Ajker Patrika

স্তন ক্যানসার সচেতনতা মাস

ভুল ধারণা পেছনে ফেলে সচেতনতা বাড়াতে হবে

ফিচার ডেস্ক
ভুল ধারণা পেছনে ফেলে সচেতনতা বাড়াতে হবে

নারীর ক্যানসারের মধ্যে স্তন ক্যানসারই বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি নির্ণয় হওয়া রোগ। ২০২২ সালে আনুমানিক ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন নারী এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং আরও ৬ লাখ ৭০ হাজার নারী মারা গেছেন। যেখানে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে এই রোগে ৫ বছর বেঁচে থাকার হার ৯০ শতাংশের বেশি, সেখানে ভারতে এই সংখ্যা ৬৬ শতাংশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় ৪০ শতাংশে নেমে আসে। এই বৈষম্যগুলো মূলত প্রাথমিক শনাক্তকরণ, সময়মতো রোগনির্ণয় এবং কার্যকর চিকিৎসার অসমতার কারণে হয়েছে। বর্তমান ধারা বজায় থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে এ রোগের ঘটনা এবং মৃত্যুহার ৪০ শতাংশ বাড়বে। তাই জরুরি এবং সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন।

অপরিহারযোগ্য ঝুঁকি

ব্রেস্ট, খাদ্যনালি ও কলোরেক্টাল সার্জন মো. সেতাবুর রহমান স্তন ক্যানসারের অপরিহারযোগ্য ঝুঁকি সম্পর্কে জানিয়েছেন। তিনি কিছু ধরন সম্পর্কে আলোচনা করেন—

লিঙ্গ: স্তন ক্যানসার নারী-পুরুষ উভয়ের হতে পারে। তবে পুরুষের তুলনায় নারীর প্রায় ১০০ গুণ বেশি হয় এ ক্যানসার।

বয়স: স্তন ক্যানসারে আক্রান্তের হার ৪০ বছর বয়সের পরে বাড়ে। ৭০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে সর্বোচ্চ। গবেষণায় দেখা গেছে, আক্রমণাত্মক স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে দুজনের বয়স ৫৫ বছরের বেশি।

পারিবারিক ও জেনেটিক: পরিবারের কারও স্তন

বা ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে অন্যদের ঝুঁকি বাড়ে। ৪০ বছরের কম বয়সীর নিকটাত্মীয়ের স্তন ক্যানসার থাকলে ঝুঁকি আরও বাড়ে।

স্বাস্থ্য: এক স্তনে ক্যানসার ধরা পড়লে ভবিষ্যতে অন্য স্তনে ক্যানসার ধরা পড়ার ঝুঁকি থাকে।

ঋতুস্রাব ও সন্তান জন্মদান: ১২ বছরের আগে ঋতুস্রাব শুরু এবং মেনোপজ ৫৫ বছরের পরে হলে অধিক বয়সে সন্তান জন্ম কিংবা সন্তান না হওয়ার কারণে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।

ঘন স্তন টিস্যু: স্তন টিস্যু ঘন হলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

জেনেটিক পলিমরফিজম: কিছু জিনের জেনেটিক পলিমরফিজমের কারণে ঝুঁকি কম-বেশি হয়।

স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় যেসব অভ্যাস

বিশ্বব্যাপী নারীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির অন্যতম বড় কারণ স্তন ক্যানসার। তবে সচেতন জীবনযাপন এবং কিছু অভ্যাস বদলালে এই ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।

যা করবেন—

নিয়মিত শরীরচর্চা করুন।

  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • পুষ্টিকর খাবার খান। সবুজ শাকসবজি, বেরিজাতীয় ফল, পূর্ণ শস্য, বাদাম, ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ এবং অলিভ অয়েল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
  • ধূমপান ও মদ্যপান এড়িয়ে চলুন।
  • সম্ভব হলে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান।
  • জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ও হরমোন থেরাপি নিয়ে সাবধান থাকুন।
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত