ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। এরপর থেকেই আওয়ামী সমর্থক বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ থেকে ড. ইউনূস ও অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে ভুয়া তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। এর মধ্যেই গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ নামে ফেসবুক পেজে এক ভিডিও পোস্টে দাবি করা হয়, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘ইউনূস হটাও আন্দোলনে উত্তাল চট্টগ্রাম’। আজ শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত ভিডিওটি দেখা হয়েছে প্রায় ৭৮ হাজার বার এবং এতে রিয়েকশন পড়েছে প্রায় ১০ হাজার।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে জানা যায়, যেই ঘটনায় ভিডিও ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে, সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের কোনো দাবি তোলা হয়নি।
দাবির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ভিডিও থেকে কিছু কি-ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হয়। তাতে দেখা যায়, গত ২৭ নভেম্বর ‘মুহাম্মদ আয়াস (Md Ayas)’ নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘ইসকন-জঙ্গি, ইসকন-জঙ্গি, আমার সোনার বাংলায় ইসকনের ঠাঁই নাই— এমন স্লোগানে মুখরিত হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম নগরীর টাইগারপাসের কয়েক কিলোমিটার এলাকা।’
একই ভিডিও আরও একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়। কোনো ভিডিওতেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে কোনো স্লোগান বা মন্তব্য করতে শোনা যায়নি।
এসব ভিডিওর সূত্র ধরে আরও অনুসন্ধান চালিয়ে একইদিনে রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাম্যম প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২৭ নভেম্বর দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের টাইগার পাস মোড় চত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা সমাবেশ করে। সেখান থেকে ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের তোলা হয়। উপস্থিত জনতা সেখানে ‘ইসকন জঙ্গি, স্বৈরাচারের সঙ্গী’— এই ধরনের নানা স্লোগান দেন।
এই বিষয়ে আজকের পত্রিকাসহ দেশের অন্যান্য গণমাধ্যমের প্রতিবেদনেও একই তথ্য মিলেছে।
সার্বিক অনুসন্ধানের ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ভিন্ন ঘটনার এবং সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি তোলা হয়নি— বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। সুতরাং, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের দাবিতে সমাবেশের ভিডিও বলে প্রচারিত দাবিটি মিথ্যা।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। এরপর থেকেই আওয়ামী সমর্থক বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ থেকে ড. ইউনূস ও অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে ভুয়া তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। এর মধ্যেই গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ নামে ফেসবুক পেজে এক ভিডিও পোস্টে দাবি করা হয়, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘ইউনূস হটাও আন্দোলনে উত্তাল চট্টগ্রাম’। আজ শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত ভিডিওটি দেখা হয়েছে প্রায় ৭৮ হাজার বার এবং এতে রিয়েকশন পড়েছে প্রায় ১০ হাজার।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে জানা যায়, যেই ঘটনায় ভিডিও ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে, সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের কোনো দাবি তোলা হয়নি।
দাবির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ভিডিও থেকে কিছু কি-ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হয়। তাতে দেখা যায়, গত ২৭ নভেম্বর ‘মুহাম্মদ আয়াস (Md Ayas)’ নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘ইসকন-জঙ্গি, ইসকন-জঙ্গি, আমার সোনার বাংলায় ইসকনের ঠাঁই নাই— এমন স্লোগানে মুখরিত হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম নগরীর টাইগারপাসের কয়েক কিলোমিটার এলাকা।’
একই ভিডিও আরও একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়। কোনো ভিডিওতেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে কোনো স্লোগান বা মন্তব্য করতে শোনা যায়নি।
এসব ভিডিওর সূত্র ধরে আরও অনুসন্ধান চালিয়ে একইদিনে রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাম্যম প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২৭ নভেম্বর দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের টাইগার পাস মোড় চত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা সমাবেশ করে। সেখান থেকে ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের তোলা হয়। উপস্থিত জনতা সেখানে ‘ইসকন জঙ্গি, স্বৈরাচারের সঙ্গী’— এই ধরনের নানা স্লোগান দেন।
এই বিষয়ে আজকের পত্রিকাসহ দেশের অন্যান্য গণমাধ্যমের প্রতিবেদনেও একই তথ্য মিলেছে।
সার্বিক অনুসন্ধানের ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ভিন্ন ঘটনার এবং সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি তোলা হয়নি— বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। সুতরাং, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের দাবিতে সমাবেশের ভিডিও বলে প্রচারিত দাবিটি মিথ্যা।
ভিডিওতে একটি স্থাপনার মেঝে ও সিঁড়িতে ভাঙা ইট ছড়ানো এবং আধভাঙা ইটের দেয়াল দেখা যাচ্ছে। টুকরো ইটের ওপরে মই ও ড্রিল মেশিন দেখা যাচ্ছে। ভিডিওর শেষের দিকে কিছু স্থাপনার স্থিরচিত্রে একটি নামফলক দেখা যাচ্ছে, যেটিতে লেখা ‘মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন’।
২ দিন আগেভিডিওতে শাড়ি পরিহিত এক নারীকে মাটিতে কোমর পর্যন্ত পুঁতে রাখা অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। তাঁকে ঘিরে রেখেছে একদল শিশু, তরুণ ও মধ্যবয়সী। একটু দূরে কিছুটা নিচু জায়গায় দাঁড়িয়ে নারীদের একটি দল সেই দৃশ্য দেখছে। ভিডিওটির একপর্যায়ে নারীটির দিকে ঢিল ছুড়তে দেখা যায়। ঢিল নিক্ষেপকারীদের তিনজন মাথায় টুপি, সাদা পাঞ্জাবি
৩ দিন আগেযুবলীগ নেতাকে গুলি চালানোর সময় এক নারী এসে সন্ত্রাসীদের তাড়া করেছেন—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে আলাদা ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৬ দিন আগেবাংলাদেশে এক হিন্দু নারী ইসলাম ধর্ম গ্রহণে রাজি না হওয়ায় ও জিযিয়া কর দিতে অস্বীকার করায় মুসলমানেরা পুরো হরিজন কলোনি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে।
৭ দিন আগে