ডা. ইমনুল ইসলাম ইমন
শিশুদের অসুখ-বিসুখ দিনরাত যেন লেগেই থাকে। হঠাৎ নবজাতকের কান্না, পেটব্যথা, কানব্যথা, পিঁপড়া অথবা পোকামাকড়ের কামড়, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, হাত-পা মচকানো, অ্যালার্জির কারণে সাদা শরীরে লাল দানা—এ ধরনের সমস্যার কারণে মা-বাবা উদ্বিগ্ন হয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। শিশুস্বাস্থ্য সম্পর্কে সাধারণ ধারণা থাকলে চিকিৎসকের কাছে না গিয়েও এসব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
কান্না
খিদে পেলে, পেটব্যথা অথবা কানব্যথার কারণে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শিশুরা কান্নাকাটি করে। খিদের কান্না এবং ব্যথার কান্নার ধরন একটু খেয়াল করলে সহজে মা পৃথক করতে পারেন। খিদের কান্নার সময় শিশুরা থেমে থেমে কান্না করে এবং পাশাপাশি মুখ হাঁ করে এদিক-ওদিক তাকাতে দেখা যায়। মা শিশুর জন্য বুকের দুধ বা ফিডার দুধ দেওয়ামাত্রই কান্নার অবসান হয়। পেটে গ্যাস অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পেটব্যথার জন্য শিশুকে কাঁদতে দেখা যায়।
পেটব্যথা
ডায়রিয়া, আমাশয় ও জিয়ার্ডিয়ার জীবাণু, কৃমি ইত্যাদি প্রবেশ করলে শিশুর খাবারে অনীহা, বমি বমি ভাব, পেট ফেঁপে থাকা, পাতলা পায়খানা অথবা আমযুক্ত মল ত্যাগ করতে পারে। অনেক শিশুর ক্ষেত্রে দুধ পরিবর্তন করলে, বুকের দুধ ছাড়িয়ে গরুর দুধ বা বাজারে প্রচলিত দুধ দিলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ সময় শিশুকে কাঁধের ওপর রেখে আলতো করে চাপড় দিলে গ্যাস বের হয়ে যায় এবং শিশুর কান্নাও থেমে যায়। এ ছাড়া সিমেথিকোন-জাতীয় পেটব্যথার ড্রপ ব্যবহার করলেও উপকার মেলে।
কানব্যথা
শিশুর ঠান্ডা লেগে কানের সংক্রমণ হলে, ময়লা জমলে, আঘাত পেলে কানব্যথা হতে পারে। এমন সময় কানে গরম তেল ব্যবহার করা নিষেধ। তবে কানে গরম সেঁক দেওয়া যেতে পারে। ঘরে রাখা প্যারাসিটামল সিরাপ বয়স অনুযায়ী খাওয়াতে হবে। শিশু মুখ খুলে শ্বাস নিলে নাকের নরমাল স্যালাইন ড্রপ দিতে হবে, গোসলের সময় কানে যেন পানি না ঢোকে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
হাত-পা মচকানো
অসাবধানতাবশত শিশুর হাত-পা মচকালে মাংসপেশি বা লিগামেন্ট ছিঁড়ে যেতে পারে অথবা হাড্ডিগুলো স্থানচ্যুত হতে পারে। তখন বরফ সেঁক দিন, প্যারাসিটামল জাতীয় সিরাপ খাওয়ান এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন। মনে রাখা জরুরি, শিশুর হাত-পা ধরে হ্যাঁচকা টান দেওয়া চলবে না।
নাক দিয়ে রক্ত পড়া
নাকে ঘা হলে এবং সেই ঘা খুঁটলে শিশুদের নাক দিয়ে রক্ত পড়ে। পাশাপাশি নাকে আঘাত পেলে, ঠান্ডার কারণে, রক্তের কোনো অসুখের কারণেও
নাক দিয়ে রক্ত পড়তে দেখা যায়। হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়া শুরু হলে ঠান্ডা মাথায় যা করতে পারেন—
১. শিশুর নাক দুই আঙুলে চেপে ধরুন
২. বরফ সেঁক দিন নাকের ওপর
৩. না কমলে তুলা গুটাল করে নাকের ছিদ্রে ঢুকিয়ে দিন। এতেও না কমলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
শিশুর শ্বাস বন্ধ রাখা
হঠাৎ কোনো সুস্থ শিশু কান্না করতে করতে শ্বাস বন্ধ করে ফেলে। অনেক সময় হাত-পা শক্ত হয়ে যায় এবং একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারে। এটা শিশুর একটা ভিন্ন আচরণ। শিশু যখন রেগে যায়, ভয় পেয়ে যায় অথবা ব্যথা পেলে এমন করতে দেখা যায়। এটা শিশুর ব্রেনের একটা বিশেষ প্রতিক্রিয়া। এ সময় শিশুদের মন ভুলিয়ে রাখতে হবে। এ রোগে শিশুর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই।
পরামর্শ দিয়েছেন: অধ্যাপক, শিশু বিভাগ, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, আলোক মাদার অ্যান্ড চাইল্ডকেয়ার, মিরপুর-৬ ঢাকা
শিশুদের অসুখ-বিসুখ দিনরাত যেন লেগেই থাকে। হঠাৎ নবজাতকের কান্না, পেটব্যথা, কানব্যথা, পিঁপড়া অথবা পোকামাকড়ের কামড়, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, হাত-পা মচকানো, অ্যালার্জির কারণে সাদা শরীরে লাল দানা—এ ধরনের সমস্যার কারণে মা-বাবা উদ্বিগ্ন হয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। শিশুস্বাস্থ্য সম্পর্কে সাধারণ ধারণা থাকলে চিকিৎসকের কাছে না গিয়েও এসব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
কান্না
খিদে পেলে, পেটব্যথা অথবা কানব্যথার কারণে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শিশুরা কান্নাকাটি করে। খিদের কান্না এবং ব্যথার কান্নার ধরন একটু খেয়াল করলে সহজে মা পৃথক করতে পারেন। খিদের কান্নার সময় শিশুরা থেমে থেমে কান্না করে এবং পাশাপাশি মুখ হাঁ করে এদিক-ওদিক তাকাতে দেখা যায়। মা শিশুর জন্য বুকের দুধ বা ফিডার দুধ দেওয়ামাত্রই কান্নার অবসান হয়। পেটে গ্যাস অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পেটব্যথার জন্য শিশুকে কাঁদতে দেখা যায়।
পেটব্যথা
ডায়রিয়া, আমাশয় ও জিয়ার্ডিয়ার জীবাণু, কৃমি ইত্যাদি প্রবেশ করলে শিশুর খাবারে অনীহা, বমি বমি ভাব, পেট ফেঁপে থাকা, পাতলা পায়খানা অথবা আমযুক্ত মল ত্যাগ করতে পারে। অনেক শিশুর ক্ষেত্রে দুধ পরিবর্তন করলে, বুকের দুধ ছাড়িয়ে গরুর দুধ বা বাজারে প্রচলিত দুধ দিলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ সময় শিশুকে কাঁধের ওপর রেখে আলতো করে চাপড় দিলে গ্যাস বের হয়ে যায় এবং শিশুর কান্নাও থেমে যায়। এ ছাড়া সিমেথিকোন-জাতীয় পেটব্যথার ড্রপ ব্যবহার করলেও উপকার মেলে।
কানব্যথা
শিশুর ঠান্ডা লেগে কানের সংক্রমণ হলে, ময়লা জমলে, আঘাত পেলে কানব্যথা হতে পারে। এমন সময় কানে গরম তেল ব্যবহার করা নিষেধ। তবে কানে গরম সেঁক দেওয়া যেতে পারে। ঘরে রাখা প্যারাসিটামল সিরাপ বয়স অনুযায়ী খাওয়াতে হবে। শিশু মুখ খুলে শ্বাস নিলে নাকের নরমাল স্যালাইন ড্রপ দিতে হবে, গোসলের সময় কানে যেন পানি না ঢোকে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
হাত-পা মচকানো
অসাবধানতাবশত শিশুর হাত-পা মচকালে মাংসপেশি বা লিগামেন্ট ছিঁড়ে যেতে পারে অথবা হাড্ডিগুলো স্থানচ্যুত হতে পারে। তখন বরফ সেঁক দিন, প্যারাসিটামল জাতীয় সিরাপ খাওয়ান এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন। মনে রাখা জরুরি, শিশুর হাত-পা ধরে হ্যাঁচকা টান দেওয়া চলবে না।
নাক দিয়ে রক্ত পড়া
নাকে ঘা হলে এবং সেই ঘা খুঁটলে শিশুদের নাক দিয়ে রক্ত পড়ে। পাশাপাশি নাকে আঘাত পেলে, ঠান্ডার কারণে, রক্তের কোনো অসুখের কারণেও
নাক দিয়ে রক্ত পড়তে দেখা যায়। হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়া শুরু হলে ঠান্ডা মাথায় যা করতে পারেন—
১. শিশুর নাক দুই আঙুলে চেপে ধরুন
২. বরফ সেঁক দিন নাকের ওপর
৩. না কমলে তুলা গুটাল করে নাকের ছিদ্রে ঢুকিয়ে দিন। এতেও না কমলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
শিশুর শ্বাস বন্ধ রাখা
হঠাৎ কোনো সুস্থ শিশু কান্না করতে করতে শ্বাস বন্ধ করে ফেলে। অনেক সময় হাত-পা শক্ত হয়ে যায় এবং একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারে। এটা শিশুর একটা ভিন্ন আচরণ। শিশু যখন রেগে যায়, ভয় পেয়ে যায় অথবা ব্যথা পেলে এমন করতে দেখা যায়। এটা শিশুর ব্রেনের একটা বিশেষ প্রতিক্রিয়া। এ সময় শিশুদের মন ভুলিয়ে রাখতে হবে। এ রোগে শিশুর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই।
পরামর্শ দিয়েছেন: অধ্যাপক, শিশু বিভাগ, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, আলোক মাদার অ্যান্ড চাইল্ডকেয়ার, মিরপুর-৬ ঢাকা
বেশ কয়েক বছর ধরে দেশে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ জনস্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন, মশা নির্মূল ও মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য অন্যান্য ব্যবস্থা ও কৌশলের পাশাপাশি মশা পরীক্ষা এবং গবেষণাগারও প্রয়োজন।
৪২ মিনিট আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও আটজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি। আজ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
৫ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আরও দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তারা দুজনই পুরুষ। একই সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে আরও ৩৩০ জন ভর্তি হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
১ দিন আগে