
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই অনেকেই পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারের আশঙ্কা করছেন অনেকেই। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার বর্তমান সম্পর্ক এবং তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা এই বিষয়টিকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলছে। তবে বিশ্বে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হলে বিশ্বের ৫০০ কোটি মানুষ মারা যাবে। বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারে প্রকাশিত এক নিবন্ধ হতে এই তথ্য জানা গেছে।
রাশিয়ার অভিযোগ, অন্য দেশগুলোর নিরাপত্তা ও স্বার্থ বিঘ্নিত করে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড বিশ্বে পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। গত সোমবার ওয়াশিংটনে অবস্থিত রাশিয়ার দূতাবাসের এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। বিপরীতে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়াই পরমাণু যুদ্ধ শুরু করতে পারে এমন অভিযোগ প্রতিনিয়ত করে আসছে পশ্চিমা বিশ্ব।
এমন পরিস্থিতিতে এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, পরমাণু শক্তিধর এই দুটি দেশ পরমাণু যুদ্ধে জড়ালে বিশ্বে ৫০০ কোটি মানুষ অন্তত এক দশক না খেয়ে থাকবে এবং মৃত্যুর মুখোমুখি হবে। এমনকি অপেক্ষাকৃত ভারত-পাকিস্তান পরমাণু যুদ্ধে জড়ালেও প্রায় ২৫ কোটি মানুষকে দুই বছর না খেয়ে থাকতে হবে। এমনকি এই দুই দেশের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধ শুরু হলে অন্তত ২০০ কোটি মানুষ মারা যেতে পারে।
বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, পরমাণু যুদ্ধের কারণে খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এমন বিপর্যয় ঘটবে। হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এশিয়া টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরমাণু যুদ্ধ হলে বোমা হামলার কারণে শহর ও শিল্প এলাকা ধ্বংস হয়ে যাবে। বায়ুমণ্ডল বিপুল পরিমাণ ছাই ও কার্বনের ধুলিতে ঢেকে যাবে। এটি পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়লে ভূপৃষ্ঠে ঠিকমতো সূর্যের আলো পৌঁছাবে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হবে।
ওই গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, মাত্র কয়েক দিন বা সপ্তাহজুড়ে পরমাণু যুদ্ধ চললে তা পরবর্তী ১০ বছর ধরে পৃথিবীর আবহাওয়াকে প্রভাবিত করবে। ফলে, যুদ্ধ শেষ হওয়ার ১৫ বছর পরও বৈশ্বিক খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় এর প্রভাব থাকবে।
ভারত-পাকিস্তানের মতো দেশ যুদ্ধে জড়ালে সেখানে বিশ্বের মোট পরমাণু অস্ত্রের তিন শতাংশ পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি রয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার যুদ্ধে ব্যবহৃত হবে অন্তত ৯০ শতাংশ। সবচেয়ে ছোট মাত্রার যুদ্ধেও বিশ্বের খাদ্য উৎপাদনকারী অঞ্চলে সূর্যালোক আসা কমে যাবে প্রায় ১০ শতাংশ। বৈশ্বিক তাপমাত্রাও ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে। এটি শিল্প বিপ্লবের পর মানবসৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণতাকে ঠেকিয়ে দেবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
গবেষণায় বলা হয়, বড় মাত্রার পরমাণু যুদ্ধের পর প্রথম পাঁচ বছরে বিশ্বের তাপমাত্রা গড়ে ১০-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যাবে। ভূপৃষ্ঠে সূর্যের আলো আসা কমে যাবে ৫০-৮০ শতাংশ। বিশ্বের খাদ্য উৎপাদনকারী অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কমবে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাবে। এতে ভূপৃষ্ঠে ও সাগরে বৈশ্বিক খাদ্য উৎপাদন পরমাণু যুদ্ধের আগের তুলনায় ২০ শতাংশ কমে যেতে পারে।
পরমাণু যুদ্ধ পরবর্তী দুনিয়ায় কয়েক বছর পর্যন্ত খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ থাকতে পারে। নিজ জনগোষ্ঠীর চাহিদা মেটানোর জন্য বড় বড় উৎপাদক দেশগুলো খাদ্যশস্য রপ্তানি বন্ধ রাখতে পারে। বিশেষত এশিয়া, ইউরোপ ও মধ্য়প্রাচ্য়ের দেশগুলো তীব্র খাদ্য সংকটে পড়বে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই অনেকেই পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারের আশঙ্কা করছেন অনেকেই। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার বর্তমান সম্পর্ক এবং তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা এই বিষয়টিকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলছে। তবে বিশ্বে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হলে বিশ্বের ৫০০ কোটি মানুষ মারা যাবে। বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারে প্রকাশিত এক নিবন্ধ হতে এই তথ্য জানা গেছে।
রাশিয়ার অভিযোগ, অন্য দেশগুলোর নিরাপত্তা ও স্বার্থ বিঘ্নিত করে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড বিশ্বে পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। গত সোমবার ওয়াশিংটনে অবস্থিত রাশিয়ার দূতাবাসের এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। বিপরীতে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়াই পরমাণু যুদ্ধ শুরু করতে পারে এমন অভিযোগ প্রতিনিয়ত করে আসছে পশ্চিমা বিশ্ব।
এমন পরিস্থিতিতে এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, পরমাণু শক্তিধর এই দুটি দেশ পরমাণু যুদ্ধে জড়ালে বিশ্বে ৫০০ কোটি মানুষ অন্তত এক দশক না খেয়ে থাকবে এবং মৃত্যুর মুখোমুখি হবে। এমনকি অপেক্ষাকৃত ভারত-পাকিস্তান পরমাণু যুদ্ধে জড়ালেও প্রায় ২৫ কোটি মানুষকে দুই বছর না খেয়ে থাকতে হবে। এমনকি এই দুই দেশের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধ শুরু হলে অন্তত ২০০ কোটি মানুষ মারা যেতে পারে।
বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, পরমাণু যুদ্ধের কারণে খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এমন বিপর্যয় ঘটবে। হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এশিয়া টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরমাণু যুদ্ধ হলে বোমা হামলার কারণে শহর ও শিল্প এলাকা ধ্বংস হয়ে যাবে। বায়ুমণ্ডল বিপুল পরিমাণ ছাই ও কার্বনের ধুলিতে ঢেকে যাবে। এটি পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়লে ভূপৃষ্ঠে ঠিকমতো সূর্যের আলো পৌঁছাবে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হবে।
ওই গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, মাত্র কয়েক দিন বা সপ্তাহজুড়ে পরমাণু যুদ্ধ চললে তা পরবর্তী ১০ বছর ধরে পৃথিবীর আবহাওয়াকে প্রভাবিত করবে। ফলে, যুদ্ধ শেষ হওয়ার ১৫ বছর পরও বৈশ্বিক খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় এর প্রভাব থাকবে।
ভারত-পাকিস্তানের মতো দেশ যুদ্ধে জড়ালে সেখানে বিশ্বের মোট পরমাণু অস্ত্রের তিন শতাংশ পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি রয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার যুদ্ধে ব্যবহৃত হবে অন্তত ৯০ শতাংশ। সবচেয়ে ছোট মাত্রার যুদ্ধেও বিশ্বের খাদ্য উৎপাদনকারী অঞ্চলে সূর্যালোক আসা কমে যাবে প্রায় ১০ শতাংশ। বৈশ্বিক তাপমাত্রাও ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে। এটি শিল্প বিপ্লবের পর মানবসৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণতাকে ঠেকিয়ে দেবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
গবেষণায় বলা হয়, বড় মাত্রার পরমাণু যুদ্ধের পর প্রথম পাঁচ বছরে বিশ্বের তাপমাত্রা গড়ে ১০-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যাবে। ভূপৃষ্ঠে সূর্যের আলো আসা কমে যাবে ৫০-৮০ শতাংশ। বিশ্বের খাদ্য উৎপাদনকারী অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কমবে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাবে। এতে ভূপৃষ্ঠে ও সাগরে বৈশ্বিক খাদ্য উৎপাদন পরমাণু যুদ্ধের আগের তুলনায় ২০ শতাংশ কমে যেতে পারে।
পরমাণু যুদ্ধ পরবর্তী দুনিয়ায় কয়েক বছর পর্যন্ত খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ থাকতে পারে। নিজ জনগোষ্ঠীর চাহিদা মেটানোর জন্য বড় বড় উৎপাদক দেশগুলো খাদ্যশস্য রপ্তানি বন্ধ রাখতে পারে। বিশেষত এশিয়া, ইউরোপ ও মধ্য়প্রাচ্য়ের দেশগুলো তীব্র খাদ্য সংকটে পড়বে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই অনেকেই পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারের আশঙ্কা করছেন অনেকেই। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার বর্তমান সম্পর্ক এবং তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা এই বিষয়টিকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলছে। তবে বিশ্বে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হলে বিশ্বের ৫০০ কোটি মানুষ মারা যাবে। বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারে প্রকাশিত এক নিবন্ধ হতে এই তথ্য জানা গেছে।
রাশিয়ার অভিযোগ, অন্য দেশগুলোর নিরাপত্তা ও স্বার্থ বিঘ্নিত করে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড বিশ্বে পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। গত সোমবার ওয়াশিংটনে অবস্থিত রাশিয়ার দূতাবাসের এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। বিপরীতে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়াই পরমাণু যুদ্ধ শুরু করতে পারে এমন অভিযোগ প্রতিনিয়ত করে আসছে পশ্চিমা বিশ্ব।
এমন পরিস্থিতিতে এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, পরমাণু শক্তিধর এই দুটি দেশ পরমাণু যুদ্ধে জড়ালে বিশ্বে ৫০০ কোটি মানুষ অন্তত এক দশক না খেয়ে থাকবে এবং মৃত্যুর মুখোমুখি হবে। এমনকি অপেক্ষাকৃত ভারত-পাকিস্তান পরমাণু যুদ্ধে জড়ালেও প্রায় ২৫ কোটি মানুষকে দুই বছর না খেয়ে থাকতে হবে। এমনকি এই দুই দেশের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধ শুরু হলে অন্তত ২০০ কোটি মানুষ মারা যেতে পারে।
বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, পরমাণু যুদ্ধের কারণে খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এমন বিপর্যয় ঘটবে। হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এশিয়া টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরমাণু যুদ্ধ হলে বোমা হামলার কারণে শহর ও শিল্প এলাকা ধ্বংস হয়ে যাবে। বায়ুমণ্ডল বিপুল পরিমাণ ছাই ও কার্বনের ধুলিতে ঢেকে যাবে। এটি পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়লে ভূপৃষ্ঠে ঠিকমতো সূর্যের আলো পৌঁছাবে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হবে।
ওই গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, মাত্র কয়েক দিন বা সপ্তাহজুড়ে পরমাণু যুদ্ধ চললে তা পরবর্তী ১০ বছর ধরে পৃথিবীর আবহাওয়াকে প্রভাবিত করবে। ফলে, যুদ্ধ শেষ হওয়ার ১৫ বছর পরও বৈশ্বিক খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় এর প্রভাব থাকবে।
ভারত-পাকিস্তানের মতো দেশ যুদ্ধে জড়ালে সেখানে বিশ্বের মোট পরমাণু অস্ত্রের তিন শতাংশ পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি রয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার যুদ্ধে ব্যবহৃত হবে অন্তত ৯০ শতাংশ। সবচেয়ে ছোট মাত্রার যুদ্ধেও বিশ্বের খাদ্য উৎপাদনকারী অঞ্চলে সূর্যালোক আসা কমে যাবে প্রায় ১০ শতাংশ। বৈশ্বিক তাপমাত্রাও ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে। এটি শিল্প বিপ্লবের পর মানবসৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণতাকে ঠেকিয়ে দেবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
গবেষণায় বলা হয়, বড় মাত্রার পরমাণু যুদ্ধের পর প্রথম পাঁচ বছরে বিশ্বের তাপমাত্রা গড়ে ১০-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যাবে। ভূপৃষ্ঠে সূর্যের আলো আসা কমে যাবে ৫০-৮০ শতাংশ। বিশ্বের খাদ্য উৎপাদনকারী অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কমবে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাবে। এতে ভূপৃষ্ঠে ও সাগরে বৈশ্বিক খাদ্য উৎপাদন পরমাণু যুদ্ধের আগের তুলনায় ২০ শতাংশ কমে যেতে পারে।
পরমাণু যুদ্ধ পরবর্তী দুনিয়ায় কয়েক বছর পর্যন্ত খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ থাকতে পারে। নিজ জনগোষ্ঠীর চাহিদা মেটানোর জন্য বড় বড় উৎপাদক দেশগুলো খাদ্যশস্য রপ্তানি বন্ধ রাখতে পারে। বিশেষত এশিয়া, ইউরোপ ও মধ্য়প্রাচ্য়ের দেশগুলো তীব্র খাদ্য সংকটে পড়বে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই অনেকেই পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারের আশঙ্কা করছেন অনেকেই। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার বর্তমান সম্পর্ক এবং তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা এই বিষয়টিকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলছে। তবে বিশ্বে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হলে বিশ্বের ৫০০ কোটি মানুষ মারা যাবে। বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারে প্রকাশিত এক নিবন্ধ হতে এই তথ্য জানা গেছে।
রাশিয়ার অভিযোগ, অন্য দেশগুলোর নিরাপত্তা ও স্বার্থ বিঘ্নিত করে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড বিশ্বে পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। গত সোমবার ওয়াশিংটনে অবস্থিত রাশিয়ার দূতাবাসের এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। বিপরীতে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়াই পরমাণু যুদ্ধ শুরু করতে পারে এমন অভিযোগ প্রতিনিয়ত করে আসছে পশ্চিমা বিশ্ব।
এমন পরিস্থিতিতে এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, পরমাণু শক্তিধর এই দুটি দেশ পরমাণু যুদ্ধে জড়ালে বিশ্বে ৫০০ কোটি মানুষ অন্তত এক দশক না খেয়ে থাকবে এবং মৃত্যুর মুখোমুখি হবে। এমনকি অপেক্ষাকৃত ভারত-পাকিস্তান পরমাণু যুদ্ধে জড়ালেও প্রায় ২৫ কোটি মানুষকে দুই বছর না খেয়ে থাকতে হবে। এমনকি এই দুই দেশের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধ শুরু হলে অন্তত ২০০ কোটি মানুষ মারা যেতে পারে।
বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, পরমাণু যুদ্ধের কারণে খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এমন বিপর্যয় ঘটবে। হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এশিয়া টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরমাণু যুদ্ধ হলে বোমা হামলার কারণে শহর ও শিল্প এলাকা ধ্বংস হয়ে যাবে। বায়ুমণ্ডল বিপুল পরিমাণ ছাই ও কার্বনের ধুলিতে ঢেকে যাবে। এটি পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়লে ভূপৃষ্ঠে ঠিকমতো সূর্যের আলো পৌঁছাবে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হবে।
ওই গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, মাত্র কয়েক দিন বা সপ্তাহজুড়ে পরমাণু যুদ্ধ চললে তা পরবর্তী ১০ বছর ধরে পৃথিবীর আবহাওয়াকে প্রভাবিত করবে। ফলে, যুদ্ধ শেষ হওয়ার ১৫ বছর পরও বৈশ্বিক খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় এর প্রভাব থাকবে।
ভারত-পাকিস্তানের মতো দেশ যুদ্ধে জড়ালে সেখানে বিশ্বের মোট পরমাণু অস্ত্রের তিন শতাংশ পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি রয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার যুদ্ধে ব্যবহৃত হবে অন্তত ৯০ শতাংশ। সবচেয়ে ছোট মাত্রার যুদ্ধেও বিশ্বের খাদ্য উৎপাদনকারী অঞ্চলে সূর্যালোক আসা কমে যাবে প্রায় ১০ শতাংশ। বৈশ্বিক তাপমাত্রাও ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে। এটি শিল্প বিপ্লবের পর মানবসৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণতাকে ঠেকিয়ে দেবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
গবেষণায় বলা হয়, বড় মাত্রার পরমাণু যুদ্ধের পর প্রথম পাঁচ বছরে বিশ্বের তাপমাত্রা গড়ে ১০-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যাবে। ভূপৃষ্ঠে সূর্যের আলো আসা কমে যাবে ৫০-৮০ শতাংশ। বিশ্বের খাদ্য উৎপাদনকারী অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কমবে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাবে। এতে ভূপৃষ্ঠে ও সাগরে বৈশ্বিক খাদ্য উৎপাদন পরমাণু যুদ্ধের আগের তুলনায় ২০ শতাংশ কমে যেতে পারে।
পরমাণু যুদ্ধ পরবর্তী দুনিয়ায় কয়েক বছর পর্যন্ত খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ থাকতে পারে। নিজ জনগোষ্ঠীর চাহিদা মেটানোর জন্য বড় বড় উৎপাদক দেশগুলো খাদ্যশস্য রপ্তানি বন্ধ রাখতে পারে। বিশেষত এশিয়া, ইউরোপ ও মধ্য়প্রাচ্য়ের দেশগুলো তীব্র খাদ্য সংকটে পড়বে।

পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়া এসআইআর কার্যক্রম নিয়ে বিজেপি এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওপর ব্যাপক আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, কোনো প্রকৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে না। যদি যায়, তাহলে নরেন্দ্র মোদির সরকারকে টেনে নামাবেন তিন
১৮ মিনিট আগে
জোহরান মামদানি—৩৪ বছর বয়সী এই যুবক নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনের ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারিতেই চমক দেখিয়েছেন। ওই সময় কেবল মার্কিন রাজনীতিতেই নয়, দক্ষিণ এশীয় মহলেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। এবার প্রতিদ্বন্দ্বীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে ইতিহাস গড়লেন।
২৬ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের লুইসভিলের একটি বিমানবন্দরে পরিবহন সংস্থা ইউনাইটেড পারসেল সার্ভিস–ইউপিএসের কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় বিশাল অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয় এবং ‘অনেকজন’ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
১ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে জয়ের পর বিজয় ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করেছেন জোহরান মামদানি। ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সমালোচনার মুখে থাকা এই নেতা তাঁর বিজয় ভাষণে ট্রাম্পকে নাম ধরে সম্বোধন করে বলেন, এ জয় ‘পরিবর্তনের ম্যান্ডেট।’ খবর ইউএস টুডের।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়া এসআইআর কার্যক্রম নিয়ে বিজেপি এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওপর ব্যাপক আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, কোনো প্রকৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে না। যদি যায়, তাহলে নরেন্দ্র মোদির সরকারকে টেনে নামাবেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সতর্ক করে বলেছেন—যদি রাজ্যের তালিকা থেকে একটিও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ যায়, তাহলে নরেন্দ্র মোদির সরকার পতন অনিবার্য হবে। তিনি রাজ্যের নাগরিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘যদি কাগজপত্র না থাকে, আমাদের শিবিরে আসুন। আমরা যেকোনো মূল্যে সাহায্য করব। প্রয়োজনে থালাবাটি বিক্রি করে হলেও সাহায্য করব।’
পশ্চিমবঙ্গে গতকাল মঙ্গলবারই এসআইআর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ৮০ হাজারের বেশি মাঠকর্মী ঘরে ঘরে গিয়ে জরিপ শুরু করেছেন। এদিন কলকাতায় ৪ কিলোমিটার পদযাত্রার মাধ্যমে এসআইআর-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানা মমতা ও তাঁর ভাতিজা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পদযাত্রা শুরু হয় ড. বিআর আম্বেদকরের ভাস্কর্যের সামনে থেকে এবং শেষ হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মভূমি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে।
পদযাত্রার পর জনসমক্ষে মমতা বলেন, এসআইআর হলো ‘নীরব, অদৃশ্য কেলেঙ্কারি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে ভয় পাবেন না। সবই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হচ্ছে। প্রয়োজনে আইনি সহায়তা নিন। মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের বলছি, ভয় পাবেন না, দিদি আছেন। যেকোনো উপায়ে রক্ষা করব। যদি জোরপূর্বক বিতাড়ন করা হয়, সবাই মিলে তা মোকাবিলা করতে হবে। সংখ্যালঘুদেরও কোনো ভয় নেই।’
এসআইআর প্রক্রিয়ার ‘হঠাৎ বাস্তবায়ন’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘শেষবার এসআইআর হয়েছিল ২০০১ সালের পর। ২০০২-২০০৩ সালে কোনো নির্বাচন হয়নি। ২০০৪ সালে নির্বাচনের আগে এসআইআর চলেছিল দেড় থেকে দুই বছর ধরে। আজ এত তাড়াহুড়া কেন? একটিও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ গেলে, আমি বিজেপি সরকার উল্টে দেব।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নাম না নিয়ে তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি এত বড় জাতীয়তাবাদীই হবেন, তাহলে বলুন—চার নির্বাচনী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরল, আসাম এবং তিনটি বিরোধী দল শাসিত রাজ্যে এসআইআর চালু করলেন, কিন্তু আসামে কেন নয়? ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঘোষণা করবেন। তিন মাসে কি ১০ কোটি মানুষকে এই ফরম পূরণ করানো সম্ভব? কেন নির্বাচন পরে করা যায়নি? আসামে কেন নয়? কারণ আপনি হেরে যেতেন। আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, মিথ্যা ভোট দিয়ে সব সময় জিততে পারবেন না।’
মোদির দল বিজেপির দাবি, এসআইআর প্রক্রিয়া ‘অবৈধ রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি’দের তালিকা থেকে সরিয়ে দেবে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা কোথা থেকে আসবে? নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ থেকে। সেখানেও কি এসআইআর হলো? বাংলাদেশিরা ত্রিপুরা ও আসাম থেকেও আসে। আসামে ১৯ লাখ নাম বাদ পড়েছিল, যার মধ্যে ১২ লাখ হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মের মানুষ। ক্ষমতায় থাকার কারণে বিজেপি যা ইচ্ছে তাই করছে।’
অমিত শাহের দ্বিচারী নীতির সমালোচনা করে মমতা বলেন, ‘তিনি পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির সমালোচনা করেন, অথচ নিজের ছেলেকে আইসিসির সর্বোচ্চ পদে নিয়োগ দিয়েছেন।’ নির্বাচন কমিশনের ওপর আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘কারও পিতামাতার নাম তালিকায় নেই, তাহলে কি আবার প্রমাণ দিতে হবে যে তারা এই রাজ্যে জন্মেছেন? কমিশন তালিকায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। ভুলের দায়িত্ব কে নেবে? নির্বাচনের পর করাই ভালো হতো না কি? জন্ম ও স্বাধীনতার এত বছর পরও কি নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে?’

পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়া এসআইআর কার্যক্রম নিয়ে বিজেপি এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওপর ব্যাপক আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, কোনো প্রকৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে না। যদি যায়, তাহলে নরেন্দ্র মোদির সরকারকে টেনে নামাবেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সতর্ক করে বলেছেন—যদি রাজ্যের তালিকা থেকে একটিও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ যায়, তাহলে নরেন্দ্র মোদির সরকার পতন অনিবার্য হবে। তিনি রাজ্যের নাগরিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘যদি কাগজপত্র না থাকে, আমাদের শিবিরে আসুন। আমরা যেকোনো মূল্যে সাহায্য করব। প্রয়োজনে থালাবাটি বিক্রি করে হলেও সাহায্য করব।’
পশ্চিমবঙ্গে গতকাল মঙ্গলবারই এসআইআর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ৮০ হাজারের বেশি মাঠকর্মী ঘরে ঘরে গিয়ে জরিপ শুরু করেছেন। এদিন কলকাতায় ৪ কিলোমিটার পদযাত্রার মাধ্যমে এসআইআর-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানা মমতা ও তাঁর ভাতিজা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পদযাত্রা শুরু হয় ড. বিআর আম্বেদকরের ভাস্কর্যের সামনে থেকে এবং শেষ হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মভূমি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে।
পদযাত্রার পর জনসমক্ষে মমতা বলেন, এসআইআর হলো ‘নীরব, অদৃশ্য কেলেঙ্কারি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে ভয় পাবেন না। সবই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হচ্ছে। প্রয়োজনে আইনি সহায়তা নিন। মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের বলছি, ভয় পাবেন না, দিদি আছেন। যেকোনো উপায়ে রক্ষা করব। যদি জোরপূর্বক বিতাড়ন করা হয়, সবাই মিলে তা মোকাবিলা করতে হবে। সংখ্যালঘুদেরও কোনো ভয় নেই।’
এসআইআর প্রক্রিয়ার ‘হঠাৎ বাস্তবায়ন’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘শেষবার এসআইআর হয়েছিল ২০০১ সালের পর। ২০০২-২০০৩ সালে কোনো নির্বাচন হয়নি। ২০০৪ সালে নির্বাচনের আগে এসআইআর চলেছিল দেড় থেকে দুই বছর ধরে। আজ এত তাড়াহুড়া কেন? একটিও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ গেলে, আমি বিজেপি সরকার উল্টে দেব।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নাম না নিয়ে তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি এত বড় জাতীয়তাবাদীই হবেন, তাহলে বলুন—চার নির্বাচনী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরল, আসাম এবং তিনটি বিরোধী দল শাসিত রাজ্যে এসআইআর চালু করলেন, কিন্তু আসামে কেন নয়? ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঘোষণা করবেন। তিন মাসে কি ১০ কোটি মানুষকে এই ফরম পূরণ করানো সম্ভব? কেন নির্বাচন পরে করা যায়নি? আসামে কেন নয়? কারণ আপনি হেরে যেতেন। আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, মিথ্যা ভোট দিয়ে সব সময় জিততে পারবেন না।’
মোদির দল বিজেপির দাবি, এসআইআর প্রক্রিয়া ‘অবৈধ রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি’দের তালিকা থেকে সরিয়ে দেবে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা কোথা থেকে আসবে? নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ থেকে। সেখানেও কি এসআইআর হলো? বাংলাদেশিরা ত্রিপুরা ও আসাম থেকেও আসে। আসামে ১৯ লাখ নাম বাদ পড়েছিল, যার মধ্যে ১২ লাখ হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মের মানুষ। ক্ষমতায় থাকার কারণে বিজেপি যা ইচ্ছে তাই করছে।’
অমিত শাহের দ্বিচারী নীতির সমালোচনা করে মমতা বলেন, ‘তিনি পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির সমালোচনা করেন, অথচ নিজের ছেলেকে আইসিসির সর্বোচ্চ পদে নিয়োগ দিয়েছেন।’ নির্বাচন কমিশনের ওপর আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘কারও পিতামাতার নাম তালিকায় নেই, তাহলে কি আবার প্রমাণ দিতে হবে যে তারা এই রাজ্যে জন্মেছেন? কমিশন তালিকায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। ভুলের দায়িত্ব কে নেবে? নির্বাচনের পর করাই ভালো হতো না কি? জন্ম ও স্বাধীনতার এত বছর পরও কি নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে?’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই অনেকেই পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারের আশঙ্কা করছেন অনেকেই। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার বর্তমান সম্পর্ক এবং তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা এই বিষয়টিকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলছে। তবে বিশ্বে পারমাণবিক যুদ্ধ
১৬ আগস্ট ২০২২
জোহরান মামদানি—৩৪ বছর বয়সী এই যুবক নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনের ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারিতেই চমক দেখিয়েছেন। ওই সময় কেবল মার্কিন রাজনীতিতেই নয়, দক্ষিণ এশীয় মহলেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। এবার প্রতিদ্বন্দ্বীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে ইতিহাস গড়লেন।
২৬ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের লুইসভিলের একটি বিমানবন্দরে পরিবহন সংস্থা ইউনাইটেড পারসেল সার্ভিস–ইউপিএসের কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় বিশাল অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয় এবং ‘অনেকজন’ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
১ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে জয়ের পর বিজয় ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করেছেন জোহরান মামদানি। ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সমালোচনার মুখে থাকা এই নেতা তাঁর বিজয় ভাষণে ট্রাম্পকে নাম ধরে সম্বোধন করে বলেন, এ জয় ‘পরিবর্তনের ম্যান্ডেট।’ খবর ইউএস টুডের।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জোহরান মামদানি—৩৪ বছর বয়সী এই যুবক নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনের ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারিতেই চমক দেখিয়েছেন। ওই সময় কেবল মার্কিন রাজনীতিতেই নয়, দক্ষিণ এশীয় মহলেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। এবার প্রতিদ্বন্দ্বীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে ইতিহাস গড়লেন।
গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক আদর্শের এই নেতা হেভিওয়েট প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকে পরাজিত করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তবে ভোটের ময়দানে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার একটি দিক বিশেষভাবে নজর কেড়েছে—আর তা হলো তাঁর ‘বাংলা প্রীতি’।
জোহরান মামদানি তাঁর ক্যাম্পেইনের শুরুতে বিভিন্ন ভাষার ব্যবহার করেছিলেন, যার মধ্যে বাংলা ছিল অন্যতম। নিউইয়র্কের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা লিটল বাংলাদেশ কেনসিংটনে তিনি স্থানীয় কাউন্সিল মেম্বার শাহানা আরিফের সঙ্গে একটি বিশেষ প্রচার ভিডিও বানান।
এই ভিডিওটিতে একটি বিশেষ দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। মামদানি বাঙালির ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির প্লেট সামনে নিয়ে ভাঙা ভাঙা বাংলায় ‘র্যাংকড চয়েস ভোটিং’ পদ্ধতি সাধারণ ভোটারদের কাছে ব্যাখ্যা করছিলেন। ভিডিওর শেষে নিজের বাংলা দক্ষতা নিয়ে তাঁর কৌতূহলী প্রশ্ন, ‘আমার বাংলা ভালোই, না?’ শাহানা আরিফের দ্বিধান্বিত উত্তর ছিল, ‘খারাপ না!’ এই কথোপকথন ভোটারদের মধ্যে এক বন্ধুত্বপূর্ণ উষ্ণতা তৈরি করেছিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই নেতা হিন্দি ও উর্দুর পাশাপাশি যে বাংলাতেও মোটামুটি সাবলীলভাবে কথা বলতে পারেন, তাতে জ্যাকসন হাইটসসহ বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকার অনেকে মুগ্ধ হয়েছেন। প্রচারে বেরিয়ে তাঁকে বাঙালি ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে বাংলায় ছোটখাটো আলাপ করতেও দেখা গেছে।
প্রাইমারিতে চমক জাগানো জয়ের পর দেওয়া ‘অ্যাকসেপ্টেন্স স্পিচ’-এও মামদানি বাঙালি সমাজের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভোলেননি। এই সাফল্যের পেছনে ‘বাংলাদেশি আন্টি’দের ভূমিকার কথা তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। প্রাইমারিতে জেতার পর তিনি বেশ কয়েকবার বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় গেছেন। হিলসাইড অ্যাভিনিউ মুখরিত হয়েছিল ‘আমার মেয়র, তোমার মেয়র, মামদানি, মামদানি, জোহরান মামদানি!’ স্লোগানে।
অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে, ভোটের প্রয়োজনেই কি মামদানির এই বাংলা-প্রীতি, নাকি এর পেছনে অন্য কারণ আছে?
সংক্ষেপে উত্তর হলো, জোহরানের বাংলা যোগের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা তাঁর মা মীরা নায়ারের। তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রপরিচালক।
মীরা নায়ারের জন্ম ভারতের ওডিশা রাজ্যের বাঙালি অধ্যুষিত শহর রাউরকেল্লাতে। তিনি বেড়ে উঠেছেন ওই রাজ্যের রাজধানী ভুবনেশ্বরে, যেখানে জনসংখ্যার একটি বড় অংশ বাঙালি। তাঁর শৈশবে অনেক বাঙালি বন্ধু ছিল এবং তাঁর গানের শিক্ষকও ছিলেন একজন বাঙালি। এই প্রত্যক্ষ সংযোগের কারণেই মীরা নায়ার নিজে বাংলা বোঝেন এবং কিছুটা বলতেও পারেন।
মীরা নায়ারের বিখ্যাত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে একটি ‘নেমসেক’। এটি বাঙালি পরিবারের আমেরিকান লেখিকা, পুলিৎজার-জয়ী ঝুম্পা লাহিড়ির একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মাণ করেন। সিনেমাটির মূল বিষয়বস্তু ছিল আমেরিকায় পাড়ি দেওয়া প্রথম প্রজন্মের অভিবাসী বাঙালি দম্পতি অশোক ও অসীমা গাঙ্গুলির জীবনসংগ্রাম।
মজার বিষয় হলো, জোহরান মামদানিই তাঁর মাকে ‘নেমসেক’ ছবিটি বানাতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। ২০০৭ সালে, যখন মীরা নায়ার ‘নেমসেক’ নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন, ঠিক তখনই তিনি বিখ্যাত হ্যারি পটার ফ্র্যাঞ্চাইজির পঞ্চম পর্ব পরিচালনার একটি লোভনীয় প্রস্তাব পান। দ্বিধান্বিত মা তখন কিশোর ছেলে জোহরানের কাছে পরামর্শ চান।
তখন জোহরানের বয়স মাত্র চৌদ্দ, এবং তিনি নিজেও হ্যারি পটার সিরিজের পাঁড় ভক্ত। তবুও তিনি মাকে বলেছিলেন, ‘আরও অনেক ভালো ভালো পরিচালক আছেন যারা হ্যারি পটার বানাতে পারবেন—কিন্তু নেমসেক একজনই বানাতে পারবে, আর সেটা তুমি!’ ছেলের এই অনুপ্রেরণাতেই মীরা নায়ার শেষ পর্যন্ত বাঙালি অভিবাসী সংস্কৃতি নিয়ে ছবিটি নির্মাণ করেন। বাঙালি দর্শকের হৃদয়ে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে এই সিনেমা।
জোহরান মামদানির মতো দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত বাবা-মায়ের সন্তানেরা আমেরিকায় দ্বিতীয় প্রজন্মের অভিবাসী হিসেবে বেড়ে ওঠেন। আত্মপরিচয়ের সংকটে ভোগা এই প্রজন্মকে অনেকেই ‘আমেরিকা বর্ন কনফিউজড দিশি’ বা ‘এবিসিডি’ প্রজন্ম বলে বর্ণনা করেন। ‘নেমসেক’-এর মুখ্য চরিত্র গোগল গাঙ্গুলীও এমন এক তরুণ।
নির্বাচনী সমাবেশে জোহরান মামদানিও সেদিকই ভোটারদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই শহরে যাদের কখনো সন্ত্রাসী বলা হয়েছে, কিংবা কর্মস্থলে নিজের নাম বিকৃত হতে শুনেছেন—তাঁদের হাত তুলতে বলছি। আমরা যারা নিজেদের পরিচয়ের কারণে হেয়বোধ করেছি, এই নির্বাচনের লড়াই আমাদের সবার জন্য।’
তবে জোহরান মামদানি তাঁর সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক জীবনে প্রমাণ করেছেন, পরিচয়ে ‘এবিসিডি’ হলেও তাঁর জীবনদর্শন বা রাজনৈতিক ভাবনায় কোনো বিভ্রান্তির অবকাশ নেই। তাঁর টিম ইংরেজির পাশাপাশি হিন্দি, উর্দু ও বাংলাতে ক্যাম্পেইন ভিডিও তৈরি করেছে। এর মধ্যে কোনো কোনোটিতে ব্যবহৃত হয়েছে বলিউডের পুরোনো ব্লকবাস্টার ‘দিওয়ার’ ছবির থিম। এই ‘দিওয়ার’-এর বিখ্যাত সংলাপ ‘মেরে পাস মা হ্যায়’-এর আদলে মামদানিও যেন নীরবে বারবার বার্তা দিয়েছেন—তাঁর সঙ্গে তাঁর মা।

জোহরান মামদানি—৩৪ বছর বয়সী এই যুবক নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনের ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারিতেই চমক দেখিয়েছেন। ওই সময় কেবল মার্কিন রাজনীতিতেই নয়, দক্ষিণ এশীয় মহলেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। এবার প্রতিদ্বন্দ্বীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে ইতিহাস গড়লেন।
গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক আদর্শের এই নেতা হেভিওয়েট প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকে পরাজিত করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তবে ভোটের ময়দানে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার একটি দিক বিশেষভাবে নজর কেড়েছে—আর তা হলো তাঁর ‘বাংলা প্রীতি’।
জোহরান মামদানি তাঁর ক্যাম্পেইনের শুরুতে বিভিন্ন ভাষার ব্যবহার করেছিলেন, যার মধ্যে বাংলা ছিল অন্যতম। নিউইয়র্কের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা লিটল বাংলাদেশ কেনসিংটনে তিনি স্থানীয় কাউন্সিল মেম্বার শাহানা আরিফের সঙ্গে একটি বিশেষ প্রচার ভিডিও বানান।
এই ভিডিওটিতে একটি বিশেষ দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। মামদানি বাঙালির ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির প্লেট সামনে নিয়ে ভাঙা ভাঙা বাংলায় ‘র্যাংকড চয়েস ভোটিং’ পদ্ধতি সাধারণ ভোটারদের কাছে ব্যাখ্যা করছিলেন। ভিডিওর শেষে নিজের বাংলা দক্ষতা নিয়ে তাঁর কৌতূহলী প্রশ্ন, ‘আমার বাংলা ভালোই, না?’ শাহানা আরিফের দ্বিধান্বিত উত্তর ছিল, ‘খারাপ না!’ এই কথোপকথন ভোটারদের মধ্যে এক বন্ধুত্বপূর্ণ উষ্ণতা তৈরি করেছিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই নেতা হিন্দি ও উর্দুর পাশাপাশি যে বাংলাতেও মোটামুটি সাবলীলভাবে কথা বলতে পারেন, তাতে জ্যাকসন হাইটসসহ বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকার অনেকে মুগ্ধ হয়েছেন। প্রচারে বেরিয়ে তাঁকে বাঙালি ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে বাংলায় ছোটখাটো আলাপ করতেও দেখা গেছে।
প্রাইমারিতে চমক জাগানো জয়ের পর দেওয়া ‘অ্যাকসেপ্টেন্স স্পিচ’-এও মামদানি বাঙালি সমাজের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভোলেননি। এই সাফল্যের পেছনে ‘বাংলাদেশি আন্টি’দের ভূমিকার কথা তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। প্রাইমারিতে জেতার পর তিনি বেশ কয়েকবার বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় গেছেন। হিলসাইড অ্যাভিনিউ মুখরিত হয়েছিল ‘আমার মেয়র, তোমার মেয়র, মামদানি, মামদানি, জোহরান মামদানি!’ স্লোগানে।
অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে, ভোটের প্রয়োজনেই কি মামদানির এই বাংলা-প্রীতি, নাকি এর পেছনে অন্য কারণ আছে?
সংক্ষেপে উত্তর হলো, জোহরানের বাংলা যোগের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা তাঁর মা মীরা নায়ারের। তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রপরিচালক।
মীরা নায়ারের জন্ম ভারতের ওডিশা রাজ্যের বাঙালি অধ্যুষিত শহর রাউরকেল্লাতে। তিনি বেড়ে উঠেছেন ওই রাজ্যের রাজধানী ভুবনেশ্বরে, যেখানে জনসংখ্যার একটি বড় অংশ বাঙালি। তাঁর শৈশবে অনেক বাঙালি বন্ধু ছিল এবং তাঁর গানের শিক্ষকও ছিলেন একজন বাঙালি। এই প্রত্যক্ষ সংযোগের কারণেই মীরা নায়ার নিজে বাংলা বোঝেন এবং কিছুটা বলতেও পারেন।
মীরা নায়ারের বিখ্যাত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে একটি ‘নেমসেক’। এটি বাঙালি পরিবারের আমেরিকান লেখিকা, পুলিৎজার-জয়ী ঝুম্পা লাহিড়ির একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মাণ করেন। সিনেমাটির মূল বিষয়বস্তু ছিল আমেরিকায় পাড়ি দেওয়া প্রথম প্রজন্মের অভিবাসী বাঙালি দম্পতি অশোক ও অসীমা গাঙ্গুলির জীবনসংগ্রাম।
মজার বিষয় হলো, জোহরান মামদানিই তাঁর মাকে ‘নেমসেক’ ছবিটি বানাতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। ২০০৭ সালে, যখন মীরা নায়ার ‘নেমসেক’ নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন, ঠিক তখনই তিনি বিখ্যাত হ্যারি পটার ফ্র্যাঞ্চাইজির পঞ্চম পর্ব পরিচালনার একটি লোভনীয় প্রস্তাব পান। দ্বিধান্বিত মা তখন কিশোর ছেলে জোহরানের কাছে পরামর্শ চান।
তখন জোহরানের বয়স মাত্র চৌদ্দ, এবং তিনি নিজেও হ্যারি পটার সিরিজের পাঁড় ভক্ত। তবুও তিনি মাকে বলেছিলেন, ‘আরও অনেক ভালো ভালো পরিচালক আছেন যারা হ্যারি পটার বানাতে পারবেন—কিন্তু নেমসেক একজনই বানাতে পারবে, আর সেটা তুমি!’ ছেলের এই অনুপ্রেরণাতেই মীরা নায়ার শেষ পর্যন্ত বাঙালি অভিবাসী সংস্কৃতি নিয়ে ছবিটি নির্মাণ করেন। বাঙালি দর্শকের হৃদয়ে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে এই সিনেমা।
জোহরান মামদানির মতো দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত বাবা-মায়ের সন্তানেরা আমেরিকায় দ্বিতীয় প্রজন্মের অভিবাসী হিসেবে বেড়ে ওঠেন। আত্মপরিচয়ের সংকটে ভোগা এই প্রজন্মকে অনেকেই ‘আমেরিকা বর্ন কনফিউজড দিশি’ বা ‘এবিসিডি’ প্রজন্ম বলে বর্ণনা করেন। ‘নেমসেক’-এর মুখ্য চরিত্র গোগল গাঙ্গুলীও এমন এক তরুণ।
নির্বাচনী সমাবেশে জোহরান মামদানিও সেদিকই ভোটারদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই শহরে যাদের কখনো সন্ত্রাসী বলা হয়েছে, কিংবা কর্মস্থলে নিজের নাম বিকৃত হতে শুনেছেন—তাঁদের হাত তুলতে বলছি। আমরা যারা নিজেদের পরিচয়ের কারণে হেয়বোধ করেছি, এই নির্বাচনের লড়াই আমাদের সবার জন্য।’
তবে জোহরান মামদানি তাঁর সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক জীবনে প্রমাণ করেছেন, পরিচয়ে ‘এবিসিডি’ হলেও তাঁর জীবনদর্শন বা রাজনৈতিক ভাবনায় কোনো বিভ্রান্তির অবকাশ নেই। তাঁর টিম ইংরেজির পাশাপাশি হিন্দি, উর্দু ও বাংলাতে ক্যাম্পেইন ভিডিও তৈরি করেছে। এর মধ্যে কোনো কোনোটিতে ব্যবহৃত হয়েছে বলিউডের পুরোনো ব্লকবাস্টার ‘দিওয়ার’ ছবির থিম। এই ‘দিওয়ার’-এর বিখ্যাত সংলাপ ‘মেরে পাস মা হ্যায়’-এর আদলে মামদানিও যেন নীরবে বারবার বার্তা দিয়েছেন—তাঁর সঙ্গে তাঁর মা।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই অনেকেই পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারের আশঙ্কা করছেন অনেকেই। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার বর্তমান সম্পর্ক এবং তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা এই বিষয়টিকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলছে। তবে বিশ্বে পারমাণবিক যুদ্ধ
১৬ আগস্ট ২০২২
পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়া এসআইআর কার্যক্রম নিয়ে বিজেপি এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওপর ব্যাপক আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, কোনো প্রকৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে না। যদি যায়, তাহলে নরেন্দ্র মোদির সরকারকে টেনে নামাবেন তিন
১৮ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের লুইসভিলের একটি বিমানবন্দরে পরিবহন সংস্থা ইউনাইটেড পারসেল সার্ভিস–ইউপিএসের কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় বিশাল অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয় এবং ‘অনেকজন’ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
১ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে জয়ের পর বিজয় ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করেছেন জোহরান মামদানি। ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সমালোচনার মুখে থাকা এই নেতা তাঁর বিজয় ভাষণে ট্রাম্পকে নাম ধরে সম্বোধন করে বলেন, এ জয় ‘পরিবর্তনের ম্যান্ডেট।’ খবর ইউএস টুডের।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের লুইসভিলের একটি বিমানবন্দরে পরিবহন সংস্থা ইউনাইটেড পারসেল সার্ভিস–ইউপিএসের কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় বিশাল অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয় এবং ‘অনেকজন’ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলেছে, ইউপিএ ফ্লাইট–২৯৭৬ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে লুইসভিলের মুহাম্মদ আলী বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের সময় বিধ্বস্ত হয়।
দুর্ঘটনার পর প্রথম বার্তায় ইউপিএস জানায়, বিমানে তিনজন ক্রু ছিলেন। তবে কোনো হতাহতের তথ্য তারা দেয়নি। তবে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, নিহত সাতজনের মধ্যে চারজন বিমানটির বাইরে ছিলেন।
কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসিয়ার বলেন, ‘যারা ছবির বা ভিডিও দেখেছেন, তারা জানেন এই দুর্ঘটনা কতটা ভয়ানক।’ আগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, তিনজনের মৃত্যু নিশ্চিত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘এখন কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে কিছু গুরুতর। স্থানীয় হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে। আশঙ্কা করছি, এই সংখ্যা আরও বাড়বে।’ বেসিয়ার জানান, জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ড দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করবে, ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তাদের সহায়তা করবে।
দুর্ঘটনা স্থলের এয়ারিয়াল ফুটেজে দেখা গেছে, দীর্ঘ দুর্ঘটনার ধ্বংসাবশেষের পথ এবং অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা আগুনে পানি ঢালছেন। ধোঁয়া অনেক দূর পর্যন্ত উড়ছে। বেসিয়ার জানান, বিমানটি সরাসরি দুটি স্থানীয় ভবনকে ধাক্কা দিয়েছে। যার মধ্যে একটি ভবন একটি জ্বালানি তেল রিসাইক্লিং কোম্পানির এবং একটি অটো পার্টস কোম্পানির।
লুইসভিল মেট্রো পুলিশ জানিয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে তারা সব স্থানে ৮ কিলোমিটার (৫ মাইল) ব্যাসার্ধের মধ্যে ‘শেল্টার-ইন-প্লেস’ বা এই ব্যাসার্ধের মধ্যে থাকা নাগরিকদের নিরাপদে আশ্রয়ে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
শহরের মেয়র ক্রেইগ গ্রিনবার্গ সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘আমরা সব জরুরি সংস্থা ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। অনেক মানুষ আহত হয়েছেন এবং আগুন এখনো জ্বলছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এলাকার অনেক রাস্তা বন্ধ। অনুগ্রহ করে সেখানে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।’ তিনি এই দুর্ঘটনাকে স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য ‘এক অবিশ্বাস্য ট্র্যাজেডি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
লুইসভিল বিমানবন্দর ইউপিএস ওয়ার্ল্ড পোর্টের অন্যতম মূল কেন্দ্র। এটি কোম্পানিটির বিশ্বব্যাপী কার্গো অপারেশনের প্রধান কেন্দ্র। এই বিমানবন্দর বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্যাকেজ হ্যান্ডেলিং সুবিধা দেয়। এখানে হাজার হাজার কর্মী কাজ করেন এবং দিনে প্রায় ৩০০টি কার্গো ফ্লাইট চলাচল করে।
ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, বিধ্বস্ত বিমানটি একটি ম্যাকডনেল ডগলাস এমডি–১১ মডেলের কার্গো বিমান ছিল। এই ফ্লাইটটি লুইসভিল থেকে হাওয়াইয়ের হনলুলু যাচ্ছিল। ফ্লাইট ট্র্যাকিং সাইট ফ্লাইটরাডার ২৪ জানিয়েছে, বিমানটি মঙ্গলবার লুইসভিল থেকে বাল্টিমোরে গিয়েছিল এবং পরে লুইসভিলে ফিরে এসেছে।
লুইসভিল বিমানবন্দর জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর বিমানবন্দর বন্ধ করা হয়েছে। রয়টার্স জানিয়েছে, এই দুর্ঘটনা ইউপিএস কোম্পানির ডেলিভারিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে। এতে কোম্পানির বড় গ্রাহকেরা যেমন—অ্যামাজন, ওয়ালমার্ট এবং মার্কিন ডাকসেবা প্রভাবিত হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের লুইসভিলের একটি বিমানবন্দরে পরিবহন সংস্থা ইউনাইটেড পারসেল সার্ভিস–ইউপিএসের কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় বিশাল অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয় এবং ‘অনেকজন’ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলেছে, ইউপিএ ফ্লাইট–২৯৭৬ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে লুইসভিলের মুহাম্মদ আলী বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের সময় বিধ্বস্ত হয়।
দুর্ঘটনার পর প্রথম বার্তায় ইউপিএস জানায়, বিমানে তিনজন ক্রু ছিলেন। তবে কোনো হতাহতের তথ্য তারা দেয়নি। তবে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, নিহত সাতজনের মধ্যে চারজন বিমানটির বাইরে ছিলেন।
কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসিয়ার বলেন, ‘যারা ছবির বা ভিডিও দেখেছেন, তারা জানেন এই দুর্ঘটনা কতটা ভয়ানক।’ আগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, তিনজনের মৃত্যু নিশ্চিত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘এখন কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে কিছু গুরুতর। স্থানীয় হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে। আশঙ্কা করছি, এই সংখ্যা আরও বাড়বে।’ বেসিয়ার জানান, জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ড দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করবে, ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তাদের সহায়তা করবে।
দুর্ঘটনা স্থলের এয়ারিয়াল ফুটেজে দেখা গেছে, দীর্ঘ দুর্ঘটনার ধ্বংসাবশেষের পথ এবং অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা আগুনে পানি ঢালছেন। ধোঁয়া অনেক দূর পর্যন্ত উড়ছে। বেসিয়ার জানান, বিমানটি সরাসরি দুটি স্থানীয় ভবনকে ধাক্কা দিয়েছে। যার মধ্যে একটি ভবন একটি জ্বালানি তেল রিসাইক্লিং কোম্পানির এবং একটি অটো পার্টস কোম্পানির।
লুইসভিল মেট্রো পুলিশ জানিয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে তারা সব স্থানে ৮ কিলোমিটার (৫ মাইল) ব্যাসার্ধের মধ্যে ‘শেল্টার-ইন-প্লেস’ বা এই ব্যাসার্ধের মধ্যে থাকা নাগরিকদের নিরাপদে আশ্রয়ে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
শহরের মেয়র ক্রেইগ গ্রিনবার্গ সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘আমরা সব জরুরি সংস্থা ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। অনেক মানুষ আহত হয়েছেন এবং আগুন এখনো জ্বলছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এলাকার অনেক রাস্তা বন্ধ। অনুগ্রহ করে সেখানে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।’ তিনি এই দুর্ঘটনাকে স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য ‘এক অবিশ্বাস্য ট্র্যাজেডি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
লুইসভিল বিমানবন্দর ইউপিএস ওয়ার্ল্ড পোর্টের অন্যতম মূল কেন্দ্র। এটি কোম্পানিটির বিশ্বব্যাপী কার্গো অপারেশনের প্রধান কেন্দ্র। এই বিমানবন্দর বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্যাকেজ হ্যান্ডেলিং সুবিধা দেয়। এখানে হাজার হাজার কর্মী কাজ করেন এবং দিনে প্রায় ৩০০টি কার্গো ফ্লাইট চলাচল করে।
ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, বিধ্বস্ত বিমানটি একটি ম্যাকডনেল ডগলাস এমডি–১১ মডেলের কার্গো বিমান ছিল। এই ফ্লাইটটি লুইসভিল থেকে হাওয়াইয়ের হনলুলু যাচ্ছিল। ফ্লাইট ট্র্যাকিং সাইট ফ্লাইটরাডার ২৪ জানিয়েছে, বিমানটি মঙ্গলবার লুইসভিল থেকে বাল্টিমোরে গিয়েছিল এবং পরে লুইসভিলে ফিরে এসেছে।
লুইসভিল বিমানবন্দর জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর বিমানবন্দর বন্ধ করা হয়েছে। রয়টার্স জানিয়েছে, এই দুর্ঘটনা ইউপিএস কোম্পানির ডেলিভারিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে। এতে কোম্পানির বড় গ্রাহকেরা যেমন—অ্যামাজন, ওয়ালমার্ট এবং মার্কিন ডাকসেবা প্রভাবিত হতে পারে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই অনেকেই পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারের আশঙ্কা করছেন অনেকেই। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার বর্তমান সম্পর্ক এবং তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা এই বিষয়টিকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলছে। তবে বিশ্বে পারমাণবিক যুদ্ধ
১৬ আগস্ট ২০২২
পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়া এসআইআর কার্যক্রম নিয়ে বিজেপি এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওপর ব্যাপক আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, কোনো প্রকৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে না। যদি যায়, তাহলে নরেন্দ্র মোদির সরকারকে টেনে নামাবেন তিন
১৮ মিনিট আগে
জোহরান মামদানি—৩৪ বছর বয়সী এই যুবক নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনের ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারিতেই চমক দেখিয়েছেন। ওই সময় কেবল মার্কিন রাজনীতিতেই নয়, দক্ষিণ এশীয় মহলেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। এবার প্রতিদ্বন্দ্বীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে ইতিহাস গড়লেন।
২৬ মিনিট আগে
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে জয়ের পর বিজয় ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করেছেন জোহরান মামদানি। ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সমালোচনার মুখে থাকা এই নেতা তাঁর বিজয় ভাষণে ট্রাম্পকে নাম ধরে সম্বোধন করে বলেন, এ জয় ‘পরিবর্তনের ম্যান্ডেট।’ খবর ইউএস টুডের।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে জয়ের পর বিজয় ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করেছেন জোহরান মামদানি। ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সমালোচনার মুখে থাকা এই নেতা তাঁর বিজয় ভাষণে ট্রাম্পকে নাম ধরে সম্বোধন করে বলেন, এ জয় ‘পরিবর্তনের ম্যান্ডেট।’ খবর ইউএস টুডের।
ভাষণে ৩৪ বছর বয়সী মামদানি বলেন, ‘যদি এমন কেউ থাকে, যদি কোনো শহর ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো একজনের দ্বারা প্রতারিত একটি জাতিকে শেখাতে পারে কীভাবে তাঁকে হারাতে হয়, তবে তা হলো সেই শহর—যে শহর ট্রাম্পকে জন্ম দিয়েছে। আর কোনো স্বৈরশাসককে হারানোর একমাত্র উপায় হলো সেই ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলা, যে ব্যবস্থা তাঁকে ক্ষমতায় যেতে সাহায্য করেছে।’
মামদানি আরও বলেন, ‘এভাবে আমরা শুধু ট্রাম্পকেই থামাব না, থামাব পরের জনকেও। তাই ডোনাল্ড ট্রাম্প, আপনার জন্য দুটি কথা আছে। আমি জানি, আপনি এই ভাষণ দেখছেন। আপনাকে বলছি, ভলিউমটা বাড়ান।’ এ সময় ব্রুকলিন প্যারামাউন্টে উপস্থিত সমর্থকেরা তখন করতালিতে মুখর হয়ে ওঠেন।
মামদানির অনুমান সত্যি প্রমাণিত হয়। ভাষণ চলাকালেই ট্রাম্প নিজের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে লিখেন, ‘...এবং শুরু হলো!’ ট্রাম্প আগেও মামদানিকে ‘কমিউনিস্ট’ ও ‘পাগল’ বলে উপহাস করেছেন। এমনকি হুমকি দিয়েছেন, মেয়র হিসেবে মামদানি দায়িত্ব নিলে নিউইয়র্ক সিটিকে কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে বঞ্চিত করা হতে পারে। তবে এসব হুমকি মামদানিকে থামাতে পারেনি। মেয়র নির্বাচিত হয়েই প্রথম ভাষণেই তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন।
নবনির্বাচিত এই মেয়র বলেন, তাঁর প্রশাসন ভূমি–বাড়ি মালিকদের জবাবদিহির আওতায় আনবে। কারণ ‘আমাদের শহরের ডোনাল্ড ট্রাম্পরা অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যে ভাড়াটিয়াদের শোষণ করে চলেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শ্রমিক ইউনিয়নের পাশে থাকব, শ্রম অধিকার বাড়াব। কারণ আমরা জানি—যেমনটা ডোনাল্ড ট্রাম্পও জানে—যখন শ্রমজীবী মানুষদের অধিকার দৃঢ় হয়, তখন মালিকেরা যারা তাদের শোষণ করতে চায়, তারা খুবই ক্ষুদ্র হয়ে পড়ে।’
সবচেয়ে জোরালো করতালিটি আসে যখন মামদানি ঘোষণা করেন, ‘নিউইয়র্ক থাকবে অভিবাসীদের শহর—অভিবাসীদের হাতে গড়া, অভিবাসীদের শক্তিতে চালিত, আর আজ রাত থেকে অভিবাসীর নেতৃত্বে।’ তিনি ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুনে রাখুন—আমাদের কারও কাছে পৌঁছাতে চাইলে, আপনাকে আগে আমাদের সবাইকে ডিঙিয়ে যেতে হবে।’
মামদানি ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা এক নতুন রাজনীতির ম্যান্ডেট দিয়েছেন। এমন এক শহরের ম্যান্ডেট দিয়েছেন, যেখানে মানুষ বাস করতে পারবে। আর এমন এক সরকারের ম্যান্ডেট দিয়েছেন, যা তা বাস্তবায়ন করবে।’

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে জয়ের পর বিজয় ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করেছেন জোহরান মামদানি। ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সমালোচনার মুখে থাকা এই নেতা তাঁর বিজয় ভাষণে ট্রাম্পকে নাম ধরে সম্বোধন করে বলেন, এ জয় ‘পরিবর্তনের ম্যান্ডেট।’ খবর ইউএস টুডের।
ভাষণে ৩৪ বছর বয়সী মামদানি বলেন, ‘যদি এমন কেউ থাকে, যদি কোনো শহর ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো একজনের দ্বারা প্রতারিত একটি জাতিকে শেখাতে পারে কীভাবে তাঁকে হারাতে হয়, তবে তা হলো সেই শহর—যে শহর ট্রাম্পকে জন্ম দিয়েছে। আর কোনো স্বৈরশাসককে হারানোর একমাত্র উপায় হলো সেই ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলা, যে ব্যবস্থা তাঁকে ক্ষমতায় যেতে সাহায্য করেছে।’
মামদানি আরও বলেন, ‘এভাবে আমরা শুধু ট্রাম্পকেই থামাব না, থামাব পরের জনকেও। তাই ডোনাল্ড ট্রাম্প, আপনার জন্য দুটি কথা আছে। আমি জানি, আপনি এই ভাষণ দেখছেন। আপনাকে বলছি, ভলিউমটা বাড়ান।’ এ সময় ব্রুকলিন প্যারামাউন্টে উপস্থিত সমর্থকেরা তখন করতালিতে মুখর হয়ে ওঠেন।
মামদানির অনুমান সত্যি প্রমাণিত হয়। ভাষণ চলাকালেই ট্রাম্প নিজের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে লিখেন, ‘...এবং শুরু হলো!’ ট্রাম্প আগেও মামদানিকে ‘কমিউনিস্ট’ ও ‘পাগল’ বলে উপহাস করেছেন। এমনকি হুমকি দিয়েছেন, মেয়র হিসেবে মামদানি দায়িত্ব নিলে নিউইয়র্ক সিটিকে কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে বঞ্চিত করা হতে পারে। তবে এসব হুমকি মামদানিকে থামাতে পারেনি। মেয়র নির্বাচিত হয়েই প্রথম ভাষণেই তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন।
নবনির্বাচিত এই মেয়র বলেন, তাঁর প্রশাসন ভূমি–বাড়ি মালিকদের জবাবদিহির আওতায় আনবে। কারণ ‘আমাদের শহরের ডোনাল্ড ট্রাম্পরা অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যে ভাড়াটিয়াদের শোষণ করে চলেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শ্রমিক ইউনিয়নের পাশে থাকব, শ্রম অধিকার বাড়াব। কারণ আমরা জানি—যেমনটা ডোনাল্ড ট্রাম্পও জানে—যখন শ্রমজীবী মানুষদের অধিকার দৃঢ় হয়, তখন মালিকেরা যারা তাদের শোষণ করতে চায়, তারা খুবই ক্ষুদ্র হয়ে পড়ে।’
সবচেয়ে জোরালো করতালিটি আসে যখন মামদানি ঘোষণা করেন, ‘নিউইয়র্ক থাকবে অভিবাসীদের শহর—অভিবাসীদের হাতে গড়া, অভিবাসীদের শক্তিতে চালিত, আর আজ রাত থেকে অভিবাসীর নেতৃত্বে।’ তিনি ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুনে রাখুন—আমাদের কারও কাছে পৌঁছাতে চাইলে, আপনাকে আগে আমাদের সবাইকে ডিঙিয়ে যেতে হবে।’
মামদানি ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা এক নতুন রাজনীতির ম্যান্ডেট দিয়েছেন। এমন এক শহরের ম্যান্ডেট দিয়েছেন, যেখানে মানুষ বাস করতে পারবে। আর এমন এক সরকারের ম্যান্ডেট দিয়েছেন, যা তা বাস্তবায়ন করবে।’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই অনেকেই পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারের আশঙ্কা করছেন অনেকেই। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার বর্তমান সম্পর্ক এবং তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা এই বিষয়টিকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলছে। তবে বিশ্বে পারমাণবিক যুদ্ধ
১৬ আগস্ট ২০২২
পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়া এসআইআর কার্যক্রম নিয়ে বিজেপি এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওপর ব্যাপক আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, কোনো প্রকৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে না। যদি যায়, তাহলে নরেন্দ্র মোদির সরকারকে টেনে নামাবেন তিন
১৮ মিনিট আগে
জোহরান মামদানি—৩৪ বছর বয়সী এই যুবক নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনের ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারিতেই চমক দেখিয়েছেন। ওই সময় কেবল মার্কিন রাজনীতিতেই নয়, দক্ষিণ এশীয় মহলেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। এবার প্রতিদ্বন্দ্বীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে ইতিহাস গড়লেন।
২৬ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের লুইসভিলের একটি বিমানবন্দরে পরিবহন সংস্থা ইউনাইটেড পারসেল সার্ভিস–ইউপিএসের কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় বিশাল অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয় এবং ‘অনেকজন’ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
১ ঘণ্টা আগে