
করোনা মহামারির প্রথমদিকে বিজ্ঞানীদের একটি দল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছিল যে, কোভিড-১৯ বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যথেষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিকভাবে সংস্থাটি তাঁদের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিল।
বিজ্ঞানীদের দাবি ছিল, করোনাভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় ও ঘর-বাড়ির ভেতরকে সংক্রমণের আঁতুড়ঘর করে তোলে। বিষয়টি গবেষকেরা জনসাধারণের মধ্যে প্রচার করতে থাকেন। অবশেষে ২০২১ সালের শেষের দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিষয়টি মেনে নেয়।
বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে, সংস্থাটি পরামর্শদাতাদের একটি গ্রুপকে (কিছু বৈজ্ঞানিক সমালোচকসহ) প্যাথোজেনগুলো ছড়িয়ে পড়ার উপায়গুলো শ্রেণিবদ্ধ করার জন্য আনুষ্ঠানিক নির্দেশিকা হালনাগাদ করার নির্দেশনা দেয়। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে আলোচনার পর দলটি নতুন সংজ্ঞা তৈরি করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
ডব্লিউএইচওর আগের অবস্থান ছিল যে, মাত্র কয়েকটি প্যাথোজেন বায়ুবাহিত হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। সেগুলো বাতাসের মাধ্যমে যক্ষ্মার জীবাণুর মতো বড় দূরত্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিন্তু বিজ্ঞানীদের নতুন প্রতিবেদনটি বিস্তৃত ক্যাটাগরি তুলে ধরেছে, যা বিস্তারে আকৃতি বা দূরত্বের ওপর নির্ভর করে না। বিজ্ঞানীদের নতুন এই তথ্য বিতর্কিত ছিল কারণ তাঁরা দাবি করেছিলেন, রোগ নিয়ন্ত্রণ এখন আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠতে পারে, যেমন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্চা কক্ষ এবং প্রতিরক্ষামূলক আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতির খরচ।
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের যক্ষ্মা বিশেষজ্ঞ এবং গবেষক দলটির সদস্য ড. এড নারডেল বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ। সবাই এতে খুশি না হলেও স্বীকৃত পরিভাষাসহ বায়ুবাহিত রোগ প্রতিরোধে আমরা সত্যিই নতুন যাত্রা শুরু করেছি।’
করোনা মহামারির আগে ডব্লিউএইচও এবং অন্যান্য সংস্থাগুলো রোগ ছড়ানোর কয়েকটি মাধ্যমের স্বীকৃতি দিয়েছিল। এর মধ্যে একটি ছিল আক্রান্ত ব্যক্তি বা তাঁর ব্যবহৃত কোনো বস্তুর সংস্পর্শে সংক্রমণ।
‘ড্রপলেট ট্রান্সমিশন’ বলতে রোগের স্বল্প-পরিসরের বিস্তারকে বোঝায়। কেউ কাশি বা হাঁচি দিলে ৫ মাইক্রন (এক মিটারের পাঁচ মিলিয়নের এক ভাগ) থেকে বড় ফোঁটা সরাসরি অপর ব্যক্তির চোখমুখ বা নাকে পড়ে ড্রপলেট ট্রান্সমিশন হতে পারে।
‘বায়ুবাহিত সংক্রমণ’ বলতে মুষ্টিমেয় কিছু রোগকে বোঝায়, যা ৫ মাইক্রনের চেয়ে ক্ষুদ্র ফোঁটায় ছড়িয়ে পড়ে। এই সংক্রমণ পদ্ধতিতে ভাইরাস শ্বাস গ্রহণের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশের আগ পর্যন্ত দীর্ঘসময় পর্যন্ত বাতাসে ভাসতে থাকে।
কোভিডের শুরুতে ডব্লিওএইচও বলেছিল, কোভিড-১৯ সম্ভবত ছোট দূরত্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেটি হতে পারে সরাসরি সংস্পর্শ বা ড্রপলেট সংক্রমণের মাধ্যমে।
ওইসময় হংকং ইউনিভার্সিটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ইউগুও লি এবং অন্যান্য সমালোচক বলেছিলেন, ডব্লিওএইচও কোভিড বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিকে উপেক্ষা করেছে। মহামারিটি ছড়িয়ে পড়লে বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে দীর্ঘ দূরত্বে ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ পান। যদিও কিছু বিজ্ঞানী আবার এই গবেষণার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
ডব্লিওএইচও ২০২১ সালের নভেম্বরে নতুন উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করে এবং ড. লিকে কো-চেয়ার হতে বলে। দলটির মিটিংয়ে ডা. লি এবং অন্যরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে, ডব্লিওএইচও ভুল দ্বিধাবিভক্তির ওপর নির্ভর করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ছোট ড্রপলেট ভাসমান থাকার জন্য ৫ মাইক্রনের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। বড় ফোঁটাও দীর্ঘ সময়ের জন্য ভেসে থাকতে পারে।
গবেষকেরা আরও যুক্তি দিয়েছিলেন, স্বল্প-পরিসরের সংক্রমণ প্রমাণ করে না যে, একটি রোগ শুধুমাত্র হাঁচি-কাশির মাধ্যমেই ছড়ায়। সংক্রমিত লোকেরা শ্বাস নেওয়া বা কথা বলার মাধ্যমে ড্রপলেট ছড়াতে পারে, যা পরে আশপাশের ব্যক্তিদের সংক্রমণ করতে পারে শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে।
নতুন প্রতিবেদনটি রোগ ছড়ানোর মাধ্যমগুলোকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। এর মধ্য একটি সংস্পর্শজনিত এবং অন্যগুলো বায়ুবাহিত। তাঁরা দ্বিতীয় মাধ্যমকে ‘এয়ার ট্রান্সমিশন মাধ্যম’ বলতে সম্মত হয়েছে। তবে ভার্জিনিয়া টেকের পরিবেশবিষয়ক প্রকৌশলী এবং উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য লিনসে মার এই শব্দগুচ্ছটিকে বায়ুবাহিত সংক্রমণের মতো সহজ শব্দের চেয়ে বাজে বলে মনে করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটা খুব সেকেলে হয়েছে। আমরা সহজ পরিভাষা খুঁজছিলাম, যা সবাই সহজে বুঝতে পারবে।’
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, প্যাথোজেন দুটি উপায়ে বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। একটি হলো সরাসরি, যা চোখ-মুখ বা নাকের শ্লেষ্মায় পৌঁছাতে পারে। অন্যটি হল ‘বায়ুবাহিত সংক্রমণ/ইনহেলেশন’, যেখানে ড্রপলেটগুলো নিশ্বাসের সঙ্গে প্রবেশ করে।
বিজ্ঞানীরা নতুন পরিভাষা উত্থাপন করলে ডব্লিওএইচও তা গ্রহণ করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের পাশাপাশি আফ্রিকা, চীন এবং ইউরোপের সহযোগীদের সঙ্গে চুক্তি করে।
ডব্লিওএইচওর প্রধান বিজ্ঞানী ডা. জেরেমি ফারার বলেছেন, একত্রে কাজ করার জন্য চুক্তি করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।’
