Ajker Patrika

চিকুনগুনিয়ার প্রথম টিকার অনুমোদন দিল যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৩, ১৩: ৪৯
Thumbnail image

মশাবাহিত ভাইরাস জ্বর চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে বিশ্বে প্রথম ভ্যাকসিন বা টিকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) ইক্সচিক (Ixchiq) নামের এই টিকার অনুমোদন দেয়। 

ইক্সচিক এক ডোজের টিকা, যা ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে প্রয়োগ করা হয়। এই টিকার উপাদান চিকুনগুনিয়া ভাইরাসের জীবিত, দুর্বল ও বিশেষ একটি সংস্করণ। এর প্রয়োগের পর চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তদের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। 

চিকুনগুনিয়া ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা ১৮ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী মানুষের জন্য এই টিকা তৈরি করা হয়েছে। ইউরোপের ওষুধ কোম্পানি ভালনেভাকে এই টিকা উৎপাদনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। 

এফডিএ বলছে, তিন পর্যায়ের মেডিক্যাল ট্রায়াল বা পরীক্ষামূলক প্রয়োগের মাধ্যমে এই টিকার নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা যাচাই করে দেখেছে ভালনেভা। সেই সব ট্রায়ালে অংশ নিয়েছেন অন্তত ৩ হাজার ৫০০ স্বেচ্ছাসেবী। ট্রায়ালে সাধারণ উপসর্গ হিসেবে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, পেশিতে ব্যথা, সন্ধিতে ব্যথা, জ্বর, বমিভাব ও টিকা প্রয়োগের স্থানে জ্বালাপোড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

এফডিএর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও মুখপাত্র পিটার মার্কস এক বিবৃতিতে বলেন, বয়স্ক লোকজন এবং আগে থেকে রোগাক্রান্ত মানুষ চিকুনগুনিয়ায় সংক্রমিত হয়ে দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক জটিলতায় পড়তে পারে। এই রোগের প্রথম টিকার অনুমোদন দেওয়া হলো। এটি চিকুনগুনিয়া চিকিৎসার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী আবিষ্কার। 

ডেঙ্গু ও জিকার মতো চিকুনগুনিয়াও এডিস প্রজাতির মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এই রোগ প্রথম ১৯৫২ সালে আফ্রিকায় দেখা যায়। পরে ভারত, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার ও ইন্দোনেশিয়ার মতো এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এর বিস্তার হয়। 

বাংলাদেশে ২০০৮ সালে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে চিকুনগুনিয়া ভাইরাসের প্রার্দুভাব দেখা যায়। ২০১১ সালে ঢাকার দোহার উপজেলায় এই রোগ দেখা যায়। 

এরপর বিচ্ছিন্ন দু-একটি রোগী ছাড়া আর বিস্তার দেখা যায়নি। বর্ষার পরপর যখন মশার উপদ্রব বেশি হয়, তখন এই রোগের বিস্তার বেশি দেখা যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত