Ajker Patrika

দারফুরের করদোফানে আরএসএফকে ঠেলে এগিয়ে যাচ্ছে সুদানি সেনাবাহিনী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
দারফুরের করদোফান এলাকায় বিদ্রোহী আরএসএফকে ঠেলে এগিয়ে যাচ্ছে সুদানি সেনাবাহিনী। ছবি: আনাদোলু
দারফুরের করদোফান এলাকায় বিদ্রোহী আরএসএফকে ঠেলে এগিয়ে যাচ্ছে সুদানি সেনাবাহিনী। ছবি: আনাদোলু

সুদানের দারফুর অঞ্চলের উত্তর ও পশ্চিম করদোফান অঞ্চলজুড়ে গতকাল শনিবারও ব্যাপক হামলা চালিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী–এসডিএফ। দেশটির দক্ষিণে চলা তীব্র সংঘর্ষের এই নতুন অধ্যায় নিশ্চিত করেছে সামরিক সূত্র। জানিয়েছে, বিদ্রোহী সশস্ত্র আধা–সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে এসডিএফ।

তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, গতকাল শনিবার করদোফানের উম সামিমা নামের কৌশলগত এলাকায় সকাল থেকেই ভারী অস্ত্রের গর্জন শোনা। এল-ওবেইদের পশ্চিমে মাত্র পঞ্চাশ কিলোমিটার দূরের এই বদ্বীপ-সদৃশ সংযোগস্থলই উত্তর ও পশ্চিম করদোফানকে জুড়ে রেখেছে। ওই পথেই মুখোমুখি হয়েছে সেনাবাহিনী ও আরএসএফ।

আনাদোলুকে সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উম সামিমায় সেনারা ভারী এবং হালকা অস্ত্রের সমন্বিত আক্রমণ চালিয়ে উত্তর করদোফানের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বিদ্রোহীদের দখল ভাঙতে চালানো আক্রমণ আরও ঘনীভূত হয়েছে। সূত্রগুলো আরও বলেছে, পশ্চিম করদোফানের আল-খুয়াই এলাকার পশ্চিম অক্ষ বরাবরও অগ্রযাত্রা চলছে। এল-ওবেইদ থেকে প্রায় এক শ কিলোমিটার দূরেই এই অভিযান এগোচ্ছে সেনারা, সঙ্গে আছে তাদের মিত্র বাহিনীগুলো।

মঙ্গলবার সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, করদোফানজুড়ে কয়েকটি ফ্রন্টে ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হয়েছে। বিশ্লেষকেরা এটিকে দারফুরের দিকে এগোনোর লক্ষণ হিসেবে দেখছেন; অঞ্চলটি এখন পুরোপুরি আরএসএফের দখলে। অন্যদিকে আরএসএফ দাবি করেছে, উত্তর করদোফানের জাবাল আবু সুনুন, জাবাল ইসা ও আল-আইয়ারা এলাকায় তারাও অগ্রযাত্রা বজায় রেখেছে।

এর আগে, গত ২৬ অক্টোবর আরএসএফ এল-ফাশের শহর দখল করে এবং সেখানে সাধারণ মানুষের ওপর গণহত্যা চালায় বলে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিবেদন বলছে।

পশ্চিম সুদানের দারফুরের পাঁচটি অঙ্গরাজ্যই এখন আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে। বিপরীতে সেনাবাহিনী দক্ষিণ, উত্তর, পূর্ব ও কেন্দ্রের মোট ১৩টি রাজ্যের অধিকাংশ অংশ নিয়ন্ত্রণে রেখেছে, যার মধ্যে রাজধানী খার্তুমও রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে সুদানি সেনাবাহিনী ও আরএসএফ এক ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে লিপ্ত। এই লড়াই অসংখ্য প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, কয়েক মিলিয়ন মানুষকে ঘরছাড়া করেছে, আর তৈরি করেছে বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ধানের শীষের বাইরে কেউ নির্বাচন করলে কোনো কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে পারবে না: বিএনপি নেতা স্বপন

নির্বাচন কমিশন: সংলাপে না ডাকলেও ৭ দলের ভোটে বাধা দেখছে না ইসি

আজকের রাশিফল: প্রতিশোধের প্রবল ইচ্ছা জাগবে, আজ কিছু একটা হারাবেই

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৪৪ ভবন: ঝুঁকিতে হাজারো শিক্ষার্থীর জীবন

তিতুমীর কলেজে ছাত্রদল-শিবিরের সংঘর্ষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আদালতে প্রিয় শিল্পীর পরচুলা পরে, গান বাজিয়ে চাকরি হারালেন বিচারক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ম্যাথিউ থর্নহিল। ছবি: সংগৃহীত
ম্যাথিউ থর্নহিল। ছবি: সংগৃহীত

মিজৌরির এক বিচারক আদালতে এলভিস প্রিসলির উইগ পরে বসতেন এবং বিচার চলাকালে নিজের ফোন থেকে গায়কের গান বাজাতেন। আর এই বিচিত্র শখই তাঁর চাকরি জীবনের ইতি টেনে দিচ্ছে। তিনি স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে এমন এক সমঝোতায় পৌঁছেছেন যাতে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া হয় এবং তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবেন।

বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইসের উপশহরের বিচারক ম্যাথিউ থর্নহিল আদালত কামরায় এমন উইগ পরে থাকা ও বিচার চলাকালে গান শোনা দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের শুনানি এড়াতে অঙ্গরাজ্য প্রশাসনের বিচার বিভাগের একটি বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিতে সম্মত হয়েছেন। চুক্তি অনুসারে, তিনি ছয় মাস বিনা বেতনে সাময়িক বরখাস্ত থাকবেন। এরপর আরও ১৮ মাস দায়িত্ব পালন করে সেন্ট চার্লস কাউন্টি সার্কিট কোর্ট থেকে অবসর নেবেন।

মিজৌরি সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র বেথ রিগার্ট জানান, গত মাসে হওয়া এই সমঝোতা এখন আদালতের অনুমোদনের অপেক্ষায়। গত বৃহস্পতিবার আদালত থর্নহিলের পক্ষে জমা দেওয়া ৩৫টি চরিত্র সনদের চিঠি গ্রহণ করেছে। থর্নহিল নিজ ব্যাখ্যায় লিখেছেন, কখনো কখনো মামলার বাদী–বিবাদীদের স্বস্তি দিতে তিনি ‘কিছুটা হাস্যরস যোগ করতে’ চেয়েছিলেন। তবে তিনি এও স্বীকার করেছেন, এতে আদালতের মর্যাদা ও গাম্ভীর্য ক্ষুণ্ন হওয়ার ঝুঁকি ছিল।

কার অভিযোগের ভিত্তিতে এই তদন্ত শুরু হয়েছিল, তা জানা যায়নি। থর্নহিলের আইনজীবী নিল ব্রুনট্রাজার শুক্রবার অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের ফোনকলের তাৎক্ষণিক জবাব দেননি। অবসর ও শৃঙ্খলাবিষয়ক কমিশন থর্নহিলের ‍রাজনৈতিক মন্তব্যকেও ত্রুটি হিসেবে উল্লেখ করেছে। তবে প্রথমেই তাঁর ‘রক অ্যান্ড রোল কিং’ খ্যাত এলভিস প্রিসলির প্রতি ঝোঁকের প্রসঙ্গ আমলে নেওয়া হয়। মামলার নথিতে আদালতের ভেতরে বা স্টাফদের সঙ্গে প্লাস্টিকের এলভিস উইগ ও গাঢ় চশমা পরে তোলা থর্নহিলের বিভিন্ন ছবিও সংযুক্ত আছে।

কমিশনের তথ্যমতে, হ্যালোইনের সময় থর্নহিল প্রায়ই আদালতে এ উইগ পরে আসতেন এবং সাক্ষ্য দেওয়ার আগে শপথ নেওয়ার বিভিন্ন “স্টাইল” বেছে নেওয়ার সুযোগ দিতেন। তার এক বিকল্পে তিনি নিজের ফোন থেকে এলভিসের গান বাজিয়ে শপথ নিতেন। আদালতে প্রবেশের সময়ও তিনি কখনো এলভিসের গান বাজাতেন।

এ ছাড়া থর্নহিল মাঝে মাঝে এলভিসের গান, জন্মতারিখ বা মৃত্যুদিনের প্রসঙ্গ টেনে আনতেন, যদিও সেগুলোর সঙ্গে মামলার কোনো সম্পর্ক ছিল না। কমিশন জানায়, এ সব আচরণ আদালতের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা বজায় রাখার বিধি ভঙ্গ করেছে এবং বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা ক্ষুণ্ন করেছে। কত দিন ধরে এই আচরণ চলছিল তা উল্লেখ করা হয়নি।

থর্নহিল সেন্ট চার্লস কাউন্টির দীর্ঘতম মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা বিচারক। এর আগে তিনি সেখানকার সহকারী প্রসিকিউটর ছিলেন। আদালতের ওয়েবসাইটে দেওয়া জীবনীতে বলা আছে, তিনি ২০০৬ সালে অ্যাসোসিয়েট সার্কিট জজ এবং ২০২৪ সালে সার্কিট জজ হিসেবে নির্বাচিত হন। তাঁর প্রধান দায়িত্ব পারিবারিক আদালত। ২০০৮ সালে তাঁকে তিরস্কার করা হয়েছিল এবং ৭৫০ ডলার জরিমানা দিতে হয়েছিল এক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ধানের শীষের বাইরে কেউ নির্বাচন করলে কোনো কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে পারবে না: বিএনপি নেতা স্বপন

নির্বাচন কমিশন: সংলাপে না ডাকলেও ৭ দলের ভোটে বাধা দেখছে না ইসি

আজকের রাশিফল: প্রতিশোধের প্রবল ইচ্ছা জাগবে, আজ কিছু একটা হারাবেই

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৪৪ ভবন: ঝুঁকিতে হাজারো শিক্ষার্থীর জীবন

তিতুমীর কলেজে ছাত্রদল-শিবিরের সংঘর্ষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রস্তাবে ‘আরও কাজ’ চায় ইউরোপ, ট্রাম্প বলছেন—সুযোগ আছে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে নয়া প্রস্তাব হাজির করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে নয়া প্রস্তাব হাজির করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত শান্তি-পরিকল্পনা ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার আলোচনার ভিত্তি হতে পারে, তবে এতে ‘আরও বাড়তি কাজ’ প্রয়োজন। আজ রোববার এমনটাই জানিয়েছেন, পশ্চিমা বিশ্বের নেতারা। আগামী বৃহস্পতিবার এই প্রস্তাব নিয়ে জবাব দেওয়ার শেষ সময়। এর আগেই ইউক্রেনের জন্য আরও অনুকূল চুক্তি আদায়ের চেষ্টায় পশ্চিমা দেশগুলো এই অবস্থান নিয়েছে। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর এই প্রস্তাবই ‘চূড়ান্ত প্রস্তাব’ নয়। আরও আলোচনার সুযোগ আছে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক করেন ইউরোপীয় এবং অন্যান্য পশ্চিমা নেতারা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে বৃহস্পতিবারের আগেই ইউক্রেনকে তাঁর ২৮ দফা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে—এই চাপের প্রেক্ষাপটে তাঁরা সমন্বিত প্রতিক্রিয়া দিলেন।

শনিবার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ট্রাম্প জানান, তাঁর প্রস্তাব চূড়ান্ত নয়। অর্থাৎ, সংশোধনের সুযোগ রয়েছে। ইউক্রেন এবং তার ইউরোপীয় মিত্ররা বলছে, পরিকল্পনাটি আলোচনার ভিত্তি হতে পারে, কিন্তু এতে পরিবর্তন দরকার।

ইউরোপীয় এবং পশ্চিমা নেতারা একমত হয়েছেন—ফ্রান্স, ব্রিটেন ও জার্মানির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা আজ রোববার জেনেভায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও শনিবার রাতে জেনেভার পথে রওনা হন। কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ইতালিও একজন প্রতিনিধিকে পাঠাবে।

ওয়াশিংটনের প্রস্তাব রাশিয়ার কয়েকটি মূল দাবি সমর্থন করলেও তা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের কাছ থেকে সংযত সমালোচনা পেয়েছে। পশ্চিমা নেতারা ট্রাম্পের যুদ্ধ থামানোর প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন, আবার একই সঙ্গে স্বীকার করেছেন যে—তাঁর প্রস্তাবের কিছু শর্ত ইউক্রেনের জন্য অগ্রহণযোগ্য।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, ফিনল্যান্ড, ইতালি, জাপান ও নরওয়ের নেতারা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘২৮ দফা খসড়া পরিকল্পনায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আছে, যা ন্যায়সংগত ও টেকসই শান্তির জন্য অত্যাবশ্যক।’ তাঁরা আরও বলেন, ‘আমরা তাই মনে করি খসড়াটি আলোচনার ভিত্তি হতে পারে, যদিও এতে আরও কাজ দরকার।’

মার্কিন সিনেটের তিন সদস্য দাবি করেন, এই পরিকল্পনা রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিয়েছে। হ্যালিফ্যাক্সে এক সম্মেলনে রিপাবলিকান সিনেটর মাইক রাউন্ডস সাংবাদিকদের বলেন, রুবিও তাঁকে এবং অন্যদের ফোন করেছিলেন। মাইক রাউন্ডস বলেন, ‘তিনি (রুবিও) পরিষ্কার করে বলেছেন, আমাদের হাতে যে প্রস্তাব এসেছে তা আমাদের প্রতিনিধির কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এটি আমাদের পরামর্শ নয়, আমাদের পরিকল্পনাও নয়।’

পরে রুবিও এক্সে লিখেন, যুক্তরাষ্ট্রই এই পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করেছে। তিনি বলেন, ‘এতে রাশিয়ার মতামত রয়েছে, আবার ইউক্রেনের পূর্ববর্তী ও চলমান মতামতও প্রতিফলিত হয়েছে।’

এদিকে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বলেছেন, ‘অনেক বিষয় আছে, যা শুধুই যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। এর জন্য বৃহত্তর পরামর্শ প্রয়োজন।’ তিনি যোগ করেন, চুক্তিটি অবশ্যই ইউক্রেনের শান্তি এবং সমগ্র ইউরোপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন এখন মর্যাদা ও স্বাধীনতা হারানোর ঝুঁকি কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন হারানোর ঝুঁকির মধ্যে একটিকে বেছে নিতে বাধ্য। তিনি ইউক্রেনীয়দের ঐক্যের আহ্বান জানান। এই সংকেতই ইউরোপীয় নেতাদের আরও সক্রিয় করে তোলে।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ধানের শীষের বাইরে কেউ নির্বাচন করলে কোনো কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে পারবে না: বিএনপি নেতা স্বপন

নির্বাচন কমিশন: সংলাপে না ডাকলেও ৭ দলের ভোটে বাধা দেখছে না ইসি

আজকের রাশিফল: প্রতিশোধের প্রবল ইচ্ছা জাগবে, আজ কিছু একটা হারাবেই

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৪৪ ভবন: ঝুঁকিতে হাজারো শিক্ষার্থীর জীবন

তিতুমীর কলেজে ছাত্রদল-শিবিরের সংঘর্ষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রয়টার্সের প্রতিবেদন /ভেনেজুয়েলায় শিগগির নতুন ধাপের অভিযান শুরু করবে যুক্তরাষ্ট্র

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ৫৭
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় মাদুরো সরকারের পতন ঘটাতে চান। ছবি: এক্সিওসের সৌজন্যে
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় মাদুরো সরকারের পতন ঘটাতে চান। ছবি: এক্সিওসের সৌজন্যে

