আলমগীর আলম
প্রতিটি দিন এক কাপ দারুচিনি চা দিয়ে শুরু হোক। এই গরম চা আপনাকে আরামদায়ক দিন উপহার দেবে। এই সুগন্ধযুক্ত পানীয়টির বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে, যা সামগ্রিক সুস্থতা বাড়াতে পারে। কী করতে পারে এই দারুচিনি চা—
হার্টের স্বাস্থ্য বাড়ায়
দারুচিনি চা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বাড়াতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরলের এই ভারসাম্য থাকার কারণে হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা ভালো থাকে। কার্ডিওভাসকুলার রোগ প্রতিরোধের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
যাঁরা ডায়াবেটিস নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন বা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করছেন, তাঁদের জন্য দারুচিনি চা চমৎকার সমাধান হতে পারে। দারুচিনিকে প্রাকৃতিক ইনসুলিন বলা হয়। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক রাখতে এবং ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি স্বাস্থ্যকর গ্লুকোজের স্তর বজায় রাখতেও সহায়তা করে।
প্রদাহ কমায়
দারুচিনি তার প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য বিখ্যাত। এর চা পান করা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। যাঁরা আর্থ্রাইটিস বা অন্যান্য প্রদাহজনিত পরিস্থিতিতে ভুগছেন, তাঁদের জন্য উপকারী।
হজমের স্বাস্থ্যে উপকারী
এই চা মৃদু হজম সহায়ক। এটি ফোলা ভাব, বদহজম এবং বমি বমি ভাব উপশম করতে পারে। এটি সকালের জন্য প্রশান্তিদায়ক পানীয়। দারুচিনি পেটের গ্যাস কমাতেও সাহায্য করে এবং হজমশক্তিকে উদ্দীপিত করে।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়
অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর দারুচিনি চা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী করতে পারে। এর অ্যান্টি ভাইরাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং শরীরকে বিভিন্ন রোগজীবাণু থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
যাঁরা ওজন কমানোর প্রচেষ্টা করছেন, তাঁদের জন্য এই চা সহায়ক হতে পারে। দারুচিনি চায়ে এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা বিপাক বাড়াতে এবং ক্ষুধা দমন করতে সাহায্য করে, ক্যালরি গ্রহণকে আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে সহায়তা করে।
ত্বক স্বাস্থ্যকর রাখে
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য দারুচিনি ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ব্রণের জন্য বিব্রত হলে, ত্বকের ব্যাকটেরিয়া দূর করে এটি কমাতে সাহায্য করে দারুচিনি। এর প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য ত্বকে আরাম দেয়।
কীভাবে বানাবেন এই চা
এক কাপ পানিতে এক চা-চামচ দারুচিনি গুঁড়া অথবা একটি দারুচিনির টুকরা প্রায় ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। খাওয়ার আগে একটু গরম করে নিন। আপনি যদি একটু মিষ্টি স্বাদ পছন্দ করেন, তবে এর সঙ্গে মধু যোগ করতে পারেন।
সাধারণ গ্রিন টির সঙ্গে দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে খেতে পারেন। আস্ত দারুচিনির উপকার বেশি। সে জন্য এককভাবেই এটি খাওয়া উত্তম।
কেনার সময় সিলন জাতের দারুচিনি কিনুন। সিলন বা গোল্ডেন দারুচিনি কাগজের বোর্ডের মতো পাতলা ও মোচড়ানো থাকে। আর সাধারণ দারুচিনি দেখতে গাছের একটু মোটা ছালের মতো।
সতর্কতা
দারুচিনি চা উপকারী হলেও সবার ক্ষেত্রে এটি উপকারী না-ও হতে পারে। সে জন্য রুচি, অভ্যাস এবং খাদ্যে নতুন উপাদান যোগ করার বিষয়ে কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পরামর্শ দিয়েছেন: আলমগীর আলম, খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
প্রতিটি দিন এক কাপ দারুচিনি চা দিয়ে শুরু হোক। এই গরম চা আপনাকে আরামদায়ক দিন উপহার দেবে। এই সুগন্ধযুক্ত পানীয়টির বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে, যা সামগ্রিক সুস্থতা বাড়াতে পারে। কী করতে পারে এই দারুচিনি চা—
হার্টের স্বাস্থ্য বাড়ায়
দারুচিনি চা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বাড়াতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরলের এই ভারসাম্য থাকার কারণে হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা ভালো থাকে। কার্ডিওভাসকুলার রোগ প্রতিরোধের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
