Ajker Patrika

পরস্পরকে রক্ষায় ‘সাহেল প্রতিরক্ষা জোট’ গঠন করল আফ্রিকার সেনাশাসিত ৩ দেশ 

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০: ৫৪
Thumbnail image

আফ্রিকার সেনাশাসিত তিন দেশ—মালি, বুরকিনা ফাসো ও নাইজার সম্প্রতি এক প্রতিরক্ষা জোট গঠন করেছে। নাম দেওয়া হয়েছে সাহেল প্রতিরক্ষা জোট। দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ মোকাবিলা এবং বহিঃশক্তির আগ্রাসন থেকে বাঁচতে একে অপরকে রক্ষা করতেই এই জোট গঠন করা হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

গতকাল শনিবার দেশ তিনটির নেতারা এই জোট গঠনে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। চুক্তি অনুসারে, জোটের কোনো দেশ কখনো কোনো বিপদে পড়লে এমনকি সামরিকভাবে বিপদের মুখে পড়লে জোটের অন্য সদস্য দেশগুলো তাকে রক্ষা করবে। এর আগে দেশ তিনটির মধ্যে স্বাক্ষরিত লিপটাকো-গুরমা চার্টারে স্বাক্ষর করে। এবার সেই চার্টারের সম্প্রসারণ হিসেবে গঠিত হলো ‘সাহেল প্রতিরক্ষা জোট’। 

চুক্তিতে বলা হয়েছে, ‘চুক্তিবদ্ধ এক বা একাধিক দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার ওপর যেকোনো আক্রমণ অন্যান্য পক্ষের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বলে বিবেচিত হবে।’ চুক্তিতে আরও বলা হয়েছে, এটি কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র বিদ্রোহ প্রতিরোধ বা নিষ্পত্তি করতে কাজ করার জন্য তিনটি দেশকে আবদ্ধ করে।’ 

সাহেল প্রতিরক্ষা জোট গঠনের বিষয়ে মালির সামরিক সরকারের প্রধান আসিমি গইতা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘আমি আজ বুরকিনা ফাসো ও নাইজারের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে সাহেল অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে যৌথ প্রতিরক্ষা ও পারস্পরিক সহায়তা কাঠামো প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লিপটাকো-গুরমা সনদে স্বাক্ষর করেছি।’ লিপটাকো-গুরমা হলো সেই অঞ্চল যেখানে মালি, বুরকিনা ফাসো এবং নাইজারের সীমান্ত মিলিত হয়েছে। 

চুক্তি স্বাক্ষরের পর মালির রাজধানী বামাকোতে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আব্দুলায়ে দিওপ বলেছেন, ‘জোটটি তিন দেশের সামরিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে জোরদার করবে। এ ছাড়া তিন দেশের সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করাও আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত