মারুফ ইসলাম

পৃথিবীর মানুষ বর্তমানে ঠিক কতটি ভাষায় কথা বলে? জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো বলছে, সাত হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ভাষা এই শতাব্দী শেষ হতে হতে চিরতরে হারিয়ে যাবে।
অবশ্য পৃথিবী থেকে ভাষা বিলুপ্তি নতুন কোনো ঘটনা নয়। এর আগেও বহু ভাষা বিলুপ্ত হয়েছে। অনেক ভাষা হয়তো আমাদের জানার আগেই হারিয়ে গেছে। ভাষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীতে এখন অন্তত ১৫টি ভাষা সবচেয়ে বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে এগুলো। এমন কয়েকটি ভাষা সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু তথ্য জেনে নিই।
রেসিগারো
রেসিগারো একটি আমাজনীয় ভাষা। এ ভাষায় কথা বলা রোসা আন্দ্রেদ ওকাগান ২০১৬ সালে ৬৭ বছর বয়সে মারা গেছেন। এখন তাঁর ভাই পাবলো এই ভাষায় কথা বলেন। ভাষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি পৃথিবীর অন্যতম বিপন্ন একটি ভাষা।
ছুলিম
তুর্কি অঞ্চলের ভাষা ছুলিম। রাশিয়ার ২০১০ সালের আদমশুমারি থেকে জানা যায়, এ ভাষায় এখন মাত্র ৪৪ জন মানুষ কথা বলতে পারেন। তাঁদের বেশির ভাগই সাইবেরিয়ার গ্রামগুলোতে বাস করেন। ১৯৫৯ সালে এই ভাষাভাষী মানুষকে সরকার নৃগোষ্ঠীর তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল। ১৯৯৯ সালে তাঁরা আবার স্বতন্ত্র নৃগোষ্ঠীর মর্যাদা ফিরে পান।
মুদবুরা
অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলে বসবাসকারী আদিবাসীরা এ ভাষায় কথা বলেন। অস্ট্রেলিয়ার ২০০৬ সালের আদমশুমারি বলছে, ওই এলাকায় ৪৭ জন মুদবুরা ভাষায় কথা বলতে পারতেন। তবে ২০১৬ সালের আরেক জরিপ থেকে জানা যায়, সংখ্যাটি ৯২ জনে উন্নীত হয়েছে।
পাটউইন
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার নেটিভ আমেরিকানদের কথ্য ভাষা ছিল পাটউইন। ২০১১ সালের এক জরিপ থেকে জানা যায়, ওই ভাষায় কথা বলতে পারা একজন ব্যক্তি আর অবশিষ্ট রয়েছেন। তাঁর কাছ থেকে ভাষাটি শেখার চেষ্টা করছেন অন্যরা। ভাষাটিকে বাঁচিয়ে রাখার শেষ চেষ্টা হিসেবে, কয়েকটি বিদ্যালয়ে পাটউইন ভাষা শেখার ক্লাস চালু করা হয়েছে।
আইনু
জাপানের হোক্কাইদো দ্বীপের আদিবাসীরা এ ভাষায় কথা বলেন। এ ভাষা ও ঐতিহ্যকে নিষিদ্ধ করার জন্য উনিশ শতকের শেষের দিকে আইন হয়েছিল। এ জন্য ওই আদিবাসীরা জাপানি সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে যায়। এরপরও কেউ কেউ এ ভাষার চর্চা করতেন। ১৯৮০-এর দশকে ১৫ জনকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল, যাঁরা আইনু ভাষায় কথা বলতেন। তাঁদের কাছ থেকে অন্যরা এখন শিখছেন। ভাষাটি বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে।
চামিকুরো
পেরুতে বসবাসকারী একটি আদিবাসী গোষ্ঠীর নাম চামিকুরো। তাঁদের ভাষার নামও এটি। ২০০৪ সালের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সেখানে মাত্র দুজন মানুষ এই ভাষায় কথা বলতে পারতেন। তবে গবেষকেরা চার বছর পরে সেখানে আরও আটজনকে খুঁজে পেয়েছিলেন, যাঁরা চামিকুরো ভাষায় কথা বলেন।
ভোদ
এই ভাষাটির আরও কয়েকটি নাম রয়েছে। যেমন—ভোতিক, ভোত, ভোতিয়ান ও ভোতিশ। এই ভাষাভাষী মানুষকে ১৯৪৩ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া) থেকে ফিনল্যান্ডে নির্বাসিত করা হয়। এখনো গুটিকয়েক মানুষ যাঁরা এই ভাষায় কথা বলেন, তাঁরা রাশিয়া ও এস্তোনিয়া সীমান্তে বাস করেন। ২০১০ সালে ৬৮ জন স্থানীয় মানুষ ভোদ ভাষায় কথা বলতেন। পরে ২০১৭ সালে জানা যায়, সেখানে এমন আর মাত্র আটজন অবশিষ্ট রয়েছেন। গত কয়েক বছরের তাঁদের অবস্থা কী সেটি আর জানা সম্ভব হয়নি।
চেমেহুয়েভি
ইউরোপীয়রা আমেরিকায় আসার আগে ৫০০ থেকে ৮০০ নেটিভ আমেরিকান চেমেহুয়েভি ভাষায় কথা বলতেন। ধারণা করা হয়, ভাষাটির উদ্ভব যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিমে মোহাভে মরুভূমিতে। এখন এই ভাষাভাষী মানুষের সংখ্যা প্রায় ২৪। ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার কলোরাডোতে তিন থেকে পাঁচজন মানুষকে পাওয়া গিয়েছিল, যাঁরা চেমেহুয়েভি ভাষায় কথা বলতেন।
আচজ জুয়ায়
বলিভিয়ার কয়েকটি গ্রামে এখনো কিছু মানুষ পাওয়া যায়, যাঁরা আচজ জুয়ায় ভাষায় কথা বলে। সাধারণত পরিবারের সদস্যরাই পরের প্রজন্মকে এই ভাষা শেখায়। তবে ব্যাপকভাবে এই ভাষার চর্চা না থাকায় ঠিক কতজন মানুষ এখন ভাষাটি চর্চা করেন, তা জানা যায় না। ভাষা বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন, কমপক্ষে ২০০ মানুষ এখনো আচজ জুয়ায় কথা বলেন।
জেদেক
‘জেদেক’ একটি মালয়েশীয় উপভাষা। অতি সম্প্রতি ভাষাবিদেরা এ ভাষার অস্তিত্ব জানতে পেরেছেন। সুইডেনের গবেষকেরা ২০২২ সালে জানতে পারেন, মালয় উপদ্বীপের একটি গ্রামে কিছু স্থানীয় বাসিন্দা এ ভাষায় কথা বলেন। এই ভাষার বেশির ভাগ শব্দ জাহাই ভাষা থেকে উদ্ভূত। গবেষকেরা বলছেন, এখন ২৮০ জনকে খুঁজে পাওয়া গেছে, যারা জেদেক ভাষায় কথা বলেন।
পাওনি
যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমায় পাওনি জাতির অন্তত তিন হাজার মানুষ বাস করেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জনেরও কম মানুষ এই গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী পাওনি ভাষায় কথা বলেন। স্থানীয়ভাবে পাঠ্যপুস্তকে এ ভাষা লিপিবদ্ধ করে ভাষাটিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ডানসার
ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া দ্বীপের কিছু মানুষ এখনো বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার সময় ডানসার ভাষা ব্যবহার করেন। এটি একটি প্রাচীন ভাষা। ২০১১ সালে মাত্র তিনজন মানুষ এই ভাষায় কথা বলতে পারতেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভাষাবিদেরা এ ভাষাকে বিপন্ন ভাষা হিসেবে নথিভুক্ত করেছেন।
নগান গিকুরুনগুয়ার
অস্ট্রেলিয়ার কিছু আদিবাসী জনগোষ্ঠী নগান গিকুরুনগুয়ার ভাষায় কথা বলেন। সংখ্যাটি এতই কম যে ভাষাবিদেরা এটিকে বিপন্ন ভাষা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছেন। ২০১৬ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, মাত্র ২৬ জন মানুষ এ ভাষায় কথা বলতে পারতেন।
পাজেহ
পাজেহ ভাষায় কথা বলতে পারা তাইওয়ানের সর্বশেষ ব্যক্তি প্যান জিন-ইউ ২০১০ সালে মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। মৃত্যুর আগে তিনি অন্তত ২০০ শিক্ষার্থীকে পাজেহ ভাষা শিখিয়েছিলেন। তাঁরাই এখন ভাষাটিকে টিকিয়ে রেখেছেন।
আলাওয়া
অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলের আদিবাসীরা আলাওয়া ভাষায় কথা বলেন। ২০১৬ সালের আদমশুমারি থেকে জানা গেছে, মাত্র চারজন মানুষ এই ভাষায় কথা বলতে পারেন। তাঁরা সবাই নারী।
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট, ইউনেসকো, উইকিপিডিয়া

পৃথিবীর মানুষ বর্তমানে ঠিক কতটি ভাষায় কথা বলে? জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো বলছে, সাত হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ভাষা এই শতাব্দী শেষ হতে হতে চিরতরে হারিয়ে যাবে।
অবশ্য পৃথিবী থেকে ভাষা বিলুপ্তি নতুন কোনো ঘটনা নয়। এর আগেও বহু ভাষা বিলুপ্ত হয়েছে। অনেক ভাষা হয়তো আমাদের জানার আগেই হারিয়ে গেছে। ভাষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীতে এখন অন্তত ১৫টি ভাষা সবচেয়ে বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে এগুলো। এমন কয়েকটি ভাষা সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু তথ্য জেনে নিই।
রেসিগারো
রেসিগারো একটি আমাজনীয় ভাষা। এ ভাষায় কথা বলা রোসা আন্দ্রেদ ওকাগান ২০১৬ সালে ৬৭ বছর বয়সে মারা গেছেন। এখন তাঁর ভাই পাবলো এই ভাষায় কথা বলেন। ভাষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি পৃথিবীর অন্যতম বিপন্ন একটি ভাষা।
ছুলিম
তুর্কি অঞ্চলের ভাষা ছুলিম। রাশিয়ার ২০১০ সালের আদমশুমারি থেকে জানা যায়, এ ভাষায় এখন মাত্র ৪৪ জন মানুষ কথা বলতে পারেন। তাঁদের বেশির ভাগই সাইবেরিয়ার গ্রামগুলোতে বাস করেন। ১৯৫৯ সালে এই ভাষাভাষী মানুষকে সরকার নৃগোষ্ঠীর তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল। ১৯৯৯ সালে তাঁরা আবার স্বতন্ত্র নৃগোষ্ঠীর মর্যাদা ফিরে পান।
মুদবুরা
অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলে বসবাসকারী আদিবাসীরা এ ভাষায় কথা বলেন। অস্ট্রেলিয়ার ২০০৬ সালের আদমশুমারি বলছে, ওই এলাকায় ৪৭ জন মুদবুরা ভাষায় কথা বলতে পারতেন। তবে ২০১৬ সালের আরেক জরিপ থেকে জানা যায়, সংখ্যাটি ৯২ জনে উন্নীত হয়েছে।
পাটউইন
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার নেটিভ আমেরিকানদের কথ্য ভাষা ছিল পাটউইন। ২০১১ সালের এক জরিপ থেকে জানা যায়, ওই ভাষায় কথা বলতে পারা একজন ব্যক্তি আর অবশিষ্ট রয়েছেন। তাঁর কাছ থেকে ভাষাটি শেখার চেষ্টা করছেন অন্যরা। ভাষাটিকে বাঁচিয়ে রাখার শেষ চেষ্টা হিসেবে, কয়েকটি বিদ্যালয়ে পাটউইন ভাষা শেখার ক্লাস চালু করা হয়েছে।
আইনু
জাপানের হোক্কাইদো দ্বীপের আদিবাসীরা এ ভাষায় কথা বলেন। এ ভাষা ও ঐতিহ্যকে নিষিদ্ধ করার জন্য উনিশ শতকের শেষের দিকে আইন হয়েছিল। এ জন্য ওই আদিবাসীরা জাপানি সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে যায়। এরপরও কেউ কেউ এ ভাষার চর্চা করতেন। ১৯৮০-এর দশকে ১৫ জনকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল, যাঁরা আইনু ভাষায় কথা বলতেন। তাঁদের কাছ থেকে অন্যরা এখন শিখছেন। ভাষাটি বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে।
চামিকুরো
পেরুতে বসবাসকারী একটি আদিবাসী গোষ্ঠীর নাম চামিকুরো। তাঁদের ভাষার নামও এটি। ২০০৪ সালের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সেখানে মাত্র দুজন মানুষ এই ভাষায় কথা বলতে পারতেন। তবে গবেষকেরা চার বছর পরে সেখানে আরও আটজনকে খুঁজে পেয়েছিলেন, যাঁরা চামিকুরো ভাষায় কথা বলেন।
ভোদ
এই ভাষাটির আরও কয়েকটি নাম রয়েছে। যেমন—ভোতিক, ভোত, ভোতিয়ান ও ভোতিশ। এই ভাষাভাষী মানুষকে ১৯৪৩ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া) থেকে ফিনল্যান্ডে নির্বাসিত করা হয়। এখনো গুটিকয়েক মানুষ যাঁরা এই ভাষায় কথা বলেন, তাঁরা রাশিয়া ও এস্তোনিয়া সীমান্তে বাস করেন। ২০১০ সালে ৬৮ জন স্থানীয় মানুষ ভোদ ভাষায় কথা বলতেন। পরে ২০১৭ সালে জানা যায়, সেখানে এমন আর মাত্র আটজন অবশিষ্ট রয়েছেন। গত কয়েক বছরের তাঁদের অবস্থা কী সেটি আর জানা সম্ভব হয়নি।
চেমেহুয়েভি
ইউরোপীয়রা আমেরিকায় আসার আগে ৫০০ থেকে ৮০০ নেটিভ আমেরিকান চেমেহুয়েভি ভাষায় কথা বলতেন। ধারণা করা হয়, ভাষাটির উদ্ভব যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিমে মোহাভে মরুভূমিতে। এখন এই ভাষাভাষী মানুষের সংখ্যা প্রায় ২৪। ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার কলোরাডোতে তিন থেকে পাঁচজন মানুষকে পাওয়া গিয়েছিল, যাঁরা চেমেহুয়েভি ভাষায় কথা বলতেন।
আচজ জুয়ায়
বলিভিয়ার কয়েকটি গ্রামে এখনো কিছু মানুষ পাওয়া যায়, যাঁরা আচজ জুয়ায় ভাষায় কথা বলে। সাধারণত পরিবারের সদস্যরাই পরের প্রজন্মকে এই ভাষা শেখায়। তবে ব্যাপকভাবে এই ভাষার চর্চা না থাকায় ঠিক কতজন মানুষ এখন ভাষাটি চর্চা করেন, তা জানা যায় না। ভাষা বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন, কমপক্ষে ২০০ মানুষ এখনো আচজ জুয়ায় কথা বলেন।
জেদেক
‘জেদেক’ একটি মালয়েশীয় উপভাষা। অতি সম্প্রতি ভাষাবিদেরা এ ভাষার অস্তিত্ব জানতে পেরেছেন। সুইডেনের গবেষকেরা ২০২২ সালে জানতে পারেন, মালয় উপদ্বীপের একটি গ্রামে কিছু স্থানীয় বাসিন্দা এ ভাষায় কথা বলেন। এই ভাষার বেশির ভাগ শব্দ জাহাই ভাষা থেকে উদ্ভূত। গবেষকেরা বলছেন, এখন ২৮০ জনকে খুঁজে পাওয়া গেছে, যারা জেদেক ভাষায় কথা বলেন।
পাওনি
যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমায় পাওনি জাতির অন্তত তিন হাজার মানুষ বাস করেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জনেরও কম মানুষ এই গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী পাওনি ভাষায় কথা বলেন। স্থানীয়ভাবে পাঠ্যপুস্তকে এ ভাষা লিপিবদ্ধ করে ভাষাটিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ডানসার
ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া দ্বীপের কিছু মানুষ এখনো বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার সময় ডানসার ভাষা ব্যবহার করেন। এটি একটি প্রাচীন ভাষা। ২০১১ সালে মাত্র তিনজন মানুষ এই ভাষায় কথা বলতে পারতেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভাষাবিদেরা এ ভাষাকে বিপন্ন ভাষা হিসেবে নথিভুক্ত করেছেন।
নগান গিকুরুনগুয়ার
অস্ট্রেলিয়ার কিছু আদিবাসী জনগোষ্ঠী নগান গিকুরুনগুয়ার ভাষায় কথা বলেন। সংখ্যাটি এতই কম যে ভাষাবিদেরা এটিকে বিপন্ন ভাষা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছেন। ২০১৬ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, মাত্র ২৬ জন মানুষ এ ভাষায় কথা বলতে পারতেন।
পাজেহ
পাজেহ ভাষায় কথা বলতে পারা তাইওয়ানের সর্বশেষ ব্যক্তি প্যান জিন-ইউ ২০১০ সালে মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। মৃত্যুর আগে তিনি অন্তত ২০০ শিক্ষার্থীকে পাজেহ ভাষা শিখিয়েছিলেন। তাঁরাই এখন ভাষাটিকে টিকিয়ে রেখেছেন।
আলাওয়া
অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলের আদিবাসীরা আলাওয়া ভাষায় কথা বলেন। ২০১৬ সালের আদমশুমারি থেকে জানা গেছে, মাত্র চারজন মানুষ এই ভাষায় কথা বলতে পারেন। তাঁরা সবাই নারী।
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট, ইউনেসকো, উইকিপিডিয়া
মারুফ ইসলাম

পৃথিবীর মানুষ বর্তমানে ঠিক কতটি ভাষায় কথা বলে? জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো বলছে, সাত হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ভাষা এই শতাব্দী শেষ হতে হতে চিরতরে হারিয়ে যাবে।
অবশ্য পৃথিবী থেকে ভাষা বিলুপ্তি নতুন কোনো ঘটনা নয়। এর আগেও বহু ভাষা বিলুপ্ত হয়েছে। অনেক ভাষা হয়তো আমাদের জানার আগেই হারিয়ে গেছে। ভাষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীতে এখন অন্তত ১৫টি ভাষা সবচেয়ে বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে এগুলো। এমন কয়েকটি ভাষা সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু তথ্য জেনে নিই।