কিন্তু নতুন প্রতিবেদনে কীভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে রোগ ছড়ানো বন্ধ করা উচিত—সে বিষয়ে এজেন্সিগুলোকে কোনো সুপারিশ করা হয়নি। গবেষকেরা স্বীকার করেছেন, তাঁরা এই বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি।
বায়ুবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে হাসপাতালগুলোর নির্দেশিকাতে ব্যয়বহুল ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এসবের মধ্যে রয়েছ, বায়ুচাপশূন্য নিরবচ্ছিন্ন কক্ষ রাখা, সূক্ষ্ম ড্রপলেট ঠেকাতে এন ৯৫ শ্বাসযন্ত্র ব্যবহার এবং অন্যান্য সুরক্ষামূলক যন্ত্রপাতি রাখা। তবে কোনো রোগগুলো এই ধরনের নিয়ন্ত্রণের নিশ্চয়তা দেয় বা হাসপাতালের বাইরে কী প্রচেষ্টা নেওয়া উচিত তা স্পষ্ট নয়।
জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এবং উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. ওয়াল্টার জিংগ বলেছেন, পুরোনো নিয়মে আরও সরল নির্দেশিকা দেওয়া ছিল। উদাহরণস্বরূপ; সংক্রমণ এড়াতে কারও হাঁচি-কাশি থেকে কয়েক ফুট দূরে থাকাকে কার্যকর উপায় বলে মনে করা হতো। এটি সরল ছিল এবং হয়তো সত্য নয়, তবে এটি উদ্দেশ্য পূরণ করেছে। এখন আমাদের অন্য প্রতিকারের কথা ভাবতে হবে।’
ডব্লিওএইচওর প্রধান বিজ্ঞানী ডা. ফারার বলেছেন, ‘এই ধরনের নির্দেশিকাগুলো স্পষ্ট পরীক্ষামূলক প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত। যদিও সেই প্রমাণ এখনো অনেক রোগের ক্ষেত্রেই দুষ্প্রাপ্য। বিজ্ঞানীরা এখনো বিতর্ক করছেন। উদাহরণস্বরূপ, ইনফ্লুয়েঞ্জা বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় কি না। এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে এ নিয়ে গবেষণা-অধ্যয়ন করা হয়েছে। আমরা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জানি, কিন্তু আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত নই। ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য আমাদের এই ধরনের কাজ খুবই প্রয়োজন।’

করোনা মহামারির প্রথমদিকে বিজ্ঞানীদের একটি দল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছিল যে, কোভিড-১৯ বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যথেষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিকভাবে সংস্থাটি তাঁদের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিল।
বিজ্ঞানীদের দাবি ছিল, করোনাভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় ও ঘর-বাড়ির ভেতরকে সংক্রমণের আঁতুড়ঘর করে তোলে। বিষয়টি গবেষকেরা জনসাধারণের মধ্যে প্রচার করতে থাকেন। অবশেষে ২০২১ সালের শেষের দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিষয়টি মেনে নেয়।
বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে, সংস্থাটি পরামর্শদাতাদের একটি গ্রুপকে (কিছু বৈজ্ঞানিক সমালোচকসহ) প্যাথোজেনগুলো ছড়িয়ে পড়ার উপায়গুলো শ্রেণিবদ্ধ করার জন্য আনুষ্ঠানিক নির্দেশিকা হালনাগাদ করার নির্দেশনা দেয়। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে আলোচনার পর দলটি নতুন সংজ্ঞা তৈরি করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
ডব্লিউএইচওর আগের অবস্থান ছিল যে, মাত্র কয়েকটি প্যাথোজেন বায়ুবাহিত হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। সেগুলো বাতাসের মাধ্যমে যক্ষ্মার জীবাণুর মতো বড় দূরত্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিন্তু বিজ্ঞানীদের নতুন প্রতিবেদনটি বিস্তৃত ক্যাটাগরি তুলে ধরেছে, যা বিস্তারে আকৃতি বা দূরত্বের ওপর নির্ভর করে না। বিজ্ঞানীদের নতুন এই তথ্য বিতর্কিত ছিল কারণ তাঁরা দাবি করেছিলেন, রোগ নিয়ন্ত্রণ এখন আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠতে পারে, যেমন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্চা কক্ষ এবং প্রতিরক্ষামূলক আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতির খরচ।
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের যক্ষ্মা বিশেষজ্ঞ এবং গবেষক দলটির সদস্য ড. এড নারডেল বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ। সবাই এতে খুশি না হলেও স্বীকৃত পরিভাষাসহ বায়ুবাহিত রোগ প্রতিরোধে আমরা সত্যিই নতুন যাত্রা শুরু করেছি।’
করোনা মহামারির আগে ডব্লিউএইচও এবং অন্যান্য সংস্থাগুলো রোগ ছড়ানোর কয়েকটি মাধ্যমের স্বীকৃতি দিয়েছিল। এর মধ্যে একটি ছিল আক্রান্ত ব্যক্তি বা তাঁর ব্যবহৃত কোনো বস্তুর সংস্পর্শে সংক্রমণ।
‘ড্রপলেট ট্রান্সমিশন’ বলতে রোগের স্বল্প-পরিসরের বিস্তারকে বোঝায়। কেউ কাশি বা হাঁচি দিলে ৫ মাইক্রন (এক মিটারের পাঁচ মিলিয়নের এক ভাগ) থেকে বড় ফোঁটা সরাসরি অপর ব্যক্তির চোখমুখ বা নাকে পড়ে ড্রপলেট ট্রান্সমিশন হতে পারে।
‘বায়ুবাহিত সংক্রমণ’ বলতে মুষ্টিমেয় কিছু রোগকে বোঝায়, যা ৫ মাইক্রনের চেয়ে ক্ষুদ্র ফোঁটায় ছড়িয়ে পড়ে। এই সংক্রমণ পদ্ধতিতে ভাইরাস শ্বাস গ্রহণের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশের আগ পর্যন্ত দীর্ঘসময় পর্যন্ত বাতাসে ভাসতে থাকে।
কোভিডের শুরুতে ডব্লিওএইচও বলেছিল, কোভিড-১৯ সম্ভবত ছোট দূরত্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেটি হতে পারে সরাসরি সংস্পর্শ বা ড্রপলেট সংক্রমণের মাধ্যমে।
ওইসময় হংকং ইউনিভার্সিটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ইউগুও লি এবং অন্যান্য সমালোচক বলেছিলেন, ডব্লিওএইচও কোভিড বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিকে উপেক্ষা করেছে। মহামারিটি ছড়িয়ে পড়লে বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে দীর্ঘ দূরত্বে ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ পান। যদিও কিছু বিজ্ঞানী আবার এই গবেষণার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
ডব্লিওএইচও ২০২১ সালের নভেম্বরে নতুন উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করে এবং ড. লিকে কো-চেয়ার হতে বলে। দলটির মিটিংয়ে ডা. লি এবং অন্যরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে, ডব্লিওএইচও ভুল দ্বিধাবিভক্তির ওপর নির্ভর করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ছোট ড্রপলেট ভাসমান থাকার জন্য ৫ মাইক্রনের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। বড় ফোঁটাও দীর্ঘ সময়ের জন্য ভেসে থাকতে পারে।
গবেষকেরা আরও যুক্তি দিয়েছিলেন, স্বল্প-পরিসরের সংক্রমণ প্রমাণ করে না যে, একটি রোগ শুধুমাত্র হাঁচি-কাশির মাধ্যমেই ছড়ায়। সংক্রমিত লোকেরা শ্বাস নেওয়া বা কথা বলার মাধ্যমে ড্রপলেট ছড়াতে পারে, যা পরে আশপাশের ব্যক্তিদের সংক্রমণ করতে পারে শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে।
নতুন প্রতিবেদনটি রোগ ছড়ানোর মাধ্যমগুলোকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। এর মধ্য একটি সংস্পর্শজনিত এবং অন্যগুলো বায়ুবাহিত। তাঁরা দ্বিতীয় মাধ্যমকে ‘এয়ার ট্রান্সমিশন মাধ্যম’ বলতে সম্মত হয়েছে। তবে ভার্জিনিয়া টেকের পরিবেশবিষয়ক প্রকৌশলী এবং উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য লিনসে মার এই শব্দগুচ্ছটিকে বায়ুবাহিত সংক্রমণের মতো সহজ শব্দের চেয়ে বাজে বলে মনে করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটা খুব সেকেলে হয়েছে। আমরা সহজ পরিভাষা খুঁজছিলাম, যা সবাই সহজে বুঝতে পারবে।’
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, প্যাথোজেন দুটি উপায়ে বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। একটি হলো সরাসরি, যা চোখ-মুখ বা নাকের শ্লেষ্মায় পৌঁছাতে পারে। অন্যটি হল ‘বায়ুবাহিত সংক্রমণ/ইনহেলেশন’, যেখানে ড্রপলেটগুলো নিশ্বাসের সঙ্গে প্রবেশ করে।
বিজ্ঞানীরা নতুন পরিভাষা উত্থাপন করলে ডব্লিওএইচও তা গ্রহণ করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের পাশাপাশি আফ্রিকা, চীন এবং ইউরোপের সহযোগীদের সঙ্গে চুক্তি করে।
ডব্লিওএইচওর প্রধান বিজ্ঞানী ডা. জেরেমি ফারার বলেছেন, একত্রে কাজ করার জন্য চুক্তি করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।’
কিন্তু নতুন প্রতিবেদনে কীভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে রোগ ছড়ানো বন্ধ করা উচিত—সে বিষয়ে এজেন্সিগুলোকে কোনো সুপারিশ করা হয়নি। গবেষকেরা স্বীকার করেছেন, তাঁরা এই বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি।
বায়ুবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে হাসপাতালগুলোর নির্দেশিকাতে ব্যয়বহুল ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এসবের মধ্যে রয়েছ, বায়ুচাপশূন্য নিরবচ্ছিন্ন কক্ষ রাখা, সূক্ষ্ম ড্রপলেট ঠেকাতে এন ৯৫ শ্বাসযন্ত্র ব্যবহার এবং অন্যান্য সুরক্ষামূলক যন্ত্রপাতি রাখা। তবে কোনো রোগগুলো এই ধরনের নিয়ন্ত্রণের নিশ্চয়তা দেয় বা হাসপাতালের বাইরে কী প্রচেষ্টা নেওয়া উচিত তা স্পষ্ট নয়।
জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এবং উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. ওয়াল্টার জিংগ বলেছেন, পুরোনো নিয়মে আরও সরল নির্দেশিকা দেওয়া ছিল। উদাহরণস্বরূপ; সংক্রমণ এড়াতে কারও হাঁচি-কাশি থেকে কয়েক ফুট দূরে থাকাকে কার্যকর উপায় বলে মনে করা হতো। এটি সরল ছিল এবং হয়তো সত্য নয়, তবে এটি উদ্দেশ্য পূরণ করেছে। এখন আমাদের অন্য প্রতিকারের কথা ভাবতে হবে।’
ডব্লিওএইচওর প্রধান বিজ্ঞানী ডা. ফারার বলেছেন, ‘এই ধরনের নির্দেশিকাগুলো স্পষ্ট পরীক্ষামূলক প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত। যদিও সেই প্রমাণ এখনো অনেক রোগের ক্ষেত্রেই দুষ্প্রাপ্য। বিজ্ঞানীরা এখনো বিতর্ক করছেন। উদাহরণস্বরূপ, ইনফ্লুয়েঞ্জা বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় কি না। এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে এ নিয়ে গবেষণা-অধ্যয়ন করা হয়েছে। আমরা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জানি, কিন্তু আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত নই। ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য আমাদের এই ধরনের কাজ খুবই প্রয়োজন।’

করোনা মহামারির প্রথমদিকে বিজ্ঞানীদের একটি দল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছিল যে, কোভিড-১৯ বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যথেষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিকভাবে সংস্থাটি তাঁদের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিল।
বিজ্ঞানীদের দাবি ছিল, করোনাভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় ও ঘর-বাড়ির ভেতরকে সংক্রমণের আঁতুড়ঘর করে তোলে। বিষয়টি গবেষকেরা জনসাধারণের মধ্যে প্রচার করতে থাকেন। অবশেষে ২০২১ সালের শেষের দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিষয়টি মেনে নেয়।
বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে, সংস্থাটি পরামর্শদাতাদের একটি গ্রুপকে (কিছু বৈজ্ঞানিক সমালোচকসহ) প্যাথোজেনগুলো ছড়িয়ে পড়ার উপায়গুলো শ্রেণিবদ্ধ করার জন্য আনুষ্ঠানিক নির্দেশিকা হালনাগাদ করার নির্দেশনা দেয়। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে আলোচনার পর দলটি নতুন সংজ্ঞা তৈরি করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
ডব্লিউএইচওর আগের অবস্থান ছিল যে, মাত্র কয়েকটি প্যাথোজেন বায়ুবাহিত হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। সেগুলো বাতাসের মাধ্যমে যক্ষ্মার জীবাণুর মতো বড় দূরত্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিন্তু বিজ্ঞানীদের নতুন প্রতিবেদনটি বিস্তৃত ক্যাটাগরি তুলে ধরেছে, যা বিস্তারে আকৃতি বা দূরত্বের ওপর নির্ভর করে না। বিজ্ঞানীদের নতুন এই তথ্য বিতর্কিত ছিল কারণ তাঁরা দাবি করেছিলেন, রোগ নিয়ন্ত্রণ এখন আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠতে পারে, যেমন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্চা কক্ষ এবং প্রতিরক্ষামূলক আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতির খরচ।
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের যক্ষ্মা বিশেষজ্ঞ এবং গবেষক দলটির সদস্য ড. এড নারডেল বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ। সবাই এতে খুশি না হলেও স্বীকৃত পরিভাষাসহ বায়ুবাহিত রোগ প্রতিরোধে আমরা সত্যিই নতুন যাত্রা শুরু করেছি।’
করোনা মহামারির আগে ডব্লিউএইচও এবং অন্যান্য সংস্থাগুলো রোগ ছড়ানোর কয়েকটি মাধ্যমের স্বীকৃতি দিয়েছিল। এর মধ্যে একটি ছিল আক্রান্ত ব্যক্তি বা তাঁর ব্যবহৃত কোনো বস্তুর সংস্পর্শে সংক্রমণ।
‘ড্রপলেট ট্রান্সমিশন’ বলতে রোগের স্বল্প-পরিসরের বিস্তারকে বোঝায়। কেউ কাশি বা হাঁচি দিলে ৫ মাইক্রন (এক মিটারের পাঁচ মিলিয়নের এক ভাগ) থেকে বড় ফোঁটা সরাসরি অপর ব্যক্তির চোখমুখ বা নাকে পড়ে ড্রপলেট ট্রান্সমিশন হতে পারে।
‘বায়ুবাহিত সংক্রমণ’ বলতে মুষ্টিমেয় কিছু রোগকে বোঝায়, যা ৫ মাইক্রনের চেয়ে ক্ষুদ্র ফোঁটায় ছড়িয়ে পড়ে। এই সংক্রমণ পদ্ধতিতে ভাইরাস শ্বাস গ্রহণের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশের আগ পর্যন্ত দীর্ঘসময় পর্যন্ত বাতাসে ভাসতে থাকে।
কোভিডের শুরুতে ডব্লিওএইচও বলেছিল, কোভিড-১৯ সম্ভবত ছোট দূরত্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেটি হতে পারে সরাসরি সংস্পর্শ বা ড্রপলেট সংক্রমণের মাধ্যমে।
ওইসময় হংকং ইউনিভার্সিটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ইউগুও লি এবং অন্যান্য সমালোচক বলেছিলেন, ডব্লিওএইচও কোভিড বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিকে উপেক্ষা করেছে। মহামারিটি ছড়িয়ে পড়লে বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে দীর্ঘ দূরত্বে ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ পান। যদিও কিছু বিজ্ঞানী আবার এই গবেষণার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
ডব্লিওএইচও ২০২১ সালের নভেম্বরে নতুন উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করে এবং ড. লিকে কো-চেয়ার হতে বলে। দলটির মিটিংয়ে ডা. লি এবং অন্যরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে, ডব্লিওএইচও ভুল দ্বিধাবিভক্তির ওপর নির্ভর করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ছোট ড্রপলেট ভাসমান থাকার জন্য ৫ মাইক্রনের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। বড় ফোঁটাও দীর্ঘ সময়ের জন্য ভেসে থাকতে পারে।
গবেষকেরা আরও যুক্তি দিয়েছিলেন, স্বল্প-পরিসরের সংক্রমণ প্রমাণ করে না যে, একটি রোগ শুধুমাত্র হাঁচি-কাশির মাধ্যমেই ছড়ায়। সংক্রমিত লোকেরা শ্বাস নেওয়া বা কথা বলার মাধ্যমে ড্রপলেট ছড়াতে পারে, যা পরে আশপাশের ব্যক্তিদের সংক্রমণ করতে পারে শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে।
নতুন প্রতিবেদনটি রোগ ছড়ানোর মাধ্যমগুলোকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। এর মধ্য একটি সংস্পর্শজনিত এবং অন্যগুলো বায়ুবাহিত। তাঁরা দ্বিতীয় মাধ্যমকে ‘এয়ার ট্রান্সমিশন মাধ্যম’ বলতে সম্মত হয়েছে। তবে ভার্জিনিয়া টেকের পরিবেশবিষয়ক প্রকৌশলী এবং উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য লিনসে মার এই শব্দগুচ্ছটিকে বায়ুবাহিত সংক্রমণের মতো সহজ শব্দের চেয়ে বাজে বলে মনে করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটা খুব সেকেলে হয়েছে। আমরা সহজ পরিভাষা খুঁজছিলাম, যা সবাই সহজে বুঝতে পারবে।’
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, প্যাথোজেন দুটি উপায়ে বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। একটি হলো সরাসরি, যা চোখ-মুখ বা নাকের শ্লেষ্মায় পৌঁছাতে পারে। অন্যটি হল ‘বায়ুবাহিত সংক্রমণ/ইনহেলেশন’, যেখানে ড্রপলেটগুলো নিশ্বাসের সঙ্গে প্রবেশ করে।
বিজ্ঞানীরা নতুন পরিভাষা উত্থাপন করলে ডব্লিওএইচও তা গ্রহণ করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের পাশাপাশি আফ্রিকা, চীন এবং ইউরোপের সহযোগীদের সঙ্গে চুক্তি করে।
ডব্লিওএইচওর প্রধান বিজ্ঞানী ডা. জেরেমি ফারার বলেছেন, একত্রে কাজ করার জন্য চুক্তি করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।’
কিন্তু নতুন প্রতিবেদনে কীভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে রোগ ছড়ানো বন্ধ করা উচিত—সে বিষয়ে এজেন্সিগুলোকে কোনো সুপারিশ করা হয়নি। গবেষকেরা স্বীকার করেছেন, তাঁরা এই বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি।
বায়ুবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে হাসপাতালগুলোর নির্দেশিকাতে ব্যয়বহুল ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এসবের মধ্যে রয়েছ, বায়ুচাপশূন্য নিরবচ্ছিন্ন কক্ষ রাখা, সূক্ষ্ম ড্রপলেট ঠেকাতে এন ৯৫ শ্বাসযন্ত্র ব্যবহার এবং অন্যান্য সুরক্ষামূলক যন্ত্রপাতি রাখা। তবে কোনো রোগগুলো এই ধরনের নিয়ন্ত্রণের নিশ্চয়তা দেয় বা হাসপাতালের বাইরে কী প্রচেষ্টা নেওয়া উচিত তা স্পষ্ট নয়।
জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এবং উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. ওয়াল্টার জিংগ বলেছেন, পুরোনো নিয়মে আরও সরল নির্দেশিকা দেওয়া ছিল। উদাহরণস্বরূপ; সংক্রমণ এড়াতে কারও হাঁচি-কাশি থেকে কয়েক ফুট দূরে থাকাকে কার্যকর উপায় বলে মনে করা হতো। এটি সরল ছিল এবং হয়তো সত্য নয়, তবে এটি উদ্দেশ্য পূরণ করেছে। এখন আমাদের অন্য প্রতিকারের কথা ভাবতে হবে।’
ডব্লিওএইচওর প্রধান বিজ্ঞানী ডা. ফারার বলেছেন, ‘এই ধরনের নির্দেশিকাগুলো স্পষ্ট পরীক্ষামূলক প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত। যদিও সেই প্রমাণ এখনো অনেক রোগের ক্ষেত্রেই দুষ্প্রাপ্য। বিজ্ঞানীরা এখনো বিতর্ক করছেন। উদাহরণস্বরূপ, ইনফ্লুয়েঞ্জা বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় কি না। এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে এ নিয়ে গবেষণা-অধ্যয়ন করা হয়েছে। আমরা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জানি, কিন্তু আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত নই। ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য আমাদের এই ধরনের কাজ খুবই প্রয়োজন।’

করোনা মহামারির প্রথমদিকে বিজ্ঞানীদের একটি দল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছিল যে, কোভিড-১৯ বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যথেষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিকভাবে সংস্থাটি তাঁদের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিল।
বিজ্ঞানীদের দাবি ছিল, করোনাভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় ও ঘর-বাড়ির ভেতরকে সংক্রমণের আঁতুড়ঘর করে তোলে। বিষয়টি গবেষকেরা জনসাধারণের মধ্যে প্রচার করতে থাকেন। অবশেষে ২০২১ সালের শেষের দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিষয়টি মেনে নেয়।
বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে, সংস্থাটি পরামর্শদাতাদের একটি গ্রুপকে (কিছু বৈজ্ঞানিক সমালোচকসহ) প্যাথোজেনগুলো ছড়িয়ে পড়ার উপায়গুলো শ্রেণিবদ্ধ করার জন্য আনুষ্ঠানিক নির্দেশিকা হালনাগাদ করার নির্দেশনা দেয়। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে আলোচনার পর দলটি নতুন সংজ্ঞা তৈরি করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
ডব্লিউএইচওর আগের অবস্থান ছিল যে, মাত্র কয়েকটি প্যাথোজেন বায়ুবাহিত হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। সেগুলো বাতাসের মাধ্যমে যক্ষ্মার জীবাণুর মতো বড় দূরত্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিন্তু বিজ্ঞানীদের নতুন প্রতিবেদনটি বিস্তৃত ক্যাটাগরি তুলে ধরেছে, যা বিস্তারে আকৃতি বা দূরত্বের ওপর নির্ভর করে না। বিজ্ঞানীদের নতুন এই তথ্য বিতর্কিত ছিল কারণ তাঁরা দাবি করেছিলেন, রোগ নিয়ন্ত্রণ এখন আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠতে পারে, যেমন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্চা কক্ষ এবং প্রতিরক্ষামূলক আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতির খরচ।
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের যক্ষ্মা বিশেষজ্ঞ এবং গবেষক দলটির সদস্য ড. এড নারডেল বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ। সবাই এতে খুশি না হলেও স্বীকৃত পরিভাষাসহ বায়ুবাহিত রোগ প্রতিরোধে আমরা সত্যিই নতুন যাত্রা শুরু করেছি।’
করোনা মহামারির আগে ডব্লিউএইচও এবং অন্যান্য সংস্থাগুলো রোগ ছড়ানোর কয়েকটি মাধ্যমের স্বীকৃতি দিয়েছিল। এর মধ্যে একটি ছিল আক্রান্ত ব্যক্তি বা তাঁর ব্যবহৃত কোনো বস্তুর সংস্পর্শে সংক্রমণ।
‘ড্রপলেট ট্রান্সমিশন’ বলতে রোগের স্বল্প-পরিসরের বিস্তারকে বোঝায়। কেউ কাশি বা হাঁচি দিলে ৫ মাইক্রন (এক মিটারের পাঁচ মিলিয়নের এক ভাগ) থেকে বড় ফোঁটা সরাসরি অপর ব্যক্তির চোখমুখ বা নাকে পড়ে ড্রপলেট ট্রান্সমিশন হতে পারে।
‘বায়ুবাহিত সংক্রমণ’ বলতে মুষ্টিমেয় কিছু রোগকে বোঝায়, যা ৫ মাইক্রনের চেয়ে ক্ষুদ্র ফোঁটায় ছড়িয়ে পড়ে। এই সংক্রমণ পদ্ধতিতে ভাইরাস শ্বাস গ্রহণের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশের আগ পর্যন্ত দীর্ঘসময় পর্যন্ত বাতাসে ভাসতে থাকে।
কোভিডের শুরুতে ডব্লিওএইচও বলেছিল, কোভিড-১৯ সম্ভবত ছোট দূরত্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেটি হতে পারে সরাসরি সংস্পর্শ বা ড্রপলেট সংক্রমণের মাধ্যমে।
ওইসময় হংকং ইউনিভার্সিটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ইউগুও লি এবং অন্যান্য সমালোচক বলেছিলেন, ডব্লিওএইচও কোভিড বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিকে উপেক্ষা করেছে। মহামারিটি ছড়িয়ে পড়লে বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে দীর্ঘ দূরত্বে ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ পান। যদিও কিছু বিজ্ঞানী আবার এই গবেষণার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
ডব্লিওএইচও ২০২১ সালের নভেম্বরে নতুন উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করে এবং ড. লিকে কো-চেয়ার হতে বলে। দলটির মিটিংয়ে ডা. লি এবং অন্যরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে, ডব্লিওএইচও ভুল দ্বিধাবিভক্তির ওপর নির্ভর করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ছোট ড্রপলেট ভাসমান থাকার জন্য ৫ মাইক্রনের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। বড় ফোঁটাও দীর্ঘ সময়ের জন্য ভেসে থাকতে পারে।
গবেষকেরা আরও যুক্তি দিয়েছিলেন, স্বল্প-পরিসরের সংক্রমণ প্রমাণ করে না যে, একটি রোগ শুধুমাত্র হাঁচি-কাশির মাধ্যমেই ছড়ায়। সংক্রমিত লোকেরা শ্বাস নেওয়া বা কথা বলার মাধ্যমে ড্রপলেট ছড়াতে পারে, যা পরে আশপাশের ব্যক্তিদের সংক্রমণ করতে পারে শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে।
নতুন প্রতিবেদনটি রোগ ছড়ানোর মাধ্যমগুলোকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। এর মধ্য একটি সংস্পর্শজনিত এবং অন্যগুলো বায়ুবাহিত। তাঁরা দ্বিতীয় মাধ্যমকে ‘এয়ার ট্রান্সমিশন মাধ্যম’ বলতে সম্মত হয়েছে। তবে ভার্জিনিয়া টেকের পরিবেশবিষয়ক প্রকৌশলী এবং উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য লিনসে মার এই শব্দগুচ্ছটিকে বায়ুবাহিত সংক্রমণের মতো সহজ শব্দের চেয়ে বাজে বলে মনে করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটা খুব সেকেলে হয়েছে। আমরা সহজ পরিভাষা খুঁজছিলাম, যা সবাই সহজে বুঝতে পারবে।’
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, প্যাথোজেন দুটি উপায়ে বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। একটি হলো সরাসরি, যা চোখ-মুখ বা নাকের শ্লেষ্মায় পৌঁছাতে পারে। অন্যটি হল ‘বায়ুবাহিত সংক্রমণ/ইনহেলেশন’, যেখানে ড্রপলেটগুলো নিশ্বাসের সঙ্গে প্রবেশ করে।
বিজ্ঞানীরা নতুন পরিভাষা উত্থাপন করলে ডব্লিওএইচও তা গ্রহণ করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের পাশাপাশি আফ্রিকা, চীন এবং ইউরোপের সহযোগীদের সঙ্গে চুক্তি করে।
ডব্লিওএইচওর প্রধান বিজ্ঞানী ডা. জেরেমি ফারার বলেছেন, একত্রে কাজ করার জন্য চুক্তি করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।’
কিন্তু নতুন প্রতিবেদনে কীভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে রোগ ছড়ানো বন্ধ করা উচিত—সে বিষয়ে এজেন্সিগুলোকে কোনো সুপারিশ করা হয়নি। গবেষকেরা স্বীকার করেছেন, তাঁরা এই বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি।
