নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সিগারেটের সহজলভ্যতা ঠেকাতে ১১৮টি দেশ ইতিমধ্যে খুচরা শলাকায় সিগারেট বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে। ভেপিং পণ্য বিক্রি ও ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরসহ ৪২টি দেশ। এ ছাড়া ৭৯টি দেশ বাতিল করেছে তথাকথিত ‘স্মোকিং জোন’। অথচ বাংলাদেশে এখনো এসব বিষয়ের বিপরীতে কার্যত উল্টো চিত্র বিরাজ করছে।
আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে দেশে তামাকবিরোধী ১৯টি সংগঠনের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই বৈশ্বিক তথ্য তুলে ধরা হয়। সেখান থেকে উঠে আসে উদ্বেগজনক এক বাস্তবতা, বাংলাদেশে এখনো প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ কোনো না কোনোভাবে তামাক ব্যবহার করে। প্রতিবছর তামাকের কারণে দেশে প্রাণ হারায় অন্তত ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ।
তামাকবিরোধী নেতারা বলেন, এই মৃত্যু থামাতে হলে এখনই প্রয়োজন শক্তিশালী আইনি সংস্কার। তাঁরা জানান, ব্রাজিল, তুরস্কসহ অনেক দেশে কঠোর তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকর করে সাফল্য মিলেছে। কিন্তু বাংলাদেশে সেই উদ্যোগকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে তামাক কোম্পানিগুলো সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, আইন সংস্কারের বিপক্ষে এসব কোম্পানি ‘রাজস্ব কমবে’, ‘কর্মসংস্থান হারাবে’, ‘ধূমপান বাড়বে’ এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। নীতিনির্ধারকদের প্রভাবিত করতে নানা অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে, এমনকি নতুন করে ‘স্মোকিং জোন’ করার প্রস্তাবও দিচ্ছে তারা। অথচ বাস্তবতা হলো, স্মোকিং জোন নামক ব্যবস্থা পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে জনগণকে কোনোভাবে রক্ষা করতে পারে না।
বক্তারা আরও বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২০০৫ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন এবং ২০১৩ সালে সংশোধনের পর সিগারেট খাত থেকে রাজস্ব আয় বেড়েছে। অর্থাৎ আইন কড়াকড়ি করলে রাজস্ব কমে, এই ধারণা পুরোপুরি মিথ্যা।
তামাক কোম্পানির এসব কৌশলে বিভ্রান্ত না হয়ে সরকারকে দ্রুত আইন সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা। তাঁরা বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ শুধু স্বাস্থ্যরক্ষার বিষয় নয়, এটি জাতীয় জরুরি বিষয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিল অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা), এইড ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটি, বিসিসিপি, বিইআর, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, ডাস, ডরপ, গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটি, মানস, নারী মৈত্রী, নাটাব, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, পিপিআরসি, প্রত্যাশা, তাবিনাজ, টিসিআরসি, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট ও প্রজ্ঞা।
এই ১৯ সংগঠন একযোগে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, ‘ধূমপানের ছোবল থেকে প্রজন্মকে বাঁচাতে আর সময় নষ্ট নয়, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংস্কার করুন এখনই।’
সিগারেটের সহজলভ্যতা ঠেকাতে ১১৮টি দেশ ইতিমধ্যে খুচরা শলাকায় সিগারেট বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে। ভেপিং পণ্য বিক্রি ও ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরসহ ৪২টি দেশ। এ ছাড়া ৭৯টি দেশ বাতিল করেছে তথাকথিত ‘স্মোকিং জোন’। অথচ বাংলাদেশে এখনো এসব বিষয়ের বিপরীতে কার্যত উল্টো চিত্র বিরাজ করছে।
আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে দেশে তামাকবিরোধী ১৯টি সংগঠনের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই বৈশ্বিক তথ্য তুলে ধরা হয়। সেখান থেকে উঠে আসে উদ্বেগজনক এক বাস্তবতা, বাংলাদেশে এখনো প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ কোনো না কোনোভাবে তামাক ব্যবহার করে। প্রতিবছর তামাকের কারণে দেশে প্রাণ হারায় অন্তত ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ।
তামাকবিরোধী নেতারা বলেন, এই মৃত্যু থামাতে হলে এখনই প্রয়োজন শক্তিশালী আইনি সংস্কার। তাঁরা জানান, ব্রাজিল, তুরস্কসহ অনেক দেশে কঠোর তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকর করে সাফল্য মিলেছে। কিন্তু বাংলাদেশে সেই উদ্যোগকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে তামাক কোম্পানিগুলো সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, আইন সংস্কারের বিপক্ষে এসব কোম্পানি ‘রাজস্ব কমবে’, ‘কর্মসংস্থান হারাবে’, ‘ধূমপান বাড়বে’ এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। নীতিনির্ধারকদের প্রভাবিত করতে নানা অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে, এমনকি নতুন করে ‘স্মোকিং জোন’ করার প্রস্তাবও দিচ্ছে তারা। অথচ বাস্তবতা হলো, স্মোকিং জোন নামক ব্যবস্থা পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে জনগণকে কোনোভাবে রক্ষা করতে পারে না।
বক্তারা আরও বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২০০৫ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন এবং ২০১৩ সালে সংশোধনের পর সিগারেট খাত থেকে রাজস্ব আয় বেড়েছে। অর্থাৎ আইন কড়াকড়ি করলে রাজস্ব কমে, এই ধারণা পুরোপুরি মিথ্যা।
তামাক কোম্পানির এসব কৌশলে বিভ্রান্ত না হয়ে সরকারকে দ্রুত আইন সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা। তাঁরা বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ শুধু স্বাস্থ্যরক্ষার বিষয় নয়, এটি জাতীয় জরুরি বিষয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিল অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা), এইড ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটি, বিসিসিপি, বিইআর, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, ডাস, ডরপ, গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটি, মানস, নারী মৈত্রী, নাটাব, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, পিপিআরসি, প্রত্যাশা, তাবিনাজ, টিসিআরসি, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট ও প্রজ্ঞা।
এই ১৯ সংগঠন একযোগে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, ‘ধূমপানের ছোবল থেকে প্রজন্মকে বাঁচাতে আর সময় নষ্ট নয়, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংস্কার করুন এখনই।’
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
৯ ঘণ্টা আগেসারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪২০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর এই সময়ের মধ্যে মারা গেছেন এক নারী (২৩)। তিনি রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
১২ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় কারও শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি। একই সময়ে কারও মৃত্যুও হয়নি। আজ শনিবার (১২ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ আরও একজন চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩৯১ জন রোগী।
১ দিন আগে