
সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই খাদ্য থেকেই অর্জন করি আমরা। তবে এই ধারণাটি ভুল বলে ব্যাখ্যা করলেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা হয়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
এই নতুন গবেষণাটি ‘অ্যাডভান্সড ইন নিউট্রিশন’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় শ্বাসের মাধ্যমে শোষিত পুষ্টিগুলোকে ‘অ্যারোনিউট্রিয়েন্টস’ বলে অভিহিত করা হয়। এগুলো গ্যাস্ট্রোনিউট্রিয়েন্টস থেকে ভিন্ন, যেগুলো অন্ত্রের মাধ্যমে শোষিত হয়।
খাদ্যের গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান যেমন আয়োডিন, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ এবং কিছু ভিটামিন শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করতে পারে। মানুষ প্রতিদিন প্রায় ৯ হাজার লিটার বায়ু শ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে গ্রহণ করে এবং আর জীবনব্যাপী প্রায় ৪৩৮ মিলিয়ন লিটার বায়ু। জীবনের কোনো পর্যায়ে শ্বাস নেওয়া কখনোই থামে না। বায়ুর উপাদানগুলো এমনকি খুব ক্ষুদ্র ঘনত্বের হলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এগুলো শরীরে প্রভাব ফেলতে পারে।
এ পর্যন্ত স্বাস্থ্যের ওপর বায়ুর প্রভাব নিয়ে বেশিরভাগ গবেষণায় ‘দূষণ’–কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন গবেষণার মূল লক্ষ্য হচ্ছে—বায়ুর ক্ষতিকর উপাদানগুলো ফিল্টার করে, যা উপকারী হতে পারে তা খোঁজা। এ ছাড়া একটি একক শ্বাসে পুষ্টির পরিমাণ এত ক্ষুদ্র হওয়ার কারণে কখনো একে গুরুত্বপূর্ণ বলে এর আগের গবেষণাগুলোয় মনে করা হয়নি।
বহু বছর ধরে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে বিশুদ্ধ বাতাসকে স্বাস্থ্যকর হিসেবে মূল্যায়ন করেছে। নতুন গবেষণাটি দেখায় যে, এই ধারণা বিজ্ঞান দ্বারা সমর্থিত। উদাহরণস্বরূপ, অক্সিজেন একটি পুষ্টি উপাদান যা ‘শরীরের মৌলিক কার্যক্রম বজায় রাখতে প্রয়োজন’। তবে এটি খাওয়ার বদলে আমরা শ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করি।
নাক, ফুসফুস, গন্ধ শনাক্তকরণের এলাকা (অলফ্যাকটরি এপিথেলিয়াম) এবং মুখগহ্বর এর রক্তনালীর সূক্ষ্ম নেটওয়ার্কের মাধ্যমে শোষিত হয়ে মানুষের দেহে প্রবেশ করে অ্যারোনিউট্রিয়েন্টস।
অন্ত্রের চেয়ে ২৬০ গুণ বড় আকারের অণু শোষণ করতে পারে ফুসফুস। এই অণুগুলো অক্ষত অবস্থায় রক্তপ্রবাহ এবং মস্তিষ্কে শোষিত হয়।
শ্বাসের মাধ্যমে নেওয়া ড্রাগগুলো (যেমন কোকেইন, নিকোটিন) শরীরে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে প্রবেশ করে। মুখে খাওয়ার বদলে শ্বাসের মাধ্যমে নেওয়ার ফলে এগুলো কম ঘনত্বেও বেশি কার্যকারী।
এ ছাড়া এনজাইম এবং অ্যাসিডের মাধ্যমে অন্ত্র বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থকে তাদের ক্ষুদ্রতম অংশে ভেঙে দেয়। একবার যখন এই উপাদানগুলো রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে, তখন সেগুলো লিভার বা যকৃতের মাধ্যমে বিপাক ও নির্বিষ হয়।
স্টার্চ, শর্করা এবং অ্যামিনো অ্যাসিড খুব দক্ষভাবে শোষণ করে অন্ত্র। তবে কিছু বিশেষ ধরনের ওষুধ শোষণে অন্ত্র ততটা দক্ষ নয়। মূলত, বিজ্ঞানীরা ক্রমাগত এমন ওষুধ তৈরি করতে কাজ করছেন, যাতে সেগুলো কার্যকরভাবে মুখের মাধ্যমে গ্রহণ করা যায়।
১৯৬০-এর দশকের একটি গবেষণায় দেখা যায়, যারা কাপড় ধোয়ার পেশায় নিয়োজিত ছিল তারা অনেক বেশি আয়োডিনের সংস্পর্শে আসতেন। আর তাদের রক্ত এবং মূত্রে আয়োডিনের মাত্রা বেশি ছিল।
সম্প্রতি সাগরের শৈবাল সমৃদ্ধ উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী স্কুলগামী শিশুদের ওপর গবেষণা করেছেন আয়ারল্যান্ডের গবেষকেরা। সেই অঞ্চলে বায়ুতে আয়োডিন গ্যাসের স্তর অনেক বেশি ছিল। এই শিশুদের মূত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি আয়োডিন পাওয়া গেছে। অপরদিকে যারা কম শৈবালযুক্ত উপকূলীয় বা গ্রামীণ এলাকায় বাস করছিল তাদের মূত্রে আয়োডিনের মাত্রা কম ছিল। তবে উভয় অঞ্চলের শিশুরা যেসব খাদ্য গ্রহণ করত সেগুলোতে আয়োডিনের মাত্রা একই ছিল।
এটি ইঙ্গিত দেয় যে, বায়ুতে থাকা আয়োডিন খাদ্য থেকে প্রাপ্ত আয়োডিনের পরিপূরক হতে পারে। বিশেষ করে যেখানে প্রচুর শৈবাল রয়েছে। এ কারণে এটি একটি অ্যারোনিউট্রিয়েন্ট হতে পারে, যা মানুষের শরীর শ্বাসের মাধ্যমে শোষণ করতে পারে।
নাকে গন্ধ শনাক্তকারী নিউরনের মাধ্যমে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে ম্যাঙ্গানিজ এবং জিংক। ম্যাঙ্গানিজ একটি অত্যাবশ্যক পুষ্টি উপাদান। তবে বেশি মাত্রার ম্যাঙ্গানিজ মস্তিষ্কে ক্ষতি করতে পারে। গবেষণায় দেখা যায়, ঝালাইয়ের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা বায়ুর মাধ্যমে উচ্চ মাত্রার ম্যাঙ্গানিজের সংস্পর্শে আসেন এবং তাদের শরীরে ম্যাঙ্গানিজের ক্ষতিকর স্তরে জমা হয়।