যাঁরা ডায়াবেটিস নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন বা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করছেন, তাঁদের জন্য দারুচিনি চা চমৎকার সমাধান হতে পারে। দারুচিনিকে প্রাকৃতিক ইনসুলিন বলা হয়। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক রাখতে এবং ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি স্বাস্থ্যকর গ্লুকোজের স্তর বজায় রাখতেও সহায়তা করে।
প্রদাহ কমায়
দারুচিনি তার প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য বিখ্যাত। এর চা পান করা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। যাঁরা আর্থ্রাইটিস বা অন্যান্য প্রদাহজনিত পরিস্থিতিতে ভুগছেন, তাঁদের জন্য উপকারী।
হজমের স্বাস্থ্যে উপকারী
এই চা মৃদু হজম সহায়ক। এটি ফোলা ভাব, বদহজম এবং বমি বমি ভাব উপশম করতে পারে। এটি সকালের জন্য প্রশান্তিদায়ক পানীয়। দারুচিনি পেটের গ্যাস কমাতেও সাহায্য করে এবং হজমশক্তিকে উদ্দীপিত করে।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়
অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর দারুচিনি চা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী করতে পারে। এর অ্যান্টি ভাইরাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং শরীরকে বিভিন্ন রোগজীবাণু থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
যাঁরা ওজন কমানোর প্রচেষ্টা করছেন, তাঁদের জন্য এই চা সহায়ক হতে পারে। দারুচিনি চায়ে এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা বিপাক বাড়াতে এবং ক্ষুধা দমন করতে সাহায্য করে, ক্যালরি গ্রহণকে আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে সহায়তা করে।
ত্বক স্বাস্থ্যকর রাখে
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য দারুচিনি ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ব্রণের জন্য বিব্রত হলে, ত্বকের ব্যাকটেরিয়া দূর করে এটি কমাতে সাহায্য করে দারুচিনি। এর প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য ত্বকে আরাম দেয়।
কীভাবে বানাবেন এই চা
এক কাপ পানিতে এক চা-চামচ দারুচিনি গুঁড়া অথবা একটি দারুচিনির টুকরা প্রায় ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। খাওয়ার আগে একটু গরম করে নিন। আপনি যদি একটু মিষ্টি স্বাদ পছন্দ করেন, তবে এর সঙ্গে মধু যোগ করতে পারেন।
সাধারণ গ্রিন টির সঙ্গে দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে খেতে পারেন। আস্ত দারুচিনির উপকার বেশি। সে জন্য এককভাবেই এটি খাওয়া উত্তম।
কেনার সময় সিলন জাতের দারুচিনি কিনুন। সিলন বা গোল্ডেন দারুচিনি কাগজের বোর্ডের মতো পাতলা ও মোচড়ানো থাকে। আর সাধারণ দারুচিনি দেখতে গাছের একটু মোটা ছালের মতো।
সতর্কতা
দারুচিনি চা উপকারী হলেও সবার ক্ষেত্রে এটি উপকারী না-ও হতে পারে। সে জন্য রুচি, অভ্যাস এবং খাদ্যে নতুন উপাদান যোগ করার বিষয়ে কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পরামর্শ দিয়েছেন: আলমগীর আলম, খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
নানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
১ দিন আগেঅফিসে বারবার ঘুম পেলে তা কাজের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। ডেডলাইন মিস করা, কাজ জমে যাওয়া, এমনকি চাকরিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা জরুরি। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কাজের সময় ঘুম পাওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।
১ দিন আগেবাতরোগ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে বিবেচিত। কিন্তু শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকেরা ভাবেন, এই বয়সে এমন ব্যথা বা অস্বস্তি সাময়িক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক শিশু দীর্ঘস্থায়ী বাতরোগে ভোগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রারাইটিস...
১ দিন আগেশরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে জ্বর বলা হয়। জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। ফলে জ্বর হওয়াকে শরীরের ভেতরের কোনো রোগের সতর্কবার্তা বলা যেতে পারে।
১ দিন আগে