ফারজানা ওহাব
ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ে নতুন করে আর কিছু বলার নেই। শিশু থেকে বৃদ্ধ—অনেকে এখন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। এ থেকে বাঁচতে নিজেদের সচেতন থাকা ছাড়া উপায় নেই। ডেঙ্গু রোগের অনেক রকম বিবর্তন ঘটে গেছে এরই মধ্যে। ফলে একে নিয়ন্ত্রণ করাও এখন বেশ কষ্টসাধ্য কাজ।
ডেঙ্গু রোগীকে কোন ধরনের খাবার দেওয়া যাবে বা কী খেলে এই রোগে আক্রান্তরা ভালো থাকবে, এটি জানতে চায় অনেকে।
সাধারণভাবে বলা যায়, ডেঙ্গুর জন্য আসলে এমন কোনো খাবার নেই, যা খেলে রোগী সুস্থ হয়ে যাবে। কেউ যদি তেমন কথা বলে থাকেন, তাহলে বুঝবেন, তিনি প্রতারণা করছেন। তবে কিছু বিষয় আছে, যেগুলো মেনে চলতে পারলে এই রোগে বাড়তি কিছু ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলাফলের ওপর নির্ভর করে কিছু খাবারের পরিবর্তন রোগীকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে।
যে বিষয়গুলো মানতে পারেন
১. ডেঙ্গু রোগীর যাতে পানিশূন্যতা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে বেশি। সে ক্ষেত্রে বয়সভেদে তিন থেকে চার লিটার পানি বা পানিজাতীয় খাবার, যেমন কচি ডাবের পানি, লেবুর শরবত, রসাল ফল বা ফলের রস, দুধ, লাচ্ছি, স্যুপ ইত্যাদি খাওয়ানো যেতে পারে। বেশি পানিশূন্যতা হলে রোগী মুখে স্যালাইন খেতে পারবে। এই সব পানীয় পানিশূন্যতা রোধের পাশাপাশি দেহে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য ঠিক রাখবে।
২. ডেঙ্গুর ফলে শরীরের যেসব টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেগুলো সারিয়ে তুলতে প্রোটিনজাতীয় খাবার খেতে হবে বেশি। এগুলোর মধ্যে আছে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, বাদাম, ডাল ইত্যাদি। প্রোটিনের সঙ্গে সঙ্গে ভিটামিন সি-জাতীয় খাবার, যেমন বিভিন্ন টকজাতীয় ফল, সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। এই খাবারগুলো দেহে আয়রনের শোষণ বাড়ায়। ভিটামিন ডি, যা ডিমের কুসুম, সামুদ্রিক মাছ থেকে পাওয়া যায়, এগুলো রোগের সময় হাড়ের কার্যকারিতা রক্ষায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩. ডেঙ্গুর একটি বড় সমস্যা হচ্ছে, এতে রক্তের প্লাটিলেট দ্রুত কমতে থাকে। তাই এর সংখ্যা বাড়ানোর জন্য সবুজ শাক, ডাল, বাদাম ইত্যাদি খাবার খাওয়া যেতে পারে। আমাদের দেশে একটি ধারণা আছে যে পেঁপে পাতার পানি খেলে প্লাটিলেট দ্রুত বাড়ে। কিন্তু এখনো এর ওপর করা কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণা পাওয়া যায়নি। কিন্তু যেহেতু পেঁপে পাতায় আয়রন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে, তাই সারা দিনে শিশুদের ক্ষেত্রে আধা কাপ এবং বড়দের ক্ষেত্রে ১ কাপ পর্যন্ত পেঁপে পাতার রস খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এটি বেশি পরিমাণে খেলে অ্যাসিডিটি ও বদহজম হতে পারে।
৪. ডেঙ্গুতে প্লাটিলেট কমে যাওয়ায় রক্ত
জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে ভিটামিন কে বেশি আছে এমন খাবার, যেমন পালংশাক, ব্রোকলি, মাংস, কলিজা, মটরশুঁটি, পনির ইত্যাদি খেলে বেশ তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