অলফ্যাকটরি বা ঘাণতন্ত্র এবং শ্বাসযন্ত্রে সিলিয়া (চুলের মতো কাঠামো) বিশেষ রিসেপটর ধারণ করে, যা বিভিন্ন সম্ভাব্য অ্যারোনিউট্রিয়েন্টসের শোষণ করতে পারে। যেমন কোলিন, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, লোহা এবং এমনকি অ্যামিনো অ্যাসিড।
৭০ বছরেরও বেশি আগে প্রকাশিত একটি গবেষণা দেখা যায়, অ্যারোসোল বা ক্ষুদ্র কণা আকারে ভিটামিন বি১২ শ্বাসের মাধ্যমে শোষণ করা যেতে পারে এবং এটি ভিটামিন বি১২ এর ঘাটতি চিকিৎসায় কার্যকর। বিশেষভাবে মানুষ, ডায়াবেটিস রোগী এবং অতিরিক্ত মদ্যপানকারীদের ভিটামিন বি১২ চিকিৎসার জন্য এই প্রক্রিয়াটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যারোনিউট্রিয়েন্টস নিয়ে এখনো তথ্য অজানা। প্রাকৃতিক পরিবেশ যেমন বন, সাগর এবং পার্বত্য অঞ্চলে বায়ুর কোন উপাদানগুলো স্বাস্থ্যকর তা প্রথমত জানতে হবে। এখন পর্যন্ত শুধু বায়ুর বিষাক্ত পদার্থ, বিভিন্ন উপাদান এবং এলার্জেন বা অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী পদার্থ যেমন পোলেন বা রেণু নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে।
এরপর কোন কোন উপাদানকে অ্যারোনিউট্রিয়েন্টস হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে তা নির্ধারণ করতে হবে। ভিটামিন বি১২ অ্যারোসোল আকারে নিরাপদ এবং কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। তাই ভবিষ্যতে অন্যান্য মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস, যেমন ভিটামিন ডি অ্যারোসোল আকারে ব্যবহার করে পুষ্টির ঘাটতি মোকাবিলা করা সম্ভব কিনা, তা নিয়ে গবেষণা করা যেতে পারে।
এই সম্ভাব্য অ্যারোনিউট্রিয়েন্টসগুলোকে নিয়ন্ত্রণমূলক পরিবেশে পরীক্ষা করতে হবে। এর ফলে এগুলো ডোজ, নিরাপত্তা এবং খাদ্যতালিকায় অবদান নির্ধারণ করা যাবে। বিশেষভাবে এসব তথ্য এমন জায়গাগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ যেখানে বায়ু উচ্চমাত্রায় ফিল্টার করা হয়। যেমন বিমান, হাসপাতাল, সাবমেরিন এবং মহাকাশ স্টেশন।
অন্যদিকে, অ্যারোনিউট্রিয়েন্টস শহুরে রোগগুলো প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। একদিন হয়তো সুস্থতার জন্য সুষম খাদ্যের পাশাপাশি অ্যারোনিউট্রিয়েন্টসও গ্রহণের জন্যও চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেবে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট

সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই খাদ্য থেকেই অর্জন করি আমরা। তবে এই ধারণাটি ভুল বলে ব্যাখ্যা করলেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা হয়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
এই নতুন গবেষণাটি ‘অ্যাডভান্সড ইন নিউট্রিশন’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় শ্বাসের মাধ্যমে শোষিত পুষ্টিগুলোকে ‘অ্যারোনিউট্রিয়েন্টস’ বলে অভিহিত করা হয়। এগুলো গ্যাস্ট্রোনিউট্রিয়েন্টস থেকে ভিন্ন, যেগুলো অন্ত্রের মাধ্যমে শোষিত হয়।
খাদ্যের গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান যেমন আয়োডিন, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ এবং কিছু ভিটামিন শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করতে পারে। মানুষ প্রতিদিন প্রায় ৯ হাজার লিটার বায়ু শ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে গ্রহণ করে এবং আর জীবনব্যাপী প্রায় ৪৩৮ মিলিয়ন লিটার বায়ু। জীবনের কোনো পর্যায়ে শ্বাস নেওয়া কখনোই থামে না। বায়ুর উপাদানগুলো এমনকি খুব ক্ষুদ্র ঘনত্বের হলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এগুলো শরীরে প্রভাব ফেলতে পারে।
এ পর্যন্ত স্বাস্থ্যের ওপর বায়ুর প্রভাব নিয়ে বেশিরভাগ গবেষণায় ‘দূষণ’–কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন গবেষণার মূল লক্ষ্য হচ্ছে—বায়ুর ক্ষতিকর উপাদানগুলো ফিল্টার করে, যা উপকারী হতে পারে তা খোঁজা। এ ছাড়া একটি একক শ্বাসে পুষ্টির পরিমাণ এত ক্ষুদ্র হওয়ার কারণে কখনো একে গুরুত্বপূর্ণ বলে এর আগের গবেষণাগুলোয় মনে করা হয়নি।
বহু বছর ধরে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে বিশুদ্ধ বাতাসকে স্বাস্থ্যকর হিসেবে মূল্যায়ন করেছে। নতুন গবেষণাটি দেখায় যে, এই ধারণা বিজ্ঞান দ্বারা সমর্থিত। উদাহরণস্বরূপ, অক্সিজেন একটি পুষ্টি উপাদান যা ‘শরীরের মৌলিক কার্যক্রম বজায় রাখতে প্রয়োজন’। তবে এটি খাওয়ার বদলে আমরা শ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করি।
নাক, ফুসফুস, গন্ধ শনাক্তকরণের এলাকা (অলফ্যাকটরি এপিথেলিয়াম) এবং মুখগহ্বর এর রক্তনালীর সূক্ষ্ম নেটওয়ার্কের মাধ্যমে শোষিত হয়ে মানুষের দেহে প্রবেশ করে অ্যারোনিউট্রিয়েন্টস।
অন্ত্রের চেয়ে ২৬০ গুণ বড় আকারের অণু শোষণ করতে পারে ফুসফুস। এই অণুগুলো অক্ষত অবস্থায় রক্তপ্রবাহ এবং মস্তিষ্কে শোষিত হয়।
শ্বাসের মাধ্যমে নেওয়া ড্রাগগুলো (যেমন কোকেইন, নিকোটিন) শরীরে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে প্রবেশ করে। মুখে খাওয়ার বদলে শ্বাসের মাধ্যমে নেওয়ার ফলে এগুলো কম ঘনত্বেও বেশি কার্যকারী।
এ ছাড়া এনজাইম এবং অ্যাসিডের মাধ্যমে অন্ত্র বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থকে তাদের ক্ষুদ্রতম অংশে ভেঙে দেয়। একবার যখন এই উপাদানগুলো রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে, তখন সেগুলো লিভার বা যকৃতের মাধ্যমে বিপাক ও নির্বিষ হয়।
স্টার্চ, শর্করা এবং অ্যামিনো অ্যাসিড খুব দক্ষভাবে শোষণ করে অন্ত্র। তবে কিছু বিশেষ ধরনের ওষুধ শোষণে অন্ত্র ততটা দক্ষ নয়। মূলত, বিজ্ঞানীরা ক্রমাগত এমন ওষুধ তৈরি করতে কাজ করছেন, যাতে সেগুলো কার্যকরভাবে মুখের মাধ্যমে গ্রহণ করা যায়।
১৯৬০-এর দশকের একটি গবেষণায় দেখা যায়, যারা কাপড় ধোয়ার পেশায় নিয়োজিত ছিল তারা অনেক বেশি আয়োডিনের সংস্পর্শে আসতেন। আর তাদের রক্ত এবং মূত্রে আয়োডিনের মাত্রা বেশি ছিল।
সম্প্রতি সাগরের শৈবাল সমৃদ্ধ উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী স্কুলগামী শিশুদের ওপর গবেষণা করেছেন আয়ারল্যান্ডের গবেষকেরা। সেই অঞ্চলে বায়ুতে আয়োডিন গ্যাসের স্তর অনেক বেশি ছিল। এই শিশুদের মূত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি আয়োডিন পাওয়া গেছে। অপরদিকে যারা কম শৈবালযুক্ত উপকূলীয় বা গ্রামীণ এলাকায় বাস করছিল তাদের মূত্রে আয়োডিনের মাত্রা কম ছিল। তবে উভয় অঞ্চলের শিশুরা যেসব খাদ্য গ্রহণ করত সেগুলোতে আয়োডিনের মাত্রা একই ছিল।
এটি ইঙ্গিত দেয় যে, বায়ুতে থাকা আয়োডিন খাদ্য থেকে প্রাপ্ত আয়োডিনের পরিপূরক হতে পারে। বিশেষ করে যেখানে প্রচুর শৈবাল রয়েছে। এ কারণে এটি একটি অ্যারোনিউট্রিয়েন্ট হতে পারে, যা মানুষের শরীর শ্বাসের মাধ্যমে শোষণ করতে পারে।
নাকে গন্ধ শনাক্তকারী নিউরনের মাধ্যমে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে ম্যাঙ্গানিজ এবং জিংক। ম্যাঙ্গানিজ একটি অত্যাবশ্যক পুষ্টি উপাদান। তবে বেশি মাত্রার ম্যাঙ্গানিজ মস্তিষ্কে ক্ষতি করতে পারে। গবেষণায় দেখা যায়, ঝালাইয়ের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা বায়ুর মাধ্যমে উচ্চ মাত্রার ম্যাঙ্গানিজের সংস্পর্শে আসেন এবং তাদের শরীরে ম্যাঙ্গানিজের ক্ষতিকর স্তরে জমা হয়।
অলফ্যাকটরি বা ঘাণতন্ত্র এবং শ্বাসযন্ত্রে সিলিয়া (চুলের মতো কাঠামো) বিশেষ রিসেপটর ধারণ করে, যা বিভিন্ন সম্ভাব্য অ্যারোনিউট্রিয়েন্টসের শোষণ করতে পারে। যেমন কোলিন, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, লোহা এবং এমনকি অ্যামিনো অ্যাসিড।
৭০ বছরেরও বেশি আগে প্রকাশিত একটি গবেষণা দেখা যায়, অ্যারোসোল বা ক্ষুদ্র কণা আকারে ভিটামিন বি১২ শ্বাসের মাধ্যমে শোষণ করা যেতে পারে এবং এটি ভিটামিন বি১২ এর ঘাটতি চিকিৎসায় কার্যকর। বিশেষভাবে মানুষ, ডায়াবেটিস রোগী এবং অতিরিক্ত মদ্যপানকারীদের ভিটামিন বি১২ চিকিৎসার জন্য এই প্রক্রিয়াটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যারোনিউট্রিয়েন্টস নিয়ে এখনো তথ্য অজানা। প্রাকৃতিক পরিবেশ যেমন বন, সাগর এবং পার্বত্য অঞ্চলে বায়ুর কোন উপাদানগুলো স্বাস্থ্যকর তা প্রথমত জানতে হবে। এখন পর্যন্ত শুধু বায়ুর বিষাক্ত পদার্থ, বিভিন্ন উপাদান এবং এলার্জেন বা অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী পদার্থ যেমন পোলেন বা রেণু নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে।
এরপর কোন কোন উপাদানকে অ্যারোনিউট্রিয়েন্টস হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে তা নির্ধারণ করতে হবে। ভিটামিন বি১২ অ্যারোসোল আকারে নিরাপদ এবং কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। তাই ভবিষ্যতে অন্যান্য মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস, যেমন ভিটামিন ডি অ্যারোসোল আকারে ব্যবহার করে পুষ্টির ঘাটতি মোকাবিলা করা সম্ভব কিনা, তা নিয়ে গবেষণা করা যেতে পারে।
এই সম্ভাব্য অ্যারোনিউট্রিয়েন্টসগুলোকে নিয়ন্ত্রণমূলক পরিবেশে পরীক্ষা করতে হবে। এর ফলে এগুলো ডোজ, নিরাপত্তা এবং খাদ্যতালিকায় অবদান নির্ধারণ করা যাবে। বিশেষভাবে এসব তথ্য এমন জায়গাগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ যেখানে বায়ু উচ্চমাত্রায় ফিল্টার করা হয়। যেমন বিমান, হাসপাতাল, সাবমেরিন এবং মহাকাশ স্টেশন।
অন্যদিকে, অ্যারোনিউট্রিয়েন্টস শহুরে রোগগুলো প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। একদিন হয়তো সুস্থতার জন্য সুষম খাদ্যের পাশাপাশি অ্যারোনিউট্রিয়েন্টসও গ্রহণের জন্যও চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেবে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট

সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই খাদ্য থেকেই অর্জন করি আমরা। তবে এই ধারণাটি ভুল বলে ব্যাখ্যা করলেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা হয়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
এই নতুন গবেষণাটি ‘অ্যাডভান্সড ইন নিউট্রিশন’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় শ্বাসের মাধ্যমে শোষিত পুষ্টিগুলোকে ‘অ্যারোনিউট্রিয়েন্টস’ বলে অভিহিত করা হয়। এগুলো গ্যাস্ট্রোনিউট্রিয়েন্টস থেকে ভিন্ন, যেগুলো অন্ত্রের মাধ্যমে শোষিত হয়।
খাদ্যের গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান যেমন আয়োডিন, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ এবং কিছু ভিটামিন শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করতে পারে। মানুষ প্রতিদিন প্রায় ৯ হাজার লিটার বায়ু শ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে গ্রহণ করে এবং আর জীবনব্যাপী প্রায় ৪৩৮ মিলিয়ন লিটার বায়ু। জীবনের কোনো পর্যায়ে শ্বাস নেওয়া কখনোই থামে না। বায়ুর উপাদানগুলো এমনকি খুব ক্ষুদ্র ঘনত্বের হলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এগুলো শরীরে প্রভাব ফেলতে পারে।
এ পর্যন্ত স্বাস্থ্যের ওপর বায়ুর প্রভাব নিয়ে বেশিরভাগ গবেষণায় ‘দূষণ’–কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন গবেষণার মূল লক্ষ্য হচ্ছে—বায়ুর ক্ষতিকর উপাদানগুলো ফিল্টার করে, যা উপকারী হতে পারে তা খোঁজা। এ ছাড়া একটি একক শ্বাসে পুষ্টির পরিমাণ এত ক্ষুদ্র হওয়ার কারণে কখনো একে গুরুত্বপূর্ণ বলে এর আগের গবেষণাগুলোয় মনে করা হয়নি।
বহু বছর ধরে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে বিশুদ্ধ বাতাসকে স্বাস্থ্যকর হিসেবে মূল্যায়ন করেছে। নতুন গবেষণাটি দেখায় যে, এই ধারণা বিজ্ঞান দ্বারা সমর্থিত। উদাহরণস্বরূপ, অক্সিজেন একটি পুষ্টি উপাদান যা ‘শরীরের মৌলিক কার্যক্রম বজায় রাখতে প্রয়োজন’। তবে এটি খাওয়ার বদলে আমরা শ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করি।
নাক, ফুসফুস, গন্ধ শনাক্তকরণের এলাকা (অলফ্যাকটরি এপিথেলিয়াম) এবং মুখগহ্বর এর রক্তনালীর সূক্ষ্ম নেটওয়ার্কের মাধ্যমে শোষিত হয়ে মানুষের দেহে প্রবেশ করে অ্যারোনিউট্রিয়েন্টস।
অন্ত্রের চেয়ে ২৬০ গুণ বড় আকারের অণু শোষণ করতে পারে ফুসফুস। এই অণুগুলো অক্ষত অবস্থায় রক্তপ্রবাহ এবং মস্তিষ্কে শোষিত হয়।
শ্বাসের মাধ্যমে নেওয়া ড্রাগগুলো (যেমন কোকেইন, নিকোটিন) শরীরে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে প্রবেশ করে। মুখে খাওয়ার বদলে শ্বাসের মাধ্যমে নেওয়ার ফলে এগুলো কম ঘনত্বেও বেশি কার্যকারী।
এ ছাড়া এনজাইম এবং অ্যাসিডের মাধ্যমে অন্ত্র বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থকে তাদের ক্ষুদ্রতম অংশে ভেঙে দেয়। একবার যখন এই উপাদানগুলো রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে, তখন সেগুলো লিভার বা যকৃতের মাধ্যমে বিপাক ও নির্বিষ হয়।
স্টার্চ, শর্করা এবং অ্যামিনো অ্যাসিড খুব দক্ষভাবে শোষণ করে অন্ত্র। তবে কিছু বিশেষ ধরনের ওষুধ শোষণে অন্ত্র ততটা দক্ষ নয়। মূলত, বিজ্ঞানীরা ক্রমাগত এমন ওষুধ তৈরি করতে কাজ করছেন, যাতে সেগুলো কার্যকরভাবে মুখের মাধ্যমে গ্রহণ করা যায়।
১৯৬০-এর দশকের একটি গবেষণায় দেখা যায়, যারা কাপড় ধোয়ার পেশায় নিয়োজিত ছিল তারা অনেক বেশি আয়োডিনের সংস্পর্শে আসতেন। আর তাদের রক্ত এবং মূত্রে আয়োডিনের মাত্রা বেশি ছিল।
সম্প্রতি সাগরের শৈবাল সমৃদ্ধ উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী স্কুলগামী শিশুদের ওপর গবেষণা করেছেন আয়ারল্যান্ডের গবেষকেরা। সেই অঞ্চলে বায়ুতে আয়োডিন গ্যাসের স্তর অনেক বেশি ছিল। এই শিশুদের মূত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি আয়োডিন পাওয়া গেছে। অপরদিকে যারা কম শৈবালযুক্ত উপকূলীয় বা গ্রামীণ এলাকায় বাস করছিল তাদের মূত্রে আয়োডিনের মাত্রা কম ছিল। তবে উভয় অঞ্চলের শিশুরা যেসব খাদ্য গ্রহণ করত সেগুলোতে আয়োডিনের মাত্রা একই ছিল।
এটি ইঙ্গিত দেয় যে, বায়ুতে থাকা আয়োডিন খাদ্য থেকে প্রাপ্ত আয়োডিনের পরিপূরক হতে পারে। বিশেষ করে যেখানে প্রচুর শৈবাল রয়েছে। এ কারণে এটি একটি অ্যারোনিউট্রিয়েন্ট হতে পারে, যা মানুষের শরীর শ্বাসের মাধ্যমে শোষণ করতে পারে।
নাকে গন্ধ শনাক্তকারী নিউরনের মাধ্যমে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে ম্যাঙ্গানিজ এবং জিংক। ম্যাঙ্গানিজ একটি অত্যাবশ্যক পুষ্টি উপাদান। তবে বেশি মাত্রার ম্যাঙ্গানিজ মস্তিষ্কে ক্ষতি করতে পারে। গবেষণায় দেখা যায়, ঝালাইয়ের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা বায়ুর মাধ্যমে উচ্চ মাত্রার ম্যাঙ্গানিজের সংস্পর্শে আসেন এবং তাদের শরীরে ম্যাঙ্গানিজের ক্ষতিকর স্তরে জমা হয়।
অলফ্যাকটরি বা ঘাণতন্ত্র এবং শ্বাসযন্ত্রে সিলিয়া (চুলের মতো কাঠামো) বিশেষ রিসেপটর ধারণ করে, যা বিভিন্ন সম্ভাব্য অ্যারোনিউট্রিয়েন্টসের শোষণ করতে পারে। যেমন কোলিন, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, লোহা এবং এমনকি অ্যামিনো অ্যাসিড।
৭০ বছরেরও বেশি আগে প্রকাশিত একটি গবেষণা দেখা যায়, অ্যারোসোল বা ক্ষুদ্র কণা আকারে ভিটামিন বি১২ শ্বাসের মাধ্যমে শোষণ করা যেতে পারে এবং এটি ভিটামিন বি১২ এর ঘাটতি চিকিৎসায় কার্যকর। বিশেষভাবে মানুষ, ডায়াবেটিস রোগী এবং অতিরিক্ত মদ্যপানকারীদের ভিটামিন বি১২ চিকিৎসার জন্য এই প্রক্রিয়াটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যারোনিউট্রিয়েন্টস নিয়ে এখনো তথ্য অজানা। প্রাকৃতিক পরিবেশ যেমন বন, সাগর এবং পার্বত্য অঞ্চলে বায়ুর কোন উপাদানগুলো স্বাস্থ্যকর তা প্রথমত জানতে হবে। এখন পর্যন্ত শুধু বায়ুর বিষাক্ত পদার্থ, বিভিন্ন উপাদান এবং এলার্জেন বা অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী পদার্থ যেমন পোলেন বা রেণু নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে।
এরপর কোন কোন উপাদানকে অ্যারোনিউট্রিয়েন্টস হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে তা নির্ধারণ করতে হবে। ভিটামিন বি১২ অ্যারোসোল আকারে নিরাপদ এবং কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। তাই ভবিষ্যতে অন্যান্য মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস, যেমন ভিটামিন ডি অ্যারোসোল আকারে ব্যবহার করে পুষ্টির ঘাটতি মোকাবিলা করা সম্ভব কিনা, তা নিয়ে গবেষণা করা যেতে পারে।
এই সম্ভাব্য অ্যারোনিউট্রিয়েন্টসগুলোকে নিয়ন্ত্রণমূলক পরিবেশে পরীক্ষা করতে হবে। এর ফলে এগুলো ডোজ, নিরাপত্তা এবং খাদ্যতালিকায় অবদান নির্ধারণ করা যাবে। বিশেষভাবে এসব তথ্য এমন জায়গাগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ যেখানে বায়ু উচ্চমাত্রায় ফিল্টার করা হয়। যেমন বিমান, হাসপাতাল, সাবমেরিন এবং মহাকাশ স্টেশন।
অন্যদিকে, অ্যারোনিউট্রিয়েন্টস শহুরে রোগগুলো প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। একদিন হয়তো সুস্থতার জন্য সুষম খাদ্যের পাশাপাশি অ্যারোনিউট্রিয়েন্টসও গ্রহণের জন্যও চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেবে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট

সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই খাদ্য থেকেই অর্জন করি আমরা। তবে এই ধারণাটি ভুল বলে ব্যাখ্যা করলেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা হয়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
এই নতুন গবেষণাটি ‘অ্যাডভান্সড ইন নিউট্রিশন’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় শ্বাসের মাধ্যমে শোষিত পুষ্টিগুলোকে ‘অ্যারোনিউট্রিয়েন্টস’ বলে অভিহিত করা হয়। এগুলো গ্যাস্ট্রোনিউট্রিয়েন্টস থেকে ভিন্ন, যেগুলো অন্ত্রের মাধ্যমে শোষিত হয়।
খাদ্যের গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান যেমন আয়োডিন, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ এবং কিছু ভিটামিন শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করতে পারে। মানুষ প্রতিদিন প্রায় ৯ হাজার লিটার বায়ু শ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে গ্রহণ করে এবং আর জীবনব্যাপী প্রায় ৪৩৮ মিলিয়ন লিটার বায়ু। জীবনের কোনো পর্যায়ে শ্বাস নেওয়া কখনোই থামে না। বায়ুর উপাদানগুলো এমনকি খুব ক্ষুদ্র ঘনত্বের হলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এগুলো শরীরে প্রভাব ফেলতে পারে।
এ পর্যন্ত স্বাস্থ্যের ওপর বায়ুর প্রভাব নিয়ে বেশিরভাগ গবেষণায় ‘দূষণ’–কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন গবেষণার মূল লক্ষ্য হচ্ছে—বায়ুর ক্ষতিকর উপাদানগুলো ফিল্টার করে, যা উপকারী হতে পারে তা খোঁজা। এ ছাড়া একটি একক শ্বাসে পুষ্টির পরিমাণ এত ক্ষুদ্র হওয়ার কারণে কখনো একে গুরুত্বপূর্ণ বলে এর আগের গবেষণাগুলোয় মনে করা হয়নি।
বহু বছর ধরে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে বিশুদ্ধ বাতাসকে স্বাস্থ্যকর হিসেবে মূল্যায়ন করেছে। নতুন গবেষণাটি দেখায় যে, এই ধারণা বিজ্ঞান দ্বারা সমর্থিত। উদাহরণস্বরূপ, অক্সিজেন একটি পুষ্টি উপাদান যা ‘শরীরের মৌলিক কার্যক্রম বজায় রাখতে প্রয়োজন’। তবে এটি খাওয়ার বদলে আমরা শ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করি।
নাক, ফুসফুস, গন্ধ শনাক্তকরণের এলাকা (অলফ্যাকটরি এপিথেলিয়াম) এবং মুখগহ্বর এর রক্তনালীর সূক্ষ্ম নেটওয়ার্কের মাধ্যমে শোষিত হয়ে মানুষের দেহে প্রবেশ করে অ্যারোনিউট্রিয়েন্টস।
অন্ত্রের চেয়ে ২৬০ গুণ বড় আকারের অণু শোষণ করতে পারে ফুসফুস। এই অণুগুলো অক্ষত অবস্থায় রক্তপ্রবাহ এবং মস্তিষ্কে শোষিত হয়।
শ্বাসের মাধ্যমে নেওয়া ড্রাগগুলো (যেমন কোকেইন, নিকোটিন) শরীরে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে প্রবেশ করে। মুখে খাওয়ার বদলে শ্বাসের মাধ্যমে নেওয়ার ফলে এগুলো কম ঘনত্বেও বেশি কার্যকারী।
এ ছাড়া এনজাইম এবং অ্যাসিডের মাধ্যমে অন্ত্র বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থকে তাদের ক্ষুদ্রতম অংশে ভেঙে দেয়। একবার যখন এই উপাদানগুলো রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে, তখন সেগুলো লিভার বা যকৃতের মাধ্যমে বিপাক ও নির্বিষ হয়।
স্টার্চ, শর্করা এবং অ্যামিনো অ্যাসিড খুব দক্ষভাবে শোষণ করে অন্ত্র। তবে কিছু বিশেষ ধরনের ওষুধ শোষণে অন্ত্র ততটা দক্ষ নয়। মূলত, বিজ্ঞানীরা ক্রমাগত এমন ওষুধ তৈরি করতে কাজ করছেন, যাতে সেগুলো কার্যকরভাবে মুখের মাধ্যমে গ্রহণ করা যায়।
১৯৬০-এর দশকের একটি গবেষণায় দেখা যায়, যারা কাপড় ধোয়ার পেশায় নিয়োজিত ছিল তারা অনেক বেশি আয়োডিনের সংস্পর্শে আসতেন। আর তাদের রক্ত এবং মূত্রে আয়োডিনের মাত্রা বেশি ছিল।
সম্প্রতি সাগরের শৈবাল সমৃদ্ধ উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী স্কুলগামী শিশুদের ওপর গবেষণা করেছেন আয়ারল্যান্ডের গবেষকেরা। সেই অঞ্চলে বায়ুতে আয়োডিন গ্যাসের স্তর অনেক বেশি ছিল। এই শিশুদের মূত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি আয়োডিন পাওয়া গেছে। অপরদিকে যারা কম শৈবালযুক্ত উপকূলীয় বা গ্রামীণ এলাকায় বাস করছিল তাদের মূত্রে আয়োডিনের মাত্রা কম ছিল। তবে উভয় অঞ্চলের শিশুরা যেসব খাদ্য গ্রহণ করত সেগুলোতে আয়োডিনের মাত্রা একই ছিল।
এটি ইঙ্গিত দেয় যে, বায়ুতে থাকা আয়োডিন খাদ্য থেকে প্রাপ্ত আয়োডিনের পরিপূরক হতে পারে। বিশেষ করে যেখানে প্রচুর শৈবাল রয়েছে। এ কারণে এটি একটি অ্যারোনিউট্রিয়েন্ট হতে পারে, যা মানুষের শরীর শ্বাসের মাধ্যমে শোষণ করতে পারে।
নাকে গন্ধ শনাক্তকারী নিউরনের মাধ্যমে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে ম্যাঙ্গানিজ এবং জিংক। ম্যাঙ্গানিজ একটি অত্যাবশ্যক পুষ্টি উপাদান। তবে বেশি মাত্রার ম্যাঙ্গানিজ মস্তিষ্কে ক্ষতি করতে পারে। গবেষণায় দেখা যায়, ঝালাইয়ের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা বায়ুর মাধ্যমে উচ্চ মাত্রার ম্যাঙ্গানিজের সংস্পর্শে আসেন এবং তাদের শরীরে ম্যাঙ্গানিজের ক্ষতিকর স্তরে জমা হয়।
অলফ্যাকটরি বা ঘাণতন্ত্র এবং শ্বাসযন্ত্রে সিলিয়া (চুলের মতো কাঠামো) বিশেষ রিসেপটর ধারণ করে, যা বিভিন্ন সম্ভাব্য অ্যারোনিউট্রিয়েন্টসের শোষণ করতে পারে। যেমন কোলিন, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, লোহা এবং এমনকি অ্যামিনো অ্যাসিড।
৭০ বছরেরও বেশি আগে প্রকাশিত একটি গবেষণা দেখা যায়, অ্যারোসোল বা ক্ষুদ্র কণা আকারে ভিটামিন বি১২ শ্বাসের মাধ্যমে শোষণ করা যেতে পারে এবং এটি ভিটামিন বি১২ এর ঘাটতি চিকিৎসায় কার্যকর। বিশেষভাবে মানুষ, ডায়াবেটিস রোগী এবং অতিরিক্ত মদ্যপানকারীদের ভিটামিন বি১২ চিকিৎসার জন্য এই প্রক্রিয়াটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যারোনিউট্রিয়েন্টস নিয়ে এখনো তথ্য অজানা। প্রাকৃতিক পরিবেশ যেমন বন, সাগর এবং পার্বত্য অঞ্চলে বায়ুর কোন উপাদানগুলো স্বাস্থ্যকর তা প্রথমত জানতে হবে। এখন পর্যন্ত শুধু বায়ুর বিষাক্ত পদার্থ, বিভিন্ন উপাদান এবং এলার্জেন বা অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী পদার্থ যেমন পোলেন বা রেণু নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে।
এরপর কোন কোন উপাদানকে অ্যারোনিউট্রিয়েন্টস হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে তা নির্ধারণ করতে হবে। ভিটামিন বি১২ অ্যারোসোল আকারে নিরাপদ এবং কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। তাই ভবিষ্যতে অন্যান্য মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস, যেমন ভিটামিন ডি অ্যারোসোল আকারে ব্যবহার করে পুষ্টির ঘাটতি মোকাবিলা করা সম্ভব কিনা, তা নিয়ে গবেষণা করা যেতে পারে।
এই সম্ভাব্য অ্যারোনিউট্রিয়েন্টসগুলোকে নিয়ন্ত্রণমূলক পরিবেশে পরীক্ষা করতে হবে। এর ফলে এগুলো ডোজ, নিরাপত্তা এবং খাদ্যতালিকায় অবদান নির্ধারণ করা যাবে। বিশেষভাবে এসব তথ্য এমন জায়গাগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ যেখানে বায়ু উচ্চমাত্রায় ফিল্টার করা হয়। যেমন বিমান, হাসপাতাল, সাবমেরিন এবং মহাকাশ স্টেশন।
অন্যদিকে, অ্যারোনিউট্রিয়েন্টস শহুরে রোগগুলো প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। একদিন হয়তো সুস্থতার জন্য সুষম খাদ্যের পাশাপাশি অ্যারোনিউট্রিয়েন্টসও গ্রহণের জন্যও চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেবে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
১ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
১ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
১ দিন আগে
মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে...
১ দিন আগেডা. পূজা সাহা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
১৯ নভেম্বর ২০২৪
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
১ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
১ দিন আগে
মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে...
১ দিন আগেডা. মো. নূর আলম

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
১৯ নভেম্বর ২০২৪
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
১ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
১ দিন আগে
মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে...
১ দিন আগেডা. মো. মাজহারুল হক তানিম

পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
কখন বলবেন বেশি রক্ত যাচ্ছে
পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হলে তাকে বলা হয় ম্যানোরেজিয়া। এর সাধারণ লক্ষণগুলো হলো
সাত দিনের বেশি সময় ধরে রক্তপাত হলে, সংখ্যায় বেশি প্যাড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে এবং ব্লিডিংয়ের সঙ্গে চাকা চাকা রক্তপাত হলে।
কেন বেশি ব্লিডিং হতে পারে
করণীয়
হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের ক্ষেত্রে, রক্তপ্রবাহ এবং পেটের খিঁচুনি আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করে। যদি অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের কারণে পিরিয়ডকে ভয় পান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। এর অনেক চিকিৎসা রয়েছে, যা সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর দরকার হয়। যেমন হরমোনের সমস্যা আছে কি না বা প্লিসটিক ওভারেসি সিনড্রোম আছে কি না অথবা থাইরো হরমোনের সমস্যা আছে কি না। আলট্রাসনো করেও অনেক সময় দেখা হয়, জরায়ুতে কোনো টিউমার আছে কি না। ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে, যাদের হরমনাল ইমব্যালেন্স থাকে, তাদের ক্ষেত্রে হরমোন ব্যালেন্স করার জন্য প্রজেস্টেরন-জাতীয় হরমোন দিয়ে থাকি। আবার থাইরো হরমোনের তারতম্য থাকলে থাইরো হরমোনের রিপ্লেসমেন্ট বা যে কারণে হচ্ছে, সেটার ওষুধ দিয়ে থাকি। টিউমার থাকলে অনেক সময় অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এই অপারেশন সব সময় যে দরকার হয় এমন নয়; বা অতিরিক্ত ব্লিডিং হলেই যে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে হবে, তা কিন্তু নয়।
লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
কখন বলবেন বেশি রক্ত যাচ্ছে
পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হলে তাকে বলা হয় ম্যানোরেজিয়া। এর সাধারণ লক্ষণগুলো হলো
সাত দিনের বেশি সময় ধরে রক্তপাত হলে, সংখ্যায় বেশি প্যাড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে এবং ব্লিডিংয়ের সঙ্গে চাকা চাকা রক্তপাত হলে।
কেন বেশি ব্লিডিং হতে পারে
করণীয়
হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের ক্ষেত্রে, রক্তপ্রবাহ এবং পেটের খিঁচুনি আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করে। যদি অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের কারণে পিরিয়ডকে ভয় পান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। এর অনেক চিকিৎসা রয়েছে, যা সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর দরকার হয়। যেমন হরমোনের সমস্যা আছে কি না বা প্লিসটিক ওভারেসি সিনড্রোম আছে কি না অথবা থাইরো হরমোনের সমস্যা আছে কি না। আলট্রাসনো করেও অনেক সময় দেখা হয়, জরায়ুতে কোনো টিউমার আছে কি না। ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে, যাদের হরমনাল ইমব্যালেন্স থাকে, তাদের ক্ষেত্রে হরমোন ব্যালেন্স করার জন্য প্রজেস্টেরন-জাতীয় হরমোন দিয়ে থাকি। আবার থাইরো হরমোনের তারতম্য থাকলে থাইরো হরমোনের রিপ্লেসমেন্ট বা যে কারণে হচ্ছে, সেটার ওষুধ দিয়ে থাকি। টিউমার থাকলে অনেক সময় অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এই অপারেশন সব সময় যে দরকার হয় এমন নয়; বা অতিরিক্ত ব্লিডিং হলেই যে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে হবে, তা কিন্তু নয়।
লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
১৯ নভেম্বর ২০২৪
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
১ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
১ দিন আগে
মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে...
