আলমগীর আলম
রান্নার ইতিহাস মানবজাতির ইতিহাসের মতোই পুরোনো। আগুন আবিষ্কারের পর মানুষ তার আঁচে খাবার সেঁকে খাওয়া শুরু করে। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন পাত্র ব্যবহার করে খাবার সেদ্ধ এবং রান্না করার পদ্ধতি আবিষ্কার করে।
এ সময় থেকে শুরু হয় মানুষের খাদ্য গ্রহণ পদ্ধতির পরিবর্তন। এরপর তারা খাদ্যকে বিভিন্নভাবে প্রক্রিয়াকরণ করতে শেখে।
বিভিন্ন সভ্যতা; যেমন মিসর, গ্রিক, রোম, ভারতীয় এবং চীনা সভ্যতায় রান্নার বিভিন্ন পদ্ধতির প্রচলন ছিল। এসব সভ্যতায় বিভিন্ন ভেষজ ও মসলার ব্যবহার শুরু হয়, যা খাবারের স্বাদ ও গন্ধকে ভিন্নতা দেয়। মধ্যযুগে মসলার বাণিজ্য প্রসারিত হলে বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে মসলার আদান-প্রদান হয় এবং রান্নার পদ্ধতিতে নতুনত্ব আসে।
খাবার সংরক্ষণ করে রাখার পদ্ধতি বেশ প্রাচীন। ক্রমান্বয়ে প্রযুক্তির উন্নতি হলে মানুষ রান্না করা ঠান্ডা খাবার গরম করে খাওয়ার পদ্ধতিও আবিষ্কার করে। সে যন্ত্রের আধুনিক সংস্করণ মাইক্রোওয়েভ ওভেন এখন আমাদের জীবনের বাস্তবতা।
মাইক্রোওয়েভ ওভেন মূলত একটি যন্ত্র, যা বিদ্যুৎ ব্যবহার করে খাবার গরম করে। এটি মাইক্রোওয়েভ নামক একপ্রকার তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ ব্যবহার করে, যা আমাদের চারপাশে বিদ্যমান। এই তরঙ্গগুলো সাধারণত ২.৪৫ গিগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সিতে থাকে। মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ভেতরে একটি ম্যাগনেট্রন নামক যন্ত্র থাকে, যা এই মাইক্রোওয়েভ তৈরি করে।
এই মাইক্রোওয়েভগুলো খাবারের সংস্পর্শে এলে খাবারের মধ্যে থাকা পানির অণুগুলোতে কম্পন তৈরি হয়। এই কম্পনের ফলে তাপ উৎপন্ন হয় এবং খাবার
গরম হতে শুরু করে। মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ভেতরে একটি ধাতব জাল থাকে, সেটি মাইক্রোওয়েভগুলোকে বাইরে বের হতে বাধা দেয়। ফলে খাবার গরম করার সময় কোনো ধরনের ঝুঁকি থাকে না।
মাইক্রোওয়েভ ওভেনের কার্যকারিতা অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে, যেমন খাবারের পরিমাণ, উপাদান এবং মাইক্রোওয়েভের ক্ষমতা। সাধারণত মাইক্রোওয়েভ ওভেন খুব দ্রুত খাবার গরম করতে পারে, যা ব্যস্ত জীবনে উপযোগী হলেও এই নিয়ে মিশ্র কথা চালু আছে।
মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা
সুবিধা
খাবার খুব দ্রুত গরম হয়: মাইক্রোওয়েভ ওভেনের প্রধান সুবিধা হলো, এর মাধ্যমে খুব কম সময়ের মধ্যে খাবার গরম করা যায়। ব্যস্ত জীবনে এটা খুবই উপযোগী।
সহজ ব্যবহার: এটি ব্যবহার করা খুব সহজ। যে কেউ নির্দেশিকা পড়ে এটি ব্যবহার করতে পারেন।
বিভিন্ন ধরনের রান্না: মাইক্রোওয়েভ ওভেনে শুধু খাবার গরম করাই নয়; বরং কেক, পপকর্নসহ বিভিন্ন খাবার তৈরি করা যায়।
সময় সাশ্রয়: দ্রুততম সময়ে রান্না হয় বলে এটি আমাদের প্রতিদিন অনেক সময় বাঁচিয়ে দেয়।
খাবার গরম রাখার সুবিধা: মাইক্রোওয়েভ ওভেনে খাবার গরম করার পর বেশ কিছু সময় পর্যন্ত তা গরম থাকে।
অসুবিধা
স্বাস্থ্যঝুঁকি: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ইলেকট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণের ফলে এটি একাধিক শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন ঘটায়। কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে অনেক জটিল বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ ঘটে। মানুষের শিখন প্রক্রিয়া এবং স্মৃতিশক্তি ইলেকট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
ভিটামিন নষ্ট হওয়া: মাইক্রোওয়েভ ওভেনে খাবার গরম করলে কিছু ভিটামিন নষ্ট হয়ে
যেতে পারে।
গঠনগত সমস্যা: মাংস কিংবা শাকসবজির মতো কিছু খাবারের জন্য মাইক্রোওয়েভ ওভেন আদর্শ না-ও হতে পারে।
সব ধরনের খাবারের উপযোগী নয়: মাইক্রোওয়েভ ওভেন সব ধরনের খাবার গরম করার জন্য উপযুক্ত নয়। ডিম, আলু ইত্যাদি মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করলে বিস্ফোরিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
পরিষ্কার করার ঝামেলা: মাইক্রোওয়েভ ওভেন নিয়মিত পরিষ্কার না করলে এতে খাবারের দাগ লেগে যেতে পারে। এটি ব্যবহারের জন্যও অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠতে পারে।
পরামর্শ দিয়েছেন: খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
রান্নার ইতিহাস মানবজাতির ইতিহাসের মতোই পুরোনো। আগুন আবিষ্কারের পর মানুষ তার আঁচে খাবার সেঁকে খাওয়া শুরু করে। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন পাত্র ব্যবহার করে খাবার সেদ্ধ এবং রান্না করার পদ্ধতি আবিষ্কার করে।
এ সময় থেকে শুরু হয় মানুষের খাদ্য গ্রহণ পদ্ধতির পরিবর্তন। এরপর তারা খাদ্যকে বিভিন্নভাবে প্রক্রিয়াকরণ করতে শেখে।
বিভিন্ন সভ্যতা; যেমন মিসর, গ্রিক, রোম, ভারতীয় এবং চীনা সভ্যতায় রান্নার বিভিন্ন পদ্ধতির প্রচলন ছিল। এসব সভ্যতায় বিভিন্ন ভেষজ ও মসলার ব্যবহার শুরু হয়, যা খাবারের স্বাদ ও গন্ধকে ভিন্নতা দেয়। মধ্যযুগে মসলার বাণিজ্য প্রসারিত হলে বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে মসলার আদান-প্রদান হয় এবং রান্নার পদ্ধতিতে নতুনত্ব আসে।
খাবার সংরক্ষণ করে রাখার পদ্ধতি বেশ প্রাচীন। ক্রমান্বয়ে প্রযুক্তির উন্নতি হলে মানুষ রান্না করা ঠান্ডা খাবার গরম করে খাওয়ার পদ্ধতিও আবিষ্কার করে। সে যন্ত্রের আধুনিক সংস্করণ মাইক্রোওয়েভ ওভেন এখন আমাদের জীবনের বাস্তবতা।
মাইক্রোওয়েভ ওভেন মূলত একটি যন্ত্র, যা বিদ্যুৎ ব্যবহার করে খাবার গরম করে। এটি মাইক্রোওয়েভ নামক একপ্রকার তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ ব্যবহার করে, যা আমাদের চারপাশে বিদ্যমান। এই তরঙ্গগুলো সাধারণত ২.৪৫ গিগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সিতে থাকে। মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ভেতরে একটি ম্যাগনেট্রন নামক যন্ত্র থাকে, যা এই মাইক্রোওয়েভ তৈরি করে।
এই মাইক্রোওয়েভগুলো খাবারের সংস্পর্শে এলে খাবারের মধ্যে থাকা পানির অণুগুলোতে কম্পন তৈরি হয়। এই কম্পনের ফলে তাপ উৎপন্ন হয় এবং খাবার
গরম হতে শুরু করে। মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ভেতরে একটি ধাতব জাল থাকে, সেটি মাইক্রোওয়েভগুলোকে বাইরে বের হতে বাধা দেয়। ফলে খাবার গরম করার সময় কোনো ধরনের ঝুঁকি থাকে না।
মাইক্রোওয়েভ ওভেনের কার্যকারিতা অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে, যেমন খাবারের পরিমাণ, উপাদান এবং মাইক্রোওয়েভের ক্ষমতা। সাধারণত মাইক্রোওয়েভ ওভেন খুব দ্রুত খাবার গরম করতে পারে, যা ব্যস্ত জীবনে উপযোগী হলেও এই নিয়ে মিশ্র কথা চালু আছে।
মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা
সুবিধা
খাবার খুব দ্রুত গরম হয়: মাইক্রোওয়েভ ওভেনের প্রধান সুবিধা হলো, এর মাধ্যমে খুব কম সময়ের মধ্যে খাবার গরম করা যায়। ব্যস্ত জীবনে এটা খুবই উপযোগী।
সহজ ব্যবহার: এটি ব্যবহার করা খুব সহজ। যে কেউ নির্দেশিকা পড়ে এটি ব্যবহার করতে পারেন।
বিভিন্ন ধরনের রান্না: মাইক্রোওয়েভ ওভেনে শুধু খাবার গরম করাই নয়; বরং কেক, পপকর্নসহ বিভিন্ন খাবার তৈরি করা যায়।
সময় সাশ্রয়: দ্রুততম সময়ে রান্না হয় বলে এটি আমাদের প্রতিদিন অনেক সময় বাঁচিয়ে দেয়।
খাবার গরম রাখার সুবিধা: মাইক্রোওয়েভ ওভেনে খাবার গরম করার পর বেশ কিছু সময় পর্যন্ত তা গরম থাকে।
অসুবিধা
স্বাস্থ্যঝুঁকি: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ইলেকট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণের ফলে এটি একাধিক শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন ঘটায়। কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে অনেক জটিল বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ ঘটে। মানুষের শিখন প্রক্রিয়া এবং স্মৃতিশক্তি ইলেকট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
ভিটামিন নষ্ট হওয়া: মাইক্রোওয়েভ ওভেনে খাবার গরম করলে কিছু ভিটামিন নষ্ট হয়ে
যেতে পারে।
গঠনগত সমস্যা: মাংস কিংবা শাকসবজির মতো কিছু খাবারের জন্য মাইক্রোওয়েভ ওভেন আদর্শ না-ও হতে পারে।
সব ধরনের খাবারের উপযোগী নয়: মাইক্রোওয়েভ ওভেন সব ধরনের খাবার গরম করার জন্য উপযুক্ত নয়। ডিম, আলু ইত্যাদি মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করলে বিস্ফোরিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
পরিষ্কার করার ঝামেলা: মাইক্রোওয়েভ ওভেন নিয়মিত পরিষ্কার না করলে এতে খাবারের দাগ লেগে যেতে পারে। এটি ব্যবহারের জন্যও অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠতে পারে।
পরামর্শ দিয়েছেন: খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
রোজায় শরীরের সুস্থতা ও পুষ্টি চাহিদার কথা বিবেচনা করলে স্বাস্থ্যকর সেহরি ও ইফতার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবার গরমের শুরুতে প্রায় ১৩ ঘণ্টা রোজা রেখে শরীরের পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে শরীর সতেজ রাখাটাই হবে বেশ চ্যালেঞ্জিং। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা একটু বেশিই কঠিন।
২ দিন আগেরোজা রাখার রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা। এটি শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক দিক থেকে আমাদের জীবন সমৃদ্ধ করে।
২ দিন আগেকফি অনেকে নিয়ম করে পান করেন। কিন্তু কতটুকু পরিমাণ কফি শরীরের জন্য ভালো। সিএনএনের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. লীনা ওয়েন কফির স্বাস্থ্য উপকারিতা, আদর্শ পরিমাণ এবং কফি খাওয়ার সময় সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন।
২ দিন আগেবাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে ডায়াবেটিস একটি বড় স্বাস্থ্য সমস্যা; বিশেষ করে, আমাদের দেশে খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব এবং জীবনযাত্রার অস্বাস্থ্যকর রীতির কারণে ডায়াবেটিস বাড়ছে। এমন অবস্থায় রোজার সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু ভুল ধারণা সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে। এগুলো ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য...
২ দিন আগে