অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
‘সুখের পাখি তবু আছে হাতে ধরা’। সমীক্ষা বলে, বয়স বাড়া আর সুখ দুটো মিলে তৈরি করে ইউ আকৃতির বক্ররেখা। রেখা নেমে নেমে আসে তরুণ বয়স থেকে মধ্য জীবন পর্যন্ত। এরপর উঠতে থাকে চল্লিশ-পঞ্চাশে। দেখা গেছে, ৬০ পেরোনো অনেক নারী বলেন, আমি একটু সুখী যখন ৩৫ ছিল বয়স, তখন থেকে। জীবন শিখিয়েছে সুসময়কে উপভোগ কর আর ভুলে যাও কষ্টের সময়ের কথা। তবে এই সুবর্ণ সময় আনে নতুন চ্যালেঞ্জ, স্বাস্থ্যের, অর্থের আর আনে বেদনা—প্রিয়জন হারানোর।
ঝুঁকি ক্যানসারের
অর্ধেক স্তন ক্যানসার দেখা যায় ৬০-উত্তর বয়সে। আর কোলন ক্যানসার দেখা যায় ৬৮ বছরেও। এই বয়স ক্যানসারের জন্য আগমনী সময়। তাই করা চাই প্রয়োজনীয় স্ক্রিনিং, ম্যামোগ্রাম। কোলনস্কপি আর প্রোস্টেট স্ক্রিনিং করতে ভোলা যাবে না এ সময়।
কানে কম শোনা
এ বয়সে অনেকে হন কানে খাটো। এ সময় অন্তঃকর্ণের শ্রবণ কোষগুলো মরে যায়। তাই এ বয়সে অনেকের কানে কম শোনা রোগ হয়। হিয়ারিং এইড পরিধান করেন অনেকে।
ওজন বাড়ার কাল
বয়স হলে ওজন বাড়ে, এমন সমীকরণ সহজ নয়। তবে এ-ও ঠিক, বেশি বয়সে ধীর হয় বিপাকের গতি, ক্যালরি দহনের সময় লাগে বেশি। তবে এ জন্য খাদ্যাভ্যাসে ত্রুটি আর নিষ্ক্রিয় জীবন হলো বড় কারণ। তাই বয়স ৬০ হলেও থাকতে হবে সক্রিয় সচল আর খেতে হবে পরিমাণমতো স্বাস্থ্যকর খাবার।
ত্বকের পরিবর্তন
বয়স ৬০ হলে ত্বকের ওপরের দুটি স্তর, এপিডারমিস আর ডারমিস পাতলা হয়ে চ্যাপ্টা হয়ে যায়। শুকিয়ে যায়, চুলকায়, দেখতে হয় ক্রপ কাগজের মতো। তাই ত্বকে ভাঁজ পড়ে, পড়ে বয়সের ছাপ, ফাটল সব হয় স্পষ্ট। ঘর্মগ্রন্থি হয় কম সক্রিয় অর্থাৎ ঘাম কম হয়। ক্ষত শুকাতে দেরি হয়। তাই ত্বকের পরিচর্যা শুরু হওয়া চাই কম বয়স থেকে। এ জন্য প্রাকৃতিক উপকরণ ভালো রাসায়নিক কসমেটিকসের চেয়ে।
হৃৎপিণ্ডে সমস্যা
মধ্য ৬০ আর এর পরের সময় হলো হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক আর হার্ট ফেইলিউরের সময়। একে রোধ করা চাই। আর সে জন্য জীবনাচরণে পরিবর্তন আনতে হবে। ফাস্টফুড খাওয়া চলবে না এ সময়। কোমল পানীয় পান না করা, ধূমপান বর্জন করা, লবণ-চিনি আর চর্বিজাতীয় খাবার কম খাওয়া এবং নিয়ম করে আধঘণ্টা হাঁটা, সাঁতার কাটা—এগুলো করতে হবে।
মগজের ধার
৬০ পেরোলে অনেকে অনুভব করেন মগজের ধার কমেছে। নাম, বিভিন্ন তথ্য–এসব মনে করতে সময় লাগে। বয়স বাড়লে অধোগতি বাড়ে, তাই চাই মগজের চর্চা। বয়স হলেও পড়ালেখা করুন, শুনুন মন দিয়ে, শিখুন নতুন কিছু।
দৃষ্টিশক্তি
৬০ পেরোলে ছানি পড়া, গ্লুকোমা, চোখ শুকিয়ে যাওয়া আর ম্যাকুল অবক্ষয় হতে পরে সঙ্গী। তাই চোখের চেকআপ নিয়মিত করুন।
অস্থি আর অস্থিসন্ধি
বয়স বাড়ার সঙ্গে নড়াচড়া কমে যাওয়া, বসে-শুয়ে জীবন কাটানো চলে। এ জন্য হয় হাড়ের সমস্যা, পেশি দুর্বল আর গিঁটের বেদনা। ক্যালসিয়াম আর ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট লাগতে পারে এ সময়। অস্টিওপরসিস থেকে রেহাই পেতে হলে বোন ডেনসিটি স্ক্যান করাতে হবে হাড় বিশেষজ্ঞের কাছে।
ঘুম না আসা
৬০ পেরোলেও চাই ৭ থেকে ৯ ঘণ্টার ঘুম। কিন্তু ভালো ঘুম অনেকের জন্য দুরাশা। এ সময় ঘুমের জন্য যে হরমোন কাজ করে, সেই হরমোনের ক্ষরণও কমে। তাই ঘুমের জন্য কিছু রিচুয়াল পালন করতে হবে। যেমন গাঢ় অন্ধকার ঘরে ঘুমানো, কুসুম গরম জলে স্নান করা, ঘুমের আগে চা বা কফি পান না করা, সব ইলেকট্রনিকস ডিভাইসকে ছুটি দেওয়া ঘুমানোর দুই ঘণ্টা আগে, বই পড়া আর গান শোনা।
বাড়ে উচ্চ রক্তচাপ
কালে কালে মেদের পুঞ্জ জমে ধমনির ভেতরের দেয়ালে। ফলে বন্ধ হয় নিষ্কাশনের পথ। কোলেস্টেরল বাড়ে। সব মিলিয়ে বিপত্তি বাড়ে। তাই চাই সুস্থ জীবনাচরণ, শরীরচর্চা, পরিমিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া আর মানসিক চাপ কমানো।
নিয়ন্ত্রণ কমে মূত্রথলির
মধ্যরাতে ওয়াশরুমে যাওয়ার আগেই ভিজে যেতে পারে পোশাক। কারণ, মূত্রথলি নমনীয় হলেও ধারণক্ষমতা কমে যায়। তাই কেইগেল ব্যায়ামের চর্চা জরুরি।
দেহ প্রতিরোধ
৬০ বছরে জন্মদিন পালন হলো। এদিকে ইম্মুন সেল, টি সেল নতুন করে জন্ম নেওয়া বন্ধ করল। এর কাজ ছিল বাইরের শত্রু রোগজীবাণু ঠেকানো। এই রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা কমে গেল প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়। এ সময় নিতে হবে ফ্লু ভ্যাকসিন ও নিউমোনিয়া ভ্যাকসিন।
দাঁত
৬০ বছর বয়সে অনেকের হয় শুষ্ক মুখ। দাঁত পড়া, মাড়ি ব্যথা, রক্তক্ষরণ তো আছেই। এ বয়সে অনেকের হয় মুখগহ্বরের ক্যানসার। বিশেষ করে যাদের থাকে তামাকপাতা খাওয়ার অভ্যাস।
‘সুখের পাখি তবু আছে হাতে ধরা’। সমীক্ষা বলে, বয়স বাড়া আর সুখ দুটো মিলে তৈরি করে ইউ আকৃতির বক্ররেখা। রেখা নেমে নেমে আসে তরুণ বয়স থেকে মধ্য জীবন পর্যন্ত। এরপর উঠতে থাকে চল্লিশ-পঞ্চাশে। দেখা গেছে, ৬০ পেরোনো অনেক নারী বলেন, আমি একটু সুখী যখন ৩৫ ছিল বয়স, তখন থেকে। জীবন শিখিয়েছে সুসময়কে উপভোগ কর আর ভুলে যাও কষ্টের সময়ের কথা। তবে এই সুবর্ণ সময় আনে নতুন চ্যালেঞ্জ, স্বাস্থ্যের, অর্থের আর আনে বেদনা—প্রিয়জন হারানোর।
ঝুঁকি ক্যানসারের
অর্ধেক স্তন ক্যানসার দেখা যায় ৬০-উত্তর বয়সে। আর কোলন ক্যানসার দেখা যায় ৬৮ বছরেও। এই বয়স ক্যানসারের জন্য আগমনী সময়। তাই করা চাই প্রয়োজনীয় স্ক্রিনিং, ম্যামোগ্রাম। কোলনস্কপি আর প্রোস্টেট স্ক্রিনিং করতে ভোলা যাবে না এ সময়।
কানে কম শোনা
এ বয়সে অনেকে হন কানে খাটো। এ সময় অন্তঃকর্ণের শ্রবণ কোষগুলো মরে যায়। তাই এ বয়সে অনেকের কানে কম শোনা রোগ হয়। হিয়ারিং এইড পরিধান করেন অনেকে।
ওজন বাড়ার কাল
বয়স হলে ওজন বাড়ে, এমন সমীকরণ সহজ নয়। তবে এ-ও ঠিক, বেশি বয়সে ধীর হয় বিপাকের গতি, ক্যালরি দহনের সময় লাগে বেশি। তবে এ জন্য খাদ্যাভ্যাসে ত্রুটি আর নিষ্ক্রিয় জীবন হলো বড় কারণ। তাই বয়স ৬০ হলেও থাকতে হবে সক্রিয় সচল আর খেতে হবে পরিমাণমতো স্বাস্থ্যকর খাবার।
ত্বকের পরিবর্তন
বয়স ৬০ হলে ত্বকের ওপরের দুটি স্তর, এপিডারমিস আর ডারমিস পাতলা হয়ে চ্যাপ্টা হয়ে যায়। শুকিয়ে যায়, চুলকায়, দেখতে হয় ক্রপ কাগজের মতো। তাই ত্বকে ভাঁজ পড়ে, পড়ে বয়সের ছাপ, ফাটল সব হয় স্পষ্ট। ঘর্মগ্রন্থি হয় কম সক্রিয় অর্থাৎ ঘাম কম হয়। ক্ষত শুকাতে দেরি হয়। তাই ত্বকের পরিচর্যা শুরু হওয়া চাই কম বয়স থেকে। এ জন্য প্রাকৃতিক উপকরণ ভালো রাসায়নিক কসমেটিকসের চেয়ে।
হৃৎপিণ্ডে সমস্যা
মধ্য ৬০ আর এর পরের সময় হলো হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক আর হার্ট ফেইলিউরের সময়। একে রোধ করা চাই। আর সে জন্য জীবনাচরণে পরিবর্তন আনতে হবে। ফাস্টফুড খাওয়া চলবে না এ সময়। কোমল পানীয় পান না করা, ধূমপান বর্জন করা, লবণ-চিনি আর চর্বিজাতীয় খাবার কম খাওয়া এবং নিয়ম করে আধঘণ্টা হাঁটা, সাঁতার কাটা—এগুলো করতে হবে।
মগজের ধার
৬০ পেরোলে অনেকে অনুভব করেন মগজের ধার কমেছে। নাম, বিভিন্ন তথ্য–এসব মনে করতে সময় লাগে। বয়স বাড়লে অধোগতি বাড়ে, তাই চাই মগজের চর্চা। বয়স হলেও পড়ালেখা করুন, শুনুন মন দিয়ে, শিখুন নতুন কিছু।
দৃষ্টিশক্তি
৬০ পেরোলে ছানি পড়া, গ্লুকোমা, চোখ শুকিয়ে যাওয়া আর ম্যাকুল অবক্ষয় হতে পরে সঙ্গী। তাই চোখের চেকআপ নিয়মিত করুন।
অস্থি আর অস্থিসন্ধি
বয়স বাড়ার সঙ্গে নড়াচড়া কমে যাওয়া, বসে-শুয়ে জীবন কাটানো চলে। এ জন্য হয় হাড়ের সমস্যা, পেশি দুর্বল আর গিঁটের বেদনা। ক্যালসিয়াম আর ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট লাগতে পারে এ সময়। অস্টিওপরসিস থেকে রেহাই পেতে হলে বোন ডেনসিটি স্ক্যান করাতে হবে হাড় বিশেষজ্ঞের কাছে।
ঘুম না আসা
৬০ পেরোলেও চাই ৭ থেকে ৯ ঘণ্টার ঘুম। কিন্তু ভালো ঘুম অনেকের জন্য দুরাশা। এ সময় ঘুমের জন্য যে হরমোন কাজ করে, সেই হরমোনের ক্ষরণও কমে। তাই ঘুমের জন্য কিছু রিচুয়াল পালন করতে হবে। যেমন গাঢ় অন্ধকার ঘরে ঘুমানো, কুসুম গরম জলে স্নান করা, ঘুমের আগে চা বা কফি পান না করা, সব ইলেকট্রনিকস ডিভাইসকে ছুটি দেওয়া ঘুমানোর দুই ঘণ্টা আগে, বই পড়া আর গান শোনা।
বাড়ে উচ্চ রক্তচাপ
কালে কালে মেদের পুঞ্জ জমে ধমনির ভেতরের দেয়ালে। ফলে বন্ধ হয় নিষ্কাশনের পথ। কোলেস্টেরল বাড়ে। সব মিলিয়ে বিপত্তি বাড়ে। তাই চাই সুস্থ জীবনাচরণ, শরীরচর্চা, পরিমিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া আর মানসিক চাপ কমানো।
নিয়ন্ত্রণ কমে মূত্রথলির
মধ্যরাতে ওয়াশরুমে যাওয়ার আগেই ভিজে যেতে পারে পোশাক। কারণ, মূত্রথলি নমনীয় হলেও ধারণক্ষমতা কমে যায়। তাই কেইগেল ব্যায়ামের চর্চা জরুরি।
দেহ প্রতিরোধ
৬০ বছরে জন্মদিন পালন হলো। এদিকে ইম্মুন সেল, টি সেল নতুন করে জন্ম নেওয়া বন্ধ করল। এর কাজ ছিল বাইরের শত্রু রোগজীবাণু ঠেকানো। এই রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা কমে গেল প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়। এ সময় নিতে হবে ফ্লু ভ্যাকসিন ও নিউমোনিয়া ভ্যাকসিন।
দাঁত
৬০ বছর বয়সে অনেকের হয় শুষ্ক মুখ। দাঁত পড়া, মাড়ি ব্যথা, রক্তক্ষরণ তো আছেই। এ বয়সে অনেকের হয় মুখগহ্বরের ক্যানসার। বিশেষ করে যাদের থাকে তামাকপাতা খাওয়ার অভ্যাস।
চীনা ও মার্কিন বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে একধরনের জটিল ফুসফুস ক্যানসারের চিকিৎসায় নতুন একটি ওষুধের আন্তর্জাতিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। এই ট্রায়ালে ইতিমধ্যে প্রমাণ পাওয়া গেছে, মুখে খাওয়ার ওই ওষুধ আগের চিকিৎসার তুলনায় বেশি নিরাপদ ও কার্যকর।
২ ঘণ্টা আগেএই গবেষণার ফলাফল আরও উদ্বেগজনক, কারণ, এতে পশুপালন খাত বা ওষুধ তৈরির কারখানা থেকে আসা অ্যান্টিবায়োটিকের হিসাব ধরা হয়নি—যা পরিবেশ দূষণের বড় উৎস হিসেবে বিবেচিত।
৬ ঘণ্টা আগেআগের গবেষণাগুলোতে অডিও ভিজ্যুয়াল মাধ্যমে উচ্চ চর্বি, লবণ ও চিনি যুক্ত খাদ্যপণ্যের (এইচএফএসএস) বিজ্ঞাপন দেখার পর শিশুদের তাৎক্ষণিক ও পরবর্তী খাবার গ্রহণের মধ্যে সম্পর্ক পাওয়া গেছে। কিন্তু ব্র্যান্ড-ভিত্তিক (যেখানে পণ্য নয়, শুধু লোগো বা চিহ্ন থাকে) কিংবা শুধু অডিও (যেমন পডকাস্ট বা রেডিও) মাধ্যমে বিজ্ঞ
৯ ঘণ্টা আগেগ্যাস স্টোভ থেকে নির্গত বেনজিনের কারণে ক্যানসারের ঝুঁকি এবং এর ফলে লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি নির্ণয়ের এটিই প্রথম গবেষণা। গবেষকেরা বলছেন, ‘আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, গ্যাস স্টোভের সংস্পর্শ ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়, বিশেষ করে যেখানে বেশি বা মাঝারি পরিমাণে স্টোভ ব্যবহার করা হয়।’
১১ ঘণ্টা আগে