১ দিন আগেনাহিদা আহমেদ

মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে, তিনি প্রতিদিন ৬০ গ্রামের মতো প্রোটিন গ্রহণ করতে পারবেন। কিডনির সমস্যাসহ বিশেষ কিছু রোগের ক্ষেত্রে আবার পরিমাণ কমাতে হবে। আবার মেয়েদের মাসিকের সময় এবং গর্ভকালে এই প্রোটিনের চাহিদা প্রায় দ্বিগুণ হারে বেড়ে থাকে।
অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে শরীরে যেসব সমস্যা হতে পারে—
নিশ্বাসে দুর্গন্ধ
মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণের ফলে নিশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে। অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে শরীর কিটোসিস নামক একটি বিপাকীয় অবস্থায় চলে যায়। এই অবস্থায় বিভিন্ন রাসায়নিক তৈরি হয় বলে শরীরে অপ্রীতিকর গন্ধ তৈরি হয়।
কিডনি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে প্রোটিন ভেঙে অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি হয়।
এ থেকে তৈরি হয় নাইট্রোজেন বা বর্জ্য পদার্থ। যেসব রোগীর কিডনির বিভিন্ন জটিলতা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে দুর্বল কিডনি শরীর থেকে অতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনের জন্য আরও বেশি শক্তি ক্ষয় করে। এর ফলে কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
পানিশূন্যতা সৃষ্টি হতে পারে
অতিরিক্ত নাইট্রোজেন বের করার জন্য শরীরে বিভিন্ন তরল ও পানির নিষ্কাশন বেড়ে যায়। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তৃষ্ণার্ত না করেও এটি আপনাকে পানিশূন্য করে দিতে পারে।
ডায়রিয়া হতে পারে
অত্যধিক দুগ্ধজাত অথবা প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার ফলে আঁশের অভাব দেখা দিতে পারে। এতে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি বিশেষভাবে সত্য হবে, যদি আপনার দুধজাতীয় খাবার খাওয়ায় সমস্যা থাকে কিংবা ভাজা মাংস, মাছ এবং হাঁস-মুরগির মতো উৎস থেকে প্রোটিন গ্রহণ করেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে
অনেকে শর্করা কমিয়ে দিয়ে প্রোটিন গ্রহণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। তাঁদের ক্ষেত্রে শরীরে আঁশের ঘাটতি হয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘ সময় প্রতিদিন একটানা ১০০ গ্রামের বেশি লাল মাংস খেলে হৃদ্রোগের আশঙ্কা, ব্রেইন স্ট্রোকের ঝুঁকি, বৃহদন্ত্র ও প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ছাড়া বেশি প্রোটিন গ্রহণ ফুসফুসের নানা রোগে আক্রান্ত হওয়া, কোলন ও স্তন ক্যানসারে ভূমিকা রাখে। এমনকি অতিরিক্ত লাল মাংস গ্রহণে আর্থ্রাইটিস, গাউট, পেপটিক আলসার, পিত্তথলিতে পাথর, প্যানক্রিয়াস প্রদাহ, কিডনি রোগসহ বিভিন্ন জটিলতা তৈরি করে।
লেখক: পুষ্টিবিদ, ফরাজি হসপিটাল, বারিধারা

মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে, তিনি প্রতিদিন ৬০ গ্রামের মতো প্রোটিন গ্রহণ করতে পারবেন। কিডনির সমস্যাসহ বিশেষ কিছু রোগের ক্ষেত্রে আবার পরিমাণ কমাতে হবে। আবার মেয়েদের মাসিকের সময় এবং গর্ভকালে এই প্রোটিনের চাহিদা প্রায় দ্বিগুণ হারে বেড়ে থাকে।
অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে শরীরে যেসব সমস্যা হতে পারে—
নিশ্বাসে দুর্গন্ধ
মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণের ফলে নিশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে। অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে শরীর কিটোসিস নামক একটি বিপাকীয় অবস্থায় চলে যায়। এই অবস্থায় বিভিন্ন রাসায়নিক তৈরি হয় বলে শরীরে অপ্রীতিকর গন্ধ তৈরি হয়।
কিডনি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে প্রোটিন ভেঙে অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি হয়।
এ থেকে তৈরি হয় নাইট্রোজেন বা বর্জ্য পদার্থ। যেসব রোগীর কিডনির বিভিন্ন জটিলতা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে দুর্বল কিডনি শরীর থেকে অতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনের জন্য আরও বেশি শক্তি ক্ষয় করে। এর ফলে কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
পানিশূন্যতা সৃষ্টি হতে পারে
অতিরিক্ত নাইট্রোজেন বের করার জন্য শরীরে বিভিন্ন তরল ও পানির নিষ্কাশন বেড়ে যায়। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তৃষ্ণার্ত না করেও এটি আপনাকে পানিশূন্য করে দিতে পারে।
ডায়রিয়া হতে পারে
অত্যধিক দুগ্ধজাত অথবা প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার ফলে আঁশের অভাব দেখা দিতে পারে। এতে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি বিশেষভাবে সত্য হবে, যদি আপনার দুধজাতীয় খাবার খাওয়ায় সমস্যা থাকে কিংবা ভাজা মাংস, মাছ এবং হাঁস-মুরগির মতো উৎস থেকে প্রোটিন গ্রহণ করেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে
অনেকে শর্করা কমিয়ে দিয়ে প্রোটিন গ্রহণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। তাঁদের ক্ষেত্রে শরীরে আঁশের ঘাটতি হয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘ সময় প্রতিদিন একটানা ১০০ গ্রামের বেশি লাল মাংস খেলে হৃদ্রোগের আশঙ্কা, ব্রেইন স্ট্রোকের ঝুঁকি, বৃহদন্ত্র ও প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ছাড়া বেশি প্রোটিন গ্রহণ ফুসফুসের নানা রোগে আক্রান্ত হওয়া, কোলন ও স্তন ক্যানসারে ভূমিকা রাখে। এমনকি অতিরিক্ত লাল মাংস গ্রহণে আর্থ্রাইটিস, গাউট, পেপটিক আলসার, পিত্তথলিতে পাথর, প্যানক্রিয়াস প্রদাহ, কিডনি রোগসহ বিভিন্ন জটিলতা তৈরি করে।
লেখক: পুষ্টিবিদ, ফরাজি হসপিটাল, বারিধারা

সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
১৯ নভেম্বর ২০২৪
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
১ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
১ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
১ দিন আগে