Ajker Patrika

ছবিটি মুক্তিযোদ্ধা নারীর নয়, শখের বশেই তোলা

ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৩: ২২
ছবিটি মুক্তিযোদ্ধা নারীর নয়, শখের বশেই তোলা

একটা সাদাকালো পুরনো ছবি। খোলা জিপে বসে আছেন চারজন নারী। একজনের হাতে স্টিয়ারিং, দুজনের হাতে রাইফেল। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে যাচ্ছেন তারা? ছবিটির সাথে জুড়ে দেওয়া হলো প্রায় অবিকল একই ফ্রেমে রঙিন আর একটি ছবি। সেখানেও চারজন নারী। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ একজন লিখলেন, এটা ‘মুক্তিযুদ্ধের ছবি’। আর চার নারীর পরিচয় দেওয়া হচ্ছে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’। ২০২১ সালের এসেও তারা আবার সেই একই রকম ছবি তুলেছেন। ব্যাস, ফেসবুকে ভাইরাল। এতে ছবির ব্যক্তিদের পরিবারের ভীষণ বিব্রত। কারণ ছবির সঙ্গে যে তথ্যগুলো ভাইরাল হয়েছে তা সঠিক নয়।

ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে জানা গেছে, মানিকগঞ্জের জাহাজ ব্যবসায়ী শামসুদ্দীন আহমেদের ছিল শিকারের নেশা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়েই শিকারে যেতেন তিনি। তেমনই এক শিকারে গিয়ে বা শিকার থেকে ফেরার পর তার মেয়ে ও ছেলে বউরা বন্দুক নিয়ে খোলা জিপে বসে ছবি তুলেছিলেন। ষাটের দশকের এই ছবিই এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

পরে ২০১৫ বা ২০১৭ সালের দিকে ঢাকায় পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে সাদাকালো ছবির সেই চার নারীই উপস্থিত ছিলেন, সেই জিপও ছিল। তাই একই আদলে আবার ছবি তোলেন চারজন।

ছবিতে গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে বসা আয়েশা রহমান, তিনি শামসুদ্দীন আহমেদের মেয়ে। সামনে তাঁর পাশেই বসা শামসুদ্দীন আহমেদের ছেলের বউ রোকেয়া আহমেদ। আর পেছনে অন্য দুজন হলেন শাহানারা আহেমদ ও রাশিদা আহমেদ, তাঁরাও ছেলের বউ। রোকেয়া ও রাশিদা মারা গেছেন। আয়েশা থাকেন লন্ডনে। শাহানারা দেশেই আছেন।

মা-চাচিদের ছবি ফেসবুকে যেভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে, তা নিয়ে বিব্রত ব্যবসায়ী আমিন উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘কোনোভাবেই এটি মুক্তিযুদ্ধের ছবি নয়। এটি পারিবারিক ছবি। প্রথম ছবির মতো করে দ্বিতীয়বার ছবি তুলতে গিয়ে বন্দুক নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয়। পরে আমার লাইসেন্স করা বন্দুক একজনের হাতে দেই। আর একজনের হাতে একটি স্টিক ধরিয়ে দেই।’

‘আমার শ্বশুর ব্যবসায়ী ও আমুদে ছিলেন। নিজেদের জাহাজ নিয়েই শিকারে চলে যেতেন সুন্দরবনে। পরিবারের নারী সদস্যরাও সরাসরি শিকার না করলেও অনেক সময় শিকারে সঙ্গে গেছেন। রান্নাবান্না নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। ওই ছবিটা আমাদের একটি পারিবারিক ছবি। ভালোবাসার ছবি। এতে কোনো রাজনীতি নেই।’ সম্প্রতি দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদনে এ কথা বলেন আমিন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা [email protected]
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ পদ বাদে সব কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা জাতীয় নাগরিক কমিটির

উপদেষ্টা থাকাকালে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিলেন নাহিদ

নতুন ছাত্রসংগঠন ঘোষণার আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধীদের সংঘর্ষ

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল নেতাসহ ৭ জনকে কুপিয়ে জখম

ইব্রাহিমের রেকর্ড সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডকে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল আফগানিস্তান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত