ডা. সোমাইয়া নওশিন আহমেদ
সামাজিক উদ্বেগমূলক ব্যাধি বা সোশ্যাল ফোবিয়া একধরনের উদ্বেগজনিত মানসিক রোগ। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা মনোসামাজিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়াকে প্রচণ্ড ভয় পান। এটি জিনগত কারণে হতে পারে এবং সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে শুরু হয়।
সামাজিক ভীতি
সাধারণ লাজুকতার চেয়ে বেশি কিছু। এতে আক্রান্ত ব্যক্তি সামাজিক অনুষ্ঠান বা পরিস্থিতি নিয়ে অনেক বেশি চিন্তিত থাকেন। সে ভয় তাঁর কাজকর্ম, আত্মবিশ্বাস ও সম্পর্কে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এর ফলে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দৈনন্দিন জীবনে সংকট ও প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়।
উপসর্গ
অচেনা লোকের সামনে কথা বলতে বা আলাপ করতে অস্বস্তি।
লজ্জা বা ভয়ের কারণে সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলা। মানুষের সামনে অস্বাভাবিক বা বিব্রতকর আচরণ না করে ফেলেন—সে ভয়ে সব সময় আড়ষ্ট থাকা। সমালোচনা ভয় পাওয়া। কারও চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে না-পারা। মুখ শুকিয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত ঘাম, বুক ধড়ফড় করা, হাত-পা ঝিমঝিম করা বা অসাড় হয়ে আসা ইত্যাদি শারীরিক উপসর্গ দেখা দেওয়া।
চিকিৎসা
এ রোগের মূল চিকিৎসা সাইকোথেরাপি। যেমন, কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি। এটি একটি পরামর্শভিত্তিক চিকিৎসা, যা রোগীর চিন্তার ধরন পরিবর্তনের মাধ্যমে উদ্বেগের ফলে সৃষ্ট শারীরিক প্রতিক্রিয়ার উন্নতি সাধন করে। এ ছাড়া বিষণ্নতা নিরোধক কিছু ওষুধ রোগ সারাতে কার্যকরী।
পাশাপাশি যা করণীয়
দুশ্চিন্তার কারণগুলো বোঝার চেষ্টা করুন। বিভিন্ন সামাজিক পরিস্থিতিতে মনের অবস্থা ও আচরণ কী হয়, তা ডায়েরিতে লিখে রাখুন। এতে নিজের সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাবেন এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যাপারগুলো নিজেই পরিবর্তন করতে পারবেন।
কঠিন সামাজিক পরিস্থিতিকে মনে মনে ছোট ছোট ধাপে ভাঙুন। প্রথম ধাপে অভ্যস্ত হলেই পরবর্তী ধাপের দিকে এগিয়ে যান। ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করুন। পরিচিত লোকজনের সঙ্গে কুশল বিনিময়, চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলার অনুশীলন করুন।
দুশ্চিন্তা বাড়লে শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়ামের মতো বিভিন্ন রিল্যাক্সেশন পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে তা কমানোর চেষ্টা করুন।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, মনোরোগ বিভাগ, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
সামাজিক উদ্বেগমূলক ব্যাধি বা সোশ্যাল ফোবিয়া একধরনের উদ্বেগজনিত মানসিক রোগ। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা মনোসামাজিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়াকে প্রচণ্ড ভয় পান। এটি জিনগত কারণে হতে পারে এবং সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে শুরু হয়।
সামাজিক ভীতি
সাধারণ লাজুকতার চেয়ে বেশি কিছু। এতে আক্রান্ত ব্যক্তি সামাজিক অনুষ্ঠান বা পরিস্থিতি নিয়ে অনেক বেশি চিন্তিত থাকেন। সে ভয় তাঁর কাজকর্ম, আত্মবিশ্বাস ও সম্পর্কে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এর ফলে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দৈনন্দিন জীবনে সংকট ও প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়।
উপসর্গ
অচেনা লোকের সামনে কথা বলতে বা আলাপ করতে অস্বস্তি।
লজ্জা বা ভয়ের কারণে সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলা। মানুষের সামনে অস্বাভাবিক বা বিব্রতকর আচরণ না করে ফেলেন—সে ভয়ে সব সময় আড়ষ্ট থাকা। সমালোচনা ভয় পাওয়া। কারও চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে না-পারা। মুখ শুকিয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত ঘাম, বুক ধড়ফড় করা, হাত-পা ঝিমঝিম করা বা অসাড় হয়ে আসা ইত্যাদি শারীরিক উপসর্গ দেখা দেওয়া।
চিকিৎসা
এ রোগের মূল চিকিৎসা সাইকোথেরাপি। যেমন, কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি। এটি একটি পরামর্শভিত্তিক চিকিৎসা, যা রোগীর চিন্তার ধরন পরিবর্তনের মাধ্যমে উদ্বেগের ফলে সৃষ্ট শারীরিক প্রতিক্রিয়ার উন্নতি সাধন করে। এ ছাড়া বিষণ্নতা নিরোধক কিছু ওষুধ রোগ সারাতে কার্যকরী।
পাশাপাশি যা করণীয়
দুশ্চিন্তার কারণগুলো বোঝার চেষ্টা করুন। বিভিন্ন সামাজিক পরিস্থিতিতে মনের অবস্থা ও আচরণ কী হয়, তা ডায়েরিতে লিখে রাখুন। এতে নিজের সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাবেন এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যাপারগুলো নিজেই পরিবর্তন করতে পারবেন।
কঠিন সামাজিক পরিস্থিতিকে মনে মনে ছোট ছোট ধাপে ভাঙুন। প্রথম ধাপে অভ্যস্ত হলেই পরবর্তী ধাপের দিকে এগিয়ে যান। ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করুন। পরিচিত লোকজনের সঙ্গে কুশল বিনিময়, চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলার অনুশীলন করুন।
দুশ্চিন্তা বাড়লে শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়ামের মতো বিভিন্ন রিল্যাক্সেশন পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে তা কমানোর চেষ্টা করুন।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, মনোরোগ বিভাগ, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
উন্নত দেশগুলো, এমনকি উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও টাইফয়েড এখন খুব কম দেখা যায়। কিন্তু প্রাচীন এই রোগের ফলে আধুনিক বিশ্ব তো বটেই, দুনিয়াজুড়ে বেশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে আবারও। হাজার বছর ধরে মানুষের প্রাণ হন্তারক হিসেবে ‘খুনির’ কাজ করে এসেছে এর জীবাণু। সাম্প্রতিক এক গবেষণা দেখিয়েছে, টাইফয়েডের জন্য দায়ী
২ দিন আগেআমাদের অনেকের প্রায় অনেক সময় নাক খোঁটানোর অভ্যাস আছে। আপাতদৃষ্টে বিষয়টি খুব সাধারণ মনে হলেও গবেষকেরা বলছেন, নাক খোঁটানোর বিষয়টি মোটেও নিরাপদ নয়। ২০২২ সালে বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এক গবেষণায় নাক খোঁটার সঙ্গে স্মৃতিভ্রংশ বা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকির ক্ষীণ কিন্তু সম্ভাব্য যোগসূত্রের কথা বলা হয়েছে।
২ দিন আগেদীর্ঘদিন ধরে নারীদেহের এক প্রত্যঙ্গকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে মনে করা হতো। তবে নতুন এক গবেষণায় জানা যায়, এই প্রত্যঙ্গটিই নারীর ডিম্বাশয়ের বিকাশ ও প্রজনন ক্ষমতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২ দিন আগেনানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
৪ দিন আগে