৫. ডেঙ্গু জ্বরে রোগীর খাওয়ার রুচি কমে যায়। তাই রোগী যাতে সহজে খাবার খেতে পারে এবং সেই খাবার দ্রুত হজম হয়, সে জন্য পাতলা খিচুড়িসহ বিভিন্ন নরম খাবার খেতে দেওয়া যেতে পারে। বেশি তেল ও মসলাযুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে, যাতে পেটে গ্যাস না জমে বা বদহজম না হয়।
ডায়াবেটিস বা কিডনি রোগীর ক্ষেত্রে অবশ্যই বাড়তি সতর্কতা মেনে চলতে হবে। রোগভেদে রোগীর খাদ্যতালিকা অবশ্যই ভিন্ন ভিন্ন হবে। রোগীর প্রতিদিনের রক্ত পরীক্ষার ফল, শারীরিক অবস্থা, পছন্দ-অপছন্দের ওপর নির্ভর করে খাবার তৈরি করতে হবে, যাতে রোগী তার রুচি অনুযায়ী খেতে পারে এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারে।
ফারজানা ওহাব, নিউট্রিশনিস্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-১০, ঢাকা
ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ে নতুন করে আর কিছু বলার নেই। শিশু থেকে বৃদ্ধ—অনেকে এখন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। এ থেকে বাঁচতে নিজেদের সচেতন থাকা ছাড়া উপায় নেই। ডেঙ্গু রোগের অনেক রকম বিবর্তন ঘটে গেছে এরই মধ্যে। ফলে একে নিয়ন্ত্রণ করাও এখন বেশ কষ্টসাধ্য কাজ।
ডেঙ্গু রোগীকে কোন ধরনের খাবার দেওয়া যাবে বা কী খেলে এই রোগে আক্রান্তরা ভালো থাকবে, এটি জানতে চায় অনেকে।
সাধারণভাবে বলা যায়, ডেঙ্গুর জন্য আসলে এমন কোনো খাবার নেই, যা খেলে রোগী সুস্থ হয়ে যাবে। কেউ যদি তেমন কথা বলে থাকেন, তাহলে বুঝবেন, তিনি প্রতারণা করছেন। তবে কিছু বিষয় আছে, যেগুলো মেনে চলতে পারলে এই রোগে বাড়তি কিছু ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলাফলের ওপর নির্ভর করে কিছু খাবারের পরিবর্তন রোগীকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে।
যে বিষয়গুলো মানতে পারেন
১. ডেঙ্গু রোগীর যাতে পানিশূন্যতা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে বেশি। সে ক্ষেত্রে বয়সভেদে তিন থেকে চার লিটার পানি বা পানিজাতীয় খাবার, যেমন কচি ডাবের পানি, লেবুর শরবত, রসাল ফল বা ফলের রস, দুধ, লাচ্ছি, স্যুপ ইত্যাদি খাওয়ানো যেতে পারে। বেশি পানিশূন্যতা হলে রোগী মুখে স্যালাইন খেতে পারবে। এই সব পানীয় পানিশূন্যতা রোধের পাশাপাশি দেহে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য ঠিক রাখবে।
২. ডেঙ্গুর ফলে শরীরের যেসব টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেগুলো সারিয়ে তুলতে প্রোটিনজাতীয় খাবার খেতে হবে বেশি। এগুলোর মধ্যে আছে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, বাদাম, ডাল ইত্যাদি। প্রোটিনের সঙ্গে সঙ্গে ভিটামিন সি-জাতীয় খাবার, যেমন বিভিন্ন টকজাতীয় ফল, সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। এই খাবারগুলো দেহে আয়রনের শোষণ বাড়ায়। ভিটামিন ডি, যা ডিমের কুসুম, সামুদ্রিক মাছ থেকে পাওয়া যায়, এগুলো রোগের সময় হাড়ের কার্যকারিতা রক্ষায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩. ডেঙ্গুর একটি বড় সমস্যা হচ্ছে, এতে রক্তের প্লাটিলেট দ্রুত কমতে থাকে। তাই এর সংখ্যা বাড়ানোর জন্য সবুজ শাক, ডাল, বাদাম ইত্যাদি খাবার খাওয়া যেতে পারে। আমাদের দেশে একটি ধারণা আছে যে পেঁপে পাতার পানি খেলে প্লাটিলেট দ্রুত বাড়ে। কিন্তু এখনো এর ওপর করা কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণা পাওয়া যায়নি। কিন্তু যেহেতু পেঁপে পাতায় আয়রন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে, তাই সারা দিনে শিশুদের ক্ষেত্রে আধা কাপ এবং বড়দের ক্ষেত্রে ১ কাপ পর্যন্ত পেঁপে পাতার রস খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এটি বেশি পরিমাণে খেলে অ্যাসিডিটি ও বদহজম হতে পারে।
৪. ডেঙ্গুতে প্লাটিলেট কমে যাওয়ায় রক্ত
জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে ভিটামিন কে বেশি আছে এমন খাবার, যেমন পালংশাক, ব্রোকলি, মাংস, কলিজা, মটরশুঁটি, পনির ইত্যাদি খেলে বেশ তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
৫. ডেঙ্গু জ্বরে রোগীর খাওয়ার রুচি কমে যায়। তাই রোগী যাতে সহজে খাবার খেতে পারে এবং সেই খাবার দ্রুত হজম হয়, সে জন্য পাতলা খিচুড়িসহ বিভিন্ন নরম খাবার খেতে দেওয়া যেতে পারে। বেশি তেল ও মসলাযুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে, যাতে পেটে গ্যাস না জমে বা বদহজম না হয়।
ডায়াবেটিস বা কিডনি রোগীর ক্ষেত্রে অবশ্যই বাড়তি সতর্কতা মেনে চলতে হবে। রোগভেদে রোগীর খাদ্যতালিকা অবশ্যই ভিন্ন ভিন্ন হবে। রোগীর প্রতিদিনের রক্ত পরীক্ষার ফল, শারীরিক অবস্থা, পছন্দ-অপছন্দের ওপর নির্ভর করে খাবার তৈরি করতে হবে, যাতে রোগী তার রুচি অনুযায়ী খেতে পারে এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারে।
ফারজানা ওহাব, নিউট্রিশনিস্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-১০, ঢাকা
উন্নত দেশগুলো, এমনকি উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও টাইফয়েড এখন খুব কম দেখা যায়। কিন্তু প্রাচীন এই রোগের ফলে আধুনিক বিশ্ব তো বটেই, দুনিয়াজুড়ে বেশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে আবারও। হাজার বছর ধরে মানুষের প্রাণ হন্তারক হিসেবে ‘খুনির’ কাজ করে এসেছে এর জীবাণু। সাম্প্রতিক এক গবেষণা দেখিয়েছে, টাইফয়েডের জন্য দায়ী
৫ ঘণ্টা আগেআমাদের অনেকের প্রায় অনেক সময় নাক খোঁটানোর অভ্যাস আছে। আপাতদৃষ্টে বিষয়টি খুব সাধারণ মনে হলেও গবেষকেরা বলছেন, নাক খোঁটানোর বিষয়টি মোটেও নিরাপদ নয়। ২০২২ সালে বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এক গবেষণায় নাক খোঁটার সঙ্গে স্মৃতিভ্রংশ বা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকির ক্ষীণ কিন্তু সম্ভাব্য যোগসূত্রের কথা বলা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরে নারীদেহের এক প্রত্যঙ্গকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে মনে করা হতো। তবে নতুন এক গবেষণায় জানা যায়, এই প্রত্যঙ্গটিই নারীর ডিম্বাশয়ের বিকাশ ও প্রজনন ক্ষমতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১৪ ঘণ্টা আগেনানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
৩ দিন আগে