অ্যান্টি-কমিউনিস্ট প্রচারণা চালায়। এক সিআইএ কর্মকর্তা পরে বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত আমরা ইকুয়েডরের প্রায় সব প্রভাবশালী ব্যক্তিকেই কিনে ফেলেছিলাম।’ ১৯৬৩ সালে সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়ে আরোসেমেনাকে সরিয়ে দেয়, কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ করে এবং কিউবার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে।
১৯৬০ ও ৭০-এর দশক: বলিভিয়া
১৯৬৩-৬৪ সালে সিআইএ গোপনে বলিভিয়ার রাজনীতিতে অর্থ ঢালে এবং যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত নেতাদের পক্ষে কাজ করে।
১৯৬৪ সালে জেনারেল রেনে বারিয়েন্তোস নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ভিক্টর পাজ এস্তেনসোরোকে উৎখাত করেন। পরে ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় হুগো বানজার সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে প্রেসিডেন্ট হন। ওয়াশিংটন তাঁর সরকারকে অর্থ সহায়তা দেয়।
১৯৭০-এর দশক: চিলি
চিলির নির্বাচিত বামপন্থী প্রেসিডেন্ট সালভাদর আলেন্দেকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সিআইএ অর্থায়ন করে। আলেন্দে মার্কিন মালিকানাধীন তামার কোম্পানিগুলো জাতীয়করণের পরিকল্পনা করেছিলেন। ১৯৭৩ সালে জেনারেল অগাস্টো পিনোশে অভ্যুত্থান ঘটান। আলেন্দে বন্দী হওয়ার আগেই আত্মহত্যা করেন। পরবর্তী ১৭ বছর চিলি ছিল পিনোশের নেতৃত্বে এক নির্মম মার্কিন-সমর্থিত একনায়কতন্ত্রের অধীনে।
১৯৭৫: অপারেশন কনডোর
প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের আমলে সিআইএ লাতিন আমেরিকার ছয়টি দেশের সামরিক একনায়কতন্ত্রকে সহায়তা করে ‘অপারেশন কনডোর’ নামে এক আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে। দেশগুলো হলো—আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চিলে, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ে। উদ্দেশ্য ছিল বামপন্থী কর্মী ও ভিন্নমতাবলম্বীদের নির্মূল করা। বন্দী বিনিময়, গোয়েন্দা তথ্য শেয়ার এবং নির্যাতনের কৌশল আদান-প্রদান করা হতো। এতে অন্তত ৯৭ জনকে হত্যা করা হয়।
১৯৮০-এর দশক: এল সালভাদর
১৯৮১ সালে মার্কিন প্রশিক্ষিত এলিট ‘আতলাকাতল ব্যাটালিয়ন’ এল সালভাদরের এল মোজোতে গ্রামে প্রায় এক হাজার সাধারণ মানুষকে হত্যা করে—যার মধ্যে নারী ও শিশুরাও ছিল। যুক্তরাষ্ট্র এল সালভাদরের গৃহযুদ্ধে (১৯৮০— ৯২) সরকারকে বড় আকারে সামরিক সহায়তা দেয়, বামপন্থী বিদ্রোহ দমন করতে।
১৯৮০-এর দশক: গ্রেনাডা
গ্রেনাডায় ১৯৭৯ সালে মউরিস বিশপ মার্ক্সবাদী নীতি গ্রহণ করে ক্ষমতা দখল করেন। ১৯৮৩ সালে তাঁর দলের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করে। কিউবান প্রভাব ঠেকাতে তারা গ্রেনাডায় আক্রমণ চালায়, কিউবানদের আটক করে এবং দেশটির ভবিষ্যৎকে ওয়াশিংটনের পক্ষে নিয়ে যায়।
১৯৮৯: পানামা
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের আমলে যুক্তরাষ্ট্র ‘অপারেশন জাস্ট কজ’ নামে পানামায় হামলা চালায়।
তারা প্রেসিডেন্ট মানুয়েল নোরিয়েগাকে মাদক পাচারের অভিযোগে সরানোর যুক্তি দেয়। তবে এতে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে, যা যুক্তরাষ্ট্র পরে ছোট করে দেখায়।
এই দীর্ঘ ইতিহাস প্রমাণ করে যে লাতিন আমেরিকায় সিআইএর ভূমিকাকে ‘গণতন্ত্র রক্ষার অভিযান’ বলা হলেও বাস্তবে তা ছিল রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষার এক নোংরা অধ্যায়।
সূত্র: আল জাজিরা
লাতিন আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) অতীত বেশ নোংরা। বর্তমানে ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে সংস্থাটির পরিকল্পনা স্পষ্ট নয়। তবে ইতিহাসই ইঙ্গিত দেয়, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে তাদের কার্যক্রম কেমন ছিল।
১৮০০ সালের শেষ দিক থেকে ২০ শতকের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র মধ্য আমেরিকায় একের পর এক সামরিক হস্তক্ষেপ চালায়—যা ‘ব্যানানা যুদ্ধ’ নামে পরিচিত। এই যুদ্ধগুলোর মূল লক্ষ্য ছিল ওই অঞ্চলে ব্যবসা করা মার্কিন করপোরেট কোম্পানিগুলোর স্বার্থ রক্ষা।
১৯৩৪ সালে প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডিলানো রুজভেল্টের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র ‘গুড নেইবার পলিসি বা ভালো প্রতিবেশী নীতি’ গ্রহণ করে। এই নীতির আওতায় দেশটি লাতিন আমেরিকার রাষ্ট্রগুলোতে আর আগ্রাসন চালাবে না বা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না—এমন প্রতিশ্রুতি দেয়।
তবে এই ‘ভালো প্রতিবেশী’ ভাব দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। স্নায়ুযুদ্ধের সময় বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে নির্বাচিত বামপন্থী সরকারগুলোকে উৎখাতের জন্য নানা গোপন তৎপরতায় অর্থ ও সহায়তা দেয়।
১৯৫০-এর দশক: গুয়াতেমালা
১৯৫৪ সালে গুয়াতেমালার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জ্যাকব আরবেনজকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডুইট আইজেনহাওয়ারের আমলে সিআইএর সহযোগিতায় স্থানীয় যোদ্ধারা উৎখাত করে। আরবেনজ মার্কিন মালিকানাধীন এক কোম্পানিকে জাতীয়করণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন, যা যুক্তরাষ্ট্রে সমাজতন্ত্রের আশঙ্কা সৃষ্টি করে।
সিআইএর ‘অপারেশন পিবি সাকসেস’-এর অধীনে সামরিক কর্মকর্তা কার্লোস কাস্তিয়ো আরমাসের নেতৃত্বে প্রশিক্ষিত বাহিনী তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এরপর ১৯৬০ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলে।
১৯৬০-এর দশক: কিউবা
১৯৫৯ সালে ফিদেল কাস্ত্রো বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরশাসক ফুলহেনসিও বাতিস্তাকে উৎখাত করে কিউবায় কমিউনিস্ট সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। আইজেনহাওয়ারের শাসনামলে সিআইএ কিউবান নির্বাসিতদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কাস্ত্রোকে উৎখাতের পরিকল্পনা করে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর জন এফ কেনেডিকে পরিকল্পনাটি জানানো হয়।
কিন্তু কাস্ত্রোর গোয়েন্দারা আগেই পরিকল্পনাটি জেনে যায়। ১৯৬১ সালে কেনেডি ‘বে অব পিগস’ অভিযানে অনুমোদন দেন। তবে কিউবান সেনাবাহিনীর হাতে অভিযানটি ব্যর্থ হয়।
১৯৬০-এর দশক: ব্রাজিল
১৯৬১ সালে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হন জোয়াও গুলার্ত; যিনি সমাজ ও অর্থনৈতিক সংস্কারের নীতি নেন। তিনি কিউবা ও অন্যান্য সমাজতান্ত্রিক দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতেন এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আইটিটি কোম্পানির একটি শাখা জাতীয়করণ করেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় সিআইএ প্রো-আমেরিকান রাজনীতিক ও দলগুলোকে অর্থায়ন করে এবং গুলার্তের নেতৃত্বকে দুর্বল করে। ১৯৬৪ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে গুলার্ত ক্ষমতাচ্যুত হন এবং ব্রাজিলে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত সামরিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৬০-এর দশক: ইকুয়েডর
দীর্ঘ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার পর ১৯৫০-এর দশকে ইকুয়েডরে কিছুটা স্থিতি ফিরলেও ১৯৬০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন হয়। প্রেসিডেন্ট হোসে ভেলাসকো ইবারা ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কার্লোস হুলিও আরোসেমেনা সোভিয়েত ব্লকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক শুরুর উদ্যোগ নেন।
সিআইএ মার্কিন শ্রমিক সংগঠনগুলোর সহায়তা নিয়ে দেশটিতে অ্যান্টি-কমিউনিস্ট প্রচারণা চালায়। এক সিআইএ কর্মকর্তা পরে বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত আমরা ইকুয়েডরের প্রায় সব প্রভাবশালী ব্যক্তিকেই কিনে ফেলেছিলাম।’ ১৯৬৩ সালে সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়ে আরোসেমেনাকে সরিয়ে দেয়, কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ করে এবং কিউবার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে।
১৯৬০ ও ৭০-এর দশক: বলিভিয়া
১৯৬৩-৬৪ সালে সিআইএ গোপনে বলিভিয়ার রাজনীতিতে অর্থ ঢালে এবং যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত নেতাদের পক্ষে কাজ করে।
১৯৬৪ সালে জেনারেল রেনে বারিয়েন্তোস নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ভিক্টর পাজ এস্তেনসোরোকে উৎখাত করেন। পরে ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় হুগো বানজার সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে প্রেসিডেন্ট হন। ওয়াশিংটন তাঁর সরকারকে অর্থ সহায়তা দেয়।
১৯৭০-এর দশক: চিলি
চিলির নির্বাচিত বামপন্থী প্রেসিডেন্ট সালভাদর আলেন্দেকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সিআইএ অর্থায়ন করে। আলেন্দে মার্কিন মালিকানাধীন তামার কোম্পানিগুলো জাতীয়করণের পরিকল্পনা করেছিলেন। ১৯৭৩ সালে জেনারেল অগাস্টো পিনোশে অভ্যুত্থান ঘটান। আলেন্দে বন্দী হওয়ার আগেই আত্মহত্যা করেন। পরবর্তী ১৭ বছর চিলি ছিল পিনোশের নেতৃত্বে এক নির্মম মার্কিন-সমর্থিত একনায়কতন্ত্রের অধীনে।
১৯৭৫: অপারেশন কনডোর
প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের আমলে সিআইএ লাতিন আমেরিকার ছয়টি দেশের সামরিক একনায়কতন্ত্রকে সহায়তা করে ‘অপারেশন কনডোর’ নামে এক আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে। দেশগুলো হলো—আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চিলে, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ে। উদ্দেশ্য ছিল বামপন্থী কর্মী ও ভিন্নমতাবলম্বীদের নির্মূল করা। বন্দী বিনিময়, গোয়েন্দা তথ্য শেয়ার এবং নির্যাতনের কৌশল আদান-প্রদান করা হতো। এতে অন্তত ৯৭ জনকে হত্যা করা হয়।
১৯৮০-এর দশক: এল সালভাদর
১৯৮১ সালে মার্কিন প্রশিক্ষিত এলিট ‘আতলাকাতল ব্যাটালিয়ন’ এল সালভাদরের এল মোজোতে গ্রামে প্রায় এক হাজার সাধারণ মানুষকে হত্যা করে—যার মধ্যে নারী ও শিশুরাও ছিল। যুক্তরাষ্ট্র এল সালভাদরের গৃহযুদ্ধে (১৯৮০— ৯২) সরকারকে বড় আকারে সামরিক সহায়তা দেয়, বামপন্থী বিদ্রোহ দমন করতে।
১৯৮০-এর দশক: গ্রেনাডা
গ্রেনাডায় ১৯৭৯ সালে মউরিস বিশপ মার্ক্সবাদী নীতি গ্রহণ করে ক্ষমতা দখল করেন। ১৯৮৩ সালে তাঁর দলের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করে। কিউবান প্রভাব ঠেকাতে তারা গ্রেনাডায় আক্রমণ চালায়, কিউবানদের আটক করে এবং দেশটির ভবিষ্যৎকে ওয়াশিংটনের পক্ষে নিয়ে যায়।
১৯৮৯: পানামা
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের আমলে যুক্তরাষ্ট্র ‘অপারেশন জাস্ট কজ’ নামে পানামায় হামলা চালায়।
তারা প্রেসিডেন্ট মানুয়েল নোরিয়েগাকে মাদক পাচারের অভিযোগে সরানোর যুক্তি দেয়। তবে এতে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে, যা যুক্তরাষ্ট্র পরে ছোট করে দেখায়।
এই দীর্ঘ ইতিহাস প্রমাণ করে যে লাতিন আমেরিকায় সিআইএর ভূমিকাকে ‘গণতন্ত্র রক্ষার অভিযান’ বলা হলেও বাস্তবে তা ছিল রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষার এক নোংরা অধ্যায়।
সূত্র: আল জাজিরা
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
লাতিন আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) অতীত বেশ নোংরা। বর্তমানে ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে সংস্থাটির পরিকল্পনা স্পষ্ট নয়। তবে ইতিহাসই ইঙ্গিত দেয়, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে তাদের কার্যক্রম কেমন ছিল।
১৮০০ সালের শেষ দিক থেকে ২০ শতকের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র মধ্য আমেরিকায় একের পর এক সামরিক হস্তক্ষেপ চালায়—যা ‘ব্যানানা যুদ্ধ’ নামে পরিচিত। এই যুদ্ধগুলোর মূল লক্ষ্য ছিল ওই অঞ্চলে ব্যবসা করা মার্কিন করপোরেট কোম্পানিগুলোর স্বার্থ রক্ষা।
১৯৩৪ সালে প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডিলানো রুজভেল্টের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র ‘গুড নেইবার পলিসি বা ভালো প্রতিবেশী নীতি’ গ্রহণ করে। এই নীতির আওতায় দেশটি লাতিন আমেরিকার রাষ্ট্রগুলোতে আর আগ্রাসন চালাবে না বা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না—এমন প্রতিশ্রুতি দেয়।
তবে এই ‘ভালো প্রতিবেশী’ ভাব দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। স্নায়ুযুদ্ধের সময় বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে নির্বাচিত বামপন্থী সরকারগুলোকে উৎখাতের জন্য নানা গোপন তৎপরতায় অর্থ ও সহায়তা দেয়।
১৯৫০-এর দশক: গুয়াতেমালা
১৯৫৪ সালে গুয়াতেমালার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জ্যাকব আরবেনজকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডুইট আইজেনহাওয়ারের আমলে সিআইএর সহযোগিতায় স্থানীয় যোদ্ধারা উৎখাত করে। আরবেনজ মার্কিন মালিকানাধীন এক কোম্পানিকে জাতীয়করণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন, যা যুক্তরাষ্ট্রে সমাজতন্ত্রের আশঙ্কা সৃষ্টি করে।
সিআইএর ‘অপারেশন পিবি সাকসেস’-এর অধীনে সামরিক কর্মকর্তা কার্লোস কাস্তিয়ো আরমাসের নেতৃত্বে প্রশিক্ষিত বাহিনী তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এরপর ১৯৬০ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলে।
১৯৬০-এর দশক: কিউবা
১৯৫৯ সালে ফিদেল কাস্ত্রো বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরশাসক ফুলহেনসিও বাতিস্তাকে উৎখাত করে কিউবায় কমিউনিস্ট সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। আইজেনহাওয়ারের শাসনামলে সিআইএ কিউবান নির্বাসিতদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কাস্ত্রোকে উৎখাতের পরিকল্পনা করে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর জন এফ কেনেডিকে পরিকল্পনাটি জানানো হয়।
কিন্তু কাস্ত্রোর গোয়েন্দারা আগেই পরিকল্পনাটি জেনে যায়। ১৯৬১ সালে কেনেডি ‘বে অব পিগস’ অভিযানে অনুমোদন দেন। তবে কিউবান সেনাবাহিনীর হাতে অভিযানটি ব্যর্থ হয়।
১৯৬০-এর দশক: ব্রাজিল
১৯৬১ সালে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হন জোয়াও গুলার্ত; যিনি সমাজ ও অর্থনৈতিক সংস্কারের নীতি নেন। তিনি কিউবা ও অন্যান্য সমাজতান্ত্রিক দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতেন এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আইটিটি কোম্পানির একটি শাখা জাতীয়করণ করেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় সিআইএ প্রো-আমেরিকান রাজনীতিক ও দলগুলোকে অর্থায়ন করে এবং গুলার্তের নেতৃত্বকে দুর্বল করে। ১৯৬৪ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে গুলার্ত ক্ষমতাচ্যুত হন এবং ব্রাজিলে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত সামরিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৬০-এর দশক: ইকুয়েডর
দীর্ঘ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার পর ১৯৫০-এর দশকে ইকুয়েডরে কিছুটা স্থিতি ফিরলেও ১৯৬০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন হয়। প্রেসিডেন্ট হোসে ভেলাসকো ইবারা ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কার্লোস হুলিও আরোসেমেনা সোভিয়েত ব্লকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক শুরুর উদ্যোগ নেন।
সিআইএ মার্কিন শ্রমিক সংগঠনগুলোর সহায়তা নিয়ে দেশটিতে অ্যান্টি-কমিউনিস্ট প্রচারণা চালায়। এক সিআইএ কর্মকর্তা পরে বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত আমরা ইকুয়েডরের প্রায় সব প্রভাবশালী ব্যক্তিকেই কিনে ফেলেছিলাম।’ ১৯৬৩ সালে সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়ে আরোসেমেনাকে সরিয়ে দেয়, কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ করে এবং কিউবার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে।
১৯৬০ ও ৭০-এর দশক: বলিভিয়া
১৯৬৩-৬৪ সালে সিআইএ গোপনে বলিভিয়ার রাজনীতিতে অর্থ ঢালে এবং যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত নেতাদের পক্ষে কাজ করে।
