সারা বিশ্বে ২০২১ সাল একটি কঠিন বছর হিসেবে পার হয়েছে। গত বুধবার ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রকাশিত নতুন গবেষণামতে, সরবরাহ চেইন ও ভোক্তা চাহিদার পরিবর্তন অনেক বড় শহরে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে। গত পাঁচ বছরের মধ্যে এ বছরই রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি দেখা গেছে।
প্রকাশিত গবেষণায় জীবনযাত্রার ব্যয়ের সূচকে পঞ্চম থেকে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিব, যা অনেক দ্রুত পরিবর্তন হয়েছে। তেল আবিব এই প্রথম শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে। গত বছর প্রথম স্থানে ছিল ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। এবার সিঙ্গাপুরের সঙ্গে যৌথভাবে দুইয়ে আছে প্যারিস।
গবেষণার জীবনযাত্রার সূচকে তেল আবিবের পরিবহন খরচ, মার্কিন ডলারের বিপরীতে দেশীয় মুদ্রা শেকেলের দাম কমে যাওয়ায়কে দায়ী করা হয়েছে।
২০২১ সালে ওয়ার্ল্ডওয়াইড কস্ট অব লিভিং ইনডেক্স ১৭৩ শহরের জীবনযাত্রার মান নিয়ে গবেষণা করেছে, যা গত বছরের চেয়ে ৪০টি বেশি। ২০০টিরও বেশি দৈনন্দিন পণ্য ও পরিষেবার দামের তুলনা করে সূচক করা হয়েছে।
প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে এই জরিপ পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিবছর মার্চ ও সেপ্টেম্বরের ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের দিল তথ্য সংগ্রহ করে। তথ্য সংগ্রহ করে নিউইয়র্ক সিটিতে দামের সঙ্গে মানদণ্ড নির্ধারণ করে। তাই মার্কিন ডলারের বিপরীতে শক্তিশালী মুদ্রার দেশগুলো অবস্থানে এগিয়ে থাকে।
সূচকে জুরিখ ও হংকং যথাক্রমে ৪ ও ৫ নম্বরে রয়েছে। নিউইয়র্ক, জেনেভা, কোপেনহেগেন, লস অ্যাঞ্জেলেস ও ওসাকা রয়েছে শীর্ষদশে।
র্যাংকিংয়ে ইউরোপীয় ও উন্নত এশীয় শহরগুলোর আধিপত্য দেখা গেছে। অন্যদিকে নিচের দিকে আছে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং এশিয়ার কম ধনী শহরগুলো।
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রধান উপাসনা দত্ত একটি বিবৃতিতে বলেছেন, যদিও সারা বিশ্বে কোভিড টিকা দেওয়ার কারণে অনেক দেশ অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করছে। তবে কিছু দেশে আবারও করোনা শনাক্ত হওয়ায় সামাজিক বিধিনিষেধ বাড়ছে, যার ফলে ঘাটতি ও উচ্চমূল্য বেড়েছে।
উপাসনা দত্ত আরও বলেন, এ বছরের সূচকে পেট্রলের মূল্যবৃদ্ধি বিশেষ করে প্রকটভাবে প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু সব শহরেই দাম বাড়েনি। আমাদের র্যাঙ্কিংয়ের নিচের দিকে থাকা অনেক শহরই দাম স্থবির বা এমনকি পতনও দেখেছে, আংশিক কারণে মার্কিন ডলারের বিপরীতে তাদের মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে৷
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সূচকের আওতায় থাকা পণ্য ও পরিষেবার দাম স্থানীয় মুদ্রার পরিপ্রেক্ষিতে বছরে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গত বছরের এই সময়ে মাত্র ১ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। এ ছাড়া সারা বিশ্বে পণ্য সরবরাহমূল্য বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। করোনা মহামারি ও সামাজিক বিধিনিষেধ এখনো বিশ্বজুড়ে উৎপাদন ও বাণিজ্যকে প্রভাবিত করছে। তবে এই সমস্যাগুলো খুব শিগ্গির যাচ্ছে না বলে গবেষণায় মনে করা হয়েছে।
তেলের মূল্য ২১ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে, এ ছাড়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিনোদন, তামাক ও ব্যক্তিগত জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২১ সালের ক্রমবর্ধমান শহর ছিল ইরানের তেহরান, যা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে ঘাটতি এবং উচ্চমূল্যের কারণে এই সূচকে ৫০ ধাপ এগিয়েছে। ৭৯ নম্বর থেকে উঠে এসেছে ২৯ নম্বরে।
