
করোনা-উত্তর পৃথিবীতে মানুষের খাদ্যাভ্যাসে একধরনের পরিবর্তন তো এসেছেই, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু করোনার কারণেই নয়, বিশ্বজুড়ে খাদ্যসংকটের কারণেও বদলে যাচ্ছে মানুষের খাদ্যাভ্যাস। ৪ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুদ্ধ-সংঘাতের কারণে ২০২১ সালে বিশ্বের ২৪ দেশের ১৩ কোটি ৯০ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্যসংকটের মধ্যে পড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বিশ্বের আট দেশের ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষ খাদ্যসংকটের মুখে পড়েছে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক সংকটের কারণে খাদ্যসংকটের মধ্যে পড়েছে ২১ দেশের ৩ কোটি মানুষ। ফলে সংশয় দেখা দিয়েছে, এভাবে খাদ্যসংকট বাড়তে থাকলে পৃথিবীজুড়ে দেখা দেবে তীব্র দুর্ভিক্ষ। মারা যাবে কোটি কোটি মানুষ। বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে মনুষ্য প্রজাতি!
সত্যিই কি তাই? বিলুপ্ত হয়ে যাবে মনুষ্য প্রজাতি? শুধু খাদ্যসংকটের কারণে মানুষ নামের প্রজাতিটি পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে, সম্ভবত এমনটি ঘটবে না। কারণ, বিবর্তনের সঙ্গে মানুষের রয়েছে অভিযোজিত হওয়ার অসীম ক্ষমতা। অতিকায় হস্তী লোপ পাইলেও মানুষ টিকিয়া আছে মূলত এর অভিযোজন ক্ষমতার কারণে।
কিন্তু বর্তমান হিসাবে দেখা যাচ্ছে, আমরা ৯০ শতাংশ ক্যালরি পাই মাত্র ১৫টি ফসল থেকে। কোনো কারণে এসব ফসলের উৎপাদন ঘাটতি দেখা দিলে তার প্রভাব খাদ্য নিরাপত্তায় নিশ্চিতভাবেই পড়বে। তাই আসন্ন বিপদ এড়াতে নতুন নতুন খাদ্যের উৎস খুঁজে বের করা জরুরি।
ইতিমধ্যে বিশ্বের অনেক মানুষ নতুন নতুন খাবারে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। যেমন ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম জানিয়েছে, ব্রিটিশরা ইদানীং ‘জেলিফিশ চিপস’ নিয়মিত খাচ্ছেন। জেলিফিশ আগে খাওয়া হলেও চিপস বানিয়ে খাওয়ার প্রচলন খুব একটা ছিল না। আগামী কয়েক দশকে জেলিফিশ চিপস ব্রিটিশদের খাবারের মেনুতে নিয়মিত হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্যসংকট মোকাবিলা করতে মানুষ তাদের খাদ্যতালিকায় এ রকম নতুন নতুন খাবার যুক্ত করবে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলেছে, ‘ভবিষ্যতে আমরা হয়তো “ফলস বানানা” দিয়ে সকালের নাশতা সারব। আর হালকা জলখাবার হিসেবে খাব “পান্ডানাস ফল”।’
গতকাল রোববার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বিবিসি বলেছে, ২০৫০ সাল নাগাদ মানুষের খাবারের মেনুতে থাকতে পারে—এমন স্বল্পপরিচিত উদ্ভিদের তালিকা তৈরি করছেন বিজ্ঞানীরা।
লন্ডনের রয়্যাল বোটানিক গার্ডেনসের গবেষক স্যাম পিরিনন বিবিসিকে বলেছেন, ‘সারা বিশ্বে হাজার হাজার ভোজ্য উদ্ভিদ রয়েছে। পৃথিবীর অনেক জনগোষ্ঠী এসব খায়। এখানেই আমরা ভবিষ্যতের খাদ্যসংকট মোকাবিলার সমাধান খুঁজে পেতে পারি।’
বিশ্বজুড়ে ৭ হাজারের বেশি ভোজ্য উদ্ভিদ জন্মায়। এর মধ্যে ৪১৭টি ব্যাপকভাবে জন্মায়। এই উদ্ভিদগুলো খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
খাদ্যসংকট-সম্পর্কিত খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
পান্ডানাস
এটি একধরনের ছোট আকৃতির গাছ। সাধারণত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে ফিলিপাইন পর্যন্ত বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকায় এ গাছ জন্মে। গাছটির পাতা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন এলাকায় খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দেখতে অনেকটা আনারসের মতো। পান্ডানাস ফল কাঁচা বা রান্না করে খাওয়া যায়।
লন্ডনের রয়্যাল বোটানিক গার্ডেনসের রিসার্চ ফেলো মেরিবেল সোটো গোমেজ বলেন, এই গাছ খরা, ঝড় ও লবণাক্ততার মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বেঁচে থাকতে পারে। এটি জলবায়ু সহনীয় একটি গাছ। এর ফল খাবার হিসেবে পুষ্টিকর ও সুস্বাদু।
মেরিবেল আরও বলেন, খাদ্য খাদ্যতালিকায় পান্ডানাস দারুণ বৈচিত্র্য আনতে পারে। পান্ডানাস আরও ব্যাপকভাবে চাষ করা উচিত।
ভোজ্য বীজ
ভোজ্য বীজ হতে পারে আমাদের ভবিষ্যতের অন্যতম খাদ্য। এগুলো সস্তা তো বটেই, উপরন্তু এসবের মধ্যে রয়েছে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন ও ভিটামিন বি।
মটরশুঁটি ও শিমজাতীয় উদ্ভিদ সমুদ্রতীর থেকে পাহাড়ের ঢালে জন্মাতে পারে এবং পরিবেশের সঙ্গে অনায়াসে খাপ খাওয়াতে পারে। পৃথিবীতে অন্তত ২০ হাজার প্রজাতির মটরজাতীয় উদ্ভিদ রয়েছে। কিন্তু এ উদ্ভিদের মাত্র গুটিকয়েক প্রজাতি আমরা খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করি।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, পৃথিবীর বনাঞ্চলে এখনো শত শত প্রজাতির মটরজাতীয় উদ্ভিদ রয়েছে। এগুলো এখনো বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করতে পারেননি।
‘মোরামা বিন’ নামের একধরনের বীজ বতসোয়ানা, নামিবিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে প্রধান খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এসব অঞ্চলের মানুষ এই বীজ সেদ্ধ করে খান। অনেক সময় পাউডার বানিয়ে তা জাউ বা পানীয় হিসেবেও খান।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মটরজাতীয় সব উদ্ভিদই খাওয়ার যোগ্য নয়। কোন কোনগুলো খাওয়ার যোগ্য এবং কোনগুলোতে ব্যাপক পুষ্টি রয়েছে, তা খুঁজে বের করতে বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন।

ওয়াইল্ড সিরিয়াল
ওয়াইল্ড সিরিয়াল একধরনের শস্যদানা। এটি ঘাস থেকে তৈরি হয়। ব্যাপক বৈচিত্র্যপূর্ণ এই শস্যদানার প্রজাতি অনেক। বিশ্বে প্রায় ১০ হাজারের বেশি প্রজাতির সিরিয়ালজাতীয় শস্যদানা রয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, নতুন খাদ্য হিসেবে এই প্রজাতিগুলোর ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
আফ্রিকায় ‘ফোনিও’ নামের এক ধরনের পুষ্টিকর সিরিয়াল রয়েছে। এটি কুসকুস, পোরিজ (আঞ্চলিক খাবার) ও পানীয় ধরনের খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। আফ্রিকার অনেক অঞ্চলে ফসল হিসেবে ফোনিও চাষ হয়। এই উদ্ভিদ শুষ্ক অবস্থা সহ্য করতে পারে।

ফলস বানানা
ফলস বানানা হচ্ছে কলার কাছাকাছি প্রজাতির একটি ফল। এর আরেক নাম ‘এনসেট’। ফলটি শুধু ইথিওপিয়ার কিছু অংশের মানুষকে খেতে দেখা যায়। ফলস বানানা দেখতে অনেকটা কলার মতোই। তবে তা সরাসরি কলার মতো খাওয়া যায় না। এর কাণ্ড ও শিকড় গাঁজন করতে হয়। তারপর পোরিজ (জাউ) ও রুটিতে ব্যবহার করে খেতে হয়। গবেষকেরা বলছেন, খাদ্য হিসেবে এই ফলের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্র: বিবিসি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইট ও ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম

করোনা-উত্তর পৃথিবীতে মানুষের খাদ্যাভ্যাসে একধরনের পরিবর্তন তো এসেছেই, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু করোনার কারণেই নয়, বিশ্বজুড়ে খাদ্যসংকটের কারণেও বদলে যাচ্ছে মানুষের খাদ্যাভ্যাস। ৪ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুদ্ধ-সংঘাতের কারণে ২০২১ সালে বিশ্বের ২৪ দেশের ১৩ কোটি ৯০ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্যসংকটের মধ্যে পড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বিশ্বের আট দেশের ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষ খাদ্যসংকটের মুখে পড়েছে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক সংকটের কারণে খাদ্যসংকটের মধ্যে পড়েছে ২১ দেশের ৩ কোটি মানুষ। ফলে সংশয় দেখা দিয়েছে, এভাবে খাদ্যসংকট বাড়তে থাকলে পৃথিবীজুড়ে দেখা দেবে তীব্র দুর্ভিক্ষ। মারা যাবে কোটি কোটি মানুষ। বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে মনুষ্য প্রজাতি!
সত্যিই কি তাই? বিলুপ্ত হয়ে যাবে মনুষ্য প্রজাতি? শুধু খাদ্যসংকটের কারণে মানুষ নামের প্রজাতিটি পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে, সম্ভবত এমনটি ঘটবে না। কারণ, বিবর্তনের সঙ্গে মানুষের রয়েছে অভিযোজিত হওয়ার অসীম ক্ষমতা। অতিকায় হস্তী লোপ পাইলেও মানুষ টিকিয়া আছে মূলত এর অভিযোজন ক্ষমতার কারণে।
কিন্তু বর্তমান হিসাবে দেখা যাচ্ছে, আমরা ৯০ শতাংশ ক্যালরি পাই মাত্র ১৫টি ফসল থেকে। কোনো কারণে এসব ফসলের উৎপাদন ঘাটতি দেখা দিলে তার প্রভাব খাদ্য নিরাপত্তায় নিশ্চিতভাবেই পড়বে। তাই আসন্ন বিপদ এড়াতে নতুন নতুন খাদ্যের উৎস খুঁজে বের করা জরুরি।
ইতিমধ্যে বিশ্বের অনেক মানুষ নতুন নতুন খাবারে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। যেমন ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম জানিয়েছে, ব্রিটিশরা ইদানীং ‘জেলিফিশ চিপস’ নিয়মিত খাচ্ছেন। জেলিফিশ আগে খাওয়া হলেও চিপস বানিয়ে খাওয়ার প্রচলন খুব একটা ছিল না। আগামী কয়েক দশকে জেলিফিশ চিপস ব্রিটিশদের খাবারের মেনুতে নিয়মিত হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্যসংকট মোকাবিলা করতে মানুষ তাদের খাদ্যতালিকায় এ রকম নতুন নতুন খাবার যুক্ত করবে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলেছে, ‘ভবিষ্যতে আমরা হয়তো “ফলস বানানা” দিয়ে সকালের নাশতা সারব। আর হালকা জলখাবার হিসেবে খাব “পান্ডানাস ফল”।’
গতকাল রোববার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বিবিসি বলেছে, ২০৫০ সাল নাগাদ মানুষের খাবারের মেনুতে থাকতে পারে—এমন স্বল্পপরিচিত উদ্ভিদের তালিকা তৈরি করছেন বিজ্ঞানীরা।
লন্ডনের রয়্যাল বোটানিক গার্ডেনসের গবেষক স্যাম পিরিনন বিবিসিকে বলেছেন, ‘সারা বিশ্বে হাজার হাজার ভোজ্য উদ্ভিদ রয়েছে। পৃথিবীর অনেক জনগোষ্ঠী এসব খায়। এখানেই আমরা ভবিষ্যতের খাদ্যসংকট মোকাবিলার সমাধান খুঁজে পেতে পারি।’
বিশ্বজুড়ে ৭ হাজারের বেশি ভোজ্য উদ্ভিদ জন্মায়। এর মধ্যে ৪১৭টি ব্যাপকভাবে জন্মায়। এই উদ্ভিদগুলো খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
খাদ্যসংকট-সম্পর্কিত খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
পান্ডানাস
এটি একধরনের ছোট আকৃতির গাছ। সাধারণত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে ফিলিপাইন পর্যন্ত বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকায় এ গাছ জন্মে। গাছটির পাতা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন এলাকায় খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দেখতে অনেকটা আনারসের মতো। পান্ডানাস ফল কাঁচা বা রান্না করে খাওয়া যায়।
লন্ডনের রয়্যাল বোটানিক গার্ডেনসের রিসার্চ ফেলো মেরিবেল সোটো গোমেজ বলেন, এই গাছ খরা, ঝড় ও লবণাক্ততার মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বেঁচে থাকতে পারে। এটি জলবায়ু সহনীয় একটি গাছ। এর ফল খাবার হিসেবে পুষ্টিকর ও সুস্বাদু।
মেরিবেল আরও বলেন, খাদ্য খাদ্যতালিকায় পান্ডানাস দারুণ বৈচিত্র্য আনতে পারে। পান্ডানাস আরও ব্যাপকভাবে চাষ করা উচিত।
ভোজ্য বীজ
ভোজ্য বীজ হতে পারে আমাদের ভবিষ্যতের অন্যতম খাদ্য। এগুলো সস্তা তো বটেই, উপরন্তু এসবের মধ্যে রয়েছে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন ও ভিটামিন বি।
মটরশুঁটি ও শিমজাতীয় উদ্ভিদ সমুদ্রতীর থেকে পাহাড়ের ঢালে জন্মাতে পারে এবং পরিবেশের সঙ্গে অনায়াসে খাপ খাওয়াতে পারে। পৃথিবীতে অন্তত ২০ হাজার প্রজাতির মটরজাতীয় উদ্ভিদ রয়েছে। কিন্তু এ উদ্ভিদের মাত্র গুটিকয়েক প্রজাতি আমরা খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করি।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, পৃথিবীর বনাঞ্চলে এখনো শত শত প্রজাতির মটরজাতীয় উদ্ভিদ রয়েছে। এগুলো এখনো বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করতে পারেননি।
‘মোরামা বিন’ নামের একধরনের বীজ বতসোয়ানা, নামিবিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে প্রধান খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এসব অঞ্চলের মানুষ এই বীজ সেদ্ধ করে খান। অনেক সময় পাউডার বানিয়ে তা জাউ বা পানীয় হিসেবেও খান।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মটরজাতীয় সব উদ্ভিদই খাওয়ার যোগ্য নয়। কোন কোনগুলো খাওয়ার যোগ্য এবং কোনগুলোতে ব্যাপক পুষ্টি রয়েছে, তা খুঁজে বের করতে বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন।

ওয়াইল্ড সিরিয়াল
ওয়াইল্ড সিরিয়াল একধরনের শস্যদানা। এটি ঘাস থেকে তৈরি হয়। ব্যাপক বৈচিত্র্যপূর্ণ এই শস্যদানার প্রজাতি অনেক। বিশ্বে প্রায় ১০ হাজারের বেশি প্রজাতির সিরিয়ালজাতীয় শস্যদানা রয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, নতুন খাদ্য হিসেবে এই প্রজাতিগুলোর ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
আফ্রিকায় ‘ফোনিও’ নামের এক ধরনের পুষ্টিকর সিরিয়াল রয়েছে। এটি কুসকুস, পোরিজ (আঞ্চলিক খাবার) ও পানীয় ধরনের খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। আফ্রিকার অনেক অঞ্চলে ফসল হিসেবে ফোনিও চাষ হয়। এই উদ্ভিদ শুষ্ক অবস্থা সহ্য করতে পারে।

ফলস বানানা
ফলস বানানা হচ্ছে কলার কাছাকাছি প্রজাতির একটি ফল। এর আরেক নাম ‘এনসেট’। ফলটি শুধু ইথিওপিয়ার কিছু অংশের মানুষকে খেতে দেখা যায়। ফলস বানানা দেখতে অনেকটা কলার মতোই। তবে তা সরাসরি কলার মতো খাওয়া যায় না। এর কাণ্ড ও শিকড় গাঁজন করতে হয়। তারপর পোরিজ (জাউ) ও রুটিতে ব্যবহার করে খেতে হয়। গবেষকেরা বলছেন, খাদ্য হিসেবে এই ফলের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্র: বিবিসি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইট ও ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
১ ঘণ্টা আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
২ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
২ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

করোনা-উত্তর পৃথিবীতে মানুষের খাদ্যাভ্যাসে এক ধরনের পরিবর্তন তো এসেছেই, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু করোনার কারণেই নয়, বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকটের কারণেও বদলে যাচ্ছে মানুষের খাদ্যাভ্যাস।
২৩ মে ২০২২
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
২ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
২ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
২ দিন আগেডা. পূজা সাহা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

করোনা-উত্তর পৃথিবীতে মানুষের খাদ্যাভ্যাসে এক ধরনের পরিবর্তন তো এসেছেই, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু করোনার কারণেই নয়, বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকটের কারণেও বদলে যাচ্ছে মানুষের খাদ্যাভ্যাস।
২৩ মে ২০২২
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
১ ঘণ্টা আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
২ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
২ দিন আগেডা. মো. নূর আলম

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

করোনা-উত্তর পৃথিবীতে মানুষের খাদ্যাভ্যাসে এক ধরনের পরিবর্তন তো এসেছেই, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু করোনার কারণেই নয়, বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকটের কারণেও বদলে যাচ্ছে মানুষের খাদ্যাভ্যাস।
২৩ মে ২০২২
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
১ ঘণ্টা আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
২ দিন আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
২ দিন আগেডা. মো. মাজহারুল হক তানিম

পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
কখন বলবেন বেশি রক্ত যাচ্ছে
পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হলে তাকে বলা হয় ম্যানোরেজিয়া। এর সাধারণ লক্ষণগুলো হলো
সাত দিনের বেশি সময় ধরে রক্তপাত হলে, সংখ্যায় বেশি প্যাড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে এবং ব্লিডিংয়ের সঙ্গে চাকা চাকা রক্তপাত হলে।
কেন বেশি ব্লিডিং হতে পারে
করণীয়
হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের ক্ষেত্রে, রক্তপ্রবাহ এবং পেটের খিঁচুনি আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করে। যদি অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের কারণে পিরিয়ডকে ভয় পান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। এর অনেক চিকিৎসা রয়েছে, যা সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর দরকার হয়। যেমন হরমোনের সমস্যা আছে কি না বা প্লিসটিক ওভারেসি সিনড্রোম আছে কি না অথবা থাইরো হরমোনের সমস্যা আছে কি না। আলট্রাসনো করেও অনেক সময় দেখা হয়, জরায়ুতে কোনো টিউমার আছে কি না। ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে, যাদের হরমনাল ইমব্যালেন্স থাকে, তাদের ক্ষেত্রে হরমোন ব্যালেন্স করার জন্য প্রজেস্টেরন-জাতীয় হরমোন দিয়ে থাকি। আবার থাইরো হরমোনের তারতম্য থাকলে থাইরো হরমোনের রিপ্লেসমেন্ট বা যে কারণে হচ্ছে, সেটার ওষুধ দিয়ে থাকি। টিউমার থাকলে অনেক সময় অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এই অপারেশন সব সময় যে দরকার হয় এমন নয়; বা অতিরিক্ত ব্লিডিং হলেই যে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে হবে, তা কিন্তু নয়।
লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
কখন বলবেন বেশি রক্ত যাচ্ছে
পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হলে তাকে বলা হয় ম্যানোরেজিয়া। এর সাধারণ লক্ষণগুলো হলো
সাত দিনের বেশি সময় ধরে রক্তপাত হলে, সংখ্যায় বেশি প্যাড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে এবং ব্লিডিংয়ের সঙ্গে চাকা চাকা রক্তপাত হলে।
কেন বেশি ব্লিডিং হতে পারে
করণীয়
হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের ক্ষেত্রে, রক্তপ্রবাহ এবং পেটের খিঁচুনি আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করে। যদি অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের কারণে পিরিয়ডকে ভয় পান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। এর অনেক চিকিৎসা রয়েছে, যা সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর দরকার হয়। যেমন হরমোনের সমস্যা আছে কি না বা প্লিসটিক ওভারেসি সিনড্রোম আছে কি না অথবা থাইরো হরমোনের সমস্যা আছে কি না। আলট্রাসনো করেও অনেক সময় দেখা হয়, জরায়ুতে কোনো টিউমার আছে কি না। ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে, যাদের হরমনাল ইমব্যালেন্স থাকে, তাদের ক্ষেত্রে হরমোন ব্যালেন্স করার জন্য প্রজেস্টেরন-জাতীয় হরমোন দিয়ে থাকি। আবার থাইরো হরমোনের তারতম্য থাকলে থাইরো হরমোনের রিপ্লেসমেন্ট বা যে কারণে হচ্ছে, সেটার ওষুধ দিয়ে থাকি। টিউমার থাকলে অনেক সময় অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এই অপারেশন সব সময় যে দরকার হয় এমন নয়; বা অতিরিক্ত ব্লিডিং হলেই যে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে হবে, তা কিন্তু নয়।
লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

করোনা-উত্তর পৃথিবীতে মানুষের খাদ্যাভ্যাসে এক ধরনের পরিবর্তন তো এসেছেই, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু করোনার কারণেই নয়, বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকটের কারণেও বদলে যাচ্ছে মানুষের খাদ্যাভ্যাস।
২৩ মে ২০২২
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
১ ঘণ্টা আগে
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
২ দিন আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
২ দিন আগে