জীবনধারা ডেস্ক
নিরাপদ পানি পান করতে হবে
ডা. তানজির আহমেদ শুভ, সিনিয়র রিসার্চ ইনভেস্টিগেটর আইসিডিডিআরবি
গরমে ডায়রিয়া বেড়ে যায়। তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে পানিতে থাকা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াও দ্রুত বাড়তে থাকে। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, এ সময় মানুষের পানি পানের অভ্যাসটাও পাল্টায়। দেখা যায়, বাইরে যখন যেখানে পানি পাচ্ছে, সেই পানিই খাচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হয়তো সেসব পানি পান করা নিরাপদ নয়। ফলে এই সময়ে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়তে থাকে। ডায়রিয়া এড়ানোর জন্য প্রথমেই নিরাপদ পানি পান করতে হবে। এ ছাড়া নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করতে হবে। এ সময় বাইরের খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। আর যদি খেতেই হয়, তাহলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেস্টুরেন্টে খেতে হবে। এ ছাড়া খাওয়ার আগে ও টয়লেট ব্যবহারের পর হাত ধোয়ার ব্যাপারটা নিশ্চিত করতে হবে।
বেশি করে তরল খাবার খেতে হবে
শায়লা শারমীন, সিনিয়র নিউট্রিশনিস্ট, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল, ঢাকা
ডায়রিয়ার প্রধান কারণ হলো অস্বাস্থ্যকর, পচা-বাসি খাবার খাওয়া, দূষিত পানি পান করা, বাইরের খোলা খাবার খাওয়া। এ ছাড়া অতিরিক্ত ভোজন বা চাহিদার তুলনায় বেশি খাবার খেলেও অন্ত্রে খাবার পচন বা হজমে সমস্যা থেকেও ডায়রিয়া হতে পারে। প্রথমত, চেষ্টা করতে হবে ডায়রিয়া যেসব কারণে হয় সেগুলো এড়িয়ে চলা। তার পরও যদি ডায়রিয়া হয়, তাহলে অবশ্যই সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে, যেন সহজে হজম হয়। বেশি করে পানি, পানীয় ও তরল খাবার খেতে হবে, যাতে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা না দেয়। আর এ ক্ষেত্রে প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর এক গ্লাস করে খাওয়ার স্যালাইন বা ওরাল স্যালাইন অবশ্যই খেতে হবে। পাশাপাশি ডাবের পানি, বার্লি, জাউ, রাইস স্যালাইন খেতে হবে।
স্যালাইন খাওয়ানোর পরও পানিশূন্যতা দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে
ডা. নূরজাহান বেগম, স্পেশালিস্ট, পেডিয়াট্রিক আইসিইউ, এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা
অতিরিক্ত তাপমাত্রা খাবার ও পানিতে পানিবাহিত ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও পরজীবীদের দ্রুত বেড়ে উঠতে সহায়তা করে। গরমের এই সময়টাতে বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও ডায়রিয়ায় ভুগে থাকে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ডায়রিয়া নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়; ওষুধ কিংবা অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয় না। তবে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করা এবং পানিশূন্যতা যে ঠিক হচ্ছে না সেটা বুঝতে পারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের শরীরে কোষের বাইরের পানি বা এক্সট্রা সেলুলার ফ্লুইড বেশি থাকে। ফলে সহজেই তাদের শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে। এ জন্য ডায়রিয়াজনিত জটিলতা শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। ডায়রিয়া হলে শিশুদের বাইরের কোমল পানীয়, জুস, অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয়, চা কিংবা কফি খাওয়ানো যাবে না। মায়ের দুধ ছাড়া এ সময় অন্য কোনো দুধ শিশুর জন্য ক্ষতিকর। সেগুলো ডায়রিয়ার মাত্রা আরও
বাড়িয়ে দেবে।
ডায়রিয়া হলে শিশুকে বারবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। দুই বছরের নিচের শিশুদের প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ১০ থেকে ২০ চামচ, দুই বছরের বেশি বয়সীদের প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ২০ থেকে ৪০ চামচ এবং বমি হলে ১০ মিনিট অপেক্ষার পর আবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
সব বয়সের জন্য স্যালাইন বানানোর নিয়ম একই। বয়স কম বলে আধা প্যাকেট বা কম পানিতে গুলিয়ে স্যালাইন বানানো যাবে না। এই স্যালাইন বানানোর ভুলের জন্য অনেক শিশুর জটিলতা বাড়ে।
শিশুকে স্বাভাবিক খাবার খাওয়ান। সঙ্গে ভাতের মাড়, ডাবের পানি, চিড়ার পানি ইত্যাদি খাওয়ান।
ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে ১৪ দিনের জন্য জিংক ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। তবে শিশুর অতিরিক্ত বমি থাকলে বমি কমে গেলে আবারও খাওয়ানো শুরু করতে হবে।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন
নিরাপদ পানি পান করতে হবে
ডা. তানজির আহমেদ শুভ, সিনিয়র রিসার্চ ইনভেস্টিগেটর আইসিডিডিআরবি
গরমে ডায়রিয়া বেড়ে যায়। তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে পানিতে থাকা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াও দ্রুত বাড়তে থাকে। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, এ সময় মানুষের পানি পানের অভ্যাসটাও পাল্টায়। দেখা যায়, বাইরে যখন যেখানে পানি পাচ্ছে, সেই পানিই খাচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হয়তো সেসব পানি পান করা নিরাপদ নয়। ফলে এই সময়ে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়তে থাকে। ডায়রিয়া এড়ানোর জন্য প্রথমেই নিরাপদ পানি পান করতে হবে। এ ছাড়া নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করতে হবে। এ সময় বাইরের খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। আর যদি খেতেই হয়, তাহলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেস্টুরেন্টে খেতে হবে। এ ছাড়া খাওয়ার আগে ও টয়লেট ব্যবহারের পর হাত ধোয়ার ব্যাপারটা নিশ্চিত করতে হবে।
বেশি করে তরল খাবার খেতে হবে
শায়লা শারমীন, সিনিয়র নিউট্রিশনিস্ট, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল, ঢাকা
ডায়রিয়ার প্রধান কারণ হলো অস্বাস্থ্যকর, পচা-বাসি খাবার খাওয়া, দূষিত পানি পান করা, বাইরের খোলা খাবার খাওয়া। এ ছাড়া অতিরিক্ত ভোজন বা চাহিদার তুলনায় বেশি খাবার খেলেও অন্ত্রে খাবার পচন বা হজমে সমস্যা থেকেও ডায়রিয়া হতে পারে। প্রথমত, চেষ্টা করতে হবে ডায়রিয়া যেসব কারণে হয় সেগুলো এড়িয়ে চলা। তার পরও যদি ডায়রিয়া হয়, তাহলে অবশ্যই সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে, যেন সহজে হজম হয়। বেশি করে পানি, পানীয় ও তরল খাবার খেতে হবে, যাতে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা না দেয়। আর এ ক্ষেত্রে প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর এক গ্লাস করে খাওয়ার স্যালাইন বা ওরাল স্যালাইন অবশ্যই খেতে হবে। পাশাপাশি ডাবের পানি, বার্লি, জাউ, রাইস স্যালাইন খেতে হবে।
স্যালাইন খাওয়ানোর পরও পানিশূন্যতা দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে
ডা. নূরজাহান বেগম, স্পেশালিস্ট, পেডিয়াট্রিক আইসিইউ, এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা
অতিরিক্ত তাপমাত্রা খাবার ও পানিতে পানিবাহিত ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও পরজীবীদের দ্রুত বেড়ে উঠতে সহায়তা করে। গরমের এই সময়টাতে বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও ডায়রিয়ায় ভুগে থাকে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ডায়রিয়া নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়; ওষুধ কিংবা অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয় না। তবে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করা এবং পানিশূন্যতা যে ঠিক হচ্ছে না সেটা বুঝতে পারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের শরীরে কোষের বাইরের পানি বা এক্সট্রা সেলুলার ফ্লুইড বেশি থাকে। ফলে সহজেই তাদের শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে। এ জন্য ডায়রিয়াজনিত জটিলতা শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। ডায়রিয়া হলে শিশুদের বাইরের কোমল পানীয়, জুস, অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয়, চা কিংবা কফি খাওয়ানো যাবে না। মায়ের দুধ ছাড়া এ সময় অন্য কোনো দুধ শিশুর জন্য ক্ষতিকর। সেগুলো ডায়রিয়ার মাত্রা আরও
বাড়িয়ে দেবে।
ডায়রিয়া হলে শিশুকে বারবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। দুই বছরের নিচের শিশুদের প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ১০ থেকে ২০ চামচ, দুই বছরের বেশি বয়সীদের প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ২০ থেকে ৪০ চামচ এবং বমি হলে ১০ মিনিট অপেক্ষার পর আবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
সব বয়সের জন্য স্যালাইন বানানোর নিয়ম একই। বয়স কম বলে আধা প্যাকেট বা কম পানিতে গুলিয়ে স্যালাইন বানানো যাবে না। এই স্যালাইন বানানোর ভুলের জন্য অনেক শিশুর জটিলতা বাড়ে।
শিশুকে স্বাভাবিক খাবার খাওয়ান। সঙ্গে ভাতের মাড়, ডাবের পানি, চিড়ার পানি ইত্যাদি খাওয়ান।
ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে ১৪ দিনের জন্য জিংক ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। তবে শিশুর অতিরিক্ত বমি থাকলে বমি কমে গেলে আবারও খাওয়ানো শুরু করতে হবে।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন
যেকোনো অপারেশনের আগে রোগী ও তাঁর আত্মীয়স্বজনের মধ্যে ভয় বা দুশ্চিন্তা কাজ করে। এই ভয় অমূলকও নয়। কারণ, অপারেশন মানেই কাটাছেঁড়া, অজ্ঞান থেকে জ্ঞান ফিরবে কি না, সে চিন্তা মাথায় কাজ করে। তা ছাড়া অপারেশনের ক্ষেত্রে অ্যানেসথেসিয়ার বিষয়ে জানাশোনা ও সতর্কতার স্পষ্ট ধারণা থাকে না বেশির ভাগ মানুষের।
৭ ঘণ্টা আগেডায়াবেটিসের কারণে আপনার মুখ ও দাঁতে নানা ধরনের রোগ সৃষ্টি হতে পারে। ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা; যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এটি শুধু হার্ট, কিডনি অথবা চোখেরই ক্ষতি করে না, বরং দাঁত ও মাড়ির ওপরও ফেলতে পারে মারাত্মক প্রভাব।
৮ ঘণ্টা আগেআপনি সুস্থ অবস্থায় রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন। প্রতিদিনের মতো সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হওয়ার জন্য আয়নার সামনে দাঁড়িয়েছেন। দেখলেন, মুখটা একদিকে বেঁকে গেছে। চোখ পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে না। মুখে পানি নিয়ে ঠিকমতো কুলি করতে পারছেন না। এমন সমস্যা অনেকের দেখা দেয়। এই সমস্যাই আসলে বেলস পালসি বা ফেশিয়াল পালসি।
৯ ঘণ্টা আগেবিশ্বব্যাপী নারীর স্বাস্থ্যঝুঁকির বড় কারণ স্তন ক্যানসার। তবে সচেতন জীবনযাপন এবং কিছু অভ্যাস বদলাতে পারলে এই ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব। এ জন্য যা করবেন—
১০ ঘণ্টা আগে