Ajker Patrika

‘কর্মক্ষেত্রে কুইন বি হয়ে উঠছেন না তো!’

অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া
আপডেট : ২৩ জুন ২০২৪, ২০: ৫৭
‘কর্মক্ষেত্রে কুইন বি হয়ে উঠছেন না তো!’

‘অফিসে গিয়ে এক মুহূর্ত মনে হয় শ্বাস নিতে পারি না। আমার এক সহকর্মী ভদ্রমহিলা যেন আমাদের বসকে পরিচালনা করে।  মজার ব্যাপার হলো আগের বসও তাঁর খুব কাছের মানুষ ছিলেন; আবার নতুন বসকেও নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরায়। এখন এমন এক অবস্থা করেছে যে এর অনুমতি ছাড়া আমরা কেউ বসের রুমে ঢুকতে পারি না। বিশ্বাস করা যায়? ডিপার্টমেন্টের এমন কেউ নেই যাঁর বিরুদ্ধে সে কথা বলে না, একজনের কথা আরেকজনকে নিজের মত করে লাগায়।’

আমার চেম্বারে কাউন্সেলিং নিতে আসা কর্মজীবী নারীটি এভাবেই বলে গেলেন। খানিকক্ষণ নিঃশ্বাস নিয়ে আবার বলতে শুরু করলেন, ‘ ভদ্রমহিলা আপনার সামনে এমনভাবে আপনাকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুলবেন যেন আপনার জন্য তার প্রাণ কাঁদতে কাঁদতে শেষ। অথচ মূল লক্ষ্য হচ্ছে আপনাকে কন্ট্রোল করা। এইজন্য যদি আপনার নামে কুৎসা রটাতে হয় সে কুৎসা রটাবেন, যদি আপনাকে অপদস্থ করতে হয় আপনাকে অপদস্থ করবেন। প্রত্যেকের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক রাখবেন। সেই সম্পর্ক নানান ভাঁজের। ইনিয়ে বিনিয়ে সত্য-মিথ্যা মিলিয়ে এমন ভাবে তথ্য উপস্থাপন করবেন যেখানে সবাই মনে করবে আপনারই দোষ। বিশেষ করে ডিপার্টমেন্টে প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ব্যাপার নিয়ে গুজগুজ ফুসফুস করবে, সমালোচনা করা যেন এর মজ্জাগত। আপনি টেরই পাবেন না কখন দোষী হয়ে গেছেন অপরের চোখে।’

তাঁর বর্ণনায় বোঝা গেল, তাঁর সহকর্মী নারীটিযে পরিমাণ অসম্মান এবং অবজ্ঞা তাঁকে করেন, তাতে তাঁর নিজের কাজ চালিয়ে যাওয়া প্রায় দুর্বিসহ হয়ে উঠছে। চাকরিটা যদি ছেড়ে দিতে পারতেন তবেই যেন রেহাই পেতেন। কিন্তু তার পরিস্থিতি হয়ত চাকরি ছেড়ে দেওয়ার মতোও নয়।

মডেল: মার্শিয়া শাওন, মেকআপ: শোভন সাহা, ছবি: হাসান রাজা।এবার আসা যাক মূল কথায়, যাঁকে নিয়ে অভিযোগ, সেই অভিযুক্ত নারী সম্ভবত 'কুইন বি সিনড্রোমে ' ভুগছেন। ১৯৭৩ সালে ক্যারল অ্যান টাভ্রিস একজন আমেরিকান, সামাজিক মনোবিজ্ঞানী, নারীবাদী; তাঁর দুই সহযোগী সহ সর্বপ্রথম মনস্তত্ত্বে এই তত্ত্ব উপস্থাপন করেন। একটি মৌচাকে রানী মৌমাছি যেমন অন্য কোন নারী মৌমাছিকে বেঁচে থাকতে দেয় না, মৌচাকের সম্পূর্ণ অধিকার নিজের উপর নিয়ে নেয়, ঠিক সেরকম কুইন বি তে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেকে ছাপিয়ে অন্য কাউকে উঠতে দেন না।

কুইন বি কারা
‘কুইন বি’ উপাধি নারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যাঁরা পুরুষ-শাসিত ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করে। এ ধরনের নারীরা কর্মক্ষেত্রে নিজেদেরকে উপরে প্রতিস্থাপন করেন এবং সাধারণত অন্য নারী কোনভাবেই উপরে উঠুক সেটা সহ্য করতে পারেন না। ব্রিটিশ সাইকোলজি সোসাইটির মতে, যে প্রতিষ্ঠানের অবচেতন সংস্কৃতি– পুরুষ প্রাধান্য নির্ভর, সেসব জায়গায় 'কুইন বি সিনড্রোমে' আক্রান্ত, ক্ষমতালোভী শীর্ষ পদে যেতে আগ্রহী নারীদের দেখা যায়।  এরা অহংকারী, আত্নকেন্দ্রিক, ম্যানিপুলাটিভ, দুর্বিনীত, অগভীর মানসিকতা সম্পন্ন, সহকর্মীদেরকে ভয় দিয়ে অবদমন করে।

এ ধরনের নারীরা কর্মক্ষেত্রে নিজেদের একটি গ্রুপ তৈরি করেন, সেই গ্রুপে সবাইকে প্রবেশাধিকার দেয় না এবং নিজেকে অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখেন উচ্চতর মানুষ হিসেবে। মজার ব্যাপার হচ্ছে কর্মক্ষেত্রে জুনিয়ররা কুইন বি এর আচরণ অবমাননাকর হিসেবে বুঝতে পারলেও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কৃতির অসম্যতার কারণে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কিন্তু সেটা বুঝতে পারেন না। কর্মকর্তারা অন্ধের মতো তোষামোদকারী কুইন বি এর উপরে আস্থা রাখেন। কিন্তু উর্ধ্বতনদের গদি চলে গেলে কুইন বি তখন তাঁদের বিন্দুমাত্র পাত্তা দেয় না। ফলে শীর্ষস্থানীয় পদে যারা অধিষ্ঠিত তাদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

মডেল: মার্শিয়া শাওন, মেকআপ: শোভন সাহা, ছবি: হাসান রাজা।গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারীরা (সবাই নন) যখন ক্ষমতাসীন অবস্থায় পৌঁছাচ্ছেন তখন অধীনস্থ নারী সহকর্মীদের সাথে তারা পুরুষদের তুলনায় অধিক প্রতিকূল এবং বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন। ফলে যিনি কুইন বি তার প্রকৃতপক্ষে অন্যদের সাথে আন্ত সম্পর্কের বন্ধন দুর্বল। যদিও মুখে মুখে সবাই তাকে তোয়াজ করে।

কুইন বি এর আচরণের উদ্দেশ্য কী?
এ ধরনের আচরণের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, তাঁরা তাদের অধীনস্থ নারী কর্মচারীদের থেকে নিজেদেরকে সামাজিকভাবে অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং আলাদা প্রমাণ করা। ফলে তাদের মধ্যে যে একটি শক্তিশালী পৌরষ চেতনা আছে অধীনস্ত নারীদের অবদমন করে তারা সেটা প্রমাণ করতে চান অবচেতনভাবে।

শুধু তাই নয় কুইন বি নিজেও কিন্তু সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকেন যে এই বুঝি কেউ তার সাফল্য কেড়ে নিয়ে গেল। ফলে কুইন বি নিজে সব সময় তটস্থ থাকেন, চেষ্টা করেন অন্যদের টেক্কা দিয়ে নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে। এর পরিণতি স্বরূপ যদি দলে নতুন কোন নারী সদস্য গ্রুপে যুক্ত হন তবে কুইন বি উঠে পড়ে লাগেন নতুন আগত সদস্যকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য। সদ্য আগত নতুন নারী সদস্যটিকে নিয়ে নানাবিধ গুজব, অপপ্রচার, মিথ্যে কথা বলা কোন কিছুতেই কুইন বি কুন্ঠিত হয় না। ধরা পড়ে গেলে এমন একটা ভাব দেখান যেন, ‘আমি তো বুঝতে পারিনি’, অথবা ‘আমি তো কিছু জানি না।’

মডেল: মার্শিয়া শাওন, মেকআপ: শোভন সাহা, ছবি: হাসান রাজা।লক্ষণ ও উপসর্গ

  • প্রতিযোগিতাপূর্ণ, হিংসাবিদ্বেষ এবং ঈর্ষা পূর্ণ কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করেন।
  • নিজের থেকে অধঃস্থনদের ক্রমশই এক ঘরে করে ফেলেন। এটা শেষ হলে নিজের থেকে উপরের পদমর্যাদার ব্যক্তিদেরও ঠেলতে ঠেলতে কোনায় নিয়ে যান, যাতে তাঁরাও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন কর্তৃপক্ষের কাছে। এরা অধিনস্থদের চাপতে চাপতে এমন এক জায়গায় নিয়ে যান যেখানে প্রকৃতপক্ষে ভুক্তভোগী তীব্র হতাশ হয়ে মনে করেন হয় চাকরিটা ছেড়ে দেয়াই বুঝি ভালো।
  • যেকোনো দলগত কাজের কৃতিত্ব বা স্বীকৃতি অন্য কাউকে দেন না।
  • নিজের পছন্দের মানুষ ছাড়া অন্য কাউকে নিজের দলে ঢুকতে না দেওয়া।
  • অন্যকে অসম্মান করা। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে কুইন বি তে আক্রান্ত নারীরা অনেক বেশি রূঢ়, অসভ্য, অসম্মানজনক, অবজ্ঞা ও অবমাননামূলক আচরণ প্রদর্শন করে। কারও সম্পর্কে অশ্লীল বাক্য বলতে এদের বিন্দুমাত্র ঠোঁট কাঁপে না।
  • গোপনে গোপনে দল তৈরি করা, প্রকাশ্যে এক কথা বলা, নীতি নির্ধারণ করা; কিন্তু ভেতরে ভেতরে সেটাকে অস্বীকার করেন।
  • ক্ষমতাসীনের পদলেহন করেন ও ক্ষমতাহীনকে অবজ্ঞা করেন।
  • এরা প্রচন্ড বুলি করতে পছন্দ করেন। বুলি করাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারেন যে ভুক্তভুগী প্রচণ্ড হীনমন্যতায় ভুগবে না হলে সামাজিকভাবে সবার সামনে বদরাগী ব্যক্তি হিসেবে প্রতিপন্ন হবে। কিন্তু অন্যরা কেউ টের পাবে না যে এই রাগ তৈরি করার পেছনে কুইন বি নিজে দায়ী।
  • সামাজিকভাবে কুইন বি নিজেকে ভিকটিম প্রমাণ করে সবার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।

মডেল: মার্শিয়া শাওন, পোশাক: হরিতকী, জুয়েলারি: মনসিজ ক্র‍্যাফট, মেকআপ: বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার, ছবি: হাসান রাজা।কুইন বি’র বৈশিষ্ট্য়
সমাজতত্ত্ব বলে, কুইন বি একজন নারী যিনি একটি দলকে নিয়ন্ত্রণ করেন তাঁর পছন্দের অবস্থানে থেকে। মনে রাখা প্রয়োজন, এই নিয়ন্ত্রণ তিনি করছেন, সম্পূর্ন নিজের ক্ষমতার লোভে, ক্ষমতালিপ্সা থেকে। তিনি নিজের লাভ ছাড়া একটি কাজও করবেন না। এরা প্রধানত ভয় দিয়ে অন্যকে নিয়ন্ত্রণ করেন।

কর্মক্ষেত্রে কুইন বি ও সতর্কতা

  • প্রথমত সচেতন হতে হবে যে নির্দিষ্ট ব্যক্তি কুইন বি সিনড্রোমে আক্রান্ত এবং তাঁর কারণে অন্যরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ফলে কর্মক্ষেত্রে বুলিং এবং হ্যারাসমেন্ট প্রতিরোধে পলিসি নির্ধারণ জরুরি সর্বসম্মতিক্রমে।
  • সোজাসাপ্টা কুইন বি’র সঙ্গে সম্ভব হলে এক টিমে কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ মনে রাখবেন, এরা আপনার কাজ পণ্ড করবেই। কাজেই যে কোন টিম তৈরিতে একজন কুইন বি’র অন্তর্ভুক্তি রেড ফ্লাগ। সহজ কথা কুইন বি কে না বলুন। কারণ স্বার্থপর ব্যক্তিরা অন্যকে ভালবাসতে অক্ষম, তবে তারা নিজেরাও নিজেদের ভালবাসতে সক্ষম নয়।

যেভাবে কুইন বি সিনড্রোমে আক্রান্ত থেকে বাঁচবেন
প্রথমেই নিজের চোখে আয়না ধরুন যখন দেখছেন একজন মানুষ আপনার প্রতি সহমর্মিতার হাত বাড়াচ্ছে না। প্রশ্ন করুন কেন হাত বাড়াচ্ছে না? আপনার নির্দিষ্ট কোন আচরণটির জন্য হাত বাড়াচ্ছে না?

  • চিন্তা করুন আপনার শক্তি এবং দুর্বলতা গুলো কী কী। আপনার করা কাজের ক্রেডিট কীভাবে কুইন বি তে আক্রান্ত ব্যক্তি চুরি করছে প্রকাশ্যে তা বিশ্লেষণ করুন।
  • মনে রাখবেন কুইন বিতে আক্রান্ত নারী শুধু একা আপনার সাথে খারাপ ব্যবহার করছে তা নয়। তিনি অন্য নারীদের কেউ দমিয়ে রাখছেন। তিনি কাদেরকে কাদেরকে দমিয়ে রাখছেন সেটা চিহ্নিত করুন। কেন দমিয়ে রাখছেন, কিভাবে দমিয়ে রাখছেন এই দমন নীতির ফলে কি লাভ হচ্ছে তার সেটা আক্ষরিকভাবে কাগজে লিখুন।
  • এবার যারা অবদমিত হচ্ছেন তাদেরকে নিয়ে শক্তিশালী সাপোর্ট সিস্টেম গড়ে তুলুন। যেখানে আপনার পাশে দাঁড়ানো মানুষগুলো দায়িত্ব নিয়ে আপনার পাশে দাঁড়াবে এবং কুইন বিয়েতে আক্রান্ত মানুষটির নেতিবাচক আচরণগুলোতে প্রভাবিত হবে না।
  • নিজে ইতিবাচক থাকুন এবং আপনার পাশের অবদমিত মানুষগুলোকে সহযোগিতা করুন নিঃস্বার্থভাবে পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জায়গা থেকে। মনে রাখুন, দলগতভাবে কাজ করা মানে ‘আমি’ থেকে ‘আমরা’ হয়ে ওঠার প্রথম ধাপ। যাঁরা পৃথিবীতে শুধু ‘আমি’ ‘আমি’ করে তাঁরা খুব বেশি দূর আগাতে পারে না। আমাদের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা গুণাবলী আছে। তাই সবাই মিলে যখন একটি দল তৈরি করব সেই দলটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাবেই।

লেখক: চিকিৎসক, কাউন্সিলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার, বাংলাদেশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দাঁতের যত্নে অবহেলায় হতে পারে বিপদ

ডা. পূজা সাহা
দাঁতের যত্নে অবহেলায় হতে পারে বিপদ

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।

দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা

দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা

দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্‌রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।

টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়

অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।

স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা

অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।

দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়

শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।

কিছু সাধারণ পরামর্শ

  • দিনে অন্তত দুবার নরম ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করুন।
  • প্রতি তিন মাসে একবার টুথব্রাশ পরিবর্তন করুন।
  • আঁশযুক্ত ও ক্যালসিয়াম-সমৃদ্ধ খাবার বেশি খান।
  • চিনি বা টক খাবার খাওয়ার পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
  • বছরে অন্তত একবার দাঁতের চিকিৎসকের কাছে গিয়ে দাঁত পরীক্ষা করান।
  • দাঁতের ব্যথা, ক্ষয় অথবা সেনসিটিভিটি দেখা দিলে তা অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসা নিন। কারণ, দাঁত হারানো মানে শুধু সৌন্দর্য নয়, আত্মবিশ্বাসও হারিয়ে ফেলা। নিয়মিত যত্ন নিলে দাঁত থাকবে মজবুত, আর হাসিও হয়ে উঠবে উজ্জ্বল।

লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্পন্ডিলাইটিস: মেরুদণ্ডের নীরব ব্যথা

ডা. মো. নূর আলম
স্পন্ডিলাইটিস: মেরুদণ্ডের নীরব ব্যথা

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।

কশেরুকা কী

মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।

ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।

কেন বাড়ছে এই রোগ

আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।

স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন

সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।

লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত

ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।

সাধারণ লক্ষণ

  • ঘাড় ও কাঁধে ব্যথা এবং শক্ত হয়ে যাওয়া।
  • স্নায়ুর চাপে ব্লাডার কিংবা বাওয়েলের নিয়ন্ত্রণ হারানো।
  • আঙুল অবশ হয়ে যাওয়া অথবা ঝিনঝিন ভাব।
  • কোমর থেকে পা পর্যন্ত দুর্বলতা ও শক্ত ভাব।
  • বুকে ব্যথা ও মাংসপেশির সমস্যা।
  • ঘাড় থেকে পিঠের ওপরের অংশ পর্যন্ত টান ধরা ব্যথা।

সম্ভাব্য কারণ

  • ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনের ঘাটতি।
  • ভুল ভঙ্গিতে বসা বা দাঁড়ানো।
  • বয়সজনিত হাড়ের দুর্বলতা।
  • নিয়মিত শরীরচর্চার অভাব।
  • দীর্ঘ সময় বসে কাজ করা অথবা অলস জীবনযাপন।
  • অপর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার।

পরামর্শ

যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।

লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হলে করণীয়

ডা. মো. মাজহারুল হক তানিম 
পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হলে করণীয়

পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।

কখন বলবেন বেশি রক্ত যাচ্ছে

পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হলে তাকে বলা হয় ম্যানোরেজিয়া। এর সাধারণ লক্ষণগুলো হলো

সাত দিনের বেশি সময় ধরে রক্তপাত হলে, সংখ্যায় বেশি প্যাড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে এবং ব্লিডিংয়ের সঙ্গে চাকা চাকা রক্তপাত হলে।

কেন বেশি ব্লিডিং হতে পারে

  • হরমোনাল ইমব্যালেন্স, হাইপোথাইরয়েডিজম বা হাইপারথাইরয়েডিজম থাকলে
  • পলিসিস্টিক ওভারেন্সি থাকলে। এর কারণে অনেক সময় বেশি দিন ধরে রক্তপাত হয় অথবা অনিয়মিত পিরিয়ড হয়ে থাকে।
  • জরায়ুতে টিউমার বা পলিপ থাকলে।
  • অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা কিংবা স্ট্রেস হলে।
  • হঠাৎ ওজন কমে গেলে কিংবা বেড়ে গেলে।

করণীয়

হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের ক্ষেত্রে, রক্তপ্রবাহ এবং পেটের খিঁচুনি আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করে। যদি অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের কারণে পিরিয়ডকে ভয় পান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। এর অনেক চিকিৎসা রয়েছে, যা সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর দরকার হয়। যেমন হরমোনের সমস্যা আছে কি না বা প্লিসটিক ওভারেসি সিনড্রোম আছে কি না অথবা থাইরো হরমোনের সমস্যা আছে কি না। আলট্রাসনো করেও অনেক সময় দেখা হয়, জরায়ুতে কোনো টিউমার আছে কি না। ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে, যাদের হরমনাল ইমব্যালেন্স থাকে, তাদের ক্ষেত্রে হরমোন ব্যালেন্স করার জন্য প্রজেস্টেরন-জাতীয় হরমোন দিয়ে থাকি। আবার থাইরো হরমোনের তারতম্য থাকলে থাইরো হরমোনের রিপ্লেসমেন্ট বা যে কারণে হচ্ছে, সেটার ওষুধ দিয়ে থাকি। টিউমার থাকলে অনেক সময় অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এই অপারেশন সব সময় যে দরকার হয় এমন নয়; বা অতিরিক্ত ব্লিডিং হলেই যে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে হবে, তা কিন্তু নয়।

লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অতিরিক্ত প্রোটিন খেলে যে সমস্যা হয়

নাহিদা আহমেদ 
অতিরিক্ত প্রোটিন খেলে যে সমস্যা হয়

মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে, তিনি প্রতিদিন ৬০ গ্রামের মতো প্রোটিন গ্রহণ করতে পারবেন। কিডনির সমস্যাসহ বিশেষ কিছু রোগের ক্ষেত্রে আবার পরিমাণ কমাতে হবে। আবার মেয়েদের মাসিকের সময় এবং গর্ভকালে এই প্রোটিনের চাহিদা প্রায় দ্বিগুণ হারে বেড়ে থাকে।

অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে শরীরে যেসব সমস্যা হতে পারে—

নিশ্বাসে দুর্গন্ধ

মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণের ফলে নিশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে। অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে শরীর কিটোসিস নামক একটি বিপাকীয় অবস্থায় চলে যায়। এই অবস্থায় বিভিন্ন রাসায়নিক তৈরি হয় বলে শরীরে অপ্রীতিকর গন্ধ তৈরি হয়।

কিডনি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে প্রোটিন ভেঙে অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি হয়।

এ থেকে তৈরি হয় নাইট্রোজেন বা বর্জ্য পদার্থ। যেসব রোগীর কিডনির বিভিন্ন জটিলতা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে দুর্বল কিডনি শরীর থেকে অতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনের জন্য আরও বেশি শক্তি ক্ষয় করে। এর ফলে কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।

পানিশূন্যতা সৃষ্টি হতে পারে

অতিরিক্ত নাইট্রোজেন বের করার জন্য শরীরে বিভিন্ন তরল ও পানির নিষ্কাশন বেড়ে যায়। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তৃষ্ণার্ত না করেও এটি আপনাকে পানিশূন্য করে দিতে পারে।

ডায়রিয়া হতে পারে

অত্যধিক দুগ্ধজাত অথবা প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার ফলে আঁশের অভাব দেখা দিতে পারে। এতে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি বিশেষভাবে সত্য হবে, যদি আপনার দুধজাতীয় খাবার খাওয়ায় সমস্যা থাকে কিংবা ভাজা মাংস, মাছ এবং হাঁস-মুরগির মতো উৎস থেকে প্রোটিন গ্রহণ করেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে

অনেকে শর্করা কমিয়ে দিয়ে প্রোটিন গ্রহণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। তাঁদের ক্ষেত্রে শরীরে আঁশের ঘাটতি হয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘ সময় প্রতিদিন একটানা ১০০ গ্রামের বেশি লাল মাংস খেলে হৃদ্‌রোগের আশঙ্কা, ব্রেইন স্ট্রোকের ঝুঁকি, বৃহদন্ত্র ও প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ছাড়া বেশি প্রোটিন গ্রহণ ফুসফুসের নানা রোগে আক্রান্ত হওয়া, কোলন ও স্তন ক্যানসারে ভূমিকা রাখে। এমনকি অতিরিক্ত লাল মাংস গ্রহণে আর্থ্রাইটিস, গাউট, পেপটিক আলসার, পিত্তথলিতে পাথর, প্যানক্রিয়াস প্রদাহ, কিডনি রোগসহ বিভিন্ন জটিলতা তৈরি করে।

লেখক: পুষ্টিবিদ, ফরাজি হসপিটাল, বারিধারা

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত