গত সপ্তাহে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় শহর গোমায় রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম ২৩ বিদ্রোহীদের হামলার সময় শত শত নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং আগুনে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান।
জাতিসংঘের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্রোহীদের হামলার সময় গোমার মুঞ্জেনজে কারাগারে বন্দী নারীদের ওপর নারকীয় অত্যাচার চালানো হয়। আর কারাগারে থাকা হাজার হাজার পুরুষ বন্দী পালিয়ে যায়।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর উপপ্রধান ভিভিয়ান ভ্যান ডি পেরে জানিয়েছেন, ঘটনার সময় কারাগার থেকে প্রায় ৪ হাজার পুরুষ বন্দী পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও, নারীদের অংশটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘কারাগারে থাকা শত শত নারীকে ধর্ষণ করা হয়, এরপর তাদের কক্ষগুলোতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়।’
রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম ২৩ বিদ্রোহীরা গত ২৭ জানুয়ারি গোমার কেন্দ্রস্থলে পৌঁছানোর পরপরই সেখানে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা যায়। তবে কারাগারে কী ঘটেছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি। কারণ জাতিসংঘের তদন্তকারী দলকে সেখানে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না এম ২৩ বিদ্রোহীরা। ফলে এই নৃশংসতার মূল পরিকল্পনাকারীদের সঠিক পরিচয়ও এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জানা গেছে, গোমায় প্রায় ২ হাজার মৃতদেহ এখনো সমাহিত করার অপেক্ষায় রয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর সতর্ক করেছে, গোমায় বিদ্রোহী দলগুলো সংঘাতের অস্ত্র হিসেবে যৌন সহিংসতা চালাচ্ছে।
গোমার পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে,১০ লাখের বেশি মানুষের শহরটি এখন পুরোপুরি এম ২৩ বাহিনীর দখলে রয়েছে। তবে গত সোমবার হঠাৎ করেই বিদ্রোহীরা একতরফা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, রুয়ান্ডার লক্ষ্য হলো কঙ্গোর আরও বেশি ভূখণ্ড দখল করা। এম ২৩ বাহিনী গোমা থেকে ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে বুকাভু শহরের দিকে এগোচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়ে তারা জানায়, বুকাভু বা অন্য কোনো শহর দখলের পরিকল্পনা তাদের নেই।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলছেন, বুরুন্ডি থেকে অতিরিক্ত ২ হাজার সৈন্য মোতায়েনের পর এম ২৩ বিদ্রোহীরা তাদের কৌশল পুনর্বিবেচনা করছে।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা রুয়ান্ডার ওপর আরও আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলছেন, ‘আমাদের আবার আলোচনার টেবিলে ফিরতে হবে। এটি তখনই সম্ভব, যদি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলো রুয়ান্ডা ও কঙ্গোর ওপর যথেষ্ট কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে।’
জাতিসংঘ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গোমায় মানবিক পরিস্থিতি এখন চরম খারাপ। শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাতায়াত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিদ্রোহীরা জাতিসংঘ বাহিনীকে শুধু খাবার ও পানি পরিবহনের অনুমতি দিচ্ছে। অন্য কোনো কার্যক্রমে তারা বাধা দিচ্ছে।
এই ভয়াবহ গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
গত সপ্তাহে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় শহর গোমায় রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম ২৩ বিদ্রোহীদের হামলার সময় শত শত নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং আগুনে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান।
জাতিসংঘের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্রোহীদের হামলার সময় গোমার মুঞ্জেনজে কারাগারে বন্দী নারীদের ওপর নারকীয় অত্যাচার চালানো হয়। আর কারাগারে থাকা হাজার হাজার পুরুষ বন্দী পালিয়ে যায়।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর উপপ্রধান ভিভিয়ান ভ্যান ডি পেরে জানিয়েছেন, ঘটনার সময় কারাগার থেকে প্রায় ৪ হাজার পুরুষ বন্দী পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও, নারীদের অংশটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘কারাগারে থাকা শত শত নারীকে ধর্ষণ করা হয়, এরপর তাদের কক্ষগুলোতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়।’
রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম ২৩ বিদ্রোহীরা গত ২৭ জানুয়ারি গোমার কেন্দ্রস্থলে পৌঁছানোর পরপরই সেখানে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা যায়। তবে কারাগারে কী ঘটেছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি। কারণ জাতিসংঘের তদন্তকারী দলকে সেখানে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না এম ২৩ বিদ্রোহীরা। ফলে এই নৃশংসতার মূল পরিকল্পনাকারীদের সঠিক পরিচয়ও এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জানা গেছে, গোমায় প্রায় ২ হাজার মৃতদেহ এখনো সমাহিত করার অপেক্ষায় রয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর সতর্ক করেছে, গোমায় বিদ্রোহী দলগুলো সংঘাতের অস্ত্র হিসেবে যৌন সহিংসতা চালাচ্ছে।
গোমার পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে,১০ লাখের বেশি মানুষের শহরটি এখন পুরোপুরি এম ২৩ বাহিনীর দখলে রয়েছে। তবে গত সোমবার হঠাৎ করেই বিদ্রোহীরা একতরফা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, রুয়ান্ডার লক্ষ্য হলো কঙ্গোর আরও বেশি ভূখণ্ড দখল করা। এম ২৩ বাহিনী গোমা থেকে ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে বুকাভু শহরের দিকে এগোচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়ে তারা জানায়, বুকাভু বা অন্য কোনো শহর দখলের পরিকল্পনা তাদের নেই।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলছেন, বুরুন্ডি থেকে অতিরিক্ত ২ হাজার সৈন্য মোতায়েনের পর এম ২৩ বিদ্রোহীরা তাদের কৌশল পুনর্বিবেচনা করছে।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা রুয়ান্ডার ওপর আরও আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলছেন, ‘আমাদের আবার আলোচনার টেবিলে ফিরতে হবে। এটি তখনই সম্ভব, যদি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলো রুয়ান্ডা ও কঙ্গোর ওপর যথেষ্ট কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে।’
জাতিসংঘ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গোমায় মানবিক পরিস্থিতি এখন চরম খারাপ। শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাতায়াত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিদ্রোহীরা জাতিসংঘ বাহিনীকে শুধু খাবার ও পানি পরিবহনের অনুমতি দিচ্ছে। অন্য কোনো কার্যক্রমে তারা বাধা দিচ্ছে।
এই ভয়াবহ গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৫০ দিনের মধ্যে ইউক্রেনে হামলা বন্ধের নাটকীয় হুমকি প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া। এই হুমকি প্রত্যাখ্যান করে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধান ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, ট্রাম্পের হুমকি ও আলটিমেটামের পরোয়া করে না রাশিয়া।
৫ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলেন সাংবাদিক ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের সাবেক স্ত্রী রেহাম খান। আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, তাদের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া আঞ্চলিক অফিসের (এসইএআরও) প্রধান সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে ছুটিতে রয়েছেন। বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের মুখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেপ্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি ভেঙে ফেলছে বাংলাদেশ সরকার। আজ মঙ্গলবার এই ঘটনা নিয়ে দুঃখপ্রকাশের পাশাপাশি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
১০ ঘণ্টা আগে