উম্মে শায়লা রুমকী
আজকাল প্রায় প্রতিটি স্কুলে বইয়ের সংখ্যা বেড়েছে। মায়েদের দাবির মুখে স্কুল কর্তৃপক্ষ বেশি বেশি বাড়ির কাজ, শ্রেণির কাজ, ইংরেজি, বিজ্ঞান-সব বিষয়ে পণ্ডিত করার যুদ্ধে নেমেছে।
শিক্ষক আর অভিভাবকদের এই যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলায় মূলত সমস্যায় পড়ছে আমাদের সন্তানেরা। ছোট ছোট শিশু ভারী স্কুলব্যাগ নিয়ে তিনতলা, চারতলার সিঁড়ি বেয়ে ক্লাস করছে। অনেকেই স্কুলব্যাগ সমানভাবে দুপাশে না নিয়ে কাঁধের একপাশে ঝুলিয়ে নিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। কেউ কেউ একপাশে ব্যাগ নেওয়াটা স্মার্টনেসও মনে করে।
দীর্ঘদিন এভাবে কাঁধে ব্যাগ নেওয়ার কারণে মাংসপেশি স্পজম বা শক্ত হয়ে যায়। ফলে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়ে ব্যথার সৃষ্টি হয়। একদিকে ভারী ব্যাগ ব্যবহারের ফলে দুই কাঁধে ভারসাম্য বা ব্যালান্সের ঘাটতি হয়। সে জন্য মেরুদণ্ডের এলাইনমেন্ট সরে যায় এবং ঘাড়, কোমরসহ অন্যান্য জয়েন্টে চাপের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে শিশুরা অন্যান্য জয়েন্টেও
ব্যথা বোধ করে।
যতটুকু ওজন
আমেরিকান শিশু একাডেমি ব্যাগপ্যাক নেওয়ার ক্ষেত্রে শিশুদের শরীরের ওজনের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ নেওয়ার কথা বলছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনার শিশুর ওজন যদি হয় ৪০ কেজি, তাহলে ব্যাগের ওজন হবে ৪ থেকে ৫ কেজি। দুই কাঁধে সমানভাবে ওজন ভাগ করে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন ব্যাগের ভারে শিশু ঝুঁকে না যায়।
ব্যথা হলে যা করবেন
কাঁধের মাংসপেশিতে বরফ সেঁক দিতে পারেন। কিছু থেরাপিউটিক ব্যায়ামের মাধ্যমে ব্যথা কমানো যায়, তাই একজন বিশেষজ্ঞ দেখানো প্রয়োজন। শিশুদের ফিটনেসের জন্য ফুটবল, ভলিবল, টেনিস, তায়কোয়ান্দো ইত্যাদি খেলার সুযোগ করে দিতে হবে। ফ্রোজেন ফুডের পরিবর্তে পুষ্টিকর, তাজা, সবুজ খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
স্কুল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব
শিশুদের সুস্থ থাকার ক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। বাড়িতে অতিরিক্ত কাজ না দিয়ে ক্লাসেই পড়াশোনা এগিয়ে নেওয়া যেতে পারে। ক্লাস ওয়ার্কের নোটবুক স্কুলে রাখার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। রুটিন অনুযায়ী বই নেওয়াকে উৎসাহিত করতে হবে।অতিরিক্ত বই বা রুটিনের বাইরে বই বহন করা শিশুদের জন্য কঠিন। বেশি বেশি গ্রুপ ওয়ার্ক বা দলীয়ভাবে স্কুলে পাঠদানের ব্যবস্থা করলে বইয়ের চাপ অনেকটাই কমানো সম্ভব। সবকিছুর আগে দরকার সচেতন হওয়া। অতিরিক্ত বইয়ের চাপ আমাদের সন্তানদের কাঁধে না তুলে দেওয়াই মঙ্গল।
লেখক: ফিজিওথেরাপি পরামর্শক, পিটিআরসি
আজকাল প্রায় প্রতিটি স্কুলে বইয়ের সংখ্যা বেড়েছে। মায়েদের দাবির মুখে স্কুল কর্তৃপক্ষ বেশি বেশি বাড়ির কাজ, শ্রেণির কাজ, ইংরেজি, বিজ্ঞান-সব বিষয়ে পণ্ডিত করার যুদ্ধে নেমেছে।
শিক্ষক আর অভিভাবকদের এই যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলায় মূলত সমস্যায় পড়ছে আমাদের সন্তানেরা। ছোট ছোট শিশু ভারী স্কুলব্যাগ নিয়ে তিনতলা, চারতলার সিঁড়ি বেয়ে ক্লাস করছে। অনেকেই স্কুলব্যাগ সমানভাবে দুপাশে না নিয়ে কাঁধের একপাশে ঝুলিয়ে নিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। কেউ কেউ একপাশে ব্যাগ নেওয়াটা স্মার্টনেসও মনে করে।
দীর্ঘদিন এভাবে কাঁধে ব্যাগ নেওয়ার কারণে মাংসপেশি স্পজম বা শক্ত হয়ে যায়। ফলে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়ে ব্যথার সৃষ্টি হয়। একদিকে ভারী ব্যাগ ব্যবহারের ফলে দুই কাঁধে ভারসাম্য বা ব্যালান্সের ঘাটতি হয়। সে জন্য মেরুদণ্ডের এলাইনমেন্ট সরে যায় এবং ঘাড়, কোমরসহ অন্যান্য জয়েন্টে চাপের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে শিশুরা অন্যান্য জয়েন্টেও
ব্যথা বোধ করে।
যতটুকু ওজন
আমেরিকান শিশু একাডেমি ব্যাগপ্যাক নেওয়ার ক্ষেত্রে শিশুদের শরীরের ওজনের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ নেওয়ার কথা বলছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনার শিশুর ওজন যদি হয় ৪০ কেজি, তাহলে ব্যাগের ওজন হবে ৪ থেকে ৫ কেজি। দুই কাঁধে সমানভাবে ওজন ভাগ করে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন ব্যাগের ভারে শিশু ঝুঁকে না যায়।
ব্যথা হলে যা করবেন
কাঁধের মাংসপেশিতে বরফ সেঁক দিতে পারেন। কিছু থেরাপিউটিক ব্যায়ামের মাধ্যমে ব্যথা কমানো যায়, তাই একজন বিশেষজ্ঞ দেখানো প্রয়োজন। শিশুদের ফিটনেসের জন্য ফুটবল, ভলিবল, টেনিস, তায়কোয়ান্দো ইত্যাদি খেলার সুযোগ করে দিতে হবে। ফ্রোজেন ফুডের পরিবর্তে পুষ্টিকর, তাজা, সবুজ খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
স্কুল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব
শিশুদের সুস্থ থাকার ক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। বাড়িতে অতিরিক্ত কাজ না দিয়ে ক্লাসেই পড়াশোনা এগিয়ে নেওয়া যেতে পারে। ক্লাস ওয়ার্কের নোটবুক স্কুলে রাখার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। রুটিন অনুযায়ী বই নেওয়াকে উৎসাহিত করতে হবে।অতিরিক্ত বই বা রুটিনের বাইরে বই বহন করা শিশুদের জন্য কঠিন। বেশি বেশি গ্রুপ ওয়ার্ক বা দলীয়ভাবে স্কুলে পাঠদানের ব্যবস্থা করলে বইয়ের চাপ অনেকটাই কমানো সম্ভব। সবকিছুর আগে দরকার সচেতন হওয়া। অতিরিক্ত বইয়ের চাপ আমাদের সন্তানদের কাঁধে না তুলে দেওয়াই মঙ্গল।
লেখক: ফিজিওথেরাপি পরামর্শক, পিটিআরসি
উন্নত দেশগুলো, এমনকি উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও টাইফয়েড এখন খুব কম দেখা যায়। কিন্তু প্রাচীন এই রোগের ফলে আধুনিক বিশ্ব তো বটেই, দুনিয়াজুড়ে বেশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে আবারও। হাজার বছর ধরে মানুষের প্রাণ হন্তারক হিসেবে ‘খুনির’ কাজ করে এসেছে এর জীবাণু। সাম্প্রতিক এক গবেষণা দেখিয়েছে, টাইফয়েডের জন্য দায়ী
২ দিন আগেআমাদের অনেকের প্রায় অনেক সময় নাক খোঁটানোর অভ্যাস আছে। আপাতদৃষ্টে বিষয়টি খুব সাধারণ মনে হলেও গবেষকেরা বলছেন, নাক খোঁটানোর বিষয়টি মোটেও নিরাপদ নয়। ২০২২ সালে বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এক গবেষণায় নাক খোঁটার সঙ্গে স্মৃতিভ্রংশ বা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকির ক্ষীণ কিন্তু সম্ভাব্য যোগসূত্রের কথা বলা হয়েছে।
২ দিন আগেদীর্ঘদিন ধরে নারীদেহের এক প্রত্যঙ্গকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে মনে করা হতো। তবে নতুন এক গবেষণায় জানা যায়, এই প্রত্যঙ্গটিই নারীর ডিম্বাশয়ের বিকাশ ও প্রজনন ক্ষমতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২ দিন আগেনানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
৪ দিন আগে