আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বহু বছর ধরে স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য বিষয়ে প্রতিবেদন লেখেন বিবিসির স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রতিবেদক রুথ ক্লেগ। কিন্তু মাছের শুক্রাণুর তৈরি ইনজেকশন কেমন লাগে— এমন প্রশ্ন তাঁকে কখনো করতে হবে, ভাবেননি। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে দ্রুত জনপ্রিয় হওয়া অভিনব এই রূপচর্চা তাঁকে এমন প্রশ্ন করতে বাধ্য করেছে।
ম্যানচেস্টারের একটি ছোট ক্লিনিকে ২৯ বছর বয়সী অ্যাবি ওয়ার্নেস শুয়ে আছেন কালো প্যাডেড চেয়ারে। তাঁর মুখে ক্যানুলা ঢোকানো হচ্ছে, আর তিনি ব্যথায় কেঁপে উঠছেন। তবে অ্যাবি সরাসরি ট্রাউট বা স্যামন মাছের শুক্রাণু গ্রহণ করছেন না। বরং তাঁর মুখে ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে ‘পলিনিউক্লিওটাইডস’। এটি হল মাছের শুক্রাণু থেকে সংগ্রহ করা ক্ষুদ্র ডিএনএ।
বিজ্ঞানীদের দাবি—মানুষের ডিএনএ ও মাছের ডিএনএর মধ্যে বেশ মিল আছে। মানুষের শরীর এগুলো ‘গ্রহণ’ করে ত্বকে কোলাজেন ও ইলাস্টিন উৎপাদন বাড়াতে পারে। এই দুই প্রোটিন ত্বকের গঠন, দৃঢ়তা ও স্থিতিস্থাপকতার জন্য অপরিহার্য।
অ্যাবির লক্ষ্য হলো—ত্বককে সতেজ করা, ব্রণজনিত দাগ কমানো ও লালচে ভাব হ্রাস করা। তাই মাছের শুক্রাণু থেকে সংগ্রহ করা ক্ষুদ্র ডিএনএ নিয়ে তাঁর মুখের ত্বকে ইনজেকট করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্যামন স্পার্ম ফেসিয়াল’ ট্রেন্ড জনপ্রিয় হয়েছে বিশেষ করে সেলিব্রিটিদের কারণে। জনপ্রিয় ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী চার্লি এক্সসিএক্স বলেন, ‘ফেসিয়াল ফিলারের যুগ শেষ।’ এখন তিনি পলিনিউক্লিওটাইডস ব্যবহার করেন। এ ছাড়া কিম কার্দাশিয়ান, ক্লোয়ি কার্দাশিয়ানসহ আরও অনেকে নিয়মিত নাকি এসব ইনজেকশন নেন।
প্রসঙ্গত, ফেসিয়াল ফিলার হল জেলের মতো একধরনের পদার্থ। এটি ত্বকের ভেতরে বা নীচে ইনজেকট করা হয় যাতে ত্বক মসৃণ হয় ও বলিরেখা দূর হয়। এগুলো সাধারণত হায়ালুরোনিক অ্যাসিড দিয়ে তৈরি হয়, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীর দ্বারা শোষিত হয়ে যায়। তবে বর্তমানে এই ফেসিয়াল ফিলারের পরিবর্তে পলিনিউক্লিওটাইডস বা মাছের শুক্রাণু থেকে সংগ্রহ করা ক্ষুদ্র ডিএনএ ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে।
সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ত্বক পুনর্জীবিত করতে পলিনিউক্লিওটাইডস জনপ্রিয় হচ্ছে। ত্বকের পরিচর্যা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ‘ডার্মাফোকাস’-এর সুজান ম্যানসফিল্ড বলেন, ‘আমরা যেন বেনজামিন বাটন মুহূর্তে!’ ২০০৮ সালের একটি সিনেমার চরিত্র বেনজামিন বাটন, যার বয়স বাড়ার বদলে উল্টো কমে।

যদিও বাস্তবে এমন চরম পরিবর্তন সম্ভব নয়, তবে গবেষণা বলছে—এ ধরনের ইনজেকশন ত্বককে সুস্থ করে, সূক্ষ্ম রেখা কমায় এবং দাগ হ্রাসে সহায়তা করতে পারে।
তবে এসব ইনজেকশনের দাম বেশ চড়া। প্রতিবার ইনজেকশনের খরচ ২০০ থেকে ৫০০ পাউন্ড (বাংলাদেশি মূদ্রায় প্রায় ২৫ থেকে ৬১ হাজার টাকা)। এটি নিতে চাইলে প্রথমবার ৩টি সেশনের প্রয়োজন। এরপর প্রতি ৬ থেকে ৯ মাস পর আবার নিতে হয়।
ম্যানচেস্টারের ‘স্কিন এইচডি’ ক্লিনিকের নার্স হেলেনা ডাঙ্ক বলেন, ‘গত দেড় বছরে এ চিকিৎসার জনপ্রিয়তা কয়েক গুণ বেড়েছে। যাঁরা এটি নিয়েছেন, তাঁদের অর্ধেকই মনে করেন, ত্বকের দারুণ উন্নতি হয়েছে। অন্যরা খুব বেশি পরিবর্তন না পেলেও ত্বক টাইট ও সতেজ হয়েছে বলে মনে করেন।’
অ্যাবি ইতিমধ্যে চোখের নিচে তিন দফা ইনজেকশন নিয়ে সন্তুষ্ট। ব্যথা হলেও ফলাফলে তিনি খুশি।
তবে কিছু বিশেষজ্ঞ সতর্ক করছেন—এই চিকিৎসা নিয়ে ‘হাইপ’ বৈজ্ঞানিক প্রমাণের চেয়ে এগিয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ড. জন পাগলিয়ারো বলেন, ‘আমরা জানি নিউক্লিওটাইড শরীরের জন্য জরুরি। কিন্তু সালমনের ডিএনএ কেটে মুখে ঢোকালে ঠিক কতটা কাজ করবে—এর শক্ত প্রমাণ এখনো নেই। বড় ও দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা দরকার।’
নিউইয়র্কের ৩১ বছর বয়সী চার্লট বিকলির অভিজ্ঞতা ভয়াবহ। বিয়ের আগে ‘গ্লো-আপ’ করতে গিয়ে তিনি পলিনিউক্লিওটাইড ইনজেকশন নেন। কিন্তু ফল হয়েছে উল্টো—সংক্রমণ, প্রদাহ ও আরও গাঢ় ডার্ক সার্কেল।
তিনি মনে করেন, চিকিৎসক খুব গভীরে ইনজেকশন দেওয়ায় এই সমস্যা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে অ্যালার্জি, স্থায়ী পিগমেন্টেশন বা সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমি ভাবতেই পারি না কেন এটা করলাম! এখনো মুখে দাগ আছে।’
এদিকে যুক্তরাজ্যে এগুলো মেডিকেল ডিভাইস হিসেবে নিবন্ধিত হলেও ওষুধ হিসেবে নিয়ন্ত্রিত নয়। এখন বাজারে এমন অনেক পণ্য ঢুকছে, যা যথাযথ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়নি—এটাই সবচেয়ে বড় উদ্বেগ।
‘সেভ ফেস’ সংগঠনের পরিচালক অ্যাশটন কলিন্স বলেন, ‘প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ও সঠিক ব্র্যান্ড ব্যবহার করলে সাধারণত এটা নিরাপদ। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত পণ্য বাড়ছে, সেটাই ভয়।’
ব্রিটিশ কলেজ অব অ্যাস্থেটিক মেডিসিনের সভাপতি ড. সোফি শটার বলেন, ‘আমি রোগীকে এটি দিই, তবে এটা কোনো সমাধান নয়। এটা ছাড়াও বাজারে অনেক পরীক্ষিত চিকিৎসা আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেকের শরীরের প্রতিক্রিয়া আলাদা। সবাই একই ফল পাবেন না।’

বহু বছর ধরে স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য বিষয়ে প্রতিবেদন লেখেন বিবিসির স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রতিবেদক রুথ ক্লেগ। কিন্তু মাছের শুক্রাণুর তৈরি ইনজেকশন কেমন লাগে— এমন প্রশ্ন তাঁকে কখনো করতে হবে, ভাবেননি। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে দ্রুত জনপ্রিয় হওয়া অভিনব এই রূপচর্চা তাঁকে এমন প্রশ্ন করতে বাধ্য করেছে।
ম্যানচেস্টারের একটি ছোট ক্লিনিকে ২৯ বছর বয়সী অ্যাবি ওয়ার্নেস শুয়ে আছেন কালো প্যাডেড চেয়ারে। তাঁর মুখে ক্যানুলা ঢোকানো হচ্ছে, আর তিনি ব্যথায় কেঁপে উঠছেন। তবে অ্যাবি সরাসরি ট্রাউট বা স্যামন মাছের শুক্রাণু গ্রহণ করছেন না। বরং তাঁর মুখে ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে ‘পলিনিউক্লিওটাইডস’। এটি হল মাছের শুক্রাণু থেকে সংগ্রহ করা ক্ষুদ্র ডিএনএ।
বিজ্ঞানীদের দাবি—মানুষের ডিএনএ ও মাছের ডিএনএর মধ্যে বেশ মিল আছে। মানুষের শরীর এগুলো ‘গ্রহণ’ করে ত্বকে কোলাজেন ও ইলাস্টিন উৎপাদন বাড়াতে পারে। এই দুই প্রোটিন ত্বকের গঠন, দৃঢ়তা ও স্থিতিস্থাপকতার জন্য অপরিহার্য।
অ্যাবির লক্ষ্য হলো—ত্বককে সতেজ করা, ব্রণজনিত দাগ কমানো ও লালচে ভাব হ্রাস করা। তাই মাছের শুক্রাণু থেকে সংগ্রহ করা ক্ষুদ্র ডিএনএ নিয়ে তাঁর মুখের ত্বকে ইনজেকট করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্যামন স্পার্ম ফেসিয়াল’ ট্রেন্ড জনপ্রিয় হয়েছে বিশেষ করে সেলিব্রিটিদের কারণে। জনপ্রিয় ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী চার্লি এক্সসিএক্স বলেন, ‘ফেসিয়াল ফিলারের যুগ শেষ।’ এখন তিনি পলিনিউক্লিওটাইডস ব্যবহার করেন। এ ছাড়া কিম কার্দাশিয়ান, ক্লোয়ি কার্দাশিয়ানসহ আরও অনেকে নিয়মিত নাকি এসব ইনজেকশন নেন।
প্রসঙ্গত, ফেসিয়াল ফিলার হল জেলের মতো একধরনের পদার্থ। এটি ত্বকের ভেতরে বা নীচে ইনজেকট করা হয় যাতে ত্বক মসৃণ হয় ও বলিরেখা দূর হয়। এগুলো সাধারণত হায়ালুরোনিক অ্যাসিড দিয়ে তৈরি হয়, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীর দ্বারা শোষিত হয়ে যায়। তবে বর্তমানে এই ফেসিয়াল ফিলারের পরিবর্তে পলিনিউক্লিওটাইডস বা মাছের শুক্রাণু থেকে সংগ্রহ করা ক্ষুদ্র ডিএনএ ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে।
সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ত্বক পুনর্জীবিত করতে পলিনিউক্লিওটাইডস জনপ্রিয় হচ্ছে। ত্বকের পরিচর্যা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ‘ডার্মাফোকাস’-এর সুজান ম্যানসফিল্ড বলেন, ‘আমরা যেন বেনজামিন বাটন মুহূর্তে!’ ২০০৮ সালের একটি সিনেমার চরিত্র বেনজামিন বাটন, যার বয়স বাড়ার বদলে উল্টো কমে।

যদিও বাস্তবে এমন চরম পরিবর্তন সম্ভব নয়, তবে গবেষণা বলছে—এ ধরনের ইনজেকশন ত্বককে সুস্থ করে, সূক্ষ্ম রেখা কমায় এবং দাগ হ্রাসে সহায়তা করতে পারে।
তবে এসব ইনজেকশনের দাম বেশ চড়া। প্রতিবার ইনজেকশনের খরচ ২০০ থেকে ৫০০ পাউন্ড (বাংলাদেশি মূদ্রায় প্রায় ২৫ থেকে ৬১ হাজার টাকা)। এটি নিতে চাইলে প্রথমবার ৩টি সেশনের প্রয়োজন। এরপর প্রতি ৬ থেকে ৯ মাস পর আবার নিতে হয়।
ম্যানচেস্টারের ‘স্কিন এইচডি’ ক্লিনিকের নার্স হেলেনা ডাঙ্ক বলেন, ‘গত দেড় বছরে এ চিকিৎসার জনপ্রিয়তা কয়েক গুণ বেড়েছে। যাঁরা এটি নিয়েছেন, তাঁদের অর্ধেকই মনে করেন, ত্বকের দারুণ উন্নতি হয়েছে। অন্যরা খুব বেশি পরিবর্তন না পেলেও ত্বক টাইট ও সতেজ হয়েছে বলে মনে করেন।’
অ্যাবি ইতিমধ্যে চোখের নিচে তিন দফা ইনজেকশন নিয়ে সন্তুষ্ট। ব্যথা হলেও ফলাফলে তিনি খুশি।
তবে কিছু বিশেষজ্ঞ সতর্ক করছেন—এই চিকিৎসা নিয়ে ‘হাইপ’ বৈজ্ঞানিক প্রমাণের চেয়ে এগিয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ড. জন পাগলিয়ারো বলেন, ‘আমরা জানি নিউক্লিওটাইড শরীরের জন্য জরুরি। কিন্তু সালমনের ডিএনএ কেটে মুখে ঢোকালে ঠিক কতটা কাজ করবে—এর শক্ত প্রমাণ এখনো নেই। বড় ও দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা দরকার।’
নিউইয়র্কের ৩১ বছর বয়সী চার্লট বিকলির অভিজ্ঞতা ভয়াবহ। বিয়ের আগে ‘গ্লো-আপ’ করতে গিয়ে তিনি পলিনিউক্লিওটাইড ইনজেকশন নেন। কিন্তু ফল হয়েছে উল্টো—সংক্রমণ, প্রদাহ ও আরও গাঢ় ডার্ক সার্কেল।
তিনি মনে করেন, চিকিৎসক খুব গভীরে ইনজেকশন দেওয়ায় এই সমস্যা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে অ্যালার্জি, স্থায়ী পিগমেন্টেশন বা সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমি ভাবতেই পারি না কেন এটা করলাম! এখনো মুখে দাগ আছে।’
এদিকে যুক্তরাজ্যে এগুলো মেডিকেল ডিভাইস হিসেবে নিবন্ধিত হলেও ওষুধ হিসেবে নিয়ন্ত্রিত নয়। এখন বাজারে এমন অনেক পণ্য ঢুকছে, যা যথাযথ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়নি—এটাই সবচেয়ে বড় উদ্বেগ।
‘সেভ ফেস’ সংগঠনের পরিচালক অ্যাশটন কলিন্স বলেন, ‘প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ও সঠিক ব্র্যান্ড ব্যবহার করলে সাধারণত এটা নিরাপদ। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত পণ্য বাড়ছে, সেটাই ভয়।’
ব্রিটিশ কলেজ অব অ্যাস্থেটিক মেডিসিনের সভাপতি ড. সোফি শটার বলেন, ‘আমি রোগীকে এটি দিই, তবে এটা কোনো সমাধান নয়। এটা ছাড়াও বাজারে অনেক পরীক্ষিত চিকিৎসা আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেকের শরীরের প্রতিক্রিয়া আলাদা। সবাই একই ফল পাবেন না।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বহু বছর ধরে স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য বিষয়ে প্রতিবেদন লেখেন বিবিসির স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রতিবেদক রুথ ক্লেগ। কিন্তু মাছের শুক্রাণুর তৈরি ইনজেকশন কেমন লাগে— এমন প্রশ্ন তাঁকে কখনো করতে হবে, ভাবেননি। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে দ্রুত জনপ্রিয় হওয়া অভিনব এই রূপচর্চা তাঁকে এমন প্রশ্ন করতে বাধ্য করেছে।
ম্যানচেস্টারের একটি ছোট ক্লিনিকে ২৯ বছর বয়সী অ্যাবি ওয়ার্নেস শুয়ে আছেন কালো প্যাডেড চেয়ারে। তাঁর মুখে ক্যানুলা ঢোকানো হচ্ছে, আর তিনি ব্যথায় কেঁপে উঠছেন। তবে অ্যাবি সরাসরি ট্রাউট বা স্যামন মাছের শুক্রাণু গ্রহণ করছেন না। বরং তাঁর মুখে ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে ‘পলিনিউক্লিওটাইডস’। এটি হল মাছের শুক্রাণু থেকে সংগ্রহ করা ক্ষুদ্র ডিএনএ।
বিজ্ঞানীদের দাবি—মানুষের ডিএনএ ও মাছের ডিএনএর মধ্যে বেশ মিল আছে। মানুষের শরীর এগুলো ‘গ্রহণ’ করে ত্বকে কোলাজেন ও ইলাস্টিন উৎপাদন বাড়াতে পারে। এই দুই প্রোটিন ত্বকের গঠন, দৃঢ়তা ও স্থিতিস্থাপকতার জন্য অপরিহার্য।
অ্যাবির লক্ষ্য হলো—ত্বককে সতেজ করা, ব্রণজনিত দাগ কমানো ও লালচে ভাব হ্রাস করা। তাই মাছের শুক্রাণু থেকে সংগ্রহ করা ক্ষুদ্র ডিএনএ নিয়ে তাঁর মুখের ত্বকে ইনজেকট করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্যামন স্পার্ম ফেসিয়াল’ ট্রেন্ড জনপ্রিয় হয়েছে বিশেষ করে সেলিব্রিটিদের কারণে। জনপ্রিয় ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী চার্লি এক্সসিএক্স বলেন, ‘ফেসিয়াল ফিলারের যুগ শেষ।’ এখন তিনি পলিনিউক্লিওটাইডস ব্যবহার করেন। এ ছাড়া কিম কার্দাশিয়ান, ক্লোয়ি কার্দাশিয়ানসহ আরও অনেকে নিয়মিত নাকি এসব ইনজেকশন নেন।
প্রসঙ্গত, ফেসিয়াল ফিলার হল জেলের মতো একধরনের পদার্থ। এটি ত্বকের ভেতরে বা নীচে ইনজেকট করা হয় যাতে ত্বক মসৃণ হয় ও বলিরেখা দূর হয়। এগুলো সাধারণত হায়ালুরোনিক অ্যাসিড দিয়ে তৈরি হয়, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীর দ্বারা শোষিত হয়ে যায়। তবে বর্তমানে এই ফেসিয়াল ফিলারের পরিবর্তে পলিনিউক্লিওটাইডস বা মাছের শুক্রাণু থেকে সংগ্রহ করা ক্ষুদ্র ডিএনএ ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে।
সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ত্বক পুনর্জীবিত করতে পলিনিউক্লিওটাইডস জনপ্রিয় হচ্ছে। ত্বকের পরিচর্যা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ‘ডার্মাফোকাস’-এর সুজান ম্যানসফিল্ড বলেন, ‘আমরা যেন বেনজামিন বাটন মুহূর্তে!’ ২০০৮ সালের একটি সিনেমার চরিত্র বেনজামিন বাটন, যার বয়স বাড়ার বদলে উল্টো কমে।

