আয়নাল হোসেন, ঢাকা
দেশে ক্রমেই বাড়ছে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা। সে তুলনায় চিকিৎসাব্যবস্থা খুবই সীমিত। এরপরও বিদ্যমান চিকিৎসাব্যবস্থার সবগুলোকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। পুরান ঢাকার সরকারি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল এর একটি উদাহরণ। এখানে ২৯ বছর আগে রেডিওথেরাপি বিভাগ (ক্যানসারের চিকিৎসা) চালু করা হলেও তা নামসর্বস্ব বিভাগে পরিণত হয়েছে।
মিটফোর্ড দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ১৯৯৬ সালে এখানে চালু করা হয় রেডিওথেরাপি বিভাগ। তবে চালুর পর থেকে বিভাগটির আর কোনো উন্নয়ন করা হয়নি। এখানে নেই রেডিওথেরাপি মেশিন। বস্তুত কেমোথেরাপি ছাড়া আর কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই এখানে। অথচ ক্যানসারের রোগীদের অনেককেই রেডিওথেরাপি দিতে হয়। নেই চিকিৎসকসহ পর্যাপ্ত লোকবল। সেদিক থেকে রেডিওথেরাপি বিভাগটি সাইনবোর্ডসর্বস্ব বললে বাড়িয়ে বলা হবে না।
ক্যানসার বিভাগে কর্মরতরা জানান, বর্তমানে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও পাশের কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও দোহার এবং ফরিদপুর, বরিশাল, মাদারীপুর, শরীয়তপুরসহ বিভিন্ন জেলার অনেক মানুষ এ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন। ঢাকা সদরঘাটের অদূরে অবস্থান হওয়ায় নৌপথে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অনেক রোগী মিটফোর্ডে আসেন। মাসে এখানে তিনশর মতো ক্যানসার রোগী আসেন। কিন্তু এর চিকিৎসার যথেষ্ট সুবিধা না থাকায় তাঁদের হতাশ হতে হয়।
বিভাগের কর্মীরা জানান, শুধু কেমোথেরাপি ও কলেজের শিক্ষার্থীদের পাঠদানে কিছুটা সহযোগিতা করা হয়। কাজ না থাকায় বেশির ভাগ সময় তাঁদের অলস বসে সময় কাটাতে হয়।
মিটফোর্ডের ক্যানসার বিভাগে একজন করে সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও রেডিওথেরাপিস্ট রয়েছেন। দরকার দুজন অধ্যাপক, চারজন সহযোগী অধ্যাপক, আটজন সহকারী অধ্যাপক, ১৬ জন মেডিকেল অফিসার বা সমমানের চিকিৎসক। এ ছাড়া আটজন টেকনোলজিস্ট এবং নার্স, ওয়ার্ড বয়, আয়াসহ ৩০ জন জনবল দরকার।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাজহারুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল দেওয়া হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। সহকারী পরিচালক ডা. মফিজুর রহমান মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ক্যানসার বিভাগের যন্ত্রপাতির দাম অনেক বেশি। বর্তমানে যেখানে ক্যানসার বিভাগ রয়েছে, সেখানে যন্ত্রপাতি স্থাপন করা সম্ভব নয়। নতুন ভবন করেই মেশিন স্থাপন করতে হবে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হিসেবে মিটফোর্ডের ক্যানসার বিভাগে সব ধরনের সেবা চালু করা খুবই জরুরি। বিভাগটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালুর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক বিএসএমএমইউ) এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে ১১৪ জন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে ক্যানসারের প্রাদুর্ভাব বেশি।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, পুরুষদের মধ্যে ৭৩ শতাংশ ধূমপানে অভ্যস্ত। ৪১ শতাংশ পুরুষ ও ৬১ শতাংশ নারী সাদাপাতা, তামাক ও জর্দায় অভ্যস্ত। পাশাপাশি ৬৫ শতাংশ পুরুষ ও ৭৫ শতাংশ নারীর পান-সুপারি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। এসব কারণে তাঁদের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে।
দেশে ক্রমেই বাড়ছে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা। সে তুলনায় চিকিৎসাব্যবস্থা খুবই সীমিত। এরপরও বিদ্যমান চিকিৎসাব্যবস্থার সবগুলোকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। পুরান ঢাকার সরকারি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল এর একটি উদাহরণ। এখানে ২৯ বছর আগে রেডিওথেরাপি বিভাগ (ক্যানসারের চিকিৎসা) চালু করা হলেও তা নামসর্বস্ব বিভাগে পরিণত হয়েছে।
মিটফোর্ড দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ১৯৯৬ সালে এখানে চালু করা হয় রেডিওথেরাপি বিভাগ। তবে চালুর পর থেকে বিভাগটির আর কোনো উন্নয়ন করা হয়নি। এখানে নেই রেডিওথেরাপি মেশিন। বস্তুত কেমোথেরাপি ছাড়া আর কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই এখানে। অথচ ক্যানসারের রোগীদের অনেককেই রেডিওথেরাপি দিতে হয়। নেই চিকিৎসকসহ পর্যাপ্ত লোকবল। সেদিক থেকে রেডিওথেরাপি বিভাগটি সাইনবোর্ডসর্বস্ব বললে বাড়িয়ে বলা হবে না।
ক্যানসার বিভাগে কর্মরতরা জানান, বর্তমানে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও পাশের কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও দোহার এবং ফরিদপুর, বরিশাল, মাদারীপুর, শরীয়তপুরসহ বিভিন্ন জেলার অনেক মানুষ এ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন। ঢাকা সদরঘাটের অদূরে অবস্থান হওয়ায় নৌপথে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অনেক রোগী মিটফোর্ডে আসেন। মাসে এখানে তিনশর মতো ক্যানসার রোগী আসেন। কিন্তু এর চিকিৎসার যথেষ্ট সুবিধা না থাকায় তাঁদের হতাশ হতে হয়।
বিভাগের কর্মীরা জানান, শুধু কেমোথেরাপি ও কলেজের শিক্ষার্থীদের পাঠদানে কিছুটা সহযোগিতা করা হয়। কাজ না থাকায় বেশির ভাগ সময় তাঁদের অলস বসে সময় কাটাতে হয়।
মিটফোর্ডের ক্যানসার বিভাগে একজন করে সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও রেডিওথেরাপিস্ট রয়েছেন। দরকার দুজন অধ্যাপক, চারজন সহযোগী অধ্যাপক, আটজন সহকারী অধ্যাপক, ১৬ জন মেডিকেল অফিসার বা সমমানের চিকিৎসক। এ ছাড়া আটজন টেকনোলজিস্ট এবং নার্স, ওয়ার্ড বয়, আয়াসহ ৩০ জন জনবল দরকার।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাজহারুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল দেওয়া হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। সহকারী পরিচালক ডা. মফিজুর রহমান মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ক্যানসার বিভাগের যন্ত্রপাতির দাম অনেক বেশি। বর্তমানে যেখানে ক্যানসার বিভাগ রয়েছে, সেখানে যন্ত্রপাতি স্থাপন করা সম্ভব নয়। নতুন ভবন করেই মেশিন স্থাপন করতে হবে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হিসেবে মিটফোর্ডের ক্যানসার বিভাগে সব ধরনের সেবা চালু করা খুবই জরুরি। বিভাগটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালুর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক বিএসএমএমইউ) এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে ১১৪ জন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে ক্যানসারের প্রাদুর্ভাব বেশি।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, পুরুষদের মধ্যে ৭৩ শতাংশ ধূমপানে অভ্যস্ত। ৪১ শতাংশ পুরুষ ও ৬১ শতাংশ নারী সাদাপাতা, তামাক ও জর্দায় অভ্যস্ত। পাশাপাশি ৬৫ শতাংশ পুরুষ ও ৭৫ শতাংশ নারীর পান-সুপারি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। এসব কারণে তাঁদের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে।
একটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০টিরও বেশি ধরনের ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই রক্ত পরীক্ষা ক্যানসার শনাক্ত করার গতিও বাড়িয়ে দেয়।
১ দিন আগেজাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের তরুণ বলা হয়। বাংলাদেশে তরুণের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। বর্তমানে এই তরুণদের মধ্যেও বিভিন্ন রকমের নন-কমিউনিকেবল রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। আগে মনে করা হতো, ডায়াবেটিস বয়স্ক মানুষের রোগ।
১ দিন আগেহিমালয়ের ‘হিমলুং’ পর্বত শিখরে অভিযান শুরু করতে যাচ্ছেন দেশের নারী পর্বতারোহী নুরুননাহার নিম্মি। ৩০ দিনের এই অভিযানে শনিবার (আজ) নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন তিনি। শুক্রবার (গতকাল) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযাত্রী নুরুননাহার নিম্মির হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়।
১ দিন আগেনারীর ক্যানসারের মধ্যে স্তন ক্যানসারই বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি নির্ণয় হওয়া রোগ। ২০২২ সালে আনুমানিক ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন নারী এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং আরও ৬ লাখ ৭০ হাজার নারী মারা গেছেন। যেখানে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে এই রোগে ৫ বছর বেঁচে থাকার হার ৯০ শতাংশের বেশি, সেখানে ভারতে এই সংখ্যা ৬৬ শতাংশ...
১ দিন আগে