ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
একটা সাদাকালো পুরনো ছবি। খোলা জিপে বসে আছেন চারজন নারী। একজনের হাতে স্টিয়ারিং, দুজনের হাতে রাইফেল। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে যাচ্ছেন তারা? ছবিটির সাথে জুড়ে দেওয়া হলো প্রায় অবিকল একই ফ্রেমে রঙিন আর একটি ছবি। সেখানেও চারজন নারী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ একজন লিখলেন, এটা ‘মুক্তিযুদ্ধের ছবি’। আর চার নারীর পরিচয় দেওয়া হচ্ছে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’। ২০২১ সালের এসেও তারা আবার সেই একই রকম ছবি তুলেছেন। ব্যাস, ফেসবুকে ভাইরাল। এতে ছবির ব্যক্তিদের পরিবারের ভীষণ বিব্রত। কারণ ছবির সঙ্গে যে তথ্যগুলো ভাইরাল হয়েছে তা সঠিক নয়।
ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে জানা গেছে, মানিকগঞ্জের জাহাজ ব্যবসায়ী শামসুদ্দীন আহমেদের ছিল শিকারের নেশা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়েই শিকারে যেতেন তিনি। তেমনই এক শিকারে গিয়ে বা শিকার থেকে ফেরার পর তার মেয়ে ও ছেলে বউরা বন্দুক নিয়ে খোলা জিপে বসে ছবি তুলেছিলেন। ষাটের দশকের এই ছবিই এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
পরে ২০১৫ বা ২০১৭ সালের দিকে ঢাকায় পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে সাদাকালো ছবির সেই চার নারীই উপস্থিত ছিলেন, সেই জিপও ছিল। তাই একই আদলে আবার ছবি তোলেন চারজন।
ছবিতে গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে বসা আয়েশা রহমান, তিনি শামসুদ্দীন আহমেদের মেয়ে। সামনে তাঁর পাশেই বসা শামসুদ্দীন আহমেদের ছেলের বউ রোকেয়া আহমেদ। আর পেছনে অন্য দুজন হলেন শাহানারা আহেমদ ও রাশিদা আহমেদ, তাঁরাও ছেলের বউ। রোকেয়া ও রাশিদা মারা গেছেন। আয়েশা থাকেন লন্ডনে। শাহানারা দেশেই আছেন।
মা-চাচিদের ছবি ফেসবুকে যেভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে, তা নিয়ে বিব্রত ব্যবসায়ী আমিন উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘কোনোভাবেই এটি মুক্তিযুদ্ধের ছবি নয়। এটি পারিবারিক ছবি। প্রথম ছবির মতো করে দ্বিতীয়বার ছবি তুলতে গিয়ে বন্দুক নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয়। পরে আমার লাইসেন্স করা বন্দুক একজনের হাতে দেই। আর একজনের হাতে একটি স্টিক ধরিয়ে দেই।’
‘আমার শ্বশুর ব্যবসায়ী ও আমুদে ছিলেন। নিজেদের জাহাজ নিয়েই শিকারে চলে যেতেন সুন্দরবনে। পরিবারের নারী সদস্যরাও সরাসরি শিকার না করলেও অনেক সময় শিকারে সঙ্গে গেছেন। রান্নাবান্না নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। ওই ছবিটা আমাদের একটি পারিবারিক ছবি। ভালোবাসার ছবি। এতে কোনো রাজনীতি নেই।’ সম্প্রতি দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদনে এ কথা বলেন আমিন।
একটা সাদাকালো পুরনো ছবি। খোলা জিপে বসে আছেন চারজন নারী। একজনের হাতে স্টিয়ারিং, দুজনের হাতে রাইফেল। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে যাচ্ছেন তারা? ছবিটির সাথে জুড়ে দেওয়া হলো প্রায় অবিকল একই ফ্রেমে রঙিন আর একটি ছবি। সেখানেও চারজন নারী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ একজন লিখলেন, এটা ‘মুক্তিযুদ্ধের ছবি’। আর চার নারীর পরিচয় দেওয়া হচ্ছে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’। ২০২১ সালের এসেও তারা আবার সেই একই রকম ছবি তুলেছেন। ব্যাস, ফেসবুকে ভাইরাল। এতে ছবির ব্যক্তিদের পরিবারের ভীষণ বিব্রত। কারণ ছবির সঙ্গে যে তথ্যগুলো ভাইরাল হয়েছে তা সঠিক নয়।
ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে জানা গেছে, মানিকগঞ্জের জাহাজ ব্যবসায়ী শামসুদ্দীন আহমেদের ছিল শিকারের নেশা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়েই শিকারে যেতেন তিনি। তেমনই এক শিকারে গিয়ে বা শিকার থেকে ফেরার পর তার মেয়ে ও ছেলে বউরা বন্দুক নিয়ে খোলা জিপে বসে ছবি তুলেছিলেন। ষাটের দশকের এই ছবিই এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
পরে ২০১৫ বা ২০১৭ সালের দিকে ঢাকায় পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে সাদাকালো ছবির সেই চার নারীই উপস্থিত ছিলেন, সেই জিপও ছিল। তাই একই আদলে আবার ছবি তোলেন চারজন।
ছবিতে গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে বসা আয়েশা রহমান, তিনি শামসুদ্দীন আহমেদের মেয়ে। সামনে তাঁর পাশেই বসা শামসুদ্দীন আহমেদের ছেলের বউ রোকেয়া আহমেদ। আর পেছনে অন্য দুজন হলেন শাহানারা আহেমদ ও রাশিদা আহমেদ, তাঁরাও ছেলের বউ। রোকেয়া ও রাশিদা মারা গেছেন। আয়েশা থাকেন লন্ডনে। শাহানারা দেশেই আছেন।
মা-চাচিদের ছবি ফেসবুকে যেভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে, তা নিয়ে বিব্রত ব্যবসায়ী আমিন উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘কোনোভাবেই এটি মুক্তিযুদ্ধের ছবি নয়। এটি পারিবারিক ছবি। প্রথম ছবির মতো করে দ্বিতীয়বার ছবি তুলতে গিয়ে বন্দুক নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয়। পরে আমার লাইসেন্স করা বন্দুক একজনের হাতে দেই। আর একজনের হাতে একটি স্টিক ধরিয়ে দেই।’
‘আমার শ্বশুর ব্যবসায়ী ও আমুদে ছিলেন। নিজেদের জাহাজ নিয়েই শিকারে চলে যেতেন সুন্দরবনে। পরিবারের নারী সদস্যরাও সরাসরি শিকার না করলেও অনেক সময় শিকারে সঙ্গে গেছেন। রান্নাবান্না নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। ওই ছবিটা আমাদের একটি পারিবারিক ছবি। ভালোবাসার ছবি। এতে কোনো রাজনীতি নেই।’ সম্প্রতি দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদনে এ কথা বলেন আমিন।
জ্বর ছেড়ে যাওয়ার সময় সাধারণত ঘাম ঝরে। অনেকে ধারণা করেন, ইচ্ছাকৃতভাবে ঘামলে জ্বর নেমে যায়। আসলেই কি তাই? চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
১৩ ঘণ্টা আগেভিডিওতে আধাপাকা ঘরের ভেতরে একজন বয়স্ক ব্যক্তির গলায় জুতার মালা ঝুলতে দেখা যায়। সেই ব্যক্তির পরনে জুব্বা ও মাথায় টুপি। মুখে পাকা দাড়ি। পাশেই আরেকজন সাদা পাঞ্জাবি-লুঙ্গি পরা মাঝ বয়সী ব্যক্তিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ভিডিওটির শেষ দিকে গ্রাম পুলিশের শার্ট সদৃশ জামা ও লুঙ্গি পরে এক ব্যক্তিকে জুতার...
২ দিন আগেপাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জেলের ভেতরে সেনাবাহিনীর একজন মেজরের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন—এই দাবিতে দেশটির ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের নামে পেপার কাটিংয়ের একটি স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেটি একই ক্যাপশনে বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ এবং এক্স অ্যাকাউটেও পোস্ট করা হয়েছে
৩ দিন আগেঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক গণকণ্ঠের ফেসবুক পেজে গতকাল শুক্রবার (২ মে) রাত ৯টায় প্রকাশিত ভিডিওটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে এরা কারা; কিভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।’
৩ দিন আগে