যুক্তরাষ্ট্র শিগগির ভেনেজুয়েলায় নতুন ধাপের অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটি জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চার মার্কিন কর্মকর্তা। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন এই উদ্যোগ নিচ্ছে।

রয়টার্স এই নতুন অভিযানের সুনির্দিষ্ট সময় বা পরিধি নিশ্চিত করতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না, সেটিও জানা যায়নি। ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর পর থেকে সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে জল্পনা আরও বেড়েছে।

দুই মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, মাদুরোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের প্রথম ধাপ হিসেবে গোপন অভিযানই সম্ভবত শুরু হবে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। শনিবার এক জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে পরিকল্পনায় ‘কোনো কিছুই বাদ দেওয়া হচ্ছে না’ বলে ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে মাদক ঢোকা ঠেকাতে এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমেরিকার শক্তির প্রতিটি উপাদান ব্যবহার করতে প্রস্তুত।’

ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে ভেনেজুয়েলাকে মাদুরোর নেতৃত্বে ওই সব অবৈধ মাদক সরবরাহে জড়িত বলে অভিযোগ করে আসছে, যা যুক্তরাষ্ট্রে বহু মানুষের প্রাণ নিয়েছে। মাদুরো অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। রয়টার্সকে দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, বিবেচনাধীন বিকল্পগুলোর মধ্যে মাদুরোকে হটানোর পরিকল্পনাও রয়েছে।

২০১৩ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা মাদুরো অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প তাঁকে উৎখাত করতে চান এবং ভেনেজুয়েলার জনগণ ও সামরিক বাহিনী এমন প্রচেষ্টা প্রতিহত করবে। ৬৩তম জন্মদিনের আগের রাতে শনিবার মাদুরো কারাকাসের প্রধান থিয়েটারে তাঁর জীবনভিত্তিক একটি টেলিভিশন সিরিজের প্রিমিয়ারে হাজির হন।

ক্যারিবীয় সাগরে কয়েক মাস ধরে সামরিক প্রস্তুতি চলছে। আর ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় সিআইএর গোপন অভিযানও অনুমোদন দিয়েছেন। শুক্রবার মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা নিয়ে ‘সম্ভাব্য বিপজ্জনক পরিস্থিতি’র সতর্কতা জারি করে প্রধান এয়ারলাইনসগুলোকে সাবধানতার সঙ্গে উড়তে নির্দেশ দেয়।

এফএএ সতর্কতার পর শনিবার তিনটি আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনস ভেনেজুয়েলা থেকে ছাড়ার নির্ধারিত ফ্লাইট বাতিল করেছে। মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, যুক্তরাষ্ট্র সোমবার ‘কার্টেল দে লস সোয়ালেস’কে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করার পরিকল্পনা করছে। অভিযোগ রয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ মাদক প্রবাহে জড়িত। ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করে এসেছে যে মাদুরো নিজেই এই কার্টেল পরিচালনা করেন, যা তিনি অস্বীকার করেন।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ গত সপ্তাহে বলেছেন, সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হলে ‘যুক্তরাষ্ট্রের হাতে ব্যাপক নতুন বিকল্প তৈরি হবে।’ ট্রাম্প বলেছেন, এই তকমা যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলায় মাদুরোর সম্পদ ও অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানোর সুযোগ দেবে। তবে কূটনৈতিক সমাধানের আশায় আলোচনায় বসার বিষয়েও তিনি আগ্রহ দেখিয়েছেন। দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কারাকাস ও ওয়াশিংটনের মধ্যে কথোপকথন চলছে। এসব আলোচনার ফলে অভিযানের সময় বা পরিধি বদলাবে কি না, তা নিশ্চিত নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর সবচেয়ে বড় এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার জেরাল্ড আর ফোর্ড ১৬ নভেম্বর ক্যারিবীয় সাগরে পৌঁছেছে স্ট্রাইক গ্রুপ নিয়ে। সেখানে ইতিমধ্যে সাতটির বেশি যুদ্ধজাহাজ, একটি পারমাণবিক সাবমেরিন ও এফ-৩৫ বিমান মোতায়েন রয়েছে।

এখন পর্যন্ত ওই অঞ্চলে মার্কিন বাহিনী মাদকবিরোধী অভিযানেই মনোযোগ দিয়েছে, যদিও মোতায়েন করা সামরিক শক্তি তার প্রয়োজনীয়তার তুলনায় অনেক বেশি। সেপ্টেম্বর থেকে ক্যারিবীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরে অন্তত ২১টি সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এতে অন্তত ৮৩ জন নিহত হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো এসব হামলাকে বেআইনি বিচারবহির্ভূত হত্যা বলে নিন্দা জানিয়েছে। কয়েকটি মার্কিন মিত্রদেশও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের আশঙ্কা করছে। গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র মাদুরোর গ্রেপ্তারে সহায়তার জন্য ঘোষিত পুরস্কার দ্বিগুণ বাড়িয়ে ৫ কোটি ডলার করেছে।

মার্কিন সামরিক বাহিনী ভেনেজুয়েলার বাহিনীর তুলনায় বিশাল। প্রশিক্ষণের অভাব, কম বেতন আর নষ্ট হয়ে যাওয়া সরঞ্জামের কারণে ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী বহুদিন ধরেই দুর্বল। কয়েকটি ইউনিটের কমান্ডারদের খাবারের স্বল্পতার কারণে স্থানীয় খাদ্য উৎপাদকদের সঙ্গে দর-কষাকষি করতে হয়েছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।

এই বাস্তবতা মাদুরো সরকারকে সম্ভাব্য মার্কিন আগ্রাসনের মুখে বিকল্প কৌশল ভাবতে বাধ্য করেছে। এর মধ্যে গেরিলা যুদ্ধধারা অবলম্বনের কথাও রয়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এটিকে ‘দীর্ঘায়িত প্রতিরোধ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই পরিকল্পনায় ছোট ছোট সামরিক ইউনিটকে ২৮০টির বেশি স্থানে ছড়িয়ে দিয়ে ধ্বংসাত্মক অভিযানসহ নানা গেরিলা কৌশল ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে, যা রয়টার্স আগের রিপোর্টে পরিকল্পনা নথি ও সূত্রের বরাতে জানিয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ধানের শীষের বাইরে কেউ নির্বাচন করলে কোনো কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে পারবে না: বিএনপি নেতা স্বপন

নির্বাচন কমিশন: সংলাপে না ডাকলেও ৭ দলের ভোটে বাধা দেখছে না ইসি

আজকের রাশিফল: প্রতিশোধের প্রবল ইচ্ছা জাগবে, আজ কিছু একটা হারাবেই

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৪৪ ভবন: ঝুঁকিতে হাজারো শিক্ষার্থীর জীবন

তিতুমীর কলেজে ছাত্রদল-শিবিরের সংঘর্ষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরও ২৪ জন নিহত, মার্কিন হস্তক্ষেপের আহ্বান হামাসের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ৫৩
যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও ইসরায়েল এখনো তা লঙ্ঘন করেই যাচ্ছে। ছবি: আনাদোলু
যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও ইসরায়েল এখনো তা লঙ্ঘন করেই যাচ্ছে। ছবি: আনাদোলু

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজাজুড়ে একের পর এক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ হামলায় অন্তত ২৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় ছয় সপ্তাহের পুরোনো যুদ্ধবিরতির এটাই সর্বশেষ লঙ্ঘন। ক্রমাগত এসব হামলার পরিপ্রেক্ষিতে হামাস যুক্তরাষ্ট্রকে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।

গাজা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গতকাল শনিবারের এসব হামলায় ২৪ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আরও ৮৭ জন আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথম হামলাটি হয় গাজা সিটির উত্তরে একটি গাড়ির ওপর। এরপরই মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এবং নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরে আরও হামলা হয়েছে।

গাজা সিটিতে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আল-শিফা হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রামি মুহান্না। হামলাটি নগরীর রিমাল এলাকায় ঘটে। দেইর আল-বালাহে একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় এক নারীসহ অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা খলিল আবু হাতাব বলেন, হামলার পর এক ভয়ানক বিস্ফোরণ অনুভব করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘বাইরে তাকাতেই দেখি পুরো এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে। চোখে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। আমি কান চেপে ধরে তাঁবুর অন্যদের দৌড়াতে বললাম।’

খলিল আবু হাতাব, ‘পরে আবার তাকিয়ে দেখি, আমার প্রতিবেশীর বাড়ির ওপরের তলা নেই। এই যুদ্ধবিরতি ভীষণ নড়বড়ে। এমন জীবনে টিকে থাকা যায় না। কোথাও নিরাপদ নয়।’

নুসেইরাতে যে হামলা হয়েছে, সেটিও একটি আবাসিক ভবনে আঘাত হানে। সাক্ষী আনাস আল-সালুল জানান, তিনি নিজ বাড়িতে বসে ছিলেন। হঠাৎ পাশের বাড়িতে একটি ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ে। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা আহতদের নিয়ে হাসপাতালে আসলাম। অনেক আহত আর নিহত ছিল। রাস্তাজুড়ে ধ্বংসাবশেষ।’

গাজা সরকারি জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে, ১০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি ইসরায়েল এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৯৭ বার লঙ্ঘন করেছে। এসব হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪২ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই শিশু, নারী ও বয়স্ক।

দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর এসব ধারাবাহিক ও পদ্ধতিগত লঙ্ঘন আমরা কঠোর ভাষায় নিন্দা জানাই। এসব কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির সঙ্গে যুক্ত মানবিক প্রটোকলের স্পষ্ট লঙ্ঘন।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘শনিবার এক দিনেই ২৭টি লঙ্ঘনের ঘটনায় ২৪ জন শহীদ হয়েছেন এবং ৮৭ জন আহত হয়েছেন।’

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানিয়েছে, ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এক হামাস যোদ্ধা ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলা চালানোর পর এসব আক্রমণ শুরু হয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এর জবাবে ইসরায়েল পাঁচজন শীর্ষ হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে।’

নিহত যোদ্ধাদের বিষয়ে হামাস তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। হামাস অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল ভিত্তিহীন অজুহাতে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে। তারা মধ্যস্থতাকারী যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারকে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে।

তাদের আরও অভিযোগ, ইসরায়েল গাজার ভেতরে হলুদ রেখার পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে, যেখানে ইসরায়েলি সেনারা অবস্থান করছে। এভাবে তারা চুক্তিতে নির্ধারিত সীমারেখা বদলাচ্ছে। এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী জানায়, ‘আমরা মধ্যস্থতাকারীদের জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানাই এবং এসব লঙ্ঘন অবিলম্বে বন্ধে চাপ প্রয়োগের দাবি জানাই। আমরা আরও দাবি করি, যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন যেন তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে, (ইসরায়েলকে) তার দায়বদ্ধতা বাস্তবায়নে বাধ্য করে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি দুর্বল করার এই অপচেষ্টার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।’

হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ইজ্জাত আল-রিশক কুদস নিউজ নেটওয়ার্ককে বলেন, ‘ইসরায়েল চুক্তি এড়িয়ে যেতে এবং ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে ফিরে যেতে অজুহাত গড়ছে। অথচ প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এই চুক্তি লঙ্ঘন করছে তারাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ধানের শীষের বাইরে কেউ নির্বাচন করলে কোনো কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে পারবে না: বিএনপি নেতা স্বপন

নির্বাচন কমিশন: সংলাপে না ডাকলেও ৭ দলের ভোটে বাধা দেখছে না ইসি

আজকের রাশিফল: প্রতিশোধের প্রবল ইচ্ছা জাগবে, আজ কিছু একটা হারাবেই

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৪৪ ভবন: ঝুঁকিতে হাজারো শিক্ষার্থীর জীবন

তিতুমীর কলেজে ছাত্রদল-শিবিরের সংঘর্ষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত