ফল প্রকাশ

টানা প্রায় দেড় দশক ধরে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার বেড়েছিল। ২০২১ সালে তা গিয়ে ওঠে রেকর্ড ৯৩ দশমিক ৬ শতাংশে। কিন্তু চলতি বছর সে ধারা সম্পূর্ণভাবে পাল্টে গেছে। এবার এসএসসি ও সমমানে পাসের হার মাত্র ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ, যা গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০১০ সালে পাসের...

‘আমি নিজে ওকে পড়াইনি। তবে সবসময় স্কুল, কোচিং সব জায়গাতে ওর সাথে গেছি। ঘরের সমস্ত কাজ করে ওকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ওর মনোযোগটা যেন অন্য কোনোদিকে সরে না যায়, সেদিকে খেয়াল রেখেছি।’ কাঁপা গলায় কথাগুলো বলছিলেন গর্বিত মা কুমকুম হাবিবা। তার ছেলে ওয়াকিল জান্নাত ইয়াশফি এবার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (বন

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল চার শিক্ষার্থী। তবে তাদের কেউ পাস করতে পারেনি। গত বছরও বিদ্যালয়টির দুজন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। তারাও পাস করতে পারেনি।

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের গড় পাসের হার ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৯০২ জন। শতভাগ পাস করেছে ২২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় প্রকাশিত ফলাফলে এই তথ্য জানা যায়।

বগুড়া জিলা স্কুলকেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়া আট শতাধিক শিক্ষার্থীর ফলাফলে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক বলছেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

চলতি বছর দিনাজপুর বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৭ জন শিক্ষার্থী। পাস করেছে ১ লাখ ২২ হাজার ১৪৬ জন। ফেল করেছে ৬২ হাজার ৯২১ জন।

এবারের এসএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ডে পাসের হার কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ প্রাপ্তি কমেছে পাঁচ হাজারের বেশি। তবুও সারা দেশের বোর্ডগুলোর মধ্যে পাসের হারে যশোর বোর্ডের অবস্থান দ্বিতীয়। এ বছর যশোর বোর্ডে পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৭৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৪১০ শিক্ষার্থী।

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের এবারের এসএসসি পরীক্ষার ফলে বড় ধরনের পতন ঘটেছে। গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার কমেছে ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ। কমেছে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও, যা এবার ২ হাজার ১৯৮ জন কম।

ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৫৮ দশমিক ২২ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৮৫ শতাংশ। এবার ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল করেছে। এমন ফলাফলে অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন বোর্ড চেয়ারম্যান।

পরীক্ষার দিন ভোরেই হারিয়েছে বাবাকে। হৃদয়বিদারক সেই মুহূর্তেও মন শক্ত করে বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখেই পরীক্ষাকেন্দ্রে যায় মারিয়া আক্তার। আজ এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৩ দশমিক ৮৩ পেয়েছে সে। আশানুরূপ ফল না হওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়ে এই সাহসী কন্যা।

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এ বছর ২ হাজার ১১৬ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দেয়। তাদের মধ্যে পাস করেছে ২ হাজার ৬১ জন, ফেল করেছে ৫৫ জন। পাসের হার ৯৭ দশমিক ৪০ শতাংশ। গত বছর সেখানে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২ হাজার ২০৬ জন। পাস করেছিল ২ হাজার ১৬১ জন ও ফেল করেছিল ৩৪ জন। পাসের হার

এ বছর মোট ৯ লাখ ৫১ হাজার ৬৯৭ জন ছেলে শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দিয়েছিল। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ৬ লাখ ২৬ হাজার ৯৮১ জন। মেয়ে পরীক্ষার্থী ছিল ৯ লাখ ৫২ হাজার ৩৮৯ জন। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৪৪৫ জন।