সিরিয়ার শহর দামেস্ক আবারও বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা শহর হিসেবে স্থান পেয়েছে। কারণ যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে শহরটিতে। দামেস্ক ও তেহরান ২০২১ সালে খুব উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির শিকার হয়েছিল, যেমন ভেনেজুয়েলার কারাকাস ও আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসে হয়েছিল।
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রধান বলেছেন, `আমরা আশা করছি কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মুদ্রাস্ফীতি রোধ করতে সতর্কতার সঙ্গে সুদের হার বাড়াবে। তাই মূল্যবৃদ্ধি এই বছরের স্তর থেকে মাঝারি হতে শুরু করা উচিত।
সূচকের তালিকা অনুসারে কয়েকটি দেশের নাম নিচে দেওয়া হলো—
১) তেল আবিব, ইসরায়েল
২) প্যারিস, ফ্রান্স
২) সিঙ্গাপুর
৩) জুরিখ, সুইজারল্যান্ড
৪) হংকং
৫) নিউইয়র্ক সিটি
৬) জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
৭) কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক
৮) লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া
৯) ওসাকা, জাপান
১০) অসলো, নরওয়ে
১১) সিউল, সাউথ কোরিয়া
১২) টোকিও, জাপান
১৩) ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া
১৩) সিডনি, অস্ট্রেলিয়া
১৪) মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া
১৫) হেলসিংকি, ফিনল্যান্ড
১৫) লন্ডন, যুক্তরাজ্য
সারা বিশ্বে ২০২১ সাল একটি কঠিন বছর হিসেবে পার হয়েছে। গত বুধবার ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রকাশিত নতুন গবেষণামতে, সরবরাহ চেইন ও ভোক্তা চাহিদার পরিবর্তন অনেক বড় শহরে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে। গত পাঁচ বছরের মধ্যে এ বছরই রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি দেখা গেছে।
প্রকাশিত গবেষণায় জীবনযাত্রার ব্যয়ের সূচকে পঞ্চম থেকে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিব, যা অনেক দ্রুত পরিবর্তন হয়েছে। তেল আবিব এই প্রথম শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে। গত বছর প্রথম স্থানে ছিল ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। এবার সিঙ্গাপুরের সঙ্গে যৌথভাবে দুইয়ে আছে প্যারিস।
গবেষণার জীবনযাত্রার সূচকে তেল আবিবের পরিবহন খরচ, মার্কিন ডলারের বিপরীতে দেশীয় মুদ্রা শেকেলের দাম কমে যাওয়ায়কে দায়ী করা হয়েছে।
২০২১ সালে ওয়ার্ল্ডওয়াইড কস্ট অব লিভিং ইনডেক্স ১৭৩ শহরের জীবনযাত্রার মান নিয়ে গবেষণা করেছে, যা গত বছরের চেয়ে ৪০টি বেশি। ২০০টিরও বেশি দৈনন্দিন পণ্য ও পরিষেবার দামের তুলনা করে সূচক করা হয়েছে।
প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে এই জরিপ পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিবছর মার্চ ও সেপ্টেম্বরের ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের দিল তথ্য সংগ্রহ করে। তথ্য সংগ্রহ করে নিউইয়র্ক সিটিতে দামের সঙ্গে মানদণ্ড নির্ধারণ করে। তাই মার্কিন ডলারের বিপরীতে শক্তিশালী মুদ্রার দেশগুলো অবস্থানে এগিয়ে থাকে।
সূচকে জুরিখ ও হংকং যথাক্রমে ৪ ও ৫ নম্বরে রয়েছে। নিউইয়র্ক, জেনেভা, কোপেনহেগেন, লস অ্যাঞ্জেলেস ও ওসাকা রয়েছে শীর্ষদশে।
র্যাংকিংয়ে ইউরোপীয় ও উন্নত এশীয় শহরগুলোর আধিপত্য দেখা গেছে। অন্যদিকে নিচের দিকে আছে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং এশিয়ার কম ধনী শহরগুলো।
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রধান উপাসনা দত্ত একটি বিবৃতিতে বলেছেন, যদিও সারা বিশ্বে কোভিড টিকা দেওয়ার কারণে অনেক দেশ অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করছে। তবে কিছু দেশে আবারও করোনা শনাক্ত হওয়ায় সামাজিক বিধিনিষেধ বাড়ছে, যার ফলে ঘাটতি ও উচ্চমূল্য বেড়েছে।
উপাসনা দত্ত আরও বলেন, এ বছরের সূচকে পেট্রলের মূল্যবৃদ্ধি বিশেষ করে প্রকটভাবে প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু সব শহরেই দাম বাড়েনি। আমাদের র্যাঙ্কিংয়ের নিচের দিকে থাকা অনেক শহরই দাম স্থবির বা এমনকি পতনও দেখেছে, আংশিক কারণে মার্কিন ডলারের বিপরীতে তাদের মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে৷
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সূচকের আওতায় থাকা পণ্য ও পরিষেবার দাম স্থানীয় মুদ্রার পরিপ্রেক্ষিতে বছরে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গত বছরের এই সময়ে মাত্র ১ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। এ ছাড়া সারা বিশ্বে পণ্য সরবরাহমূল্য বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। করোনা মহামারি ও সামাজিক বিধিনিষেধ এখনো বিশ্বজুড়ে উৎপাদন ও বাণিজ্যকে প্রভাবিত করছে। তবে এই সমস্যাগুলো খুব শিগ্গির যাচ্ছে না বলে গবেষণায় মনে করা হয়েছে।
তেলের মূল্য ২১ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে, এ ছাড়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিনোদন, তামাক ও ব্যক্তিগত জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২১ সালের ক্রমবর্ধমান শহর ছিল ইরানের তেহরান, যা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে ঘাটতি এবং উচ্চমূল্যের কারণে এই সূচকে ৫০ ধাপ এগিয়েছে। ৭৯ নম্বর থেকে উঠে এসেছে ২৯ নম্বরে।
সিরিয়ার শহর দামেস্ক আবারও বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা শহর হিসেবে স্থান পেয়েছে। কারণ যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে শহরটিতে। দামেস্ক ও তেহরান ২০২১ সালে খুব উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির শিকার হয়েছিল, যেমন ভেনেজুয়েলার কারাকাস ও আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসে হয়েছিল।
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রধান বলেছেন, `আমরা আশা করছি কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মুদ্রাস্ফীতি রোধ করতে সতর্কতার সঙ্গে সুদের হার বাড়াবে। তাই মূল্যবৃদ্ধি এই বছরের স্তর থেকে মাঝারি হতে শুরু করা উচিত।
সূচকের তালিকা অনুসারে কয়েকটি দেশের নাম নিচে দেওয়া হলো—
১) তেল আবিব, ইসরায়েল
২) প্যারিস, ফ্রান্স
২) সিঙ্গাপুর
৩) জুরিখ, সুইজারল্যান্ড
৪) হংকং
৫) নিউইয়র্ক সিটি
৬) জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
৭) কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক
৮) লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া
৯) ওসাকা, জাপান
১০) অসলো, নরওয়ে
১১) সিউল, সাউথ কোরিয়া
১২) টোকিও, জাপান
১৩) ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া
১৩) সিডনি, অস্ট্রেলিয়া
১৪) মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া
১৫) হেলসিংকি, ফিনল্যান্ড
১৫) লন্ডন, যুক্তরাজ্য
চলমান যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর যুক্তি, ‘রাশিয়া খুবই বড় শক্তি, ইউক্রেন নয়। তাই যুদ্ধ এড়িয়ে টিকে থাকতে হলে চুক্তি ছাড়া ইউক্রেনের কোনো গতি নেই।’ এই মন্তব্য ট্রাম্পের আলাস্কা বৈঠকের পর এসেছে...
৮ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ক্ষমতায় থাকাকালে চীন কখনোই তাইওয়ানে আক্রমণ করবে না। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন ট্রাম্প। খবর রয়টার্সের।
৯ ঘণ্টা আগেবোল্টন বলেছেন, ‘এই বৈঠকের পর ট্রাম্প কিছুই পাননি। যা পেয়েছেন তা হলো, আরও কিছু বৈঠকের প্রতিশ্রুতি। অন্যদিকে পুতিন ‘সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে অনেক দূর এগিয়ে গেছেন, যা আমি সব সময় তাঁর প্রধান লক্ষ্য বলে মনে করেছি।’
১০ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি হয়তো আশা করেছিলেন, এই বৈঠকে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে একটি চুক্তি হবে। কিন্তু এমন কোনো কিছুই হয়নি। তাই ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার জন্য সোমবার ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন জেলেনস্কি।
১১ ঘণ্টা আগে