ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
তিনজন তরুণী মিলে সিলেটি ভাষায় গান গাইছেন—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তিনজন তরুণীর মধ্যে দুজন পালা করে সুরে সুরে গান গাইছেন। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘সিলেটি ভাষায় অসাধারণ একটি গান!’
চাচা রোস্ট (Chacha Roast) নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গতকাল বেলা ৩টার দিকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। ওই পোস্টে আজ শনিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৩ হাজার ৮০০টি রিঅ্যাকশন পড়েছে এবং ১ লাখ ২৫ হাজার বার দেখা হয়েছে। পোস্টটির কমেন্টে গানটি সিলেটি ভাষার নয় বলে কেউ কেউ জানিয়েছেন। কয়েকজন আলাদাভাবে জানান, এই গান আরবি, তুর্কি ও ফার্সি ভাষায় গাওয়া হয়েছে; আবার কেউ কেউ গানটিকে সিলেটি ভাষার বলেও কমেন্ট করেন।
মন্তব্যের ঘরে স্মাইলি (Smaily) নামে অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়, ‘প্রথম ভাবছিলাম কোনো ইংলিশ গান, ক্যাপশন পড়ে বুঝলাম সিলেটি ভাষা। ‘সাজেদুল ইসলাম (Sajedul Islam.09) লিখেছেন, ‘আমি তো প্রথমেই ভাবছিলাম এটা কোনো আরবিক গান, পরে ক্যাপশনে দেখে বুঝলাম এটা সিলেট এর ভাষা।’ ‘আবার বুশরা আক্তার (Bushra Akther) নামক একটি অ্যাকাউন্ট থেকে লেখেন, ‘সিলেটের হয়েও এমন ভাষায় কথা না বলতে পারা আমি, ‘আর আপনি হুদাই সিলেটের ভাষা বলে চালাই দিলেন।’
গানটি প্রকৃতপক্ষে কোন ভাষায় গাওয়া হয়েছে, তার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য শুরুতে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ ভাইরাল ভিডিওটি পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণ করে। ভিডিওটিতে সিলেটি ভাষার উচ্চারণ পরিলক্ষিত হয়নি। কারণ, প্রমিত বাংলা ভাষার অনেকাংশের সঙ্গে সিলেটের আঞ্চলিক ভাষার মিল আছে। কিন্তু ভিডিওটিতে উচ্চারিত ধ্বনির মধ্যে বাংলা ভাষার কোনো শব্দ শোনা যায়নি।
ভিডিওটির ৫ সেকেন্ডে ইংরেজি অক্ষরে ‘AYITOOT’ অক্ষরে একটি লেখা ছিল। এর নিচে ইংরেজি অক্ষরে ‘qohS’ নাম আরেকটি শব্দ দেখা যায়। এই দুটি শব্দ এক করে ‘AYITOOT qohS’ লিখে গুগলে সার্চ করা হলে মেয়েদের পোশাকবিষয়ক কিছু তথ্য সামনে আসে। এ ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায়নি।
‘AYITOOT qohS’ শব্দটি থেকে পূর্ণাঙ্গ অর্থবোধক কোনো তথ্য না পাওয়ায় আমরা ভিডিওতে থাকা এই শব্দের অংশটিকে মিরর করি। এতে ‘TOOTIYA Shop’ নামের একটি ইংরেজি বাক্য পাই।
পরে ‘TOOTIYA Shop’ লিখে গুগলে সার্চ করলে তোতিয়া শপ (Tootiya Shop) নামের একাধিক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট খুঁজে পাই। এসব পর্যবেক্ষণ করে আমরা tootiyashop (توتيا شاپ) নামে একটি অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি পাই। সেটি গত ২৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়। ওই ভিডিওতে তরুণীদের একই ভাষায় গান গাইতে দেখা যায়।
তরুণীরা কোন ভাষায় গান গাইছিলেন, তা জানতে আমরা tootiyashop (توتيا شاپ) নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে প্রচারিত ভিডিওর ক্যাপশনটি কোন ভাষায় লেখা, তা জানার চেষ্টা করি। এ ক্ষেত্রে আমরা গুগলের ভাষা শনাক্তকারী টুল ব্যবহার করি। ক্যাপশনটি সাবমিট করার পর গুগল জানায়, এটি ফার্সি ভাষায় লেখা। এ ছাড়া ইরানের মাতৃভাষা হচ্ছে ফার্সি।
tootiyashop (توتيا شاپ) ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটির বায়োতে থাকা তথ্যমতে এটি প্রসাধনীবিষয়ক একটি শপ। শপের লোকেশনের জায়গার নাম হিসেবে বন্দর আব্বাস, বন্দর মল কমপ্লেক্স নামক জায়গার নাম দেওয়া।
এ ছাড়া tootiyashop (توتيا شاپ) ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটির একটি ভিডিওতে লোকেশন দিতে দেখা যায়। লোকেশনে ক্লিক করলে ‘বন্দর আব্বাস’ নামক জায়গার নাম দেখায়।
বন্দর আব্বাস মলের বিষয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়, এটি ইরানের হরমোজগান প্রদেশে অবস্থিত।
সুতরাং, এটি নিশ্চিত যে ভাইরাল ভিডিওতে তরুণীরা সিলেটি ভাষায় গান পরিবেশন করেননি এবং অনুসন্ধানে খুঁজে পাওয়া আসল ভিডিওর তথ্যমতে তাঁরা ফার্সি ভাষায় গানটি গেয়েছিলেন।
তিনজন তরুণী মিলে সিলেটি ভাষায় গান গাইছেন—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তিনজন তরুণীর মধ্যে দুজন পালা করে সুরে সুরে গান গাইছেন। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘সিলেটি ভাষায় অসাধারণ একটি গান!’
চাচা রোস্ট (Chacha Roast) নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গতকাল বেলা ৩টার দিকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। ওই পোস্টে আজ শনিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৩ হাজার ৮০০টি রিঅ্যাকশন পড়েছে এবং ১ লাখ ২৫ হাজার বার দেখা হয়েছে। পোস্টটির কমেন্টে গানটি সিলেটি ভাষার নয় বলে কেউ কেউ জানিয়েছেন। কয়েকজন আলাদাভাবে জানান, এই গান আরবি, তুর্কি ও ফার্সি ভাষায় গাওয়া হয়েছে; আবার কেউ কেউ গানটিকে সিলেটি ভাষার বলেও কমেন্ট করেন।
মন্তব্যের ঘরে স্মাইলি (Smaily) নামে অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়, ‘প্রথম ভাবছিলাম কোনো ইংলিশ গান, ক্যাপশন পড়ে বুঝলাম সিলেটি ভাষা। ‘সাজেদুল ইসলাম (Sajedul Islam.09) লিখেছেন, ‘আমি তো প্রথমেই ভাবছিলাম এটা কোনো আরবিক গান, পরে ক্যাপশনে দেখে বুঝলাম এটা সিলেট এর ভাষা।’ ‘আবার বুশরা আক্তার (Bushra Akther) নামক একটি অ্যাকাউন্ট থেকে লেখেন, ‘সিলেটের হয়েও এমন ভাষায় কথা না বলতে পারা আমি, ‘আর আপনি হুদাই সিলেটের ভাষা বলে চালাই দিলেন।’
গানটি প্রকৃতপক্ষে কোন ভাষায় গাওয়া হয়েছে, তার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য শুরুতে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ ভাইরাল ভিডিওটি পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণ করে। ভিডিওটিতে সিলেটি ভাষার উচ্চারণ পরিলক্ষিত হয়নি। কারণ, প্রমিত বাংলা ভাষার অনেকাংশের সঙ্গে সিলেটের আঞ্চলিক ভাষার মিল আছে। কিন্তু ভিডিওটিতে উচ্চারিত ধ্বনির মধ্যে বাংলা ভাষার কোনো শব্দ শোনা যায়নি।
ভিডিওটির ৫ সেকেন্ডে ইংরেজি অক্ষরে ‘AYITOOT’ অক্ষরে একটি লেখা ছিল। এর নিচে ইংরেজি অক্ষরে ‘qohS’ নাম আরেকটি শব্দ দেখা যায়। এই দুটি শব্দ এক করে ‘AYITOOT qohS’ লিখে গুগলে সার্চ করা হলে মেয়েদের পোশাকবিষয়ক কিছু তথ্য সামনে আসে। এ ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায়নি।
‘AYITOOT qohS’ শব্দটি থেকে পূর্ণাঙ্গ অর্থবোধক কোনো তথ্য না পাওয়ায় আমরা ভিডিওতে থাকা এই শব্দের অংশটিকে মিরর করি। এতে ‘TOOTIYA Shop’ নামের একটি ইংরেজি বাক্য পাই।
পরে ‘TOOTIYA Shop’ লিখে গুগলে সার্চ করলে তোতিয়া শপ (Tootiya Shop) নামের একাধিক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট খুঁজে পাই। এসব পর্যবেক্ষণ করে আমরা tootiyashop (توتيا شاپ) নামে একটি অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি পাই। সেটি গত ২৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়। ওই ভিডিওতে তরুণীদের একই ভাষায় গান গাইতে দেখা যায়।
তরুণীরা কোন ভাষায় গান গাইছিলেন, তা জানতে আমরা tootiyashop (توتيا شاپ) নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে প্রচারিত ভিডিওর ক্যাপশনটি কোন ভাষায় লেখা, তা জানার চেষ্টা করি। এ ক্ষেত্রে আমরা গুগলের ভাষা শনাক্তকারী টুল ব্যবহার করি। ক্যাপশনটি সাবমিট করার পর গুগল জানায়, এটি ফার্সি ভাষায় লেখা। এ ছাড়া ইরানের মাতৃভাষা হচ্ছে ফার্সি।
tootiyashop (توتيا شاپ) ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটির বায়োতে থাকা তথ্যমতে এটি প্রসাধনীবিষয়ক একটি শপ। শপের লোকেশনের জায়গার নাম হিসেবে বন্দর আব্বাস, বন্দর মল কমপ্লেক্স নামক জায়গার নাম দেওয়া।
এ ছাড়া tootiyashop (توتيا شاپ) ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটির একটি ভিডিওতে লোকেশন দিতে দেখা যায়। লোকেশনে ক্লিক করলে ‘বন্দর আব্বাস’ নামক জায়গার নাম দেখায়।
বন্দর আব্বাস মলের বিষয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়, এটি ইরানের হরমোজগান প্রদেশে অবস্থিত।
সুতরাং, এটি নিশ্চিত যে ভাইরাল ভিডিওতে তরুণীরা সিলেটি ভাষায় গান পরিবেশন করেননি এবং অনুসন্ধানে খুঁজে পাওয়া আসল ভিডিওর তথ্যমতে তাঁরা ফার্সি ভাষায় গানটি গেয়েছিলেন।
রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
৩ দিন আগেবিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
১৭ দিন আগেপটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নে এক তরুণীকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবেও ছড়িয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, রাতের বেলা একজন তরুণীকে তিন থেকে চারজন পুরুষ মিলে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। ওই তরুণী...
১৮ দিন আগেপিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়নে চরবলেশ্বর এলাকায় গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ইউপি সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার ও তাঁর ভাবি মৌকলি বেগমকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে।
১৯ দিন আগে