বায়ুবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে হাসপাতালগুলোর নির্দেশিকাতে ব্যয়বহুল ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এসবের মধ্যে রয়েছ, বায়ুচাপশূন্য নিরবচ্ছিন্ন কক্ষ রাখা, সূক্ষ্ম ড্রপলেট ঠেকাতে এন ৯৫ শ্বাসযন্ত্র ব্যবহার এবং অন্যান্য সুরক্ষামূলক যন্ত্রপাতি রাখা। তবে কোনো রোগগুলো এই ধরনের নিয়ন্ত্রণের নিশ্চয়তা দেয় বা হাসপাতালের বাইরে কী প্রচেষ্টা নেওয়া উচিত তা স্পষ্ট নয়।
জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এবং উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. ওয়াল্টার জিংগ বলেছেন, পুরোনো নিয়মে আরও সরল নির্দেশিকা দেওয়া ছিল। উদাহরণস্বরূপ; সংক্রমণ এড়াতে কারও হাঁচি-কাশি থেকে কয়েক ফুট দূরে থাকাকে কার্যকর উপায় বলে মনে করা হতো। এটি সরল ছিল এবং হয়তো সত্য নয়, তবে এটি উদ্দেশ্য পূরণ করেছে। এখন আমাদের অন্য প্রতিকারের কথা ভাবতে হবে।’
ডব্লিওএইচওর প্রধান বিজ্ঞানী ডা. ফারার বলেছেন, ‘এই ধরনের নির্দেশিকাগুলো স্পষ্ট পরীক্ষামূলক প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত। যদিও সেই প্রমাণ এখনো অনেক রোগের ক্ষেত্রেই দুষ্প্রাপ্য। বিজ্ঞানীরা এখনো বিতর্ক করছেন। উদাহরণস্বরূপ, ইনফ্লুয়েঞ্জা বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় কি না। এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে এ নিয়ে গবেষণা-অধ্যয়ন করা হয়েছে। আমরা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জানি, কিন্তু আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত নই। ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য আমাদের এই ধরনের কাজ খুবই প্রয়োজন।’

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৯ ঘণ্টা আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
১০ ঘণ্টা আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
১০ ঘণ্টা আগে
মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে...
১১ ঘণ্টা আগেডা. পূজা সাহা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
দাঁতে ব্যথা হলে আগে কারণ জানা
দাঁতে ব্যথা মানেই শুধু ক্যাভিটি নয়। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমে যাওয়া, স্নায়ুতে প্রদাহ, মাড়ির সংক্রমণ কিংবা দাঁতের ক্ষয়—এসব কারণেও ব্যথা হতে পারে। তাই দাতে ব্যথা হলে প্রথমে কারণটা জানা জরুরি। অস্থায়ী স্বস্তির জন্য দিনে কয়েকবার কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। দাঁতের সেনসিটিভিটি কমানোর টুথপেস্টও কিছুটা সহায়ক। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য অবশ্যই দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের যত্ন মানেই সার্বিক সুস্থতা
দাঁতের যত্ন শুধু সুন্দর হাসির জন্য নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশও। দাঁতের ক্ষয় বা সংক্রমণ অবহেলা করলে তা মাড়ি, হাড় এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক যত্নে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।
টক খাবারে দাঁতের ক্ষয়
অতিরিক্ত টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, লেবু, টমেটো বা টক স্যুপ নিয়মিত খেলে দাঁতের বাইরের স্তর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। এতে দাঁত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, ব্যথা বা ঝাঁজালো অনুভূতি দেখা দেয়। যাদের পারিবারিকভাবে দাঁত দুর্বল, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। দাঁতের ক্ষয় পুরোপুরি বন্ধ না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে তা মেরামত করা অনেকটা সম্ভব। ক্ষয়ের পরিমাণ অনুযায়ী ফিলিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় টক খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দাঁত ব্রাশ করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিন। অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল আরও নরম হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
স্কেলিং নিয়ে ভুল ধারণা
অনেকের ধারণা, দাঁতের স্কেলিং করালে দাঁত নরম বা আলগা হয়ে যায়। বাস্তবে এ তথ্য ভুল। স্কেলিংয়ের সময় দাঁতের পাথর বা ক্যালকুলাস সরানো হয়। স্কেলিংয়ের পর কিছু সময়ের জন্য দাঁত আলগা মনে হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। দাঁতে দাগ বা পাথর দেখা দিলে স্কেলিং করানো উচিত। তবে দাঁত সাদা করতে চাইলে আলাদা ব্লিচিং বা হোয়াইটেনিং চিকিৎসা লাগে।
দাঁত আঁকাবাঁকা হলে করণীয়
শিশুদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত সময়ের আগে কিংবা পরে পড়লে স্থায়ী দাঁত সোজাভাবে ওঠে না। ফলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। এতে শুধু চেহারার সৌন্দর্য নয়, উচ্চারণেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সমস্যা থাকলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শে অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (ব্রেস অথবা অ্যালাইনার) নেওয়া যায়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিশুর বয়স, দাঁতের অবস্থা এবং মুখের গঠন বিবেচনা করা জরুরি।
কিছু সাধারণ পরামর্শ
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, মিরপুর, ঢাকা

করোনা মহামারির প্রথমদিকে বিজ্ঞানীদের একটি দল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছিল যে, কোভিড-১৯ বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যথেষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিকভাবে সংস্থাটি তাঁদের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিল।
১৮ এপ্রিল ২০২৪
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
১০ ঘণ্টা আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
১০ ঘণ্টা আগে
মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে...
১১ ঘণ্টা আগেডা. মো. নূর আলম

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
কশেরুকা কী
মানবদেহের মেরুদণ্ড অনেক কশেরুকা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কশেরুকা অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে তৈরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স কিংবা ক্ষয়ের কারণে কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়, শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এতে দুই কশেরুকা একে অপরের সঙ্গে ঘষা খায় এবং হাড়ে ধারালো দানা তৈরি হয়, যা এক্স-রেতে দেখা যায়। এ দানাগুলো স্নায়ুতে চাপ দিলে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও অসাড়তা দেখা দিতে পারে।
ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায়, সেটাকে বলে ‘স্লিপড ডিস্ক’। সাধারণত দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া কিংবা ঘাড়ে আঘাতের কারণে এটি হয়। ডিস্কের স্থিতিস্থাপকতা কমে গেলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন বাড়ছে এই রোগ
আগের তুলনায় এখন স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে; বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন; যেমন আইটি কিংবা বিপিও খাতের কর্মীরা—তাঁদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জন কোনো না কোনোভাবে ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন।
স্পন্ডিলাইটিসের প্রধান ধরন
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলাইটিস: ঘাড়ের অংশে এই ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে কাঁধ, কলারবোন ও ঘাড়সংলগ্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস: এতে কোমরের নিচের অংশে ব্যথা হয়, যা পিঠ ও পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অ্যানকিলোজিং স্পন্ডিলাইটিস: এটি একধরনের প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস, যা মেরুদণ্ড এবং শ্রোণির সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টকে প্রভাবিত করে। এতে নিতম্ব, কোমর এবং পিঠে ক্রমাগত
ব্যথা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একত্রে মিশে যেতে পারে, যাকে বলে ‘Bamboo Spine’। এতে রোগী ধীরে ধীরে চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
সাধারণ লক্ষণ
সম্ভাব্য কারণ
পরামর্শ
যদি ঘাড়, পিঠ অথবা কোমরে দীর্ঘদিন ব্যথা থাকে, আঙুল অবশ হয় বা চলাফেরায় অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্পন্ডিলাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যায়।
লেখক: জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট, আলোক হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর-৬

করোনা মহামারির প্রথমদিকে বিজ্ঞানীদের একটি দল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছিল যে, কোভিড-১৯ বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যথেষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিকভাবে সংস্থাটি তাঁদের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিল।
১৮ এপ্রিল ২০২৪
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৯ ঘণ্টা আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
১০ ঘণ্টা আগে
মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে...
১১ ঘণ্টা আগেডা. মো. মাজহারুল হক তানিম

পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
কখন বলবেন বেশি রক্ত যাচ্ছে
পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হলে তাকে বলা হয় ম্যানোরেজিয়া। এর সাধারণ লক্ষণগুলো হলো
সাত দিনের বেশি সময় ধরে রক্তপাত হলে, সংখ্যায় বেশি প্যাড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে এবং ব্লিডিংয়ের সঙ্গে চাকা চাকা রক্তপাত হলে।
কেন বেশি ব্লিডিং হতে পারে
করণীয়
হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের ক্ষেত্রে, রক্তপ্রবাহ এবং পেটের খিঁচুনি আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করে। যদি অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের কারণে পিরিয়ডকে ভয় পান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। এর অনেক চিকিৎসা রয়েছে, যা সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর দরকার হয়। যেমন হরমোনের সমস্যা আছে কি না বা প্লিসটিক ওভারেসি সিনড্রোম আছে কি না অথবা থাইরো হরমোনের সমস্যা আছে কি না। আলট্রাসনো করেও অনেক সময় দেখা হয়, জরায়ুতে কোনো টিউমার আছে কি না। ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে, যাদের হরমনাল ইমব্যালেন্স থাকে, তাদের ক্ষেত্রে হরমোন ব্যালেন্স করার জন্য প্রজেস্টেরন-জাতীয় হরমোন দিয়ে থাকি। আবার থাইরো হরমোনের তারতম্য থাকলে থাইরো হরমোনের রিপ্লেসমেন্ট বা যে কারণে হচ্ছে, সেটার ওষুধ দিয়ে থাকি। টিউমার থাকলে অনেক সময় অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এই অপারেশন সব সময় যে দরকার হয় এমন নয়; বা অতিরিক্ত ব্লিডিং হলেই যে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে হবে, তা কিন্তু নয়।
লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
কখন বলবেন বেশি রক্ত যাচ্ছে
পিরিয়ডের সময় বেশি রক্তপাত হলে তাকে বলা হয় ম্যানোরেজিয়া। এর সাধারণ লক্ষণগুলো হলো
সাত দিনের বেশি সময় ধরে রক্তপাত হলে, সংখ্যায় বেশি প্যাড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে এবং ব্লিডিংয়ের সঙ্গে চাকা চাকা রক্তপাত হলে।
কেন বেশি ব্লিডিং হতে পারে
করণীয়
হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের ক্ষেত্রে, রক্তপ্রবাহ এবং পেটের খিঁচুনি আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করে। যদি অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের কারণে পিরিয়ডকে ভয় পান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। এর অনেক চিকিৎসা রয়েছে, যা সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর দরকার হয়। যেমন হরমোনের সমস্যা আছে কি না বা প্লিসটিক ওভারেসি সিনড্রোম আছে কি না অথবা থাইরো হরমোনের সমস্যা আছে কি না। আলট্রাসনো করেও অনেক সময় দেখা হয়, জরায়ুতে কোনো টিউমার আছে কি না। ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে, যাদের হরমনাল ইমব্যালেন্স থাকে, তাদের ক্ষেত্রে হরমোন ব্যালেন্স করার জন্য প্রজেস্টেরন-জাতীয় হরমোন দিয়ে থাকি। আবার থাইরো হরমোনের তারতম্য থাকলে থাইরো হরমোনের রিপ্লেসমেন্ট বা যে কারণে হচ্ছে, সেটার ওষুধ দিয়ে থাকি। টিউমার থাকলে অনেক সময় অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এই অপারেশন সব সময় যে দরকার হয় এমন নয়; বা অতিরিক্ত ব্লিডিং হলেই যে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে হবে, তা কিন্তু নয়।
লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

করোনা মহামারির প্রথমদিকে বিজ্ঞানীদের একটি দল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছিল যে, কোভিড-১৯ বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যথেষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিকভাবে সংস্থাটি তাঁদের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিল।
১৮ এপ্রিল ২০২৪
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৯ ঘণ্টা আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
১০ ঘণ্টা আগে
মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে...
১১ ঘণ্টা আগেনাহিদা আহমেদ

মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে, তিনি প্রতিদিন ৬০ গ্রামের মতো প্রোটিন গ্রহণ করতে পারবেন। কিডনির সমস্যাসহ বিশেষ কিছু রোগের ক্ষেত্রে আবার পরিমাণ কমাতে হবে। আবার মেয়েদের মাসিকের সময় এবং গর্ভকালে এই প্রোটিনের চাহিদা প্রায় দ্বিগুণ হারে বেড়ে থাকে।
অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে শরীরে যেসব সমস্যা হতে পারে—
নিশ্বাসে দুর্গন্ধ
মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণের ফলে নিশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে। অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে শরীর কিটোসিস নামক একটি বিপাকীয় অবস্থায় চলে যায়। এই অবস্থায় বিভিন্ন রাসায়নিক তৈরি হয় বলে শরীরে অপ্রীতিকর গন্ধ তৈরি হয়।
কিডনি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে প্রোটিন ভেঙে অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি হয়।
এ থেকে তৈরি হয় নাইট্রোজেন বা বর্জ্য পদার্থ। যেসব রোগীর কিডনির বিভিন্ন জটিলতা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে দুর্বল কিডনি শরীর থেকে অতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনের জন্য আরও বেশি শক্তি ক্ষয় করে। এর ফলে কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
পানিশূন্যতা সৃষ্টি হতে পারে
অতিরিক্ত নাইট্রোজেন বের করার জন্য শরীরে বিভিন্ন তরল ও পানির নিষ্কাশন বেড়ে যায়। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তৃষ্ণার্ত না করেও এটি আপনাকে পানিশূন্য করে দিতে পারে।
ডায়রিয়া হতে পারে
অত্যধিক দুগ্ধজাত অথবা প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার ফলে আঁশের অভাব দেখা দিতে পারে। এতে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি বিশেষভাবে সত্য হবে, যদি আপনার দুধজাতীয় খাবার খাওয়ায় সমস্যা থাকে কিংবা ভাজা মাংস, মাছ এবং হাঁস-মুরগির মতো উৎস থেকে প্রোটিন গ্রহণ করেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে
অনেকে শর্করা কমিয়ে দিয়ে প্রোটিন গ্রহণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। তাঁদের ক্ষেত্রে শরীরে আঁশের ঘাটতি হয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘ সময় প্রতিদিন একটানা ১০০ গ্রামের বেশি লাল মাংস খেলে হৃদ্রোগের আশঙ্কা, ব্রেইন স্ট্রোকের ঝুঁকি, বৃহদন্ত্র ও প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ছাড়া বেশি প্রোটিন গ্রহণ ফুসফুসের নানা রোগে আক্রান্ত হওয়া, কোলন ও স্তন ক্যানসারে ভূমিকা রাখে। এমনকি অতিরিক্ত লাল মাংস গ্রহণে আর্থ্রাইটিস, গাউট, পেপটিক আলসার, পিত্তথলিতে পাথর, প্যানক্রিয়াস প্রদাহ, কিডনি রোগসহ বিভিন্ন জটিলতা তৈরি করে।
লেখক: পুষ্টিবিদ, ফরাজি হসপিটাল, বারিধারা

মাংসপেশি মজবুত করতে এবং শরীর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের উপকারের চেয়ে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির আদর্শ ওজনের ওপর। কোনো ব্যক্তির আদর্শ ওজন ৬০ কেজি হলে, তিনি প্রতিদিন ৬০ গ্রামের মতো প্রোটিন গ্রহণ করতে পারবেন। কিডনির সমস্যাসহ বিশেষ কিছু রোগের ক্ষেত্রে আবার পরিমাণ কমাতে হবে। আবার মেয়েদের মাসিকের সময় এবং গর্ভকালে এই প্রোটিনের চাহিদা প্রায় দ্বিগুণ হারে বেড়ে থাকে।
অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে শরীরে যেসব সমস্যা হতে পারে—
নিশ্বাসে দুর্গন্ধ
মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণের ফলে নিশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে। অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে শরীর কিটোসিস নামক একটি বিপাকীয় অবস্থায় চলে যায়। এই অবস্থায় বিভিন্ন রাসায়নিক তৈরি হয় বলে শরীরে অপ্রীতিকর গন্ধ তৈরি হয়।
কিডনি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে প্রোটিন ভেঙে অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি হয়।
এ থেকে তৈরি হয় নাইট্রোজেন বা বর্জ্য পদার্থ। যেসব রোগীর কিডনির বিভিন্ন জটিলতা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে দুর্বল কিডনি শরীর থেকে অতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনের জন্য আরও বেশি শক্তি ক্ষয় করে। এর ফলে কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
পানিশূন্যতা সৃষ্টি হতে পারে
অতিরিক্ত নাইট্রোজেন বের করার জন্য শরীরে বিভিন্ন তরল ও পানির নিষ্কাশন বেড়ে যায়। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তৃষ্ণার্ত না করেও এটি আপনাকে পানিশূন্য করে দিতে পারে।
ডায়রিয়া হতে পারে
অত্যধিক দুগ্ধজাত অথবা প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার ফলে আঁশের অভাব দেখা দিতে পারে। এতে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি বিশেষভাবে সত্য হবে, যদি আপনার দুধজাতীয় খাবার খাওয়ায় সমস্যা থাকে কিংবা ভাজা মাংস, মাছ এবং হাঁস-মুরগির মতো উৎস থেকে প্রোটিন গ্রহণ করেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে
অনেকে শর্করা কমিয়ে দিয়ে প্রোটিন গ্রহণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। তাঁদের ক্ষেত্রে শরীরে আঁশের ঘাটতি হয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘ সময় প্রতিদিন একটানা ১০০ গ্রামের বেশি লাল মাংস খেলে হৃদ্রোগের আশঙ্কা, ব্রেইন স্ট্রোকের ঝুঁকি, বৃহদন্ত্র ও প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ছাড়া বেশি প্রোটিন গ্রহণ ফুসফুসের নানা রোগে আক্রান্ত হওয়া, কোলন ও স্তন ক্যানসারে ভূমিকা রাখে। এমনকি অতিরিক্ত লাল মাংস গ্রহণে আর্থ্রাইটিস, গাউট, পেপটিক আলসার, পিত্তথলিতে পাথর, প্যানক্রিয়াস প্রদাহ, কিডনি রোগসহ বিভিন্ন জটিলতা তৈরি করে।
লেখক: পুষ্টিবিদ, ফরাজি হসপিটাল, বারিধারা

করোনা মহামারির প্রথমদিকে বিজ্ঞানীদের একটি দল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছিল যে, কোভিড-১৯ বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যথেষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিকভাবে সংস্থাটি তাঁদের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিল।
১৮ এপ্রিল ২০২৪
দাঁতের সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়, সব বয়সে দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়লে দাঁত দুর্বল হয়। আসলে তা নয়। তবে দাঁতের সমস্যায় বেশির ভাগ কারণই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত যত্ন নিলে আর সঠিক অভ্যাসেই দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
৯ ঘণ্টা আগে
স্পন্ডিলাইটিস হলো মেরুদণ্ডের বাত অথবা আর্থ্রাইটিস। এতে কশেরুকা (মেরুদণ্ড গঠন করে এমন হাড়) ও মেরুদণ্ড ও শ্রোণি চক্রের মাঝের সন্ধিতে প্রদাহ দেখা দেয়। ফলে মেরুদণ্ডের চারপাশের রগ, লিগামেন্ট বা সন্ধি বন্ধনীতে ব্যথা শুরু হয়।
১০ ঘণ্টা আগে
পিরিয়ডের সময় কী পরিমাণ রক্তপাত হলে তাকে অতিরিক্ত ধরা হবে, তার নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয়তো অনেকের জানা নেই। এমন সমস্যা এক দিনে তৈরি হয় না। আপনার শরীরের ভেতরকার কোনো সমস্যাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবতে হবে।
১০ ঘণ্টা আগে