ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। শেখ হাসিনার পতনের পর জনসাধারণের আনা অভিযোগের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। এর পাশাপাশি অনেক নেতা-কর্মী বিদেশ চলে গেছেন, আবার অনেকে নিজেদের আত্মগোপনে রেখেছেন।
ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী গ্রেপ্তার হয়েছেন দাবিতে একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পরিবারের প্রথম উইকেটে পতন; ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি নিক্সন চৌধুরী সেনাবাহিনীর হাতে আটক হয়েছে।’ নিক্সন চৌধুরী দুজন সেনাবাহিনীর সদস্যের মাঝখানে আটক হওয়ার মতো দাঁড়িয়ে আছেন, এমনটা ছবিতে দেখা যাচ্ছে।
ইউজফুল ইনফরমেশন (Useful Information) নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে পোস্ট করা ছবিটি সবচেয়ে বেশি ভাইরাল। পোস্টটিতে আজ রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত সাড়ে ৩ হাজার রিঅ্যাকশন পড়েছে এবং ২৬৯ বার শেয়ার করা হয়েছে। পাশাপাশি ৪৯৩টি কমেন্ট করা হয়েছে। এমন পোস্টে কোনো কোনো অ্যাকাউন্ট ভুয়া তথ্য উল্লেখ করেছে এবং ছবিটিকে এডিটের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে বলে কমেন্ট করেছে। ফয়সাল খান (Faysal Khan) নামক অ্যাকাউন্ট লিখেছে, ‘নাম্বার ১ বেয়াদব বদমায়েশ তাকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার জন্য সকলে একসাথে আওয়াজ তুলুন।’
সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে সমকালের একটি প্রতিবেদনে এমন একটি ছবি পাওয়া যায়। এর সঙ্গে দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুজন সেনাসদস্য, পেছনের দেয়ালের অংশ এবং পরিধানরত শার্টের একই সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়। তবে মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরীকে এই ছবিতে দেখা যায়নি।
প্রতিবেদনটি গত বছরের ১২ অক্টোবর প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত বছরের ১১ অক্টোবর কক্সবাজার পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এহেসান উল্লাহকে শহরের গোলদিঘির পাড় এলাকা থেকে যৌথ বাহিনী গ্রেপ্তার করে। সেই বছরের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে সদর থানায় করা একাধিক মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একই তথ্যে কালের কণ্ঠ, কালবেলা এবং জনকণ্ঠের প্রতিবেদনে একই ছবি পাওয়া গিয়েছে।
এ ছাড়া মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরীর গ্রেপ্তার বিষয়ে অনুসন্ধানে গণমাধ্যমে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মজিবুর রহমান চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী তারিন হোসেনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৩ হাজার ১৬২ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছে বলে গত ৯ জানুয়ারি সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে জানান।
সুতরাং, এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, সেনাবাহিনীর সাথে মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী গ্রেপ্তার হওয়ার দাবিতে প্রচারিত ছবিটি প্রযুক্তির সাহায্যে এডিট করা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। শেখ হাসিনার পতনের পর জনসাধারণের আনা অভিযোগের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। এর পাশাপাশি অনেক নেতা-কর্মী বিদেশ চলে গেছেন, আবার অনেকে নিজেদের আত্মগোপনে রেখেছেন।
ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী গ্রেপ্তার হয়েছেন দাবিতে একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পরিবারের প্রথম উইকেটে পতন; ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি নিক্সন চৌধুরী সেনাবাহিনীর হাতে আটক হয়েছে।’ নিক্সন চৌধুরী দুজন সেনাবাহিনীর সদস্যের মাঝখানে আটক হওয়ার মতো দাঁড়িয়ে আছেন, এমনটা ছবিতে দেখা যাচ্ছে।
ইউজফুল ইনফরমেশন (Useful Information) নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে পোস্ট করা ছবিটি সবচেয়ে বেশি ভাইরাল। পোস্টটিতে আজ রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত সাড়ে ৩ হাজার রিঅ্যাকশন পড়েছে এবং ২৬৯ বার শেয়ার করা হয়েছে। পাশাপাশি ৪৯৩টি কমেন্ট করা হয়েছে। এমন পোস্টে কোনো কোনো অ্যাকাউন্ট ভুয়া তথ্য উল্লেখ করেছে এবং ছবিটিকে এডিটের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে বলে কমেন্ট করেছে। ফয়সাল খান (Faysal Khan) নামক অ্যাকাউন্ট লিখেছে, ‘নাম্বার ১ বেয়াদব বদমায়েশ তাকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার জন্য সকলে একসাথে আওয়াজ তুলুন।’
সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে সমকালের একটি প্রতিবেদনে এমন একটি ছবি পাওয়া যায়। এর সঙ্গে দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুজন সেনাসদস্য, পেছনের দেয়ালের অংশ এবং পরিধানরত শার্টের একই সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়। তবে মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরীকে এই ছবিতে দেখা যায়নি।
প্রতিবেদনটি গত বছরের ১২ অক্টোবর প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত বছরের ১১ অক্টোবর কক্সবাজার পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এহেসান উল্লাহকে শহরের গোলদিঘির পাড় এলাকা থেকে যৌথ বাহিনী গ্রেপ্তার করে। সেই বছরের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে সদর থানায় করা একাধিক মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একই তথ্যে কালের কণ্ঠ, কালবেলা এবং জনকণ্ঠের প্রতিবেদনে একই ছবি পাওয়া গিয়েছে।
এ ছাড়া মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরীর গ্রেপ্তার বিষয়ে অনুসন্ধানে গণমাধ্যমে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মজিবুর রহমান চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী তারিন হোসেনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৩ হাজার ১৬২ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছে বলে গত ৯ জানুয়ারি সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে জানান।
সুতরাং, এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, সেনাবাহিনীর সাথে মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী গ্রেপ্তার হওয়ার দাবিতে প্রচারিত ছবিটি প্রযুক্তির সাহায্যে এডিট করা হয়েছে।
ভিডিওতে একটি স্থাপনার মেঝে ও সিঁড়িতে ভাঙা ইট ছড়ানো এবং আধভাঙা ইটের দেয়াল দেখা যাচ্ছে। টুকরো ইটের ওপরে মই ও ড্রিল মেশিন দেখা যাচ্ছে। ভিডিওর শেষের দিকে কিছু স্থাপনার স্থিরচিত্রে একটি নামফলক দেখা যাচ্ছে, যেটিতে লেখা ‘মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন’।
২ দিন আগেভিডিওতে শাড়ি পরিহিত এক নারীকে মাটিতে কোমর পর্যন্ত পুঁতে রাখা অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। তাঁকে ঘিরে রেখেছে একদল শিশু, তরুণ ও মধ্যবয়সী। একটু দূরে কিছুটা নিচু জায়গায় দাঁড়িয়ে নারীদের একটি দল সেই দৃশ্য দেখছে। ভিডিওটির একপর্যায়ে নারীটির দিকে ঢিল ছুড়তে দেখা যায়। ঢিল নিক্ষেপকারীদের তিনজন মাথায় টুপি, সাদা পাঞ্জাবি
৩ দিন আগেযুবলীগ নেতাকে গুলি চালানোর সময় এক নারী এসে সন্ত্রাসীদের তাড়া করেছেন—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে আলাদা ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৬ দিন আগেবাংলাদেশে এক হিন্দু নারী ইসলাম ধর্ম গ্রহণে রাজি না হওয়ায় ও জিযিয়া কর দিতে অস্বীকার করায় মুসলমানেরা পুরো হরিজন কলোনি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে।
৭ দিন আগে