লে. কর্নেল ডা. নাসির উদ্দিন আহমদ
শরীরে সবচেয়ে বেশি থাকে যে খনিজ উপাদান, সেটি হলো ক্যালসিয়াম। এটি হাড়ের গঠন এবং হাড় মজবুত রাখতে সহায়তা করে। আমাদের স্নায়বিক কার্যক্রমকে নিয়ন্ত্রণ করে। মাংসপেশি সংকোচন ও প্রসারণ তথা নড়াচড়ায় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষেত্রে ক্যালসিয়ামের ভূমিকা বেশি। হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণেও এর ভূমিকা রয়েছে। শরীরের শতকরা ৯৯ ভাগ ক্যালসিয়াম জমা থাকে হাড় ও দাঁতে। বাকি ১ ভাগ রয়েছে রক্ত, মাংসপেশি ও অন্যান্য অঙ্গে।
ক্যালসিয়াম কমে গেলে যা হতে পারে
» শরীরে, বিশেষ করে পায়ে ও পিঠে কামড়ানো ব্যথা হয়।
» হাড় ও দাঁতের ক্ষয় শুরু হয়।
» চুল ও ত্বক খসখসে হয়ে যায়।
» ত্বকের লাবণ্য ও চুলের উজ্জ্বলতা কমে যায়।
» নখে ফাটল দেখা দেয়।
» পেটে ব্যথা হতে পারে।
» হৃৎস্পন্দন এলোমেলো হয়ে এমনকি বন্ধও হতে পারে।
» দীর্ঘদিন ক্যালসিয়ামের অভাবে স্নায়বিক জটিলতা তৈরি হতে পারে।
» স্মরণশক্তির সমস্যা, অস্থিরতা, হতাশা, অসংলগ্ন কথাবার্তা কিংবা আচরণ, মতিভ্রম ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
» তীব্র মাত্রার ক্যালসিয়ামের অভাবে খিঁচুনি হতে পারে।
» শ্বাসনালির মাংসে সমস্যা দেখা দেওয়ার কারণে দম আটকে যাওয়ার মতো মারাত্মক সংকট হতে পারে।
» তীব্র মাত্রার ক্যালসিয়ামের অভাবে অনেক সময় টিটেনি হতে পারে, অর্থাৎ হাত-পা কুঁকড়ে আসে। আঙুল বেঁকে যায়।
» ক্যালসিয়ামের অভাবে শিশুদের খর্বাকৃতির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শরীরে ক্যালসিয়াম ঘাটতির কারণ
» এর অন্যতম হচ্ছে প্যারা থাইরয়েড হরমোন ও ভিটামিন ডির ঘাটতি এবং কিডনি ফেইলিওর।
» বেশ কিছু ওষুধ, ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি, প্যানক্রিয়াসের প্রদাহ এবং কিছু জন্মগত ত্রুটির কারণে ক্যালসিয়াম কমতে পারে।
» থাইরয়েড গ্রন্থির অপারেশনের পর অনেকের স্বল্প সময়ের জন্য ক্যালসিয়াম কমে যেতে পারে।
পরিমাণ ঠিক রাখতে যা করতে হবে
শরীরে যাতে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি না হয়, সে জন্য খাবারে ক্যালসিয়ামের জোগান থাকতে হবে। ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাদ্যের উৎস হচ্ছে দুধ ও দুধ দিয়ে তৈরি খাবার, পনির, দই, সবুজ শাকসবজি, কাজুবাদাম, ফল, চিয়াসিড, কাঁটাযুক্ত ছোট মাছ। এ ছাড়া কিছু খাদ্যে ক্যালসিয়াম যোগ করে সেগুলোকে সমৃদ্ধ করা হয়। কোনো কোনো দেশের ময়দা ও পানীয়তে ক্যালসিয়াম যোগ করা হয়। তবে শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণ করার জন্য প্রয়োজন পড়ে প্যারা থাইরয়েড হরমোন ও ভিটামিন ডি। সূর্যের আলো ভিটামিন ডির ভালো উৎস।
পরামর্শ দিয়েছেন: লে. কর্নেল ডা. নাসির উদ্দিন আহমদ, মেডিসিন স্পেশালিস্ট ও এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট, সিএমএইচ, বরিশাল
শরীরে সবচেয়ে বেশি থাকে যে খনিজ উপাদান, সেটি হলো ক্যালসিয়াম। এটি হাড়ের গঠন এবং হাড় মজবুত রাখতে সহায়তা করে। আমাদের স্নায়বিক কার্যক্রমকে নিয়ন্ত্রণ করে। মাংসপেশি সংকোচন ও প্রসারণ তথা নড়াচড়ায় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষেত্রে ক্যালসিয়ামের ভূমিকা বেশি। হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণেও এর ভূমিকা রয়েছে। শরীরের শতকরা ৯৯ ভাগ ক্যালসিয়াম জমা থাকে হাড় ও দাঁতে। বাকি ১ ভাগ রয়েছে রক্ত, মাংসপেশি ও অন্যান্য অঙ্গে।
ক্যালসিয়াম কমে গেলে যা হতে পারে
» শরীরে, বিশেষ করে পায়ে ও পিঠে কামড়ানো ব্যথা হয়।
» হাড় ও দাঁতের ক্ষয় শুরু হয়।
» চুল ও ত্বক খসখসে হয়ে যায়।
» ত্বকের লাবণ্য ও চুলের উজ্জ্বলতা কমে যায়।
» নখে ফাটল দেখা দেয়।
» পেটে ব্যথা হতে পারে।
» হৃৎস্পন্দন এলোমেলো হয়ে এমনকি বন্ধও হতে পারে।
» দীর্ঘদিন ক্যালসিয়ামের অভাবে স্নায়বিক জটিলতা তৈরি হতে পারে।
» স্মরণশক্তির সমস্যা, অস্থিরতা, হতাশা, অসংলগ্ন কথাবার্তা কিংবা আচরণ, মতিভ্রম ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
» তীব্র মাত্রার ক্যালসিয়ামের অভাবে খিঁচুনি হতে পারে।
» শ্বাসনালির মাংসে সমস্যা দেখা দেওয়ার কারণে দম আটকে যাওয়ার মতো মারাত্মক সংকট হতে পারে।
» তীব্র মাত্রার ক্যালসিয়ামের অভাবে অনেক সময় টিটেনি হতে পারে, অর্থাৎ হাত-পা কুঁকড়ে আসে। আঙুল বেঁকে যায়।
» ক্যালসিয়ামের অভাবে শিশুদের খর্বাকৃতির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শরীরে ক্যালসিয়াম ঘাটতির কারণ
» এর অন্যতম হচ্ছে প্যারা থাইরয়েড হরমোন ও ভিটামিন ডির ঘাটতি এবং কিডনি ফেইলিওর।
» বেশ কিছু ওষুধ, ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি, প্যানক্রিয়াসের প্রদাহ এবং কিছু জন্মগত ত্রুটির কারণে ক্যালসিয়াম কমতে পারে।
» থাইরয়েড গ্রন্থির অপারেশনের পর অনেকের স্বল্প সময়ের জন্য ক্যালসিয়াম কমে যেতে পারে।
পরিমাণ ঠিক রাখতে যা করতে হবে
শরীরে যাতে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি না হয়, সে জন্য খাবারে ক্যালসিয়ামের জোগান থাকতে হবে। ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাদ্যের উৎস হচ্ছে দুধ ও দুধ দিয়ে তৈরি খাবার, পনির, দই, সবুজ শাকসবজি, কাজুবাদাম, ফল, চিয়াসিড, কাঁটাযুক্ত ছোট মাছ। এ ছাড়া কিছু খাদ্যে ক্যালসিয়াম যোগ করে সেগুলোকে সমৃদ্ধ করা হয়। কোনো কোনো দেশের ময়দা ও পানীয়তে ক্যালসিয়াম যোগ করা হয়। তবে শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণ করার জন্য প্রয়োজন পড়ে প্যারা থাইরয়েড হরমোন ও ভিটামিন ডি। সূর্যের আলো ভিটামিন ডির ভালো উৎস।
পরামর্শ দিয়েছেন: লে. কর্নেল ডা. নাসির উদ্দিন আহমদ, মেডিসিন স্পেশালিস্ট ও এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট, সিএমএইচ, বরিশাল
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও এক নারীর (৫০) মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩৯৩ জন ভর্তি হয়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৩১৬।
১৪ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ে এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ৬২৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং মারা গেছে ৩৬ জন। সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ২৫৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে। তাদের মধ্যে রাজধানীতে ৩৪৮ জন এবং রাজধানীর বাইরে সারা দেশে ভর্তি রয়েছে ৯১০ জন।
২ দিন আগেমহামারির শুরুর কয়েক বছরে কোটি কোটি মানুষ মারা গেছে, আর বিলিয়ন মানুষ শোক, একাকিত্ব, হতাশা, দুশ্চিন্তা, আর্থিক টানাপোড়েন ও ঘুমের সমস্যায় ভুগেছে। এর আগে আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, কোভিড-পরবর্তী সময়ে কিশোর-কিশোরীদের মস্তিষ্ক দ্রুত পরিণত (mature) হয়ে ওঠে, এমনকি তাদের মস্তিষ্কে এমন পরিবর্তন দেখা গেছে...
২ দিন আগেডেঙ্গুতে সর্বশেষ মারা যাওয়া শিশু (১) কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। বাকি দুজনের মধ্যে তরুণী (১৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অপর ব্যক্তি (৩০) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৭৬।
৩ দিন আগে