নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা রোগীদের চিকিৎসার সুযোগ বাড়াতে মৌখিক পরীক্ষা ও পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই চার হাজার চিকিৎসক ও চার হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, ‘ডাক্তার, নার্সরাও ক্লান্ত হয়ে গেছেন, তাঁরা আর কত করবেন? তাই খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে চার হাজার ডাক্তার ও চার হাজার নার্স নেওয়া হচ্ছে। আমরা ইন্টারভিউও বাদ দিয়েছি। অনুরোধ করেছি ইন্টারভিউ ও পুলিশ ভেরিফিকেশন নেওয়ার দরকার নেই। তাড়াতাড়ি তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হোক, সেই ব্যবস্থাটাও আমরা করেছি।’
গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, করোনার টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম ওয়ার্ড থেকে শুরু করে ইউনিয়ন, উপজেলা পর্যায়ে করা হবে। এখন বিভাগীয় ও জেলা শহরের বাইরে উপজেলা পর্যায়ে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কীভাবে এই টিকা দেওয়া হবে, সে বিষয়ে কোনো রূপরেখা জানাননি স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রতি মাসে এক কোটির বেশি টিকা দিতে চায় সরকার। এ জন্য হাজার হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন ৮ কোটি ডোজ সাধারণ টিকা সংরক্ষণ করতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৩০-৪০ লাখ টিকা রাখার ফ্রিজার দেবে। সরকার আরও ফ্রিজারের ব্যবস্থা করবে। টিকা রাখা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে ২১ কোটি টিকা লাগবে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার কাছ থেকে ৩ কোটি, সিনোফার্ম থেকে দেড় কোটি, রাশিয়া থেকে ১ কোটি, কোভ্যাক্সের মাধ্যমে মডার্না ও ফাইজারের ৬ কোটি ৮০ লাখ এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের কাছ থেকে ৭ কোটি টিকা কেনা হচ্ছে।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনেকেরই টিকা নেওয়ায় আগ্রহ নেই জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, বয়স্কদের টিকার ব্যবস্থা করা হবে। যারা টিকাকেন্দ্রে আসতে পারবেন না, প্রয়োজনে তাঁদের বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়া যায় কি না, সেই চিন্তা করা হচ্ছে। কারণ হাসপাতালে রোগীদের মধ্যে এখন গ্রামের বয়স্করাই ৭৫ শতাংশ এবং তাঁদের মৃত্যুর হারও বেশি। বয়স্করা যাতে টিকা নেন, করোনা পরীক্ষা করান, সংক্রমিত জায়গায় যাতে না যান, সে বিষয়ে তাঁদের সচেতন করতে হবে। তিনি বলেন, সংক্রমণ না কমলে রোগী কমবে না, রোগী না কমলে মৃত্যু কমবে না এবং হাসপাতালে জায়গা সংকুলান হবে না।
অক্সিজেনের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক সপ্তাহে ২০০ টন করে অক্সিজেন আসবে। ৪৩টি অক্সিজেন জেনারেটর কিনতে আদেশ দেওয়া হয়েছে। আগস্টের যেকোনো সময় এগুলো আসবে। একেকটি জেনারেটর মিনিটে ৫০০ লিটার অক্সিজেন উৎপাদন করতে পারবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘মহামারির মধ্যে যাঁরা সামনে থেকে কাজ করছেন, সে সব ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের পরিবারের সদস্যদেরও টিকা দিতে বলা হয়েছে। ১৮ বছর বয়সের ওপরের সবাই ভ্যাকসিন পাবেন। সরকার অতি দ্রুত ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে টিকাদান জোরদার করব।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, লকডাউন নিয়ে অনেকের অনীহা আছে। অনীহা হলে চলবে না। আগে জীবন বাঁচবে তারপর অর্থনীতি। অর্থনীতিকে বাঁচাতে হলে জীবনও বাঁচাতে হবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা রোগীদের চিকিৎসার সুযোগ বাড়াতে মৌখিক পরীক্ষা ও পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই চার হাজার চিকিৎসক ও চার হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, ‘ডাক্তার, নার্সরাও ক্লান্ত হয়ে গেছেন, তাঁরা আর কত করবেন? তাই খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে চার হাজার ডাক্তার ও চার হাজার নার্স নেওয়া হচ্ছে। আমরা ইন্টারভিউও বাদ দিয়েছি। অনুরোধ করেছি ইন্টারভিউ ও পুলিশ ভেরিফিকেশন নেওয়ার দরকার নেই। তাড়াতাড়ি তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হোক, সেই ব্যবস্থাটাও আমরা করেছি।’
গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, করোনার টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম ওয়ার্ড থেকে শুরু করে ইউনিয়ন, উপজেলা পর্যায়ে করা হবে। এখন বিভাগীয় ও জেলা শহরের বাইরে উপজেলা পর্যায়ে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কীভাবে এই টিকা দেওয়া হবে, সে বিষয়ে কোনো রূপরেখা জানাননি স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রতি মাসে এক কোটির বেশি টিকা দিতে চায় সরকার। এ জন্য হাজার হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন ৮ কোটি ডোজ সাধারণ টিকা সংরক্ষণ করতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৩০-৪০ লাখ টিকা রাখার ফ্রিজার দেবে। সরকার আরও ফ্রিজারের ব্যবস্থা করবে। টিকা রাখা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে ২১ কোটি টিকা লাগবে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার কাছ থেকে ৩ কোটি, সিনোফার্ম থেকে দেড় কোটি, রাশিয়া থেকে ১ কোটি, কোভ্যাক্সের মাধ্যমে মডার্না ও ফাইজারের ৬ কোটি ৮০ লাখ এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের কাছ থেকে ৭ কোটি টিকা কেনা হচ্ছে।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনেকেরই টিকা নেওয়ায় আগ্রহ নেই জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, বয়স্কদের টিকার ব্যবস্থা করা হবে। যারা টিকাকেন্দ্রে আসতে পারবেন না, প্রয়োজনে তাঁদের বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়া যায় কি না, সেই চিন্তা করা হচ্ছে। কারণ হাসপাতালে রোগীদের মধ্যে এখন গ্রামের বয়স্করাই ৭৫ শতাংশ এবং তাঁদের মৃত্যুর হারও বেশি। বয়স্করা যাতে টিকা নেন, করোনা পরীক্ষা করান, সংক্রমিত জায়গায় যাতে না যান, সে বিষয়ে তাঁদের সচেতন করতে হবে। তিনি বলেন, সংক্রমণ না কমলে রোগী কমবে না, রোগী না কমলে মৃত্যু কমবে না এবং হাসপাতালে জায়গা সংকুলান হবে না।
অক্সিজেনের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক সপ্তাহে ২০০ টন করে অক্সিজেন আসবে। ৪৩টি অক্সিজেন জেনারেটর কিনতে আদেশ দেওয়া হয়েছে। আগস্টের যেকোনো সময় এগুলো আসবে। একেকটি জেনারেটর মিনিটে ৫০০ লিটার অক্সিজেন উৎপাদন করতে পারবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘মহামারির মধ্যে যাঁরা সামনে থেকে কাজ করছেন, সে সব ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের পরিবারের সদস্যদেরও টিকা দিতে বলা হয়েছে। ১৮ বছর বয়সের ওপরের সবাই ভ্যাকসিন পাবেন। সরকার অতি দ্রুত ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে টিকাদান জোরদার করব।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, লকডাউন নিয়ে অনেকের অনীহা আছে। অনীহা হলে চলবে না। আগে জীবন বাঁচবে তারপর অর্থনীতি। অর্থনীতিকে বাঁচাতে হলে জীবনও বাঁচাতে হবে।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার (৬ জুন) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৬ জন।
১০ ঘণ্টা আগেঈদের ঠিক দুইদিন আগে, যখন উৎসবের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে রাজধানী, তখন অন্ধকার নেমে আসে জামাল আহমেদের জীবনে। রাজধানীর মাতুয়াইল এলাকায় এক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
১৪ ঘণ্টা আগেবিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে অনিরাপদ খাদ্যের কারণে উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন ধরনের অসংক্রামক রোগ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে খাদ্যজনিত রোগের কারণে উৎপাদন কমে যাওয়া এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যয়ের বোঝা বছরে ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি।
২ দিন আগেগরু বা খাসির মাংস প্রাণিজ আমিষের খুব ভালো উৎস। এগুলোতে রয়েছে ভিটামিন বি১২, কোলিন, জিংক, সেলেনিয়াম, ফসফরাস, আয়রনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। সেগুলো শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
২ দিন আগে