আজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী ব্যস্ত সিউল শহরের একটি দোকান ‘ওয়ার্ম-হার্টেড কনভেনিয়েন্স স্টোর’। শুনতে আর দশটা মুদি দোকানের মতো মনে হলেও এই দোকানের পণ্য এক ভিন্ন জিনিস। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য হলেও এই দোকানের পণ্য সব দোকানে মেলে না। স্নেহ, ভালোবাসা, সঙ্গ, সহানুভূতির মতো বিষয়গুলো পেতে এই ‘স্টোর’-এ আসে মানুষ।
২৯ বছর বয়সী হি-কিয়ং। হাসিমুখে এসে দোকানটিতে ঢুকলেন এই তরুণী। প্রতিদিন ‘উষ্ণ হৃদয়ের খোঁজ’-এ এই দোকানে আসেন তিনি। এই দোকানে মেলে বিনা মূল্যের ইনস্ট্যান্ট রামেন নুডলস। সেগুলো খান আর অন্যান্য দর্শনার্থী ও সমাজকর্মীদের সঙ্গে গল্প করতে করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দেন।
এই বয়সে অধিকাংশ মানুষকেই ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা যায়। কিন্তু হি-কিয়ংয়ের জীবনের গল্প ভিন্ন।
কৈশোরে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন হি-কিয়ং। এখন আর পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ নেই। যেসব বন্ধু আছে, তাদের সঙ্গে পরিচয় অনলাইনে। কে-পপ ব্যান্ড সুপার জুনিয়রকে ঘিরে গড়ে উঠেছে এই বন্ধুত্ব। তবে বন্ধুরা সবাই থাকেন দূরে। বর্তমানে বেকার হি কিয়ং। তাই কর্মস্থলের সহকর্মীও নেই যাদের সঙ্গে গল্প করা যায়। তাঁর সময় কাটে মেঝেতে শুয়ে ফোনে আদুরে প্রাণীর ভিডিও দেখে। কিন্তু এ কাজ আর কতক্ষণ করা যায়!
নিঃসঙ্গতা কাটাতে এখন এই ‘স্টোর’-ই হি-কিয়ংয়ের ভরসা। হি-কিয়ং বলেন, ‘আমি নিজেকে বলি, আরেকটা দিন, আরেকটু নিঃসঙ্গতা থেকে মুক্তি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই দোকানটা না থাকলে আমার আর যাওয়ার মতো কোনো জায়গা নেই।’
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের উদ্যোগে গত মার্চে চালু হওয়ার পর থেকে এ ধরনের চারটি দোকানে ২০ হাজার মানুষ এসেছেন। অথচ প্রথম বছরে মাত্র ৫ হাজার দর্শনার্থী আসবে বলেই ধারণা ছিল।
সিউল শহরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ডংদেমুন জেলায় অবস্থিত এই শাখায় প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ৮০ জন আসেন। যাদের বেশির ভাগই চল্লিশোর্ধ্ব বা পঞ্চাশোর্ধ্ব, তবে হি-কিয়ংয়ের মতো অনেক তরুণ-তরুণীও দোকানের সেবা নিচ্ছেন।
২০২২ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, সিউলের ১৯ থেকে ৩৯ বছর বয়সী প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার তরুণ হয় সামাজিকভাবে একাকী, নয়তো স্বেচ্ছায় গৃহবন্দী হয়ে আছেন। ওই গবেষণায় আরও জানা যায়, রাজধানীতে একক সদস্যের পরিবারের সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশে পৌঁছেছে। এ অবস্থায় বিয়ে ও জন্মহার কমে যাওয়া ঠেকাতে মরিয়া সরকারকে আরও চিন্তায় পড়ে গেছে।
উষ্ণ হৃদয়ের খোঁজে যাত্রা করা এই দোকানে বিবিসির প্রতিবেদক সরেজমিনে দেখেন, প্রায় ১২ থেকে ১৫ জন নারী-পুরুষ, তরুণ-প্রবীণ দর্শনার্থী বেঞ্চে বসে কেউ কেউ বিনব্যাগে হেলান দিয়ে একসঙ্গে সিনেমা দেখছিলেন।
শহরের ‘নিঃসঙ্গতা প্রতিরোধ বিভাগ’-এর ম্যানেজার কিম সে-হন বলেন, ‘আমরা সিনেমা ডে আয়োজন করি, যাতে স্বাভাবিকভাবে একধরনের বন্ধন তৈরি হয়।’
তিনি বলতে থাকেন, দোকানগুলো এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে সেখানে সম্পর্কের উষ্ণতা অনুভূত হয়। যেখানে একটি ক্যাফের মতো একটি পরিবেশ পাওয়া যায়।
স্টোরটির এক কোণে এক প্রবীণ নারীকে স্বয়ংক্রিয় ম্যাসাজ চেয়ারে চোখ বন্ধ করে বসে থাকতে দেখা যায়। আরেক কোণে স্তূপ করে রাখা নুডলস দেখা যায়।
ম্যানেজার কিম বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় রামেন (নুডলস) হলো ‘স্বস্তি আর উষ্ণতার’ প্রতীক।
নুডলস সেদ্ধ হওয়ার অপেক্ষায় থাকাকালে দর্শনার্থীদের কাছে তাদের মনের অবস্থা ও জীবনযাপনের শর্ত নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত জরিপ ফরম পূরণ করতে বলা হয়।
এই দোকানগুলোতে আসেন নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করা মানুষগুলো। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ও তাদের কোনো কিছুতে সম্পৃক্ত রাখার চেষ্টায় এ উদ্যোগ নিয়েছে শহর কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণ কোরিয়ায় সামাজিক-অর্থনৈতিক পরিবর্তন এসেছে বেশ দ্রুতগতিতে। এক প্রজন্মের মধ্যেই যুদ্ধবিধ্বস্ত কৃষিভিত্তিক সমাজ থেকে এটি রূপ নিয়েছে উন্নত অর্থনীতিতে।
কয়েক দশক আগেও দেশটিতে একই ছাদের নিচে ছয়-আট সন্তানের বড় পরিবার ছিল স্বাভাবিক চিত্র। কিন্তু শহরমুখী অভিবাসনের ধারাবাহিকতায় পরিবার ছোট হয়ে গেছে, আর সিউলের মতো শহর পরিণত হয়েছে বিস্তৃত মহানগরে।
এছাড়াও অসহনীয় বাড়িভাড়া, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বমূল্য এবং ক্লান্তিকর কর্মঘণ্টা ক্রমশ আরও বেশি তরুণকে বিয়ে বা সন্তান ধারণ অথবা এই দুটোই এড়িয়ে চলার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অন্যদিকে আছে একটি অবহেলিত বৃদ্ধ প্রজন্মও রয়ে গেছে যাদের সন্তানরা জীবনজীবিকার দৌড়ে এতটাই ব্যস্ত যে তাদের জন্য সময় নেই।
দোকানের কাউন্সেলর লি ইন-সুক বলেন, ‘একা খাবার খাওয়ার অনুভূতি জীবনের সবচেয়ে নীরস খাবার খাওয়ার মতো। আমি দোকানে আসা প্রবীণদের জিজ্ঞেস করি, তারা ঠিকমতো খাচ্ছেন কি না। শুধু এই প্রশ্ন করলেই তাদের চোখ ভিজে ওঠে।’
ইন-সুক জানান, বিচ্ছেদের পর এবং যখন প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানেরা আলাদা হয়ে গেল, তখন তিনি বুঝতে পেরেছেন নিঃসঙ্গতা কেমন লাগে।
প্রথমবার যখন হি-কিয়ং ওই দোকানে আসেন তখন থেকে ইন-সুকের নজর কাড়েন। হি-কিয়ংয়ের বয়স ইন-সুকের মেয়ের সমান। অনেক দর্শনার্থীর মতো প্রথম দিন হি-কিয়ংও ছিলেন নীরব, প্রায় কারও সঙ্গে কথা বলেননি। কিন্তু দ্বিতীয়বার আসার পর তিনি ইন-সুকের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন।
বাড়তে থাকা ‘নিঃসঙ্গ মৃত্যু’ সিউল কর্তৃপক্ষকে এতটাই উদ্বিগ্ন করেছিল যে তারা এই সামাজিক যোগাযোগ বাড়ানোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়। অনেক প্রবীণ মানুষ বাড়িতে নিঃসঙ্গ অবস্থায় মারা যাচ্ছিলেন। দিনের পর দিন তাদের মরদেহ ঘরে পড়ে থাকছিল।
শুরুতে এই উদ্যোগের লক্ষ্য ছিল শুধু ওই সমস্যার সমাধান, কিন্তু পরে তা প্রসারিত হয়ে নিঃসঙ্গতা মোকাবিলার বৃহত্তর অভিযানে রূপ নেয়। তবে সিউল এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম নয়।
২০১৮ সালে যুক্তরাজ্য নিঃসঙ্গতা বিষয়ক মন্ত্রী নিয়োগ দেয়। জাপানও একই পথে হেঁটে একটি সংস্থা গড়ে তোলে, যা কোভিড-১৯ মহামারির সময় সমস্যাটিকে আরও তীব্র বলে চিহ্নিত করে।
অন্যদিকে সমাজ থেকে পুরোপুরি সরে যাওয়ার এই প্রবণতা জাপানে এতটাই সাধারণ যে এর জন্য আলাদা একটি নাম আছে, ‘হিকিকোমোরি’। দক্ষিণ কোরিয়াতেও ক্রমেই তরুণেরা স্বেচ্ছায় নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলছেন অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক ও কঠোর সামাজিক বাস্তবতা থেকে।
সিউলের এক ‘নিঃসঙ্গতা প্রতিরোধ কর্মসূচি’র ব্যবস্থাপক লি ইউ-জিয়ং চিন্তিত স্বরে বলেন, ‘হয়তো এর পেছনে মহামারিই দায়ী।’
তিনি বলতে থাকেন, ‘আমার সন্তানেরাও স্মার্টফোনে মুখ গুঁজে থাকে, এমনকি বন্ধুরা বাড়িতে এলেও।’
লি ইউ-জিয়ং আরও বলেন, ‘আজকের দিনে মানুষ বন্ধুত্বের নেটওয়ার্ক তৈরি করাকে কঠিন বলে মনে করে। নিঃসঙ্গতা এখন এমন এক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা সমাজ হিসেবে মোকাবিলা করা দরকার।’
দক্ষিণ কোরিয়া প্রথমে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে একটি হটলাইন চালু করার পদক্ষেপ নেয়, যেখানে মানুষ প্রয়োজনে কারও সঙ্গে কথা বলতে পারে। ২০২৩ সালের এক জাতীয় জরিপে দেখা গেছে, দেশটির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্কের এমন কেউ নেই, যাকে গৃহস্থালির কাজে সাহায্যের জন্য বলা যায় কিংবা মন খারাপের সময় কথা বলা যায়।
এখানে কাউন্সেলররা যে কারও সঙ্গে যেকোনো বিষয়ে প্রায় ৪০ মিনিট কথা বলার সুযোগ দেন। পার্ক সিউং-আ তার ছোট্ট কিউবিকল থেকে দিনে তিনটি করে কল করেন।
পার্ক আরও বলেন, ‘এত তরুণ-তরুণীরা এই সেশনে অংশ নেয় যে দেখে অবাক হই। তাঁরা নিজেদের কথার ভার ভাগ করে নিতে চায়। বুকে বোঝা হয়ে জমে থাকা কষ্ট ভাগ করে নিতে চায়। বাবা-মা বা বন্ধুদের সঙ্গে প্রায়ই একধরনের দূরত্ব থাকে। তাই তারা আমাদের কাছে আসে।’
এর পর চালু হয় ‘ওয়ার্ম-হার্টেড কনভেনিয়েন্স স্টোর’, যেখানে নিঃসঙ্গরা এসে নিজেদের মনের কথা প্রকাশ করতে পারে।
ডংদেমুন শাখাটি এমন একটি এলাকায় যেখানে নিম্ন-আয়ের মানুষ বেশি থাকে। এসব অ্যাপার্টমেন্টের বেশির ভাগ মানুষই একা বসবাস করে।
৬৮ বছর বয়সী সন সপ্তাহে একবার এই দোকানে আসেন সিনেমা। নিজের ছোট্ট সংকীর্ণ বাসা থেকে কিছুটা সময়ের জন্য মুক্তি পেতে।
তিনি বলেন, ‘এই দোকানগুলো আমার জন্মের আগেই খোলা উচিত ছিল। মাত্র দুই-তিন ঘণ্টা হলেও এখানে সময় কাটানো ভালো লাগে।’
বিয়ে করেননি সন। মায়ের সঙ্গে থাকতেন। মা মারা যাওয়ার পর একা হয়ে পড়েন তিনি। কয়েক বছর আগে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় তাঁর। এর পর থেকে লাঠি ভর দিয়ে হাঁটেন সন। তিনি বলেন, আমার মতো মানুষের জন্য জায়গা খুব বেশি নেই। যেখানেই যাই, টাকা লাগে। সিনেমা দেখতে গেলেও টাকা লাগে।’
দোকান ব্যবস্থাপক লি বো-হিউন বলেন, এই দোকানগুলো মূলত এমন মানুষের জন্যই তৈরি, যারা অন্য জায়গায় চাইলেই যেতে পারেন না। এগুলো কেবল একটা আড্ডা দেওয়া বা একটি সিনেমা উপভোগ করার জায়গা নয় বরং এর চেয়েও বেশি কিছু। তীব্র গরমের দিনে নিম্ন-আয়ের মানুষদের জন্য বিনা মূল্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশও থাকে, যা তারা নিজেদের ঘরে বহন করতে পারেন না।
এই দোকানগুলোর নাম ‘কনভেনিয়েন্স স্টোর’ দেওয়া হয়েছে যাতে কেউ এখান থেকে সাহায্য চাইতে না ভাবে, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে না লজ্জা পায়। এখনো দক্ষিণ কোরিয়ায় মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সাহায্য চাইতে এখনো অনেকে লজ্জা পান, বিশেষ করে প্রবীণেরা।
দোকানের ম্যানেজার লি জানান, শুরুতে দর্শনার্থীরা প্রায়ই কারও সঙ্গে কথা বলতে বা একসঙ্গে খেতে অস্বস্তি বোধ করেন।
হি-কিয়ংয়ের সেই নতুন আগন্তুক হিসেবে নীরব থাকার দিনগুলোর পর থেকে পেরিয়ে গেছে কয়েক মাস। এখন কেমন সময় কাটছে তাঁর?
এ সময় ইন-সুক বলেন, একদিন স্থানীয় এক পত্রিকার সঙ্গে কথা বলছিলাম। সে সময় নিজের মেয়ের কথা উঠে আসে। হঠাৎ বুকের ভেতর টান অনুভব করেন, গলা কেঁপে ওঠে।’
এ সময় হঠাৎ হি-কিয়ং বলে ওঠে, ‘আমি আপনাকে জড়িয়ে ধরতে চাই।’
ঘরের অন্য প্রান্ত থেকে হেঁটে এসে সে আলতো করে জড়িয়ে ধরেছিল ইন-সুককে।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী ব্যস্ত সিউল শহরের একটি দোকান ‘ওয়ার্ম-হার্টেড কনভেনিয়েন্স স্টোর’। শুনতে আর দশটা মুদি দোকানের মতো মনে হলেও এই দোকানের পণ্য এক ভিন্ন জিনিস। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য হলেও এই দোকানের পণ্য সব দোকানে মেলে না। স্নেহ, ভালোবাসা, সঙ্গ, সহানুভূতির মতো বিষয়গুলো পেতে এই ‘স্টোর’-এ আসে মানুষ।
২৯ বছর বয়সী হি-কিয়ং। হাসিমুখে এসে দোকানটিতে ঢুকলেন এই তরুণী। প্রতিদিন ‘উষ্ণ হৃদয়ের খোঁজ’-এ এই দোকানে আসেন তিনি। এই দোকানে মেলে বিনা মূল্যের ইনস্ট্যান্ট রামেন নুডলস। সেগুলো খান আর অন্যান্য দর্শনার্থী ও সমাজকর্মীদের সঙ্গে গল্প করতে করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দেন।
এই বয়সে অধিকাংশ মানুষকেই ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা যায়। কিন্তু হি-কিয়ংয়ের জীবনের গল্প ভিন্ন।
কৈশোরে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন হি-কিয়ং। এখন আর পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ নেই। যেসব বন্ধু আছে, তাদের সঙ্গে পরিচয় অনলাইনে। কে-পপ ব্যান্ড সুপার জুনিয়রকে ঘিরে গড়ে উঠেছে এই বন্ধুত্ব। তবে বন্ধুরা সবাই থাকেন দূরে। বর্তমানে বেকার হি কিয়ং। তাই কর্মস্থলের সহকর্মীও নেই যাদের সঙ্গে গল্প করা যায়। তাঁর সময় কাটে মেঝেতে শুয়ে ফোনে আদুরে প্রাণীর ভিডিও দেখে। কিন্তু এ কাজ আর কতক্ষণ করা যায়!
নিঃসঙ্গতা কাটাতে এখন এই ‘স্টোর’-ই হি-কিয়ংয়ের ভরসা। হি-কিয়ং বলেন, ‘আমি নিজেকে বলি, আরেকটা দিন, আরেকটু নিঃসঙ্গতা থেকে মুক্তি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই দোকানটা না থাকলে আমার আর যাওয়ার মতো কোনো জায়গা নেই।’
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের উদ্যোগে গত মার্চে চালু হওয়ার পর থেকে এ ধরনের চারটি দোকানে ২০ হাজার মানুষ এসেছেন। অথচ প্রথম বছরে মাত্র ৫ হাজার দর্শনার্থী আসবে বলেই ধারণা ছিল।
সিউল শহরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ডংদেমুন জেলায় অবস্থিত এই শাখায় প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ৮০ জন আসেন। যাদের বেশির ভাগই চল্লিশোর্ধ্ব বা পঞ্চাশোর্ধ্ব, তবে হি-কিয়ংয়ের মতো অনেক তরুণ-তরুণীও দোকানের সেবা নিচ্ছেন।
২০২২ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, সিউলের ১৯ থেকে ৩৯ বছর বয়সী প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার তরুণ হয় সামাজিকভাবে একাকী, নয়তো স্বেচ্ছায় গৃহবন্দী হয়ে আছেন। ওই গবেষণায় আরও জানা যায়, রাজধানীতে একক সদস্যের পরিবারের সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশে পৌঁছেছে। এ অবস্থায় বিয়ে ও জন্মহার কমে যাওয়া ঠেকাতে মরিয়া সরকারকে আরও চিন্তায় পড়ে গেছে।
উষ্ণ হৃদয়ের খোঁজে যাত্রা করা এই দোকানে বিবিসির প্রতিবেদক সরেজমিনে দেখেন, প্রায় ১২ থেকে ১৫ জন নারী-পুরুষ, তরুণ-প্রবীণ দর্শনার্থী বেঞ্চে বসে কেউ কেউ বিনব্যাগে হেলান দিয়ে একসঙ্গে সিনেমা দেখছিলেন।
শহরের ‘নিঃসঙ্গতা প্রতিরোধ বিভাগ’-এর ম্যানেজার কিম সে-হন বলেন, ‘আমরা সিনেমা ডে আয়োজন করি, যাতে স্বাভাবিকভাবে একধরনের বন্ধন তৈরি হয়।’
তিনি বলতে থাকেন, দোকানগুলো এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে সেখানে সম্পর্কের উষ্ণতা অনুভূত হয়। যেখানে একটি ক্যাফের মতো একটি পরিবেশ পাওয়া যায়।
স্টোরটির এক কোণে এক প্রবীণ নারীকে স্বয়ংক্রিয় ম্যাসাজ চেয়ারে চোখ বন্ধ করে বসে থাকতে দেখা যায়। আরেক কোণে স্তূপ করে রাখা নুডলস দেখা যায়।
ম্যানেজার কিম বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় রামেন (নুডলস) হলো ‘স্বস্তি আর উষ্ণতার’ প্রতীক।
নুডলস সেদ্ধ হওয়ার অপেক্ষায় থাকাকালে দর্শনার্থীদের কাছে তাদের মনের অবস্থা ও জীবনযাপনের শর্ত নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত জরিপ ফরম পূরণ করতে বলা হয়।
এই দোকানগুলোতে আসেন নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করা মানুষগুলো। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ও তাদের কোনো কিছুতে সম্পৃক্ত রাখার চেষ্টায় এ উদ্যোগ নিয়েছে শহর কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণ কোরিয়ায় সামাজিক-অর্থনৈতিক পরিবর্তন এসেছে বেশ দ্রুতগতিতে। এক প্রজন্মের মধ্যেই যুদ্ধবিধ্বস্ত কৃষিভিত্তিক সমাজ থেকে এটি রূপ নিয়েছে উন্নত অর্থনীতিতে।
কয়েক দশক আগেও দেশটিতে একই ছাদের নিচে ছয়-আট সন্তানের বড় পরিবার ছিল স্বাভাবিক চিত্র। কিন্তু শহরমুখী অভিবাসনের ধারাবাহিকতায় পরিবার ছোট হয়ে গেছে, আর সিউলের মতো শহর পরিণত হয়েছে বিস্তৃত মহানগরে।
এছাড়াও অসহনীয় বাড়িভাড়া, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বমূল্য এবং ক্লান্তিকর কর্মঘণ্টা ক্রমশ আরও বেশি তরুণকে বিয়ে বা সন্তান ধারণ অথবা এই দুটোই এড়িয়ে চলার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অন্যদিকে আছে একটি অবহেলিত বৃদ্ধ প্রজন্মও রয়ে গেছে যাদের সন্তানরা জীবনজীবিকার দৌড়ে এতটাই ব্যস্ত যে তাদের জন্য সময় নেই।
দোকানের কাউন্সেলর লি ইন-সুক বলেন, ‘একা খাবার খাওয়ার অনুভূতি জীবনের সবচেয়ে নীরস খাবার খাওয়ার মতো। আমি দোকানে আসা প্রবীণদের জিজ্ঞেস করি, তারা ঠিকমতো খাচ্ছেন কি না। শুধু এই প্রশ্ন করলেই তাদের চোখ ভিজে ওঠে।’
ইন-সুক জানান, বিচ্ছেদের পর এবং যখন প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানেরা আলাদা হয়ে গেল, তখন তিনি বুঝতে পেরেছেন নিঃসঙ্গতা কেমন লাগে।
প্রথমবার যখন হি-কিয়ং ওই দোকানে আসেন তখন থেকে ইন-সুকের নজর কাড়েন। হি-কিয়ংয়ের বয়স ইন-সুকের মেয়ের সমান। অনেক দর্শনার্থীর মতো প্রথম দিন হি-কিয়ংও ছিলেন নীরব, প্রায় কারও সঙ্গে কথা বলেননি। কিন্তু দ্বিতীয়বার আসার পর তিনি ইন-সুকের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন।
বাড়তে থাকা ‘নিঃসঙ্গ মৃত্যু’ সিউল কর্তৃপক্ষকে এতটাই উদ্বিগ্ন করেছিল যে তারা এই সামাজিক যোগাযোগ বাড়ানোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়। অনেক প্রবীণ মানুষ বাড়িতে নিঃসঙ্গ অবস্থায় মারা যাচ্ছিলেন। দিনের পর দিন তাদের মরদেহ ঘরে পড়ে থাকছিল।
শুরুতে এই উদ্যোগের লক্ষ্য ছিল শুধু ওই সমস্যার সমাধান, কিন্তু পরে তা প্রসারিত হয়ে নিঃসঙ্গতা মোকাবিলার বৃহত্তর অভিযানে রূপ নেয়। তবে সিউল এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম নয়।
২০১৮ সালে যুক্তরাজ্য নিঃসঙ্গতা বিষয়ক মন্ত্রী নিয়োগ দেয়। জাপানও একই পথে হেঁটে একটি সংস্থা গড়ে তোলে, যা কোভিড-১৯ মহামারির সময় সমস্যাটিকে আরও তীব্র বলে চিহ্নিত করে।
অন্যদিকে সমাজ থেকে পুরোপুরি সরে যাওয়ার এই প্রবণতা জাপানে এতটাই সাধারণ যে এর জন্য আলাদা একটি নাম আছে, ‘হিকিকোমোরি’। দক্ষিণ কোরিয়াতেও ক্রমেই তরুণেরা স্বেচ্ছায় নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলছেন অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক ও কঠোর সামাজিক বাস্তবতা থেকে।
সিউলের এক ‘নিঃসঙ্গতা প্রতিরোধ কর্মসূচি’র ব্যবস্থাপক লি ইউ-জিয়ং চিন্তিত স্বরে বলেন, ‘হয়তো এর পেছনে মহামারিই দায়ী।’
তিনি বলতে থাকেন, ‘আমার সন্তানেরাও স্মার্টফোনে মুখ গুঁজে থাকে, এমনকি বন্ধুরা বাড়িতে এলেও।’
লি ইউ-জিয়ং আরও বলেন, ‘আজকের দিনে মানুষ বন্ধুত্বের নেটওয়ার্ক তৈরি করাকে কঠিন বলে মনে করে। নিঃসঙ্গতা এখন এমন এক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা সমাজ হিসেবে মোকাবিলা করা দরকার।’
দক্ষিণ কোরিয়া প্রথমে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে একটি হটলাইন চালু করার পদক্ষেপ নেয়, যেখানে মানুষ প্রয়োজনে কারও সঙ্গে কথা বলতে পারে। ২০২৩ সালের এক জাতীয় জরিপে দেখা গেছে, দেশটির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্কের এমন কেউ নেই, যাকে গৃহস্থালির কাজে সাহায্যের জন্য বলা যায় কিংবা মন খারাপের সময় কথা বলা যায়।
এখানে কাউন্সেলররা যে কারও সঙ্গে যেকোনো বিষয়ে প্রায় ৪০ মিনিট কথা বলার সুযোগ দেন। পার্ক সিউং-আ তার ছোট্ট কিউবিকল থেকে দিনে তিনটি করে কল করেন।
পার্ক আরও বলেন, ‘এত তরুণ-তরুণীরা এই সেশনে অংশ নেয় যে দেখে অবাক হই। তাঁরা নিজেদের কথার ভার ভাগ করে নিতে চায়। বুকে বোঝা হয়ে জমে থাকা কষ্ট ভাগ করে নিতে চায়। বাবা-মা বা বন্ধুদের সঙ্গে প্রায়ই একধরনের দূরত্ব থাকে। তাই তারা আমাদের কাছে আসে।’
এর পর চালু হয় ‘ওয়ার্ম-হার্টেড কনভেনিয়েন্স স্টোর’, যেখানে নিঃসঙ্গরা এসে নিজেদের মনের কথা প্রকাশ করতে পারে।
ডংদেমুন শাখাটি এমন একটি এলাকায় যেখানে নিম্ন-আয়ের মানুষ বেশি থাকে। এসব অ্যাপার্টমেন্টের বেশির ভাগ মানুষই একা বসবাস করে।
৬৮ বছর বয়সী সন সপ্তাহে একবার এই দোকানে আসেন সিনেমা। নিজের ছোট্ট সংকীর্ণ বাসা থেকে কিছুটা সময়ের জন্য মুক্তি পেতে।
তিনি বলেন, ‘এই দোকানগুলো আমার জন্মের আগেই খোলা উচিত ছিল। মাত্র দুই-তিন ঘণ্টা হলেও এখানে সময় কাটানো ভালো লাগে।’
বিয়ে করেননি সন। মায়ের সঙ্গে থাকতেন। মা মারা যাওয়ার পর একা হয়ে পড়েন তিনি। কয়েক বছর আগে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় তাঁর। এর পর থেকে লাঠি ভর দিয়ে হাঁটেন সন। তিনি বলেন, আমার মতো মানুষের জন্য জায়গা খুব বেশি নেই। যেখানেই যাই, টাকা লাগে। সিনেমা দেখতে গেলেও টাকা লাগে।’
দোকান ব্যবস্থাপক লি বো-হিউন বলেন, এই দোকানগুলো মূলত এমন মানুষের জন্যই তৈরি, যারা অন্য জায়গায় চাইলেই যেতে পারেন না। এগুলো কেবল একটা আড্ডা দেওয়া বা একটি সিনেমা উপভোগ করার জায়গা নয় বরং এর চেয়েও বেশি কিছু। তীব্র গরমের দিনে নিম্ন-আয়ের মানুষদের জন্য বিনা মূল্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশও থাকে, যা তারা নিজেদের ঘরে বহন করতে পারেন না।
এই দোকানগুলোর নাম ‘কনভেনিয়েন্স স্টোর’ দেওয়া হয়েছে যাতে কেউ এখান থেকে সাহায্য চাইতে না ভাবে, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে না লজ্জা পায়। এখনো দক্ষিণ কোরিয়ায় মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সাহায্য চাইতে এখনো অনেকে লজ্জা পান, বিশেষ করে প্রবীণেরা।
দোকানের ম্যানেজার লি জানান, শুরুতে দর্শনার্থীরা প্রায়ই কারও সঙ্গে কথা বলতে বা একসঙ্গে খেতে অস্বস্তি বোধ করেন।
হি-কিয়ংয়ের সেই নতুন আগন্তুক হিসেবে নীরব থাকার দিনগুলোর পর থেকে পেরিয়ে গেছে কয়েক মাস। এখন কেমন সময় কাটছে তাঁর?
এ সময় ইন-সুক বলেন, একদিন স্থানীয় এক পত্রিকার সঙ্গে কথা বলছিলাম। সে সময় নিজের মেয়ের কথা উঠে আসে। হঠাৎ বুকের ভেতর টান অনুভব করেন, গলা কেঁপে ওঠে।’
এ সময় হঠাৎ হি-কিয়ং বলে ওঠে, ‘আমি আপনাকে জড়িয়ে ধরতে চাই।’
ঘরের অন্য প্রান্ত থেকে হেঁটে এসে সে আলতো করে জড়িয়ে ধরেছিল ইন-সুককে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৩ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৩ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৪ ঘণ্টা আগেএএফপি, কায়রো

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী ব্যস্ত সিউল শহরের একটি দোকান ‘ওয়ার্ম-হার্টেড কনভেনিয়েন্স স্টোর’। শুনতে আর দশটা মুদি দোকানের মতো মনে হলেও এই দোকানের পণ্য এক ভিন্ন জিনিস। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য হলেও এই দোকানের পণ্য সব দোকানে মেলে না।
১০ আগস্ট ২০২৫
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৩ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৩ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’
কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটিরও পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’
কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’
কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি করে সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যাঁরা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছেন। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’
কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটিরও পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’
কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’
কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি করে সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যাঁরা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছেন। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী ব্যস্ত সিউল শহরের একটি দোকান ‘ওয়ার্ম-হার্টেড কনভেনিয়েন্স স্টোর’। শুনতে আর দশটা মুদি দোকানের মতো মনে হলেও এই দোকানের পণ্য এক ভিন্ন জিনিস। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য হলেও এই দোকানের পণ্য সব দোকানে মেলে না।
১০ আগস্ট ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৩ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।
তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।
তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী ব্যস্ত সিউল শহরের একটি দোকান ‘ওয়ার্ম-হার্টেড কনভেনিয়েন্স স্টোর’। শুনতে আর দশটা মুদি দোকানের মতো মনে হলেও এই দোকানের পণ্য এক ভিন্ন জিনিস। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য হলেও এই দোকানের পণ্য সব দোকানে মেলে না।
১০ আগস্ট ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৩ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।
ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।
ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী ব্যস্ত সিউল শহরের একটি দোকান ‘ওয়ার্ম-হার্টেড কনভেনিয়েন্স স্টোর’। শুনতে আর দশটা মুদি দোকানের মতো মনে হলেও এই দোকানের পণ্য এক ভিন্ন জিনিস। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য হলেও এই দোকানের পণ্য সব দোকানে মেলে না।
১০ আগস্ট ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৩ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৩ ঘণ্টা আগে