সাবিত আল হোসেন

আজকের পত্রিকা: রমজানজুড়ে প্রতিবছর দেশে নানান ধরনের খাবারের পসরা দেখা যায়। বাস্তবে এসব খাবার রোজাদারদের জন্য কতটা উপাদেয়?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: এসব খাবার অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেশি মসলাযুক্ত, অতিরিক্ত তেলে ভাজা এবং কৃত্রিম রঙে ভরপুর ও মুখরোচক। এগুলো মোটেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এই খাবারের ফলে অ্যাসিডিটি, বদহজম, ওজন বৃদ্ধিসহ নানান শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই এগুলো বাদ দিয়ে কম মসলাযুক্ত, বেশি আঁশসমৃদ্ধ সুষম খাবার খেতে হবে।
আজকের পত্রিকা: দীর্ঘদিন ধরে এ দেশে সাহরিতে ভাত এবং ইফতারে ভাজাপোড়া খেয়ে আসছেন রোজাদারেরা। এই অভ্যাস কতটা প্রশান্তিদায়ক?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: আমাদের দেশের মানুষ ঐতিহ্য ও আবহাওয়া বিবেচনায় সাহরিতে ভাত খেয়ে থাকে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস যেন না হয়। সাহরিতে আমিষ ও আঁশযুক্ত খাবার, যেমন লাল চাল, লাল আটা, শাক-সবজি, বিচিজাতীয় খাদ্য; যেমন শিমের বিচি, মটরশুঁটি, ডাল খেতে হবে। এ ছাড়া ডিম, দুধ ইত্যাদি খাবারের তালিকায় রাখা ভালো। কারণ আমিষ ও আঁশজাতীয় খাবার ধীরে হজম হয়, ফলে ক্ষুধা অনুভব কম হয় এবং পর্যাপ্ত শক্তি পাওয়া যায়। পক্ষান্তরে ইফতারে ভাজাপোড়া ও তেলজাতীয় খাবার আমাদের দেশের মানুষের ঐতিহ্য। তবে সুস্বাস্থের জন্য অবশ্যই ভাজাপোড়া বাদ দিয়ে সহজপাচ্য, তরল ও আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। তা না হলে দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকার কারণে বেশি মসলাযুক্ত ভাজাপোড়া খাবারে অ্যাসিডিটিসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে।
আজকের পত্রিকা: গরমকাল বিবেচনায় রোজাদারেরা কোন ধরনের খাবার সাহরিতে খেতে পারেন বা খাওয়া উচিত?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: মার্চ-এপ্রিল সময়টা বছরের উষ্ণতম সময়। ফলে প্রচুর ঘাম হয়। এতে শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ ও পানি বের হয়ে যায়। এ কারণে মানুষ সহজে দুর্বল হয়ে পড়ে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য রোজায় পানিশূন্যতা রোধে সহজে হজম হয় এমন শাকসবজি, যেমন লাউ, ঝিঙে, পটোল, চিচিঙ্গা, চালকুমড়া প্রভৃতি অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে। বিরিয়ানি-খিচুড়ি মসলাযুক্ত খাবার হজমে প্রচুর পানি পরিশোষণ হয়; যার কারণে রোজাদার তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়তে পারেন। ফলে এই খাবারগুলো বর্জন করতে হবে। এ ছাড়া সাহরিতে চা ও কফি পান না করাই ভালো। এগুলোতে থাকা ক্যাফেইন তৃষ্ণার সৃষ্টি করে, অ্যাসিডিটি উৎপন্ন করে এবং খাদ্যের পুষ্টি পরিশোষণে বাধা দেয়।
আজকের পত্রিকা: এ সময় ইফতারে কোন ধরনের খাবার রাখা উচিত?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: রোজায় দীর্ঘ বিরতিতে না খেয়ে থাকার ফলে শারীরিক দুর্বলতা ও ক্লান্তি অনুভূত হয়। এ জন্য সহজপাচ্য রসালো ও তরলজাতীয় খাবার দিয়ে ইফতারি শুরু করা উচিত। ঘরে তৈরি তাজা ফলের শরবত, ডাবের পানি, তোকমা, ইসবগুল প্রভৃতি খাওয়া যেতে পারে, যা দেহের পানি ও লবণের (ইলেকট্রোলাইট) ভারসাম্য রক্ষা করতে সহায়তা করবে এবং কোষ্ঠ্যকাঠিন্য প্রতিরোধে কাজ করবে। এ ছাড়া যেকোনো মিষ্টি ফল—যেমন খেজুর, তরমুজ, কলা ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে, যা দেহের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ লবণের চাহিদা পূরণ করতে সহায়তা করবে। পুষ্টিসমৃদ্ধ ও সহজে হজম হয় এমন খাবার ইফতারে রাখা যেতে পারে, যেমন সেদ্ধ ছোলা, দই-চিড়া, সবজিখিচুড়ি, বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং শসা-টমেটোর মিশ্রিত সালাদ প্রভৃতি। এরপর ১০ থেকে ১৫ মিনিটের বিরতি নিয়ে মূল খাবার শুরু করা উচিত।
আজকের পত্রিকা: আজকাল ফলের ওপর মানুষের ভরসা কমে যাচ্ছে। এর সমাধান কী?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: প্রতিদিন একজন মানুষের ১০০ গ্রাম ফল খাওয়া উচিত। এ জন্য জনগণকে ফল খেতে উৎসাহিত করতে হবে। অনেকেরই ধারণা, ফল সতেজ রাখার জন্য তাতে ফরমালিন মেশানো হয়। প্রাকৃতিকভাবেই ফলে ফরমালিন থাকে বিধায় আলাদা করে এর ব্যবহার কোনো প্রকার প্রভাব ফেলে না। তা ছাড়া ফরমালিন একটি উদ্বায়ী পদার্থ, যা সহজেই বাতাসে মিশে যায়। দীর্ঘ সময় ফল সতেজ রাখার জন্য অথবা পাকানোর জন্য অনুমোদিত ফুড গ্রেডের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার আশায় অননুমোদিত রাসায়নিক ব্যাবহার করে থাকেন, যা স্বাস্থ্যে জন্য ক্ষতিকর। এটি রোধের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশীয় কিছু ফল, যেমন—কলা, পেয়ারা ইত্যাদি সারা বছর পাওয়া যায় এবং এগুলো দামেও সস্তা। এই ফলগুলো নিশ্চিন্তে খাওয়া যায়। অন্যান্য দেশীয় মৌসুমি ফল ভরা মৌসুমে নিশ্চিন্তে খাওয়া যায়। মৌসুমের শুরুতে অথবা অসময়ে ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে।
আজকের পত্রিকা: ইফতারে কোন পানীয় গ্রহণযোগ্য আর কোন পানীয় বর্জনীয়?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: স্বাভাবিক অবস্থায় একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে ৭ থেকে ১৪ গ্লাস নিরাপদ পানি পান করা উচিত। ভালো পানীয় হচ্ছে আমরা সাধারণত সব সময় যে পানি পান করি। ইফতারে পানি পানের সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন—সারা দিন রোজা রাখার পর খালি পেটে একসঙ্গে অনেক পানি বা শরবত পান করা উচিত নয়। একটু ধীরে ধীরে, সময় নিয়ে পানি পান করা ভালো। এ ছাড়া সাধারণ পানির বাইরে উপকারী পানীয় হলো ইসপগুল, তোকমা, চিয়া সিড ইত্যাদি দিয়ে তৈরি শরবত, টক দইয়ের শরবত, মাঠা, লেবু, ডাবের পানি, তাজা ফলের রস ইত্যাদি। কারণ, এ ধরনের শরবত সারা দিনের পানির চাহিদা পূরণ করে। একই সঙ্গে ভিটামিন আর মিনারেলেরও জোগান দেয়। ফলে আমরা খুব সহজেই সতেজ বোধ করি।
বর্জনীয় হিসেবে সব ধরনের কোমল বা সোডা পানীয় ও প্রক্রিয়াজাত শরবত, জুস ইত্যাদি। সোডাজাতীয় পানীয় আমাদের খুব দ্রুত পানিশূন্য করে তোলে। এ ছাড়া বাসায় তৈরি শরবত বা ফলের জুসে অতিরিক্ত চিনি ব্যবহার না করা ভালো। আবার অনেকে ইফতারের সময় ফ্রিজে পানি রেখে ঠান্ডা করে খেতে পছন্দ করেন। এ বিষয়েও সাবধান থাকতে হবে। কারণ, এখন প্রচুর গরম, এর মধ্যে হুট করে বেশি ঠান্ডা পানি খেলে শরীরে অনেক সময় বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। মনে রাখতে হবে, সারা দিন রোজা রাখার পর শরীরে যে পানিশূন্যতা তৈরি হয়, সেটি পূরণ করতে ইফতারের পর থেকে সাহরির আগ পর্যন্ত ৭ থেকে ১৪ গ্লাস পানি পান করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: রোজা এলেই অনেকের অ্যাসিডিটি বেড়ে যায়। এর পেছনে আসলে কোন খাবার দায়ী, নাকি অন্য কোনো সমস্যা?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: সাধারণত অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকলে এবং সাহরিতে বেশি মসলাযুক্ত খাবার খেলে অ্যাসিডিটি বেড়ে যায়। এ ছাড়া চা ও কফি পান, দুশ্চিতা, ধূমপান এবং অনিদ্রার কারণেও অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম ও শারীরিক সক্রিয়তা এ ক্ষেত্রে কার্যকর প্রতিরোধব্যবস্থা হিসেবে কাজ করতে পারে।
আজকের পত্রিকা: কর্মজীবী নারী ও পুরুষের জন্য কোন ধরনের খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেবেন?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: কর্মজীবী নারী ও পুরুষকে কর্মের তাগিদে প্রতিদিনই বাইরে যেতে হয়। সে জন্য তাঁদের বেশি ক্যালরি খরচ হয় এবং শরীরে প্রচুর শক্তি ক্ষয় হয়। তাই কর্মজীবীদের উচ্চ ক্যালরি, আমিষ ও আঁশযুক্ত এবং সহজপাচ্য সুষম খাবার সাহরি ও ইফতারের সময় খেতে হবে। বিভিন্ন ধরনের শরবত, সামর্থ্য অনুয়ায়ী দেশীয় ফল, পাতলা সবজিখিচুড়ি, ছোলা-মুড়ি, ডিম, দুধ কিংবা দুধজাত খাবার, বিভিন্ন ধলনের শাক, বিচি জাতীয়শস্য, ছোট-বড় মাছ, মাংস, ডিম, ডাল ইত্যাদি খতে হবে। আমিষের জন্য অন্য কিছু জোগাড় করা না গেলেও নিদেনপক্ষে প্রতিজনের জন্য একটি করে ডিম এবং সঙ্গে এক বাটি ডাল খেতে হবে। একজন মানুষকে প্রতিদিন ৩০০ গ্রাম শাকসবজি খেতে হবে। আয়ের সঙ্গে সংগতি রেখে খাবার খেতে হবে।

আজকের পত্রিকা: রমজানজুড়ে প্রতিবছর দেশে নানান ধরনের খাবারের পসরা দেখা যায়। বাস্তবে এসব খাবার রোজাদারদের জন্য কতটা উপাদেয়?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: এসব খাবার অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেশি মসলাযুক্ত, অতিরিক্ত তেলে ভাজা এবং কৃত্রিম রঙে ভরপুর ও মুখরোচক। এগুলো মোটেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এই খাবারের ফলে অ্যাসিডিটি, বদহজম, ওজন বৃদ্ধিসহ নানান শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই এগুলো বাদ দিয়ে কম মসলাযুক্ত, বেশি আঁশসমৃদ্ধ সুষম খাবার খেতে হবে।
আজকের পত্রিকা: দীর্ঘদিন ধরে এ দেশে সাহরিতে ভাত এবং ইফতারে ভাজাপোড়া খেয়ে আসছেন রোজাদারেরা। এই অভ্যাস কতটা প্রশান্তিদায়ক?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: আমাদের দেশের মানুষ ঐতিহ্য ও আবহাওয়া বিবেচনায় সাহরিতে ভাত খেয়ে থাকে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস যেন না হয়। সাহরিতে আমিষ ও আঁশযুক্ত খাবার, যেমন লাল চাল, লাল আটা, শাক-সবজি, বিচিজাতীয় খাদ্য; যেমন শিমের বিচি, মটরশুঁটি, ডাল খেতে হবে। এ ছাড়া ডিম, দুধ ইত্যাদি খাবারের তালিকায় রাখা ভালো। কারণ আমিষ ও আঁশজাতীয় খাবার ধীরে হজম হয়, ফলে ক্ষুধা অনুভব কম হয় এবং পর্যাপ্ত শক্তি পাওয়া যায়। পক্ষান্তরে ইফতারে ভাজাপোড়া ও তেলজাতীয় খাবার আমাদের দেশের মানুষের ঐতিহ্য। তবে সুস্বাস্থের জন্য অবশ্যই ভাজাপোড়া বাদ দিয়ে সহজপাচ্য, তরল ও আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। তা না হলে দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকার কারণে বেশি মসলাযুক্ত ভাজাপোড়া খাবারে অ্যাসিডিটিসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে।
আজকের পত্রিকা: গরমকাল বিবেচনায় রোজাদারেরা কোন ধরনের খাবার সাহরিতে খেতে পারেন বা খাওয়া উচিত?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: মার্চ-এপ্রিল সময়টা বছরের উষ্ণতম সময়। ফলে প্রচুর ঘাম হয়। এতে শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ ও পানি বের হয়ে যায়। এ কারণে মানুষ সহজে দুর্বল হয়ে পড়ে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য রোজায় পানিশূন্যতা রোধে সহজে হজম হয় এমন শাকসবজি, যেমন লাউ, ঝিঙে, পটোল, চিচিঙ্গা, চালকুমড়া প্রভৃতি অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে। বিরিয়ানি-খিচুড়ি মসলাযুক্ত খাবার হজমে প্রচুর পানি পরিশোষণ হয়; যার কারণে রোজাদার তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়তে পারেন। ফলে এই খাবারগুলো বর্জন করতে হবে। এ ছাড়া সাহরিতে চা ও কফি পান না করাই ভালো। এগুলোতে থাকা ক্যাফেইন তৃষ্ণার সৃষ্টি করে, অ্যাসিডিটি উৎপন্ন করে এবং খাদ্যের পুষ্টি পরিশোষণে বাধা দেয়।
আজকের পত্রিকা: এ সময় ইফতারে কোন ধরনের খাবার রাখা উচিত?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: রোজায় দীর্ঘ বিরতিতে না খেয়ে থাকার ফলে শারীরিক দুর্বলতা ও ক্লান্তি অনুভূত হয়। এ জন্য সহজপাচ্য রসালো ও তরলজাতীয় খাবার দিয়ে ইফতারি শুরু করা উচিত। ঘরে তৈরি তাজা ফলের শরবত, ডাবের পানি, তোকমা, ইসবগুল প্রভৃতি খাওয়া যেতে পারে, যা দেহের পানি ও লবণের (ইলেকট্রোলাইট) ভারসাম্য রক্ষা করতে সহায়তা করবে এবং কোষ্ঠ্যকাঠিন্য প্রতিরোধে কাজ করবে। এ ছাড়া যেকোনো মিষ্টি ফল—যেমন খেজুর, তরমুজ, কলা ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে, যা দেহের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ লবণের চাহিদা পূরণ করতে সহায়তা করবে। পুষ্টিসমৃদ্ধ ও সহজে হজম হয় এমন খাবার ইফতারে রাখা যেতে পারে, যেমন সেদ্ধ ছোলা, দই-চিড়া, সবজিখিচুড়ি, বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং শসা-টমেটোর মিশ্রিত সালাদ প্রভৃতি। এরপর ১০ থেকে ১৫ মিনিটের বিরতি নিয়ে মূল খাবার শুরু করা উচিত।
আজকের পত্রিকা: আজকাল ফলের ওপর মানুষের ভরসা কমে যাচ্ছে। এর সমাধান কী?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: প্রতিদিন একজন মানুষের ১০০ গ্রাম ফল খাওয়া উচিত। এ জন্য জনগণকে ফল খেতে উৎসাহিত করতে হবে। অনেকেরই ধারণা, ফল সতেজ রাখার জন্য তাতে ফরমালিন মেশানো হয়। প্রাকৃতিকভাবেই ফলে ফরমালিন থাকে বিধায় আলাদা করে এর ব্যবহার কোনো প্রকার প্রভাব ফেলে না। তা ছাড়া ফরমালিন একটি উদ্বায়ী পদার্থ, যা সহজেই বাতাসে মিশে যায়। দীর্ঘ সময় ফল সতেজ রাখার জন্য অথবা পাকানোর জন্য অনুমোদিত ফুড গ্রেডের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার আশায় অননুমোদিত রাসায়নিক ব্যাবহার করে থাকেন, যা স্বাস্থ্যে জন্য ক্ষতিকর। এটি রোধের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশীয় কিছু ফল, যেমন—কলা, পেয়ারা ইত্যাদি সারা বছর পাওয়া যায় এবং এগুলো দামেও সস্তা। এই ফলগুলো নিশ্চিন্তে খাওয়া যায়। অন্যান্য দেশীয় মৌসুমি ফল ভরা মৌসুমে নিশ্চিন্তে খাওয়া যায়। মৌসুমের শুরুতে অথবা অসময়ে ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে।
আজকের পত্রিকা: ইফতারে কোন পানীয় গ্রহণযোগ্য আর কোন পানীয় বর্জনীয়?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: স্বাভাবিক অবস্থায় একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে ৭ থেকে ১৪ গ্লাস নিরাপদ পানি পান করা উচিত। ভালো পানীয় হচ্ছে আমরা সাধারণত সব সময় যে পানি পান করি। ইফতারে পানি পানের সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন—সারা দিন রোজা রাখার পর খালি পেটে একসঙ্গে অনেক পানি বা শরবত পান করা উচিত নয়। একটু ধীরে ধীরে, সময় নিয়ে পানি পান করা ভালো। এ ছাড়া সাধারণ পানির বাইরে উপকারী পানীয় হলো ইসপগুল, তোকমা, চিয়া সিড ইত্যাদি দিয়ে তৈরি শরবত, টক দইয়ের শরবত, মাঠা, লেবু, ডাবের পানি, তাজা ফলের রস ইত্যাদি। কারণ, এ ধরনের শরবত সারা দিনের পানির চাহিদা পূরণ করে। একই সঙ্গে ভিটামিন আর মিনারেলেরও জোগান দেয়। ফলে আমরা খুব সহজেই সতেজ বোধ করি।
বর্জনীয় হিসেবে সব ধরনের কোমল বা সোডা পানীয় ও প্রক্রিয়াজাত শরবত, জুস ইত্যাদি। সোডাজাতীয় পানীয় আমাদের খুব দ্রুত পানিশূন্য করে তোলে। এ ছাড়া বাসায় তৈরি শরবত বা ফলের জুসে অতিরিক্ত চিনি ব্যবহার না করা ভালো। আবার অনেকে ইফতারের সময় ফ্রিজে পানি রেখে ঠান্ডা করে খেতে পছন্দ করেন। এ বিষয়েও সাবধান থাকতে হবে। কারণ, এখন প্রচুর গরম, এর মধ্যে হুট করে বেশি ঠান্ডা পানি খেলে শরীরে অনেক সময় বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। মনে রাখতে হবে, সারা দিন রোজা রাখার পর শরীরে যে পানিশূন্যতা তৈরি হয়, সেটি পূরণ করতে ইফতারের পর থেকে সাহরির আগ পর্যন্ত ৭ থেকে ১৪ গ্লাস পানি পান করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: রোজা এলেই অনেকের অ্যাসিডিটি বেড়ে যায়। এর পেছনে আসলে কোন খাবার দায়ী, নাকি অন্য কোনো সমস্যা?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: সাধারণত অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকলে এবং সাহরিতে বেশি মসলাযুক্ত খাবার খেলে অ্যাসিডিটি বেড়ে যায়। এ ছাড়া চা ও কফি পান, দুশ্চিতা, ধূমপান এবং অনিদ্রার কারণেও অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম ও শারীরিক সক্রিয়তা এ ক্ষেত্রে কার্যকর প্রতিরোধব্যবস্থা হিসেবে কাজ করতে পারে।
আজকের পত্রিকা: কর্মজীবী নারী ও পুরুষের জন্য কোন ধরনের খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেবেন?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: কর্মজীবী নারী ও পুরুষকে কর্মের তাগিদে প্রতিদিনই বাইরে যেতে হয়। সে জন্য তাঁদের বেশি ক্যালরি খরচ হয় এবং শরীরে প্রচুর শক্তি ক্ষয় হয়। তাই কর্মজীবীদের উচ্চ ক্যালরি, আমিষ ও আঁশযুক্ত এবং সহজপাচ্য সুষম খাবার সাহরি ও ইফতারের সময় খেতে হবে। বিভিন্ন ধরনের শরবত, সামর্থ্য অনুয়ায়ী দেশীয় ফল, পাতলা সবজিখিচুড়ি, ছোলা-মুড়ি, ডিম, দুধ কিংবা দুধজাত খাবার, বিভিন্ন ধলনের শাক, বিচি জাতীয়শস্য, ছোট-বড় মাছ, মাংস, ডিম, ডাল ইত্যাদি খতে হবে। আমিষের জন্য অন্য কিছু জোগাড় করা না গেলেও নিদেনপক্ষে প্রতিজনের জন্য একটি করে ডিম এবং সঙ্গে এক বাটি ডাল খেতে হবে। একজন মানুষকে প্রতিদিন ৩০০ গ্রাম শাকসবজি খেতে হবে। আয়ের সঙ্গে সংগতি রেখে খাবার খেতে হবে।
সাবিত আল হোসেন

আজকের পত্রিকা: রমজানজুড়ে প্রতিবছর দেশে নানান ধরনের খাবারের পসরা দেখা যায়। বাস্তবে এসব খাবার রোজাদারদের জন্য কতটা উপাদেয়?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: এসব খাবার অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেশি মসলাযুক্ত, অতিরিক্ত তেলে ভাজা এবং কৃত্রিম রঙে ভরপুর ও মুখরোচক। এগুলো মোটেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এই খাবারের ফলে অ্যাসিডিটি, বদহজম, ওজন বৃদ্ধিসহ নানান শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই এগুলো বাদ দিয়ে কম মসলাযুক্ত, বেশি আঁশসমৃদ্ধ সুষম খাবার খেতে হবে।
আজকের পত্রিকা: দীর্ঘদিন ধরে এ দেশে সাহরিতে ভাত এবং ইফতারে ভাজাপোড়া খেয়ে আসছেন রোজাদারেরা। এই অভ্যাস কতটা প্রশান্তিদায়ক?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: আমাদের দেশের মানুষ ঐতিহ্য ও আবহাওয়া বিবেচনায় সাহরিতে ভাত খেয়ে থাকে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস যেন না হয়। সাহরিতে আমিষ ও আঁশযুক্ত খাবার, যেমন লাল চাল, লাল আটা, শাক-সবজি, বিচিজাতীয় খাদ্য; যেমন শিমের বিচি, মটরশুঁটি, ডাল খেতে হবে। এ ছাড়া ডিম, দুধ ইত্যাদি খাবারের তালিকায় রাখা ভালো। কারণ আমিষ ও আঁশজাতীয় খাবার ধীরে হজম হয়, ফলে ক্ষুধা অনুভব কম হয় এবং পর্যাপ্ত শক্তি পাওয়া যায়। পক্ষান্তরে ইফতারে ভাজাপোড়া ও তেলজাতীয় খাবার আমাদের দেশের মানুষের ঐতিহ্য। তবে সুস্বাস্থের জন্য অবশ্যই ভাজাপোড়া বাদ দিয়ে সহজপাচ্য, তরল ও আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। তা না হলে দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকার কারণে বেশি মসলাযুক্ত ভাজাপোড়া খাবারে অ্যাসিডিটিসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে।
আজকের পত্রিকা: গরমকাল বিবেচনায় রোজাদারেরা কোন ধরনের খাবার সাহরিতে খেতে পারেন বা খাওয়া উচিত?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: মার্চ-এপ্রিল সময়টা বছরের উষ্ণতম সময়। ফলে প্রচুর ঘাম হয়। এতে শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ ও পানি বের হয়ে যায়। এ কারণে মানুষ সহজে দুর্বল হয়ে পড়ে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য রোজায় পানিশূন্যতা রোধে সহজে হজম হয় এমন শাকসবজি, যেমন লাউ, ঝিঙে, পটোল, চিচিঙ্গা, চালকুমড়া প্রভৃতি অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে। বিরিয়ানি-খিচুড়ি মসলাযুক্ত খাবার হজমে প্রচুর পানি পরিশোষণ হয়; যার কারণে রোজাদার তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়তে পারেন। ফলে এই খাবারগুলো বর্জন করতে হবে। এ ছাড়া সাহরিতে চা ও কফি পান না করাই ভালো। এগুলোতে থাকা ক্যাফেইন তৃষ্ণার সৃষ্টি করে, অ্যাসিডিটি উৎপন্ন করে এবং খাদ্যের পুষ্টি পরিশোষণে বাধা দেয়।
আজকের পত্রিকা: এ সময় ইফতারে কোন ধরনের খাবার রাখা উচিত?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: রোজায় দীর্ঘ বিরতিতে না খেয়ে থাকার ফলে শারীরিক দুর্বলতা ও ক্লান্তি অনুভূত হয়। এ জন্য সহজপাচ্য রসালো ও তরলজাতীয় খাবার দিয়ে ইফতারি শুরু করা উচিত। ঘরে তৈরি তাজা ফলের শরবত, ডাবের পানি, তোকমা, ইসবগুল প্রভৃতি খাওয়া যেতে পারে, যা দেহের পানি ও লবণের (ইলেকট্রোলাইট) ভারসাম্য রক্ষা করতে সহায়তা করবে এবং কোষ্ঠ্যকাঠিন্য প্রতিরোধে কাজ করবে। এ ছাড়া যেকোনো মিষ্টি ফল—যেমন খেজুর, তরমুজ, কলা ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে, যা দেহের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ লবণের চাহিদা পূরণ করতে সহায়তা করবে। পুষ্টিসমৃদ্ধ ও সহজে হজম হয় এমন খাবার ইফতারে রাখা যেতে পারে, যেমন সেদ্ধ ছোলা, দই-চিড়া, সবজিখিচুড়ি, বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং শসা-টমেটোর মিশ্রিত সালাদ প্রভৃতি। এরপর ১০ থেকে ১৫ মিনিটের বিরতি নিয়ে মূল খাবার শুরু করা উচিত।
আজকের পত্রিকা: আজকাল ফলের ওপর মানুষের ভরসা কমে যাচ্ছে। এর সমাধান কী?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: প্রতিদিন একজন মানুষের ১০০ গ্রাম ফল খাওয়া উচিত। এ জন্য জনগণকে ফল খেতে উৎসাহিত করতে হবে। অনেকেরই ধারণা, ফল সতেজ রাখার জন্য তাতে ফরমালিন মেশানো হয়। প্রাকৃতিকভাবেই ফলে ফরমালিন থাকে বিধায় আলাদা করে এর ব্যবহার কোনো প্রকার প্রভাব ফেলে না। তা ছাড়া ফরমালিন একটি উদ্বায়ী পদার্থ, যা সহজেই বাতাসে মিশে যায়। দীর্ঘ সময় ফল সতেজ রাখার জন্য অথবা পাকানোর জন্য অনুমোদিত ফুড গ্রেডের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার আশায় অননুমোদিত রাসায়নিক ব্যাবহার করে থাকেন, যা স্বাস্থ্যে জন্য ক্ষতিকর। এটি রোধের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশীয় কিছু ফল, যেমন—কলা, পেয়ারা ইত্যাদি সারা বছর পাওয়া যায় এবং এগুলো দামেও সস্তা। এই ফলগুলো নিশ্চিন্তে খাওয়া যায়। অন্যান্য দেশীয় মৌসুমি ফল ভরা মৌসুমে নিশ্চিন্তে খাওয়া যায়। মৌসুমের শুরুতে অথবা অসময়ে ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে।
আজকের পত্রিকা: ইফতারে কোন পানীয় গ্রহণযোগ্য আর কোন পানীয় বর্জনীয়?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: স্বাভাবিক অবস্থায় একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে ৭ থেকে ১৪ গ্লাস নিরাপদ পানি পান করা উচিত। ভালো পানীয় হচ্ছে আমরা সাধারণত সব সময় যে পানি পান করি। ইফতারে পানি পানের সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন—সারা দিন রোজা রাখার পর খালি পেটে একসঙ্গে অনেক পানি বা শরবত পান করা উচিত নয়। একটু ধীরে ধীরে, সময় নিয়ে পানি পান করা ভালো। এ ছাড়া সাধারণ পানির বাইরে উপকারী পানীয় হলো ইসপগুল, তোকমা, চিয়া সিড ইত্যাদি দিয়ে তৈরি শরবত, টক দইয়ের শরবত, মাঠা, লেবু, ডাবের পানি, তাজা ফলের রস ইত্যাদি। কারণ, এ ধরনের শরবত সারা দিনের পানির চাহিদা পূরণ করে। একই সঙ্গে ভিটামিন আর মিনারেলেরও জোগান দেয়। ফলে আমরা খুব সহজেই সতেজ বোধ করি।
বর্জনীয় হিসেবে সব ধরনের কোমল বা সোডা পানীয় ও প্রক্রিয়াজাত শরবত, জুস ইত্যাদি। সোডাজাতীয় পানীয় আমাদের খুব দ্রুত পানিশূন্য করে তোলে। এ ছাড়া বাসায় তৈরি শরবত বা ফলের জুসে অতিরিক্ত চিনি ব্যবহার না করা ভালো। আবার অনেকে ইফতারের সময় ফ্রিজে পানি রেখে ঠান্ডা করে খেতে পছন্দ করেন। এ বিষয়েও সাবধান থাকতে হবে। কারণ, এখন প্রচুর গরম, এর মধ্যে হুট করে বেশি ঠান্ডা পানি খেলে শরীরে অনেক সময় বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। মনে রাখতে হবে, সারা দিন রোজা রাখার পর শরীরে যে পানিশূন্যতা তৈরি হয়, সেটি পূরণ করতে ইফতারের পর থেকে সাহরির আগ পর্যন্ত ৭ থেকে ১৪ গ্লাস পানি পান করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: রোজা এলেই অনেকের অ্যাসিডিটি বেড়ে যায়। এর পেছনে আসলে কোন খাবার দায়ী, নাকি অন্য কোনো সমস্যা?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: সাধারণত অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকলে এবং সাহরিতে বেশি মসলাযুক্ত খাবার খেলে অ্যাসিডিটি বেড়ে যায়। এ ছাড়া চা ও কফি পান, দুশ্চিতা, ধূমপান এবং অনিদ্রার কারণেও অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম ও শারীরিক সক্রিয়তা এ ক্ষেত্রে কার্যকর প্রতিরোধব্যবস্থা হিসেবে কাজ করতে পারে।
আজকের পত্রিকা: কর্মজীবী নারী ও পুরুষের জন্য কোন ধরনের খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেবেন?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: কর্মজীবী নারী ও পুরুষকে কর্মের তাগিদে প্রতিদিনই বাইরে যেতে হয়। সে জন্য তাঁদের বেশি ক্যালরি খরচ হয় এবং শরীরে প্রচুর শক্তি ক্ষয় হয়। তাই কর্মজীবীদের উচ্চ ক্যালরি, আমিষ ও আঁশযুক্ত এবং সহজপাচ্য সুষম খাবার সাহরি ও ইফতারের সময় খেতে হবে। বিভিন্ন ধরনের শরবত, সামর্থ্য অনুয়ায়ী দেশীয় ফল, পাতলা সবজিখিচুড়ি, ছোলা-মুড়ি, ডিম, দুধ কিংবা দুধজাত খাবার, বিভিন্ন ধলনের শাক, বিচি জাতীয়শস্য, ছোট-বড় মাছ, মাংস, ডিম, ডাল ইত্যাদি খতে হবে। আমিষের জন্য অন্য কিছু জোগাড় করা না গেলেও নিদেনপক্ষে প্রতিজনের জন্য একটি করে ডিম এবং সঙ্গে এক বাটি ডাল খেতে হবে। একজন মানুষকে প্রতিদিন ৩০০ গ্রাম শাকসবজি খেতে হবে। আয়ের সঙ্গে সংগতি রেখে খাবার খেতে হবে।

আজকের পত্রিকা: রমজানজুড়ে প্রতিবছর দেশে নানান ধরনের খাবারের পসরা দেখা যায়। বাস্তবে এসব খাবার রোজাদারদের জন্য কতটা উপাদেয়?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: এসব খাবার অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেশি মসলাযুক্ত, অতিরিক্ত তেলে ভাজা এবং কৃত্রিম রঙে ভরপুর ও মুখরোচক। এগুলো মোটেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এই খাবারের ফলে অ্যাসিডিটি, বদহজম, ওজন বৃদ্ধিসহ নানান শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই এগুলো বাদ দিয়ে কম মসলাযুক্ত, বেশি আঁশসমৃদ্ধ সুষম খাবার খেতে হবে।
আজকের পত্রিকা: দীর্ঘদিন ধরে এ দেশে সাহরিতে ভাত এবং ইফতারে ভাজাপোড়া খেয়ে আসছেন রোজাদারেরা। এই অভ্যাস কতটা প্রশান্তিদায়ক?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: আমাদের দেশের মানুষ ঐতিহ্য ও আবহাওয়া বিবেচনায় সাহরিতে ভাত খেয়ে থাকে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস যেন না হয়। সাহরিতে আমিষ ও আঁশযুক্ত খাবার, যেমন লাল চাল, লাল আটা, শাক-সবজি, বিচিজাতীয় খাদ্য; যেমন শিমের বিচি, মটরশুঁটি, ডাল খেতে হবে। এ ছাড়া ডিম, দুধ ইত্যাদি খাবারের তালিকায় রাখা ভালো। কারণ আমিষ ও আঁশজাতীয় খাবার ধীরে হজম হয়, ফলে ক্ষুধা অনুভব কম হয় এবং পর্যাপ্ত শক্তি পাওয়া যায়। পক্ষান্তরে ইফতারে ভাজাপোড়া ও তেলজাতীয় খাবার আমাদের দেশের মানুষের ঐতিহ্য। তবে সুস্বাস্থের জন্য অবশ্যই ভাজাপোড়া বাদ দিয়ে সহজপাচ্য, তরল ও আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। তা না হলে দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকার কারণে বেশি মসলাযুক্ত ভাজাপোড়া খাবারে অ্যাসিডিটিসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে।
আজকের পত্রিকা: গরমকাল বিবেচনায় রোজাদারেরা কোন ধরনের খাবার সাহরিতে খেতে পারেন বা খাওয়া উচিত?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: মার্চ-এপ্রিল সময়টা বছরের উষ্ণতম সময়। ফলে প্রচুর ঘাম হয়। এতে শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ ও পানি বের হয়ে যায়। এ কারণে মানুষ সহজে দুর্বল হয়ে পড়ে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য রোজায় পানিশূন্যতা রোধে সহজে হজম হয় এমন শাকসবজি, যেমন লাউ, ঝিঙে, পটোল, চিচিঙ্গা, চালকুমড়া প্রভৃতি অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে। বিরিয়ানি-খিচুড়ি মসলাযুক্ত খাবার হজমে প্রচুর পানি পরিশোষণ হয়; যার কারণে রোজাদার তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়তে পারেন। ফলে এই খাবারগুলো বর্জন করতে হবে। এ ছাড়া সাহরিতে চা ও কফি পান না করাই ভালো। এগুলোতে থাকা ক্যাফেইন তৃষ্ণার সৃষ্টি করে, অ্যাসিডিটি উৎপন্ন করে এবং খাদ্যের পুষ্টি পরিশোষণে বাধা দেয়।
আজকের পত্রিকা: এ সময় ইফতারে কোন ধরনের খাবার রাখা উচিত?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: রোজায় দীর্ঘ বিরতিতে না খেয়ে থাকার ফলে শারীরিক দুর্বলতা ও ক্লান্তি অনুভূত হয়। এ জন্য সহজপাচ্য রসালো ও তরলজাতীয় খাবার দিয়ে ইফতারি শুরু করা উচিত। ঘরে তৈরি তাজা ফলের শরবত, ডাবের পানি, তোকমা, ইসবগুল প্রভৃতি খাওয়া যেতে পারে, যা দেহের পানি ও লবণের (ইলেকট্রোলাইট) ভারসাম্য রক্ষা করতে সহায়তা করবে এবং কোষ্ঠ্যকাঠিন্য প্রতিরোধে কাজ করবে। এ ছাড়া যেকোনো মিষ্টি ফল—যেমন খেজুর, তরমুজ, কলা ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে, যা দেহের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ লবণের চাহিদা পূরণ করতে সহায়তা করবে। পুষ্টিসমৃদ্ধ ও সহজে হজম হয় এমন খাবার ইফতারে রাখা যেতে পারে, যেমন সেদ্ধ ছোলা, দই-চিড়া, সবজিখিচুড়ি, বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং শসা-টমেটোর মিশ্রিত সালাদ প্রভৃতি। এরপর ১০ থেকে ১৫ মিনিটের বিরতি নিয়ে মূল খাবার শুরু করা উচিত।
আজকের পত্রিকা: আজকাল ফলের ওপর মানুষের ভরসা কমে যাচ্ছে। এর সমাধান কী?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: প্রতিদিন একজন মানুষের ১০০ গ্রাম ফল খাওয়া উচিত। এ জন্য জনগণকে ফল খেতে উৎসাহিত করতে হবে। অনেকেরই ধারণা, ফল সতেজ রাখার জন্য তাতে ফরমালিন মেশানো হয়। প্রাকৃতিকভাবেই ফলে ফরমালিন থাকে বিধায় আলাদা করে এর ব্যবহার কোনো প্রকার প্রভাব ফেলে না। তা ছাড়া ফরমালিন একটি উদ্বায়ী পদার্থ, যা সহজেই বাতাসে মিশে যায়। দীর্ঘ সময় ফল সতেজ রাখার জন্য অথবা পাকানোর জন্য অনুমোদিত ফুড গ্রেডের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার আশায় অননুমোদিত রাসায়নিক ব্যাবহার করে থাকেন, যা স্বাস্থ্যে জন্য ক্ষতিকর। এটি রোধের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশীয় কিছু ফল, যেমন—কলা, পেয়ারা ইত্যাদি সারা বছর পাওয়া যায় এবং এগুলো দামেও সস্তা। এই ফলগুলো নিশ্চিন্তে খাওয়া যায়। অন্যান্য দেশীয় মৌসুমি ফল ভরা মৌসুমে নিশ্চিন্তে খাওয়া যায়। মৌসুমের শুরুতে অথবা অসময়ে ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে।
আজকের পত্রিকা: ইফতারে কোন পানীয় গ্রহণযোগ্য আর কোন পানীয় বর্জনীয়?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: স্বাভাবিক অবস্থায় একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে ৭ থেকে ১৪ গ্লাস নিরাপদ পানি পান করা উচিত। ভালো পানীয় হচ্ছে আমরা সাধারণত সব সময় যে পানি পান করি। ইফতারে পানি পানের সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন—সারা দিন রোজা রাখার পর খালি পেটে একসঙ্গে অনেক পানি বা শরবত পান করা উচিত নয়। একটু ধীরে ধীরে, সময় নিয়ে পানি পান করা ভালো। এ ছাড়া সাধারণ পানির বাইরে উপকারী পানীয় হলো ইসপগুল, তোকমা, চিয়া সিড ইত্যাদি দিয়ে তৈরি শরবত, টক দইয়ের শরবত, মাঠা, লেবু, ডাবের পানি, তাজা ফলের রস ইত্যাদি। কারণ, এ ধরনের শরবত সারা দিনের পানির চাহিদা পূরণ করে। একই সঙ্গে ভিটামিন আর মিনারেলেরও জোগান দেয়। ফলে আমরা খুব সহজেই সতেজ বোধ করি।
বর্জনীয় হিসেবে সব ধরনের কোমল বা সোডা পানীয় ও প্রক্রিয়াজাত শরবত, জুস ইত্যাদি। সোডাজাতীয় পানীয় আমাদের খুব দ্রুত পানিশূন্য করে তোলে। এ ছাড়া বাসায় তৈরি শরবত বা ফলের জুসে অতিরিক্ত চিনি ব্যবহার না করা ভালো। আবার অনেকে ইফতারের সময় ফ্রিজে পানি রেখে ঠান্ডা করে খেতে পছন্দ করেন। এ বিষয়েও সাবধান থাকতে হবে। কারণ, এখন প্রচুর গরম, এর মধ্যে হুট করে বেশি ঠান্ডা পানি খেলে শরীরে অনেক সময় বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। মনে রাখতে হবে, সারা দিন রোজা রাখার পর শরীরে যে পানিশূন্যতা তৈরি হয়, সেটি পূরণ করতে ইফতারের পর থেকে সাহরির আগ পর্যন্ত ৭ থেকে ১৪ গ্লাস পানি পান করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: রোজা এলেই অনেকের অ্যাসিডিটি বেড়ে যায়। এর পেছনে আসলে কোন খাবার দায়ী, নাকি অন্য কোনো সমস্যা?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: সাধারণত অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকলে এবং সাহরিতে বেশি মসলাযুক্ত খাবার খেলে অ্যাসিডিটি বেড়ে যায়। এ ছাড়া চা ও কফি পান, দুশ্চিতা, ধূমপান এবং অনিদ্রার কারণেও অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম ও শারীরিক সক্রিয়তা এ ক্ষেত্রে কার্যকর প্রতিরোধব্যবস্থা হিসেবে কাজ করতে পারে।
আজকের পত্রিকা: কর্মজীবী নারী ও পুরুষের জন্য কোন ধরনের খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেবেন?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: কর্মজীবী নারী ও পুরুষকে কর্মের তাগিদে প্রতিদিনই বাইরে যেতে হয়। সে জন্য তাঁদের বেশি ক্যালরি খরচ হয় এবং শরীরে প্রচুর শক্তি ক্ষয় হয়। তাই কর্মজীবীদের উচ্চ ক্যালরি, আমিষ ও আঁশযুক্ত এবং সহজপাচ্য সুষম খাবার সাহরি ও ইফতারের সময় খেতে হবে। বিভিন্ন ধরনের শরবত, সামর্থ্য অনুয়ায়ী দেশীয় ফল, পাতলা সবজিখিচুড়ি, ছোলা-মুড়ি, ডিম, দুধ কিংবা দুধজাত খাবার, বিভিন্ন ধলনের শাক, বিচি জাতীয়শস্য, ছোট-বড় মাছ, মাংস, ডিম, ডাল ইত্যাদি খতে হবে। আমিষের জন্য অন্য কিছু জোগাড় করা না গেলেও নিদেনপক্ষে প্রতিজনের জন্য একটি করে ডিম এবং সঙ্গে এক বাটি ডাল খেতে হবে। একজন মানুষকে প্রতিদিন ৩০০ গ্রাম শাকসবজি খেতে হবে। আয়ের সঙ্গে সংগতি রেখে খাবার খেতে হবে।

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
১৩ ঘণ্টা আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
১৪ ঘণ্টা আগে
মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে...
১৪ ঘণ্টা আগেডা. পূজা সাহা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

আজকের পত্রিকা: রমজানজুড়ে প্রতিবছর দেশে নানান ধরনের খাবারের পসরা দেখা যায়। বাস্তবে এসব খাবার রোজাদারদের জন্য কতটা উপাদেয়? মো. আব্দুল ওয়াদুদ: এসব খাবার অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেশি মসলাযুক্ত, অতিরিক্ত তেলে ভাজা এবং কৃত্রিম রঙে ভরপুর ও মুখরোচক। এগুলো মোটেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এই খাবারের ফলে অ্যাসিডিটি, বদহজম,
০৮ এপ্রিল ২০২৩
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
১৪ ঘণ্টা আগে
মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে...
১৪ ঘণ্টা আগেডা. মো. নূর আলম

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

আজকের পত্রিকা: রমজানজুড়ে প্রতিবছর দেশে নানান ধরনের খাবারের পসরা দেখা যায়। বাস্তবে এসব খাবার রোজাদারদের জন্য কতটা উপাদেয়? মো. আব্দুল ওয়াদুদ: এসব খাবার অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেশি মসলাযুক্ত, অতিরিক্ত তেলে ভাজা এবং কৃত্রিম রঙে ভরপুর ও মুখরোচক। এগুলো মোটেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এই খাবারের ফলে অ্যাসিডিটি, বদহজম,
০৮ এপ্রিল ২০২৩
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
১৩ ঘণ্টা আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
১৪ ঘণ্টা আগে
মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে...
১৪ ঘণ্টা আগেডা. মো. মাজহারুল হক তানিম

পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
কখন বলবেন বেশি রক্ত যাচ্ছে
পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হলে তাকে বলা হয় ম্যানোরেজিয়া। এর সাধারণ লক্ষণগুলো হলো
সাত দিনের বেশি সময় ধরে রক্তপাত হলে, সংখ্যায় বেশি প্যাড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে এবং ব্লিডিংয়ের সঙ্গে চাকা চাকা রক্তপাত হলে।
কেন বেশি ব্লিডিং হতে পারে
করণীয়
হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের ক্ষেত্রে, রক্তপ্রবাহ এবং পেটের খিঁচুনি আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করে। যদি অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের কারণে পিরিয়ডকে ভয় পান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। এর অনেক চিকিৎসা রয়েছে, যা সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর দরকার হয়। যেমন হরমোনের সমস্যা আছে কি না বা প্লিসটিক ওভারেসি সিনড্রোম আছে কি না অথবা থাইরো হরমোনের সমস্যা আছে কি না। আলট্রাসনো করেও অনেক সময় দেখা হয়, জরায়ুতে কোনো টিউমার আছে কি না। ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে, যাদের হরমনাল ইমব্যালেন্স থাকে, তাদের ক্ষেত্রে হরমোন ব্যালেন্স করার জন্য প্রজেস্টেরন-জাতীয় হরমোন দিয়ে থাকি। আবার থাইরো হরমোনের তারতম্য থাকলে থাইরো হরমোনের রিপ্লেসমেন্ট বা যে কারণে হচ্ছে, সেটার ওষুধ দিয়ে থাকি। টিউমার থাকলে অনেক সময় অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এই অপারেশন সব সময় যে দরকার হয় এমন নয়; বা অতিরিক্ত ব্লিডিং হলেই যে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে হবে, তা কিন্তু নয়।
লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
কখন বলবেন বেশি রক্ত যাচ্ছে
পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হলে তাকে বলা হয় ম্যানোরেজিয়া। এর সাধারণ লক্ষণগুলো হলো
সাত দিনের বেশি সময় ধরে রক্তপাত হলে, সংখ্যায় বেশি প্যাড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে এবং ব্লিডিংয়ের সঙ্গে চাকা চাকা রক্তপাত হলে।
কেন বেশি ব্লিডিং হতে পারে
করণীয়
হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের ক্ষেত্রে, রক্তপ্রবাহ এবং পেটের খিঁচুনি আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করে। যদি অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের কারণে পিরিয়ডকে ভয় পান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। এর অনেক চিকিৎসা রয়েছে, যা সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর দরকার হয়। যেমন হরমোনের সমস্যা আছে কি না বা প্লিসটিক ওভারেসি সিনড্রোম আছে কি না অথবা থাইরো হরমোনের সমস্যা আছে কি না। আলট্রাসনো করেও অনেক সময় দেখা হয়, জরায়ুতে কোনো টিউমার আছে কি না। ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে, যাদের হরমনাল ইমব্যালেন্স থাকে, তাদের ক্ষেত্রে হরমোন ব্যালেন্স করার জন্য প্রজেস্টেরন-জাতীয় হরমোন দিয়ে থাকি। আবার থাইরো হরমোনের তারতম্য থাকলে থাইরো হরমোনের রিপ্লেসমেন্ট বা যে কারণে হচ্ছে, সেটার ওষুধ দিয়ে থাকি। টিউমার থাকলে অনেক সময় অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এই অপারেশন সব সময় যে দরকার হয় এমন নয়; বা অতিরিক্ত ব্লিডিং হলেই যে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে হবে, তা কিন্তু নয়।
লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

আজকের পত্রিকা: রমজানজুড়ে প্রতিবছর দেশে নানান ধরনের খাবারের পসরা দেখা যায়। বাস্তবে এসব খাবার রোজাদারদের জন্য কতটা উপাদেয়? মো. আব্দুল ওয়াদুদ: এসব খাবার অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেশি মসলাযুক্ত, অতিরিক্ত তেলে ভাজা এবং কৃত্রিম রঙে ভরপুর ও মুখরোচক। এগুলো মোটেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এই খাবারের ফলে অ্যাসিডিটি, বদহজম,
০৮ এপ্রিল ২০২৩
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
১৩ ঘণ্টা আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে...
১৪ ঘণ্টা আগেনাহিদা আহমেদ

মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে, তিনি প্রতিদিন ৬০ গ্রামের মতো প্রোটিন গ্রহণ করতে পারবেন। কিডনির সমস্যাসহ বিশেষ কিছু রোগের ক্ষেত্রে আবার পরিমাণ কমাতে হবে। আবার মেয়েদের মাসিকের সময় এবং গর্ভকালে এই প্রোটিনের চাহিদা প্রায় দ্বিগুণ হারে বেড়ে থাকে।
অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে শরীরে যেসব সমস্যা হতে পারে—
নিশ্বাসে দুর্গন্ধ
মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণের ফলে নিশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে। অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে শরীর কিটোসিস নামক একটি বিপাকীয় অবস্থায় চলে যায়। এই অবস্থায় বিভিন্ন রাসায়নিক তৈরি হয় বলে শরীরে অপ্রীতিকর গন্ধ তৈরি হয়।
কিডনি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে প্রোটিন ভেঙে অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি হয়।
এ থেকে তৈরি হয় নাইট্রোজেন বা বর্জ্য পদার্থ। যেসব রোগীর কিডনির বিভিন্ন জটিলতা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে দুর্বল কিডনি শরীর থেকে অতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনের জন্য আরও বেশি শক্তি ক্ষয় করে। এর ফলে কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
পানিশূন্যতা সৃষ্টি হতে পারে
অতিরিক্ত নাইট্রোজেন বের করার জন্য শরীরে বিভিন্ন তরল ও পানির নিষ্কাশন বেড়ে যায়। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তৃষ্ণার্ত না করেও এটি আপনাকে পানিশূন্য করে দিতে পারে।
ডায়রিয়া হতে পারে
অত্যধিক দুগ্ধজাত অথবা প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার ফলে আঁশের অভাব দেখা দিতে পারে। এতে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি বিশেষভাবে সত্য হবে, যদি আপনার দুধজাতীয় খাবার খাওয়ায় সমস্যা থাকে কিংবা ভাজা মাংস, মাছ এবং হাঁস-মুরগির মতো উৎস থেকে প্রোটিন গ্রহণ করেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে
অনেকে শর্করা কমিয়ে দিয়ে প্রোটিন গ্রহণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। তাঁদের ক্ষেত্রে শরীরে আঁশের ঘাটতি হয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘ সময় প্রতিদিন একটানা ১০০ গ্রামের বেশি লাল মাংস খেলে হৃদ্রোগের আশঙ্কা, ব্রেইন স্ট্রোকের ঝুঁকি, বৃহদন্ত্র ও প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ছাড়া বেশি প্রোটিন গ্রহণ ফুসফুসের নানা রোগে আক্রান্ত হওয়া, কোলন ও স্তন ক্যানসারে ভূমিকা রাখে। এমনকি অতিরিক্ত লাল মাংস গ্রহণে আর্থ্রাইটিস, গাউট, পেপটিক আলসার, পিত্তথলিতে পাথর, প্যানক্রিয়াস প্রদাহ, কিডনি রোগসহ বিভিন্ন জটিলতা তৈরি করে।
লেখক: পুষ্টিবিদ, ফরাজি হসপিটাল, বারিধারা

মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে, তিনি প্রতিদিন ৬০ গ্রামের মতো প্রোটিন গ্রহণ করতে পারবেন। কিডনির সমস্যাসহ বিশেষ কিছু রোগের ক্ষেত্রে আবার পরিমাণ কমাতে হবে। আবার মেয়েদের মাসিকের সময় এবং গর্ভকালে এই প্রোটিনের চাহিদা প্রায় দ্বিগুণ হারে বেড়ে থাকে।
অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে শরীরে যেসব সমস্যা হতে পারে—
নিশ্বাসে দুর্গন্ধ
মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণের ফলে নিশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে। অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে শরীর কিটোসিস নামক একটি বিপাকীয় অবস্থায় চলে যায়। এই অবস্থায় বিভিন্ন রাসায়নিক তৈরি হয় বলে শরীরে অপ্রীতিকর গন্ধ তৈরি হয়।
কিডনি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে প্রোটিন ভেঙে অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি হয়।
এ থেকে তৈরি হয় নাইট্রোজেন বা বর্জ্য পদার্থ। যেসব রোগীর কিডনির বিভিন্ন জটিলতা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে দুর্বল কিডনি শরীর থেকে অতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনের জন্য আরও বেশি শক্তি ক্ষয় করে। এর ফলে কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
পানিশূন্যতা সৃষ্টি হতে পারে
অতিরিক্ত নাইট্রোজেন বের করার জন্য শরীরে বিভিন্ন তরল ও পানির নিষ্কাশন বেড়ে যায়। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তৃষ্ণার্ত না করেও এটি আপনাকে পানিশূন্য করে দিতে পারে।
ডায়রিয়া হতে পারে
অত্যধিক দুগ্ধজাত অথবা প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার ফলে আঁশের অভাব দেখা দিতে পারে। এতে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি বিশেষভাবে সত্য হবে, যদি আপনার দুধজাতীয় খাবার খাওয়ায় সমস্যা থাকে কিংবা ভাজা মাংস, মাছ এবং হাঁস-মুরগির মতো উৎস থেকে প্রোটিন গ্রহণ করেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে
অনেকে শর্করা কমিয়ে দিয়ে প্রোটিন গ্রহণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। তাঁদের ক্ষেত্রে শরীরে আঁশের ঘাটতি হয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘ সময় প্রতিদিন একটানা ১০০ গ্রামের বেশি লাল মাংস খেলে হৃদ্রোগের আশঙ্কা, ব্রেইন স্ট্রোকের ঝুঁকি, বৃহদন্ত্র ও প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ছাড়া বেশি প্রোটিন গ্রহণ ফুসফুসের নানা রোগে আক্রান্ত হওয়া, কোলন ও স্তন ক্যানসারে ভূমিকা রাখে। এমনকি অতিরিক্ত লাল মাংস গ্রহণে আর্থ্রাইটিস, গাউট, পেপটিক আলসার, পিত্তথলিতে পাথর, প্যানক্রিয়াস প্রদাহ, কিডনি রোগসহ বিভিন্ন জটিলতা তৈরি করে।
লেখক: পুষ্টিবিদ, ফরাজি হসপিটাল, বারিধারা

আজকের পত্রিকা: রমজানজুড়ে প্রতিবছর দেশে নানান ধরনের খাবারের পসরা দেখা যায়। বাস্তবে এসব খাবার রোজাদারদের জন্য কতটা উপাদেয়? মো. আব্দুল ওয়াদুদ: এসব খাবার অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেশি মসলাযুক্ত, অতিরিক্ত তেলে ভাজা এবং কৃত্রিম রঙে ভরপুর ও মুখরোচক। এগুলো মোটেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এই খাবারের ফলে অ্যাসিডিটি, বদহজম,
০৮ এপ্রিল ২০২৩
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
১৩ ঘণ্টা আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
১৪ ঘণ্টা আগে