‘আজ যে শিশু/ পৃথিবীর আলোয় এসেছে/ আমরা তার তরে একটি সাজানো বাগান চাই...’
বাংলা ব্যান্ড রেনেসাঁর তৃতীয় বিশ্ব অ্যালবামে তৃতীয় বিশ্বে জন্ম নেওয়া সব শিশুর জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরির আকুতি ঝরে পড়েছিল গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর লেখা এই গানে। শিশুর জন্য সাজানো বাগান তথা একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার কাজে নিয়োজিত জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থা আন্তর্জাতিক শিশু তহবিল বা ইউনিসেফ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৬ সালের আজকের দিন অর্থাৎ, ১১ ডিসেম্বরে।
বিভিন্ন দেশের বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশের শিশুদের সেবা প্রদান করে ইউনিসেফ। মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও রোগ প্রতিরোধ, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, মৌলিক শিক্ষা, স্যানিটেশন ও নারী উন্নয়নের লক্ষ্যে এ প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের ত্রাণ সাহায্য প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় ইউনিসেফ। ১৯৫০ সালের পর থেকে এটি বিশ্বের স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের শিশুদের কল্যাণ ও উন্নয়নে কাজ করে আসছে।
ইউনিসেফের সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত। ১৯৬৫ সালে ইউনিসেফ শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার অর্জন করে। ১৯৫১ সালে ঢাকায় ইউনিসেফের অফিস প্রতিষ্ঠিত হলেও ১৯৭৭ সাল থেকে তারা নিয়মিতভাবে এ দেশের মা-শিশুর উন্নয়নে কাজ করছে।
ইউনিসেফের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, শিশু অধিকার সনদের আওতায় প্রতিটি শিশুকে সুরক্ষা দিতে ইউনিসেফ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের কাছে পৌঁছানোর জন্য এবং প্রতিটি শিশুর অধিকার রক্ষা করতে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্গম অঞ্চলে সংস্থাটি কাজ করে। ১৯০টিরও বেশি দেশ এবং অঞ্চলজুড়ে, শৈশব থেকে কৈশোর পর্যন্ত শিশুদের বেঁচে থাকা, বেড়ে ওঠা এবং তাদের সম্ভাবনা বিকাশে সহায়তা করার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই করে ইউনিসেফ।
বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রদানকারী সংস্থাও হচ্ছে ইউনিসেফ। এ ছাড়া শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন, মানসম্পন্ন শিক্ষা ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সহিংসতা ও নির্যাতন থেকে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের সুরক্ষায় এটি কাজ করে।
মানবিক জরুরি অবস্থার আগে, চলাকালীন সময়ে এবং পরে, শিশু এবং তাদের পরিবারের জন্য ইউনিসেফ জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রদান করে এবং তাদের জন্য নতুন আশার সঞ্চার করে। অরাজনৈতিক ও নিরপেক্ষ, শিশুদের অধিকার রক্ষা এবং তাদের জীবন ও ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার ক্ষেত্রে ইউনিসেফ কখনই নিরপেক্ষ নয়।
বাংলাদেশে শিশুদের স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও কল্যাণে ইউনিসেফ ১৯৫২ সাল থেকে কাজ করছে। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের শরণার্থীদের জন্য জরুরি ত্রাণ প্রদান থেকে শুরু করে ২০১৭ সালে নিজ দেশ থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুদেরও সহায়তা করছে ইউনিসেফ।
বাংলাদেশে বর্তমানে ৬ কোটি ২৬ লাখের অধিক শিশু রয়েছে, যা দেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ। তাদের জন্য সম্ভাব্য সর্বোত্তম ভবিষ্যৎ গড়তে ইউনিসেফ সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে। সংস্থাটির লক্ষ্য হল বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর জীবনের সর্বোত্তম সূচনা নিশ্চিত করা, যাতে করে তাদের কাঙ্ক্ষিত উন্নতি এবং পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশ ঘটতে পারে।
এই লক্ষ্যগুলো পূরণের জন্য, প্রযুক্তিগত দক্ষতাকে ব্যবহার করে ইউনিসেফ। এবং বাংলাদেশের শিশুরা যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় সেগুলো মোকাবিলায় অংশীজনদের সঙ্গে স্বাস্থ্য, পুষ্টি, শিক্ষা, সুরক্ষা, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন এবং স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে কাজ করে জাতিসংঘের এই সংস্থা।
৮টি প্রশাসনিক বিভাগের প্রতিটিতে ইউনিসেফ বাংলাদেশের মাঠ পর্যায়ের কার্যালয় রয়েছে। এসব কার্যালয়ের মাধ্যমে ইউনিসেফ ৬৪টি জেলাতেই তার কার্যক্রম পরিচালনা করে। বিভিন্ন অংশীজন, দাতা, সুশীল সমাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত সংগঠন এবং স্থানীয় কমিউনিটি বা সম্প্রদায়ের সঙ্গে সহযোগিতার ওপর সংস্থাটির কাজের সাফল্য অনেকাংশেই নির্ভর করে।
‘আজ যে শিশু/ পৃথিবীর আলোয় এসেছে/ আমরা তার তরে একটি সাজানো বাগান চাই...’
বাংলা ব্যান্ড রেনেসাঁর তৃতীয় বিশ্ব অ্যালবামে তৃতীয় বিশ্বে জন্ম নেওয়া সব শিশুর জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরির আকুতি ঝরে পড়েছিল গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর লেখা এই গানে। শিশুর জন্য সাজানো বাগান তথা একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার কাজে নিয়োজিত জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থা আন্তর্জাতিক শিশু তহবিল বা ইউনিসেফ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৬ সালের আজকের দিন অর্থাৎ, ১১ ডিসেম্বরে।
বিভিন্ন দেশের বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশের শিশুদের সেবা প্রদান করে ইউনিসেফ। মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও রোগ প্রতিরোধ, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, মৌলিক শিক্ষা, স্যানিটেশন ও নারী উন্নয়নের লক্ষ্যে এ প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের ত্রাণ সাহায্য প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় ইউনিসেফ। ১৯৫০ সালের পর থেকে এটি বিশ্বের স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের শিশুদের কল্যাণ ও উন্নয়নে কাজ করে আসছে।
ইউনিসেফের সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত। ১৯৬৫ সালে ইউনিসেফ শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার অর্জন করে। ১৯৫১ সালে ঢাকায় ইউনিসেফের অফিস প্রতিষ্ঠিত হলেও ১৯৭৭ সাল থেকে তারা নিয়মিতভাবে এ দেশের মা-শিশুর উন্নয়নে কাজ করছে।
ইউনিসেফের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, শিশু অধিকার সনদের আওতায় প্রতিটি শিশুকে সুরক্ষা দিতে ইউনিসেফ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের কাছে পৌঁছানোর জন্য এবং প্রতিটি শিশুর অধিকার রক্ষা করতে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্গম অঞ্চলে সংস্থাটি কাজ করে। ১৯০টিরও বেশি দেশ এবং অঞ্চলজুড়ে, শৈশব থেকে কৈশোর পর্যন্ত শিশুদের বেঁচে থাকা, বেড়ে ওঠা এবং তাদের সম্ভাবনা বিকাশে সহায়তা করার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই করে ইউনিসেফ।
বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রদানকারী সংস্থাও হচ্ছে ইউনিসেফ। এ ছাড়া শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন, মানসম্পন্ন শিক্ষা ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সহিংসতা ও নির্যাতন থেকে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের সুরক্ষায় এটি কাজ করে।
মানবিক জরুরি অবস্থার আগে, চলাকালীন সময়ে এবং পরে, শিশু এবং তাদের পরিবারের জন্য ইউনিসেফ জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রদান করে এবং তাদের জন্য নতুন আশার সঞ্চার করে। অরাজনৈতিক ও নিরপেক্ষ, শিশুদের অধিকার রক্ষা এবং তাদের জীবন ও ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার ক্ষেত্রে ইউনিসেফ কখনই নিরপেক্ষ নয়।
বাংলাদেশে শিশুদের স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও কল্যাণে ইউনিসেফ ১৯৫২ সাল থেকে কাজ করছে। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের শরণার্থীদের জন্য জরুরি ত্রাণ প্রদান থেকে শুরু করে ২০১৭ সালে নিজ দেশ থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুদেরও সহায়তা করছে ইউনিসেফ।
বাংলাদেশে বর্তমানে ৬ কোটি ২৬ লাখের অধিক শিশু রয়েছে, যা দেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ। তাদের জন্য সম্ভাব্য সর্বোত্তম ভবিষ্যৎ গড়তে ইউনিসেফ সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে। সংস্থাটির লক্ষ্য হল বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর জীবনের সর্বোত্তম সূচনা নিশ্চিত করা, যাতে করে তাদের কাঙ্ক্ষিত উন্নতি এবং পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশ ঘটতে পারে।
এই লক্ষ্যগুলো পূরণের জন্য, প্রযুক্তিগত দক্ষতাকে ব্যবহার করে ইউনিসেফ। এবং বাংলাদেশের শিশুরা যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় সেগুলো মোকাবিলায় অংশীজনদের সঙ্গে স্বাস্থ্য, পুষ্টি, শিক্ষা, সুরক্ষা, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন এবং স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে কাজ করে জাতিসংঘের এই সংস্থা।
৮টি প্রশাসনিক বিভাগের প্রতিটিতে ইউনিসেফ বাংলাদেশের মাঠ পর্যায়ের কার্যালয় রয়েছে। এসব কার্যালয়ের মাধ্যমে ইউনিসেফ ৬৪টি জেলাতেই তার কার্যক্রম পরিচালনা করে। বিভিন্ন অংশীজন, দাতা, সুশীল সমাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত সংগঠন এবং স্থানীয় কমিউনিটি বা সম্প্রদায়ের সঙ্গে সহযোগিতার ওপর সংস্থাটির কাজের সাফল্য অনেকাংশেই নির্ভর করে।
ভেনিস উপহ্রদের দক্ষিণে অবস্থিত পরিত্যক্ত দ্বীপ পোভেলিয়া। এর নাম শুনলেই অনেকের মনে আসে প্লেগ আক্রান্তদের গণকবর, মানসিক রোগীদের জন্য নির্মিত পুরোনো আশ্রম এবং ভুতুড়ে ইতিহাসের কথা। সেই দ্বীপ এবার নতুন পরিচয়ে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগেগত ১২ জুন ইংল্যান্ডে হৃদ্রোগে আক্রান্ত মাত্র ৫৩ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন ভারতের বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুর। তাঁর এই আকস্মিক মৃত্যুর পর রেখে যাওয়া বিপুল সম্পদ কার জিম্মায় যাবে, তা নিয়ে এখন উত্তাল কাপুর পরিবার।
৭ ঘণ্টা আগেতিন মাস আগে জীবিকার সন্ধানে রাজস্থানে যান আমির। রাজস্থানে পৌঁছানোর পর দুই মাস আগে তাঁকে গ্রেপ্তার করে স্থানীয় পুলিশ। তাঁর কাছে ভারতের বৈধ পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও কোনো তদন্ত বা আদালতের হস্তক্ষেপ ছাড়াই তাঁকে বিদেশি তকমা দিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হয়।
৮ ঘণ্টা আগেগাজার হৃদয়বিদারক বাস্তবতার ছবি তুলে ধরেছেন একজন ফিলিস্তিনি শিল্পী। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, সন্তানদের মুখে এক বেলার খাবার তুলে দিতে চিত্রশিল্পী তাহা আবু ঘালি নিজের আঁকা ছবি পুড়িয়ে রান্নার জন্য জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছেন।
৮ ঘণ্টা আগে