১৯৬৪ সালে জেনারেল রেনে বারিয়েন্তোস নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ভিক্টর পাজ এস্তেনসোরোকে উৎখাত করেন। পরে ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় হুগো বানজার সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে প্রেসিডেন্ট হন। ওয়াশিংটন তাঁর সরকারকে অর্থ সহায়তা দেয়।
১৯৭০-এর দশক: চিলি
চিলির নির্বাচিত বামপন্থী প্রেসিডেন্ট সালভাদর আলেন্দেকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সিআইএ অর্থায়ন করে। আলেন্দে মার্কিন মালিকানাধীন তামার কোম্পানিগুলো জাতীয়করণের পরিকল্পনা করেছিলেন। ১৯৭৩ সালে জেনারেল অগাস্টো পিনোশে অভ্যুত্থান ঘটান। আলেন্দে বন্দী হওয়ার আগেই আত্মহত্যা করেন। পরবর্তী ১৭ বছর চিলি ছিল পিনোশের নেতৃত্বে এক নির্মম মার্কিন-সমর্থিত একনায়কতন্ত্রের অধীনে।
১৯৭৫: অপারেশন কনডোর
প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের আমলে সিআইএ লাতিন আমেরিকার ছয়টি দেশের সামরিক একনায়কতন্ত্রকে সহায়তা করে ‘অপারেশন কনডোর’ নামে এক আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে। দেশগুলো হলো—আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চিলে, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ে। উদ্দেশ্য ছিল বামপন্থী কর্মী ও ভিন্নমতাবলম্বীদের নির্মূল করা। বন্দী বিনিময়, গোয়েন্দা তথ্য শেয়ার এবং নির্যাতনের কৌশল আদান-প্রদান করা হতো। এতে অন্তত ৯৭ জনকে হত্যা করা হয়।
১৯৮০-এর দশক: এল সালভাদর
১৯৮১ সালে মার্কিন প্রশিক্ষিত এলিট ‘আতলাকাতল ব্যাটালিয়ন’ এল সালভাদরের এল মোজোতে গ্রামে প্রায় এক হাজার সাধারণ মানুষকে হত্যা করে—যার মধ্যে নারী ও শিশুরাও ছিল। যুক্তরাষ্ট্র এল সালভাদরের গৃহযুদ্ধে (১৯৮০— ৯২) সরকারকে বড় আকারে সামরিক সহায়তা দেয়, বামপন্থী বিদ্রোহ দমন করতে।
১৯৮০-এর দশক: গ্রেনাডা
গ্রেনাডায় ১৯৭৯ সালে মউরিস বিশপ মার্ক্সবাদী নীতি গ্রহণ করে ক্ষমতা দখল করেন। ১৯৮৩ সালে তাঁর দলের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করে। কিউবান প্রভাব ঠেকাতে তারা গ্রেনাডায় আক্রমণ চালায়, কিউবানদের আটক করে এবং দেশটির ভবিষ্যৎকে ওয়াশিংটনের পক্ষে নিয়ে যায়।
১৯৮৯: পানামা
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের আমলে যুক্তরাষ্ট্র ‘অপারেশন জাস্ট কজ’ নামে পানামায় হামলা চালায়।
তারা প্রেসিডেন্ট মানুয়েল নোরিয়েগাকে মাদক পাচারের অভিযোগে সরানোর যুক্তি দেয়। তবে এতে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে, যা যুক্তরাষ্ট্র পরে ছোট করে দেখায়।
এই দীর্ঘ ইতিহাস প্রমাণ করে যে লাতিন আমেরিকায় সিআইএর ভূমিকাকে ‘গণতন্ত্র রক্ষার অভিযান’ বলা হলেও বাস্তবে তা ছিল রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষার এক নোংরা অধ্যায়।
সূত্র: আল জাজিরা
লাতিন আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) অতীত বেশ নোংরা। বর্তমানে ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে সংস্থাটির পরিকল্পনা স্পষ্ট নয়। তবে ইতিহাসই ইঙ্গিত দেয়, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে তাদের কার্যক্রম কেমন ছিল।
১৮০০ সালের শেষ দিক থেকে ২০ শতকের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র মধ্য আমেরিকায় একের পর এক সামরিক হস্তক্ষেপ চালায়—যা ‘ব্যানানা যুদ্ধ’ নামে পরিচিত। এই যুদ্ধগুলোর মূল লক্ষ্য ছিল ওই অঞ্চলে ব্যবসা করা মার্কিন করপোরেট কোম্পানিগুলোর স্বার্থ রক্ষা।
১৯৩৪ সালে প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডিলানো রুজভেল্টের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র ‘গুড নেইবার পলিসি বা ভালো প্রতিবেশী নীতি’ গ্রহণ করে। এই নীতির আওতায় দেশটি লাতিন আমেরিকার রাষ্ট্রগুলোতে আর আগ্রাসন চালাবে না বা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না—এমন প্রতিশ্রুতি দেয়।
তবে এই ‘ভালো প্রতিবেশী’ ভাব দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। স্নায়ুযুদ্ধের সময় বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে নির্বাচিত বামপন্থী সরকারগুলোকে উৎখাতের জন্য নানা গোপন তৎপরতায় অর্থ ও সহায়তা দেয়।
১৯৫০-এর দশক: গুয়াতেমালা
১৯৫৪ সালে গুয়াতেমালার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জ্যাকব আরবেনজকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডুইট আইজেনহাওয়ারের আমলে সিআইএর সহযোগিতায় স্থানীয় যোদ্ধারা উৎখাত করে। আরবেনজ মার্কিন মালিকানাধীন এক কোম্পানিকে জাতীয়করণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন, যা যুক্তরাষ্ট্রে সমাজতন্ত্রের আশঙ্কা সৃষ্টি করে।
সিআইএর ‘অপারেশন পিবি সাকসেস’-এর অধীনে সামরিক কর্মকর্তা কার্লোস কাস্তিয়ো আরমাসের নেতৃত্বে প্রশিক্ষিত বাহিনী তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এরপর ১৯৬০ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলে।
১৯৬০-এর দশক: কিউবা
১৯৫৯ সালে ফিদেল কাস্ত্রো বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরশাসক ফুলহেনসিও বাতিস্তাকে উৎখাত করে কিউবায় কমিউনিস্ট সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। আইজেনহাওয়ারের শাসনামলে সিআইএ কিউবান নির্বাসিতদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কাস্ত্রোকে উৎখাতের পরিকল্পনা করে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর জন এফ কেনেডিকে পরিকল্পনাটি জানানো হয়।
কিন্তু কাস্ত্রোর গোয়েন্দারা আগেই পরিকল্পনাটি জেনে যায়। ১৯৬১ সালে কেনেডি ‘বে অব পিগস’ অভিযানে অনুমোদন দেন। তবে কিউবান সেনাবাহিনীর হাতে অভিযানটি ব্যর্থ হয়।
১৯৬০-এর দশক: ব্রাজিল
১৯৬১ সালে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হন জোয়াও গুলার্ত; যিনি সমাজ ও অর্থনৈতিক সংস্কারের নীতি নেন। তিনি কিউবা ও অন্যান্য সমাজতান্ত্রিক দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতেন এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আইটিটি কোম্পানির একটি শাখা জাতীয়করণ করেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় সিআইএ প্রো-আমেরিকান রাজনীতিক ও দলগুলোকে অর্থায়ন করে এবং গুলার্তের নেতৃত্বকে দুর্বল করে। ১৯৬৪ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে গুলার্ত ক্ষমতাচ্যুত হন এবং ব্রাজিলে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত সামরিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৬০-এর দশক: ইকুয়েডর
দীর্ঘ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার পর ১৯৫০-এর দশকে ইকুয়েডরে কিছুটা স্থিতি ফিরলেও ১৯৬০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন হয়। প্রেসিডেন্ট হোসে ভেলাসকো ইবারা ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কার্লোস হুলিও আরোসেমেনা সোভিয়েত ব্লকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক শুরুর উদ্যোগ নেন।
সিআইএ মার্কিন শ্রমিক সংগঠনগুলোর সহায়তা নিয়ে দেশটিতে অ্যান্টি-কমিউনিস্ট প্রচারণা চালায়। এক সিআইএ কর্মকর্তা পরে বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত আমরা ইকুয়েডরের প্রায় সব প্রভাবশালী ব্যক্তিকেই কিনে ফেলেছিলাম।’ ১৯৬৩ সালে সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়ে আরোসেমেনাকে সরিয়ে দেয়, কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ করে এবং কিউবার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে।
১৯৬০ ও ৭০-এর দশক: বলিভিয়া
১৯৬৩-৬৪ সালে সিআইএ গোপনে বলিভিয়ার রাজনীতিতে অর্থ ঢালে এবং যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত নেতাদের পক্ষে কাজ করে।
১৯৬৪ সালে জেনারেল রেনে বারিয়েন্তোস নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ভিক্টর পাজ এস্তেনসোরোকে উৎখাত করেন। পরে ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় হুগো বানজার সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে প্রেসিডেন্ট হন। ওয়াশিংটন তাঁর সরকারকে অর্থ সহায়তা দেয়।
১৯৭০-এর দশক: চিলি
চিলির নির্বাচিত বামপন্থী প্রেসিডেন্ট সালভাদর আলেন্দেকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সিআইএ অর্থায়ন করে। আলেন্দে মার্কিন মালিকানাধীন তামার কোম্পানিগুলো জাতীয়করণের পরিকল্পনা করেছিলেন। ১৯৭৩ সালে জেনারেল অগাস্টো পিনোশে অভ্যুত্থান ঘটান। আলেন্দে বন্দী হওয়ার আগেই আত্মহত্যা করেন। পরবর্তী ১৭ বছর চিলি ছিল পিনোশের নেতৃত্বে এক নির্মম মার্কিন-সমর্থিত একনায়কতন্ত্রের অধীনে।
১৯৭৫: অপারেশন কনডোর
প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের আমলে সিআইএ লাতিন আমেরিকার ছয়টি দেশের সামরিক একনায়কতন্ত্রকে সহায়তা করে ‘অপারেশন কনডোর’ নামে এক আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে। দেশগুলো হলো—আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চিলে, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ে। উদ্দেশ্য ছিল বামপন্থী কর্মী ও ভিন্নমতাবলম্বীদের নির্মূল করা। বন্দী বিনিময়, গোয়েন্দা তথ্য শেয়ার এবং নির্যাতনের কৌশল আদান-প্রদান করা হতো। এতে অন্তত ৯৭ জনকে হত্যা করা হয়।
১৯৮০-এর দশক: এল সালভাদর
১৯৮১ সালে মার্কিন প্রশিক্ষিত এলিট ‘আতলাকাতল ব্যাটালিয়ন’ এল সালভাদরের এল মোজোতে গ্রামে প্রায় এক হাজার সাধারণ মানুষকে হত্যা করে—যার মধ্যে নারী ও শিশুরাও ছিল। যুক্তরাষ্ট্র এল সালভাদরের গৃহযুদ্ধে (১৯৮০— ৯২) সরকারকে বড় আকারে সামরিক সহায়তা দেয়, বামপন্থী বিদ্রোহ দমন করতে।
১৯৮০-এর দশক: গ্রেনাডা
গ্রেনাডায় ১৯৭৯ সালে মউরিস বিশপ মার্ক্সবাদী নীতি গ্রহণ করে ক্ষমতা দখল করেন। ১৯৮৩ সালে তাঁর দলের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করে। কিউবান প্রভাব ঠেকাতে তারা গ্রেনাডায় আক্রমণ চালায়, কিউবানদের আটক করে এবং দেশটির ভবিষ্যৎকে ওয়াশিংটনের পক্ষে নিয়ে যায়।
১৯৮৯: পানামা
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের আমলে যুক্তরাষ্ট্র ‘অপারেশন জাস্ট কজ’ নামে পানামায় হামলা চালায়।
তারা প্রেসিডেন্ট মানুয়েল নোরিয়েগাকে মাদক পাচারের অভিযোগে সরানোর যুক্তি দেয়। তবে এতে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে, যা যুক্তরাষ্ট্র পরে ছোট করে দেখায়।
এই দীর্ঘ ইতিহাস প্রমাণ করে যে লাতিন আমেরিকায় সিআইএর ভূমিকাকে ‘গণতন্ত্র রক্ষার অভিযান’ বলা হলেও বাস্তবে তা ছিল রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষার এক নোংরা অধ্যায়।
সূত্র: আল জাজিরা
ব্রিটেনে আইনজীবী ও হিসাবরক্ষকদের সংগঠনগুলো দেশটির অর্থপাচারবিরোধী নীতিতে বড় ধরনের সংস্কারের অংশ হিসেবে তাদের ফাইন্যান্সিয়াল কনডাক্ট অথোরিটির (এফসিএ) তত্ত্বাবধানে আনার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। ব্রিটেনের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির অর্থপাচারবিরোধী দুর্বলতা মোকাবিলায় ২৩টি....
২১ মিনিট আগেহামাসের সঙ্গে ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গাজায় চিকিৎসাসামগ্রীসহ অন্যান্য সহায়তা প্রবেশের অনুমতি কিছুটা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। তবে এসব সহায়তা গাজার ভেঙে পড়া স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রার ‘অনেক নিচে’ বলে মন্তব্য করেন ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক।
৩৬ মিনিট আগেফ্রান্সের প্যারিসে বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে চুরি হওয়া গয়নাগুলোর মূল্য ১০২ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২ হাজার ৪৬০ কোটি ২৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা), জানিয়েছেন দেশটির একজন প্রসিকিউটর। মিউজিয়ামের কিউরেটরের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
২ ঘণ্টা আগেউগান্ডার এক প্রধান মহাসড়কে একাধিক যানবাহনের সংঘর্ষে অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। প্রথমে পুলিশ মৃতের সংখ্যা ৬৩ জানিয়েছিল। পরে তারা সেই সংখ্যা কমিয়ে ৪৬ করে জানায় যে, আগের হিসেবে কয়েকজন অচেতন ব্যক্তিকেও মৃত হিসেবে ধরা হয়েছিল; তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ব্রিটেনে আইনজীবী ও হিসাবরক্ষকদের সংগঠনগুলো দেশটির অর্থপাচারবিরোধী নীতিতে বড় ধরনের সংস্কারের অংশ হিসেবে তাদের ফাইন্যান্সিয়াল কনডাক্ট অথোরিটির (এফসিএ) তত্ত্বাবধানে আনার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। ব্রিটেনের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির অর্থপাচারবিরোধী দুর্বলতা মোকাবিলায় ২৩টি সংস্থা থেকে প্রায় ৬০ হাজার আইন ও হিসাবরক্ষণ প্রতিষ্ঠানের তদারকি দায়িত্ব সরিয়ে তা এফসিএ-এর হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, যেসব সংস্থা বর্তমানে এই তদারকি করে ফি আয় করে থাকে, তারা এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তাদের আশঙ্কা, এতে খরচ বাড়বে, ব্যবসায় বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা দেবে এবং অনেকের ফি হারিয়ে টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়বে।
ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্টস ইনস্টিটিউটের (আইসিএইডব্লিউ) নিয়ন্ত্রক বোর্ডের চেয়ারম্যান পারজিন্দার বাসরা বলেছেন, এ সিদ্ধান্তে তারা ‘হতাশ।’ তাঁর ভাষায়, ‘এটি প্রতিষ্ঠানের ওপর বাড়তি চাপ ও খরচ তৈরি করবে, যা ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করবে।’ তিনি আরও বলেন, তাঁর ইনস্টিটিউট শিগগিরই মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবে, যাতে এই সিদ্ধান্তের সব দিক আলোচনায় আসে এবং বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া যায়।
অনেক বিশেষজ্ঞ বহুদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন, যুক্তরাজ্যের পেশাজীবী সেবাখাত—বিশেষ করে আইনজীবী, হিসাবরক্ষক এবং ট্রাস্ট ও কোম্পানি সেবা প্রদানকারীদের তদারকিতে নানা সংস্থা জড়িত থাকায় এখানে স্বার্থের সংঘাত তৈরি হয় এবং দুর্নীতিগ্রস্ত অর্থ সহজেই ঢুকে পড়ে।
অর্থ মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সংস্থা ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সের সর্বশেষ মূল্যায়নে দেখা গেছে, বিশেষত পেশাজীবী সেবাখাতে তদারকি ব্যবস্থার দুর্বলতা ও অসামঞ্জস্যতা যুক্তরাজ্যের অর্থপাচারবিরোধী কাঠামোর একটি ‘গুরুতর ঝুঁকি।’
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ইউকের গবেষণা ও অনুসন্ধান বিভাগের প্রধান স্টিভ গুডরিচ বলেন, ‘এই সংস্কার অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। যুক্তরাজ্যের ভাঙা অবৈধ অর্থ তদারকি ব্যবস্থাকে ঠিক করার পথে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’
অভিযানভিত্তিক সংস্থা স্পটলাইট অন করাপশনের নির্বাহী পরিচালক সুসান হাওলি বলেন, এই ক্ষমতা এফসিএ—এর হাতে গেলে ‘আইন ও হিসাবরক্ষণ খাতে বড় ধাক্কা লাগবে, কারণ এত দিন তাদের তদারকি সংস্থাগুলো তাদের প্রতি নরম আচরণ করেছে।’
তবে এ নিয়ে উদ্বেগও রয়েছে। অনেকের আশঙ্কা, হিসাবরক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন করে ব্যয়বহুল মাননিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মুখে পড়তে হবে এবং এফসিএ এত বড় দায়িত্ব সামলাতে পারবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। চার্টার্ড সার্টিফায়েড অ্যাকাউনট্যান্টস অ্যাসোসিয়েশনের কৌশল ও পরিচালনা বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ম্যাগি ম্যাকগি বলেন, ‘এই পরিবর্তন কার্যত অর্থপাচারবিরোধী প্রয়োগের দক্ষতা কমিয়ে দেবে, যা জনগণের স্বার্থবিরোধী।’
তিনি আরও বলেন, এটি হবে ‘এক বিশাল প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ’, যার সঙ্গে বাড়তি ব্যয় ও তথ্য-নিরাপত্তার ঝুঁকি জড়িত থাকবে, আর এতে ‘বিদ্যমান বহু মূল্যবান দক্ষতা হারিয়ে যাবে।’ কিছু আইন বিশেষজ্ঞও একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কিংসলি ন্যাপলি নামের আইন সংস্থার অর্থপাচারবিরোধী বিভাগের পরিচালক ও সাবেক সলিসিটর্স রেগুলেশন অথোরিটির কর্মকর্তা কোলেট বেস্ট বলেন, ‘আইন সেবা খাতের জন্য এফসিএ প্রকৃত তদারকি সংস্থা নয়।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলো জানতে চায়, পরিবর্তন কার্যকর হতে কত সময় লাগবে, তাদের নতুন করে এফসিএ অনুমোদন নিতে হবে কি না, আর এ সময়ে অর্থপাচারবিরোধী তদারকি কীভাবে চলবে।’
ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসআরএ—এর এক মুখপাত্র বলেন, তারা ‘হতাশ’ যে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থপাচারবিরোধী তদারকিতে যে ‘গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি’ করেছে, তা আরও এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না।
অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, এ সিদ্ধান্ত ‘অত্যন্ত জটিল এক নিয়ন্ত্রক কাঠামোকে সরল করবে।’ তবে এটি কার্যকর হতে হলে সংসদে অনুমোদন, অর্থায়নের নিশ্চয়তা এবং একটি বিস্তারিত রূপান্তর ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনা প্রয়োজন। এই পরিবর্তনের সময়সূচি ‘পার্লামেন্টের সময়সূচির ওপর নির্ভরশীল’ বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। তারা আরও বলেছে, এফসিএ-কে নতুন দায়িত্ব পালনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ দেওয়া হবে এবং নভেম্বর মাসে অতিরিক্ত তদারকি ক্ষমতা নিয়ে পরামর্শ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
সিটি মন্ত্রী লুসি রিগবি বলেন, ‘পেশাজীবী সেবাখাতে ২৩টি পৃথক তদারকি সংস্থা থাকার ফলে নজরদারি ও প্রয়োগে অসামঞ্জস্য তৈরি হয় এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা জটিল হয়ে ওঠে।’
এফসিএ-র বাজার তদারকি ও প্রয়োগ বিভাগের যৌথ নির্বাহী পরিচালক স্টিভ স্মার্ট বলেন, এই পরিবর্তন ‘পেশাজীবী সেবা খাতের তদারকি সহজ করবে’ এবং ‘আমাদের অপরাধ শনাক্ত ও ব্যাহত করার সক্ষমতা বাড়াবে।’
ব্রিটেনে আইনজীবী ও হিসাবরক্ষকদের সংগঠনগুলো দেশটির অর্থপাচারবিরোধী নীতিতে বড় ধরনের সংস্কারের অংশ হিসেবে তাদের ফাইন্যান্সিয়াল কনডাক্ট অথোরিটির (এফসিএ) তত্ত্বাবধানে আনার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। ব্রিটেনের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির অর্থপাচারবিরোধী দুর্বলতা মোকাবিলায় ২৩টি সংস্থা থেকে প্রায় ৬০ হাজার আইন ও হিসাবরক্ষণ প্রতিষ্ঠানের তদারকি দায়িত্ব সরিয়ে তা এফসিএ-এর হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, যেসব সংস্থা বর্তমানে এই তদারকি করে ফি আয় করে থাকে, তারা এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তাদের আশঙ্কা, এতে খরচ বাড়বে, ব্যবসায় বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা দেবে এবং অনেকের ফি হারিয়ে টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়বে।
ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্টস ইনস্টিটিউটের (আইসিএইডব্লিউ) নিয়ন্ত্রক বোর্ডের চেয়ারম্যান পারজিন্দার বাসরা বলেছেন, এ সিদ্ধান্তে তারা ‘হতাশ।’ তাঁর ভাষায়, ‘এটি প্রতিষ্ঠানের ওপর বাড়তি চাপ ও খরচ তৈরি করবে, যা ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করবে।’ তিনি আরও বলেন, তাঁর ইনস্টিটিউট শিগগিরই মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবে, যাতে এই সিদ্ধান্তের সব দিক আলোচনায় আসে এবং বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া যায়।
অনেক বিশেষজ্ঞ বহুদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন, যুক্তরাজ্যের পেশাজীবী সেবাখাত—বিশেষ করে আইনজীবী, হিসাবরক্ষক এবং ট্রাস্ট ও কোম্পানি সেবা প্রদানকারীদের তদারকিতে নানা সংস্থা জড়িত থাকায় এখানে স্বার্থের সংঘাত তৈরি হয় এবং দুর্নীতিগ্রস্ত অর্থ সহজেই ঢুকে পড়ে।
অর্থ মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সংস্থা ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সের সর্বশেষ মূল্যায়নে দেখা গেছে, বিশেষত পেশাজীবী সেবাখাতে তদারকি ব্যবস্থার দুর্বলতা ও অসামঞ্জস্যতা যুক্তরাজ্যের অর্থপাচারবিরোধী কাঠামোর একটি ‘গুরুতর ঝুঁকি।’
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ইউকের গবেষণা ও অনুসন্ধান বিভাগের প্রধান স্টিভ গুডরিচ বলেন, ‘এই সংস্কার অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। যুক্তরাজ্যের ভাঙা অবৈধ অর্থ তদারকি ব্যবস্থাকে ঠিক করার পথে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’
অভিযানভিত্তিক সংস্থা স্পটলাইট অন করাপশনের নির্বাহী পরিচালক সুসান হাওলি বলেন, এই ক্ষমতা এফসিএ—এর হাতে গেলে ‘আইন ও হিসাবরক্ষণ খাতে বড় ধাক্কা লাগবে, কারণ এত দিন তাদের তদারকি সংস্থাগুলো তাদের প্রতি নরম আচরণ করেছে।’
তবে এ নিয়ে উদ্বেগও রয়েছে। অনেকের আশঙ্কা, হিসাবরক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন করে ব্যয়বহুল মাননিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মুখে পড়তে হবে এবং এফসিএ এত বড় দায়িত্ব সামলাতে পারবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। চার্টার্ড সার্টিফায়েড অ্যাকাউনট্যান্টস অ্যাসোসিয়েশনের কৌশল ও পরিচালনা বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ম্যাগি ম্যাকগি বলেন, ‘এই পরিবর্তন কার্যত অর্থপাচারবিরোধী প্রয়োগের দক্ষতা কমিয়ে দেবে, যা জনগণের স্বার্থবিরোধী।’
তিনি আরও বলেন, এটি হবে ‘এক বিশাল প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ’, যার সঙ্গে বাড়তি ব্যয় ও তথ্য-নিরাপত্তার ঝুঁকি জড়িত থাকবে, আর এতে ‘বিদ্যমান বহু মূল্যবান দক্ষতা হারিয়ে যাবে।’ কিছু আইন বিশেষজ্ঞও একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কিংসলি ন্যাপলি নামের আইন সংস্থার অর্থপাচারবিরোধী বিভাগের পরিচালক ও সাবেক সলিসিটর্স রেগুলেশন অথোরিটির কর্মকর্তা কোলেট বেস্ট বলেন, ‘আইন সেবা খাতের জন্য এফসিএ প্রকৃত তদারকি সংস্থা নয়।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলো জানতে চায়, পরিবর্তন কার্যকর হতে কত সময় লাগবে, তাদের নতুন করে এফসিএ অনুমোদন নিতে হবে কি না, আর এ সময়ে অর্থপাচারবিরোধী তদারকি কীভাবে চলবে।’
ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসআরএ—এর এক মুখপাত্র বলেন, তারা ‘হতাশ’ যে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থপাচারবিরোধী তদারকিতে যে ‘গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি’ করেছে, তা আরও এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না।
অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, এ সিদ্ধান্ত ‘অত্যন্ত জটিল এক নিয়ন্ত্রক কাঠামোকে সরল করবে।’ তবে এটি কার্যকর হতে হলে সংসদে অনুমোদন, অর্থায়নের নিশ্চয়তা এবং একটি বিস্তারিত রূপান্তর ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনা প্রয়োজন। এই পরিবর্তনের সময়সূচি ‘পার্লামেন্টের সময়সূচির ওপর নির্ভরশীল’ বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। তারা আরও বলেছে, এফসিএ-কে নতুন দায়িত্ব পালনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ দেওয়া হবে এবং নভেম্বর মাসে অতিরিক্ত তদারকি ক্ষমতা নিয়ে পরামর্শ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
সিটি মন্ত্রী লুসি রিগবি বলেন, ‘পেশাজীবী সেবাখাতে ২৩টি পৃথক তদারকি সংস্থা থাকার ফলে নজরদারি ও প্রয়োগে অসামঞ্জস্য তৈরি হয় এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা জটিল হয়ে ওঠে।’
এফসিএ-র বাজার তদারকি ও প্রয়োগ বিভাগের যৌথ নির্বাহী পরিচালক স্টিভ স্মার্ট বলেন, এই পরিবর্তন ‘পেশাজীবী সেবা খাতের তদারকি সহজ করবে’ এবং ‘আমাদের অপরাধ শনাক্ত ও ব্যাহত করার সক্ষমতা বাড়াবে।’
১৯৩৪ সালে প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডিলানো রুজভেল্টের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র ‘গুড নেইবার পলিসি বা ভালো প্রতিবেশী নীতি’ গ্রহণ করে। এই নীতির আওতায় দেশটি লাতিন আমেরিকার রাষ্ট্রগুলোতে আর আগ্রাসন চালাবে না বা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না—এমন প্রতিশ্রুতি দেয়।
৫ দিন আগেহামাসের সঙ্গে ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গাজায় চিকিৎসাসামগ্রীসহ অন্যান্য সহায়তা প্রবেশের অনুমতি কিছুটা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। তবে এসব সহায়তা গাজার ভেঙে পড়া স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রার ‘অনেক নিচে’ বলে মন্তব্য করেন ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক।
৩৬ মিনিট আগেফ্রান্সের প্যারিসে বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে চুরি হওয়া গয়নাগুলোর মূল্য ১০২ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২ হাজার ৪৬০ কোটি ২৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা), জানিয়েছেন দেশটির একজন প্রসিকিউটর। মিউজিয়ামের কিউরেটরের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
২ ঘণ্টা আগেউগান্ডার এক প্রধান মহাসড়কে একাধিক যানবাহনের সংঘর্ষে অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। প্রথমে পুলিশ মৃতের সংখ্যা ৬৩ জানিয়েছিল। পরে তারা সেই সংখ্যা কমিয়ে ৪৬ করে জানায় যে, আগের হিসেবে কয়েকজন অচেতন ব্যক্তিকেও মৃত হিসেবে ধরা হয়েছিল; তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ফিলিস্তিনের গাজায় এমন এক স্বাস্থ্য বিপর্যয় চলছে, যার প্রভাব থাকতে পারে ‘আগামী কয়েক প্রজন্ম ধরে’। এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস।
বিবিসি রেডিও ৪-এর টুডে অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, গাজার জনগণের চাহিদা মোকাবিলায় এখন ব্যাপক পরিমাণে সহায়তা পৌঁছানো অত্যন্ত জরুরি। হামাসের সঙ্গে ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গাজায় চিকিৎসাসামগ্রীসহ অন্যান্য সহায়তা প্রবেশের অনুমতি কিছুটা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। তবে এসব সহায়তা গাজার ভেঙে পড়া স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রার ‘অনেক নিচে’ বলে মন্তব্য করেন ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক।
তাঁর এ মন্তব্য এমন সময়ে এসেছে, যখন গত শনি ও রোববার গাজায় নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর যুক্তরাষ্ট্র তাদের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে। হোয়াইট হাউস যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ হিসেবে বর্ণনা করেছে; যার মধ্যে গাজায় সহায়তার পরিমাণ বাড়ানো এবং উভয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়া তা বণ্টনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তেদরোস যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানালেও সাক্ষাৎকারে বলেছেন, গাজায় সহায়তার প্রবাহ প্রত্যাশার তুলনায় বেশ কম।
মাঠের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক বলেন, গাজার মানুষ এখন দুর্ভিক্ষ, আঘাত, ভেঙে পড়া স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং পানি ও পয়োনিষ্কাশন অবকাঠামো ধ্বংসের ফলে সৃষ্ট রোগের প্রাদুর্ভাবের সম্মুখীন। এর ওপরে আছে গাজায় মানবিক সহায়তার সীমিত প্রবেশাধিকার। সবকিছু মিলে তৈরি হয়েছে এক মারাত্মক সংমিশ্রণ, যা পরিস্থিতিকে ভয়াবহ, প্রায় বর্ণনাতীত করে তুলেছে।
গাজার দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তেদরোস বলেন, দুর্ভিক্ষের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের ভয়াবহ সংকট যুক্ত হলে এটি এমন এক সংকটে পরিণত হয়, যার প্রভাব প্রজন্মের পর প্রজন্মকে বহন করতে হবে।
জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএর প্রধান টম ফ্লেচার এ সপ্তাহের শুরুতে বলেছিলেন, সহায়তা সংস্থাগুলো ‘অনাহার সংকট’ সামলাতে কিছুটা অগ্রগতি করেছে। তবে আরও সহায়তা দরকার।
গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানায়, ১০ অক্টোবরের পর থেকে ৬ হাজার ৭০০ টনের বেশি খাদ্যবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে, কিন্তু এটি এখনো তাদের নির্ধারিত দৈনিক ২ হাজার টনের লক্ষ্যের অনেক নিচে।
ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক বলেন, গাজায় প্রতিদিন ৬০০টি সহায়তাবাহী ট্রাক প্রবেশ করা দরকার, কিন্তু বাস্তবে দৈনিক গড়ে মাত্র ২০০ থেকে ৩০০টি ট্রাক যাচ্ছে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তেদরোস বলেন, গাজায় মানবিক সহায়তাকে চলমান সংঘাত থেকে যেন আলাদা রাখা হয়।
ফিলিস্তিনের গাজায় এমন এক স্বাস্থ্য বিপর্যয় চলছে, যার প্রভাব থাকতে পারে ‘আগামী কয়েক প্রজন্ম ধরে’। এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস।
বিবিসি রেডিও ৪-এর টুডে অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, গাজার জনগণের চাহিদা মোকাবিলায় এখন ব্যাপক পরিমাণে সহায়তা পৌঁছানো অত্যন্ত জরুরি। হামাসের সঙ্গে ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গাজায় চিকিৎসাসামগ্রীসহ অন্যান্য সহায়তা প্রবেশের অনুমতি কিছুটা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। তবে এসব সহায়তা গাজার ভেঙে পড়া স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রার ‘অনেক নিচে’ বলে মন্তব্য করেন ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক।
তাঁর এ মন্তব্য এমন সময়ে এসেছে, যখন গত শনি ও রোববার গাজায় নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর যুক্তরাষ্ট্র তাদের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে। হোয়াইট হাউস যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ হিসেবে বর্ণনা করেছে; যার মধ্যে গাজায় সহায়তার পরিমাণ বাড়ানো এবং উভয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়া তা বণ্টনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তেদরোস যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানালেও সাক্ষাৎকারে বলেছেন, গাজায় সহায়তার প্রবাহ প্রত্যাশার তুলনায় বেশ কম।
মাঠের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক বলেন, গাজার মানুষ এখন দুর্ভিক্ষ, আঘাত, ভেঙে পড়া স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং পানি ও পয়োনিষ্কাশন অবকাঠামো ধ্বংসের ফলে সৃষ্ট রোগের প্রাদুর্ভাবের সম্মুখীন। এর ওপরে আছে গাজায় মানবিক সহায়তার সীমিত প্রবেশাধিকার। সবকিছু মিলে তৈরি হয়েছে এক মারাত্মক সংমিশ্রণ, যা পরিস্থিতিকে ভয়াবহ, প্রায় বর্ণনাতীত করে তুলেছে।
গাজার দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তেদরোস বলেন, দুর্ভিক্ষের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের ভয়াবহ সংকট যুক্ত হলে এটি এমন এক সংকটে পরিণত হয়, যার প্রভাব প্রজন্মের পর প্রজন্মকে বহন করতে হবে।
জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএর প্রধান টম ফ্লেচার এ সপ্তাহের শুরুতে বলেছিলেন, সহায়তা সংস্থাগুলো ‘অনাহার সংকট’ সামলাতে কিছুটা অগ্রগতি করেছে। তবে আরও সহায়তা দরকার।
গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানায়, ১০ অক্টোবরের পর থেকে ৬ হাজার ৭০০ টনের বেশি খাদ্যবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে, কিন্তু এটি এখনো তাদের নির্ধারিত দৈনিক ২ হাজার টনের লক্ষ্যের অনেক নিচে।
ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক বলেন, গাজায় প্রতিদিন ৬০০টি সহায়তাবাহী ট্রাক প্রবেশ করা দরকার, কিন্তু বাস্তবে দৈনিক গড়ে মাত্র ২০০ থেকে ৩০০টি ট্রাক যাচ্ছে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তেদরোস বলেন, গাজায় মানবিক সহায়তাকে চলমান সংঘাত থেকে যেন আলাদা রাখা হয়।
১৯৩৪ সালে প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডিলানো রুজভেল্টের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র ‘গুড নেইবার পলিসি বা ভালো প্রতিবেশী নীতি’ গ্রহণ করে। এই নীতির আওতায় দেশটি লাতিন আমেরিকার রাষ্ট্রগুলোতে আর আগ্রাসন চালাবে না বা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না—এমন প্রতিশ্রুতি দেয়।
৫ দিন আগেব্রিটেনে আইনজীবী ও হিসাবরক্ষকদের সংগঠনগুলো দেশটির অর্থপাচারবিরোধী নীতিতে বড় ধরনের সংস্কারের অংশ হিসেবে তাদের ফাইন্যান্সিয়াল কনডাক্ট অথোরিটির (এফসিএ) তত্ত্বাবধানে আনার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। ব্রিটেনের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির অর্থপাচারবিরোধী দুর্বলতা মোকাবিলায় ২৩টি....
২১ মিনিট আগেফ্রান্সের প্যারিসে বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে চুরি হওয়া গয়নাগুলোর মূল্য ১০২ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২ হাজার ৪৬০ কোটি ২৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা), জানিয়েছেন দেশটির একজন প্রসিকিউটর। মিউজিয়ামের কিউরেটরের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
২ ঘণ্টা আগেউগান্ডার এক প্রধান মহাসড়কে একাধিক যানবাহনের সংঘর্ষে অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। প্রথমে পুলিশ মৃতের সংখ্যা ৬৩ জানিয়েছিল। পরে তারা সেই সংখ্যা কমিয়ে ৪৬ করে জানায় যে, আগের হিসেবে কয়েকজন অচেতন ব্যক্তিকেও মৃত হিসেবে ধরা হয়েছিল; তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ফ্রান্সের প্যারিসে বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে চুরি হওয়া গয়নাগুলোর মূল্য ১০২ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২ হাজার ৪৬০ কোটি ২৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা), জানিয়েছেন দেশটির একজন প্রসিকিউটর। মিউজিয়ামের কিউরেটরের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
আরটিএল রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রসিকিউটর লরা বেকো জানান, চুরি যাওয়া অঙ্কটি বিশাল। তবে শুধু অর্থমূল্যই নয়, এসব গয়না ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে অমূল্য।
প্রসিকিউটর বেকো বলেন, এসব গয়নার মূল্য ঘোষণা করা হলো এই ভেবে যে মূল্য জানলে চোরেরা আশা করছি গয়নাগুলো ভাঙা বা নষ্ট করার আগে দ্বিতীয়বার ভাববে।
তিনি আরও বলেন, এসব গয়না গলানোর বা ভাঙার চিন্তা করাটা খুবই খারাপ হবে। তবে গয়না নিজেদের কাছে রাখা তাদের জন্য সহজ হবে না।
চুরি হওয়া গয়নাগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৮১০ সালে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের (প্রথম নেপোলিয়ন) দ্বিতীয় স্ত্রী মারি-লুইজকে বিয়ে করার সময় উপহার দেওয়া একটি দুর্লভ পান্না হার। এই হারে ৩২টি পান্না ও ১ হাজার ১৩৮টি হীরা ছিল। একই সেটের এক জোড়া কানের দুলও চুরি হয়েছে।
আরেকটি চুরি হওয়া গয়না হলো সম্রাজ্ঞী ইউজেনির (তৃতীয় নেপোলিয়নের স্ত্রী) একটি টায়রা। এতে ২১২টি মুক্তা ও প্রায় ৩ হাজার হীরা বসানো ছিল। এ ছাড়া ২ হাজার ৪০০ হীরায় সাজানো একটি বেল্ট এবং ১৮৫৫ সালের একটি সাদা হীরার ব্রোচও চুরি হয়েছে।
এ ছাড়া ফ্রান্সের শেষ রানি মেরি-অমেলির একটি নীলকান্তমণির টায়রাও চুরি হয়েছে। এই টায়রায় ছিল ২৪টি নীলকান্তমণি ও ১ হাজার ৮৩টি হীরা। টায়রাটির সেট হিসেবে থাকা একটি হার এবং এক জোড়া দুল থেকে একটি দুলও নিয়ে গেছে চোরেরা।
মাত্র ৭ মিনিটের মধ্যে ‘চেরি পিকার’ (ট্রাকের ওপর বসানো একধরনের হাইড্রোলিক মই) ও ‘অ্যাঙ্গেল গ্রাইন্ডার’ ব্যবহার করে জাদুঘরের জানালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে এই দুধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়। চোরেরা ল্যুভরের বিখ্যাত ‘অ্যাপোলো গ্যালারি’-তে ঢুকে পড়েছিল বলে জানান ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লরঁ নিউনে। তিনি বলেন, ‘এটি নিঃসন্দেহ যে চোরেরা আগেই জাদুঘরটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে।’
চুরির ঘটনার পর সম্রাজ্ঞী ইউজেনির একটি রাজমুকুট ল্যুভর মিউজিয়ামের বাইরে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। মোটরসাইকেলে চড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় এটি ফেলে রেখে যায় চোরেরা। ৫৬টি পান্না ও ১ হাজার ৩৫৪টি হীরায় অলংকৃত এই রাজমুকুট এখন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা জানান, যত দ্রুত সম্ভব গয়নাগুলো উদ্ধার না করা গেলে চিরতরে হারিয়ে যেতে পারে। এগুলোতে থাকা মূল্যবান ধাতু ও রত্ন ভেঙে দেশের বাইরে পাচার করার আশঙ্কা রয়েছে।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে প্যারিসের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রিতে সোনার রেপ্লিকা চুরি হয় এবং লিমোজের এক জাদুঘর থেকে ৬৫ লাখ ইউরো মূল্যের পোর্সেলিন হারিয়ে যায়।
ফ্রান্সের প্যারিসে বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে চুরি হওয়া গয়নাগুলোর মূল্য ১০২ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২ হাজার ৪৬০ কোটি ২৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা), জানিয়েছেন দেশটির একজন প্রসিকিউটর। মিউজিয়ামের কিউরেটরের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
আরটিএল রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রসিকিউটর লরা বেকো জানান, চুরি যাওয়া অঙ্কটি বিশাল। তবে শুধু অর্থমূল্যই নয়, এসব গয়না ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে অমূল্য।
প্রসিকিউটর বেকো বলেন, এসব গয়নার মূল্য ঘোষণা করা হলো এই ভেবে যে মূল্য জানলে চোরেরা আশা করছি গয়নাগুলো ভাঙা বা নষ্ট করার আগে দ্বিতীয়বার ভাববে।
তিনি আরও বলেন, এসব গয়না গলানোর বা ভাঙার চিন্তা করাটা খুবই খারাপ হবে। তবে গয়না নিজেদের কাছে রাখা তাদের জন্য সহজ হবে না।
চুরি হওয়া গয়নাগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৮১০ সালে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের (প্রথম নেপোলিয়ন) দ্বিতীয় স্ত্রী মারি-লুইজকে বিয়ে করার সময় উপহার দেওয়া একটি দুর্লভ পান্না হার। এই হারে ৩২টি পান্না ও ১ হাজার ১৩৮টি হীরা ছিল। একই সেটের এক জোড়া কানের দুলও চুরি হয়েছে।
আরেকটি চুরি হওয়া গয়না হলো সম্রাজ্ঞী ইউজেনির (তৃতীয় নেপোলিয়নের স্ত্রী) একটি টায়রা। এতে ২১২টি মুক্তা ও প্রায় ৩ হাজার হীরা বসানো ছিল। এ ছাড়া ২ হাজার ৪০০ হীরায় সাজানো একটি বেল্ট এবং ১৮৫৫ সালের একটি সাদা হীরার ব্রোচও চুরি হয়েছে।
এ ছাড়া ফ্রান্সের শেষ রানি মেরি-অমেলির একটি নীলকান্তমণির টায়রাও চুরি হয়েছে। এই টায়রায় ছিল ২৪টি নীলকান্তমণি ও ১ হাজার ৮৩টি হীরা। টায়রাটির সেট হিসেবে থাকা একটি হার এবং এক জোড়া দুল থেকে একটি দুলও নিয়ে গেছে চোরেরা।
মাত্র ৭ মিনিটের মধ্যে ‘চেরি পিকার’ (ট্রাকের ওপর বসানো একধরনের হাইড্রোলিক মই) ও ‘অ্যাঙ্গেল গ্রাইন্ডার’ ব্যবহার করে জাদুঘরের জানালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে এই দুধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়। চোরেরা ল্যুভরের বিখ্যাত ‘অ্যাপোলো গ্যালারি’-তে ঢুকে পড়েছিল বলে জানান ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লরঁ নিউনে। তিনি বলেন, ‘এটি নিঃসন্দেহ যে চোরেরা আগেই জাদুঘরটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে।’
চুরির ঘটনার পর সম্রাজ্ঞী ইউজেনির একটি রাজমুকুট ল্যুভর মিউজিয়ামের বাইরে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। মোটরসাইকেলে চড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় এটি ফেলে রেখে যায় চোরেরা। ৫৬টি পান্না ও ১ হাজার ৩৫৪টি হীরায় অলংকৃত এই রাজমুকুট এখন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা জানান, যত দ্রুত সম্ভব গয়নাগুলো উদ্ধার না করা গেলে চিরতরে হারিয়ে যেতে পারে। এগুলোতে থাকা মূল্যবান ধাতু ও রত্ন ভেঙে দেশের বাইরে পাচার করার আশঙ্কা রয়েছে।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে প্যারিসের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রিতে সোনার রেপ্লিকা চুরি হয় এবং লিমোজের এক জাদুঘর থেকে ৬৫ লাখ ইউরো মূল্যের পোর্সেলিন হারিয়ে যায়।
১৯৩৪ সালে প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডিলানো রুজভেল্টের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র ‘গুড নেইবার পলিসি বা ভালো প্রতিবেশী নীতি’ গ্রহণ করে। এই নীতির আওতায় দেশটি লাতিন আমেরিকার রাষ্ট্রগুলোতে আর আগ্রাসন চালাবে না বা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না—এমন প্রতিশ্রুতি দেয়।
৫ দিন আগেব্রিটেনে আইনজীবী ও হিসাবরক্ষকদের সংগঠনগুলো দেশটির অর্থপাচারবিরোধী নীতিতে বড় ধরনের সংস্কারের অংশ হিসেবে তাদের ফাইন্যান্সিয়াল কনডাক্ট অথোরিটির (এফসিএ) তত্ত্বাবধানে আনার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। ব্রিটেনের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির অর্থপাচারবিরোধী দুর্বলতা মোকাবিলায় ২৩টি....
২১ মিনিট আগেহামাসের সঙ্গে ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গাজায় চিকিৎসাসামগ্রীসহ অন্যান্য সহায়তা প্রবেশের অনুমতি কিছুটা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। তবে এসব সহায়তা গাজার ভেঙে পড়া স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রার ‘অনেক নিচে’ বলে মন্তব্য করেন ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক।
৩৬ মিনিট আগেউগান্ডার এক প্রধান মহাসড়কে একাধিক যানবাহনের সংঘর্ষে অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। প্রথমে পুলিশ মৃতের সংখ্যা ৬৩ জানিয়েছিল। পরে তারা সেই সংখ্যা কমিয়ে ৪৬ করে জানায় যে, আগের হিসেবে কয়েকজন অচেতন ব্যক্তিকেও মৃত হিসেবে ধরা হয়েছিল; তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
উগান্ডার এক প্রধান মহাসড়কে একাধিক যানবাহনের সংঘর্ষে অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। প্রথমে পুলিশ মৃতের সংখ্যা ৬৩ জানিয়েছিল। পরে তারা সেই সংখ্যা কমিয়ে ৪৬ করে জানায় যে, আগের হিসেবে কয়েকজন অচেতন ব্যক্তিকেও মৃত হিসেবে ধরা হয়েছিল; তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, উগান্ডা পুলিশ জানিয়েছে, রাজধানী কাম্পালা-গুলু মহাসড়কে স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১৫ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুটি যাত্রীবাহী বাস বিপরীত দিক থেকে আসার সময় দুটি যান—একটি লরি ও একটি প্রাইভেট কার ওভারটেক করতে গিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
তাদের মধ্যে একটি বাস সংঘর্ষ এড়ানোর চেষ্টা করলেও উল্টো সামনাসামনি সংঘর্ষ হয়, যা পরে একের পর এক গাড়ি দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এতে অন্যান্য যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। পুলিশ জানায়, নিহতদের পাশাপাশি দুর্ঘটনায় আরও বহু যাত্রী আহত হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তে একটি টিম গঠন করা হয়েছে।
আহতদের পশ্চিমাঞ্চলীয় কিরিয়ানডোঙ্গো শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে পুলিশ জানায়, তারা স্বাস্থ্য ও জরুরি সেবাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করে সঠিক তথ্য যাচাই করছে এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য সরবরাহ করবে।
আঞ্চলিক পুলিশ মুখপাত্র জুলিয়াস হাকিজা জানান, দুর্ঘটনার সূত্রপাত ঘটে একটি বাসের ওভারটেক করার চেষ্টা থেকে। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘ওই বাসটি বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি বাসের সঙ্গে সরাসরি মুখোমুখি ধাক্কা খায়।’ তিনি আরও জানান, মোট চারটি গাড়ি এ দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
কাম্পালা (দক্ষিণ) থেকে গুলু (উত্তর) পর্যন্ত মহাসড়কটি উগান্ডার সবচেয়ে ব্যস্ত সড়কগুলোর একটি। দুর্ঘটনার পর পুলিশ চালকদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছে, ‘অতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়ে ওভারটেক করা বা বেপরোয়া চালানো থেকে বিরত থাকুন।’ তাদের ভাষায়, ‘এ ধরনের বিপজ্জনক ওভারটেক করাই দেশটির সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলোর একটি।’
উগান্ডার এক প্রধান মহাসড়কে একাধিক যানবাহনের সংঘর্ষে অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। প্রথমে পুলিশ মৃতের সংখ্যা ৬৩ জানিয়েছিল। পরে তারা সেই সংখ্যা কমিয়ে ৪৬ করে জানায় যে, আগের হিসেবে কয়েকজন অচেতন ব্যক্তিকেও মৃত হিসেবে ধরা হয়েছিল; তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, উগান্ডা পুলিশ জানিয়েছে, রাজধানী কাম্পালা-গুলু মহাসড়কে স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১৫ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুটি যাত্রীবাহী বাস বিপরীত দিক থেকে আসার সময় দুটি যান—একটি লরি ও একটি প্রাইভেট কার ওভারটেক করতে গিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
তাদের মধ্যে একটি বাস সংঘর্ষ এড়ানোর চেষ্টা করলেও উল্টো সামনাসামনি সংঘর্ষ হয়, যা পরে একের পর এক গাড়ি দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এতে অন্যান্য যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। পুলিশ জানায়, নিহতদের পাশাপাশি দুর্ঘটনায় আরও বহু যাত্রী আহত হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তে একটি টিম গঠন করা হয়েছে।
আহতদের পশ্চিমাঞ্চলীয় কিরিয়ানডোঙ্গো শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে পুলিশ জানায়, তারা স্বাস্থ্য ও জরুরি সেবাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করে সঠিক তথ্য যাচাই করছে এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য সরবরাহ করবে।
আঞ্চলিক পুলিশ মুখপাত্র জুলিয়াস হাকিজা জানান, দুর্ঘটনার সূত্রপাত ঘটে একটি বাসের ওভারটেক করার চেষ্টা থেকে। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘ওই বাসটি বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি বাসের সঙ্গে সরাসরি মুখোমুখি ধাক্কা খায়।’ তিনি আরও জানান, মোট চারটি গাড়ি এ দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
কাম্পালা (দক্ষিণ) থেকে গুলু (উত্তর) পর্যন্ত মহাসড়কটি উগান্ডার সবচেয়ে ব্যস্ত সড়কগুলোর একটি। দুর্ঘটনার পর পুলিশ চালকদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছে, ‘অতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়ে ওভারটেক করা বা বেপরোয়া চালানো থেকে বিরত থাকুন।’ তাদের ভাষায়, ‘এ ধরনের বিপজ্জনক ওভারটেক করাই দেশটির সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলোর একটি।’
১৯৩৪ সালে প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডিলানো রুজভেল্টের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র ‘গুড নেইবার পলিসি বা ভালো প্রতিবেশী নীতি’ গ্রহণ করে। এই নীতির আওতায় দেশটি লাতিন আমেরিকার রাষ্ট্রগুলোতে আর আগ্রাসন চালাবে না বা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না—এমন প্রতিশ্রুতি দেয়।
৫ দিন আগেব্রিটেনে আইনজীবী ও হিসাবরক্ষকদের সংগঠনগুলো দেশটির অর্থপাচারবিরোধী নীতিতে বড় ধরনের সংস্কারের অংশ হিসেবে তাদের ফাইন্যান্সিয়াল কনডাক্ট অথোরিটির (এফসিএ) তত্ত্বাবধানে আনার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। ব্রিটেনের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির অর্থপাচারবিরোধী দুর্বলতা মোকাবিলায় ২৩টি....
২১ মিনিট আগেহামাসের সঙ্গে ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গাজায় চিকিৎসাসামগ্রীসহ অন্যান্য সহায়তা প্রবেশের অনুমতি কিছুটা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। তবে এসব সহায়তা গাজার ভেঙে পড়া স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রার ‘অনেক নিচে’ বলে মন্তব্য করেন ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক।
৩৬ মিনিট আগেফ্রান্সের প্যারিসে বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে চুরি হওয়া গয়নাগুলোর মূল্য ১০২ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২ হাজার ৪৬০ কোটি ২৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা), জানিয়েছেন দেশটির একজন প্রসিকিউটর। মিউজিয়ামের কিউরেটরের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
২ ঘণ্টা আগে