যদিও বাস্তবে এমন চরম পরিবর্তন সম্ভব নয়, তবে গবেষণা বলছে—এ ধরনের ইনজেকশন ত্বককে সুস্থ করে, সূক্ষ্ম রেখা কমায় এবং দাগ হ্রাসে সহায়তা করতে পারে।
তবে এসব ইনজেকশনের দাম বেশ চড়া। প্রতিবার ইনজেকশনের খরচ ২০০ থেকে ৫০০ পাউন্ড (বাংলাদেশি মূদ্রায় প্রায় ২৫ থেকে ৬১ হাজার টাকা)। এটি নিতে চাইলে প্রথমবার ৩টি সেশনের প্রয়োজন। এরপর প্রতি ৬ থেকে ৯ মাস পর আবার নিতে হয়।
ম্যানচেস্টারের ‘স্কিন এইচডি’ ক্লিনিকের নার্স হেলেনা ডাঙ্ক বলেন, ‘গত দেড় বছরে এ চিকিৎসার জনপ্রিয়তা কয়েক গুণ বেড়েছে। যাঁরা এটি নিয়েছেন, তাঁদের অর্ধেকই মনে করেন, ত্বকের দারুণ উন্নতি হয়েছে। অন্যরা খুব বেশি পরিবর্তন না পেলেও ত্বক টাইট ও সতেজ হয়েছে বলে মনে করেন।’
অ্যাবি ইতিমধ্যে চোখের নিচে তিন দফা ইনজেকশন নিয়ে সন্তুষ্ট। ব্যথা হলেও ফলাফলে তিনি খুশি।
তবে কিছু বিশেষজ্ঞ সতর্ক করছেন—এই চিকিৎসা নিয়ে ‘হাইপ’ বৈজ্ঞানিক প্রমাণের চেয়ে এগিয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ড. জন পাগলিয়ারো বলেন, ‘আমরা জানি নিউক্লিওটাইড শরীরের জন্য জরুরি। কিন্তু সালমনের ডিএনএ কেটে মুখে ঢোকালে ঠিক কতটা কাজ করবে—এর শক্ত প্রমাণ এখনো নেই। বড় ও দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা দরকার।’
নিউইয়র্কের ৩১ বছর বয়সী চার্লট বিকলির অভিজ্ঞতা ভয়াবহ। বিয়ের আগে ‘গ্লো-আপ’ করতে গিয়ে তিনি পলিনিউক্লিওটাইড ইনজেকশন নেন। কিন্তু ফল হয়েছে উল্টো—সংক্রমণ, প্রদাহ ও আরও গাঢ় ডার্ক সার্কেল।
তিনি মনে করেন, চিকিৎসক খুব গভীরে ইনজেকশন দেওয়ায় এই সমস্যা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে অ্যালার্জি, স্থায়ী পিগমেন্টেশন বা সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমি ভাবতেই পারি না কেন এটা করলাম! এখনো মুখে দাগ আছে।’
এদিকে যুক্তরাজ্যে এগুলো মেডিকেল ডিভাইস হিসেবে নিবন্ধিত হলেও ওষুধ হিসেবে নিয়ন্ত্রিত নয়। এখন বাজারে এমন অনেক পণ্য ঢুকছে, যা যথাযথ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়নি—এটাই সবচেয়ে বড় উদ্বেগ।
‘সেভ ফেস’ সংগঠনের পরিচালক অ্যাশটন কলিন্স বলেন, ‘প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ও সঠিক ব্র্যান্ড ব্যবহার করলে সাধারণত এটা নিরাপদ। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত পণ্য বাড়ছে, সেটাই ভয়।’
ব্রিটিশ কলেজ অব অ্যাস্থেটিক মেডিসিনের সভাপতি ড. সোফি শটার বলেন, ‘আমি রোগীকে এটি দিই, তবে এটা কোনো সমাধান নয়। এটা ছাড়াও বাজারে অনেক পরীক্ষিত চিকিৎসা আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেকের শরীরের প্রতিক্রিয়া আলাদা। সবাই একই ফল পাবেন না।’

বহু বছর ধরে স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য বিষয়ে প্রতিবেদন লেখেন বিবিসির স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রতিবেদক রুথ ক্লেগ। কিন্তু মাছের শুক্রাণুর তৈরি ইনজেকশন কেমন লাগে— এমন প্রশ্ন তাঁকে কখনো করতে হবে, ভাবেননি। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে দ্রুত জনপ্রিয় হওয়া অভিনব এই রূপচর্চা তাঁকে এমন প্রশ্ন করতে বাধ্য করেছে।
ম্যানচেস্টারের একটি ছোট ক্লিনিকে ২৯ বছর বয়সী অ্যাবি ওয়ার্নেস শুয়ে আছেন কালো প্যাডেড চেয়ারে। তাঁর মুখে ক্যানুলা ঢোকানো হচ্ছে, আর তিনি ব্যথায় কেঁপে উঠছেন। তবে অ্যাবি সরাসরি ট্রাউট বা স্যামন মাছের শুক্রাণু গ্রহণ করছেন না। বরং তাঁর মুখে ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে ‘পলিনিউক্লিওটাইডস’। এটি হল মাছের শুক্রাণু থেকে সংগ্রহ করা ক্ষুদ্র ডিএনএ।
বিজ্ঞানীদের দাবি—মানুষের ডিএনএ ও মাছের ডিএনএর মধ্যে বেশ মিল আছে। মানুষের শরীর এগুলো ‘গ্রহণ’ করে ত্বকে কোলাজেন ও ইলাস্টিন উৎপাদন বাড়াতে পারে। এই দুই প্রোটিন ত্বকের গঠন, দৃঢ়তা ও স্থিতিস্থাপকতার জন্য অপরিহার্য।
অ্যাবির লক্ষ্য হলো—ত্বককে সতেজ করা, ব্রণজনিত দাগ কমানো ও লালচে ভাব হ্রাস করা। তাই মাছের শুক্রাণু থেকে সংগ্রহ করা ক্ষুদ্র ডিএনএ নিয়ে তাঁর মুখের ত্বকে ইনজেকট করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্যামন স্পার্ম ফেসিয়াল’ ট্রেন্ড জনপ্রিয় হয়েছে বিশেষ করে সেলিব্রিটিদের কারণে। জনপ্রিয় ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী চার্লি এক্সসিএক্স বলেন, ‘ফেসিয়াল ফিলারের যুগ শেষ।’ এখন তিনি পলিনিউক্লিওটাইডস ব্যবহার করেন। এ ছাড়া কিম কার্দাশিয়ান, ক্লোয়ি কার্দাশিয়ানসহ আরও অনেকে নিয়মিত নাকি এসব ইনজেকশন নেন।
প্রসঙ্গত, ফেসিয়াল ফিলার হল জেলের মতো একধরনের পদার্থ। এটি ত্বকের ভেতরে বা নীচে ইনজেকট করা হয় যাতে ত্বক মসৃণ হয় ও বলিরেখা দূর হয়। এগুলো সাধারণত হায়ালুরোনিক অ্যাসিড দিয়ে তৈরি হয়, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীর দ্বারা শোষিত হয়ে যায়। তবে বর্তমানে এই ফেসিয়াল ফিলারের পরিবর্তে পলিনিউক্লিওটাইডস বা মাছের শুক্রাণু থেকে সংগ্রহ করা ক্ষুদ্র ডিএনএ ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে।
সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ত্বক পুনর্জীবিত করতে পলিনিউক্লিওটাইডস জনপ্রিয় হচ্ছে। ত্বকের পরিচর্যা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ‘ডার্মাফোকাস’-এর সুজান ম্যানসফিল্ড বলেন, ‘আমরা যেন বেনজামিন বাটন মুহূর্তে!’ ২০০৮ সালের একটি সিনেমার চরিত্র বেনজামিন বাটন, যার বয়স বাড়ার বদলে উল্টো কমে।

যদিও বাস্তবে এমন চরম পরিবর্তন সম্ভব নয়, তবে গবেষণা বলছে—এ ধরনের ইনজেকশন ত্বককে সুস্থ করে, সূক্ষ্ম রেখা কমায় এবং দাগ হ্রাসে সহায়তা করতে পারে।
তবে এসব ইনজেকশনের দাম বেশ চড়া। প্রতিবার ইনজেকশনের খরচ ২০০ থেকে ৫০০ পাউন্ড (বাংলাদেশি মূদ্রায় প্রায় ২৫ থেকে ৬১ হাজার টাকা)। এটি নিতে চাইলে প্রথমবার ৩টি সেশনের প্রয়োজন। এরপর প্রতি ৬ থেকে ৯ মাস পর আবার নিতে হয়।
ম্যানচেস্টারের ‘স্কিন এইচডি’ ক্লিনিকের নার্স হেলেনা ডাঙ্ক বলেন, ‘গত দেড় বছরে এ চিকিৎসার জনপ্রিয়তা কয়েক গুণ বেড়েছে। যাঁরা এটি নিয়েছেন, তাঁদের অর্ধেকই মনে করেন, ত্বকের দারুণ উন্নতি হয়েছে। অন্যরা খুব বেশি পরিবর্তন না পেলেও ত্বক টাইট ও সতেজ হয়েছে বলে মনে করেন।’
অ্যাবি ইতিমধ্যে চোখের নিচে তিন দফা ইনজেকশন নিয়ে সন্তুষ্ট। ব্যথা হলেও ফলাফলে তিনি খুশি।
তবে কিছু বিশেষজ্ঞ সতর্ক করছেন—এই চিকিৎসা নিয়ে ‘হাইপ’ বৈজ্ঞানিক প্রমাণের চেয়ে এগিয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ড. জন পাগলিয়ারো বলেন, ‘আমরা জানি নিউক্লিওটাইড শরীরের জন্য জরুরি। কিন্তু সালমনের ডিএনএ কেটে মুখে ঢোকালে ঠিক কতটা কাজ করবে—এর শক্ত প্রমাণ এখনো নেই। বড় ও দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা দরকার।’
নিউইয়র্কের ৩১ বছর বয়সী চার্লট বিকলির অভিজ্ঞতা ভয়াবহ। বিয়ের আগে ‘গ্লো-আপ’ করতে গিয়ে তিনি পলিনিউক্লিওটাইড ইনজেকশন নেন। কিন্তু ফল হয়েছে উল্টো—সংক্রমণ, প্রদাহ ও আরও গাঢ় ডার্ক সার্কেল।
তিনি মনে করেন, চিকিৎসক খুব গভীরে ইনজেকশন দেওয়ায় এই সমস্যা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে অ্যালার্জি, স্থায়ী পিগমেন্টেশন বা সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমি ভাবতেই পারি না কেন এটা করলাম! এখনো মুখে দাগ আছে।’
এদিকে যুক্তরাজ্যে এগুলো মেডিকেল ডিভাইস হিসেবে নিবন্ধিত হলেও ওষুধ হিসেবে নিয়ন্ত্রিত নয়। এখন বাজারে এমন অনেক পণ্য ঢুকছে, যা যথাযথ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়নি—এটাই সবচেয়ে বড় উদ্বেগ।
‘সেভ ফেস’ সংগঠনের পরিচালক অ্যাশটন কলিন্স বলেন, ‘প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ও সঠিক ব্র্যান্ড ব্যবহার করলে সাধারণত এটা নিরাপদ। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত পণ্য বাড়ছে, সেটাই ভয়।’
ব্রিটিশ কলেজ অব অ্যাস্থেটিক মেডিসিনের সভাপতি ড. সোফি শটার বলেন, ‘আমি রোগীকে এটি দিই, তবে এটা কোনো সমাধান নয়। এটা ছাড়াও বাজারে অনেক পরীক্ষিত চিকিৎসা আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেকের শরীরের প্রতিক্রিয়া আলাদা। সবাই একই ফল পাবেন না।’

শহুরে জীবনের প্রতি কারও থাকে আকর্ষণ, আবার কারও প্রয়োজন। অনেকে জীবনের তাগিদে শহরে ছুটে আসছে। আবার শহরে থাকা অনেকে পালাতে চাইছে এই ব্যস্ত জীবন ছেড়ে। যতই দিন যাচ্ছে বিশ্বজুড়ে শহরায়ন-নগরায়নের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। তবে শহর ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ ও সামর্থ্য খুব কম মানুষেরই থাকে।
১ দিন আগে
শীতকাল এলেই কানের বিভিন্ন সমস্যা বাড়তে দেখা যায়। এর অন্যতম কারণ হলো ইউস্টেশিয়ান টিউব। মধ্যকর্ণ ও নাকের পেছনের অংশকে যুক্ত করা এক সরু নালি, যার স্বাভাবিক কার্যকারিতা ঠান্ডা আবহাওয়ার প্রভাবে সহজেই বিঘ্নিত হতে পারে। কানের ভেতরের চাপ ঠিক রাখা এবং মধ্যকর্ণে জমে থাকা বায়ু বা তরল বের করে...
১ দিন আগে
ব্যাডমিন্টন অত্যন্ত জনপ্রিয় ও দ্রুতগতির ইনডোর খেলা। শাটলককের গতিবেগ কখনো কখনো ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। ফলে খেলোয়াড়দের চোখ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে। বিশেষত ডাবলস খেলায় হঠাৎ শাটলকক বা র্যাকেটের আঘাত চোখে লাগা অস্বাভাবিক নয়।
১ দিন আগে
আমাদের জীবনযাত্রায় গতি ধরে রাখার ক্ষেত্রে হাঁটু একটি অপরিহার্য জয়েন্ট। এখানে যখন ব্যথা শুরু হয়, তখন সিঁড়িতে ওঠা, বসা বা হাঁটাচলা, এমনকি নামাজ পড়াও কঠিন হয়ে পড়ে। হাঁটুর ব্যথা বর্তমানে শুধু বয়স্কদের সমস্যা নয়; আঘাত, ভুল জীবনধারা এবং অসচেতনতার কারণে তরুণেরাও এ সমস্যার শিকার হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শহুরে জীবনের প্রতি কারও থাকে আকর্ষণ, আবার কারও প্রয়োজন। অনেকে জীবনের তাগিদে শহরে ছুটে আসছে। আবার শহরে থাকা অনেকে পালাতে চাইছে এই ব্যস্ত জীবন ছেড়ে। যতই দিন যাচ্ছে বিশ্বজুড়ে শহরায়ন-নগরায়নের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। তবে শহর ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ ও সামর্থ্য খুব কম মানুষেরই থাকে। এদিকে বিজ্ঞানীরা বলছেন, উন্নত জীবনের নামে এই দ্রুতগতির শহরায়ন মানুষের জন্য যতটা না ইতিবাচক, তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতির হয়ে উঠছে।
মার্কিন সাপ্তাহিক সংবাদ ম্যাগাজিন নিউজউইক ইংল্যান্ডের লাফবোরো ইউনিভার্সিটি ও সুইজারল্যান্ডের জুরিখ ইউনিভার্সিটির বিবর্তনবাদ নিয়ে কাজ করা বিজ্ঞানীদের এ তথ্য তুলে ধরেছেন।
আধুনিক শহরে বসবাস মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নাও হতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলেন, ‘দ্রুত শিল্পায়ন’ এত দ্রুত মানুষের অভ্যাস পরিবর্তন করছে যে আমাদের জৈবিক গঠন তা অনুসরণ করতে হিমশিম খাচ্ছে। ব্যস্ত, জনাকীর্ণ ও দূষিত শহরে বসবাস এবং প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগের অভাব মানুষের মূল জৈবিক কার্যক্রমকে প্রভাবিত করছে, যা বেঁচে থাকার ও প্রজননের জন্য অপরিহার্য।
গবেষকদের মতে, শহরে বসবাস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে, যার ফলে অ্যালার্জি এবং অটোইমিউন রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। পাশাপাশি, জ্ঞানগত ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে, যা মানসিক বিকাশ ধীর এবং মানসিক বয়স দ্রুত হওয়ার দিকে নিয়ে যেতে পারে, আর শারীরিক শক্তি ও ধৈর্য্যও কমতে পারে।
এছাড়াও তাঁরা বলছেন, এটি প্রজনন স্বাস্থ্যকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। যার ফলে বন্ধ্যাত্ব ও শুক্রাণু কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বিশ্বজুড়ে প্রজনন হার কমছে আর দীর্ঘস্থায়ী রোগের সংখ্যা বাড়ছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ৬৮ শতাংশ মানুষ শহরে বসবাস করবে। যার ফলে এ ধরনের প্রভাবের পরিণতি মারাত্মক হতে পারে।
লাফবোরো ইউনিভার্সিটির মানব বিবর্তনীয় শারীরবিদ্যার সিনিয়র লেকচারার ড্যানি লংম্যান বলেন, মানব ইতিহাসের অধিকাংশ সময় আমাদের জৈবিক কাঠামো প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে তৈরি হয়েছিল, কিন্তু শিল্পায়নের ফলে আমাদের চারপাশের পরিবেশ এত দ্রুত পরিবর্তিত হয়েছে যে আমাদের দেহ তা পুরোপুরি মানিয়ে নিতে পারেনি। তিনি এটিকে ‘পরিবেশগত অমিল তত্ত্ব’ (Environmental Mismatch Hypothesis) হিসেবে অভিহিত করেছেন।
লংম্যান বলেন, এই গবেষণায় পরীক্ষাগার, পরীক্ষা, ক্ষেত্র গবেষণা এবং জনসংখ্যা গবেষণার ফলাফলগুলো একত্রিত করা হয়েছে। নতুন তথ্য সংগ্রহের পরিবর্তে গবেষকেরা নৃবিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, শারীরবিদ্যা ও জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য পর্যালোচনা করেছেন, যাতে বোঝা যায় আধুনিক পরিবেশ মানুষের শরীরকে কীভাবে প্রভাবিত করে। তাদের ফলাফলে শহরে বসবাসের স্বল্পকালীন ও দীর্ঘকালীন উভয় প্রভাবই প্রকাশ পেয়েছে।
শহরে প্রতিদিনের শব্দ, ভিড়, যানবাহন, বাড়তে থাকা প্রযুক্তির ব্যবহার এবং প্রকৃতির সঙ্গে সীমিত সংযোগ শরীরের চাপ সহ্য করার ক্ষমতা সবসময় সক্রিয় রাখে। এর ফলে উদ্বেগ বেড়ে যেতে পারে, ঘুম বিঘ্নিত হতে পারে এবং মনোযোগ ধরে রাখার ক্ষমতা কমতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে এ ধরনের স্থায়ী চাপ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, হৃদয়ে চাপ, জ্ঞানগত হ্রাস, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতায় ভারসাম্যহীনতা এবং প্রজনন স্বাস্থ্যের হ্রাসের কারণ হতে পারে।
লংম্যান বলেন, দূষিত, গোলমালপূর্ণ ও ভিড়পূর্ণ শহুরে পরিবেশ শারীরিক সক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে, বিশেষ করে ধৈর্যশীলতাসম্পন্ন কাজে। ব্যস্ত শহরের সড়কে যাতায়াত কেবল অসুবিধাজনক নয় বরং এর বাস্তব জৈবিক প্রভাবও থাকতে পারে।
গবেষকেরা মনে করেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির এবং শহরের সম্প্রসারণের কারণে মানুষ শিগগিরই প্রাকৃতিক আবাসস্থলে ফিরতে পারবে না। গবেষণায় দেখা গেছে, আধুনিক শহুরে জীবন ও আমাদের জৈবিক গঠনের মধ্যে অমিল বোঝা আজকের শহরগুলোর স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ।

শহুরে জীবনের প্রতি কারও থাকে আকর্ষণ, আবার কারও প্রয়োজন। অনেকে জীবনের তাগিদে শহরে ছুটে আসছে। আবার শহরে থাকা অনেকে পালাতে চাইছে এই ব্যস্ত জীবন ছেড়ে। যতই দিন যাচ্ছে বিশ্বজুড়ে শহরায়ন-নগরায়নের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। তবে শহর ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ ও সামর্থ্য খুব কম মানুষেরই থাকে। এদিকে বিজ্ঞানীরা বলছেন, উন্নত জীবনের নামে এই দ্রুতগতির শহরায়ন মানুষের জন্য যতটা না ইতিবাচক, তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতির হয়ে উঠছে।
মার্কিন সাপ্তাহিক সংবাদ ম্যাগাজিন নিউজউইক ইংল্যান্ডের লাফবোরো ইউনিভার্সিটি ও সুইজারল্যান্ডের জুরিখ ইউনিভার্সিটির বিবর্তনবাদ নিয়ে কাজ করা বিজ্ঞানীদের এ তথ্য তুলে ধরেছেন।
আধুনিক শহরে বসবাস মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নাও হতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলেন, ‘দ্রুত শিল্পায়ন’ এত দ্রুত মানুষের অভ্যাস পরিবর্তন করছে যে আমাদের জৈবিক গঠন তা অনুসরণ করতে হিমশিম খাচ্ছে। ব্যস্ত, জনাকীর্ণ ও দূষিত শহরে বসবাস এবং প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগের অভাব মানুষের মূল জৈবিক কার্যক্রমকে প্রভাবিত করছে, যা বেঁচে থাকার ও প্রজননের জন্য অপরিহার্য।
গবেষকদের মতে, শহরে বসবাস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে, যার ফলে অ্যালার্জি এবং অটোইমিউন রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। পাশাপাশি, জ্ঞানগত ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে, যা মানসিক বিকাশ ধীর এবং মানসিক বয়স দ্রুত হওয়ার দিকে নিয়ে যেতে পারে, আর শারীরিক শক্তি ও ধৈর্য্যও কমতে পারে।
এছাড়াও তাঁরা বলছেন, এটি প্রজনন স্বাস্থ্যকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। যার ফলে বন্ধ্যাত্ব ও শুক্রাণু কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বিশ্বজুড়ে প্রজনন হার কমছে আর দীর্ঘস্থায়ী রোগের সংখ্যা বাড়ছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ৬৮ শতাংশ মানুষ শহরে বসবাস করবে। যার ফলে এ ধরনের প্রভাবের পরিণতি মারাত্মক হতে পারে।
লাফবোরো ইউনিভার্সিটির মানব বিবর্তনীয় শারীরবিদ্যার সিনিয়র লেকচারার ড্যানি লংম্যান বলেন, মানব ইতিহাসের অধিকাংশ সময় আমাদের জৈবিক কাঠামো প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে তৈরি হয়েছিল, কিন্তু শিল্পায়নের ফলে আমাদের চারপাশের পরিবেশ এত দ্রুত পরিবর্তিত হয়েছে যে আমাদের দেহ তা পুরোপুরি মানিয়ে নিতে পারেনি। তিনি এটিকে ‘পরিবেশগত অমিল তত্ত্ব’ (Environmental Mismatch Hypothesis) হিসেবে অভিহিত করেছেন।
লংম্যান বলেন, এই গবেষণায় পরীক্ষাগার, পরীক্ষা, ক্ষেত্র গবেষণা এবং জনসংখ্যা গবেষণার ফলাফলগুলো একত্রিত করা হয়েছে। নতুন তথ্য সংগ্রহের পরিবর্তে গবেষকেরা নৃবিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, শারীরবিদ্যা ও জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য পর্যালোচনা করেছেন, যাতে বোঝা যায় আধুনিক পরিবেশ মানুষের শরীরকে কীভাবে প্রভাবিত করে। তাদের ফলাফলে শহরে বসবাসের স্বল্পকালীন ও দীর্ঘকালীন উভয় প্রভাবই প্রকাশ পেয়েছে।
শহরে প্রতিদিনের শব্দ, ভিড়, যানবাহন, বাড়তে থাকা প্রযুক্তির ব্যবহার এবং প্রকৃতির সঙ্গে সীমিত সংযোগ শরীরের চাপ সহ্য করার ক্ষমতা সবসময় সক্রিয় রাখে। এর ফলে উদ্বেগ বেড়ে যেতে পারে, ঘুম বিঘ্নিত হতে পারে এবং মনোযোগ ধরে রাখার ক্ষমতা কমতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে এ ধরনের স্থায়ী চাপ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, হৃদয়ে চাপ, জ্ঞানগত হ্রাস, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতায় ভারসাম্যহীনতা এবং প্রজনন স্বাস্থ্যের হ্রাসের কারণ হতে পারে।
লংম্যান বলেন, দূষিত, গোলমালপূর্ণ ও ভিড়পূর্ণ শহুরে পরিবেশ শারীরিক সক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে, বিশেষ করে ধৈর্যশীলতাসম্পন্ন কাজে। ব্যস্ত শহরের সড়কে যাতায়াত কেবল অসুবিধাজনক নয় বরং এর বাস্তব জৈবিক প্রভাবও থাকতে পারে।
গবেষকেরা মনে করেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির এবং শহরের সম্প্রসারণের কারণে মানুষ শিগগিরই প্রাকৃতিক আবাসস্থলে ফিরতে পারবে না। গবেষণায় দেখা গেছে, আধুনিক শহুরে জীবন ও আমাদের জৈবিক গঠনের মধ্যে অমিল বোঝা আজকের শহরগুলোর স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ।

বিজ্ঞানীদের দাবি—মানুষের ডিএনএ ও মাছের ডিএনএর মধ্যে বেশ মিল আছে। মানুষের শরীর এগুলো ‘গ্রহণ’ করে ত্বকে কোলাজেন ও ইলাস্টিন উৎপাদন বাড়াতে পারে। এই দুই প্রোটিন ত্বকের গঠন, দৃঢ়তা ও স্থিতিস্থাপকতার জন্য অপরিহার্য।
১৫ ঘণ্টা আগে
শীতকাল এলেই কানের বিভিন্ন সমস্যা বাড়তে দেখা যায়। এর অন্যতম কারণ হলো ইউস্টেশিয়ান টিউব। মধ্যকর্ণ ও নাকের পেছনের অংশকে যুক্ত করা এক সরু নালি, যার স্বাভাবিক কার্যকারিতা ঠান্ডা আবহাওয়ার প্রভাবে সহজেই বিঘ্নিত হতে পারে। কানের ভেতরের চাপ ঠিক রাখা এবং মধ্যকর্ণে জমে থাকা বায়ু বা তরল বের করে...
১ দিন আগে
ব্যাডমিন্টন অত্যন্ত জনপ্রিয় ও দ্রুতগতির ইনডোর খেলা। শাটলককের গতিবেগ কখনো কখনো ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। ফলে খেলোয়াড়দের চোখ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে। বিশেষত ডাবলস খেলায় হঠাৎ শাটলকক বা র্যাকেটের আঘাত চোখে লাগা অস্বাভাবিক নয়।
১ দিন আগে
আমাদের জীবনযাত্রায় গতি ধরে রাখার ক্ষেত্রে হাঁটু একটি অপরিহার্য জয়েন্ট। এখানে যখন ব্যথা শুরু হয়, তখন সিঁড়িতে ওঠা, বসা বা হাঁটাচলা, এমনকি নামাজ পড়াও কঠিন হয়ে পড়ে। হাঁটুর ব্যথা বর্তমানে শুধু বয়স্কদের সমস্যা নয়; আঘাত, ভুল জীবনধারা এবং অসচেতনতার কারণে তরুণেরাও এ সমস্যার শিকার হচ্ছে।
১ দিন আগেডা. মো. আব্দুল হাফিজ শাফী

শীতকাল এলেই কানের বিভিন্ন সমস্যা বাড়তে দেখা যায়। এর অন্যতম কারণ হলো ইউস্টেশিয়ান টিউব। মধ্যকর্ণ ও নাকের পেছনের অংশকে যুক্ত করা এক সরু নালি, যার স্বাভাবিক কার্যকারিতা ঠান্ডা আবহাওয়ার প্রভাবে সহজেই বিঘ্নিত হতে পারে। কানের ভেতরের চাপ ঠিক রাখা এবং মধ্যকর্ণে জমে থাকা বায়ু বা তরল বের করে দেওয়াই এই টিউবের মূল কাজ।
কিন্তু শুষ্ক ঠান্ডা বাতাস, ঘন সর্দি-কাশি বা নাক বন্ধ হয়ে গেলে টিউবটি ব্লক হয়ে যায়। এতে কান ভারী লাগা, ব্যথা, শব্দ কম শোনা বা ‘পপিং’ অনুভূতির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শীতকালে নাকের প্রদাহ বাড়ায় ইউস্টেশিয়ান টিউবের কার্যকারিতা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কী করবেন?
নাক পরিষ্কার রাখা, ধুলাবালু এড়ানো, ঠান্ডা হাওয়া থেকে সুরক্ষা এসব ছোট সচেতনতা বড় সমস্যার ঝুঁকি কমাতে পারে। শীতে রাতে বাইরে বেরোলেই পরতে হবে কানঢাকা পোশাক। মাফলার, মাঙ্কি টুপি থেকে এখনকার বাহারি কানঢাকা, সুবিধামতো কিছু একটা পরে নিলেই হলো।
কখন ডাক্তার দেখাবেন
নিম্নলিখিত গুরুতর লক্ষণগুলোর মধ্যে যদি আপনার কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তবে চিকিৎসার পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য।
সব শেষে বলি, শীতে কানের সমস্যা হঠাৎই বাড়তে পারে; কিন্তু তার বেশির ভাগই প্রতিরোধযোগ্য। নাকের যত্ন নিন, ঠান্ডা বাতাসে কান ঢেকে রাখুন, সর্দি-কাশি অবহেলা করবেন না; আর উপসর্গ দীর্ঘস্থায়ী হলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
লেখক: আবাসিক সার্জন (ইএনটি), সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

শীতকাল এলেই কানের বিভিন্ন সমস্যা বাড়তে দেখা যায়। এর অন্যতম কারণ হলো ইউস্টেশিয়ান টিউব। মধ্যকর্ণ ও নাকের পেছনের অংশকে যুক্ত করা এক সরু নালি, যার স্বাভাবিক কার্যকারিতা ঠান্ডা আবহাওয়ার প্রভাবে সহজেই বিঘ্নিত হতে পারে। কানের ভেতরের চাপ ঠিক রাখা এবং মধ্যকর্ণে জমে থাকা বায়ু বা তরল বের করে দেওয়াই এই টিউবের মূল কাজ।
কিন্তু শুষ্ক ঠান্ডা বাতাস, ঘন সর্দি-কাশি বা নাক বন্ধ হয়ে গেলে টিউবটি ব্লক হয়ে যায়। এতে কান ভারী লাগা, ব্যথা, শব্দ কম শোনা বা ‘পপিং’ অনুভূতির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শীতকালে নাকের প্রদাহ বাড়ায় ইউস্টেশিয়ান টিউবের কার্যকারিতা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কী করবেন?
নাক পরিষ্কার রাখা, ধুলাবালু এড়ানো, ঠান্ডা হাওয়া থেকে সুরক্ষা এসব ছোট সচেতনতা বড় সমস্যার ঝুঁকি কমাতে পারে। শীতে রাতে বাইরে বেরোলেই পরতে হবে কানঢাকা পোশাক। মাফলার, মাঙ্কি টুপি থেকে এখনকার বাহারি কানঢাকা, সুবিধামতো কিছু একটা পরে নিলেই হলো।
কখন ডাক্তার দেখাবেন
নিম্নলিখিত গুরুতর লক্ষণগুলোর মধ্যে যদি আপনার কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তবে চিকিৎসার পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য।
সব শেষে বলি, শীতে কানের সমস্যা হঠাৎই বাড়তে পারে; কিন্তু তার বেশির ভাগই প্রতিরোধযোগ্য। নাকের যত্ন নিন, ঠান্ডা বাতাসে কান ঢেকে রাখুন, সর্দি-কাশি অবহেলা করবেন না; আর উপসর্গ দীর্ঘস্থায়ী হলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
লেখক: আবাসিক সার্জন (ইএনটি), সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

বিজ্ঞানীদের দাবি—মানুষের ডিএনএ ও মাছের ডিএনএর মধ্যে বেশ মিল আছে। মানুষের শরীর এগুলো ‘গ্রহণ’ করে ত্বকে কোলাজেন ও ইলাস্টিন উৎপাদন বাড়াতে পারে। এই দুই প্রোটিন ত্বকের গঠন, দৃঢ়তা ও স্থিতিস্থাপকতার জন্য অপরিহার্য।
১৫ ঘণ্টা আগে
শহুরে জীবনের প্রতি কারও থাকে আকর্ষণ, আবার কারও প্রয়োজন। অনেকে জীবনের তাগিদে শহরে ছুটে আসছে। আবার শহরে থাকা অনেকে পালাতে চাইছে এই ব্যস্ত জীবন ছেড়ে। যতই দিন যাচ্ছে বিশ্বজুড়ে শহরায়ন-নগরায়নের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। তবে শহর ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ ও সামর্থ্য খুব কম মানুষেরই থাকে।
১ দিন আগে
ব্যাডমিন্টন অত্যন্ত জনপ্রিয় ও দ্রুতগতির ইনডোর খেলা। শাটলককের গতিবেগ কখনো কখনো ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। ফলে খেলোয়াড়দের চোখ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে। বিশেষত ডাবলস খেলায় হঠাৎ শাটলকক বা র্যাকেটের আঘাত চোখে লাগা অস্বাভাবিক নয়।
১ দিন আগে
আমাদের জীবনযাত্রায় গতি ধরে রাখার ক্ষেত্রে হাঁটু একটি অপরিহার্য জয়েন্ট। এখানে যখন ব্যথা শুরু হয়, তখন সিঁড়িতে ওঠা, বসা বা হাঁটাচলা, এমনকি নামাজ পড়াও কঠিন হয়ে পড়ে। হাঁটুর ব্যথা বর্তমানে শুধু বয়স্কদের সমস্যা নয়; আঘাত, ভুল জীবনধারা এবং অসচেতনতার কারণে তরুণেরাও এ সমস্যার শিকার হচ্ছে।
১ দিন আগেডা. মো. আরমান হোসেন রনি

ব্যাডমিন্টন অত্যন্ত জনপ্রিয় ও দ্রুতগতির ইনডোর খেলা। শাটলককের গতিবেগ কখনো কখনো ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। ফলে খেলোয়াড়দের চোখ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে। বিশেষত ডাবলস খেলায় হঠাৎ শাটলকক বা র্যাকেটের আঘাত চোখে লাগা অস্বাভাবিক নয়। চোখে আঘাত পেলে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। না হলে দৃষ্টিশক্তির স্থায়ী ক্ষতি, এমনকি অন্ধত্বের মতো ঘটনা পর্যন্ত ঘটতে পারে। তাই এ ধরনের পরিস্থিতিতে কী করণীয়, তা জানা সবার জন্যই জরুরি।
চোখে আঘাতের সাধারণ লক্ষণ
ব্যাডমিন্টনের শাটলকক বা র্যাকেট চোখে লাগলে যে উপসর্গ দেখা দিতে পারে:
আঘাত পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক করণীয়
শান্ত থাকুন এবং চোখ নাড়াচাড়া কমান: আঘাতের পর অতিরিক্ত চোখ ঘষা, চেপে ধরা বা নাড়াচাড়া করলে ভেতরের ক্ষতি আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই প্রথমেই শান্ত থাকুন এবং চোখটি যতটা সম্ভব স্থির রাখুন।
ঠান্ডা সেঁক দিন: একটি পরিষ্কার কাপড়ে বরফ বা ঠান্ডা পানি নিয়ে বন্ধ চোখের পাতার ওপর ১০-১৫ মিনিট ধরে হালকা সেঁক দিন। এতে ব্যথা ও ফোলা ভাব কমে আসবে। তবে খুব বেশি চাপ দেবেন না।
চোখ ঘষা বা চাপ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন: চোখে ভেতরে রক্তক্ষরণ বা কর্নিয়ায় ক্ষত থাকলে ঘষা বা চাপ দিলে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।
কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করলে সঙ্গে সঙ্গে খুলে ফেলুন: লেন্সের ওপর আঘাত লাগলে এটি ভেঙে চোখের ভেতরে বেশি ক্ষতি করতে পারে। তবে খুলতে গিয়ে ব্যথা বা অসুবিধা হলে জোর করবেন না। চিকিৎসকের সাহায্য নিন।
কোনোভাবেই ঘরোয়া চোখের ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করবেন না: চোখে আঘাতের ধরন না জেনে ওষুধ ব্যবহার করলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। বিশেষত স্টেরয়েডজাতীয় আই ড্রপ কখনোই নিজে থেকে ব্যবহার করা যাবে না।
জরুরি চিকিৎসা নেওয়া কেন প্রয়োজন?
চোখ অত্যন্ত সংবেদনশীল অঙ্গ। আঘাতের পর বাহ্যিকভাবে সামান্য ফোলা বা লাল ভাব দেখালেও ভেতরে রেটিনা, আইরিশ বা লেন্সে গুরুতর ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে, যা সাধারণ মানুষের চোখে বোঝা যায় না। বিশেষভাবে কয়েক ধরনের আঘাত খুব বিপজ্জনক—
চোখের ভেতরে রক্ত জমা হওয়া: ব্যাডমিন্টনের আঘাতে এটি সবচেয়ে সাধারণ। চোখের কালো অংশে রক্ত জমে গিয়ে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায় এবং চোখের চাপ বেড়ে গ্লুকোমা হতে পারে। এটি জরুরি অবস্থা।
কর্নিয়ায় ক্ষত বা আঁচড়: আঘাতের ফলে চোখে তীব্র ব্যথা, আলো সহ্য না হওয়া, পানি পড়া দেখা দেয়। দ্রুত চিকিৎসা না হলে সংক্রমণ হয়ে চোখে স্থায়ী দাগ পড়তে পারে।
রেটিনার আঘাত বা রেটিনা ছিঁড়ে যাওয়া: রেটিনা ছিঁড়ে গেলে চোখের সামনে আকস্মিক আলো ঝলকানি, কালো দাগ, ছায়া দেখা দিতে পারে। এটি উপেক্ষা করলে দৃষ্টি নষ্ট হতে পারে।
চোখের হাড় ভেঙে যাওয়া: র্যাকেটের শক্ত আঘাতে চোখের চারপাশের হাড় ভেঙে যেতে পারে। এতে চোখ ভেতরে ঢুকে যাওয়া, ডাবল ভিশন বা চোখ নাড়াতে সমস্যা হতে পারে।
ওপরের যেকোনো অবস্থাই অত্যন্ত গুরুতর, তাই দ্রুত চক্ষুবিশেষজ্ঞ বা কাছের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যেতে হবে।
চোখের আঘাত প্রতিরোধে করণীয়
প্রোটেকটিভ আই গ্লাস বা স্পোর্টস গগলস ব্যবহার করুন: বিশেষ করে দুজন এক পক্ষে খেলার সময় চোখের ঝুঁকি অনেক বেশি। স্পোর্টস গগলস আঘাতের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমায়।
খেলায় পর্যাপ্ত দূরত্ব বজায় রাখুন: পার্টনারের কাছাকাছি দাঁড়ালে র্যাকেট চোখে লাগার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
শট মারার সময় সতর্কতা: জোরে স্ম্যাশ মারার আগে সতর্ক করলে পার্টনার প্রস্তুত হতে পারে।
শিশুরা বা নবীন খেলোয়াড়দের জন্য বাড়তি সতর্কতা: তাদের সমন্বয় দক্ষতা কম থাকায় চোখে আঘাত লাগার ঝুঁকি বেশি।
লেখক: চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা

ব্যাডমিন্টন অত্যন্ত জনপ্রিয় ও দ্রুতগতির ইনডোর খেলা। শাটলককের গতিবেগ কখনো কখনো ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। ফলে খেলোয়াড়দের চোখ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে। বিশেষত ডাবলস খেলায় হঠাৎ শাটলকক বা র্যাকেটের আঘাত চোখে লাগা অস্বাভাবিক নয়। চোখে আঘাত পেলে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। না হলে দৃষ্টিশক্তির স্থায়ী ক্ষতি, এমনকি অন্ধত্বের মতো ঘটনা পর্যন্ত ঘটতে পারে। তাই এ ধরনের পরিস্থিতিতে কী করণীয়, তা জানা সবার জন্যই জরুরি।
চোখে আঘাতের সাধারণ লক্ষণ
ব্যাডমিন্টনের শাটলকক বা র্যাকেট চোখে লাগলে যে উপসর্গ দেখা দিতে পারে:
আঘাত পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক করণীয়
শান্ত থাকুন এবং চোখ নাড়াচাড়া কমান: আঘাতের পর অতিরিক্ত চোখ ঘষা, চেপে ধরা বা নাড়াচাড়া করলে ভেতরের ক্ষতি আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই প্রথমেই শান্ত থাকুন এবং চোখটি যতটা সম্ভব স্থির রাখুন।
ঠান্ডা সেঁক দিন: একটি পরিষ্কার কাপড়ে বরফ বা ঠান্ডা পানি নিয়ে বন্ধ চোখের পাতার ওপর ১০-১৫ মিনিট ধরে হালকা সেঁক দিন। এতে ব্যথা ও ফোলা ভাব কমে আসবে। তবে খুব বেশি চাপ দেবেন না।
চোখ ঘষা বা চাপ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন: চোখে ভেতরে রক্তক্ষরণ বা কর্নিয়ায় ক্ষত থাকলে ঘষা বা চাপ দিলে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।
কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করলে সঙ্গে সঙ্গে খুলে ফেলুন: লেন্সের ওপর আঘাত লাগলে এটি ভেঙে চোখের ভেতরে বেশি ক্ষতি করতে পারে। তবে খুলতে গিয়ে ব্যথা বা অসুবিধা হলে জোর করবেন না। চিকিৎসকের সাহায্য নিন।
কোনোভাবেই ঘরোয়া চোখের ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করবেন না: চোখে আঘাতের ধরন না জেনে ওষুধ ব্যবহার করলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। বিশেষত স্টেরয়েডজাতীয় আই ড্রপ কখনোই নিজে থেকে ব্যবহার করা যাবে না।
জরুরি চিকিৎসা নেওয়া কেন প্রয়োজন?
চোখ অত্যন্ত সংবেদনশীল অঙ্গ। আঘাতের পর বাহ্যিকভাবে সামান্য ফোলা বা লাল ভাব দেখালেও ভেতরে রেটিনা, আইরিশ বা লেন্সে গুরুতর ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে, যা সাধারণ মানুষের চোখে বোঝা যায় না। বিশেষভাবে কয়েক ধরনের আঘাত খুব বিপজ্জনক—
চোখের ভেতরে রক্ত জমা হওয়া: ব্যাডমিন্টনের আঘাতে এটি সবচেয়ে সাধারণ। চোখের কালো অংশে রক্ত জমে গিয়ে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায় এবং চোখের চাপ বেড়ে গ্লুকোমা হতে পারে। এটি জরুরি অবস্থা।
কর্নিয়ায় ক্ষত বা আঁচড়: আঘাতের ফলে চোখে তীব্র ব্যথা, আলো সহ্য না হওয়া, পানি পড়া দেখা দেয়। দ্রুত চিকিৎসা না হলে সংক্রমণ হয়ে চোখে স্থায়ী দাগ পড়তে পারে।
রেটিনার আঘাত বা রেটিনা ছিঁড়ে যাওয়া: রেটিনা ছিঁড়ে গেলে চোখের সামনে আকস্মিক আলো ঝলকানি, কালো দাগ, ছায়া দেখা দিতে পারে। এটি উপেক্ষা করলে দৃষ্টি নষ্ট হতে পারে।
চোখের হাড় ভেঙে যাওয়া: র্যাকেটের শক্ত আঘাতে চোখের চারপাশের হাড় ভেঙে যেতে পারে। এতে চোখ ভেতরে ঢুকে যাওয়া, ডাবল ভিশন বা চোখ নাড়াতে সমস্যা হতে পারে।
ওপরের যেকোনো অবস্থাই অত্যন্ত গুরুতর, তাই দ্রুত চক্ষুবিশেষজ্ঞ বা কাছের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যেতে হবে।
চোখের আঘাত প্রতিরোধে করণীয়
প্রোটেকটিভ আই গ্লাস বা স্পোর্টস গগলস ব্যবহার করুন: বিশেষ করে দুজন এক পক্ষে খেলার সময় চোখের ঝুঁকি অনেক বেশি। স্পোর্টস গগলস আঘাতের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমায়।
খেলায় পর্যাপ্ত দূরত্ব বজায় রাখুন: পার্টনারের কাছাকাছি দাঁড়ালে র্যাকেট চোখে লাগার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
শট মারার সময় সতর্কতা: জোরে স্ম্যাশ মারার আগে সতর্ক করলে পার্টনার প্রস্তুত হতে পারে।
শিশুরা বা নবীন খেলোয়াড়দের জন্য বাড়তি সতর্কতা: তাদের সমন্বয় দক্ষতা কম থাকায় চোখে আঘাত লাগার ঝুঁকি বেশি।
লেখক: চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা

বিজ্ঞানীদের দাবি—মানুষের ডিএনএ ও মাছের ডিএনএর মধ্যে বেশ মিল আছে। মানুষের শরীর এগুলো ‘গ্রহণ’ করে ত্বকে কোলাজেন ও ইলাস্টিন উৎপাদন বাড়াতে পারে। এই দুই প্রোটিন ত্বকের গঠন, দৃঢ়তা ও স্থিতিস্থাপকতার জন্য অপরিহার্য।
১৫ ঘণ্টা আগে
শহুরে জীবনের প্রতি কারও থাকে আকর্ষণ, আবার কারও প্রয়োজন। অনেকে জীবনের তাগিদে শহরে ছুটে আসছে। আবার শহরে থাকা অনেকে পালাতে চাইছে এই ব্যস্ত জীবন ছেড়ে। যতই দিন যাচ্ছে বিশ্বজুড়ে শহরায়ন-নগরায়নের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। তবে শহর ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ ও সামর্থ্য খুব কম মানুষেরই থাকে।
১ দিন আগে
শীতকাল এলেই কানের বিভিন্ন সমস্যা বাড়তে দেখা যায়। এর অন্যতম কারণ হলো ইউস্টেশিয়ান টিউব। মধ্যকর্ণ ও নাকের পেছনের অংশকে যুক্ত করা এক সরু নালি, যার স্বাভাবিক কার্যকারিতা ঠান্ডা আবহাওয়ার প্রভাবে সহজেই বিঘ্নিত হতে পারে। কানের ভেতরের চাপ ঠিক রাখা এবং মধ্যকর্ণে জমে থাকা বায়ু বা তরল বের করে...
১ দিন আগে
আমাদের জীবনযাত্রায় গতি ধরে রাখার ক্ষেত্রে হাঁটু একটি অপরিহার্য জয়েন্ট। এখানে যখন ব্যথা শুরু হয়, তখন সিঁড়িতে ওঠা, বসা বা হাঁটাচলা, এমনকি নামাজ পড়াও কঠিন হয়ে পড়ে। হাঁটুর ব্যথা বর্তমানে শুধু বয়স্কদের সমস্যা নয়; আঘাত, ভুল জীবনধারা এবং অসচেতনতার কারণে তরুণেরাও এ সমস্যার শিকার হচ্ছে।
১ দিন আগেউম্মে ছালমা

আমাদের জীবনযাত্রায় গতি ধরে রাখার ক্ষেত্রে হাঁটু একটি অপরিহার্য জয়েন্ট। এখানে যখন ব্যথা শুরু হয়, তখন সিঁড়িতে ওঠা, বসা বা হাঁটাচলা, এমনকি নামাজ পড়াও কঠিন হয়ে পড়ে। হাঁটুর ব্যথা বর্তমানে শুধু বয়স্কদের সমস্যা নয়; আঘাত, ভুল জীবনধারা এবং অসচেতনতার কারণে তরুণেরাও এ সমস্যার শিকার হচ্ছে।
হাঁটুব্যথার সাধারণ কারণ
হাঁটুব্যথার কারণ বহুবিধ। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
হাঁটুব্যথার সাধারণ লক্ষণগুলো:
হাঁটুব্যথার সাধারণ লক্ষণগুলো:
ফিজিওথেরাপির ভূমিকা
ফিজিওথেরাপি শুধু ব্যথা কমায় না, এটি হাঁটুর ফাংশন উন্নত করে, হাঁটুর স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করে, জয়েন্ট সচল রাখে, পেশি শক্ত করে এবং ভবিষ্যতের জটিলতা প্রতিরোধ করে। তাই হাঁটুর ব্যথা অনুভব করলে সময় নষ্ট না করে বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নেওয়াই উত্তম।
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা
একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর হাঁটুব্যথার কারণ ও তীব্রতা বিশ্লেষণ করে একটি সঠিক চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করেন:
হাঁটুব্যথার চিকিৎসায় কিছু ফিজিওথেরাপি টেকনিক ব্যবহার করা হয়। যেমন:
সতর্কতা
লেখক: বাত-ব্যথা, প্যারালাইসিস, স্পোর্টস ইনজুরি ও ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ।
আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর, পল্লবী

আমাদের জীবনযাত্রায় গতি ধরে রাখার ক্ষেত্রে হাঁটু একটি অপরিহার্য জয়েন্ট। এখানে যখন ব্যথা শুরু হয়, তখন সিঁড়িতে ওঠা, বসা বা হাঁটাচলা, এমনকি নামাজ পড়াও কঠিন হয়ে পড়ে। হাঁটুর ব্যথা বর্তমানে শুধু বয়স্কদের সমস্যা নয়; আঘাত, ভুল জীবনধারা এবং অসচেতনতার কারণে তরুণেরাও এ সমস্যার শিকার হচ্ছে।
হাঁটুব্যথার সাধারণ কারণ
হাঁটুব্যথার কারণ বহুবিধ। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
হাঁটুব্যথার সাধারণ লক্ষণগুলো:
হাঁটুব্যথার সাধারণ লক্ষণগুলো:
ফিজিওথেরাপির ভূমিকা
ফিজিওথেরাপি শুধু ব্যথা কমায় না, এটি হাঁটুর ফাংশন উন্নত করে, হাঁটুর স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করে, জয়েন্ট সচল রাখে, পেশি শক্ত করে এবং ভবিষ্যতের জটিলতা প্রতিরোধ করে। তাই হাঁটুর ব্যথা অনুভব করলে সময় নষ্ট না করে বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নেওয়াই উত্তম।
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা
একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর হাঁটুব্যথার কারণ ও তীব্রতা বিশ্লেষণ করে একটি সঠিক চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করেন:
হাঁটুব্যথার চিকিৎসায় কিছু ফিজিওথেরাপি টেকনিক ব্যবহার করা হয়। যেমন:
সতর্কতা
লেখক: বাত-ব্যথা, প্যারালাইসিস, স্পোর্টস ইনজুরি ও ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ।
আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর, পল্লবী

বিজ্ঞানীদের দাবি—মানুষের ডিএনএ ও মাছের ডিএনএর মধ্যে বেশ মিল আছে। মানুষের শরীর এগুলো ‘গ্রহণ’ করে ত্বকে কোলাজেন ও ইলাস্টিন উৎপাদন বাড়াতে পারে। এই দুই প্রোটিন ত্বকের গঠন, দৃঢ়তা ও স্থিতিস্থাপকতার জন্য অপরিহার্য।
১৫ ঘণ্টা আগে
শহুরে জীবনের প্রতি কারও থাকে আকর্ষণ, আবার কারও প্রয়োজন। অনেকে জীবনের তাগিদে শহরে ছুটে আসছে। আবার শহরে থাকা অনেকে পালাতে চাইছে এই ব্যস্ত জীবন ছেড়ে। যতই দিন যাচ্ছে বিশ্বজুড়ে শহরায়ন-নগরায়নের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। তবে শহর ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ ও সামর্থ্য খুব কম মানুষেরই থাকে।
১ দিন আগে
শীতকাল এলেই কানের বিভিন্ন সমস্যা বাড়তে দেখা যায়। এর অন্যতম কারণ হলো ইউস্টেশিয়ান টিউব। মধ্যকর্ণ ও নাকের পেছনের অংশকে যুক্ত করা এক সরু নালি, যার স্বাভাবিক কার্যকারিতা ঠান্ডা আবহাওয়ার প্রভাবে সহজেই বিঘ্নিত হতে পারে। কানের ভেতরের চাপ ঠিক রাখা এবং মধ্যকর্ণে জমে থাকা বায়ু বা তরল বের করে...
১ দিন আগে
ব্যাডমিন্টন অত্যন্ত জনপ্রিয় ও দ্রুতগতির ইনডোর খেলা। শাটলককের গতিবেগ কখনো কখনো ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। ফলে খেলোয়াড়দের চোখ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে। বিশেষত ডাবলস খেলায় হঠাৎ শাটলকক বা র্যাকেটের আঘাত চোখে লাগা অস্বাভাবিক নয়।
১ দিন আগে