
প্রতিদিন অন্তত দুইবার দাঁত ব্রাশ করার পাশাপাশি জিহ্বা পরিষ্কার রাখাও মুখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক দেশেই বিভিন্ন টুল দিয়ে জিহ্বা পরিষ্কার করার প্রচলন রয়েছে। এই অভ্যাস গড়ে তুললে মুখের দুর্গন্ধও দূর হবে। বিজ্ঞানীরা এর গুরুত্ব বিভিন্ন গবেষণাপত্রে তুলে ধরেছেন।
জিহ্বা পরিষ্কারের প্রয়োজনীয়তা কী
জিহ্বা নিয়মিত পরিষ্কার না করলে এর ওপর ময়লা জমে যায় এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার আধিক্য দেখা দেয়। এসব ব্যাকটেরিয়া মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে।
সুস্থ মানুষের মুখে সাধারণত ৭০০ বা বেশি প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব প্লাইমাউথের ডেন্টাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জো ব্রুকস বলেন, মুখের স্বাস্থ্য খারাপ হলে ও জিহ্বায় ব্যাকটেরিয়ার পাতলা স্তর তৈরি হলে ব্যাকটেরিয়া প্রজাতির বৈচিত্র্য কমে যায়। সেখানে অ্যানারোবিক প্রজাতির (যেসব জীবাণু অক্সিজেন ছাড়াই বাঁচে) জীবাণু আধিপত্য বিস্তার করতে পারে।
অ্যানেরোবিক ব্যাকটেরিয়া জিহ্বার পেছনের খাঁজগুলোতে জমতে থাকে। এরা খাবার ও লালার প্রোটিনগুলো ভেঙে ফেলে সালফারযুক্ত উপাদান তৈরি করে। এই সালফারযুক্ত উপাদানই মুখের দুর্গন্ধের জন্য দায়ী।
ব্রুকস বলেন, জিহ্বার ওপর জমে যাওয়া আবরণটি যত পুরোনো হবে, এতে তত বেশি অ্যানেরোবিক ব্যাকটেরিয়া থাকবে। ফলে মুখের দুর্গন্ধ আরও তীব্র হবে।

এই সমস্যা এড়াতে ব্রুকস টাং ক্র্যাপার বা জিহ্বা ঘষামাজার টুল ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। এগুলো জিহ্বা থেকে জীবাণুর আবরণটি চেঁচে ফেলে। ফলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
যদিও জিহ্বা ঘষা মাজা বা স্ক্র্যাপ করা মানুষের প্রায় শতাব্দী পুরোনো চর্চা। তবে কিছু সংস্কৃতি অন্যদের তুলনায় এটি নিয়ে বেশি উৎসাহী।
মানুষের মুখের দুর্গন্ধ আর রসুন, পেঁয়াজ বা অন্যান্য ঝাঁজালো গন্ধযুক্ত খাবারের কারণে সৃষ্ট মুখের গন্ধ এক নয়। মুখের দুর্গন্ধ সহজে দূর করা যায় না। এটি হয় মুখের ব্যাকটেরিয়ার কারণেই। কিছু মানুষের মুখে এসব ব্যাকটেরিয়া স্বাভাবিকভাবেই বেশি থাকে আবার কিছু মানুষের কম থাকে।
ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট অব ইংল্যান্ডের বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক সালিহা সাদ মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি বলেন, মুখে দুর্গন্ধ হওয়া কোনো জিনগত ব্যাপার কি না তা আমরা এখনো জানি না। তবে এর কোনো স্থায়ী প্রতিকার নেই। আর এই সমস্যা সমাধানের উপায় হলো—ব্রাশ, ফ্লস (একটি বিশেষ সুতার মাধ্যমে দাঁতের ফাঁকের ময়লা পরিষ্কার করা) ও জিহ্বা পরিষ্কারের মাধ্যমে মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখা।
মুখে দুর্গন্ধ না থাকলেও কৌশলগুলো অবলম্বন করা উচিত। বৃদ্ধ বয়সে প্রত্যেকের মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কারণ এ সময় শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতার কারণে সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যের দিকে ততটা নজর দিতে পারেন না।
এক গবেষণায় সাদ দেখতে পান, যেসব মানুষের মুখে দুর্গন্ধ থাকে তাঁরা যদি একবার ব্রাশ করেন ও জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার করেন, তাহলে তাঁদের মুখ ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত দুর্গন্ধমুক্ত থাকে।
জিহ্বা পরিষ্কার রাখার সঠিক উপায়
বিশেষজ্ঞদের মতে, ধাতব বা প্লাস্টিক স্ক্র্যাপার থেকে শুরু করে সিলিকন ব্রাশ ব্যবহার করে জিহ্বা পরিষ্কার করা যায়। অনেক টুথব্রাশের মাথার পেছনের দিকে থাকা খাঁজযুক্ত অংশ দিয়েও জিহ্বা পরিষ্কার করা যায়।
জিহ্বায় ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া কমাতে কোনটি বেশি কার্যকর তা জানতে ২০২২ সালের এক গবেষণায় স্ক্র্যাপারকে টুথব্রাশের সঙ্গে তুলনা করা হয়। এই পরীক্ষায় দেখা যায়, দুটি টুলই (ব্রাশ ও স্ক্র্যাপার) জিহ্বা পরিষ্কার করতে বেশ ভালোভাবে কাজ করে।
সাদ বলেন, যে পদ্ধতি আপনার জন্য সুবিধাজনক আপনি সেটিই ব্যবহার করতে পারেন। তবে শক্ত বা ধারালো টুলের চেয়ে নরম ব্রাশ বা স্ক্র্যাপার ব্যবহার করা ভালো।
যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে
জিহ্বা পরিষ্কারের সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। সাদ এ সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন, জিহ্বা খুব জোরে ঘষে পরিষ্কার করা যাবে না। এতে টুলটি জিহ্বার ক্ষতি করতে পারে। জিহ্বা কেটে গিয়ে রক্ত বের হতে পারে কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে সংক্রমণ হতে পারে।
কিছু গবেষক মনে করেন, জিহ্বার ত্বকে বারবার আঘাত থেকে মুখের ক্যানসারও হতে পারে। এক গবেষণায় জানা যায়, জিহ্বার মাইক্রোবায়োম (উপকারী অণুজীব) নষ্ট করলে এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এমন ব্যাকটেরিয়াও মেরে ফেলতে পারে। এসব ব্যাকটেরিয়া সবুজ শাকসবজি থেকে প্রাপ্ত নাইট্রোজেন উপাদানকে নাইট্রিক অক্সাইডে পরিণত করে। আর এই নাইট্রিক অক্সাইড ভাসোডিলেটর হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ এটি রক্তনালির জট খুলে দিতে সাহায্য করে।
আবার ব্রুকের গবেষণা বলছে, চিকিৎসকের পরামর্শে যেসব মাউথওয়াস ব্যবহার করা হয় তা জিহ্বার মাইক্রোবায়োমের ভারসাম্য বজায় রাখে। আর জিহ্বা পরিষ্কারের সঙ্গে রক্তচাপ ওতপ্রোতভাবে জড়িত—এমনটি ভাবা হয়তো পুরোপুরি সঠিক নয়। তবে স্বাস্থ্য সম্পর্কে যে কোনো সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ঝুঁকি ও সুবিধাগুলো বিবেচনা করতে হবে। তাই যদি কারও মুখের দুর্গন্ধ সামাজিক জীবনে প্রভাব ফেলে তাহলে নিয়মিত আলতোভাবে জিহ্বা পরিষ্কার করা খুবই জরুরি।
তথ্যসূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস

প্রতিদিন অন্তত দুইবার দাঁত ব্রাশ করার পাশাপাশি জিহ্বা পরিষ্কার রাখাও মুখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক দেশেই বিভিন্ন টুল দিয়ে জিহ্বা পরিষ্কার করার প্রচলন রয়েছে। এই অভ্যাস গড়ে তুললে মুখের দুর্গন্ধও দূর হবে। বিজ্ঞানীরা এর গুরুত্ব বিভিন্ন গবেষণাপত্রে তুলে ধরেছেন।
জিহ্বা পরিষ্কারের প্রয়োজনীয়তা কী
জিহ্বা নিয়মিত পরিষ্কার না করলে এর ওপর ময়লা জমে যায় এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার আধিক্য দেখা দেয়। এসব ব্যাকটেরিয়া মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে।
সুস্থ মানুষের মুখে সাধারণত ৭০০ বা বেশি প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব প্লাইমাউথের ডেন্টাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জো ব্রুকস বলেন, মুখের স্বাস্থ্য খারাপ হলে ও জিহ্বায় ব্যাকটেরিয়ার পাতলা স্তর তৈরি হলে ব্যাকটেরিয়া প্রজাতির বৈচিত্র্য কমে যায়। সেখানে অ্যানারোবিক প্রজাতির (যেসব জীবাণু অক্সিজেন ছাড়াই বাঁচে) জীবাণু আধিপত্য বিস্তার করতে পারে।
অ্যানেরোবিক ব্যাকটেরিয়া জিহ্বার পেছনের খাঁজগুলোতে জমতে থাকে। এরা খাবার ও লালার প্রোটিনগুলো ভেঙে ফেলে সালফারযুক্ত উপাদান তৈরি করে। এই সালফারযুক্ত উপাদানই মুখের দুর্গন্ধের জন্য দায়ী।
ব্রুকস বলেন, জিহ্বার ওপর জমে যাওয়া আবরণটি যত পুরোনো হবে, এতে তত বেশি অ্যানেরোবিক ব্যাকটেরিয়া থাকবে। ফলে মুখের দুর্গন্ধ আরও তীব্র হবে।

এই সমস্যা এড়াতে ব্রুকস টাং ক্র্যাপার বা জিহ্বা ঘষামাজার টুল ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। এগুলো জিহ্বা থেকে জীবাণুর আবরণটি চেঁচে ফেলে। ফলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
যদিও জিহ্বা ঘষা মাজা বা স্ক্র্যাপ করা মানুষের প্রায় শতাব্দী পুরোনো চর্চা। তবে কিছু সংস্কৃতি অন্যদের তুলনায় এটি নিয়ে বেশি উৎসাহী।
মানুষের মুখের দুর্গন্ধ আর রসুন, পেঁয়াজ বা অন্যান্য ঝাঁজালো গন্ধযুক্ত খাবারের কারণে সৃষ্ট মুখের গন্ধ এক নয়। মুখের দুর্গন্ধ সহজে দূর করা যায় না। এটি হয় মুখের ব্যাকটেরিয়ার কারণেই। কিছু মানুষের মুখে এসব ব্যাকটেরিয়া স্বাভাবিকভাবেই বেশি থাকে আবার কিছু মানুষের কম থাকে।
ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট অব ইংল্যান্ডের বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক সালিহা সাদ মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি বলেন, মুখে দুর্গন্ধ হওয়া কোনো জিনগত ব্যাপার কি না তা আমরা এখনো জানি না। তবে এর কোনো স্থায়ী প্রতিকার নেই। আর এই সমস্যা সমাধানের উপায় হলো—ব্রাশ, ফ্লস (একটি বিশেষ সুতার মাধ্যমে দাঁতের ফাঁকের ময়লা পরিষ্কার করা) ও জিহ্বা পরিষ্কারের মাধ্যমে মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখা।
মুখে দুর্গন্ধ না থাকলেও কৌশলগুলো অবলম্বন করা উচিত। বৃদ্ধ বয়সে প্রত্যেকের মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কারণ এ সময় শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতার কারণে সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যের দিকে ততটা নজর দিতে পারেন না।
এক গবেষণায় সাদ দেখতে পান, যেসব মানুষের মুখে দুর্গন্ধ থাকে তাঁরা যদি একবার ব্রাশ করেন ও জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার করেন, তাহলে তাঁদের মুখ ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত দুর্গন্ধমুক্ত থাকে।
জিহ্বা পরিষ্কার রাখার সঠিক উপায়
বিশেষজ্ঞদের মতে, ধাতব বা প্লাস্টিক স্ক্র্যাপার থেকে শুরু করে সিলিকন ব্রাশ ব্যবহার করে জিহ্বা পরিষ্কার করা যায়। অনেক টুথব্রাশের মাথার পেছনের দিকে থাকা খাঁজযুক্ত অংশ দিয়েও জিহ্বা পরিষ্কার করা যায়।
জিহ্বায় ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া কমাতে কোনটি বেশি কার্যকর তা জানতে ২০২২ সালের এক গবেষণায় স্ক্র্যাপারকে টুথব্রাশের সঙ্গে তুলনা করা হয়। এই পরীক্ষায় দেখা যায়, দুটি টুলই (ব্রাশ ও স্ক্র্যাপার) জিহ্বা পরিষ্কার করতে বেশ ভালোভাবে কাজ করে।
সাদ বলেন, যে পদ্ধতি আপনার জন্য সুবিধাজনক আপনি সেটিই ব্যবহার করতে পারেন। তবে শক্ত বা ধারালো টুলের চেয়ে নরম ব্রাশ বা স্ক্র্যাপার ব্যবহার করা ভালো।
যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে
জিহ্বা পরিষ্কারের সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। সাদ এ সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন, জিহ্বা খুব জোরে ঘষে পরিষ্কার করা যাবে না। এতে টুলটি জিহ্বার ক্ষতি করতে পারে। জিহ্বা কেটে গিয়ে রক্ত বের হতে পারে কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে সংক্রমণ হতে পারে।
কিছু গবেষক মনে করেন, জিহ্বার ত্বকে বারবার আঘাত থেকে মুখের ক্যানসারও হতে পারে। এক গবেষণায় জানা যায়, জিহ্বার মাইক্রোবায়োম (উপকারী অণুজীব) নষ্ট করলে এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এমন ব্যাকটেরিয়াও মেরে ফেলতে পারে। এসব ব্যাকটেরিয়া সবুজ শাকসবজি থেকে প্রাপ্ত নাইট্রোজেন উপাদানকে নাইট্রিক অক্সাইডে পরিণত করে। আর এই নাইট্রিক অক্সাইড ভাসোডিলেটর হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ এটি রক্তনালির জট খুলে দিতে সাহায্য করে।
আবার ব্রুকের গবেষণা বলছে, চিকিৎসকের পরামর্শে যেসব মাউথওয়াস ব্যবহার করা হয় তা জিহ্বার মাইক্রোবায়োমের ভারসাম্য বজায় রাখে। আর জিহ্বা পরিষ্কারের সঙ্গে রক্তচাপ ওতপ্রোতভাবে জড়িত—এমনটি ভাবা হয়তো পুরোপুরি সঠিক নয়। তবে স্বাস্থ্য সম্পর্কে যে কোনো সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ঝুঁকি ও সুবিধাগুলো বিবেচনা করতে হবে। তাই যদি কারও মুখের দুর্গন্ধ সামাজিক জীবনে প্রভাব ফেলে তাহলে নিয়মিত আলতোভাবে জিহ্বা পরিষ্কার করা খুবই জরুরি।
তথ্যসূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস

প্রতিদিন অন্তত দুইবার দাঁত ব্রাশ করার পাশাপাশি জিহ্বা পরিষ্কার রাখাও মুখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক দেশেই বিভিন্ন টুল দিয়ে জিহ্বা পরিষ্কার করার প্রচলন রয়েছে। এই অভ্যাস গড়ে তুললে মুখের দুর্গন্ধও দূর হবে। বিজ্ঞানীরা এর গুরুত্ব বিভিন্ন গবেষণাপত্রে তুলে ধরেছেন।
জিহ্বা পরিষ্কারের প্রয়োজনীয়তা কী
জিহ্বা নিয়মিত পরিষ্কার না করলে এর ওপর ময়লা জমে যায় এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার আধিক্য দেখা দেয়। এসব ব্যাকটেরিয়া মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে।
সুস্থ মানুষের মুখে সাধারণত ৭০০ বা বেশি প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব প্লাইমাউথের ডেন্টাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জো ব্রুকস বলেন, মুখের স্বাস্থ্য খারাপ হলে ও জিহ্বায় ব্যাকটেরিয়ার পাতলা স্তর তৈরি হলে ব্যাকটেরিয়া প্রজাতির বৈচিত্র্য কমে যায়। সেখানে অ্যানারোবিক প্রজাতির (যেসব জীবাণু অক্সিজেন ছাড়াই বাঁচে) জীবাণু আধিপত্য বিস্তার করতে পারে।
অ্যানেরোবিক ব্যাকটেরিয়া জিহ্বার পেছনের খাঁজগুলোতে জমতে থাকে। এরা খাবার ও লালার প্রোটিনগুলো ভেঙে ফেলে সালফারযুক্ত উপাদান তৈরি করে। এই সালফারযুক্ত উপাদানই মুখের দুর্গন্ধের জন্য দায়ী।
ব্রুকস বলেন, জিহ্বার ওপর জমে যাওয়া আবরণটি যত পুরোনো হবে, এতে তত বেশি অ্যানেরোবিক ব্যাকটেরিয়া থাকবে। ফলে মুখের দুর্গন্ধ আরও তীব্র হবে।

এই সমস্যা এড়াতে ব্রুকস টাং ক্র্যাপার বা জিহ্বা ঘষামাজার টুল ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। এগুলো জিহ্বা থেকে জীবাণুর আবরণটি চেঁচে ফেলে। ফলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
যদিও জিহ্বা ঘষা মাজা বা স্ক্র্যাপ করা মানুষের প্রায় শতাব্দী পুরোনো চর্চা। তবে কিছু সংস্কৃতি অন্যদের তুলনায় এটি নিয়ে বেশি উৎসাহী।
মানুষের মুখের দুর্গন্ধ আর রসুন, পেঁয়াজ বা অন্যান্য ঝাঁজালো গন্ধযুক্ত খাবারের কারণে সৃষ্ট মুখের গন্ধ এক নয়। মুখের দুর্গন্ধ সহজে দূর করা যায় না। এটি হয় মুখের ব্যাকটেরিয়ার কারণেই। কিছু মানুষের মুখে এসব ব্যাকটেরিয়া স্বাভাবিকভাবেই বেশি থাকে আবার কিছু মানুষের কম থাকে।
ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট অব ইংল্যান্ডের বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক সালিহা সাদ মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি বলেন, মুখে দুর্গন্ধ হওয়া কোনো জিনগত ব্যাপার কি না তা আমরা এখনো জানি না। তবে এর কোনো স্থায়ী প্রতিকার নেই। আর এই সমস্যা সমাধানের উপায় হলো—ব্রাশ, ফ্লস (একটি বিশেষ সুতার মাধ্যমে দাঁতের ফাঁকের ময়লা পরিষ্কার করা) ও জিহ্বা পরিষ্কারের মাধ্যমে মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখা।
মুখে দুর্গন্ধ না থাকলেও কৌশলগুলো অবলম্বন করা উচিত। বৃদ্ধ বয়সে প্রত্যেকের মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কারণ এ সময় শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতার কারণে সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যের দিকে ততটা নজর দিতে পারেন না।
এক গবেষণায় সাদ দেখতে পান, যেসব মানুষের মুখে দুর্গন্ধ থাকে তাঁরা যদি একবার ব্রাশ করেন ও জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার করেন, তাহলে তাঁদের মুখ ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত দুর্গন্ধমুক্ত থাকে।
জিহ্বা পরিষ্কার রাখার সঠিক উপায়
বিশেষজ্ঞদের মতে, ধাতব বা প্লাস্টিক স্ক্র্যাপার থেকে শুরু করে সিলিকন ব্রাশ ব্যবহার করে জিহ্বা পরিষ্কার করা যায়। অনেক টুথব্রাশের মাথার পেছনের দিকে থাকা খাঁজযুক্ত অংশ দিয়েও জিহ্বা পরিষ্কার করা যায়।
জিহ্বায় ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া কমাতে কোনটি বেশি কার্যকর তা জানতে ২০২২ সালের এক গবেষণায় স্ক্র্যাপারকে টুথব্রাশের সঙ্গে তুলনা করা হয়। এই পরীক্ষায় দেখা যায়, দুটি টুলই (ব্রাশ ও স্ক্র্যাপার) জিহ্বা পরিষ্কার করতে বেশ ভালোভাবে কাজ করে।
সাদ বলেন, যে পদ্ধতি আপনার জন্য সুবিধাজনক আপনি সেটিই ব্যবহার করতে পারেন। তবে শক্ত বা ধারালো টুলের চেয়ে নরম ব্রাশ বা স্ক্র্যাপার ব্যবহার করা ভালো।
যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে
জিহ্বা পরিষ্কারের সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। সাদ এ সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন, জিহ্বা খুব জোরে ঘষে পরিষ্কার করা যাবে না। এতে টুলটি জিহ্বার ক্ষতি করতে পারে। জিহ্বা কেটে গিয়ে রক্ত বের হতে পারে কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে সংক্রমণ হতে পারে।
কিছু গবেষক মনে করেন, জিহ্বার ত্বকে বারবার আঘাত থেকে মুখের ক্যানসারও হতে পারে। এক গবেষণায় জানা যায়, জিহ্বার মাইক্রোবায়োম (উপকারী অণুজীব) নষ্ট করলে এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এমন ব্যাকটেরিয়াও মেরে ফেলতে পারে। এসব ব্যাকটেরিয়া সবুজ শাকসবজি থেকে প্রাপ্ত নাইট্রোজেন উপাদানকে নাইট্রিক অক্সাইডে পরিণত করে। আর এই নাইট্রিক অক্সাইড ভাসোডিলেটর হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ এটি রক্তনালির জট খুলে দিতে সাহায্য করে।
আবার ব্রুকের গবেষণা বলছে, চিকিৎসকের পরামর্শে যেসব মাউথওয়াস ব্যবহার করা হয় তা জিহ্বার মাইক্রোবায়োমের ভারসাম্য বজায় রাখে। আর জিহ্বা পরিষ্কারের সঙ্গে রক্তচাপ ওতপ্রোতভাবে জড়িত—এমনটি ভাবা হয়তো পুরোপুরি সঠিক নয়। তবে স্বাস্থ্য সম্পর্কে যে কোনো সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ঝুঁকি ও সুবিধাগুলো বিবেচনা করতে হবে। তাই যদি কারও মুখের দুর্গন্ধ সামাজিক জীবনে প্রভাব ফেলে তাহলে নিয়মিত আলতোভাবে জিহ্বা পরিষ্কার করা খুবই জরুরি।
তথ্যসূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস

প্রতিদিন অন্তত দুইবার দাঁত ব্রাশ করার পাশাপাশি জিহ্বা পরিষ্কার রাখাও মুখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক দেশেই বিভিন্ন টুল দিয়ে জিহ্বা পরিষ্কার করার প্রচলন রয়েছে। এই অভ্যাস গড়ে তুললে মুখের দুর্গন্ধও দূর হবে। বিজ্ঞানীরা এর গুরুত্ব বিভিন্ন গবেষণাপত্রে তুলে ধরেছেন।
জিহ্বা পরিষ্কারের প্রয়োজনীয়তা কী
জিহ্বা নিয়মিত পরিষ্কার না করলে এর ওপর ময়লা জমে যায় এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার আধিক্য দেখা দেয়। এসব ব্যাকটেরিয়া মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে।
সুস্থ মানুষের মুখে সাধারণত ৭০০ বা বেশি প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব প্লাইমাউথের ডেন্টাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জো ব্রুকস বলেন, মুখের স্বাস্থ্য খারাপ হলে ও জিহ্বায় ব্যাকটেরিয়ার পাতলা স্তর তৈরি হলে ব্যাকটেরিয়া প্রজাতির বৈচিত্র্য কমে যায়। সেখানে অ্যানারোবিক প্রজাতির (যেসব জীবাণু অক্সিজেন ছাড়াই বাঁচে) জীবাণু আধিপত্য বিস্তার করতে পারে।
অ্যানেরোবিক ব্যাকটেরিয়া জিহ্বার পেছনের খাঁজগুলোতে জমতে থাকে। এরা খাবার ও লালার প্রোটিনগুলো ভেঙে ফেলে সালফারযুক্ত উপাদান তৈরি করে। এই সালফারযুক্ত উপাদানই মুখের দুর্গন্ধের জন্য দায়ী।
ব্রুকস বলেন, জিহ্বার ওপর জমে যাওয়া আবরণটি যত পুরোনো হবে, এতে তত বেশি অ্যানেরোবিক ব্যাকটেরিয়া থাকবে। ফলে মুখের দুর্গন্ধ আরও তীব্র হবে।

এই সমস্যা এড়াতে ব্রুকস টাং ক্র্যাপার বা জিহ্বা ঘষামাজার টুল ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। এগুলো জিহ্বা থেকে জীবাণুর আবরণটি চেঁচে ফেলে। ফলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
যদিও জিহ্বা ঘষা মাজা বা স্ক্র্যাপ করা মানুষের প্রায় শতাব্দী পুরোনো চর্চা। তবে কিছু সংস্কৃতি অন্যদের তুলনায় এটি নিয়ে বেশি উৎসাহী।
মানুষের মুখের দুর্গন্ধ আর রসুন, পেঁয়াজ বা অন্যান্য ঝাঁজালো গন্ধযুক্ত খাবারের কারণে সৃষ্ট মুখের গন্ধ এক নয়। মুখের দুর্গন্ধ সহজে দূর করা যায় না। এটি হয় মুখের ব্যাকটেরিয়ার কারণেই। কিছু মানুষের মুখে এসব ব্যাকটেরিয়া স্বাভাবিকভাবেই বেশি থাকে আবার কিছু মানুষের কম থাকে।
ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট অব ইংল্যান্ডের বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক সালিহা সাদ মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি বলেন, মুখে দুর্গন্ধ হওয়া কোনো জিনগত ব্যাপার কি না তা আমরা এখনো জানি না। তবে এর কোনো স্থায়ী প্রতিকার নেই। আর এই সমস্যা সমাধানের উপায় হলো—ব্রাশ, ফ্লস (একটি বিশেষ সুতার মাধ্যমে দাঁতের ফাঁকের ময়লা পরিষ্কার করা) ও জিহ্বা পরিষ্কারের মাধ্যমে মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখা।
মুখে দুর্গন্ধ না থাকলেও কৌশলগুলো অবলম্বন করা উচিত। বৃদ্ধ বয়সে প্রত্যেকের মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কারণ এ সময় শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতার কারণে সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যের দিকে ততটা নজর দিতে পারেন না।
এক গবেষণায় সাদ দেখতে পান, যেসব মানুষের মুখে দুর্গন্ধ থাকে তাঁরা যদি একবার ব্রাশ করেন ও জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার করেন, তাহলে তাঁদের মুখ ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত দুর্গন্ধমুক্ত থাকে।
জিহ্বা পরিষ্কার রাখার সঠিক উপায়
বিশেষজ্ঞদের মতে, ধাতব বা প্লাস্টিক স্ক্র্যাপার থেকে শুরু করে সিলিকন ব্রাশ ব্যবহার করে জিহ্বা পরিষ্কার করা যায়। অনেক টুথব্রাশের মাথার পেছনের দিকে থাকা খাঁজযুক্ত অংশ দিয়েও জিহ্বা পরিষ্কার করা যায়।
জিহ্বায় ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া কমাতে কোনটি বেশি কার্যকর তা জানতে ২০২২ সালের এক গবেষণায় স্ক্র্যাপারকে টুথব্রাশের সঙ্গে তুলনা করা হয়। এই পরীক্ষায় দেখা যায়, দুটি টুলই (ব্রাশ ও স্ক্র্যাপার) জিহ্বা পরিষ্কার করতে বেশ ভালোভাবে কাজ করে।
সাদ বলেন, যে পদ্ধতি আপনার জন্য সুবিধাজনক আপনি সেটিই ব্যবহার করতে পারেন। তবে শক্ত বা ধারালো টুলের চেয়ে নরম ব্রাশ বা স্ক্র্যাপার ব্যবহার করা ভালো।
যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে
জিহ্বা পরিষ্কারের সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। সাদ এ সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন, জিহ্বা খুব জোরে ঘষে পরিষ্কার করা যাবে না। এতে টুলটি জিহ্বার ক্ষতি করতে পারে। জিহ্বা কেটে গিয়ে রক্ত বের হতে পারে কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে সংক্রমণ হতে পারে।
কিছু গবেষক মনে করেন, জিহ্বার ত্বকে বারবার আঘাত থেকে মুখের ক্যানসারও হতে পারে। এক গবেষণায় জানা যায়, জিহ্বার মাইক্রোবায়োম (উপকারী অণুজীব) নষ্ট করলে এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এমন ব্যাকটেরিয়াও মেরে ফেলতে পারে। এসব ব্যাকটেরিয়া সবুজ শাকসবজি থেকে প্রাপ্ত নাইট্রোজেন উপাদানকে নাইট্রিক অক্সাইডে পরিণত করে। আর এই নাইট্রিক অক্সাইড ভাসোডিলেটর হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ এটি রক্তনালির জট খুলে দিতে সাহায্য করে।
আবার ব্রুকের গবেষণা বলছে, চিকিৎসকের পরামর্শে যেসব মাউথওয়াস ব্যবহার করা হয় তা জিহ্বার মাইক্রোবায়োমের ভারসাম্য বজায় রাখে। আর জিহ্বা পরিষ্কারের সঙ্গে রক্তচাপ ওতপ্রোতভাবে জড়িত—এমনটি ভাবা হয়তো পুরোপুরি সঠিক নয়। তবে স্বাস্থ্য সম্পর্কে যে কোনো সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ঝুঁকি ও সুবিধাগুলো বিবেচনা করতে হবে। তাই যদি কারও মুখের দুর্গন্ধ সামাজিক জীবনে প্রভাব ফেলে তাহলে নিয়মিত আলতোভাবে জিহ্বা পরিষ্কার করা খুবই জরুরি।
তথ্যসূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৫ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
২ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ফলাফল স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর প্রকাশ করে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষায় পাস করা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৬৪২ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ১২৮ জন এবং নারী পরীক্ষার্থী ৫০ হাজার ৫১৪ জন। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ হতে নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৬৪৫ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, আটটি মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটসমূহের ৫ হাজার ৬৪৫টি আসনের জন্য নির্বাচিত নারী পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৬০৩ জন ও পুরুষ পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৪২ জন।
গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৫ হাজার ৬৪৫টি; যার মধ্যে এমবিবিএসের ৫ হাজার ১০০ ও বিডিএসের ৫৪৫টি।
বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৭ হাজার ৩৬১টি; যার মধ্যে এমবিসিএসের ৬ হাজার ১ ও বিডিএসের ১ হাজার ৩৬০টি। মোট ১৩ হাজার ৬টি আসনের বিপরীতে এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ফলাফল স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর প্রকাশ করে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষায় পাস করা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৬৪২ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ১২৮ জন এবং নারী পরীক্ষার্থী ৫০ হাজার ৫১৪ জন। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ হতে নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৬৪৫ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, আটটি মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটসমূহের ৫ হাজার ৬৪৫টি আসনের জন্য নির্বাচিত নারী পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৬০৩ জন ও পুরুষ পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৪২ জন।
গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৫ হাজার ৬৪৫টি; যার মধ্যে এমবিবিএসের ৫ হাজার ১০০ ও বিডিএসের ৫৪৫টি।
বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৭ হাজার ৩৬১টি; যার মধ্যে এমবিসিএসের ৬ হাজার ১ ও বিডিএসের ১ হাজার ৩৬০টি। মোট ১৩ হাজার ৬টি আসনের বিপরীতে এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।

প্রতিদিন অন্তত দুইবার দাঁত ব্রাশ করার পাশাপাশি জিহ্বা পরিষ্কার রাখাও মুখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক দেশেই বিভিন্ন টুল দিয়ে জিহ্বা পরিষ্কার করার প্রচলন রয়েছে। এই অভ্যাস গড়ে তুললে মুখের দুর্গন্ধও দূর হবে। বিজ্ঞানীরা এর গুরুত্ব বিভিন্ন গবেষণাপত্রে তুলে ধরেছেন।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
২ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
২ দিন আগেমো. ইকবাল হোসেন

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

প্রতিদিন অন্তত দুইবার দাঁত ব্রাশ করার পাশাপাশি জিহ্বা পরিষ্কার রাখাও মুখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক দেশেই বিভিন্ন টুল দিয়ে জিহ্বা পরিষ্কার করার প্রচলন রয়েছে। এই অভ্যাস গড়ে তুললে মুখের দুর্গন্ধও দূর হবে। বিজ্ঞানীরা এর গুরুত্ব বিভিন্ন গবেষণাপত্রে তুলে ধরেছেন।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৫ ঘণ্টা আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
২ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
২ দিন আগেডা. অবন্তি ঘোষ

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

প্রতিদিন অন্তত দুইবার দাঁত ব্রাশ করার পাশাপাশি জিহ্বা পরিষ্কার রাখাও মুখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক দেশেই বিভিন্ন টুল দিয়ে জিহ্বা পরিষ্কার করার প্রচলন রয়েছে। এই অভ্যাস গড়ে তুললে মুখের দুর্গন্ধও দূর হবে। বিজ্ঞানীরা এর গুরুত্ব বিভিন্ন গবেষণাপত্রে তুলে ধরেছেন।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৫ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
২ দিন আগেডা. কাকলী হালদার

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

প্রতিদিন অন্তত দুইবার দাঁত ব্রাশ করার পাশাপাশি জিহ্বা পরিষ্কার রাখাও মুখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক দেশেই বিভিন্ন টুল দিয়ে জিহ্বা পরিষ্কার করার প্রচলন রয়েছে। এই অভ্যাস গড়ে তুললে মুখের দুর্গন্ধও দূর হবে। বিজ্ঞানীরা এর গুরুত্ব বিভিন্ন গবেষণাপত্রে তুলে ধরেছেন।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৫ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
২ দিন আগে