রেসিগারো
রেসিগারো একটি আমাজনীয় ভাষা। এ ভাষায় কথা বলা রোসা আন্দ্রেদ ওকাগান ২০১৬ সালে ৬৭ বছর বয়সে মারা গেছেন। এখন তাঁর ভাই পাবলো এই ভাষায় কথা বলেন। ভাষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি পৃথিবীর অন্যতম বিপন্ন একটি ভাষা।
ছুলিম
তুর্কি অঞ্চলের ভাষা ছুলিম। রাশিয়ার ২০১০ সালের আদমশুমারি থেকে জানা যায়, এ ভাষায় এখন মাত্র ৪৪ জন মানুষ কথা বলতে পারেন। তাঁদের বেশির ভাগই সাইবেরিয়ার গ্রামগুলোতে বাস করেন। ১৯৫৯ সালে এই ভাষাভাষী মানুষকে সরকার নৃগোষ্ঠীর তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল। ১৯৯৯ সালে তাঁরা আবার স্বতন্ত্র নৃগোষ্ঠীর মর্যাদা ফিরে পান।
মুদবুরা
অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলে বসবাসকারী আদিবাসীরা এ ভাষায় কথা বলেন। অস্ট্রেলিয়ার ২০০৬ সালের আদমশুমারি বলছে, ওই এলাকায় ৪৭ জন মুদবুরা ভাষায় কথা বলতে পারতেন। তবে ২০১৬ সালের আরেক জরিপ থেকে জানা যায়, সংখ্যাটি ৯২ জনে উন্নীত হয়েছে।
পাটউইন
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার নেটিভ আমেরিকানদের কথ্য ভাষা ছিল পাটউইন। ২০১১ সালের এক জরিপ থেকে জানা যায়, ওই ভাষায় কথা বলতে পারা একজন ব্যক্তি আর অবশিষ্ট রয়েছেন। তাঁর কাছ থেকে ভাষাটি শেখার চেষ্টা করছেন অন্যরা। ভাষাটিকে বাঁচিয়ে রাখার শেষ চেষ্টা হিসেবে, কয়েকটি বিদ্যালয়ে পাটউইন ভাষা শেখার ক্লাস চালু করা হয়েছে।
আইনু
জাপানের হোক্কাইদো দ্বীপের আদিবাসীরা এ ভাষায় কথা বলেন। এ ভাষা ও ঐতিহ্যকে নিষিদ্ধ করার জন্য উনিশ শতকের শেষের দিকে আইন হয়েছিল। এ জন্য ওই আদিবাসীরা জাপানি সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে যায়। এরপরও কেউ কেউ এ ভাষার চর্চা করতেন। ১৯৮০-এর দশকে ১৫ জনকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল, যাঁরা আইনু ভাষায় কথা বলতেন। তাঁদের কাছ থেকে অন্যরা এখন শিখছেন। ভাষাটি বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে।
চামিকুরো
পেরুতে বসবাসকারী একটি আদিবাসী গোষ্ঠীর নাম চামিকুরো। তাঁদের ভাষার নামও এটি। ২০০৪ সালের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সেখানে মাত্র দুজন মানুষ এই ভাষায় কথা বলতে পারতেন। তবে গবেষকেরা চার বছর পরে সেখানে আরও আটজনকে খুঁজে পেয়েছিলেন, যাঁরা চামিকুরো ভাষায় কথা বলেন।
ভোদ
এই ভাষাটির আরও কয়েকটি নাম রয়েছে। যেমন—ভোতিক, ভোত, ভোতিয়ান ও ভোতিশ। এই ভাষাভাষী মানুষকে ১৯৪৩ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া) থেকে ফিনল্যান্ডে নির্বাসিত করা হয়। এখনো গুটিকয়েক মানুষ যাঁরা এই ভাষায় কথা বলেন, তাঁরা রাশিয়া ও এস্তোনিয়া সীমান্তে বাস করেন। ২০১০ সালে ৬৮ জন স্থানীয় মানুষ ভোদ ভাষায় কথা বলতেন। পরে ২০১৭ সালে জানা যায়, সেখানে এমন আর মাত্র আটজন অবশিষ্ট রয়েছেন। গত কয়েক বছরের তাঁদের অবস্থা কী সেটি আর জানা সম্ভব হয়নি।
চেমেহুয়েভি
ইউরোপীয়রা আমেরিকায় আসার আগে ৫০০ থেকে ৮০০ নেটিভ আমেরিকান চেমেহুয়েভি ভাষায় কথা বলতেন। ধারণা করা হয়, ভাষাটির উদ্ভব যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিমে মোহাভে মরুভূমিতে। এখন এই ভাষাভাষী মানুষের সংখ্যা প্রায় ২৪। ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার কলোরাডোতে তিন থেকে পাঁচজন মানুষকে পাওয়া গিয়েছিল, যাঁরা চেমেহুয়েভি ভাষায় কথা বলতেন।
আচজ জুয়ায়
বলিভিয়ার কয়েকটি গ্রামে এখনো কিছু মানুষ পাওয়া যায়, যাঁরা আচজ জুয়ায় ভাষায় কথা বলে। সাধারণত পরিবারের সদস্যরাই পরের প্রজন্মকে এই ভাষা শেখায়। তবে ব্যাপকভাবে এই ভাষার চর্চা না থাকায় ঠিক কতজন মানুষ এখন ভাষাটি চর্চা করেন, তা জানা যায় না। ভাষা বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন, কমপক্ষে ২০০ মানুষ এখনো আচজ জুয়ায় কথা বলেন।
জেদেক
‘জেদেক’ একটি মালয়েশীয় উপভাষা। অতি সম্প্রতি ভাষাবিদেরা এ ভাষার অস্তিত্ব জানতে পেরেছেন। সুইডেনের গবেষকেরা ২০২২ সালে জানতে পারেন, মালয় উপদ্বীপের একটি গ্রামে কিছু স্থানীয় বাসিন্দা এ ভাষায় কথা বলেন। এই ভাষার বেশির ভাগ শব্দ জাহাই ভাষা থেকে উদ্ভূত। গবেষকেরা বলছেন, এখন ২৮০ জনকে খুঁজে পাওয়া গেছে, যারা জেদেক ভাষায় কথা বলেন।
পাওনি
যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমায় পাওনি জাতির অন্তত তিন হাজার মানুষ বাস করেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জনেরও কম মানুষ এই গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী পাওনি ভাষায় কথা বলেন। স্থানীয়ভাবে পাঠ্যপুস্তকে এ ভাষা লিপিবদ্ধ করে ভাষাটিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ডানসার
ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া দ্বীপের কিছু মানুষ এখনো বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার সময় ডানসার ভাষা ব্যবহার করেন। এটি একটি প্রাচীন ভাষা। ২০১১ সালে মাত্র তিনজন মানুষ এই ভাষায় কথা বলতে পারতেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভাষাবিদেরা এ ভাষাকে বিপন্ন ভাষা হিসেবে নথিভুক্ত করেছেন।
নগান গিকুরুনগুয়ার
অস্ট্রেলিয়ার কিছু আদিবাসী জনগোষ্ঠী নগান গিকুরুনগুয়ার ভাষায় কথা বলেন। সংখ্যাটি এতই কম যে ভাষাবিদেরা এটিকে বিপন্ন ভাষা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছেন। ২০১৬ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, মাত্র ২৬ জন মানুষ এ ভাষায় কথা বলতে পারতেন।
পাজেহ
পাজেহ ভাষায় কথা বলতে পারা তাইওয়ানের সর্বশেষ ব্যক্তি প্যান জিন-ইউ ২০১০ সালে মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। মৃত্যুর আগে তিনি অন্তত ২০০ শিক্ষার্থীকে পাজেহ ভাষা শিখিয়েছিলেন। তাঁরাই এখন ভাষাটিকে টিকিয়ে রেখেছেন।
আলাওয়া
অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলের আদিবাসীরা আলাওয়া ভাষায় কথা বলেন। ২০১৬ সালের আদমশুমারি থেকে জানা গেছে, মাত্র চারজন মানুষ এই ভাষায় কথা বলতে পারেন। তাঁরা সবাই নারী।
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট, ইউনেসকো, উইকিপিডিয়া

পৃথিবীর মানুষ বর্তমানে ঠিক কতটি ভাষায় কথা বলে? জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো বলছে, সাত হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ভাষা এই শতাব্দী শেষ হতে হতে চিরতরে হারিয়ে যাবে।
অবশ্য পৃথিবী থেকে ভাষা বিলুপ্তি নতুন কোনো ঘটনা নয়। এর আগেও বহু ভাষা বিলুপ্ত হয়েছে। অনেক ভাষা হয়তো আমাদের জানার আগেই হারিয়ে গেছে। ভাষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীতে এখন অন্তত ১৫টি ভাষা সবচেয়ে বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে এগুলো। এমন কয়েকটি ভাষা সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু তথ্য জেনে নিই।
রেসিগারো
রেসিগারো একটি আমাজনীয় ভাষা। এ ভাষায় কথা বলা রোসা আন্দ্রেদ ওকাগান ২০১৬ সালে ৬৭ বছর বয়সে মারা গেছেন। এখন তাঁর ভাই পাবলো এই ভাষায় কথা বলেন। ভাষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি পৃথিবীর অন্যতম বিপন্ন একটি ভাষা।
ছুলিম
তুর্কি অঞ্চলের ভাষা ছুলিম। রাশিয়ার ২০১০ সালের আদমশুমারি থেকে জানা যায়, এ ভাষায় এখন মাত্র ৪৪ জন মানুষ কথা বলতে পারেন। তাঁদের বেশির ভাগই সাইবেরিয়ার গ্রামগুলোতে বাস করেন। ১৯৫৯ সালে এই ভাষাভাষী মানুষকে সরকার নৃগোষ্ঠীর তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল। ১৯৯৯ সালে তাঁরা আবার স্বতন্ত্র নৃগোষ্ঠীর মর্যাদা ফিরে পান।
মুদবুরা
অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলে বসবাসকারী আদিবাসীরা এ ভাষায় কথা বলেন। অস্ট্রেলিয়ার ২০০৬ সালের আদমশুমারি বলছে, ওই এলাকায় ৪৭ জন মুদবুরা ভাষায় কথা বলতে পারতেন। তবে ২০১৬ সালের আরেক জরিপ থেকে জানা যায়, সংখ্যাটি ৯২ জনে উন্নীত হয়েছে।
পাটউইন
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার নেটিভ আমেরিকানদের কথ্য ভাষা ছিল পাটউইন। ২০১১ সালের এক জরিপ থেকে জানা যায়, ওই ভাষায় কথা বলতে পারা একজন ব্যক্তি আর অবশিষ্ট রয়েছেন। তাঁর কাছ থেকে ভাষাটি শেখার চেষ্টা করছেন অন্যরা। ভাষাটিকে বাঁচিয়ে রাখার শেষ চেষ্টা হিসেবে, কয়েকটি বিদ্যালয়ে পাটউইন ভাষা শেখার ক্লাস চালু করা হয়েছে।
আইনু
জাপানের হোক্কাইদো দ্বীপের আদিবাসীরা এ ভাষায় কথা বলেন। এ ভাষা ও ঐতিহ্যকে নিষিদ্ধ করার জন্য উনিশ শতকের শেষের দিকে আইন হয়েছিল। এ জন্য ওই আদিবাসীরা জাপানি সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে যায়। এরপরও কেউ কেউ এ ভাষার চর্চা করতেন। ১৯৮০-এর দশকে ১৫ জনকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল, যাঁরা আইনু ভাষায় কথা বলতেন। তাঁদের কাছ থেকে অন্যরা এখন শিখছেন। ভাষাটি বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে।
চামিকুরো
পেরুতে বসবাসকারী একটি আদিবাসী গোষ্ঠীর নাম চামিকুরো। তাঁদের ভাষার নামও এটি। ২০০৪ সালের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সেখানে মাত্র দুজন মানুষ এই ভাষায় কথা বলতে পারতেন। তবে গবেষকেরা চার বছর পরে সেখানে আরও আটজনকে খুঁজে পেয়েছিলেন, যাঁরা চামিকুরো ভাষায় কথা বলেন।
ভোদ
এই ভাষাটির আরও কয়েকটি নাম রয়েছে। যেমন—ভোতিক, ভোত, ভোতিয়ান ও ভোতিশ। এই ভাষাভাষী মানুষকে ১৯৪৩ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া) থেকে ফিনল্যান্ডে নির্বাসিত করা হয়। এখনো গুটিকয়েক মানুষ যাঁরা এই ভাষায় কথা বলেন, তাঁরা রাশিয়া ও এস্তোনিয়া সীমান্তে বাস করেন। ২০১০ সালে ৬৮ জন স্থানীয় মানুষ ভোদ ভাষায় কথা বলতেন। পরে ২০১৭ সালে জানা যায়, সেখানে এমন আর মাত্র আটজন অবশিষ্ট রয়েছেন। গত কয়েক বছরের তাঁদের অবস্থা কী সেটি আর জানা সম্ভব হয়নি।
চেমেহুয়েভি
ইউরোপীয়রা আমেরিকায় আসার আগে ৫০০ থেকে ৮০০ নেটিভ আমেরিকান চেমেহুয়েভি ভাষায় কথা বলতেন। ধারণা করা হয়, ভাষাটির উদ্ভব যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিমে মোহাভে মরুভূমিতে। এখন এই ভাষাভাষী মানুষের সংখ্যা প্রায় ২৪। ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার কলোরাডোতে তিন থেকে পাঁচজন মানুষকে পাওয়া গিয়েছিল, যাঁরা চেমেহুয়েভি ভাষায় কথা বলতেন।
আচজ জুয়ায়
বলিভিয়ার কয়েকটি গ্রামে এখনো কিছু মানুষ পাওয়া যায়, যাঁরা আচজ জুয়ায় ভাষায় কথা বলে। সাধারণত পরিবারের সদস্যরাই পরের প্রজন্মকে এই ভাষা শেখায়। তবে ব্যাপকভাবে এই ভাষার চর্চা না থাকায় ঠিক কতজন মানুষ এখন ভাষাটি চর্চা করেন, তা জানা যায় না। ভাষা বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন, কমপক্ষে ২০০ মানুষ এখনো আচজ জুয়ায় কথা বলেন।
জেদেক
‘জেদেক’ একটি মালয়েশীয় উপভাষা। অতি সম্প্রতি ভাষাবিদেরা এ ভাষার অস্তিত্ব জানতে পেরেছেন। সুইডেনের গবেষকেরা ২০২২ সালে জানতে পারেন, মালয় উপদ্বীপের একটি গ্রামে কিছু স্থানীয় বাসিন্দা এ ভাষায় কথা বলেন। এই ভাষার বেশির ভাগ শব্দ জাহাই ভাষা থেকে উদ্ভূত। গবেষকেরা বলছেন, এখন ২৮০ জনকে খুঁজে পাওয়া গেছে, যারা জেদেক ভাষায় কথা বলেন।
পাওনি
যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমায় পাওনি জাতির অন্তত তিন হাজার মানুষ বাস করেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জনেরও কম মানুষ এই গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী পাওনি ভাষায় কথা বলেন। স্থানীয়ভাবে পাঠ্যপুস্তকে এ ভাষা লিপিবদ্ধ করে ভাষাটিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ডানসার
ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া দ্বীপের কিছু মানুষ এখনো বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার সময় ডানসার ভাষা ব্যবহার করেন। এটি একটি প্রাচীন ভাষা। ২০১১ সালে মাত্র তিনজন মানুষ এই ভাষায় কথা বলতে পারতেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভাষাবিদেরা এ ভাষাকে বিপন্ন ভাষা হিসেবে নথিভুক্ত করেছেন।
নগান গিকুরুনগুয়ার
অস্ট্রেলিয়ার কিছু আদিবাসী জনগোষ্ঠী নগান গিকুরুনগুয়ার ভাষায় কথা বলেন। সংখ্যাটি এতই কম যে ভাষাবিদেরা এটিকে বিপন্ন ভাষা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছেন। ২০১৬ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, মাত্র ২৬ জন মানুষ এ ভাষায় কথা বলতে পারতেন।
পাজেহ
পাজেহ ভাষায় কথা বলতে পারা তাইওয়ানের সর্বশেষ ব্যক্তি প্যান জিন-ইউ ২০১০ সালে মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। মৃত্যুর আগে তিনি অন্তত ২০০ শিক্ষার্থীকে পাজেহ ভাষা শিখিয়েছিলেন। তাঁরাই এখন ভাষাটিকে টিকিয়ে রেখেছেন।
আলাওয়া
অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলের আদিবাসীরা আলাওয়া ভাষায় কথা বলেন। ২০১৬ সালের আদমশুমারি থেকে জানা গেছে, মাত্র চারজন মানুষ এই ভাষায় কথা বলতে পারেন। তাঁরা সবাই নারী।
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট, ইউনেসকো, উইকিপিডিয়া

বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
৪৪ মিনিট আগে
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
১ ঘণ্টা আগে
শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন যাতে, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের বেতন দেওয়া যায়। কারণ, মার্কিন সরকারে শাটডাউন তথা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে, সরকার রাষ্ট্রীয় কোনো কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না। তবে কে এই অর্
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিলোমিটার।
চীনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর বেইজিংয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ট্রেনটিকে ট্র্যাকে নামানো হয়। এটি বর্তমানে চীনের সর্বোচ্চ গতির চলমান সিআর–৪০০ ফুজিং ট্রেনের তুলনায় অনেক বেশি দ্রুত। ফুজিং ট্রেনগুলো প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৫০ কিলোমিটার গতিতে চলে।

ট্রেনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিআরআরসি করপোরেশন লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং ফেং জানিয়েছেন, সিআর–৪৫০ উচ্চগতির ট্রেন প্রযুক্তিতে এক বিশাল অগ্রগতি এনেছে। তত্ত্ব, প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি, মানদণ্ড ও পরিচালন ব্যবস্থাপনা—সব ক্ষেত্রেই নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে এই ট্রেন।
৪০০ কিলোমিটার গতির নজিরবিহীন গতি অর্জনের জন্য প্রকৌশলীরা ট্রেনটির ট্র্যাকশন পাওয়ার (ট্রেনে বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা), ডাইনামিক পারফরম্যান্স বা গতিশীল অবস্থায় ট্রেনটিতে যাবতীয় পরিবর্তন পরিমাপ এবং প্যান্টোগ্রাফ সিস্টেম বা বৈদ্যুতিক লাইন থেকে যে ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি ট্রেনে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় তা উন্নত করেছেন।
ওয়াংয়ের ভাষায়, ট্রেনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ওয়াটার-কুলড পারমানেন্ট ম্যাগনেট ট্র্যাকশন সিস্টেম, নতুন প্রজন্মের উচ্চ-স্থিতিশীলতা বগি এবং একাধিক উদ্ভাবনী সিস্টেম। যার ফলে দীর্ঘ সময় উচ্চ গতিতে চলাচলেও এটি স্থিতিশীল থাকে। তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও সিআর–৪৫০ এক ধাপ এগিয়ে। এতে রয়েছে মাল্টিলেয়ার ইমারজেন্সি ব্রেক নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি এবং ৪ হাজারেরও বেশি অনবোর্ড মনিটরিং সেন্সর, যা চলমান অবস্থায় ট্রেনের গিয়ার, পুরো ট্রেন, হাই–ভোল্টেজ প্যান্টোগ্রাফ, ট্রেন নিয়ন্ত্রণ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা—সবকিছুই তাৎক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে। এ ছাড়া, ওভার-দ্য-হরাইজন শনাক্তকরণ ব্যবস্থাও যুক্ত হয়েছে এতে। এই ব্যবস্থা ট্রেনের সামনে ট্র্যাকের জরুরি পরিস্থিতি আগেভাগে শনাক্ত করতে সাহায্য করে।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ক্ষেত্রেও এসেছে বিপ্লব। বগির ‘স্ট্রিমলাইনড কাওলিং’ ধাঁচের নকশা বাতাসের ঘর্ষণ ও প্রতিরোধ কমিয়েছে, আর নতুন হালকা উপকরণ ও প্রযুক্তি ট্রেনের মোট ওজন ১০ শতাংশ কমিয়েছে এবং চলাচলের ক্ষেত্রে ট্র্যাকের সঙ্গে চাকার এবং সামগ্রিক ঘর্ষণ প্রতিরোধ ২২ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে।
ট্রেনের শব্দ নিয়ন্ত্রণেও এসেছে অগ্রগতি। সাতটি নতুন প্রযুক্তি—যেমন সাউন্ড-অ্যাবসর্বিং উপকরণ ও উন্নত অ্যারোডাইনামিক নকশা ট্রেনের অভ্যন্তরীণ শব্দ ২ ডেসিবল কমিয়েছে। ফলে যাত্রীরা পাচ্ছেন আরও নিঃশব্দ ও আরামদায়ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।
তা ছাড়া, সিআর–৪৫০ এ যুক্ত হয়েছে একাধিক বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ফিচার, যা ট্রেনের পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, চালকের সঙ্গে যোগাযোগ, নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ এবং যাত্রীসেবা—সব দিক থেকেই একে আগের সব মডেলের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে বলে জানান ওয়াং।

বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিলোমিটার।
চীনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর বেইজিংয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ট্রেনটিকে ট্র্যাকে নামানো হয়। এটি বর্তমানে চীনের সর্বোচ্চ গতির চলমান সিআর–৪০০ ফুজিং ট্রেনের তুলনায় অনেক বেশি দ্রুত। ফুজিং ট্রেনগুলো প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৫০ কিলোমিটার গতিতে চলে।

ট্রেনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিআরআরসি করপোরেশন লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং ফেং জানিয়েছেন, সিআর–৪৫০ উচ্চগতির ট্রেন প্রযুক্তিতে এক বিশাল অগ্রগতি এনেছে। তত্ত্ব, প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি, মানদণ্ড ও পরিচালন ব্যবস্থাপনা—সব ক্ষেত্রেই নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে এই ট্রেন।
৪০০ কিলোমিটার গতির নজিরবিহীন গতি অর্জনের জন্য প্রকৌশলীরা ট্রেনটির ট্র্যাকশন পাওয়ার (ট্রেনে বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা), ডাইনামিক পারফরম্যান্স বা গতিশীল অবস্থায় ট্রেনটিতে যাবতীয় পরিবর্তন পরিমাপ এবং প্যান্টোগ্রাফ সিস্টেম বা বৈদ্যুতিক লাইন থেকে যে ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি ট্রেনে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় তা উন্নত করেছেন।
ওয়াংয়ের ভাষায়, ট্রেনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ওয়াটার-কুলড পারমানেন্ট ম্যাগনেট ট্র্যাকশন সিস্টেম, নতুন প্রজন্মের উচ্চ-স্থিতিশীলতা বগি এবং একাধিক উদ্ভাবনী সিস্টেম। যার ফলে দীর্ঘ সময় উচ্চ গতিতে চলাচলেও এটি স্থিতিশীল থাকে। তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও সিআর–৪৫০ এক ধাপ এগিয়ে। এতে রয়েছে মাল্টিলেয়ার ইমারজেন্সি ব্রেক নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি এবং ৪ হাজারেরও বেশি অনবোর্ড মনিটরিং সেন্সর, যা চলমান অবস্থায় ট্রেনের গিয়ার, পুরো ট্রেন, হাই–ভোল্টেজ প্যান্টোগ্রাফ, ট্রেন নিয়ন্ত্রণ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা—সবকিছুই তাৎক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে। এ ছাড়া, ওভার-দ্য-হরাইজন শনাক্তকরণ ব্যবস্থাও যুক্ত হয়েছে এতে। এই ব্যবস্থা ট্রেনের সামনে ট্র্যাকের জরুরি পরিস্থিতি আগেভাগে শনাক্ত করতে সাহায্য করে।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ক্ষেত্রেও এসেছে বিপ্লব। বগির ‘স্ট্রিমলাইনড কাওলিং’ ধাঁচের নকশা বাতাসের ঘর্ষণ ও প্রতিরোধ কমিয়েছে, আর নতুন হালকা উপকরণ ও প্রযুক্তি ট্রেনের মোট ওজন ১০ শতাংশ কমিয়েছে এবং চলাচলের ক্ষেত্রে ট্র্যাকের সঙ্গে চাকার এবং সামগ্রিক ঘর্ষণ প্রতিরোধ ২২ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে।
ট্রেনের শব্দ নিয়ন্ত্রণেও এসেছে অগ্রগতি। সাতটি নতুন প্রযুক্তি—যেমন সাউন্ড-অ্যাবসর্বিং উপকরণ ও উন্নত অ্যারোডাইনামিক নকশা ট্রেনের অভ্যন্তরীণ শব্দ ২ ডেসিবল কমিয়েছে। ফলে যাত্রীরা পাচ্ছেন আরও নিঃশব্দ ও আরামদায়ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।
তা ছাড়া, সিআর–৪৫০ এ যুক্ত হয়েছে একাধিক বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ফিচার, যা ট্রেনের পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, চালকের সঙ্গে যোগাযোগ, নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ এবং যাত্রীসেবা—সব দিক থেকেই একে আগের সব মডেলের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে বলে জানান ওয়াং।

পৃথিবী থেকে ভাষা বিলুপ্তি নতুন কোনো ঘটনা নয়। এর আগেও বহু ভাষা বিলুপ্ত হয়েছে। অনেক ভাষা হয়তো আমাদের জানার আগেই হারিয়ে গেছে। ভাষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীতে এখন অন্তত ১৫টি ভাষা সবচেয়ে বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে এগুলো। এমন কয়েকটি ভাষা সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু তথ্য জেনে নিই।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
১ ঘণ্টা আগে
শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন যাতে, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের বেতন দেওয়া যায়। কারণ, মার্কিন সরকারে শাটডাউন তথা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে, সরকার রাষ্ট্রীয় কোনো কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না। তবে কে এই অর্
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনএইচপিসি লিমিটেডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন—অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম সীমান্তে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ২৫০ মেগাওয়াট ইউনিটের ‘ওয়েট কমিশনিং’ গত শুক্রবার শুরু হয়েছে। সংস্থাটির এক মুখপাত্র দ্য হিন্দুকে বলেছেন, ‘ওয়েট কমিশনিং মূলত টারবাইনের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিষয় পরীক্ষা করার একটি প্রক্রিয়া, এ প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় না। পানির প্রবাহের ভিত্তি করে এই পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া চার থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত চলতে পারে।’
২ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পে রয়েছে আটটি ইউনিট, প্রতিটির ক্ষমতা ২৫০ মেগাওয়াট।
মুখপাত্র জানান, এই আটটির মধ্যে চারটি ইউনিট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত। পরবর্তী ধাপে অন্তত দুটি ইউনিট সমন্বয় করা হবে, যাতে প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা যায়।
অরুণাচল প্রদেশ ও আসামের সীমানার গেরুকামুখে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পটির নির্মাণকাজ ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু ২০১১ সালে আসামে বাঁধবিরোধী আন্দোলন ও ভাটিতে পরিবেশগত ক্ষতির আশঙ্কায় প্রকল্পের কাজ স্থগিত করা হয়।
এরপর, ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে পুনরায় কাজ শুরু হয়। সেই সময় এনএইচপিসি প্রকল্পটিতে বাড়তি নিরাপত্তা ও ক্ষতিপূরণমূলক পরিবেশ–সংরক্ষণ ব্যবস্থা যুক্ত করে। এনএইচপিসি চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভূপেন্দর গুপ্তা পরীক্ষামূলক এই কাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই অর্জন এনএইচপিসির প্রকৌশল দক্ষতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি কেবল একটি প্রকল্প–মাইলফলক নয়, বরং ভারতের পরিবেশবান্ধব ও স্বনির্ভর জ্বালানি ভবিষ্যতের দিকে অগ্রযাত্রার প্রতীক।’

ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনএইচপিসি লিমিটেডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন—অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম সীমান্তে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ২৫০ মেগাওয়াট ইউনিটের ‘ওয়েট কমিশনিং’ গত শুক্রবার শুরু হয়েছে। সংস্থাটির এক মুখপাত্র দ্য হিন্দুকে বলেছেন, ‘ওয়েট কমিশনিং মূলত টারবাইনের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিষয় পরীক্ষা করার একটি প্রক্রিয়া, এ প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় না। পানির প্রবাহের ভিত্তি করে এই পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া চার থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত চলতে পারে।’
২ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পে রয়েছে আটটি ইউনিট, প্রতিটির ক্ষমতা ২৫০ মেগাওয়াট।
মুখপাত্র জানান, এই আটটির মধ্যে চারটি ইউনিট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত। পরবর্তী ধাপে অন্তত দুটি ইউনিট সমন্বয় করা হবে, যাতে প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা যায়।
অরুণাচল প্রদেশ ও আসামের সীমানার গেরুকামুখে অবস্থিত সুবনসিরি লোয়ার প্রকল্পটির নির্মাণকাজ ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু ২০১১ সালে আসামে বাঁধবিরোধী আন্দোলন ও ভাটিতে পরিবেশগত ক্ষতির আশঙ্কায় প্রকল্পের কাজ স্থগিত করা হয়।
এরপর, ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে পুনরায় কাজ শুরু হয়। সেই সময় এনএইচপিসি প্রকল্পটিতে বাড়তি নিরাপত্তা ও ক্ষতিপূরণমূলক পরিবেশ–সংরক্ষণ ব্যবস্থা যুক্ত করে। এনএইচপিসি চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভূপেন্দর গুপ্তা পরীক্ষামূলক এই কাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই অর্জন এনএইচপিসির প্রকৌশল দক্ষতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি কেবল একটি প্রকল্প–মাইলফলক নয়, বরং ভারতের পরিবেশবান্ধব ও স্বনির্ভর জ্বালানি ভবিষ্যতের দিকে অগ্রযাত্রার প্রতীক।’

পৃথিবী থেকে ভাষা বিলুপ্তি নতুন কোনো ঘটনা নয়। এর আগেও বহু ভাষা বিলুপ্ত হয়েছে। অনেক ভাষা হয়তো আমাদের জানার আগেই হারিয়ে গেছে। ভাষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীতে এখন অন্তত ১৫টি ভাষা সবচেয়ে বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে এগুলো। এমন কয়েকটি ভাষা সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু তথ্য জেনে নিই।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
৪৪ মিনিট আগে
শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন যাতে, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের বেতন দেওয়া যায়। কারণ, মার্কিন সরকারে শাটডাউন তথা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে, সরকার রাষ্ট্রীয় কোনো কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না। তবে কে এই অর্
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
িহত ব্যক্তির নাম যোগেশ কুমার। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের বাসিন্দা। গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রেডিওথেরাপিস্ট হিসাবে কাজ করতেন। ৯ বছর আগে নেহা রাওয়াত নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। ছয় বছরের একটি সন্তান রয়েছে এ দম্পতির।
যোগেশের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন তাঁর চাচা প্রকাশ সিং। তিনি বলেন, যোগেশকে তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন হয়রানি করছিলেন। তারা চাইতেন না যোগেশের মা তাদের সঙ্গে থাকুক।
প্রকাশ সিং অভিযোগে বলেন, যোগেশ ও নেহা আগে নয়ডাতে থাকতেন। নেহা সেখানে চাকরি করতেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই কর্মরত থাকায় সন্তানের ঠিকমতো যত্ন নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না বলে যোগেশ তাঁর মাকে নিজের কাছে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। নেহা এতে রাজি হননি।
ছয় মাস আগে যোগেশ সন্তানকে নিয়ে ফরিদাবাদের সেক্টর ৮৭-এর পার্ল সোসাইটিতে চলে আসেন। নেহা নয়ডাতে থেকে যান। এ সময় যোগেশ সন্তানের দেখভাল করতে তাঁর মাকে নিয়ে আসেন।
যোগেশের চাচা অভিযোগে আরও বলেন, এক মাস আগে ওই বাসায় এসে যোগেশের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন নেহা। সে সময় যোগেশের মায়ের সেখানে থাকা নিয়ে আপত্তি তোলেন তিনি।
পরে নেহার দুই ভাই আশীষ রাওয়াত ও অমিত রাওয়াত এসে যোগেশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এসব নিয়ে যোগেশ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন বলে তাঁর চাচা প্রকাশ সিং অভিযোগে বলেন।
চাচার অভিযোগ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার যোগেশ নেহাকে নিয়ে গোয়ালিয়রে যান। ফেরার পথে নেহাকে নয়ডায় নামিয়ে দিয়ে একাই পার্ল সোসাইটির ফ্ল্যাটে ফিরে আসেন। পরদিন শুক্রবার রাতে পার্ল সোসাইটির ১৫ তলা থেকে লাফ দেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এ ঘটনায় ভুপানি থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে যোগেশের স্ত্রী নেহা রাওয়াত, তাঁর বাবা-মা বীর সিং রাওয়াত ও শান্তি রাওয়াত এবং দুই ভাই আশীষ ও অমিত রাওয়াতের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ভুপানি থানার এসএইচও ইন্সপেক্টর সংগ্রাম দাহিয়া বলেন, ‘আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছি।’

শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
িহত ব্যক্তির নাম যোগেশ কুমার। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের বাসিন্দা। গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রেডিওথেরাপিস্ট হিসাবে কাজ করতেন। ৯ বছর আগে নেহা রাওয়াত নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। ছয় বছরের একটি সন্তান রয়েছে এ দম্পতির।
যোগেশের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন তাঁর চাচা প্রকাশ সিং। তিনি বলেন, যোগেশকে তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন হয়রানি করছিলেন। তারা চাইতেন না যোগেশের মা তাদের সঙ্গে থাকুক।
প্রকাশ সিং অভিযোগে বলেন, যোগেশ ও নেহা আগে নয়ডাতে থাকতেন। নেহা সেখানে চাকরি করতেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই কর্মরত থাকায় সন্তানের ঠিকমতো যত্ন নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না বলে যোগেশ তাঁর মাকে নিজের কাছে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। নেহা এতে রাজি হননি।
ছয় মাস আগে যোগেশ সন্তানকে নিয়ে ফরিদাবাদের সেক্টর ৮৭-এর পার্ল সোসাইটিতে চলে আসেন। নেহা নয়ডাতে থেকে যান। এ সময় যোগেশ সন্তানের দেখভাল করতে তাঁর মাকে নিয়ে আসেন।
যোগেশের চাচা অভিযোগে আরও বলেন, এক মাস আগে ওই বাসায় এসে যোগেশের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন নেহা। সে সময় যোগেশের মায়ের সেখানে থাকা নিয়ে আপত্তি তোলেন তিনি।
পরে নেহার দুই ভাই আশীষ রাওয়াত ও অমিত রাওয়াত এসে যোগেশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এসব নিয়ে যোগেশ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন বলে তাঁর চাচা প্রকাশ সিং অভিযোগে বলেন।
চাচার অভিযোগ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার যোগেশ নেহাকে নিয়ে গোয়ালিয়রে যান। ফেরার পথে নেহাকে নয়ডায় নামিয়ে দিয়ে একাই পার্ল সোসাইটির ফ্ল্যাটে ফিরে আসেন। পরদিন শুক্রবার রাতে পার্ল সোসাইটির ১৫ তলা থেকে লাফ দেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এ ঘটনায় ভুপানি থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে যোগেশের স্ত্রী নেহা রাওয়াত, তাঁর বাবা-মা বীর সিং রাওয়াত ও শান্তি রাওয়াত এবং দুই ভাই আশীষ ও অমিত রাওয়াতের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ভুপানি থানার এসএইচও ইন্সপেক্টর সংগ্রাম দাহিয়া বলেন, ‘আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছি।’

পৃথিবী থেকে ভাষা বিলুপ্তি নতুন কোনো ঘটনা নয়। এর আগেও বহু ভাষা বিলুপ্ত হয়েছে। অনেক ভাষা হয়তো আমাদের জানার আগেই হারিয়ে গেছে। ভাষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীতে এখন অন্তত ১৫টি ভাষা সবচেয়ে বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে এগুলো। এমন কয়েকটি ভাষা সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু তথ্য জেনে নিই।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
৪৪ মিনিট আগে
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন যাতে, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের বেতন দেওয়া যায়। কারণ, মার্কিন সরকারে শাটডাউন তথা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে, সরকার রাষ্ট্রীয় কোনো কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না। তবে কে এই অর্
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন যাতে, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের বেতন দেওয়া যায়। কারণ, মার্কিন সরকারে শাটডাউন তথা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে, সরকার রাষ্ট্রীয় কোনো কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না। তবে কে এই অর্থ দিয়েছেন তাঁর পরিচয় প্রকাশিত হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবর বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা দানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই অর্থ ১৩ লাখ ২০ হাজার সেনাসদস্যের বেতন প্রদানে ঘাটতি পূরণে সহায়ক হবে। তবে প্রতিরক্ষা দপ্তর দাতার পরিচয় প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে এ নিয়ে উঠেছে নৈতিকতার প্রশ্ন।
শনিবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ওই দাতা ‘আমার বড় সমর্থক’ এবং ‘মার্কিন নাগরিক।’ তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে সরকার কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে, কারণ কংগ্রেস এখনো বাজেট অনুমোদনে ব্যর্থ। গত সপ্তাহে প্রশাসন সাময়িকভাবে সেনাদের বেতন দিয়েছে, সামরিক গবেষণার বাজেট থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার সরিয়ে এনে। তবে মাসের শেষের বেতন দিবসে কী হবে, তা এখনো অনিশ্চিত।
রোববার অচলাবস্থার ২৫ তম দিন পার হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দীর্ঘতম অচলাবস্থাগুলোর একটি হতে যাচ্ছে। প্রতিরক্ষা দপ্তরের মুখপাত্র শন পারনেল শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই দান এমন শর্তে দেওয়া হয়েছে যে তা সেনাসদস্যদের বেতন ও ভাতার খরচ মেটাতে ব্যবহার করা হবে।’ তিনি জানান, দপ্তরের ‘সাধারণ উপহার গ্রহণের নীতিমালা’ অনুযায়ী এই অর্থ গ্রহণ করা হয়েছে।
ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবারই দানের বিষয়টি আভাস দিয়েছিলেন, তবে তখনো দাতার নাম গোপন রেখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘তিনি স্বীকৃতি চান না।’ শনিবার এশিয়া সফরে রওনা হওয়ার আগে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি এক অসাধারণ ভদ্রলোক, এক দেশপ্রেমিক, এক মহান পৃষ্ঠপোষক। তিনি প্রচারবিমুখ।’
ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি চান না তাঁর নাম বলা হোক—যা আমার পরিচিত রাজনীতির জগতে বেশ অস্বাভাবিক। সেখানে তো সবাই চায় তাদের নাম উচ্চারিত হোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘তিনি ১৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন যেন সেনারা বেতন পায়। এটা বিশাল অঙ্কের অর্থ। তিনি আমার বড় সমর্থকও বটে।’
এই অর্থ সেনাপ্রতি প্রায় ১০০ ডলারের সমান। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউস প্রতিরক্ষা বাজেট পুনর্বিন্যাস করে বেতন দিতে পেরেছিল, কিন্তু ৩১ অক্টোবরের পরবর্তী বেতন দিবসে কী হবে, তা অনিশ্চিত রয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কংগ্রেস এমন কোনো বিল পাস করতে পারেনি যা সেনাদের বেতন নিশ্চিত রাখবে।
অচলাবস্থার কারণে অধিকাংশ সরকারি কর্মী ছুটিতে আছেন বা বেতন ছাড়াই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রতিরক্ষা দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, ১০ হাজার ডলারের বেশি দান নৈতিকতা পর্যালোচনার আওতায় আসে, যাতে নিশ্চিত করা যায় দাতার কোনো ব্যবসায়িক দাবি, মামলা, বা প্রতিরক্ষা দপ্তরের সঙ্গে কোনো স্বার্থ সংঘাত নেই।
বিদেশি নাগরিকের দান হলে তা আরও কঠোর যাচাইয়ের প্রয়োজন হয়। যদিও পেন্টাগন মাঝে মাঝে দান গ্রহণ করে, সাধারণত সেই অর্থ স্কুল, হাসপাতাল, লাইব্রেরি, জাদুঘর বা সমাধিক্ষেত্রের মতো নির্দিষ্ট প্রকল্পে ব্যয় হয়। তবে এবার সেনাবাহিনীকে বেতন দিতে নাম-গোপন দান গ্রহণে সমালোচনা উঠেছে।
সিনেটের প্রতিরক্ষা বরাদ্দ উপকমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট সদস্য, ডেলাওয়্যারের সিনেটর ক্রিস কুনস বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনীকে নাম-গোপন দানের অর্থে চালানো এক ভয়াবহ নজির। এতে আশঙ্কা তৈরি হয় যে আমাদের সৈন্যরা বিদেশি শক্তির হাতে ‘কেনা সৈন্যে’ পরিণত হচ্ছে কি না।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু তাঁকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন যাতে, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের বেতন দেওয়া যায়। কারণ, মার্কিন সরকারে শাটডাউন তথা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে, সরকার রাষ্ট্রীয় কোনো কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারছে না। তবে কে এই অর্থ দিয়েছেন তাঁর পরিচয় প্রকাশিত হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবর বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা দানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই অর্থ ১৩ লাখ ২০ হাজার সেনাসদস্যের বেতন প্রদানে ঘাটতি পূরণে সহায়ক হবে। তবে প্রতিরক্ষা দপ্তর দাতার পরিচয় প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে এ নিয়ে উঠেছে নৈতিকতার প্রশ্ন।
শনিবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ওই দাতা ‘আমার বড় সমর্থক’ এবং ‘মার্কিন নাগরিক।’ তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে সরকার কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে, কারণ কংগ্রেস এখনো বাজেট অনুমোদনে ব্যর্থ। গত সপ্তাহে প্রশাসন সাময়িকভাবে সেনাদের বেতন দিয়েছে, সামরিক গবেষণার বাজেট থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার সরিয়ে এনে। তবে মাসের শেষের বেতন দিবসে কী হবে, তা এখনো অনিশ্চিত।
রোববার অচলাবস্থার ২৫ তম দিন পার হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দীর্ঘতম অচলাবস্থাগুলোর একটি হতে যাচ্ছে। প্রতিরক্ষা দপ্তরের মুখপাত্র শন পারনেল শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই দান এমন শর্তে দেওয়া হয়েছে যে তা সেনাসদস্যদের বেতন ও ভাতার খরচ মেটাতে ব্যবহার করা হবে।’ তিনি জানান, দপ্তরের ‘সাধারণ উপহার গ্রহণের নীতিমালা’ অনুযায়ী এই অর্থ গ্রহণ করা হয়েছে।
ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবারই দানের বিষয়টি আভাস দিয়েছিলেন, তবে তখনো দাতার নাম গোপন রেখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘তিনি স্বীকৃতি চান না।’ শনিবার এশিয়া সফরে রওনা হওয়ার আগে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি এক অসাধারণ ভদ্রলোক, এক দেশপ্রেমিক, এক মহান পৃষ্ঠপোষক। তিনি প্রচারবিমুখ।’
ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি চান না তাঁর নাম বলা হোক—যা আমার পরিচিত রাজনীতির জগতে বেশ অস্বাভাবিক। সেখানে তো সবাই চায় তাদের নাম উচ্চারিত হোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘তিনি ১৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন যেন সেনারা বেতন পায়। এটা বিশাল অঙ্কের অর্থ। তিনি আমার বড় সমর্থকও বটে।’
এই অর্থ সেনাপ্রতি প্রায় ১০০ ডলারের সমান। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউস প্রতিরক্ষা বাজেট পুনর্বিন্যাস করে বেতন দিতে পেরেছিল, কিন্তু ৩১ অক্টোবরের পরবর্তী বেতন দিবসে কী হবে, তা অনিশ্চিত রয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কংগ্রেস এমন কোনো বিল পাস করতে পারেনি যা সেনাদের বেতন নিশ্চিত রাখবে।
অচলাবস্থার কারণে অধিকাংশ সরকারি কর্মী ছুটিতে আছেন বা বেতন ছাড়াই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রতিরক্ষা দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, ১০ হাজার ডলারের বেশি দান নৈতিকতা পর্যালোচনার আওতায় আসে, যাতে নিশ্চিত করা যায় দাতার কোনো ব্যবসায়িক দাবি, মামলা, বা প্রতিরক্ষা দপ্তরের সঙ্গে কোনো স্বার্থ সংঘাত নেই।
বিদেশি নাগরিকের দান হলে তা আরও কঠোর যাচাইয়ের প্রয়োজন হয়। যদিও পেন্টাগন মাঝে মাঝে দান গ্রহণ করে, সাধারণত সেই অর্থ স্কুল, হাসপাতাল, লাইব্রেরি, জাদুঘর বা সমাধিক্ষেত্রের মতো নির্দিষ্ট প্রকল্পে ব্যয় হয়। তবে এবার সেনাবাহিনীকে বেতন দিতে নাম-গোপন দান গ্রহণে সমালোচনা উঠেছে।
সিনেটের প্রতিরক্ষা বরাদ্দ উপকমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট সদস্য, ডেলাওয়্যারের সিনেটর ক্রিস কুনস বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনীকে নাম-গোপন দানের অর্থে চালানো এক ভয়াবহ নজির। এতে আশঙ্কা তৈরি হয় যে আমাদের সৈন্যরা বিদেশি শক্তির হাতে ‘কেনা সৈন্যে’ পরিণত হচ্ছে কি না।’

পৃথিবী থেকে ভাষা বিলুপ্তি নতুন কোনো ঘটনা নয়। এর আগেও বহু ভাষা বিলুপ্ত হয়েছে। অনেক ভাষা হয়তো আমাদের জানার আগেই হারিয়ে গেছে। ভাষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীতে এখন অন্তত ১৫টি ভাষা সবচেয়ে বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে এগুলো। এমন কয়েকটি ভাষা সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু তথ্য জেনে নিই।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
বিশ্বের দ্রুততম উচ্চগতির ট্রেন সিআর-৪৫০ এর প্রোটোটাইপের পরীক্ষামূলক পরিচালনা শুরু করেছে চীন। বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে এখনো এই ট্রেনটির পরীক্ষামূলক পরিচালনা চলছে। ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। তবে ট্রেনের বাণিজ্যিক চলাচলের সময় এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত হবে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ কিল
৪৪ মিনিট আগে
ভারতের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সুবনসিরির আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচপিসি)।
১ ঘণ্টা আগে
শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে আপত্তি জানিয়েছেন স্ত্রী। এ কারণে এক যুবক আবাসিক ভবনের ১৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের বৃহত্তর ফরিদাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে