ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। পরে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর স্বভাবতই তাঁকে নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা বেড়েছে। সম্প্রতি ড. ইউনূসের বিদেশ গমন নিয়ে দুটি ফটোকার্ড বেশ ছড়িয়ে পড়েছে।
একটি কার্ডে ‘সেইফ এক্সিট চেয়ে দেশ ছাড়তে চান ড. ইউনুস, পাইলস জনিত রোগ তীব্র আকার ধারন’ এবং আরেকটিতে ‘পাইলস জনিত রোগে উন্নত চিকিৎসায় আগামী সপ্তাহে ফ্রান্সে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা’—এমন লেখা রয়েছে। পরের কার্ডে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের বরাত দেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পর সরকারপ্রধান হিসেবে ড. ইউনূস ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগদান করতে যুক্তরাষ্ট্রে যান। এ ছাড়া তাঁর চলতি মাসের শেষ দিকে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (উব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার তথ্য গণমাধ্যমে এসেছে।
মিনা বেগম (Mena Begum) নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে গত ১১ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৮ মিনিটে পোস্ট করা দুটি ফটোকার্ড বেশি প্রচারিত হয়েছে। এই পোস্টটিতে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টা পর্যন্ত ২৩৩টি রিঅ্যাকশন পড়েছে এবং এটি ১৮ বার শেয়ার হয়েছে। এ ছাড়া ৪৪টি কমেন্ট করেছে। পোস্টের কমেন্টগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, সবাই এ বিষয়টি বিশ্বাস করছেন। মোসাদ্দেক হোসাইন জানিস (Mosaddeque Hossain Janis) লিখেছে, ‘বাংলাদেশেই এর উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হয় এনুচ সাহেব, চিকিৎসা নিতে পারেন।’ প্রণব মল্লিক (Pranab Mallik) লিখেছে, ‘উনি আবার দেশে ফিরবেন তো, ওনার আর কি কি রোগ আছে।’
দৈনিক নয়া দিগন্ত এবং দৈনিক ইত্তেফাকের নামে পোস্ট করা ফটোকার্ড দুটির সত্যতা যাচাই করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। নয়া দিগন্তের লোগোসহ প্রচারিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এটি প্রকাশের তারিখ ১১ জানুয়ারি উল্লেখ করা। তবে আমরা দৈনিক নয়া দিগন্তের ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজে এই বিষয়ে খোঁজ করে এমন কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ পাওয়া পাইনি। পাশাপাশি নয়া দিগন্তের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা ফটোকার্ডগুলোর সঙ্গে ভাইরাল এই ফটোকার্ডটির লেখার ফন্টের পার্থক্য পাওয়া যায়।
নয়া দিগন্ত এমন কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেছে কি না, তা জানতে অনলাইন সাব-এডিটর আতাউর রহমানের সঙ্গে কথা হয়। হোয়াটসঅ্যাপে ফটোকার্ডটি শেয়ার করলে তিনি জানান, নয়া দিগন্ত এমন কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি।
পরে দৈনিক ইত্তেফাকের লোগোসহ প্রচারিত ফটোকার্ডটির সত্যতা যাচাই করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটি প্রকাশের তারিখ ১১ জানুয়ারি উল্লেখ করা। তবে দৈনিক ইত্তেফাকের ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজে এই বিষয়ে খোঁজ করে এমন কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ইত্তেফাকের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা ফটোকার্ডগুলোর সঙ্গে ভাইরাল এই ফটোকার্ডটির লেখার ফন্টের পার্থক্য লক্ষ্য পাওয়া যায়।
ইত্তেফাক এমন কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেছে কি না, তা জানতে আমরা গণমাধ্যমটির ডিজিটাল বিভাগের প্রধান শরাফত হোসেনের সঙ্গে কথা বলি। তিনি জানান, ইত্তেফাক এমন কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি।
এ ছাড়া সার্চ করে অন্য কোনো গণমাধ্যমেও এমন কোনো তথ্যে সংবাদ পাওয়া যায়নি।
ড. ইউনূসের বিষয়ে জানতে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীরের সঙ্গে আজকের পত্রিকার কথা হয়। তিনি বলেন, ‘এগুলো ভুল তথ্য এবং প্রেস সচিবও প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে এমন কোনো মন্তব্য করেননি।’
উল্লেখ্য, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ২১ থেকে ২৪ জানুয়ারি চার দিনের সফরে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (উব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেবেন।
সুতরাং, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জরিয়ে দৈনিক নয়া দিগন্ত এবং দৈনিক ইত্তেফাকের লোগোসহ ফটোকার্ড দুটি আসল নয়। প্রকৃতপক্ষে, ভুয়া দাবিতে ফটোকার্ড দুটি তৈরি করা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। পরে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর স্বভাবতই তাঁকে নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা বেড়েছে। সম্প্রতি ড. ইউনূসের বিদেশ গমন নিয়ে দুটি ফটোকার্ড বেশ ছড়িয়ে পড়েছে।
একটি কার্ডে ‘সেইফ এক্সিট চেয়ে দেশ ছাড়তে চান ড. ইউনুস, পাইলস জনিত রোগ তীব্র আকার ধারন’ এবং আরেকটিতে ‘পাইলস জনিত রোগে উন্নত চিকিৎসায় আগামী সপ্তাহে ফ্রান্সে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা’—এমন লেখা রয়েছে। পরের কার্ডে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের বরাত দেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পর সরকারপ্রধান হিসেবে ড. ইউনূস ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগদান করতে যুক্তরাষ্ট্রে যান। এ ছাড়া তাঁর চলতি মাসের শেষ দিকে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (উব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার তথ্য গণমাধ্যমে এসেছে।
মিনা বেগম (Mena Begum) নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে গত ১১ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৮ মিনিটে পোস্ট করা দুটি ফটোকার্ড বেশি প্রচারিত হয়েছে। এই পোস্টটিতে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টা পর্যন্ত ২৩৩টি রিঅ্যাকশন পড়েছে এবং এটি ১৮ বার শেয়ার হয়েছে। এ ছাড়া ৪৪টি কমেন্ট করেছে। পোস্টের কমেন্টগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, সবাই এ বিষয়টি বিশ্বাস করছেন। মোসাদ্দেক হোসাইন জানিস (Mosaddeque Hossain Janis) লিখেছে, ‘বাংলাদেশেই এর উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হয় এনুচ সাহেব, চিকিৎসা নিতে পারেন।’ প্রণব মল্লিক (Pranab Mallik) লিখেছে, ‘উনি আবার দেশে ফিরবেন তো, ওনার আর কি কি রোগ আছে।’
দৈনিক নয়া দিগন্ত এবং দৈনিক ইত্তেফাকের নামে পোস্ট করা ফটোকার্ড দুটির সত্যতা যাচাই করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। নয়া দিগন্তের লোগোসহ প্রচারিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এটি প্রকাশের তারিখ ১১ জানুয়ারি উল্লেখ করা। তবে আমরা দৈনিক নয়া দিগন্তের ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজে এই বিষয়ে খোঁজ করে এমন কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ পাওয়া পাইনি। পাশাপাশি নয়া দিগন্তের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা ফটোকার্ডগুলোর সঙ্গে ভাইরাল এই ফটোকার্ডটির লেখার ফন্টের পার্থক্য পাওয়া যায়।
নয়া দিগন্ত এমন কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেছে কি না, তা জানতে অনলাইন সাব-এডিটর আতাউর রহমানের সঙ্গে কথা হয়। হোয়াটসঅ্যাপে ফটোকার্ডটি শেয়ার করলে তিনি জানান, নয়া দিগন্ত এমন কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি।
পরে দৈনিক ইত্তেফাকের লোগোসহ প্রচারিত ফটোকার্ডটির সত্যতা যাচাই করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটি প্রকাশের তারিখ ১১ জানুয়ারি উল্লেখ করা। তবে দৈনিক ইত্তেফাকের ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজে এই বিষয়ে খোঁজ করে এমন কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ইত্তেফাকের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা ফটোকার্ডগুলোর সঙ্গে ভাইরাল এই ফটোকার্ডটির লেখার ফন্টের পার্থক্য লক্ষ্য পাওয়া যায়।
ইত্তেফাক এমন কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেছে কি না, তা জানতে আমরা গণমাধ্যমটির ডিজিটাল বিভাগের প্রধান শরাফত হোসেনের সঙ্গে কথা বলি। তিনি জানান, ইত্তেফাক এমন কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি।
এ ছাড়া সার্চ করে অন্য কোনো গণমাধ্যমেও এমন কোনো তথ্যে সংবাদ পাওয়া যায়নি।
ড. ইউনূসের বিষয়ে জানতে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীরের সঙ্গে আজকের পত্রিকার কথা হয়। তিনি বলেন, ‘এগুলো ভুল তথ্য এবং প্রেস সচিবও প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে এমন কোনো মন্তব্য করেননি।’
উল্লেখ্য, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ২১ থেকে ২৪ জানুয়ারি চার দিনের সফরে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (উব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেবেন।
সুতরাং, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জরিয়ে দৈনিক নয়া দিগন্ত এবং দৈনিক ইত্তেফাকের লোগোসহ ফটোকার্ড দুটি আসল নয়। প্রকৃতপক্ষে, ভুয়া দাবিতে ফটোকার্ড দুটি তৈরি করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
৩ দিন আগেরাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
৬ দিন আগেবিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
২০ দিন আগেপটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নে এক তরুণীকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবেও ছড়িয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, রাতের বেলা একজন তরুণীকে তিন থেকে চারজন পুরুষ মিলে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। ওই তরুণী...
২১ দিন আগে