আজকের পত্রিকা ডেস্ক
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই অনেকেই পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারের আশঙ্কা করছেন অনেকেই। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার বর্তমান সম্পর্ক এবং তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা এই বিষয়টিকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলছে। তবে বিশ্বে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হলে বিশ্বের ৫০০ কোটি মানুষ মারা যাবে। বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারে প্রকাশিত এক নিবন্ধ হতে এই তথ্য জানা গেছে।
রাশিয়ার অভিযোগ, অন্য দেশগুলোর নিরাপত্তা ও স্বার্থ বিঘ্নিত করে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড বিশ্বে পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। গত সোমবার ওয়াশিংটনে অবস্থিত রাশিয়ার দূতাবাসের এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। বিপরীতে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়াই পরমাণু যুদ্ধ শুরু করতে পারে এমন অভিযোগ প্রতিনিয়ত করে আসছে পশ্চিমা বিশ্ব।
এমন পরিস্থিতিতে এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, পরমাণু শক্তিধর এই দুটি দেশ পরমাণু যুদ্ধে জড়ালে বিশ্বে ৫০০ কোটি মানুষ অন্তত এক দশক না খেয়ে থাকবে এবং মৃত্যুর মুখোমুখি হবে। এমনকি অপেক্ষাকৃত ভারত-পাকিস্তান পরমাণু যুদ্ধে জড়ালেও প্রায় ২৫ কোটি মানুষকে দুই বছর না খেয়ে থাকতে হবে। এমনকি এই দুই দেশের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধ শুরু হলে অন্তত ২০০ কোটি মানুষ মারা যেতে পারে।
বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, পরমাণু যুদ্ধের কারণে খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এমন বিপর্যয় ঘটবে। হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এশিয়া টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরমাণু যুদ্ধ হলে বোমা হামলার কারণে শহর ও শিল্প এলাকা ধ্বংস হয়ে যাবে। বায়ুমণ্ডল বিপুল পরিমাণ ছাই ও কার্বনের ধুলিতে ঢেকে যাবে। এটি পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়লে ভূপৃষ্ঠে ঠিকমতো সূর্যের আলো পৌঁছাবে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হবে।
ওই গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, মাত্র কয়েক দিন বা সপ্তাহজুড়ে পরমাণু যুদ্ধ চললে তা পরবর্তী ১০ বছর ধরে পৃথিবীর আবহাওয়াকে প্রভাবিত করবে। ফলে, যুদ্ধ শেষ হওয়ার ১৫ বছর পরও বৈশ্বিক খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় এর প্রভাব থাকবে।
ভারত-পাকিস্তানের মতো দেশ যুদ্ধে জড়ালে সেখানে বিশ্বের মোট পরমাণু অস্ত্রের তিন শতাংশ পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি রয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার যুদ্ধে ব্যবহৃত হবে অন্তত ৯০ শতাংশ। সবচেয়ে ছোট মাত্রার যুদ্ধেও বিশ্বের খাদ্য উৎপাদনকারী অঞ্চলে সূর্যালোক আসা কমে যাবে প্রায় ১০ শতাংশ। বৈশ্বিক তাপমাত্রাও ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে। এটি শিল্প বিপ্লবের পর মানবসৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণতাকে ঠেকিয়ে দেবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
গবেষণায় বলা হয়, বড় মাত্রার পরমাণু যুদ্ধের পর প্রথম পাঁচ বছরে বিশ্বের তাপমাত্রা গড়ে ১০-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যাবে। ভূপৃষ্ঠে সূর্যের আলো আসা কমে যাবে ৫০-৮০ শতাংশ। বিশ্বের খাদ্য উৎপাদনকারী অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কমবে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাবে। এতে ভূপৃষ্ঠে ও সাগরে বৈশ্বিক খাদ্য উৎপাদন পরমাণু যুদ্ধের আগের তুলনায় ২০ শতাংশ কমে যেতে পারে।
পরমাণু যুদ্ধ পরবর্তী দুনিয়ায় কয়েক বছর পর্যন্ত খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ থাকতে পারে। নিজ জনগোষ্ঠীর চাহিদা মেটানোর জন্য বড় বড় উৎপাদক দেশগুলো খাদ্যশস্য রপ্তানি বন্ধ রাখতে পারে। বিশেষত এশিয়া, ইউরোপ ও মধ্য়প্রাচ্য়ের দেশগুলো তীব্র খাদ্য সংকটে পড়বে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই অনেকেই পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারের আশঙ্কা করছেন অনেকেই। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার বর্তমান সম্পর্ক এবং তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা এই বিষয়টিকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলছে। তবে বিশ্বে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হলে বিশ্বের ৫০০ কোটি মানুষ মারা যাবে। বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারে প্রকাশিত এক নিবন্ধ হতে এই তথ্য জানা গেছে।
রাশিয়ার অভিযোগ, অন্য দেশগুলোর নিরাপত্তা ও স্বার্থ বিঘ্নিত করে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড বিশ্বে পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। গত সোমবার ওয়াশিংটনে অবস্থিত রাশিয়ার দূতাবাসের এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। বিপরীতে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়াই পরমাণু যুদ্ধ শুরু করতে পারে এমন অভিযোগ প্রতিনিয়ত করে আসছে পশ্চিমা বিশ্ব।
এমন পরিস্থিতিতে এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, পরমাণু শক্তিধর এই দুটি দেশ পরমাণু যুদ্ধে জড়ালে বিশ্বে ৫০০ কোটি মানুষ অন্তত এক দশক না খেয়ে থাকবে এবং মৃত্যুর মুখোমুখি হবে। এমনকি অপেক্ষাকৃত ভারত-পাকিস্তান পরমাণু যুদ্ধে জড়ালেও প্রায় ২৫ কোটি মানুষকে দুই বছর না খেয়ে থাকতে হবে। এমনকি এই দুই দেশের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধ শুরু হলে অন্তত ২০০ কোটি মানুষ মারা যেতে পারে।
বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, পরমাণু যুদ্ধের কারণে খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এমন বিপর্যয় ঘটবে। হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এশিয়া টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরমাণু যুদ্ধ হলে বোমা হামলার কারণে শহর ও শিল্প এলাকা ধ্বংস হয়ে যাবে। বায়ুমণ্ডল বিপুল পরিমাণ ছাই ও কার্বনের ধুলিতে ঢেকে যাবে। এটি পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়লে ভূপৃষ্ঠে ঠিকমতো সূর্যের আলো পৌঁছাবে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হবে।
ওই গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, মাত্র কয়েক দিন বা সপ্তাহজুড়ে পরমাণু যুদ্ধ চললে তা পরবর্তী ১০ বছর ধরে পৃথিবীর আবহাওয়াকে প্রভাবিত করবে। ফলে, যুদ্ধ শেষ হওয়ার ১৫ বছর পরও বৈশ্বিক খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় এর প্রভাব থাকবে।
ভারত-পাকিস্তানের মতো দেশ যুদ্ধে জড়ালে সেখানে বিশ্বের মোট পরমাণু অস্ত্রের তিন শতাংশ পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি রয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার যুদ্ধে ব্যবহৃত হবে অন্তত ৯০ শতাংশ। সবচেয়ে ছোট মাত্রার যুদ্ধেও বিশ্বের খাদ্য উৎপাদনকারী অঞ্চলে সূর্যালোক আসা কমে যাবে প্রায় ১০ শতাংশ। বৈশ্বিক তাপমাত্রাও ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে। এটি শিল্প বিপ্লবের পর মানবসৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণতাকে ঠেকিয়ে দেবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
গবেষণায় বলা হয়, বড় মাত্রার পরমাণু যুদ্ধের পর প্রথম পাঁচ বছরে বিশ্বের তাপমাত্রা গড়ে ১০-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যাবে। ভূপৃষ্ঠে সূর্যের আলো আসা কমে যাবে ৫০-৮০ শতাংশ। বিশ্বের খাদ্য উৎপাদনকারী অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কমবে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাবে। এতে ভূপৃষ্ঠে ও সাগরে বৈশ্বিক খাদ্য উৎপাদন পরমাণু যুদ্ধের আগের তুলনায় ২০ শতাংশ কমে যেতে পারে।
পরমাণু যুদ্ধ পরবর্তী দুনিয়ায় কয়েক বছর পর্যন্ত খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ থাকতে পারে। নিজ জনগোষ্ঠীর চাহিদা মেটানোর জন্য বড় বড় উৎপাদক দেশগুলো খাদ্যশস্য রপ্তানি বন্ধ রাখতে পারে। বিশেষত এশিয়া, ইউরোপ ও মধ্য়প্রাচ্য়ের দেশগুলো তীব্র খাদ্য সংকটে পড়বে।
পশ্চিমবঙ্গের তিস্তা অববাহিকায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘তিস্তা প্রহার’ সামরিক মহড়াকে ঘিরে নতুন করে কূটনৈতিক আলোচনার জন্ম দিয়েছে ভারত। শিলিগুড়ি করিডরের কাছে হওয়া এই বৃহৎ মহড়ায় আধুনিক অস্ত্র ও যৌথ যুদ্ধ-কৌশল প্রদর্শনের মাধ্যমে ভারত প্রতিবেশী দেশগুলোকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
২ ঘণ্টা আগেতুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছেন। মস্কোর সময় গতকাল বুধবার (১৪ মে) মধ্যরাতের একটু আগে ক্রেমলিন আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের নাম প্রকাশ করে।
২ ঘণ্টা আগেইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন—গাজা অঞ্চলকে ‘স্বাধীন এলাকা’ হিসেবে গড়ে তুলতে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত সেখানে সরাসরি হস্তক্ষেপ করা। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেছেন, ‘গাজার জন্য আমার কিছু পরিকল্পনা আছে, যেগুলো খুবই ভালো।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়া এবং তিনি অঞ্চলটি একটি ‘ফ্রিডম জোন’ বা ‘স্বাধীন অঞ্চল’ বানানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার কাতারে এক ব্যবসায়িক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি...
৩ ঘণ্টা আগে